Tag: bjp

bjp

  • Anubrata mandal: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    Anubrata mandal: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চার ঘণ্টার জেরা। তাই বোধহয় ধকল সইতে পারলেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata mandal)। বৃহস্পতিবার সকাল সকাল তিনি চলে যান নিজাম প্যালেসে, সিবিআই(cbi) দফতরে। সেখানেই গরু পাচারকাণ্ডে(cow smuggling scam) জেরা করা হয় তাঁকে। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে অনুব্রত সটান চলে যান এসএসকেএমে(sskm)।

    সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। গরু পাচারকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামূল জেরার সময় বেশ কয়েকবার অনুব্রতর নাম করেছে। সেই কারণেই তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে জেরা করা জরুরি। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সেই জেরাই হল বৃহস্পতিবার।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    এদিন সকালে ১০টা বাজার ঢের আগেই অনুব্রত হাজির হয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছিলে সাড়ে ১০টায়। আগাম চলে যাওয়ায় তাঁকে বসিয়ে রাখা হয় গেস্ট রুমে। সাড়ে ১০টা বাজাতেই ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, তিন দফায় ৩৬টি প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জেরা চলে ঘণ্টা চারেক ধরে। দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে আসেন অনুব্রত। যদিও বুকে ব্যথা অনুভব করায় নিজাম প্যালেস থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সেখানে ফের উডবার্ন ওয়ার্ডে অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।

    গত ৬ এপ্রিল নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন বলে চিনার পার্কের বাড়ি থেকে বের হন অনুব্রত। সেদিনও বুকে ব্যথা অনুভব করায় তিন সোজা চলে যান এসএসকেএমে। পরে ভর্তি হন উডবার্ন ওয়ার্ডে। চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পর সিবিআইকে চিঠি দিয়ে অনুব্রত জানান ২১ মে-র পর তিনি সিবিআই দফতরে যেতে পারেন। তার দু দিন আগেই সিবিআই জেরার মুখোমুখি হলেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।  

    আরও পড়ুন : “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    অসুস্থ হলেও, অনুব্রত যে সিবিআইয়ের হাত থেকে রেহাই পাবেন না, তা আগেই জানিয়ে ছিলেন বিজেপির(bjp) কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ(dilip ghosh)। তিনি বলেছিলেন, জেলে থাকলে ঠিক আছে, হাসপাতালে থাকলে তাঁর(অনুব্রতর) বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে, তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য এনি হাউ তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে।একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারও।

     

  • Pattina Pravesam: পিছু হঠল ডিএমকে সরকার, তামিলনাড়ুতে ছাড়পত্র মিলল ‘পত্তিনম প্রবেশম’-এ

    Pattina Pravesam: পিছু হঠল ডিএমকে সরকার, তামিলনাড়ুতে ছাড়পত্র মিলল ‘পত্তিনম প্রবেশম’-এ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: : বিরোধীদের দাবির জেরে পিছু হঠল সরকার! তামিলনাড়ুতে (tamilnadu) অনুমতি দেওয়া হল পত্তিনা প্রবেশম (Pattina Pravesam) প্রথা পালনে। সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় খুশি তামিলনাড়ুবাসী।  

    বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় মঠাধীশকে রূপোর সিংহাসনে বসিয়ে এলাকা পরিভ্রমণ করেন ভক্তরা। বিভিন্ন মঠ কর্তৃপক্ষ আলাদা আলাদা দিনে এই প্রথা (Palanquin Ritual) পালন করে। কয়েক যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথায় এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ডিএমকে-র নেতৃত্বাধীন তামিলনাডু় সরকার।

    ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। মাইলাদুথুরাই জেলায় এই উৎসবের আয়োজন করতে উদ্যোগী হয় ধর্মপূরণ অধিনাম (Dharmapuram Adheenam) নামের একটি মঠের ভক্তরা। ২২ মে অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিতে গেলেই বিপত্তি বাঁধে। যুগ যুগ ধরে চলে আসায় এই প্রথায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এই প্রথা। তাই চলতে দেওয়া যায় না। শৈবদের অন্যতম প্রধান উৎসবের আয়োজনে প্রশাসন জল ঢেলে দেওয়ায় খেপে যান ভক্তরা। এম কে স্ট্যালিন (M K stalin) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি সহ বিরোধীরা। যার জেরে রাজ্যের মন্ত্রী পি কে সেকর বাবু বলেন, মঠাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও অবশ্য শান্ত করা যায়নি বিরোধীদের।

