Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: “শহরটা যুদ্ধক্ষেত্র নয়”, নির্মম পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “শহরটা যুদ্ধক্ষেত্র নয়”, নির্মম পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যের উপর হামলা চালানোটা হল একটা অপরাধ। এই শহরটা যুদ্ধক্ষেত্র নয়। ঠিক এই ভাবেই পুলিশ সামজিক মাধ্যমে বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। এবার তার জবাব দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাম্প্রতিক নবান্ন অভিযানের একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে পুলিশ বেধড়কভাবে আন্দলনকারীদের মারধর করছেন। শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, এভাবেই সেদিন পুলিশ মানবাধিকারকে লঙ্ঘন করেছিল। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    শহরকে যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়েছে পুলিশ (Suvendu Adhikari)

    পুলিশের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এক্স হ্যান্ডলে বলেছেন, “আমি রাজ্য পুলিশের সঙ্গে একমত যে অপরজনকে আঘাত করাটা একটা অপরাধ। এই শহরটা যুদ্ধক্ষেত্র নয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ২৭ অগাস্ট ভুলে গেলেন? কেন কলকাতা পুলিশ এভাবে আন্দোলনকারীদের বেধড়ক মারধর করলেন? মেট্রো রেল স্টেশনে অরাজনৈতিক বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালালেন হকি স্টিক নিয়ে! তাঁরা কী ওখানে কোনও ব্যারিকেড ভেঙেছিলেন? আপনারা এই শহরকে যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়েছেন, আপনারা যুদ্ধের অপরাধকে সংগঠিত করছেন। নিজেদের একবার দেখুন এই ভিডিওতে। আপনারাও সাধু নন। তাই নিজেদের এভাবে উপস্থাপন করবেন না।”

    নির্মম অত্যাচারের ভিডিও

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা পুলিশ রীতিমতো টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের। মাটিতে ফেলে করা হচ্ছে মারধর। এরপর আরও এক আন্দোলনকারীকে বেধড়ক লাঠি দিয়ে পেটানো হচ্ছে। বড় বাজার এলাকায় এই ভাবে পুলিশ নির্মম অত্যাচার করেছে। টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে সকলকে। একই ভাবে বিক্ষোভকারীদের দিকে পাথর ছুড়তেও দেখা গিয়েছে পুলিশকে।

    আরও পড়ুনঃ ফের প্রশ্নে বাংলার নারী নিরাপত্তা! নাবালিকা রোগী ও নার্সের শ্লীলতাহানির অভিযোগে তোলপাড়

    জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

    অপর দিকে,  আরজি কর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছেন। একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। ঘরের আলো বন্ধ করে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদের কথা জানিয়েছেন। আজ সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর লালাবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir: মোদির ১০ বছরে কাশ্মীরের ভাগ্য বদলে গিয়েছে, জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি

    Jammu and Kashmir: মোদির ১০ বছরে কাশ্মীরের ভাগ্য বদলে গিয়েছে, জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) ভাগ্য এবং রাজনৈতিক চালচিত্র পরিবর্তন করে দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সবটাই উন্নয়নের ফলেই সম্ভব হয়েছে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনিই বার্তা দিলেন উপত্যকার বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি রবিন্দ রায়না। এদিন এই সম্মেলনে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিশেন রেড্ডি, জিতেন্দ্র সিং। সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহেই এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, তাই এখন থেকেই বিজেপির প্রচারকে ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা শুরু হয়েছে।

    অনন্তনাগ-কুলগাম-শোপিয়ান-পুলওয়ামায় ব্যাপক সমর্থন (Jammu and Kashmir)

    জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি রায়না বলেন, “এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিজেদের পূর্ণশক্তি দিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করবে। ভোটের আগেই বিজেপির প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন পেতে শুরু করে দিয়েছেন। দলের প্রার্থীরা অনন্তনাগ, কুলগাম, শোপিয়ান এবং পুলওয়ামায় বিশেষ সমর্থন পেতে চলেছেন। আমি এই জন্য আমাদের রাজ্যের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রীর জনমুখী নীতি আমাদের মানুষের সঙ্গে সংযোগকে আরও দৃঢ় করেছে। গত দশ বছরের গঠনমূলক উন্নয়নে কাশ্মীরের প্রত্যেক শিশু বলতে শিখেছে, “হর হর মোদি, ঘর ঘর মোদি।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “জম্মু-কাশ্মীরের বিগত সরকার বিশেষ করে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স, পিডিপি যুগে মানুষের জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। পাথর ছোড়া এবং বন্দুকের গুলি ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। রাজ্যের উন্নয়নে তাঁরা কোনও কাজ করেননি। কিন্তু কেন্দ্রে মোদিজির নেতৃত্বে বিরাট উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে এই রাজ্য। ধারা ৩৭০ বাতিল করা হয়েছে। এক বিধান, এক নিশান এবং এক প্রধানের মূল মন্ত্র এখন কাশ্মীরে মানুষ গাইছেন।”

