Tag: bjp

bjp

  • Amit Shah on Article 356: ‘৩৫৬ ধারা নয়, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করুন তৃণমূলের’, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে ‘শাহি’-বার্তা

    Amit Shah on Article 356: ‘৩৫৬ ধারা নয়, রাজনৈতিকভাবে লড়াই করুন তৃণমূলের’, বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে ‘শাহি’-বার্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৫৬ ধারা (Article 356) প্রয়োগ করে নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে (Mamata Government) ফেলে দেওয়া হবে না। বিজেপির (BJP) রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দলীয় কর্মীদের সাফ জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home Minister) তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করতে হবে রাজ্যের শাসক দলের (TMC)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এপর্যন্ত রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post-poll violence) বলি হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের সিংহভাগই বিজেপির (BJP) বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। পরিস্থিতির মোকাবিলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি জানায় বঙ্গ বিজেপির একাংশ। তবে বিজেপি যে ৩৫৬ ধারার বিরোধী, এদিন তা স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় সরকারের দু’ নম্বর ব্যক্তিত্ব।

    শুক্রবার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন অমিত। ওই বৈঠকে ২০২৪-র লোকসভা ভোট-বৈতরণী কীভাবে পার হতে হবে, তাও জানিয়ে দেন শাহ। তিনি বলেন, বিপুল জনসমর্থন নিয়েই রাজ্যের তখ্তে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। নির্বাচিত সরকারকে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে ফেলে দেওয়া হবে না। তৃণমূলের মোকাবিলা যে রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে, এদিন তা স্পষ্ট করে দেন অমিত শাহ। বলেন, তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। কিন্তু, বিজেপি করে। তাই তৃণমূলের মোকাবিলা রাজনৈতিকভাবেই করতে হবে। একমাত্র রাজনৈতিক পদ্ধতিতেই বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। এপ্রসঙ্গে গুজরাতে তাঁর অভিজ্ঞতার কথাও শোনান শাহ। তিনি বলেন, গুজরাতে আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, তখন আমাদের নামেও মিথ্যা মমলা সাজানো হয়েছে। রাজনৈতিকভাবেই আমরা তার মোকাবিলা করেছি। পরে ক্ষমতায় এসেছিল দল।

    আরও পড়ুন :বিজেপি যুব নেতার রহস্যমৃত্যু, রণক্ষেত্র কাশীপুর, সিবিআই চাইলেন অমিত শাহ

    বঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP) নিচুতলায় সংগঠন আরও মজবুত করার ওপর জোর দেন শাহ। তিনি বলেন, তৃণমূল স্তরে গিয়ে সংগঠনকে মজবুত করুন। বিধানসভা ভোটে যে ৭৭টি আসন বিজেপি পেয়েছিল, তা হেলাফেলার নয় বলেও মনে করেন তিনি। তৃণমূল স্তরে সংগঠন গড়ে লড়াই করলে যে রাজ্যের কুর্সিও অদূর ভবিষ্যতে বিজেপির অধরা থাকবে না, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন অমিত শাহ।

     

  • Amit Shah: ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, রাজ্য নেতৃত্বকে কী বার্তা দেবেন? জল্পনা

    Amit Shah: ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ, রাজ্য নেতৃত্বকে কী বার্তা দেবেন? জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ মুহূর্তে অমিত শাহের (Amit Shah) বঙ্গ সফরসূচিতে রদবদল। বিজেপি (BJP) সূত্রের খবর, বুধবার অর্থাৎ ৪ মে রাতে এরাজ্যে আসার কথা থাকলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Union Home Minister) আসছেন পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, ৫ তারিখ সকালে। দুদিনের এই সফরে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে দলীয় বৈঠক– ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে অমিত শাহের। 

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ তারিখ উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখান থেকে যাবেন কল্যাণীতে। হরিদাসপুরে বিএসএফের একটি শিবিরে যাবেন। মৈত্রী সংগ্রহশালা উদ্বোধনের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন। 

    সেখান থেকে আকাশপথে যাবেন উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গ বিজেপি’র অন্যতম শক্ত ঘাঁটি। বিধানসভায় সেখানে ভালো ফলও করেছে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর তাই সেই উত্তরবঙ্গকেই শাহের জনসভার জন্যে বেছে নিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। 