    মঠাধ্যক্ষদের তীব্র আপত্তি ও বিরোধীদের প্রবল চাপ এই জোড়াফলায় জেরবার স্ট্যালিন সরকার। শেষমেশ রবিবার রাতে সরকার ঘোষণা করে প্রথা পালনে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল স্থানীয় সরকার, তা তুলে নেওয়া হল। সরকারি এই নির্দেশে খুশির হাওয়া বিরোধী মহলে।

    আরও পড়ুন : পালকি-প্রথায় ইতি, ক্ষোভের আঁচ তামিলনাড়ুতে

    সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই প্রথা এবারও পালন করা যাবে। যেহেতু ভক্তরা স্বেচ্ছায় পালকি বহন করেন, তাই এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনও বিষয় নেই। তাই প্রথা পালনে কোনও অসুবিধাও নেই।

    প্রসঙ্গত, বিরোধী দল বিজেপিও এই যুক্তিই দেখিয়েছিল। তার পরেও সরকার ওই অনুষ্ঠানে নিষাধাজ্ঞা তোলেনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শেষমেশ বিরোধীদের সম্মিলিত চাপের কাছেই নতিস্বীকার করল সরকার। সরকারি সিদ্ধান্তে দৃশ্যতই খুশি তামিলনাড়ুর তাবৎ ভক্তকুল।

     

  • Taj Mahal: তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    Taj Mahal: তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাজমহল (Taj Mahal) নাকি হিন্দুদের মন্দির, এমনই দাবি নিয়ে তদন্তের জন্যে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এক বিজেপি (BJP) নেতা। তাজমহলের অন্দরে থাকা ২০টি ঘর খুলে পরীক্ষার দাবি করলেন তিনি। কী ছিল আগ্রায় (Agra)? ফের মাথাচারা দিল সেই বিতর্ক। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ওই বিজেপি নেতার দাবি, তাজমহলের অন্দরে হিন্দু দেবদেবীর (Hindu idols) বহু মূর্তি এবং সনাতন ধর্মের একাধিক নির্দশন (Hindu inscriptions) রয়েছে। সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনতেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

    এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad HC) লখনউ বেঞ্চে পিটিশন দায়ের করেছেন বিজেপির অযোধ্যা (Ayodhya) জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রজনীশ সিং (Rajneesh Singh)। তাঁর দাবি, তাজমহলের অন্দরে ২০টি তালাবন্ধ ঘর রয়েছে। সেখানে প্রচুর হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি এবং সনাতন ধর্মের নিদর্শন লুকিয়ে রাখা আছে। তাই তাঁর আর্জি, প্রত্নতত্ব বিভাগকে (ASI) ওই ঘরগুলি খোলার নির্দেশ দিক আদালত। তাহলেই সত্যিটা সামনে আসবে বলেও দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা।

    আবেদনকারী রজনীশ সিং জানিয়েছেন, তাজমহল নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের ভিতরে ২০টি ঘর তালাবন্ধ। কাউকে সেখানে ঢুকতেও দেওয়া হয় না। মনে করা হয়, সেই ঘরগুলিতে হিন্দু দেবদেবীদের মূর্তি রয়েছে। লুকিয়ে রয়েছে সনাতন ধর্মের বহু নির্দশন। তিনি বলেন, “আমি আদালতের কাছে আবেদন করেছি যাতে তারা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে ঘরগুলি খোলার নির্দেশ দেয়। ওই ঘরগুলি খোলা হলে কোনও সমস্যা নেই। যদি সেখানে কিছু না থাকে, তাহলে সমস্ত বিতর্কের অবসান হবে।”

    পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, রাজ্য সরকারকে কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিক আদালত, যারা ওই ঘরগুলি পরীক্ষা করে দেখবে যে সেখানে কোনও হিন্দু ধর্মের নিদর্শন রয়েছে কিনা। বিজেপি সাংসদ বিনয় কাটিহার বলেন, তাজমহল নয়, আগ্রায় যমুনার তীরে একমাত্র তেজোমহলের অস্তিত্ব থাকা উচিত। প্রসঙ্গত, বিজেপির এই সাংসদ একসময়ে দাবি করেছিলেন, আগ্রায় যেখানে আজ তাজমহল দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে তেজোমহল বলে একটি হিন্দু মন্দির ছিল।

     

  • Cossipore BJPY Worker Death: নজরে রহস্যময় গাড়ি, কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-তদন্তে গঠিত ৪ সদস্যের সিট

    Cossipore BJPY Worker Death: নজরে রহস্যময় গাড়ি, কাশীপুরে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু-তদন্তে গঠিত ৪ সদস্যের সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : কাশীপুরের (Cossipore) বিজেপি (BJP) কর্মী অর্জুন চৌরাশিয়ার (Arjun Chaurasia) মৃত্যুর ঘটনায় চার সদস্যের ‘সিট’  (SIT probe) তৈরি করল রাজ্য সরকার (Bengal government)। চিৎপুর থানা ও হোমিসাইড বিভাগের চার সদস্যকে নিয়ে গঠন করা হল বিশেষ তদন্তকারী দল। রবিবারই অর্জুনের ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। সংগ্রহ করা হয় অর্জুনের ইমেল পাসওয়ার্ড ও মোবাইল নম্বরও। গত শুক্রবার কাশীপুরের এক পরিত্যক্ত আবাসন থেকে মেলে অর্জুনের ঝুলন্ত মৃতদেহ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিজেপি যুব মোর্চার (BJPY) সংগঠক অর্জুনকে গত পুরসভা নির্বাচনের সময় থেকেই টার্গেট করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডারা। আজ সোমবারই শেষকৃত্য হওয়ার কথা অর্জুনের।
    অর্জুনের মা লছমিনা চৌরাশিয়ার ও তাঁর ভাইয়ের দাবি, অর্জুনের মৃত্যুর আগের দিন, বৃহষ্পতিবার অনেক রাত পর্যন্ত কাশীপুর রেলওয়ে কলোনীতে তাঁদের বাড়ির কাছে, একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। তখনই ঘরে ফিরেই আবার বেরিয়ে যায় অর্জুন। যদিও তখন বাইরে কাউকেই দেখেননি তিনি। অর্জুনের মায়ের দাবি, পরে একটা কথা কাটাকাটি কানে আসে। কেউ যেন বলছে, “মেরে গুম করে দেব। কেউ খুঁজে পাবে না।” লছমিনার অভিযোগ তাঁর ছেলেকেই কেউ হুমকি দিয়েছিল।
    তদন্তকারী সিটের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ, কোন সে রহস্যময় গাড়ি, যা গভীর রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে ছিল বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী অর্জুন চৌরাশিয়ার বাড়ির সামনে? কে বা কারা ছিল সেই গাড়ির আরোহী? তারাই কি হুমকি দিয়েছিল অর্জুনকে? তদন্তকারীরা এখন কিছুই বলতে রাজি নন। পোস্টমর্টেমের চূড়ান্ত রিপোর্ট মিলবে  এসপ্তাহেই। তখনই অনেক রহস্যের জট খোলার সম্ভাবনা।  

     

     

  • Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    Cossipore BJPY Leader Death: ভোট-পরবর্তী হিংসার বলি বিজেপি কর্মী অর্জুনও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহ পার হয়নি বিজেপির সংকল্প যাত্রার। ৫ মে ঘটা করে বর্ষপূর্তি পালন করেছে তৃণমূলও। এই আবহেই আরেক বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ আরও একবার সামনে চলে এল।

    শুক্রবার কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় অর্জুন চৌরাসিয়া নামের এক যুবকের। তিনি বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। পরিবারেরও দাবি, অর্জুন বিজেপির কর্মী ছিলেন। তাদের অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রায়ই খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল অর্জুনকে।