    আরও পড়ুনঃহিন্দু মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা, স্বামীর অভিযোগে গ্রেফতার অভিযুক্ত

    গতবারের বিধানসভায় ফলাফল কেমন ছিল?

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) ভোটগ্রহণ হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। গণনা হবে ৮ অক্টোবর। মোট আসনের ৭টি আসন তফশিলি জাতি, ৯টি আসন তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। মোট ভোটার ৮৮.০৬ শতাংশ। গতবারের নির্বাচনে মোট আসনের পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি, বিজেপি ২৫টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি, এবং কংগ্রেস ১২টি। পিডিপি এবং বিজেপি মিলে মুফতি মহম্মদ সাঈদের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়। পড়ে মুফতি মারা গেলে মেয়ে মেহবুবা মুফতি মুখ্যমন্ত্রী হন। পরবর্তী সময়ে বিজেপি মেহবুবার থেকে সমর্থন তুলে নেয়। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট ধারা ৩৭০ বাতিল হয়।  এরপর এবার হবে নির্বাচন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন, ঝাড়খণ্ডে ঘর ভাঙছে শাসকের!

    Jharkhand: দোরগোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন, ঝাড়খণ্ডে ঘর ভাঙছে শাসকের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ততই ভাঙন ধরছে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) শাসক শিবিরে। এ রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেন। শিবু সোরেনের এই ছেলের সঙ্গেই মনোমালিন্যের জেরেই শিবুর দল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। এবার আরও এক প্রবীণ উপজাতি নেতা শিবির বদলে নাম লেখালেন গেরুয়া খাতায়। তাঁর নাম লবিন হেমব্রম।

    ঘর ভাঙছে শাসকের!

    ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার এই বহিষ্কৃত নেতা শনিবার যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচিতে গিয়ে লবিন হাতে তুলে নেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে রাজমহল কেন্দ্রে তিনি জেএমএম-এর প্রার্থী বিজয় হাঁসদার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন নির্দল হিসেবে। গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে তিনি বলেন, “গুরুজির (জেএমএম সুপ্রিমো শিবু সোরেন) আদর্শ থেকে সরে এসেছে জেএমএম। দলে এখন প্রবীণ নেতাদের সম্মান নেই। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঝাড়খণ্ডের উন্নয়ন ও আদিবাসীদের উন্নতির জন্য আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

    কী বললেন লবিন

    তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নে আমি কাজ করব। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের রুখব। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য উপজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলো উধাও হয়ে যাচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ বিপন্ন। উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে বাঁচাতে হলে আমাদের বিজেপির সঙ্গে থাকতে হবে (Jharkhand)।” তিনি বলেন, “একমাত্র বিজেপিই এই ইস্যুটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করে। তাই আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর আমার ভরসা রয়েছে। আমি এখন বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রয়েছি। আগে আমি একটি আঞ্চলিক দলের সঙ্গে ছিলাম। জয় শ্রীরাম।”

    আরও পড়ুন: মেদিনীপুর মেডিক্যালে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, কী করেন জানেন?

    সাঁওতালদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব রয়েছে হেমব্রমের। তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপির পায়ের নীচের মাটি শক্ত হল বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। হেমব্রমের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। বিজেপির প্রবীণ নেতাদের উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে যোগ দেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই দুজনই রয়েছেন ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনের দায়িত্বে।

    চম্পাইয়ের (Champai Soren) পর লবিন, এবার বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড তাহলে পদ্মময় (Jharkhand)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘তালা লাগাও অভিযান’কে ঘিরে ধুন্ধুমার, কী বললেন বিজেপি নেত্রীরা?

