Tag: bjp

bjp

  • Dilip Ghosh: “খালি মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন…মানুষ কি বুঝতে পারে না!”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “খালি মোদিজীর টাকায় ফুটানি মারবেন…মানুষ কি বুঝতে পারে না!”, মমতাকে আক্রমণ দিলীপ ঘোষের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি কেন্দ্রের (central government) কাছে বিপুল বকেয়া টাকার (pending dues) হিসেব নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন (Nabanna) সভাঘর থেকে কেন্দ্রের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Modi) বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। এমনকী, রাজ্যের চিঠিতে কেন্দ্র  জবাব দিচ্ছে না অভিযোগ তুলে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন তিনি। এবার এই ইস্যুতেই তৃণমূল সুপ্রিমোকে পাল্টা বিঁধলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতার তোলা অভিযোগের একের পর এক জবাব দিলেন বিজেপি সাংসদ। বললেন, ‘‌রাজ্যের বকেয়া রয়েছে নাকি। দিল্লির কাছে আমিও জানতে চাইছি ৯৭ হাজার কোটি টাকার হিসেব এল কোথা থেকে? ৪৩ হাজার কোটি টাকা আমফান–সহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য তা বোঝা গেল৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে চড়ে যে খরচ করেছেন সেই খরচ দাবি করছেন। 

    অন্য রাজ্যের উদাহরণ দিয়ে বিজেপি নেতার  আরও কটাক্ষ, ‘পার্টির লোককে সরকারি পয়সায় পুষবেন আর সেই টাকা দিল্লি দেবে? অন্য রাজ্য কান্নাকাটি করে না। কেন টাকা নেই টাকা নেই বলে দাবি? খালি মোদিজির টাকায় ফুটানি মারবেন। আর দিল্লির প্রকল্প নিজের নামে চালাবেন। বাংলার মানুষ কি বুঝতে পারে না?’

     

     

     

  • Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীর দিন উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় কংগ্রেস জমানার তোষণের নীতিকেই মূল কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করল বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গত ৭০ বছরের তোষণের নীতি। 

    জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের ঘটনায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি সহ ১৩টি বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার নিন্দা করে একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, কংগ্রেস সহ বিরোধীদের একহাত নেয় বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র স্পষ্ট জানান, বিরোধীদের এই ‘পক্ষপাত রাজনীতি’ দেশের ক্ষতি করে চলেছে। তাঁর মতে, এই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে এবং তাতে কী বের হচ্ছে, তার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    একইসঙ্গে, যৌথ বিবৃতি পেশ করার জন্য কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন সম্বিত। বলেন, কয়েকজন রাজনৈতিক নেতানেত্রীর এহেন পক্ষপাতমূলক রাজনীতি দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। এতে দেশের আখেরে ক্ষতিই হচ্ছে। সম্বিতের প্রশ্ন, আজ সোনিয়া গান্ধি মতাদর্শের কথা বলছেন। প্রশ্ন হল, কোন মতাদর্শ আজকের এই ঘটনার জন্য দায়ী? বিজেপি মুখপাত্র বলেন, এর জন্য দায়ী একটাই মতাদর্শ যা, গত ৭০ বছর ধরে চলে আসছে। তা হল, তোষণের মতাদর্শ। তোষণের এই নীতি ও রাজনীতি ভীষণই দুর্ভাগ্যজনক।

    আবার দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তর মতে, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রোহিঙ্গারাই জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার জন্য দায়ী। এই নেতার অভিযোগ, আম আদমি পার্টি এদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, রেশন দেওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সুরক্ষাও প্রদান করছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি খণ্ডন করেছে আম আদমি পার্টি।

    এদিকে, জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘাত কড়া হাতে দমনের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা আশ্বাস দেন, কোনও রকম প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই নেই। একেবারে নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে। ১৪টি টিম ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি জানিয়েছেন, জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যাঁরা অশান্তি পাকিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও রকম রেয়াত করা হবে না।

  • BJP Parliamentary Board: বিজেপিতে বদল! তৈরি হল নয়া সংসদীয় বোর্ড, বাদ পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, শিবরাজ সিং চৌহান