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে শিলিগুড়িতে একটি জনসভা করার কথা রয়েছে অমিত শাহের। এছাড়া দার্জিলিঙে তিনি একটি ঘরোয়া বৈঠক করতে পারেন। সেখানে রাত কাটিয়ে শুক্রবার কোচবিহারে যাবেন শাহ। সেখানে তিনবিঘায় বিএসএফের আর একটি সভায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন তিনি।  সেখান থেকে সোজা কলকাতায় ফিরবেন।

    আগামী ২০২৩ সালে রাজ্য পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপিকে চাঙ্গা করতে কলকাতায় এক জোড়া সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে শাহের। বিজেপি সূত্রের খবর, কলকাতার হোটেলে দুটি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন শাহ। সেখানে সাংসদ, বিধায়ক-সহ পুরসভা, জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থীরা থাকতে পারেন। যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব তো বটেই, এমনকী জেলা সভাপতি, সমস্ত বিধায়ক, সাংসদের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, বিজেপির শাখা সংগঠনগুলির দায়িত্বে থাকা নেতাদের সঙ্গেও অমিত শাহের বৈঠক হবে বলেও জানানো হয়েছে।

    সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের পর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে (Victoria Memorial) একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শাহ। সেখানে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) স্ত্রী ডোনা (Dona Ganguly) নৃত্য পরিবেশন করবেন।

    এদিকে, বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অমিত শাহ সফর সেরে দিল্লি ফেরার পরই বাংলায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা। দলীয় সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিয়ে একাধকি জনসংযোগমূলক কর্মসূচি নেবে বঙ্গ বিজেপি।

     

  • Recruitment in Assam: একদিনে প্রায় ২৩ হাজার নিয়োগপত্র বিলি আসাম সরকারের 

    Recruitment in Assam: একদিনে প্রায় ২৩ হাজার নিয়োগপত্র বিলি আসাম সরকারের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিনে ২২,৯৫৮ যুবক-যুবতীকে চাকরির নিয়োগপত্র দিল বিজেপি (BJP) শাসিত আসাম (Assam) সরকার। গুয়াহাটির খানা পাড়ায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) যুবক-যুবতীদের হাতে নিয়োগোপত্র (Appointment Letter) তুলে দেন। 

    আসাম বিধানসভা ভোটের (Assam Assembly election) আগে বিজেপি ক্ষমতায় আসার এক বছরের মধ্যে ১ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই লক্ষ্যেই ১১টি সরকারি দফতরে ২২,৯৫৮টি পদে নিয়োগ করা হল। খানাপাড়ার ভেটেরিনারি কলেজ প্রাঙ্গণে নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

    [tw]


    [/tw]

    ৮,৮৬৭ জন চাকরি পেলেন আসাম পুলিশে, ১১,০৬৩ জন শিক্ষা দফতরে, ২,৪১৯ স্বাস্থ্য দফতরে, ৩৩০ জন জনস্বাস্থ্য এবং ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরে। ১০৫ জন চাকরি পেলেন জলসম্পদ বিভাগে, ৬৯ জন জনকল্যাণ বিভাগে, ৫৫ জন কৃষি দফতর, ২৩ জন বন দফতর, ১৭ জন শ্রমিক কল্যাণ দফতরে বিমা স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে, ৮ জন জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরে এবং ২ জন চাকরি পেলেন খনি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে।

    এর ফলে ভোটের সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রায় ২৫%- পূরণেই সক্ষম হল আসাম সরকার। এই সপ্তাহেই ক্ষমতায় আসার এক বছর পূর্ণ করেছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার।  এর আগেও ১২০০ চাকরি দিয়েছে সরকার। সম্প্রতি আরও প্রায় ২৩,০০০ চাকরি দেওয়া হল। 

    [tw]


    [/tw]

    মার্চ মাসেই আরও ২৬,৪৪১ শূন্য পদের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। ১৩,১৪১ গ্রেড ৩ পদে এবং ১৩,৩০০ গ্রেড ৪ পদের জন্যে আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে চাকরি প্রার্থীদের। আবেদন করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। 

