Tag: bjp

bjp

  • Sidhu Moosewala: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

    Sidhu Moosewala: ক্ষোভের চাপ! ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা ফেরাল পাঞ্জাবের আপ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবে (Punjab) গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালা হত্যাকাণ্ডের (Sidhu Moosewala Murder) পর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভগবন্ত সিং মানের আপ সরকার (AAP Government)। প্রশ্ন উঠেছে, উপযুক্ত নিরাপত্তা না থাকার কারণেই কি এমন মর্মান্তিক পরিণতি হল মুসেওয়ালার। যেদিন সিধুর হত্যা হয় তার ঠিক একদিন আগেই পাঞ্জাব সরকার রাজ্যের ৪২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির নিরাপত্তা কাটছাঁট করেছিল। কিন্তু এই ঘটনার পর থেকেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যার জেরেই নিরাপত্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য হল ভগবন্ত সিং মানের (Bhagwant Singh Man) সরকার। বাকি ৪২৩ জন বিশিষ্টকে আগের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    গত ২৯ মে দুই বন্ধু গুরবিন্দর এবং গুরপ্রীতকে নিয়ে বারনালাতে অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা তথা জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala)। তখনই রাস্তায় মানসার কাছে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। তাঁর দেহে ২০টি বুলেটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। এই ঘটনার ঠিক একদিন আগেই মুসেওয়ালার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভগবন্ত মানের নেতৃত্বাধীন পঞ্জাব সরকার। তার পরই এই ঘটনা ঘটায়, আপ সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। শুধু মুসেওয়ালাই নন। গত শনিবারই পাঞ্জাব সরকার খরচ কমাতে ৪২৪ জন ‘ভিআইপি’র নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে। এই ব্যাপারে মান সরকারের বক্তব্য ছিল, তাঁরা ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান চান, তাই এই সিদ্ধান্ত। যদিও পাঞ্জাব প্রদেশের ডিজিপি জানিয়েছিলেন, রাজ্যের বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য অতিরিক্ত বাহিনীর প্রয়োজন ছিল তাই নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: তিন মাসেই পাঞ্জাবে আপ-সরকারের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ!

    অবশেষে জনসাধারণের চাপে, বৃহস্পতিবার আপ সরকারের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জুন থেকে যাঁদের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ওপি সিং হাইকোর্টে এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

     

  • Kashmir Killings: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    Kashmir Killings: ফের জঙ্গি-নিশানায় হিন্দু পণ্ডিত, কাশ্মীরে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে হত্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপত্যকায় আরও বাড়ল আতঙ্ক। সরকারি করণিক, দোকানের কর্মী, স্কুল শিক্ষিকার পর এ বার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। আবার কাশ্মীরে (Kashmir) জঙ্গিদের গুলিতে খুন হলেন এক হিন্দু পণ্ডিত। বৃহস্পতিবার কুলগাম জেলার এলাকুয়াই দেহাতি ব্যাঙ্কের (Elaqahi Dehati Bank) ভিতরে ঢুকে বিজয় কুমার নামে ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে (bank employee) গুলি করে খুন করে এক আততায়ী। সংবাদ সংস্থা সেই খুনের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে। বিজয়, রাজস্থানের হনুমানগড়ের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তাঁর পোস্টিং ছিল উপত্যকায়।

    মঙ্গলবার জম্মুতে স্কুলে ঢুকে গুলি চালিয়ে এক হিন্দু স্কুল শিক্ষিকা খুন করে সন্ত্রাসবাদীরা। একইভাবে এদিনও আরে মোহনপুরা এলাকায় ব্যাঙ্কে ঢুকে ম্যানেজার বিজয়ের উপর গুলি চালায় এক অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি। গুলিতে আহত বিজয়কে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পুলিশ সূত্রের খবর, খুব কাছ থেকে গুলি লাগায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিজয়ের।

    [tw]


    [/tw]