    BJP Parliamentary Board: বিজেপিতে বদল! তৈরি হল নয়া সংসদীয় বোর্ড, বাদ পড়লেন নিতিন গড়কড়ি, শিবরাজ সিং চৌহান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় সড় সাংগঠনিক রদবদল ঘটল ভারতীয় জনতা পার্টিতে (BJP)। বুধবার (১৭ অগাস্ট), ১১ সদস্যের নতুন সংসদীয় বোর্ড গঠন করল বিজেপি। বাদ দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি এবং মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে। ঠাঁই হয়নি যোগী আদিত্যনাথেরও। বোর্ডে নতুন জায়গা পেলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা এবং প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ইকবাল সিং লালপুরা। প্রসঙ্গত, এই সংসদীয় বোর্ডই বিজেপির সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। এছাড়া এদিন একটি নির্বাচনী কমিটিও তৈরি করা হয়েছে, তাতে মোট সদস্য রয়েছেন ১৫ জন। সেই সদস্য তালিকায় সংসদীয় বোর্ডের ১০ জন রয়েছেন, শুধু সেই কমিটির বিএল সন্তোষ নেই নির্বাচনী কমিটিতে। এ ছাড়াও রয়েছেন, ভুপেন্দ্র যাদব, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, ওম মাথুর, বিএল সন্তোষ, বনথী শ্রীনিবাস।

    বিজেপির আভ্যন্তরীণ গঠনতন্ত্রে সংসদীয় বোর্ডের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এই কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি শাসিত রাজ্যে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপির প্রধান কে হবেন। এই কমিটি অনেক সময়ই দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বা রাজ্য সভাপতিদের ডেকে পাঠায়, নানা নির্দেশও দিয়ে থাকে। এহেন কমিটি থেকে নিতিন গড়কড়ি ও শিবরাজ সিং চৌহানকে সরিয়ে দেওয়া যথেষ্টই চাঞ্চল্যকর পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। নিতিন গড়কড়ি মোদি মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তো বটেই, তাছাড়া তিনি দলের প্রাক্তন সভাপতিও।

    আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত, মত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    নয়া বোর্ডের নেতৃত্ব দেবেন দলের জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বোর্ড সচিব হয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। বোর্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এছাড়া ১১ সদস্যের এই বোর্ডে জায়গা পেয়েছেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ইকবাল সিং লালপুরা, প্রাক্তন সাংসদ সত্যনারায়ণ জটিয়া, বিজেপির জাতীয় ওবিসি মোর্চার সভাপতি কে লক্ষ্মণ এবং জাতীয় সম্পাদক সুধা যাদব।

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির নয়া সংসদীয় বোর্ডে সামাজিক ও আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়ানোর লক্ষ্যেই প্রয়োজনীয় রদবদল করা হয়েছে। যেমন, সংখ্যালঘু শিখ সম্প্রদায়ের প্রথম সদস্য হিসেবে বিজেপির এই সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তগ্রহণকারী বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হল ইকবাল সিং লালপুরাকে। রয়েছেন উত্তরপূর্ব ভারত (সোনোয়াল), দক্ষিণ ভারত (ইয়েদুরাপ্পা), তফসিলি উপজাতির (কে লক্ষ্মণ) প্রতিনিধিরাও।

  • Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    Dilip Attacks Partha: কার চক্রান্তের কথা বলছেন? পার্থকে নিশানা দিলীপের, আক্রমণ অর্পিতাকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee)। সম্প্রতি তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেছে তাঁর দল তৃণমূল (TMC)। পার্থের মাথার ওপর থেকে আশীর্বাদী হাত সরে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। আক্ষরিক অর্থেই একা হয়ে গিয়ে পার্থের দাবি, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই দাবিকেই হাতিয়ার করেছেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর প্রশ্নবাণ, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন?

    এসএসসি দুর্নীতিকান্ডে তদন্তে নেমে কেঁচো নয়, কেউটের সন্ধান পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। পার্থ ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জনৈক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রাশি রাশি টাকা। হাইকোর্টের নিয়ম মেনে এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ অর্পিতাকে। সেখানেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্পিতা। আর পার্থ দাবি করেন তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। পার্থের এই ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’কেই অস্ত্র করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর প্রশ্ন, পার্থবাবু কার চক্রান্তের কথা বলছেন? দিলীপ বলেন, উনি কোনও সাধারণ মানুষ নন। ওনার দায়িত্ব লোকের সামনে নিয়ে আসা। উনি মন্ত্রী, এত বড় নেতা, পুরানো রাজনীতিবিদ। তাই লোকে ওনাকে এত টাকা দিয়েছিল। তিনি বলেন, মানুষের বিশ্বাসটাকে রেখে বাংলার রাজনীতি যাতে কলুষমুক্ত হয়, সেজন্যও অন্তত ওনার বলা উচিত কারা চক্রান্ত করছে। এখন ফেঁসে গিয়েছেন। সত্যি সত্যিই কেউ চক্রান্ত করে থাকলে বলা উচিত।

    আরও পড়ুন : বেনামি ফ্ল্যাটের ‘মালকিন’ অর্পিতা, ভিজিটরদের নাম-ধাম জানতে কেন নিষেধ ছিল নিরাপত্তাকর্মীদের?