    মার্চে অর্থমন্ত্রী অজন্তা নিয়োগ তাঁর বক্তৃতায় বলেন, সরকার ইতিমধ্যেই ১,১৫৭ জনকে নিয়োগ করেছে। আরও ৮৪,২৪৪ শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। 

    নিয়োগে কেন দেরি হল? সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “করোনা পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে সরকারের প্রায় ৫ মাস নষ্ট হয়েছে। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আরও ৭০০০-৮০০০ পদে নিয়োগ করা হবে। জুলাইয়ের শেষে মোট ২৬,০০০ শূন্য পদে চাকরি দেওয়া হবে।”   

    চাকরি পেয়ে খুশি সবাই। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, চাকরি পেতে তাঁদের এক টাকাও ঘুষ দিতে হয়নি। স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে নিয়োগের প্রক্রিয়া। প্রসঙ্গত, প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের আমলে চাকরি পেতে বহু টাকা ঘুষ দিতে হত বলে অভিযোগ ছিল।

    গ্রেড ৩ এবং ৪ পদে নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে দুটি পৃথক কমিশন গঠন করেছে আসাম সরকার। আগে বিভিন্ন দফতরের এই পদগুলিতে পৃথক পৃথকভাবে নিয়োগ করা হত। কিন্তু এখন সবটাই হবে কমিশনের নজরদারিতে।  

     

  • CBI summons Paresh Paul: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার হত্যা-মামলায় পরেশ পালকে তলব সিবিআইয়ের

    CBI summons Paresh Paul: বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার হত্যা-মামলায় পরেশ পালকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে (West Bengal) ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post poll violence) মামলায় পরেশ পালকে (TMC MLA Paresh Paul) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI)। অভিজিৎ সরকার খুনের (Abhijit Sarkar Murder) মামলার তদন্তে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ককে। বুধবার তাঁকে যেতে হবে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের দফতরে। 

    একুশের বিধানসভা ভোটের (2021 West Bengal Assembly Elections) ফলপ্রকাশের দিন অর্থাৎ ২ মে, কাঁকুরগাছিতে খুন হতে হন বিজেপির (BJP) শ্রমিক সংগঠনের সদস্য অভিজিৎ সরকার। ওই ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনায় জড়িয়ে যায় পরেশ পালের (Paresh Paul) নাম।

    নিহতের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, পরেশ পালের অঙ্গুলিহেলনেই ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এমনই অভিযোগ করেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ। তাঁর অভিযোগ, খুনের নেপোথ্যে বড় মাথা আছে। বিধায়কের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ করেন বিশ্বজিৎ।

    ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তে এসে এই ঘটনায় ২০ জনের নামে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ইতিমধ্যেই, খুনের মামলায় এর আগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পাশাপাশি ঘটনার সাক্ষী হিসেবে বেশ কয়েকজনকে নোটিসও পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। 

    কিন্তু, পরেশ পালের গ্রেফতারের দাবিতে সম্প্রতি অবস্থান বিক্ষোভে বসেন নিহতের দাদা। বিশ্বজিৎ সরকার বারবার দাবি করছিলেন, তাঁর ভাইয়ের খুনের তদন্তে কেন পরেশ পালকে ডাকা হচ্ছে না? তাঁর আরও দাবি ছিল, সিবিআইকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিজিৎ সরকারের খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে। 

    অবশেষে তলব করা হল পরেশ পালকে। খুনের ঘটনায় পরেশ পালের কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখতে চলেছে সিবিআই।

  • Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha election) বিজেপির (BJP) বিজয়রথ কীভাবে থামানো যাবে, সেই নিয়ে আলোচনা-বিশ্লেষণ করতে ১৩ মে থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে বসছে কংগ্রেসের (congress) চিন্তন শিবির (chintan shivir)।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অতীতে, পরিবার-তন্ত্রকে ইস্যু করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের এই অস্ত্রেই বিভিন্ন নির্বাচনে ঘায়েল হয়েছে কংগ্রেস। শুধু বিরোধী নয়, দলের অভ্যন্তরেও এই নিয়ে অনেক অপ্রিয় প্রশ্ন উঠেছে। দলের অন্দরে ও বাইরে উভয়ক্ষেত্রেই একাধিকবার, এই পরিবারতন্ত্রের জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে হাত-শিবিরকে। 