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর এরাজ্যে খুন হন বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতা ও কর্মী। এর সিংহভাগই পদ্ম শিবিরের বলে দাবি বিজেপির।  ঘটনার প্রতিবাদে সপ্তাহখানেক আগে সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে রাজ্য বিজেপি। রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল, তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করা হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল, তার প্রতিবাদেই বুধবার রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন সংকল্পযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিজেপি যুব নেতার রহস্যমৃত্যু, রণক্ষেত্র কাশীপুর, সিবিআই চাইলেন অমিত শাহ

    সেই যাত্রার কর্মসূচি পালনের পরে পরেই ৫ মে বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান করে তৃণমূল। এই অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জোড়া কর্মসূচির রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে অর্জুনের। মৃতের পরিবারের পাশাপাশি বিজেপিরও দাবি, অর্জুন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী ছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। যে গামছায় অর্জুনের দেহ ঝুলছিল, সেটি চৌরাসিয়া পরিবারের কারওর নয় বলেই দাবি সদস্যদের। যদিও স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের দাবি, অর্জুন তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করেছেন। 

  • Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu at BJP Rally: “তৃণমূল জমানায় বাংলায় বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে”, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে-র পর বাংলায় যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস (Post poll violence) দেখা গিয়েছিল, তা অন্য কোনও ভোটে হয়নি। এমনটাই জানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Opposition leader) বললেন, তৃণমূল (TMC) জমানায় বাংলায় (West Bengal) বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। 

    ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের (2021 Assembly elections) পর রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসার বর্ষপূর্তিতে পথে নেমেছিল বিজেপি। ভোটের পরে বিজেপি কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার চালানো হয়েছিল এবং গণতন্ত্র লুঠ করা হয়েছিল তার প্রতিবাদে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল। মিছিলে সামিল সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী। 

    এরপর রানী রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের মঞ্চ থেকে নিজের বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, বাংলায় বর্তমানে বর্বরোচিত অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০২১ সালের ২ মে-র পরে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস দেখা গিয়েছিল তা আর কোনও নির্বাচনের পরে দেখা যায়নি।

    শুভেন্দুর মতে, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় একাধিক বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। সেই সময় বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রায় ১২ হাজার এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল । তাঁর প্রশ্ন, শিখ দাঙ্গার ১৫ বছর পর অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতার যদি জেল হতে পারে তাহলে ভোট সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্তদের জেল কেন হবে না?

    আসন্ন অমিত শাহর রাজ্য সফর প্রসঙ্গেও বলেছেন শুভেন্দু। বললেন, বাংলায় আসছেন অমিত শাহ, বাংলাকে ভয়মুক্ত করবেন। ২১৩ আসনে জিতেও শান্তিতে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। পাশে থাকতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ‍বাধ্য করাবে বঙ্গ বিজেপি।

    পাশাপাশি, আগামী ৮ মে নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও ঘোষণা করলেন বিজেপি বিধায়ক। বললেন, ৮ মে নন্দীগ্রামে স্বৈরাচারী শাসকের পরাজয়ের বর্ষপূর্তি পালন করা হবে। ১১ মে দেউচা পাঁচামি (Deucha Pachami) যাব, সঙ্গে থাকবেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)।

     

  • Saugata Roy: এত টাকা এল কোথা থেকে? কেকে এর কনসার্ট নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর

    Saugata Roy: এত টাকা এল কোথা থেকে? কেকে এর কনসার্ট নিয়ে প্রশ্ন সৌগতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় সঙ্গীতশিল্পী কেকে’র (KK) মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চে (NaZruk Mancha) তৃণমূল ছাত্র সংসদ আয়োজিত অনুষ্ঠানের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা৷ সেই প্রশ্ন এবার শোনা গেল তৃণমূলের (TMC) বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের (Saugata roy) মুখে৷ দলীয় একটি অনুষ্ঠানে নোয়াপাড়া এলাকায় গিয়ে দমদমের সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, কেকে-এর কনসার্টের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ওই বিপুল অঙ্কের টাকা এল কোথা থেকে?