    RG Kar Incident: ‘তালা লাগাও অভিযান’কে ঘিরে ধুন্ধুমার, কী বললেন বিজেপি নেত্রীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্মসূচির নাম ‘তালা লাগাও অভিযান’। আয়োজক বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চা। শুক্রবার বিজেপির এই কর্মসূচিকে ঘিরেই ধুন্ধুমার কাণ্ড। আরজি করকাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে এদিন সল্টলেকে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনে তালা লাগাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপির মহিলা মোর্চা। বিক্ষোভকারীদের রুখতে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে পুলিশ।

    কর্মসূচিকে ঘিরে ধুন্ধুমার (RG Kar Incident)

    মহিলা কমিশনের অফিসে ঢুকতে না পেরে রাস্তার ওপরেই বসে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সদস্যরা। এদিন তাঁদের মুখে ছিল, ‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। পুলিশ মিছিল আটকালে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধ্বস্তিতে জড়িয়ে পড়ে তারা। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যেই দু’পক্ষে বেঁধে যায় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে। সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে পুলিশ পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দলকে কমিশনের অফিসে যাওয়ার অনুমতি দেয়।

    কমিশনের অফিসে তালা

    এর পরেই ভেতরে যান প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল এবং দেবশ্রী চৌধুরী-সহ মোট পাঁচজন। লকেটরা যখন অফিসে ঢোকেন, তখন দফতরে ছিলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। কমিশনের অফিসে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেয় বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে শ্যামবাজারের ধর্নামঞ্চ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: সম্পাদক সুরাবর্দির উত্তরসূরি! তাই কি হিন্দু নিধনের খবর চাপল ‘ঢাকা ট্রিবিউন’?

    এদিনের কর্মসূচি শেষে পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তোলে (RG Kar Incident) বিজেপি। লকেট বলেন, “আমাদের অবৈধভাবে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। কোনও কাগজ দেখাতে পারেনি। এয়ারপোর্টের আড়াই নম্বর গেটের কাছেও, আমাদের কর্মীদের আটকানো হয়। যত বাধা দেবে, তত এগোব।” তিনি বলেন, “মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের ভয় পাচ্ছেন। কত আটকাবে? গোটা রাজ্যের মানুষই তো পথে নেমেছেন।”

    বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “আমরা কোনও বাধা মানব না। আমাদের আন্দোলন চলবে। আমাদের কর্মসূচির জেরে ভয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জন্যই এত পুলিশ দিয়ে আমাদের আন্দোলন আটকানোর চেষ্টা করছেন।” এদিনের কর্মসূচিতে ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও। তিনি বলেন, “রাজ্যে মহিলাদের ওপর প্রতিদিনই অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে (BJP)। এই সব ঘটনার জন্য মহিলা কমিশনের কোনও পদক্ষেপই চোখে পড়ছে (RG Kar Incident) না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NHRC: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    NHRC: নবান্ন অভিযান-বন‍্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজে’র নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে ও পরের দিন বিজেপির ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধে পুলিশি অত্যাচার (Police Atrocities)। এই জোড়া অত্যাচারের প্রতিবাদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি নেতা তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতার পুলিশ (Kolkata Police) কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নোটিশ পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (NHRC)। নোটিশ পাওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনায় কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশনের কাছে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন সৌমিত্র। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন আরও পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।

    কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? (Saumitra Khan)

    চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত একটি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় গোটা দেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিবাদের পাশাপাশি ন্যায় বিচারের দাবিও জানানো হচ্ছে। এই কাণ্ডের ফলে রাজ্য সরকারের আসল চেহারা বাইরে বেরিয়ে এসেছে। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী চালিত এক রাজ্যে মহিলারা যে সুরক্ষিত নন, তাও প্রকাশ্যে এসেছে।’ চিঠিতে বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Saumitra Khan) লিখেছেন, ‘আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের জন্য গত ২৭ অগাস্ট বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজনৈতিক যোগসূত্র ছাড়া সকলে হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে হাঁটছিলেন। পুলিশের (Kolkata Police) তরফে এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ।’

    সৌমিত্রদের অভিযোগ

    সৌমিত্রদের (Saumitra Khan) অভিযোগ অনুযায়ী, নবান্ন অভিযানে ২০০ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ (Kolkata Police) তাঁদের ওপর যে নির্যাতন করেছে, তা নৃশংস, নিষ্ঠুর। এতে তাঁদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। মানুষের অধিকারের প্রতি পুলিশের যে অশ্রদ্ধা, নবান্ন অভিযানের ছাত্র সমাজের বিরুদ্ধে পুলিশের অত্যাচারই তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন: মিলে গেল মোদির গ্যারান্টি, বাংলায় দুর্নীতির টাকা ফেরত দিতে শুরু করল ইডি

    কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে, মানুষের অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তা গুরুতর। সুপ্রিম কোর্টও পর্যবেক্ষণে এটা জানিয়েছে। পুলিশ (Kolkata Police) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে (NHRC) ব্যর্থ হয়েছে। তাই কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শুধু বিজেপির কর্মসূচিতেই কেন বারবার আপত্তি? রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শুধু বিজেপির কর্মসূচিতেই কেন বারবার আপত্তি? রাজ্যকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর ইস্যুতে বিজেপির ধর্না কর্মসূচির বিরোধিতা করার কারণে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) তীব্র ভর্ৎসনা করল মমতার সরকারকে। হাইকোর্টের বিচারপতিরা এই ঘটনায় রাজ্যের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) আইনজীবীর উদ্দেশে হাইকোর্টের মন্তব্য, ‘‘যেখানে ডান হাতে কাজ হয় না, সেখানে আপনারা বাঁ হাত ব্যবহার করেন। আপনাদের পদ্ধতি আমাদের জানা আছে।’’

    শুধুমাত্র একটি দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে কেন বারবার রাজ্য আপত্তি করে

    প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধর্মতলাতে ধর্না অবস্থান করার অনুমতি চেয়েছিল রাজ্য বিজেপি। হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আবেদন জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই মামলাতেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের একক বেঞ্চ রায় দিয়েছিল বিজেপির ধর্নার পক্ষেই। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বিরোধিতায় বিরক্তি প্রকাশ করে। শাসক দল কর্মসূচি নিলে তখন অসুবিধা হয় না, এমন ইঙ্গিতও বৃহস্পতিবার করা হয়েছে আদালতের (Calcutta High Court) রায়ে। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন যে শুধুমাত্র একটি দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে কেন বারবার রাজ্য আপত্তি করে।

    শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস! বুধবারের কর্মসূচিতে কেন আপত্তি করেনি রাজ্য, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির 

    প্রসঙ্গত, বুধবারই ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং সেদিনই শহরে কর্মসূচি পালন করে শাসক দল। বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমেত তৃণমূল নেতৃত্ব। এ নিয়েই সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘বুধবার শহরে চারটি বড় কর্মসূচি হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট কর্মসূচি হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপত্তি আসেনি। এক পক্ষ বিচার করলে তো হবে না। উভয় পক্ষই কর্মসূচি করছে।’’ আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গেও রাজ্যের ভূমিকায় বিরক্তি প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘একটি ঘটনা নিয়ে মানুষের মনে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর চেষ্টা করুন। নতুন করে আঘাত দেবেন না, যাতে তা আরও বেড়ে যায়। বিক্ষুব্ধ মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বোঝানোর ব্যবস্থা করুন।’’

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: বন‍্ধে রণক্ষেত্র মানকুণ্ডু স্টেশন, বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস

    BJP Bangla Bandh: বন‍্ধে রণক্ষেত্র মানকুণ্ডু স্টেশন, বিজেপি-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির ডাকা বাংলা বন‍্ধে (BJP Bangla Bandh) রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়া-বর্ধমান শাখার হুগলির (Hooghly) মানকুন্ডু স্টেশন। ট্রেন আটকাতে এই স্টেশনে রেললাইনের ওপর নেমে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। তাদের হঠাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। উন্মত্ত কর্মীদের রেললাইন থেকে হঠাতে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে বন‍্‍ধ সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলে বিজেপি। কর্মীরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP Bangla Bandh)

    বন‍্‍ধ সমর্থকরা এদিন হুগলি জেলার একাধিক রেল স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন। শ্রীরামপুর, চন্দননগর, হুগলি, হিন্দমোটর, কোন্নগর, ত্রিবেণী স্টেশনেও অবরোধ করা হয়। তাতে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। কোথাও দেড় ঘণ্টা, কোথাও দুঘণ্টা অবরোধ চলে। বুধবার সকাল থেকেই রেল অবরোধে (BJP Bangla Bandh) সামিল হন বিজেপি কর্মীরা। মানকুন্ডু স্টেশনেও এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে আপ ও ডাউন লাইনে রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। দুটি লাইনেই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন। একটিতে দূরপাল্লার বালুরঘাট এক্সপ্রেসও দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। জিআরপি ও আরপিএফ অবরোধ হঠানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। দীর্ঘক্ষণ হাওড়া-বর্ধমান মেন ও ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এরপরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ কর্তারা। পুলিশ লাইন থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী-র‍্যাফ-উইনার্স টিম ও কমব্যাট ফোর্সও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এরপরেই কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    মানকুণ্ডু স্টেশনের অবরোধ নিয়ে ট্যুইট সুকান্তর

