Tag: bjp

bjp

  • BJP: ‘বন্ধ রেখে ঘরের আলো, রাজ্যজুড়ে প্রদীপ জ্বালো’, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সমর্থন বিজেপির

    BJP: ‘বন্ধ রেখে ঘরের আলো, রাজ্যজুড়ে প্রদীপ জ্বালো’, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন সমর্থন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape Murder) প্রতিবাদে আজ বুধবার জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিনব আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের ফোরামের পক্ষ থেকে রাত ন’টা থেকে দশটা পর্যন্ত ঘরের আলো বন্ধ রেখে (Turn Off Lights) প্রদীপর জ্বালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিচার পেতে আলোর পথে’। এই কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি (BJP)। 

    ডাক্তারদের কর্মসূচিকে সমর্থন সুকান্ত-শুভেন্দুর

    চিকিৎসক সংগঠনের এই কর্মসূচিকে সামনে রেখে নতুন স্লোগান বাঁধলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, ‘‘বন্ধ রেখে ঘরের আলো- রাজ্যজুড়ে প্রদীপ জ্বালো।’’ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্মতলায় বিজেপির (BJP) ধর্না মঞ্চে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই আজ বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের এই অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে সকলকে অংশ নেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) কথায়, ‘‘এই আন্দোলনে আমাদের সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। রাজনীতির বাইরে থেকেই আমরা চাই, গোটা রাজ্যে বুধবার রাতের এক ঘণ্টা আলো নেভানো থাকুক। জ্বলুক আশার প্রদীপ।’’ 

    ২৯টি জায়গায় হবে রাত দখলের কর্মসূচিও (BJP)

    আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ৫ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Rape Murder) শুনানি রয়েছে। তার আগে এই কর্মসূচির ডাক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল (BJP)। প্রসঙ্গত, আজ বুধবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আলো নিভিয়ে প্রদীপ জ্বালানোর (Turn Off Lights) কর্মসূচি যেমন চলবে তেমনই রাজ্যের মোট ২৯টি জায়গায় রাত দখলের ডাকও দিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাত্রি ১১টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।

    সুপ্রিম শুনানি শোনা হবে জায়ান্ট স্ক্রিনে

    প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Rape Murder) ন্যায় বিচারের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয় তাতেই উত্তাল হয়ে ওঠে সারা রাজ্য। দিকে দিকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ কর্মবিরতি চলতে থাকে। এই ডাক্তারদের আন্দোলনের মূল ভরকেন্দ্র হয়ে ওঠে আরজি কর। সেখানে রাত দখলে রাতে ১৪ অগাস্ট ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীদের বড় দল। এরপর ফের প্রশ্নের মুখে ওঠে আরজি করের নিরাপত্তা। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, বড় জায়েন্ট স্ক্রিন লাগানো হবে আরজি করে। সেখানেই লাইভ শোনা হবে আরজি করের (RG Kar Rape Murder) শুনানি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম শুনানির পরে জুনিয়র ডাক্তারদের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক হবে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ধর্ষণে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি, সুকান্তের নেতৃত্বে বিক্ষোভে ধুন্ধুমার

    Sukanta Majumdar: ধর্ষণে অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি, সুকান্তের নেতৃত্বে বিক্ষোভে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারিতে আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টায় অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছে বিজেপি। আরজি করে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও অভিযান কর্মসূচি ছিল। সেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় বালুরঘাটে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে জেলা প্রশাসনিক ভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে।

    মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার (Sukanta Majumdar)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) নেতৃত্বে এদিন বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। বিজেপি কর্মীরা মিছিল করে এগোলে পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁদের বাধা দেয়। সেই ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল এগিয়ে যায়। একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। তাতে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতিবাদ সভাও হয়েছে। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ একা নন, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, ২ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীও

    ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে গেলে আমাদের পুলিশ আটকে দেয়। আমাদের কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে দিয়েছে। কর্মীদের না আটকালে আরও বড় গন্ডগোলে পরিণত হত। আমরা কোনও গন্ডগোল চাই না। গোটা রাজ্য জুড়ে আরজি কর শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের সব জায়গায় মহিলারা ধর্ষিত হচ্ছে। আমরা বংশীহারীর ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিতে এই বিক্ষোভ করলাম।”