    এদিন অর্পিতাকেও নিশানা করেছেন দিলীপ। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, উনিও ঘর থেকে বেরনোর সময় বলেছিলেন বিজেপির চক্রান্ত। কান্নাকাটি করে তো আর বাঁচা যাবে না। তাহলে হয়তো লঘু হতে পারে সাজা। নইলে আরও কঠোর সাজা হবে। তিনি বলেন, উনি কান্নাকাটি না করে সত্য সামনে নিয়ে আসুন।

    এদিন তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, তৃণমূলের ভোটার, সমর্থকরা সৎ। তাঁদের সততা, আন্তরিকতাকে ব্যবহার করে তৃণমূলের নেতারা ধনকুবেরে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলার মানুষ নতুন চেহারা দেখছেন তৃণমূলের। সবে তো শুরু হয়েছে, এখনও অনেক বাকি রয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থকে সরালেও এখনও কেন বহাল পরেশ? মমতাকে আক্রমণ বিজেপির

    বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, কে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই নামটা ওঁর নির্দিষ্ট করে বলা উচিত। কারণ বাংলার মানুষ গভীরতম ষড়যন্ত্রের শিকার। বাংলার মানসম্মান নষ্ট হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলা উচিত কে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। না হলে একথা বলার কোনও মানে হয় না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, চক্রান্ত হলে আইনের পথ খোলা রয়েছে।

     

  • Presdential Elections: রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    Presdential Elections: রাষ্ট্রপতি পদে সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব নাড্ডা, রাজনাথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presdential polls)। শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই ব্যস্ততা তুঙ্গে।এমতাবস্থায় সর্বসম্মত প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর জোর দিচ্ছে বিজেপি। সেই কারণে বিজেপির তরফে এনডিএ, ইউপিএ এবং নির্দলদের সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (jp nadda) এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে (Rajnath singh)।

    ভারতে রাষ্ট্রপতি পদটি আলঙ্কারিক। রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। আমেরিকায় জনগণই ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন। আর ভারতে জনগণের হয়ে ভোট দেন বিধায়ক, সাংসদরা। তাই রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চাইছেন না পদ্ম নেতৃত্ব। বরং তাঁরা চাইছেন, রাষ্ট্রপতি মনোনীত হোন ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে। সেই জন্যই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নাড্ডা এবং রাজনাথকে। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং বলেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করতে এনডিএ, ইউপিএ এবং নির্দলদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?

    ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পদে রামনাথ কোবিন্দ বসার আগেও বিজেপির তরফে বিরোধীদের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য গঠন করা হয়েছিল দুজনের কমিটি। সেবার অবশ্য ঐক্যমত্য হয়নি। কোবিন্দকে সমর্থন করেছিল ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজু জনতা দল। ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়ে রাইসিনা হিলসে যান কোবিন্দ। এবার বিজেপির তরফে আসরে নামানো হয়েছে বেঙ্কাইয়া ও রাজনাথকে। কোবিন্দের ক্ষেত্রে না হলেও, হয়েছিল আবদুল কালামের ক্ষেত্রে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি পদ অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি।  

    এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট হতেই কোমর কষে পথে নেমে পড়েছে বিজেপি। তবে বিরোধীরা এখনও ছন্নছাড়া। ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধী জোটের বৈঠক করতে বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলকে চিঠি দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকেই বিরোধীদের তরফে একজনকে দাঁড় করনোর চেষ্টা হতে পারে রাষ্ট্রপতি পদে।

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে ভোট রয়েছে ৪৮.৯ শতাংশ। আর সম্মিলিত বিরোধী জোটের ঝুলিতে রয়েছে ৫১.১ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ বিজেপি এবং বিরোধীদের ভোটের ব্যবধান ২.২ শতাংশের মতো।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    সূত্রের খবর, গতবারের মতো এবারও বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন জানাতে পারে ওড়িশার বিজেডি এবং অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসআর কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসের প্রথম দিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তবে নীতিশের দল কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জানা যায়নি। স্বভাবতই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা শাসক বিরোধী দুই শিবিরেই।

     