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিতে এবার আগে থেকে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে শতাব্দী-প্রাচীন দলটি। এবার তাই পরিবারতন্ত্রে ইতি টানতে চাইছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিরোধীদের জবাব দিতে এবার এক পরিবার এক টিকিট নীতি (one family, one ticket) চালু করতে পারেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। 

    সম্প্রতি, ভোটকূশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসকে চাঙা করার একগুচ্ছ খসড়া পেশ করেন হাইকমান্ডের কাছে। ওই খসড়ায়ই ছিল এক পরিবার, এক টিকিট নীতি লাগু করার কথা। পিকে কংগ্রেসে যোগ দেননি। তবে তাঁর প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। 

    সূত্রের খবর, দলের মধ্যেই প্রস্তাব উঠেছে, দলকে জেতাতে অবিলম্বে চালু হোক এক পরিবার এক টিকিট নীতি।  ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষস্তরে এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে। আসন্ন চিন্তন শিবিরেই প্রস্তাবে পড়তে পারে হাইকমান্ডের শিলমোহর। 

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    তবে সূত্রের খবর, এই নীতি-রূপায়ণের ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে! আর সেই ব্যতিক্রমের নাম গান্ধী পরিবার। অর্থাৎ, এক পরিবার এক টিকিট নীতি বাকি সকলের জন্য কার্যকর হলেও, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে নয়। অর্থাৎ, গান্ধী পরিবারকে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই খবর।

    সূত্রের খবর, আলোচনার সময়, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্যের কারণে হয়তো এবার আর রায়বেরিলি থেকে ভোটে লড়বেন না সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তবে আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)  লড়বেন বলেই খবর। এক পরিবার এক নীতি লাগু হলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার টিকিট পাওয়ার কথা নয়। যদিও প্রিয়ঙ্কাও লড়বেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।

    পরপর দু’দফায় দিল্লির তখতে বসেছে বিজেপি সরকার। দীর্ঘদিন ক্ষমতা থেকে দূরে শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষয় শুরু হয়েছে দলে। যার ফলশ্রুতিতে একের পর এক রাজ্যে ধরাশায়ী হচ্ছে দল। এমতাবস্থায় দলকে চাঙা করার একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই চিন্তন শিবিরে। তার মধ্যেই একটি হতে চলেছে, এক পরিবার এক টিকিট নীতি।

    কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, বিজেপি যাতে ফের পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করতে না পারে, সেই জন্যই এই নীতি চালু করার ভাবনা। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি গান্ধী পরিবারকে এই নীতি থেকে “ফ্রি পাস” দেওয়া হয়, তাহলে কংগ্রেসের দ্বিচারিতা আরও প্রকট হবে। সেক্ষেত্রে, নির্বাচনের আগে, বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র উঠে আসবে। 

    শুধু তাই নয়। দলের কংগ্রেসেরই অন্দরে এই নিয়ে আরও অসন্তোষ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইতিমধ্য়েই, দলের একাংশ রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে খুশি নয়। অনেকেই মনে করেন, পুনরুজ্জীবনের জন্য গান্ধী পরিবারের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কংগ্রেসকে। কিন্তু, তা আখেরে কতটা হয়, তা আসন্ন চিন্তন শিবিরেই বোঝা যাবে। 

  • Rahul Gandhi: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    Rahul Gandhi: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চর্চায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল রাহুল গান্ধীর প্রতিবেশী দেশের নাইট ক্লাবে (Night Club) পার্টি করার ভিডিও। ভিডিওয় ক্লাবের আলো আধারিতে হঠাৎই মুখ ভেসে ওঠে কংগ্রেস সাংসদের। নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডুর (Kathmandu) একটি নাইট ক্লাবে বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতিকে। মঙ্গলবার ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল (viral video) হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।     