    বিধানসভায় আনা বিল নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    বিধানসভায় ধর্ষণ মামলায় মৃত্যুর বিল নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই বিল লোক দেখানো বিল। আমরা এই বিল সমর্থন করেছি। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খোলার জন্য। একইসঙ্গে আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান সুকান্ত। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাতে আদিবাসী ওই স্কুল ছাত্রীর ঘরে ঢুকে পড়ে অভিযুক্ত। মেয়েটির পাশের ঘরে তার বাবা মা ঘুমোচ্ছিল। সেই সময় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

    প্রমাণ না রাখার জন্য অভিযুক্ত প্যান্টের দড়ি দিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টাও করে বলেও দাবি নির্যাতিতার পরিবারের। মেয়েটির গলায় দাগ রয়েছে। তবে মেয়েটির চিৎকারে ছুটে আসে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। অবস্থা বেগতিক দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। রাতেই নির্যাতিতাকে গঙ্গারামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ। সেই অভিযুক্তর ফাঁসির দাবিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও কর্মসূচি করে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: লক্ষ্য ১০ কোটি, দেশ জুড়ে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা নরেন্দ্র মোদির

    Narendra Modi: লক্ষ্য ১০ কোটি, দেশ জুড়ে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা নরেন্দ্র মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশ জুড়ে বিজেপির (BJP) সদস্য সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করে বলেন, “এই সদস্য অভিযানের লক্ষ্য মাত্রা হবে ১০ কোটি।” উল্লেখ্য, হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে। এই সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। ঠিক এই আবহের মধ্যেই শুরু হল সদস্য গ্রহণ অভিযান। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, লোকসভার পর এই অভিযানে সংগঠন শক্তিশালী হবে এবং আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।   

    দলকে আরও শক্তিশালী করতে সদস্য গ্রহণ (BJP)

    প্রায় তিন বছর পর দিল্লিতে ফের সদস্য গ্রহণ পর্ব শুরু করলেন মোদি (Narendra Modi)। এদিন বিজেপি সদর দফতর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচির সূচনা হয়। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার থেকে নিজের সদস্যপদ পুনর্নবীকরণ করেছেন নরেন্দ্র মোদি। এদিনের এই কর্মকাণ্ডে ছিলেন দলের দুই প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ এবং রাজনাথ সিং। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্প্রতি লোকসভার পর দলের (BJP) সাংগঠনিক শক্তিকে আরও বৃদ্ধি করতে এই অভিযান নেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযান অনলাইনের মাধ্যমে যেমন হবে, তেমনি প্রত্যেক শহর ও গ্রামে গ্রামে বিজেপি কর্মীদের কাছে পৌঁছে গিয়ে কর্মসূচিকে বাস্তবায়নের জন্য আহ্বান করা হবে। একই ভাবে দেশের তরুণ-যুব সম্প্রদায়কে যুক্ত করার জন্য বিশেষ ভাবে আবেদন করা হয়েছে। দলের ইতিহাসকে তুলে ধরে অমিত শাহ বলেন, “১৯৮০ থেকে বিজেপি দেশ জুড়ে কাজ করে চলেছে। দলের সদস্যপদ গ্রহণ এবং প্রচারকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে প্রধানমন্ত্রী মোদির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দলের সাংগঠনিক কাঠামো উল্লেখযোগ্যভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছে।”

    নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে সদস্য গ্রহণের পর

    দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও প্রধানমন্ত্রী মোদির বিশ্বাসযোগ্যতা এবং প্রচারাভিযানে প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দল হিসেবে বিজেপির মনোযোগ নিছক সরকার গঠন নয়। দেশ-রাষ্ট্রকে বিকশিত করতে সমাজকে গড়া একান্ত প্রয়োজন। উন্নত ভারত, বিকশিত ভারত হল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আগামী দিনে আমরা সেই কাজে বদ্ধ পরিকর।” জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে তিন সপ্তাহ আগেই। এই বছরেই মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহ এবং নাড্ডা আশা করে বলেছেন, এবার দেশ জুড়ে ১০ কোটির বেশি সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। উল্লেখ্য গত জুন মাসে সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হয়েছে জেপি নাড্ডার। বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক রাজ্যে দলের সাংগঠনিক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সংবিধান অনুযায়ী, নতুন সভাপতি নির্বাচন করা হবে। তবে সবটাই সদস্য (BJP) গ্রহণের পর সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ সেনাবাহিনীর ১০টি ক্যান্টনমেন্টকে স্থানীয় সংস্থার হাতে দিচ্ছে কেন্দ্র

    কীভাবে সদস্য পদ গ্রহণ করবেন?

    নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে সদস্য পদ (BJP) গ্রহণ করতে পারেন—

    ১>যোগ্যতা: যে কেউ বিজেপির সদস্য হতে পারেন।

    ২>মিসড কলের মাধ্যমে যোগ দিন: শুধু ৮৮০০০০২০২৪ নম্বরে একটি মিসড কল দিন। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi), রাজনাথ সিং এবং অমিত শাহের মতো নেতারা যোগ দিয়েছেন।

    ৩>অনলাইন তালিকাভুক্তি: আপনি বিজেপি পোর্টালের মাধ্যমেও যোগ দিতে পারেন। ‘বিজেপিতে যোগ দিন’ বিভাগে যান, আপনার ব্যক্তিগত এবং যোগাযোগের বিবরণ পূরণ করুন এবং আপনার সদস্যতা শংসাপত্র ডাউনলোড করুন।

    ৪>বাড়ি বাড়ি গিয়ে নথিভুক্তি: বিজেপি কর্মীরা সদস্যপদ নিবন্ধনে সহায়তা করার জন্য বাড়ি বাড়ি ঘুরে দেখবেন।

    ৫>কর্মীদের মাধ্যমে সহায়তা: আপনি বিজেপি কর্মীদের সাহায্যেও নাম নথিভুক্ত করতে পারেন।

    ৬>কোনও খরচ নেই: মিসড কলের মাধ্যমে সদস্যপদ বিনামূল্যে নিতে পারেন।

         

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: পরিস্থিতি বেগতিক, স্কুল পড়ুয়াদের আন্দোলন ভাঙতে ‘ঘুষ’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার মমতার

    RG Kar: পরিস্থিতি বেগতিক, স্কুল পড়ুয়াদের আন্দোলন ভাঙতে ‘ঘুষ’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর আন্দোলনে (RG Kar) উত্তাল রাজ্য। জেলায় জেলায় স্কুলপড়ুয়াদের মিছিলে ভীত রাজ্য সরকার আন্দোলন বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে বাধ্য হয়। কিন্তু তাতে কী? নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! চলতে থাকে আন্দোলন। হাওড়ার তিন স্কুলকে শো-কজও করে রাজ্য। তাতেও আন্দোলন থামেনি। তাই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পড়ুয়াদের বাগে আনতে সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের শিক্ষক দিবসেই ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করে মমতা সরকার (Nabanna)। নবান্ন (Nabanna) সূত্রে জানানো হয়, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান হবে। সেখানে তিনি কিছু ছাত্রছাত্রীর হাতে প্রতীকী অর্থ তুলে দেবেন। আর ওই দিনই রাজ্য সরকার উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব বা মোবাইল কেনার অর্থ বাবদ ১০ হাজার টাকা পাঠাবে।

    অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল

    কিন্তু পিছু হটতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এভাবে যে পড়ুয়াদের আন্দোলন (RG Kar) কেনা যাবে না, তা বুঝে যেতেই অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল করল তৃণমূল সরকার। মমতা সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তোপ দেগেছে রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতা তথা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এটা আসলে ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুষ দেওয়া হচ্ছিল। সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে। কারণ তিনি বুঝে গিয়েছেন, ঘুষ দিয়ে আন্দোলনের (RG Kar) আগুন নেভানো যাবে না।

    কী লিখলেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়?