    সৌগতর কথায়, কলেজে পড়াশোনার সময় তাঁরাও শিল্পীদের আনতেন৷ কিন্তু লাখ লাখ টাকা দিয়ে মুম্বই থেকে সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ৷ সৌগত বলেন, ‘এই যে কৃষ্ণকুমার গান গাইতে এসে মারা গেল, আমি শুধু ভাবি এত টাকা কোথা থেকে এল৷ ৩০ লাখ না ৫০ লাখ কত যেন নিয়েছে৷ কে দিয়েছে? টাকা তো হাওয়ায় ভেসে আসে না৷ এত খরচ করে মুম্বই থেকে শিল্পী আনার কি খুব দরকার ছিল? অনেক ছেলে হাল্লা করল, নাচল৷ তাতে কী লাভ হল?’

    আরও পড়ুন: ১৯৪৭ সালে আজকের দিনে পাশ হয় পশ্চিমবঙ্গ গঠনের প্রস্তাব, কী ঘটেছিল সেদিন?

    গত মে মাসে গুরুদাস কলেজের ফেস্টে গান গাইতে এসে মৃত্যু হয় কেকে’র৷ কলকাতার নজরুল মঞ্চে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷ নজরুল মঞ্চে গান গাওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন কেকে৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে হোটেলে তাঁর মৃত্যু হয়৷ সঙ্গীতশিল্পীর মৃত্যুর পরই বিরোধীরা ওই অনুষ্ঠানে খরচ হওয়া টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল৷ জানিয়েছিল, কলেজের ছাত্র সংসদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে৷ এবার সেই প্রশ্ন তুলে দলের ছাত্র সংগঠনের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন সৌগত৷

     তাঁর অভিযাগ, এত টাকা খরচ করে অনুষ্ঠান করতে হলে প্রোমোটার বা স্থানীয় মস্তানদের কাছে মাথা নত করতে হয়। প্রশ্ন তুলেছেন কলেজ ছাত্র সংগঠনের নৈতিকতা নিয়েও। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের সাংসদের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “এটা বাংলায় ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে এরা কীভাবে কাজ করে। একজন প্রবীণ নেতা এবং অধ্যাপক হওয়ার কারণে তিনি অন্তত সত্যটা স্বীকার করেছেন।” রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের খোঁচা, “শিক্ষিত মানুষ তো। সবটা বুঝতে পারছেন। এমন মন্তব্য করে বিপদে পড়ছেন নিজের দলেই। এই তো চলছে রাজ্যে। শুধু নাচ-গান-ফুর্তি। শিক্ষা নেই, চাকরি নেই।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, “সৌগতবাবু যা বলেছেন একদম ঠিক কথা।” উল্লেখ্য,কেকের অনুষ্ঠানের খরচ পুরোটাই কলেজ কর্তৃপক্ষ দিয়েছিল বলে দাবি করেছিল টিএমসিপি।

  • Taj Mahal Controversy: তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ? 

    Taj Mahal Controversy: তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য তাজমহলকে (Taj Mahal) সম্প্রতি ‘তেজো মহালয়া’ (Tejo Mahalaya) নামের এক মন্দির দাবি করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে (Allahabad High Court) তদন্তের আর্জি জানিয়েছেন এক বিজেপি (BJP) নেতা। এনিয়ে এখন দেশের রাজনীতিতে শোরগোল। হিন্দু (Hindu) সংগঠনগুলিও তাই বিশ্বাস করে। জেনে নেওয়া যাক এই দাবির নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে? আদৌ কি কোনও ভিত্তি রয়েছে দাবিটির? 

    ২০১৫ সালে একদল আইনজীবী মোট সাতটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন আগরা (Agra) দায়রা আদালতে। সবকটি পিটিশনে দাবি কার হয়েছিল যে তাজমহলে যাতে হিন্দুদের গিয়ে পূজা-পাঠের অনুমতি দেওয়া হয়। দাবি করা হয়, মুঘল (Mughals) জমানার এই বিশ্ববিখ্যাত সৌধ আদতে ‘তেজো মহালায়া’ নামক এক প্রাচীন শিবমন্দির (Lord Shiva Temple)। সেই থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। 

    মামলাকারী আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, যাতে রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কমিটি তাজমহলের কক্ষগুলি পরীক্ষা করবে এবং সেখানে হিন্দু মূর্তি বা ধর্মগ্রন্থের সাথে সম্পর্কিত কোনও প্রমাণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে। 