    গত কয়েকমাস ধরেই উপত্যকায় জঙ্গিদের নিশানায় কাশ্মীরি পণ্ডিতরা। কেন্দ্র এবং জম্মু-কাশ্মীর সরকার সুরক্ষার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও ভরসা করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। হিন্দু পণ্ডিতদের একাংশ ফের উপত্যকা ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেছেন। রাস্তায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জম্মু ফিরে আসতে চাইছেন হিন্দু পণ্ডিতরা। ফারুক আবদুল্লার মতো প্রবীণ নেতারা আরজি জানিয়েছেন, ১৯৯০-এর দশকের মতো উপত্যকা ছেড়ে না যেতে। উপত্যকা আবারও অশান্ত হয়ে ওঠার পিছনে তিনি বিবেক অগ্নিহোত্রীর কাশ্মীর ফাইলস (The Kashmir Files) সিনেমাকে দায়ী করেছেন।

    আরও পড়ুন: ঘর ছাড়া কাশ্মীরি পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের

    কাশ্মীরে একের পর এক গুলিচালনার ঘটনায় কাশ্মীরি পণ্ডিত (Kashmiri Pandit) থেকে অন্য সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের বিজেপির (BJP) মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর জানিয়েছেন, “আবারও লজ্জাজনক এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। এলাকাই দেহাতি ব্যাঙ্কের ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, রাজস্থানের বাসিন্দা বিজয় কুমার কুলগামে সন্ত্রাসবাদীদের বুলেটের কবলে পড়েন৷ এখন সরকারি কর্মচারীদেরও টার্গেট করছে জঙ্গিরা। এটি একটি গুরুতর বিষয় এবং উদ্বেগের বিষয়। সহিংস এই দুষ্টচক্র বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলির একটি কৌশল তৈরি করা উচিত এ বার।” প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও মৃত ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন।

  • Dilip Ghosh: “বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়, টেররিস্টদের হাব হয়ে গিয়েছে”, রাজ্য প্রশাসনকে  তুলোধনা দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়, টেররিস্টদের হাব হয়ে গিয়েছে”, রাজ্য প্রশাসনকে  তুলোধনা দিলীপ ঘোষের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: জাহাঙ্গিরপুরী (Jahangirpuri) গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ-যোগ উঠে আসতেই এবার রাজ্য প্রশাসনকে একহাত নিল বিজেপি (BJP)। মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকারকে (TMC Govt) তুলোধনা করলেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌বাংলা অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়। বাংলাদেশে ক্রাইম করে এসে এখানে আশ্রয় নিচ্ছে। পাঞ্জাবে ক্রাইম করে এসে বাংলায় লুকোচ্ছে। এটা একটা টেররিস্টদের হাব হয়ে গিয়েছে। সমাজবিরোধী এবং গুন্ডাদের হাব বাংলা। এখানকার সরকার কতটা অকর্মণ্য তা এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে। বাংলার ইমেজ নষ্ট হচ্ছে।’‌

    খড়্গপুরের সাংসদ আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা থাকা উচিত। ১১ বছর ধরে উনি পুলিশমন্ত্রী। কি করেছেন? প্রথমে বিরোধীদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সফলও হয়েছেন। ওনার কথা চলছে না, শুনছে না তাহলে উনার পদত্যাগ করা উচিত।’‌

    প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গিরপুরীতে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার বড় সাফল্য পায় দিল্লি পুলিশ। ঘটনার অন্যতম চক্রী ফরিদ ওরফে নিতুকে তমলুক থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গোড়া থেকেই দিল্লি পুলিশ অভিযোগ করে আসছিল, জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার অভিযুক্তরা পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে। সেই মতো দিল্লি পুলিশের বিশেষ দল বেশ কয়েকদিন ধরে পূর্ব মেদিনীপুরে এসে তল্লাশি চালাচ্ছিল।  

    বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে দিল্লি পুলিশের দলটি জানতে পারে, কাকার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে ফরিদ। এরপরই তার কাকার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা। ধলহরা গ্রামের ওই বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল ফরিদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানে অতর্কিতে হানা দিয়ে অবশেষে নিতুকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ।

     

     

  • Uttarakhand Murder: উত্তরাখণ্ডে তরুণী রিসর্ট কর্মীকে ‘হত্যা’ ছেলের, প্রাক্তন মন্ত্রীকে বহিষ্কার বিজেপির