    মঙ্গলবার সকালে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সমাজ মাধ্যমের পাতায় বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘‘আবার পিছু হঠলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে সারা রাজ্যে স্কুল পডুয়াদের মধ্যে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, প্রাক্তনীরা ভয় ভেঙে মাঠে রয়েছেন। আন্দোলন চালাচ্ছেন। তাঁদের বাঙালি সমাজের কাছে প্রশ্ন, আর কবে চিত্ত স্বাধীন হবে। ভয় পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও। স্কুল পডুয়াদের আন্দোলন ভাঙার জন্য ঘুষ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন বেলা ১২টায় ১৩ লক্ষ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ দেওয়ার কথা ছিল। খরচ হত ১৩০০ কোটির বেশি। তার জন্য বাজার থেকে ৩০০০ কোটি টাকা ঋণও নিয়েছে নবান্ন। কিন্তু আন্দোলনের আগুন নেভানো যাবে না, মুখ্যমন্ত্রী তা বুঝে গিয়েছেন। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের ঘুষ (RG Kar) দেওয়ার ১৩০০ কোটি টাকার অ্যালটমেন্ট অর্ডার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।’’

    মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় সময়ের অপেক্ষা (RG Kar)

    আরজি কর আন্দোলনে অনেকটাই কোণঠাসা শাসক। হাইকোর্ট থেকে শীর্ষ আদালত, সর্বত্র মুখ পুড়েছে মমতা সরকারের। পথে নেমেছে নাগরিক সমাজ। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর পরাজয় যে সময়ের অপেক্ষা, তাও নিজের পোস্টে লিখেছেন জগন্নাথ। বিজেপির এই রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘পিছু হঠেছে সরকার। কবে ফের এই ঘুষ দেওয়া হবে, তাও কিছু জানানো হয়নি। তরুণের স্বপ্ন আপাতত দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। হারবেন মুখ্যমন্ত্রী, আপনি হারবেন। আপনাকে আমরা হারাবোই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch behar: জেলাশাসকের অফিস ঘেরাওকে ঘিরে তুলকালাম, গ্রেফতার নিশীথ

    Cooch behar: জেলাশাসকের অফিস ঘেরাওকে ঘিরে তুলকালাম, গ্রেফতার নিশীথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে বিজেপির জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গ্রেফতার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। সোমবার বিজেপির জেলা কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধুন্ধুমারকাণ্ড বাঁধে। জেলাশাসকের ঢিল ছোড়া দূরত্বে কোচবিহারের (Cooch behar) সাগরদিঘি এলাকায় বিজেপির মিছিল আটকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক লাঠিচার্জও করে পুলিশ। আনা হয় জলকামানও। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত নিশীথ-সহ মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১৫ জন পুরুষ, সাতজন মহিলা বিজেপি কর্মী।

    পুলিশের লাঠিচার্জ (Cooch behar)

    ন্যায় বিচারের দাবিতে এদিন দুপুর দুটো নাগাদ প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের নেতৃত্বে মিছিল এগোতে থাকে জেলাশাসকের দফতরের দিকে। মিছিলে ছিলেন জেলা (Cooch behar) বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায়, বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী, মালতি রাভা প্রমুখ। বিজেপি কর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেডের দিকে এগিয়ে গিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেন। নিশীথ নিজের নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়েই ঘেরাও অভিযানে ছিলেন। মিছিলে বাধা দিলে পুলিশকর্তা ডিএসপি চন্দন দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা এবং আইসি তপন পালের সঙ্গে ব্যাপক কথা কাটাকাটি হয় নিশীথের। মুহূর্তেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি সংক্রান্ত স্লোগান দিতে দিতে বিজেপি কর্মীরা এগিয়ে গেলে পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে।

    আরও পড়ুনঃ নির্যাতিতার স্মরণে আলাদা শোকপ্রস্তাব পাঠ, বিধানসভায় মৌন-মিছিল বিজেপির