    আরও পড়ুনঃ তাজমহলের বন্ধ ঘরে আছে বহু হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি? আদালতে তালা খোলার আবেদন
     
    ভারতের শিব মন্দিরগুলির স্থাপত্যশৈলী এবং বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে তাজমহলের তুলনা করে মিল খুঁজে পান মামলাকারী শঙ্কর জৈন। যদিও আদালতে মামলাকারীর যুক্তি খাটেনি। আবেদনটি মানা হয়নি এবং এখনও আগরার নিম্ন আদালতে এই মামলা বিচারাধীন।  তবে আগরার আদালতে সেই আবেদন বিফলে গেলেও প্রায় একই ধরনের আবেদন গত সপ্তাহে দায়ের হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টে। অযোধ্যা জেলায় ভারতীয় জনতা পার্টির মিডিয়া ইনচার্জ ডঃ রজনীশ সিং আবেদন করে তাজমহলের ভিতর ২০টি ঘর খোলার দাবি তোলেন।  

    বিজেপি নেতা রজনীশ সিং দাবি করেন, ‘তাজমহল নিয়ে পুরনো বিতর্ক রয়েছে। তাজমহলের প্রায় ২০টি কক্ষ তালাবদ্ধ এবং কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। আমার ধারণা, এসব ঘরে হিন্দু দেব-দেবী ও ধর্ম সম্পর্কিত মূর্তি রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে আমি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছি যাতে আর্কেওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে এই কক্ষগুলি খোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কক্ষগুলি খোলা হলে এই সংক্রান্ত যাবতীয় বিতর্ক থেমে যাবে আর তা করতে তো কোনও ক্ষতি নেই।’

     

  • Nitin Gadkari: ছবি তুলে পাঠালেই ৫০০ টাকা পুরস্কার! অবৈধ পার্কিং রুখতে দাওয়াই গড়কড়ির

    Nitin Gadkari: ছবি তুলে পাঠালেই ৫০০ টাকা পুরস্কার! অবৈধ পার্কিং রুখতে দাওয়াই গড়কড়ির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধভাবে পার্ক করা গাড়ির ছবি তুললেই মিলবে কড়কড়ে ৫০০ টাকা। এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে খানিকটা রসিকতার সুরে একথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাহলে কী এবার অবৈধ পার্কিং (Wrongly Parked Vehicle) নিয়ে নতুন কোনও আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র? এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। 

    নিতিন বলেন, “অবৈধভাবে পার্ক করা কোনও গাড়ির ছবি তুলে পাঠিয়ে দিলে, জরিমানার টাকা থেকে ছবির প্রেরককে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে।” যদিও কথাটা মন্ত্রী হাসতে হাসতে রসিকতার সুরেই বলেছেন। কিন্তু এরপরেও এই নিয়ম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ৭৫ কিমি রাস্তা তৈরি মাত্র ১০৫ ঘণ্টায়! গিনেস বুকে নাম তুলল NHAI

    গাড়ির অবৈধ পার্কিং নিয়ে এদিনের অনুষ্ঠানে বিরক্তি প্রকাশ করেন পরিবহণ মন্ত্রী। গড়কড়ি বলেন, “এমনও পরিবার আছে, যেখানে সদস্যপিছু একটি করে গাড়ি রয়েছে। কিন্তু পার্কিং স্পেস নেই। দিল্লিতেই যেমন, বড় বড় রাস্তার ধারেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেটাকেই পার্কিং স্পেস বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন সবারই একটি করে গাড়ি থাকা যেন বাধ্যতামূলক হয়ে গেছে।

    এমনকি চারজনের পরিবারের ৬টি গাড়ি আছে এমনও দেখা যায়।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এও জানান, তাঁর রাধুনিরও দুটি সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি রয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, “আগে আমরা আমেরিকায় রাঁধুনিদের গাড়ি চালিয়ে আসতে দেখে অবাক হতাম। এখন ভারতেও একই অবস্থা।”  

    আরও পড়ুন: “‘ট্যুইটার কিনেছেন এবার…”, ইলন মাস্ককে কোন পরামর্শ দিলেন আদর পুনাওয়ালা?