    রেল অবরোধ (BJP Bangla Bandh) নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করে বলেন, বনধের সমর্থনে সাধারণ মানুষও সামিল হয়েছেন।

    <p

    পথ অবরোধে বিজেপি কর্মীরা

    ট্রেন ছাড়া হুগলি জেলার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধও (BJP Bangla Bandh) করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। শ্রীরামপুরের পেয়ারাপুরের কাছে দিল্লি রোডের মোড়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি হয়। হাতাহাতিতে আহত হন দুপক্ষের বেশ কয়েকজন। শ্রীরামপুর থানা থেকে পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে দুপক্ষকে বুঝিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha: ১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    Rajya Sabha: ১২টি আসনের উপনির্বাচনে ১১টিতেই জয়, রাজ্যসভাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠ এনডিএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভাতেও (Rajya Sabha) পাল্লা ভারী হল এনডিএ (NDA) জোটের। মঙ্গলবার সংসদের উচ্চকক্ষের উপ-নির্বাচনে বিজেপির ৯ জন নির্বাচিত হন৷ এছাড়া শরিক দলেরও দু’জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন৷ একমাত্র তেলঙ্গানার আসনটিতে বিনা লড়াইয়ে জিতলেন কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। স্বাভাবিক ভাবে, এবার উচ্চকক্ষে সহজে বিল পাশ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সরকার ৷

    বিল পাশে সুবিধা

    রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) এনডিএ শিবিরের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে বিজেপি সহজেই ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করাতে পারবে৷ বিলটি যুগ্ম সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) খতিয়ে দেখছে৷ রাজ্যসভার ১২টি আসনের উপনির্বাচনে এদিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফলাফল নির্ধারিত হয়ে যায় এর মধ্যে ১১টিতেই জয় পায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ (NDA)। এ বারের ১২ আসনের উপনির্বাচনের ফলে ২৪৫ আসনের রাজ্যসভায় ৯৬-এ পৌঁছে গেল বিজেপি। এনডিএ পৌঁছল ১১২-তে। নির্দল এবং মনোনীত সদস্যদের ধরলে সংখ্যাটি পৌঁছচ্ছে ১২১-এ। আটটি আসন বর্তমানে শূন্য। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁয়ে ফেলল মোদি সরকার। এর ফলে শীতকালীন অধিবেশনে বিভিন্ন বিল পাশ করাতে সুবিধা পাবে সরকার পক্ষ। 

    কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই সংখ্যা?

    জুলাই অবধিও, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র পক্ষে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) কিছু পাশ করানো কঠিন ছিল। কারণ, সেই সময়, সংসদের উচ্চকক্ষে মোদি সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। বিজেপির সংখ্যা কমে ৮৬ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, এখন এই উপনির্বাচনের পর, সংখ্যা এক লাফে বেড়ে ৯৫ হয়েছে। আর এনডিএ পৌঁছে গেল ১২১-এ। এবার, আরও ৪ মনোনীত সদস্যকে যুক্ত করতে পারলে এই সংখ্যা আরও বেড়ে হয়ে যাবে ১২৫। এছাড়া, এমনিতেই আরও ৬ মনোনীত সদস্য এবং এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থন পাবে এনডিএ সরকার। ফলত, ২৪৫-আসনের রাজ্যসভায় সরকারের শক্তি বেড়ে দাঁড়াবে ১৩২। ফলে, এখন গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর জন্য বিজেডি বা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সমর্থনের প্রয়োজন নেই মোদির। 

    জয়ী প্রার্থী কারা

    কোনও বিরোধিতা ছাড়াই যাঁরা রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) নির্বাচিত হলেন- রাজস্থানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু, মধ্যপ্রদেশের জর্জ কুরিয়েন, কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি তেলঙ্গানা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন৷ বিজেপির অসম থেকে মিশন রঞ্জন দাস, রামেশ্বর তেলি, বিহার থেকে মনন কুমার মিশ্র, হরিয়ানা থেকে কিরণ চৌধুরি, মহারাষ্ট্রের ধীরাশীল পাটিল, ওড়িশার মমতা মোহন্ত এবং ত্রিপুরার রাজীব ভট্টাচার্য৷ ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নিতিন পাটিল মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন ৷ রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চার নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা বিহার থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন৷ এই দু’টি দলই বিজেপির শরিক ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: শান্তিপূর্ণ অবস্থান সত্ত্বেও ২ বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতার মমতার পুলিশের