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন

    বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিক বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন। তাই পুলিশকে দিয়ে এই ধরনের কাজ করাচ্ছেন। আমার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীরা অত্যন্ত অভব্য আচরণ করেছেন। আমায় ধরে টানাটানি করা হয়। জেলা শাসকের দফতরের সামনে পুলিশ দিয়ে ঘিরে রাখা হয় আমাকে।” এরপর তাঁকে এসপি অফিসের (Cooch behar) সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনরোষ আটকাতে গিয়ে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে বেশ কিছু কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: নির্যাতিতার স্মরণে আলাদা শোকপ্রস্তাব পাঠ, বিধানসভায় মৌন-মিছিল বিজেপির

    BJP: নির্যাতিতার স্মরণে আলাদা শোকপ্রস্তাব পাঠ, বিধানসভায় মৌন-মিছিল বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজিরবিহীন! বিধানসভার ইতিহাসে বেনজির ঘটনা ঘটালেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা। সৌজন্য, আরজি করের ঘটনা (RG Kar incident)। অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরেও বিধানসভায় ঠায় বসে রইলেন তাঁরা। আলাদা করে পাঠ করলেন শোকপ্রস্তাব। নেতৃত্বে শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় এভাবেই পদ্ম শিবির স্মৃতি তর্পণ করলেন নির্যাতিতার। এর পর, বিধানসভা চত্বরে মোমবাতি হাতে করলেন মৌন-মিছিল।

    শুভেন্দুর অনুরোধ (BJP)

    আরজি করকাণ্ডের জেরে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন বসেছে আজ সোমবার থেকে। উদ্দেশ্য, ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করতে বিল পাশ করানো। নির্ধারিত সূচি মেনে অধিবেশন শুরু হয় দুপুর ২টো নাগাদ। অধিবেশনের শুরুতেই প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্য শোকপ্রস্তাব পাঠ করা হয়। সেই সময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অনুরোধ করেন, আরজি করের নির্যাতিতার জন্যও শোকপ্রস্তাব পাঠ করতে। শুভেন্দুর প্রস্তাবে আপত্তি জানান স্পিকার। জানিয়ে দেন, নির্যাতিতার নামোল্লেখ করার ক্ষেত্রে আইনি বাধা রয়েছে।

    পদ্মের প্রস্তাব পাঠ

    শুভেন্দু পরামর্শ দেন, ‘৯ অগাস্ট’ বা ‘ডাক্তার বোন’ এমন কিছু বলেও যদি শোকপ্রস্তাব পাঠ করা সম্ভব হয়। তাতেও সাড়া দেননি স্পিকার। এর পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন। একে একে বেরিয়ে যান বিধায়করা। অধিবেশন কক্ষে রয়ে যান পদ্ম বিধায়করা। শুভেন্দু নির্যাতিতার নামোল্লেখ না করেই শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন। তার পরেও প্রায় ১৫ মিনিট বিধানসভায় ঠায় বসেছিলেন পদ্ম বিধায়করা। এখানেই শেষ নয়। অধিবেশন কক্ষেই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন শুভেন্দু ও অন্য বিজেপি বিধায়কেরা। পরে কক্ষ থেকে বেরিয়ে বিধানসভার ইনার লবি সহ চারপাশে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি হাতে মৌনমিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। 

    আরও পড়ুন: “প্রস্তুত থাকুন…বিধানসভায় দেখা হবে”, মমতার উদ্দেশে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    শুভেন্দু (BJP) বলেন, “আমরা বলেছিলাম আইন মেনে প্রস্তাব পাঠ করুন। আমরা পরে পাঠ করেছি। আমরা হাতে আলো নিয়ে মৌন মিছিল করেছি।” তিনি বলেন, “আমি বলেছিলাম ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে নিহত কর্মরতা চিকিৎসকের কথা উল্লেখ করুন। কিন্তু স্পিকার তা প্রত্যাখান করেন। আমরা বুদ্ধবাবুকে সম্মান করি বলে প্রতিবাদ করে কিছু বলিনি। পরে আমরা আমাদের মতো করে প্রয়াত বোনকে সম্মান জানিয়েছি।” 