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) প্রথম টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেন। টুইটে তিনি লেখেন, “গোটা মুম্বই যখন অবরুদ্ধ তখন  রাহুল গান্ধী ছিলেন নাইট ক্লাবে। তাঁর দলে যখন একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে, তখন তাঁকে উল্লাসে মাততে দেখা গেল।” 

    [tw]


    [/tw]

    যদিও এখনও পর্যন্ত ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায় নি। তবে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ভিডিওটি কাঠমান্ডুর একটি নাইট ক্লাবের। সোমবার এক সাংবাদিক বন্ধু সুমনিমা দাসের বিয়েতে গিয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের এই সদস্য। বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল ম্যারিয়ট (Mariott) হোটেলে।  

    এদিন রাহুল (Rahul) গান্ধীর ভিডিও সামনে আসতেই আক্রমণ শানায় ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) জার্মানি, ডেনমার্ক, ফ্রান্স সফরকেও রেয়াত করেনি হাত শিবির। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, “দেশে যখন একটা সঙ্কটময় পরিস্থিতি চলছে, তখন সাহেব বিদেশ ভ্রমণে ব্যস্ত।” এরপরই রাহুল গান্ধীর নাইট ক্লাবের ভিডিও প্রকাশ্যে এলে কংগ্রেসকে (Congress) খোঁচা মারতে এক মূহূর্তও দেরি করেনি বিজেপি।

     

     

  • Sukanta Attacks Mamata: “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Attacks Mamata: “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের কাঁধে বন্দুক রেখে ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পেট্রল-ডিজেলের দাম (petrol diesel price) হ্রাস সম্পর্কে এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিজেপির (bjp) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (sukanta majumdar)। তাঁর দাবি, পেট্রল-ডিজেলের দাম কমিয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেও, বাস্তবে তা হয়নি।

    রবিবার পেট্রলে লিটারপ্রতি ৮ টাকা এবং ডিজেলে ৬ টাকা করে শুল্ক কমানোর কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। পরের দিনই মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠক করে পেট্রোলের ওপর ২ টাকা ৮০ পয়সা এবং ডিজেলের ওপর ২ টাকা ৩ পয়সা ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করুন।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও, আদৌ কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। হিসেব কষে বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “কেন্দ্র ছাড় দেওয়ার পর ২২ তারিখ রাজ্যে পেট্রলের দাম ছিল ১০৬ টাকা ৩০ পয়সা। রাজ্য ২ টাকা ৮০ পয়সা ছাড়ের কথা ঘোষণা করে ২৩ তারিখ। তাহলে ২৪ তারিখ পেট্রোলের দাম হওয়ার কথা ১০৩ টাকা ২৩ পয়সা। সুকান্তের দাবি, যদিও বাস্তবে তা হয়নি। ২২ তারিখ এবং তার পরের দিন পেট্রোলের দাম একই ছিল।”

    আরও পড়ুন : “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী গতকাল নিজের মুখে প্রেস কনফারেন্সে স্বীকার করেছেন, কেন্দ্র পেট্রলের ওপর লিটার প্রতি ৮ টাকা ছাড় দেওয়ায় রাজ্যের লোকসান হচ্ছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি লিখেছেন, এটা সুস্পষ্ট করে মাননীয়া নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কেন্দ্র পেট্রল-ডিজেল থেকে যা টাকা প্রাপ্ত করে সেখান থেকে একটা অংশ রাজ্যকে ফেরত দেয়।”

    অঙ্কের হিসেব কষে সুকান্ত বলেন, “দিদির অঙ্কের ভাষায় কেন্দ্রের ছাড় দেওয়া ৮ টাকা থেকে রাজ্য ফেরত পেত ১ টাকা ৮০ পয়সা। ডিজেলের ক্ষেত্রে ৬ টাকা থেকে রাজ্য ফেরত পেত ১ টাকা ৩ পয়সা। সুকান্তের দাবি, ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সরকার পেট্রল-ডিজেলের ওপর ১ টাকা ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিল। ওই ১ টাকা ছাড় এবং কেন্দ্রের বর্তমান ৮ টাকা ছাড়ের মধ্যে রাজ্যের ফেরত পাওয়া ১ টাকা ৮০ পয়সা যোগ করে ২ টাকা ৮০ পয়সা রাজ্যের ছাড় বলে চালিয়ে দিলেন!”