    Uttarakhand Murder: উত্তরাখণ্ডে তরুণী রিসর্ট কর্মীকে ‘হত্যা’ ছেলের, প্রাক্তন মন্ত্রীকে বহিষ্কার বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনগনের দাবি মেনে নিয়ে উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশে (Rishikesh) অঙ্কিতা ভান্ডারি নামে এক তরুণীর খুনে মূল অভিযুক্ত পুলকিত আর্যর (Pulkit Arya) বাবা ও ভাইকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করল বিজেপি (BJP)। দীর্ঘদিন ধরেই ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়ে আসছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যর (Vinod Arya) ছেলে পুলকিত আর্যের (Pulkit Arya) রিসর্টে অনৈতিক কাজ চলছিল। কিন্তু সব জেনে শুনেও চুপ ছিল প্রশাসন। কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অনৈতিক কাজ ধামাচাপা দিতে রিসর্টের রিসেপশনিস্ট অঙ্কিতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে পুলকিতের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলকিত সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন অঙ্কিতা। শুক্রবার ওই রিসর্টকর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে ধৃতরা। অঙ্কিতা খুনের তদন্তে ইতিমধ্যেই  সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। পুলিশ সূত্রে খবর,রিসর্টে চলা অনৈতিক কাজের কথা বাইরে প্রকাশ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতেই খুন করা হয় অঙ্কিতাকে।

    আরও পড়ুন: খাটের তলায় মিলেছিল ১৭ কোটি, গাজিয়াবাদ থেকে ধৃত গার্ডেনরিচের আমির

    খুনের ঘটনা সামনে আসতেই, ওই রিসর্ট ও সংলগ্ন কারখানা আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। শুক্রবারই এই রিসর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। রাতেই বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় রিসর্টের বেশকিছু অংশ। এরপরই অভিযুক্তের বাবা বিনোদ আর্যকে বহিষ্কার করে বিজেপি। উত্তরাখণ্ড সরকারের অন্যান্য অনগ্রসর জাতির কমশিনের (Uttarakhand Other Backward Classes Commission) ডেপুটি চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরানো হয় পুলকিতের ভাই অঙ্কিতকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • BJP at Calcutta HC: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    BJP at Calcutta HC: নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) সহ একাধিক মামলায় সম্প্রতি কড়া পদক্ষেপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। তাই এবার বিচার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের আন্দোলন দমাতে সেদিন পুলিশ অনৈতিকভাবে ধরপাকড় চালিয়েছিল বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। দলীয় কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও আদালতের দ্বারস্থ হল বিজেপি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।

    ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। ওই কর্মসূচিকে ঘিরে তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। হাওড়ার সাঁতরাগাছি, ময়দান থেকে আগত নবান্নমুখী মিছিল আটকালে আন্দোলনকারী-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জখম হন বিজেপির কাউন্সিলর সহ কয়েকজন নেতা এবং কর্মী। জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। পরে আন্দোলনকারীদের দমন করে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ব্যবহার করা হয় জলকামানও। নির্বিচারে চালানো হয় লাঠি। অভিযান শুরুর সময়ই আটকে দেওয়া হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারে নেতৃত্ব হওয়া দুই মিছিলকে। তার পরেই শুরু হয় পুলিশের তাণ্ডব। রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে জোড়া শহর।

    আরও পড়ুন :নবান্ন অভিযানের পুলিশি অত্যাচারের তদন্তে বিশেষ কমিটি গঠন বিজেপির

    বিজেপির দাবি, ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় মোট ১২৩৫ জনকে। তাঁদের নামে করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। এদিন দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে হাইকোর্টে। অভিযানের দিন পুলিশে তাণ্ডব শেষ হলে বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টেই দায়ের করা হয় একটা মামলা। সেই মামলায় স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। ১৯ সেপ্টেম্বর রাজ্যের তরফে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। ওই দিন আদালত এও নির্দেশ দিয়েছিল, অকারণে কাউকে আটকে রাখা যাবে না বলে। ওই মামলার শুনানি শেষের আগেই শুক্রবার ফের মামলা দায়ের হল বিজেপির তরফে।

    প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযানের দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহা সহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতানেত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। ছেড়ে দেওয়া হয় সন্ধের দিকে। বিজেপির অভিযোগ, মিথ্যা মামলায় কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। এরই বিহিত চাইতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি। এদিকে, শুক্রবার রাজ্যের সব থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। মিছিল হতে পারে কলেজ স্কোয়ার থেকেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Dilip Ghosh at Suvendu House: কাঁথিতে অধিকারীদের ‘শান্তিকুঞ্জে’ দিলীপ ঘোষ, কী কথা হল?