    প্রসঙ্গত, ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিল আনছে রাজ্য। মঙ্গলবার পেশ হবে ‘অপরাজিতা মহিলা ও শিশু (পশ্চিমবঙ্গ ফৌজদারি আইন সংশোধনী) বিল, ২০২৪।’ এদিনই বিলটি পাশ করিয়ে রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়ে দ্রুত আইনে পরিণত করতে চায় (BJP) রাজ্য সরকার (RG Kar incident)।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “এটা পশ্চিমবঙ্গ না মিনি পাকিস্তান?”, মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “এটা পশ্চিমবঙ্গ না মিনি পাকিস্তান?”, মমতাকে আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা পশ্চিমবঙ্গ না মিনি পাকিস্তান (Mini Pakistan)?”, ঠিক এই ভাষায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিউটাউনে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বড় অভিযোগ করলেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন সুকান্ত। একদিকে যখন আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য কলকাতার রাজপথ উত্তাল, তখন অপর দিকে খাস কলকাতার বুকে ঘটে চলেছে হত্যাকাণ্ড! প্রশাসনের কার্যকারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন (Sukanta Majumdar)!

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) নিজের এক্স হ্যান্ডলে বলেন, “এক ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হল। এতবড় অপরাধের পরেও খুনিরা এখনও অধরা। এই সরকার দুষ্কৃতীদের প্রশ্রয় দেয়। বাংলা যেন মিনি পাকিস্তানে (Mini Pakistan) পরিণত হয়েছে।”

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

    জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ইকো পার্কের কাছে শ্যুটআউট করে খুন করা হয় এক ব্যবসায়ীকে। মৃত ব্যবসায়ীর নাম নাসিরউদ্দিন খান। তিনি ভাঙড়ের (Mini Pakistan) ইট ব্যবসায়ী ছিলেন। রাত দশটার সময় বাইকে করে এসে খুব কাছ থেকে গুলি করে হামলা করা হয়। এরপর দুষ্কৃতীরা দ্রুত সেখান থেকে চম্পট দেয়। তবে ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাঁর ব্যবসায়ীক পার্টনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম রফিকুল ইসলাম। পুলিশ তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে আরজি কর-কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনার মধ্যেই ইলামবাজারে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত নার্সের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। সাত বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে মধ্যমগ্রামের রাজবাড়ি এলাকায়। অপরদিকে হাওড়া সদর হাসপাতালে এক নাবালিকা রোগীকে নির্যাতন করেছে এক ল্যাবকর্মী। একই ভাবে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জেও। একের পর এক অমানবিক ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    আরও পড়ুনঃজনতার ক্ষোভে ভাঙল ব্যারিকেড, বিজেপির ‘জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও’ অভিযানে উত্তাল বাংলা

    আইন শৃঙ্খলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক!

    একই ভাবে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনই বাংলার বীরভূমের ইলামবাজার, নদিয়া, মধ্যমগ্রাম এবং হাওড়ায় ৪টি পৃথক পৃথক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ, মহিলাদের জন্য সব থেকে অসুরক্ষিত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ নির্মাণ করার জন্য। কঠোর আইন প্রয়োগ এবং ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট নির্মাণ করতে পারেননি। ধর্ষণ ও পকসো আইন মামলায় অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য কোনও কাজ করেননি। চূড়ান্ত একজন ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: জনতার ক্ষোভে ভাঙল ব্যারিকেড, বিজেপির ‘জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও’ অভিযানে উত্তাল বাংলা

    BJP: জনতার ক্ষোভে ভাঙল ব্যারিকেড, বিজেপির ‘জেলাশাসকের অফিস ঘেরাও’ অভিযানে উত্তাল বাংলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে নির্যাতিতার জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে বিজেপির (BJP) দফা এক, দাবি এক, ‘মমতার পদত্যাগ’। এই ইস্যুতে কোচবিহার, বর্ধমান, আসানসোল, বাঁকুড়া, মালাদা সহ বিভিন্ন ডিএম অফিস ঘেরাও করা হল। আর সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধুন্ধুমার বাধে। পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করলেও তা টপকে জেলাশাসকের অফিসের (DM office) দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মীরা। ফলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। কোচবিহারে জনরোষ আটকাতে পুলিশ ব্যবহার করে জলকামান। এলাকায় এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। উল্লেখ্য, মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা আগেই করেছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ২ সেপ্টেম্বর সোমবার জেলায় জেলায় জেলাশাসকের দফতর অভিযানের কর্মসূচি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল।