    সুকান্ত বলেন, “মমতা (mamata) যে আদৌ কোনও ছাড় দেননি, তা পেট্রল পাম্পে গিয়ে বুঝতে পারছেন সাধারণ মানুষ। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর ২ টাকা ৮০ পয়সা ছাড়ের পরেও পেট্রল-ডিজেলের দাম কমেনি।” এর পরেই সুকান্ত বলেন, “কেন্দ্রের কাঁধে বন্দুকটা রেখে আবার বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী।”

    আরও পড়ুন: পেট্রল-ডিজেলে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্রই, দাবি অর্থমন্ত্রীর

    পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়লে যে আদতে রাজ্যেরই লাভ হয়, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “অবশ্য সব চালাকির মধ্যেও একটা ভাল জিনিস স্বীকার করেছেন যে, পেট্রল-ডিজেলের ওপর কেন্দ্রের প্রাপ্ত টাকা থেকে রাজ্য টাকা ফেরত পায়। অর্থাৎ পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়লে পক্ষান্তরে রাজ্যের কোষাগারেরই লাভ হয়। আর উনি দোষ দেন কেন্দ্রকে।” সুকান্তের প্রশ্ন, এভাবে আর কতদিন মানুষকে বোকা বানাবেন মাননীয়া?  

    এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাকে গুজরাত হতে দেবেন না। অথচ গুজরাতে পেট্রলের দাম ৯৬ টাকার আশেপাশে। অথচ বাংলায় ১১০ টাকারও বেশি।

     

  • Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Election) বিজেপির (BJP) মোকাবিলা করার আগে হারানো জমি কীভাবে ফিরে পাওয়া সম্ভব, সেই রোডম্যাপ তৈরি করতে উদয়পুরে চিন্তন শিবিরের (Chintan Shivir) আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। লক্ষ্য, আগামী নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করে তোলা। এই মর্মে, তিনদিনের সম্মেলন শেষে একাধিক বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করল শতাব্দী-প্রাচীন দলটি।

    সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কংগ্রেস থেকে বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা বেরিয়ে গিয়েছেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল পার্টির পুরনো ও নব্য নেতাদের মধ্যে মত-পার্থক্য প্রকট হয়ে পড়া। ফলে তরুণ নেতাদের আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে দল৷ সেই কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনতে সংগঠনের সব স্তরে ৫০ শতাংশ পদে ৫০ বছরের কমবয়সিদের প্রার্থী করা হবে। পাশাপাশি ২০২৪-এর নির্বাচন থেকে শুরু করে তার পরে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনেও ৫০ শতাংশ আসনে ৫০ বছরের কম বয়সীদের প্রার্থী করা হবে। সংগঠন ও প্রার্থী তালিকায় দলিত, সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং মহিলাদের যুক্তিসঙ্গত প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

    চিন্তন শিবির, যাকে কংগ্রেস উল্লেখ করেছে ‘নব সংকল্প শিবির’ (Nav Sankalp Shivir) হিসেবে, তার শেষ দিন দলীয় সংগঠনে একাধিক সংস্কার আনতে তিনদিনের সম্মেলন শেষে “উদয়পুর নব-সংকল্প ঘোষণাপত্র” (Udaipur Nav Sankalp Declaration) গৃহীত হল কংগ্রেসে। সেখানে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) স্বীকার করে নেন, কংগ্রেস এখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে তাঁর দাবি,  এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে দল। তিনি জানান, জনজাগরণ অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে যুক্ত করা হবে। তারপর দেশজুড়ো অভিযান চালানো হবে। রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi) একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেতাদের। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের বিষয়টি পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং এর কোন সহজ রাস্তা নেই।

    বস্তুত, চিন্তন শিবিরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে দ্বিতীয় পর্বের ‘জনজাগরণ অভিযান’ (Janajagaran Abhiyan) চালাবে কংগ্রেস। এরপর আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কংগ্রেস শুরু করতে চলেছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ (Bharat Jodo Yatra)।  কংগ্রেস বলেছে, ঠিক ৮০ বছর আগে,  সালে, মহাত্মা গান্ধী “ভারত ছাড়ো” স্লোগান দিয়েছিলেন এবং ২০২২ সালে, “জোড়ো ভারত” (এক ভারত) স্লোগানটি গ্রহণ করা উচিত।

    বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেসে “এক পরিবার এক টিকিট” চালু করার দাবি উঠেছে। সেই কারণে দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ‘এক ব্যক্তি এক পদ ও এক পরিবার ও একটি টিকিট’ এই নীতি চালু করতে চলেছে। উদয়পুরের সাংবাদিক সম্মেলনে তা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ও ‘এক পরিবার এক টিকিট’ তখনই বাদ দেওয়া হবে যখন কোনও একটি পরিবারের একাধিক সদস্য টানা পাঁচ বছরেও বেশি সময় কংগ্রেসের জন্য কাজ করেছেন। সেই অর্থে এক পরিবার একাধিক টিকিট পেতে পারে। যার অর্থ গান্ধী পরিবারের তিন জনই কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করতে পারবেন। 

    চিন্তন শিবিরে কংগ্রেসের নেওয়া অন্য বড় সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে জনমত গ্রহণের জন্য পৃথক বিভাগ গঠন। কর্পোরেট ধাঁচে জনতার মন বুঝতে জনসমীক্ষার জন্য ‘পাবলিক ইনসাইট’ শাখা, পদাধিকারীদের কাজের মূল্যায়নে ‘অ্যাসেসমেন্ট’ বিভাগ তৈরি হবে। তার ভিত্তিতেই নেতাদের পদোন্নতি, পদচ্যুত করা হবে। এআইসিসি ও প্রদেশ স্তরে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি গঠন হবে।

    এছাড়া, কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্লক কংগ্রেস কমিটির নীচে মণ্ডল কমিটি গঠন করা হবে। দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হবে। কেরালার ‘রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ থেকে তার সূত্রপাত হবে। আরেকটি গৃহীত সিদ্ধান্ত হল, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা গোষ্ঠী তৈরি হবে। কংগ্রেস সভানেত্রীর নেতৃত্বে সেই কমিটি নিয়মিত রাজনৈতিক বিষয় ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনায় বসবে।

     

     

  • Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের কোনও আদর্শ নেই। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে(chintan shivir) এহেন মন্তব্য করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের(Opposition parties) বিরাগভাজন হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul gandhi)। কংগ্রেসকে তাঁদের নয়, বরং আঞ্চলিক দলগুলিকে(regional parties) প্রয়োজন কংগ্রেসেরই, সাফ জানিয়ে দিলেন আঞ্চলিক দলগুলির নেতারা। রাহুলকে চালকের আসনে বসিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা হচ্ছিল। রাহুলের মন্তব্যে তা ধাক্কা খেল বলেই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিকে, আঞ্চলিক দলগুলির ‘ক্ষোভ’ সামাল দিতে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল কংগ্রেস।

    রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির হয়ে গেল কংগ্রেসের। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করতেই বসেছিল শিবির। এই শিবিরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, বিজেপি শুরু কংগ্রেসকে নিয়েই কথা বলবে, কোনও আঞ্চলিক দল নয়, কংগ্রেস নেতা, কংগ্রেস কর্মীদের কথাই ঘুরেফিরে উঠে আসবে তাদের মুখে। কারণ স্ব স্ব ক্ষেত্রে শক্তিশালী হলেও, আদর্শ না থাকায় আঞ্চলিক দলগুলির যে তাদের হারানোর ক্ষমতা নেই, সে কথা জানে বিজেপি। যদিও এই শিবিরেই সমমনস্ক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন খোদ সোনিয়া গান্ধি। 

    রাহুলের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের কাছ থেকে। ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট রয়েছে কংগ্রেসে। যৌথভাবে চলছে সরকারও। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে যথাক্রমে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের হাত ধরে টিকে রয়েছে কংগ্রেস। আমাদের নীতি না থাকলে বিজেপির মতো পার্টির বিরুদ্ধে মানুষ আঞ্চলিক দলকে বেছে নিচ্ছে কেন?

    বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে কংগ্রেসের। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়াই করেছিল রাহুল গান্ধির দল। বিহারের ওই দলের তরফে রাহুলকে সেকথা স্মরণও করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৯৯৯ সালে নেতৃত্বের প্রশ্নে নিজের দলের নেতাদের পাশে না পেলেও, লালুপ্রসাদ যাদবকে পাশে পেয়েছিলেন সোনিয়া। রাহুলের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আম-আদমি পার্টি, টিআরএস এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন : “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের কড়া প্রতিক্রিয়া দৃশ্যতই জেরবার কংগ্রেস নেতৃত্ব। তড়িঘড়ি  ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামানো হয় শশী তারুরকে(Shashi Tharoor)। তারুর বলেন, রাহুল বলতে চেয়েছেন যে, জাতীয় রাজনীতিতে আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। আমাদের ভাবনা গোটা দেশকে নিয়ে। আঞ্চলিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ বুঝে চলতে হয়। তিনি বলেন, আমার তো মনে হয়, তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি এমনকি ডিএমকের সঙ্গেও কংগ্রেসের আদর্শের মিল রয়েছে।

    তারুরের কথায় রাজনীতির চিঁড়ে ভেজে কিনা, তাই দেখার!

     

     

     

     

     

  • Sourav Ganguly: রাজনীতিতে আসছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? ডোনার মন্তব্যে জল্পনা

    Sourav Ganguly: রাজনীতিতে আসছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? ডোনার মন্তব্যে জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)? ফের একবার এমনই গুঞ্জনে মজে বাংলা (bengal)। জল্পনার নেপথ্যে রয়েছে সৌরভের স্ত্রী ডোনার (Dona Ganguly) একটি মন্তব্য। শনিবার একটি বেসরকারি ক্লিনিকের উদ্বোধনে যোগ দিতে গিয়ে ডোনা জানান, রাজনীতিতে এলে সৌরভ ভাল কাজই করবেন।

    একুশের বিধানসভা (2021 bengal assembly election) নির্বাচনের প্রাক্কালে সৌরভ বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন বলে খবর ছড়ায়। পরে অবশ্য মহারাজ নিজেই জানিয়ে দেন, খবরটির বাস্তব ভিত্তি নেই। তার পর আর বিসিসিআই (BCCI) প্রেসিডেন্টের রাজনীতিতে যোগদানের বিষয়ে উচ্চবাচ্য বিশেষ শোনা যায়নি।   

    তবে সম্প্রতি পর পর দু’ দিনের দুটি ঘটনা এবং তৎপরবর্তীকালে সৌরভের স্ত্রীর মন্তব্যে ফের একবার সৌরভের রাজনীতিতে যোগদানের বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। প্রথম ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার। ওই সন্ধ্যায় মহারাজের বাড়িতে নৈশভোজ সারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (amit shah)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী, অমিত মালব্যের (Amit Malviya) মতো বঙ্গ বিজেপির কয়েকজন নেতাও।

    শুক্র-সন্ধ্যার ওই রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই শনিবার সকালে ঘটে আরও একটি ঘটনা। এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad hakim) দু’ পাশে বসে থাকতে দেখা যায় সৌরভ ও ডোনাকে। এই দুই ঘটনার সঙ্গে জুড়েছে ডোনার মন্তব্য-অনুষঙ্গ। এদিন তিনি বলেন, জানি না সৌরভ রাজনীতিতে আসবে কিনা! এলে ও মানুষের জন্য খুব ভাল কাজ করবে।

    রাজনীতিতে এলে সৌরভ কোন দলে যোগ দেবেন, তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর চর্চা। সৌরভ নিজেই জানিয়েছেন, দিদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খুবই ভাল। সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সৌরভের পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। আর ২০০৮ সাল থেকে সৌরভের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে বিজেপি নেতা অমিত শাহের। তাঁর ছেলে জয়ের সঙ্গে কাজও করেন সৌরভ। শাহ পরিবারের সঙ্গেও সৌরভের সম্পর্ক মধুর। তাই বিজেপি নাকি তৃণমূল নাকি সিপিএমে যোগ দেন মহারাজ, তা জানতেই মুখিয়ে বাংলা।

     

LinkedIn
Share