  • Uniform Civil Code: এবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর পথে যোগী-রাজ্যও? ইঙ্গিত কেশব মৌর্যর সুরে

    Uniform Civil Code: এবার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর পথে যোগী-রাজ্যও? ইঙ্গিত কেশব মৌর্যর সুরে

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের পর এবার উত্তরপ্রদেশেও (Uttar Pradesh) ইউনিফর্ম সিভিল কোড  (Uniform Civil Code) বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার পথে বিজেপি (BJP)। অন্তত এমনই ইঙ্গিত দিলেন দেশের যোগী আদিত্যনাথের (Yogi) ডেপুটি কেশবপ্রসাদ মৌর্য (Keshav Prasad Maurya)। উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দরকার পড়লে আমরাও সেটা চালু করার চেষ্টা করব।

    উত্তরাখণ্ডে ভোটের আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে সে রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে এলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী (Pushkar Dhami)। বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই বিল আনার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ধামী সরকার। কোনও রাজ্য সরকার এভাবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করতে পারে কিনা, সেটা নিয়ে আইনি পরামর্শও নেওয়া শুরু করে ফেলেছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি (BJP) সরকার।

    এবার, উত্তরপ্রদেশও আগামী দিনে উত্তরাখণ্ডের দেখানো পথে হাঁটতে পারে। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সেরাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য। তিনি জানিয়েছেন,”প্রত্যেকের উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা চাওয়া এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধির উদ্যোগকে সমর্থন করা। উত্তরপ্রদেশ সরকারও সেই দিশাতেই এগোচ্ছে।” মৌর্যর সাফ কথা, উত্তরপ্রদেশ এবং গোটা দেশের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ভীষণ জরুরি। তাছাড়া এটা আমাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও।

    সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনার জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করাটা দলের দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। সেই লক্ষ্যে প্রথম ধাপে দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে প্রথমে ওই আইন পাশ হবে।

     

  • PM Modi: কার্বি আংলং নির্বাচনে জয় ‘ঐতিহাসিক’, দলের প্রশংসায় মোদি

    PM Modi: কার্বি আংলং নির্বাচনে জয় ‘ঐতিহাসিক’, দলের প্রশংসায় মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার জয়জয়কার বিজেপি (Bjp)। আসামের (Assam) কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের (Kaac) ২৬টি আসনেই জয়ী হল বিজেপি। এই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেসও। তবে করুণ দশা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির। একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল। বিপুল জয়ে খুশি খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দলীয় কর্মীদের প্রশংসার সুর তাঁর গলায়। তাঁর কথায়, কার্বি আলংয়ের ফল ‘ঐতিহাসিক’।

    চলতি মাসের ৮ তারিখে ভোট হয় আসামের কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের। আসন ২৬টি। সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি এবং কংগ্রেস। ফল বেরলে দেখা যায়, ওই ভোটে ছক্কা হাঁকিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। মুখ থুবড়ে পড়েছে কংগ্রেস। একটি আসনেও জয় পায়নি তারা।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ১৬-র মধ্যে ৮ আসনে জয়ী বিজেপি

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও দলের আসাম ইনচার্জ বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা জানান, বিজেপি ২৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ২৬টি আসনেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও হিমন্ত বিশ্বশর্মার নেতৃত্বে এটা আমাদের বড় জয়। ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল সভাপতি প্রমোদ বোরো জানান, কার্বি আংলংয়ের বাসিন্দারা ফের বিজেপির ওপর আস্থা রাখলেন।

    একাধিক ট্যুইটে আসামের বিজেপি নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। ট্যুইট করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। ট্যুইটে তিনি লেখেন, কার্বি আংলং অটোনোমাস কাউন্সিলের ভোটে ফের বিজেপিকে ঐতিহাসিকভাবে জয়ী করার জন্য আমি জনতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পুরসভা নির্বাচন ও জিএমসি ভোটে জয়ী হওয়ার পরে এই ভোটে বিপুল জয় বাস্তবিকই নরেন্দ্র মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশের ওপর আস্থা রাখারই প্রতিফলন।    

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র    

    আসামে বিজেপির এই জয়ে খুশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, কার্বি আংলংয়ের ফল ঐতিহাসিক। বিজেপির ওপর ধারাবাহিকভাবে আস্থা রাখায় জনগণকে ধন্যবাদ। আসামের উন্নতিতে আমরা কাজ করব বলেও আশ্বস্ত করছি। বিজেপির কার্যকর্তাদের চেষ্টা উল্লেখযোগ্য। তাঁদের কুর্নিস জানাই।