    বাঁকুড়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ (BJP)

    বাঁকুড়ায় জেলাশাসকের (DM office) দফতর অভিযানে নামে বিজেপি (BJP)। চিকিৎসক তরুণীকে নির্যাতন করে খুনের প্রতিবাদে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। এদিন বাঁকুড়া হিন্দু হাই স্কুল ময়দান থেকে মিছিল করে ডিএম অফিসের দিকে এগিয়ে যায় জনতা। কিন্তু আইজি মোড়ের কাছে যেতেই পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয়। এরপর তা ভেঙে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। মুহূর্তেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে  ওঠে। এরপর সেখানেই বসে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান-বিক্ষোভ করেন।

    মালদায় ব্যারিকেড ভাঙল জনতা

    বিজেপির (BJP) ঘোষিত অভিযানকে মাথায় রেখে পুলিশ আগে থেকেই মালদা জেলাশাসকের অফিসের (DM office) সামনে ত্রিস্তরীয় গার্ডরেল দিয়ে রেখেছিল। এদিন দুপুর ১টায় বিজেপির জেলা অফিস থেকে একটি মিছিল সারা শহর পরিক্রমা করে। মিছিলে পা মেলান উত্তর বাংলার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু, বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা, সাংগঠনিক সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত এবং পার্থসারথি ঘোষ। পরে এই মিছিল জেলাশাসকের অফিসের সামনে এলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বাধে। এরপর উত্তেজিত কর্মীরা ‘বিচার চাই বিচার চাই’ বলে ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়।

    আরও পড়ুনঃ আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে নির্যাতিতার আত্মীয়রা, পা মেলালেন রুদ্রনীল

    একাধিক জেলায় বিক্ষোভে উত্তাল জেলা

    মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলায় জেলাশাসকের দফতর (DM office) ঘেরাও করার কর্মসূচি নেয় বিজেপি (BJP)। রাস্তায় নেমে মিছিল করে প্রতিবাদ করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষার দাবিতে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। বর্ধমানে বিজেপির কর্মসূচিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করতে গিয়ে ব্যারিকেড উপড়ে ফেলে দেন কর্মীরা। এদিন আসানসোলেও এই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। সর্বত্র একটাই স্লোগান ওঠে ‘এবার মমতা গদি ছাড়ো’।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ না লেখার চাপ দেওয়া হচ্ছিল”, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ না লেখার চাপ দেওয়া হচ্ছিল”, বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি থেকে শুরু করে মেয়েদের রাত দখল, একাধিক সামাজিক ও নাগরিক সংগঠনের লাগাতার মিছিল-অভিযান, ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলন— জনমনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। সিবিআই-এর তদন্তে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) অভিযোগ তুলে বলেন, “ময়না তদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণ না লেখার জন্য চিকিৎসকদের চাপ দেওয়া হচ্ছিল।”

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়ে বলেন, “৯ অগাস্টের দিন থেকেই ধর্ষণ করে খুনের বিষয়ে পুলিশ তৃণমূলের নির্দেশে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। নির্যাতিতার বাড়ির লোকজনকে আত্মহত্যার কথা বলা হয়েছিল। হাসপাতালের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যাণ্ট সুপার দাবি করেছেন, খবর শুনে পরিবার অসুস্থ হতে পারেন তাই আত্মহত্যার কথা বলেছিলেন। চাদর বদলের অভিযোগ উঠেছে, একটি ভিডিও থেকে দেখা যাচ্ছে ঘটনাস্থলে থিকথিক করছে মানুষের ভিড়। ময়না তদন্তের রিপোর্টের শেষ লাইনে লেখা হয়েছে ধর্ষণ। সেই লাইনটা বাদ দিতে চেয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর দলবল। তবে যাঁরা তদন্ত করেছিলেন তাঁদের মধ্যে দুই মহিলা চিকিৎসক বলেন, এই লাইন বাদ দিলে আমরা সই করব না। আমি ধন্যবাদ জানাই ওই দুই মহিলা চিকিৎসককে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘আপনার মা-বোনেদের…’’! কুরুচিকর মন্তব্য তৃণমূল নেতার, তুলোধনা সুকান্তর