    Dilip Ghosh at Suvendu House: কাঁথিতে অধিকারীদের ‘শান্তিকুঞ্জে’ দিলীপ ঘোষ, কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। শুক্রবার কাঁথি আদালতে যান দিলীপ। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় তমলুকের সাংসদ তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। তার পরেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে নিয়ে কাঁথিতে দিব্যেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জে ফেরেন দুজনে। সেখানেই দিলীপ সারেন দ্বিপ্রাহরিক আহার।

    তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। পরে বিজেপিতে যোগ না দিলেও, কাঁথিতে বিজেপি নেতা অমিত শাহের সভায় উপস্থিত ছিলেন শান্তিকুঞ্জের গৃহকর্তা বর্ষীয়ান সাংসদ তৃণমূলের শিশির অধিকারী। এরপরেই শান্তিকুঞ্জে একাসনে বসত করে বিজেপি-তৃণমূল। কারণ শুভেন্দুর এক ভাই দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূলেই রয়েছেন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে তিনি জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের টিকিটে।

    শুভেন্দুর তৃণমূল-ত্যাগ এবং তৎপরবর্তীকালে অমিত শাহের সভায় শিশিরের হাজিরা- এই জোড়া কারণে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূলের। যার জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনীতিতে এক প্রকার কোণঠাসা হয়েই রয়েছেন দিব্যেন্দু-শিশির।

    এই আবহে এদিন কাঁথি আদালতে দিব্যেন্দুর সঙ্গে দেখা হয় দিলীপের। সৌজন্য সাক্ষাতের পরে দুজনে যান শান্তিকুঞ্জে। বিজেপি নেতার শান্তিকুঞ্জে আগমন প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা দিব্যেন্দু বলেন, কেউ যদি বাড়িতে যান তাঁকে যা আপ্যায়ণ করা হয়, দিলীপ ঘোষকেও তাই করা হবে। সৌজন্যের খাতিরে বাড়ি যেতে চাইলে, তাঁকে কি কেউ না বলতে পারে। তাঁর যুক্তি, বাম আমলে সিপিএমের উঁচুতলার নেতারা যেতেন শান্তিকুঞ্জে। তৃণমূলের আমলেও বহু কংগ্রেস নেতা এসেছেন তাঁদের বাড়িতে।

    কেন কাঁথি আদালতে গিয়েছিলেন দিলীপ? জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে অমিত শাহের সভাস্থলে গন্ডগোল সংক্রান্ত একটি মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। ২০০১ সালের একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে এদিন ওই আদালতেই গিয়েছিলেন দিব্যেন্দুও। সেখানেই দেখা হয় দুই মেরুর দুই রাজনীতিবিদের। কাঁথি আদালতে হাজিরার কারণ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, দু’বছর আগে কাঁথিতে অমিত শাহজির সভার পর তৃণমূলের গুণ্ডারা আমাদের উপর হামলা চালায়। কিন্তু তাদের কিছু না বলে পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এবং বন্দুক রাখা, বিস্ফোরক রাখা সহ ১১টি ফৌজদারি ধারায় মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। সেই মামলায় জামিন নিতে আজ কাঁথি আদালতে উপস্থিত ছিলাম।

     

  • Sukanta on Anubrata: “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    Sukanta on Anubrata: “বাঁচার চেষ্টা করবেন…বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না”, কার সম্পর্কে একথা বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বীরভূমের (birbhum) তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি ডেরায় গিয়ে এবার অনুব্রতকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃণমূল (tmc) নেতার অসুস্থতা সম্পর্কে তাঁর ইঙ্গিত, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের এড়াতেই ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার ডেউচা-পাঁচামিতে ‘উচ্ছেদ বিরোধী’ পদযাত্রায় যোগ দিতে বীরভূম গিয়েছিলেন সুকান্ত। ছিলেন তারাপীঠের একটি হোটেলে। শুক্রবার সকালে যান তারাপীঠ মন্দিরে (tarapith temple)। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) নিয়ে মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকবেন তিনি। আমরা জানি তো। তিনি অসুস্থ থাকবেন এবং অসুস্থ থেকে বাঁচার চেষ্টা করবেন। তবে বেশিদিন বাঁচতে পারবেন না এটুকু বলতে পারি।”