     

     

  • Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    Jahangirpuri violence: “৭০ বছরের তোষণের ফল”, দিল্লি হিংসা নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হনুমান জয়ন্তীর দিন উত্তর-পশ্চিম দিল্লিতে ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় কংগ্রেস জমানার তোষণের নীতিকেই মূল কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করল বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে গত ৭০ বছরের তোষণের নীতি। 

    জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের ঘটনায় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি সহ ১৩টি বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার নিন্দা করে একটি যৌথ বিবৃতি পেশ করা হয়। এর প্রতিক্রিয়ায়, কংগ্রেস সহ বিরোধীদের একহাত নেয় বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র স্পষ্ট জানান, বিরোধীদের এই ‘পক্ষপাত রাজনীতি’ দেশের ক্ষতি করে চলেছে। তাঁর মতে, এই ঘটনার তদন্ত হচ্ছে এবং তাতে কী বের হচ্ছে, তার জন্য অপেক্ষা করা উচিত। 

    একইসঙ্গে, যৌথ বিবৃতি পেশ করার জন্য কংগ্রেস সহ বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন সম্বিত। বলেন, কয়েকজন রাজনৈতিক নেতানেত্রীর এহেন পক্ষপাতমূলক রাজনীতি দেশের জন্য উপযুক্ত নয়। এতে দেশের আখেরে ক্ষতিই হচ্ছে। সম্বিতের প্রশ্ন, আজ সোনিয়া গান্ধি মতাদর্শের কথা বলছেন। প্রশ্ন হল, কোন মতাদর্শ আজকের এই ঘটনার জন্য দায়ী? বিজেপি মুখপাত্র বলেন, এর জন্য দায়ী একটাই মতাদর্শ যা, গত ৭০ বছর ধরে চলে আসছে। তা হল, তোষণের মতাদর্শ। তোষণের এই নীতি ও রাজনীতি ভীষণই দুর্ভাগ্যজনক।

    আবার দিল্লি বিজেপির সভাপতি আদেশ গুপ্তর মতে, অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং রোহিঙ্গারাই জাহাঙ্গিরপুরীর হিংসার জন্য দায়ী। এই নেতার অভিযোগ, আম আদমি পার্টি এদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, জল, রেশন দেওয়া থেকে শুরু করে রাজনৈতিক সুরক্ষাও প্রদান করছে। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি খণ্ডন করেছে আম আদমি পার্টি।

    এদিকে, জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘাত কড়া হাতে দমনের নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাকেশ আস্থানা আশ্বাস দেন, কোনও রকম প্রভাব খাটানোর প্রশ্নই নেই। একেবারে নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে। ১৪টি টিম ঘটনার তদন্ত করছে। তিনি জানিয়েছেন, জাহাঙ্গিরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর দিন যাঁরা অশান্তি পাকিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। কোনও রকম রেয়াত করা হবে না।

  • Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রল, ডিজেলের দাম (Petrol Diesel Prices) কমানো নিয়ে এবার রাজ্য সরকারের ওপর পালটা চাপ দিল বিজেপি (BJP)। ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্য জ্বালানির দামে করছাড় ঘোষণা না করলে নবান্ন  (Nabanna) অভিযানের হুঁশিয়ারি দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    গত ২১ মে দেশজুড়ে পেট্রল ও ডিজেলের করে ছাড় ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Govt)। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) জানান, পেট্রলে লিটারে প্রায় ১০ টাকা ও ডিজেলে লিটারে প্রায় ৭ টাকা কর কমাতে চলেছে কেন্দ্র। পর দিন থেকে লাগু হয় নতুন দাম। 

    কিন্তু তার পরও করছাড় ঘোষণা করেনি রাজ্য। উলটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, দেশের অবিজেপি সরকারগুলির মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলে সব থেকে বেশি করছাড়া দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

    রাজ্যের শাসক দলের এই দাবি বৃহস্পতিবার নস্যাৎ করে দেয় বিজেপি। বিজেপির দাবি, ইতিমধ্যে পেট্রল-ডিজেলে কর কমিয়ে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু রাজ্য সরকার তার ভূমিকা পালন করছে না। তিনি জানিয়ে দেন, রাজ্য কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও করবে বিজেপি।

    জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?