    ধর্মতলায় টানা ধর্না অবস্থান বিক্ষোভ

    আরজি কর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মাত্র সঞ্জয় রায়কেই গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে পুলিশ তদন্ত করলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে নেমেছে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষকে টানা জিজ্ঞাসবাদ করছে সিবিআই। দেহপাচার থেকে আর্থিক তছরুপ, প্রায় ১৫টি অভিযোগ ঝুলে আছে সন্দীপের মাথার উপর। এদিকে রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি শ্যামবাজারের পর ধর্মতলায় টানা ধর্না অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের মহিলা কমিশনের দফতরে মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে অভিযান করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জেলায় জেলায় থানা এবং ব্লক অফিস ঘেরাও কর্মসূচিও করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “প্রস্তুত থাকুন…বিধানসভায় দেখা হবে”, মমতার উদ্দেশে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “প্রস্তুত থাকুন…বিধানসভায় দেখা হবে”, মমতার উদ্দেশে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রস্তুত থাকুন। কী ভাষায় উত্তর দিতে হয়, আমরা বুঝিয়ে দেব। বিধানসভায় দেখা হবে।” এই ‘হুঙ্কার’ যাঁকে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), সেই তাঁকেই রবিবার কটাক্ষ করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও।

    বিশেষ অধিবেশন (Suvendu Adhikari)

    আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) জেরে আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন। ধর্ষকদের ফাঁসির সাজার ব্যবস্থা করতেই বসছে বিশেষ অধিবেশন। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিল পেশ হবে বিধানসভায়। সোমবার দুপুর ২টোয় বসবে অধিবেশন। এদিন শোকপ্রস্তাবের পরেই শেষ হয়ে যাবে অধিবেশন। শোকপ্রস্তাবে আরজি করকাণ্ডে নির্যাতিতার উল্লেখ থাকবে কিনা, সে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। তবে বিধানসভার এই বিশেষ অধিবেশন যে উত্তাল হবে, সে ব্যাপারে পদ্ম শিবিরে ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। রবিবার বিকেলে রীতিমতো হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু। ধর্মতলায় চলছে বিজেপির সপ্তাহব্যাপী ধর্না অবস্থান। সেখানে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর হুঙ্কার

    শুভেন্দু বলেন (Suvendu Adhikari), “আরজি কর ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোন ভাষায় জবাব দিতে হয়, তা আমাদের জানা আছে। দল হিসেবে বিজেপি বিধানসভায় তা দেখিয়েও দেবে।” ধর্ষণ করলেই ফাঁসির সাজা হবে। এই মর্মে আইন করতে বিধানসভায় বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। দশ দিনের মধ্যে এই বিল পাশ করানো হবে বলেও মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই মতো এদিন বসতে চলেছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন।

    আরও পড়ুন: “নাটক বন্ধ করুন মমতা”, ধর্ষণ-বিরোধী বিলকে কটাক্ষ দিলীপের

    রবিবারই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ  ধর্ষণ-বিরোধী বিল আনতে উদ্যোগী হওয়ায় রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, “প্রকাশ্যে মহিলাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আরজি করে মহিলার মৃতদেহের ময়না তদন্তের সময় বাড়ির লোককে রাখা হয়নি। যারা অপরাধীদের আড়াল করছে, তারা কোন মুখে বড় বড় কথা বলে?” তিনি বলেছিলেন, “আজ নাটক করছে, ফাঁসির আইন আনবে। কে অধিকার দিয়েছে আইন করার? এই নাটক বন্ধ করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    বস্তুত, ধর্ষণ রুখতে কড়া সাজার সংস্থান রয়েছে কেন্দ্রেরই নয়া আইনে। তার পরেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর আলাদা আইন আনার (RG Kar Incident) উদ্যোগ আসলে আইওয়াশের চেষ্টা বলেই দাবি (Suvendu Adhikari) ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share