    বৈধ পার্কিং স্পেসের পাশাপাশি এদিন ইলেকট্রিক গাড়ির পক্ষে সওয়াল করেন গড়কড়ি। তিনি বলেন, “এই ধরনের গাড়ি এলে তা পরিবেশের জন্যেও উপকারি এবং খরচও অনেক  কম।” করোনার সময় রাতারাতি দেশে গাড়ি বিক্রি কমে গেলেও ফের তা বাড়তে শুরু করেছে। দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালের মে মাসের তুলনায় ২০২২ সালের মে মাসে অনেক বেশি গাড়ি বিক্রি হয়েছে দেশে।

    সম্প্রতি উজ্জয়িনীর সাংসদ অনিল ফিরোজিয়ার (Anil Firojiya) সঙ্গে এক চ্যুক্তি করেছেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওজন কমালে উন্নয়ন খাতে প্রতি কেজিতে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নিতিন। মন্ত্রীর সেই প্রতিশ্রুতিকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে চার মাসে ১৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন অনিল। ফলে প্রতিশ্রুতি মতো গড়কড়িকে উন্নয়ন খাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে।

    জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে উজ্জয়িনীর সাংসদ অনিল ফিরোজিয়াকে এই চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওজন কমালে, উন্নয়ন খাতে প্রতি কেজিতে ১০০০ কোটি দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন তিনি। চার মাসের মধ্য়ে চ্যালেঞ্জ সম্পূর্ণ করেছেন সাংসদ। ফেব্রুয়ারিতে তাঁর ওজন ছিল ১২৭ কেজি। জুন মাসের মধ্যে ১৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি।  

    সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিয়ম করে শরীরচর্চা করেছেন তিনি। সাইকেলিং, যোগাসনকে দৈনিক রুটিন বানিয়ে ফেলেছেন। স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া করেছেন। নিজের লোকসভার উন্নয়নে এবার গড়কড়ির কাছে ১৫ হাজার কোটি টাকার দাবি জানাবেন উজ্জয়িনীর সাংসদ। 

    নিতিন গড়কড়ি তাঁর মজার এবং বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তার জন্য জনপ্রিয়। এমনকি বিরোধীরাও তাঁর কথায় না হেসে থাকতে পারেন না। 

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। ইডি সূত্রে খবর, ডেটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে। সোমবার রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। পুলিশ তাদের পথ আগলায় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস ও পুলিশ কর্মীদের বচসার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রাজধানীতে। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) এদিন ইডি (ED) দফতরে হাজির হন রাহুল। পায়ে হেঁটেই তিনি পৌঁছান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে। 

    রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে হাজির হন রাহুল। ডটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সেল কোম্পানির বিষয়ে রাহুল কিছু জানেন কিনা, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া উত্তরের প্রেক্ষিতেই পরে জেরা করা হবে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। এদিন সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথে রাহুলের সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনার জেরে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী। অশান্তির আঁচ যাতে না লাগে, তাই জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইডি দফতরেও। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ইডি অফিস। 

    কংগ্রেসের এই সত্যাগ্রহ মিছিলের অনুমতি না থাকায় পুলিশ একাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে থেকেই প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিলেন। তাঁরা রাহুল গান্ধীর সমর্থনে জড়ো হয়েছিলেন। অধীরের প্রশ্ন, আমরা কী কোনও বেআইনি কাজ করেছি? এদিকে, রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের প্রতিবাদ প্রদর্শনকে কংগ্রেসের ‘ভুয়ো সত্যাগ্রহ’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে গোলমিঠি জংশন, তুঘলক রোড জংশন, মৌলানা আজাদ রোড জংশন, ক্ল্যারিজেস জংশন, কিউ পয়েন্ট জংশন, সুনহেরি মসজিদ জংশন, মান সিং রোড জংশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি বেলা পর্যন্ত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। গোল ডাকখানা জংশন, প্যাটেল চক, উইন্ডসর প্লেস, তিন মূর্তি চক, পৃথ্বীরাজ রোড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস চলাচল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়াকে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিদেশে থাকায় ওই দিন হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। সেই কারণেই ১৩ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় রাহুলকে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অভিষেক মনু সিংভি লেন, এজেন্সি লাগিয়ে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে কংগ্রেস।  

     

LinkedIn
Share