    সুকান্তর মতে, জিএসটি (GST) সমেত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে রাজ্যের সব বকেয়া পাওনা মঙ্গলবারই মিটিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পশ্চিমবঙ্গ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। এবার পেট্রল-ডিজেলের উপর থেকে কর কমাক তৃণমূল সরকার।

    এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’

    জ্বানানি ইস্যুর পাশাপাশি, রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ দিতে হবে। 

    স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও অভিযোগ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বর্তমানে ব্যর্থসাথীতে পরিণত হয়েছে। রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত আসতে বাধ্য হবে।

    “ফের বাংলার মানুষকে বোকা বানালেন মুখ্যমন্ত্রী!” কী প্রসঙ্গে বললেন সুকান্ত?

  • Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    Sukanta Majumdar: “ব্যর্থ সাথী বলা উচিত!”, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে কটাক্ষ রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্র একের পর এক প্রকল্প চালু করছে। উপকৃত হচ্ছেন সারা দেশের মানুষ। কিন্তু বিরোধিতার জন্যই শুধু বিরোধিতা করে যাচ্ছে মমতার (Mamata) সরকার। কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে নিজেদের নাম দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আবার কখনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (Central projects) বিরুদ্ধেই বিষোদগার করছে। যার ফলে, বঞ্চিত হচ্ছেন এরাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ। যুক্তি দিয়ে এভাবেই তৃণমূল (TMC) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    রাজ্যের ভ্রান্ত সমালোচনার বিরুদ্ধাচরণ করা থেকে জনগণের কল্যাণে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি চালু করার দাবি— এদিন একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার জানান, আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Bharat) প্রকল্পকে মেনে নিতে বাধ্য হবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের প্রকল্প চালু না হওয়ায় মানুষ বিরক্ত। পশ্চিমবঙ্গে ৩ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান প্রকল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু রাজ্যের বাধায় তা কাজে আসেনি। এরাজ্যের সরকার আজ না হয় কাল এই প্রকল্পে যোগদান দিতে বাধ্য হবে বলেই মত তাঁর। এর পিছনে যুক্তিও দেন তিনি। সাম্প্রতিক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিতে চেয়ে তিনি বলেন, “মানুষ স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) কার্ড নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছে। কিন্তু চিকিৎসা না পেয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এই বিল নিয়ে বিধানসভায় বিতর্কও হতে দিচ্ছে না।” একে স্বাস্থ্যসাথী না বলে অস্বাস্থ্য সাথী বা ব্যর্থ সাথী বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

    এই কার্ড নিয়ে হাজার হাজার মানুষ যেভাবে নাজেহাল হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে ভাবে ফুঁসে উঠছেন, তার জন্য সরকারি দিশাহীনতাকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, কেন্দ্রের বিরোধিতা করার মানসিকতা থেকে রাজ্যের মানুষকেই দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিন বাধ্য হয়েই কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্পকে মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে বাধ্য হবেন বলেও তোপ দাগেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “১৫ দিনে জ্বালানি কর না কমালে নবান্ন ঘেরাও”, হুঁশিয়ারি বিজেপির

    এর পাশাপাশি, মনে করিয়ে দেন রাজ্য সরকারের ১১ হাজার স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগ নিয়ে। তিনি জানান, কেন্দ্র গোটা দেশজুড়েই আয়ুষ্মান ভারত ওয়েলনেস সেন্টার (Ayushman Bharat Wellness Centre) খুলছে। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে রাজি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গও। কিন্তু এখানেও কোন অভিসন্ধি নিয়ে তৃণমূল সরকার হাঁটতে চলেছে তা প্রকাশ্যে এনেছেন সুকান্ত। প্রকল্পটির নাম বদলে রাজ্য নাম দিয়েছে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এর পিছনে আর এক কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছে বিজেপি। তাই তারাও সতর্ক থাকছে। দুর্নীতি রুখতে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। দরকারে খোলা রাখা হচ্ছে সিবিআইয়ের (CBI) কাছে যাওয়ার রাস্তা। কেন্দ্রকেও অনুরোধ করা হয়েছে গোটা বিষয়টির প্রতি কড়া নজর রাখতে। 

    এরই পাশাপাশি জ্বালানি ইস্যু নিয়েও রাজ্য সরকারকে বেঁধেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজ্যকে ১৫ দিন সময় দিচ্ছি। এই ১৫ দিনের মধ্যে পেট্রল-ডিজেলের ওপর কর (Fuel cess) কমাতে হবে। পেট্রলে ৫ টাকা ও ডিজেলে ১০ টাকা দাম না কমালে আমরা আমাদের নবান্ন (Nabanna) অভিযান কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করব।’ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়েও এদিন মুখ খোলেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA) দিতে হবে।

LinkedIn
Share