    সিবিআই গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। পরে ৬ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়ায় ভর্তি হন এসএসকেএম হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও, বুধবার রাতে ফের বুকে ব্যথা অনুভর করেন। এবার ভর্তি হন বাইপাসের ধারের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এই নিয়েই কটাক্ষ করেন সুকান্ত।

    কেবল অনুব্রত নন, এদিন সুকান্তের নিশানায় ছিল রাজ্য সরকারও। মাসখানেকের মধ্যে শুধু বীরভূমেই চারটি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্তের কটাক্ষ, রাজ্যে যেভাবে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তাতে মা-বোনেরা সুরক্ষিত নন। মা-বোনেদের সুরক্ষা চাওয়ার জন্যই মা তারার কাছে আজ পুজো দেওয়া। বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানান, ইতিমধ্যেই একাধিক ধর্ষণ ও অন্যান্য ঘটনায় আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের এই সব নির্দেশেই স্পষ্ট, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্য পুলিশের ওপর আদালতের বিচারকের কোনও ভরসা নেই।

    আরও পড়ুন : “বাংলা জেহাদিদের আঁতুড়ঘর”, বিএসএফের রাইফেল ছিনতাইকাণ্ডে ট্যুইট সুকান্তর

    রাজ্য পুলিশকেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, পুলিশ যে অপারগ, তা দেখা যাচ্ছে। যেখানে রাজনৈতিক কোনই ইন্ধন রয়েছে, সেখানে পুলিশকে দেখে বোঝা যাচ্ছে, তারা নখ-দন্তহীন কেমন একটা বাঘ।

     

  • Rahul Gandhi: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    Rahul Gandhi: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘রাহুল ফেরাও’ স্লোগান উঠল কংগ্রেসে (Congress)! আজ থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির (chintan shivir)। ওই শিবিরেরই সোনিয়ার (Sonia Gandhi) বদলে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ফেরানোর তোড়জোড় করছেন কংগ্রেস নেতারা।

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, উদয়পুরে চিন্তন শিবির শুরু হবে দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীর ভাষণ দিয়ে। তার পরেই আলোচনা হবে দলীয় সংগঠন নিয়ে। ২০২৪ দেশে সাধারণ নির্বাচন (2024 Loksabha Elections)। ওই নির্বাচনে বিজেপিকে (BJP) পরাস্ত করতে চিন্তন শিবির থেকেই কোমর কষে নামতে চলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

    এর আগে সোনিয়ার নেতৃত্বে তিনবার চিন্তন শিবির হয়েছে কংগ্রেসে। ১৯৯৮, ২০০৩ এবং ২০১৩ সালে। এর মধ্যে ২০০৩ সালের চিন্তন শিবিরের পর লাভের কড়ি ঘরে তোলে কংগ্রেস। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের কুর্সিতে ফেরে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল টানা ১০ বছর।

    ২০১৪ সালের পর থেকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে হেরে চলেছে কংগ্রেস। বেহাল দলের হাল ফেরাতে দলের সর্বাধিনায়ক করা হয় রাহুল গান্ধীকে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই ভোটে যায় কংগ্রেস। ওই ভোটে গোহারা হয় রাহুলের দল। এরপরেই দলের শীর্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। দলের ভাঙা হাল ধরার দায়িত্ব ফের এসে পড়ে সোনিয়ার (Sonia Gandhi) ঘাড়ে। অন্তবর্তীকালীন প্রসিডেন্ট পদে বসানো হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    তবে এবারের চিন্তন শিবিরে ফের রাহুল ফের দাবি উঠতে চলেছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর। এই সূত্রেই এও জানা গিয়েছে, রাহুল স্বয়ং ওই পদে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, লোকসভা ভোট বৈতরণী পার হতে দলের হাল ধরা উচিত রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress President election) হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনেই কংগ্রেস রাহুলকেই ফেরাতে চান স্বপদে। তবে বিষয়টিকে কংগ্রেসের জি-২৩ এর নেতা কীভাবে নেন, সেটাই দেখার। কারণ গান্ধী-মুক্ত কংগ্রেসের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে লড়াই করছেন ওই গোষ্ঠীর নেতারা।

     

  • Nupur Sharma: ক্ষমা চান নূপুর!  তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    Nupur Sharma: ক্ষমা চান নূপুর! তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলল শীর্ষ আদালত  (Supreme Court)। দেশে এই মুহূর্তে যে অশান্তি চলছে, তার জন্য একা নূপুরকেই দায়ী করেছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালতের তরফে বলা হয়েছে, দেশে যা ঘটছে, তার জন্য একক ভাবে নুপূর শর্মা দায়ী। একটি টেলিভিশন চ্যানেলে নুপূর শর্মা একটি বিতর্কে অংশগ্রহণ করার সময় এমন একটি মন্তব্য করেন, যার জন্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার অভিযোগ ওঠে। ভারতীয় জনতা পার্টির এই নেত্রীকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালত শুক্রবার এই বিষয়ক একটি মামলায মত প্রকাশ করেছে যে, এটি শুধুমাত্র আলটপকা মন্তব্য, এমনটাই নয়, একটি মন্তব্যের জন্য গোটা দেশে আগুন লেগেছে, তিনি এই সব ঘটনার জন্য দায়ী।

    বিচারপতি সূর্যকান্ত শুক্রবার বলেন, ‘‘আমরা ওই বিতর্কসভাটি দেখেছি। যে ভাবে তিনি কথাগুলো বলেছেন, তা-ও দেখেছি। আপনি নিজে এক জন আইনজীবী হয়ে যা করেছেন, তা লজ্জার। আপনার উচিত সারা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া।’’

    আরও পড়ুন: বিজেপি কেন একনাথ শিন্ডের হাতে মহারাষ্ট্রের রাশ ছাড়ল?

    আদালতের মন্তব্য, উনি যে ভাবে গোটা দেশে আবেগকে উস্কে দিয়েছেন, তাতে উনিই একক ভাবে যা ঘটছে তার জন্য দায়ী। ক্ষমা চাওয়া ও মন্তব্য ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, এখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে, আর মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে লাভ নেই। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু ওঁকে এখনও পর্যন্ত ছুঁয়েও দেখেনি দিল্লি পুলিশ। আদালতের আরও মন্তব্য শর্মা এই অনৈতিক মন্তব্য করেছেন, কারণ ক্ষমতার দম্ভ তাঁর মাথায় প্রবেশ করেছে।

    সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি পুলিশকেও ভর্ৎসনা করেছে। নূপুরের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ার সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তর করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন নূপুর। তাঁর আইনজীবী বলেন, নূপুরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘তিনি হুমকির মুখে পড়ছেন, না কি তিনিই নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছেন! তিনি দেশে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করেছেন। আজ গোটা দেশে যা চলছে, তার পিছনে দায়ী এই মহিলা।’’

  • Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদ (Eid) ও অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya) আগের দিন দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে (communal clash) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুর (Jodhpur)। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যোধপুরের জালোরি গেট (Jalori gate) এলাকা। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কিছু সাংবাদিকও।     

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এই ঘটনায় পুলিশকে ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তিনি বলেন, “ধর্ম, বর্ণ বা শ্রেণি নির্বিশেষে ঘটনায় জড়িতদের রেয়াত করা হবে না।” আর তার বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার জন্য বিজেপিকেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।    

    পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। বেলা বাড়তেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে যোধপুর পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ইদের অনুষ্ঠান উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় শান্তি বজার রাখার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ১০টি পুলিশ থানা এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অঞ্চলের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।”   

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “যোধপুরের জালোরি গেট এলাকার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি এলাকার শান্তি বজায় রাখার জন্য তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।  

    অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য বর্তমান কংগ্রেস শাসিত প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া (Vasundhara Raje Scindia)। তিনি বলেন, কংগ্রেসের তোষণের নীতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) রাজস্থানের রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (Satish Poonia) এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রকে (Kalraj Mishra) চিঠি লিখেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

     

LinkedIn
Share