    BJP Bangla Bandh: শান্তিপূর্ণ অবস্থান সত্ত্বেও ২ বিজেপি বিধায়ককে গ্রেফতার মমতার পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবান্ন অভিযানে পুলিশি হামলায় তুলকালাম পরিস্থিতির প্রতিবাদে বুধবার বিজেপি ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ (BJP Bangla Bandh) ডাকে। সকাল ৬টা থেকে বন‍্‍ধ শুরু হয়। কোচবিহারে (Cooch Behar) বন‍্‍ধ পালন করতে গিয়ে আটক হন দুই বিজেপি বিধায়ক। তাঁদের জোর করে টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এলাকায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BJP Bangla Bandh)

    এদিন সকালেই বিজেপির দুই বিধায়ক মালতী রাভা রায় এবং নিখিল রঞ্জন দে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস টার্মিনাসের সামনে আসেন। বাস আটকানোর চেষ্টা করেন। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের নতুন বাসস্ট্যান্ডের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে (BJP Bangla Bandh) বসেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বাসের সামনে বসে পড়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। এরপরই আটক করা হয় তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতী রাভা রায় ও কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-কে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের টেনে-হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

    আরও পড়ুন: বিজেপির ডাকা বন‍্ধে জেলায় জেলায় অবরোধ, সমর্থক-পুলিশ ধস্তাধস্তি

    মালদায় সরব বিজেপি সাংসদ

    অন্যদিকে, এদিন সকালে পুরাতন মালদার বুলবুলি মোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সেই সময় উল্টোদিক থেকে তৃণমূলের একটি মিছিল আসে। তারা বনধের বিরোধিতায় মিছিল করছিল। দুই মিছিল সামনা-সামনি হয়ে যাওয়ায় সেখানে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের সামনেই চলে ধাক্কাধাক্কি। একে অপরকে ঠেলাঠেলি করতে শুরু করে দেন। প্রতিবাদে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পুরাতন মালদা-নালাগোলা রাজ্য সড়কে বসে পড়েন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। বুলবুলি মোড় থেকে পুরাতন মালদায় যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। সাংসদের অভিযোগ, বুলবুলি মোড়ে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: একসঙ্গে নবান্ন-লালবাজার-কালীঘাট অভিযান! বড় কর্মসূচির ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: একসঙ্গে নবান্ন-লালবাজার-কালীঘাট অভিযান! বড় কর্মসূচির ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দাবি এক- মমতার পদত্যাগ’, এই স্লোগানকে সামনে রেখেই এবার একসঙ্গে নবান্ন-লালবাজার-কালীঘাট অভিযানের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ বুধবার, বন‍্‍ধ সফল করার আহ্বান জানিয়ে নন্দীগ্রামে বিরাট মিছিল করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (LoP West Bengal)। সেখানেই তিনি এই কর্মসূচির কথা জানান। তবে ঠিক কবে এমন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে তার দিনক্ষণ অবশ্য ঘোষণা করেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। স্লোগান দিতে দিতে এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘দফা এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। ছাত্রদের ওপর লাঠি চলল কেন? মমতা জবাব দাও। টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়লে কেন, মমতা জবাব দাও।’’ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বন‍্‍ধ সর্বাত্মক। চারদিক শুনশান। এটা বিজেপির বন‍্‍ধ নয়, সাধারণ মানুষের বন‍্‍ধ। এই সরকারের সময় হয়ে এসেছে।’’

    মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    গতকাল মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ছাত্রদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও পথে নেমেছিলেন।’’ প্রসঙ্গত, আজ বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘৭০ বছরের প্রবীণা আজকের সমাবেশে কী করতে যাবেন? উনি কি ছাত্রী?’’ শুভেন্দুর (LoP West Bengal) কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর জর্জিয়া ইউনিভার্সিটির ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়ো। ওঁর ভাইপো তথা ‘বাছুর’-এর এমবিএ ডিগ্রি ভুয়ো। তাঁরা আবার ছাত্র সমাবেশে কী বার্তা দেবেন?’’ শুভেন্দুর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুরে তাঁকে টেনে বের করা সুপ্রতিম সরকারকে এখন কলকাতার নগরপাল করতে চাইছেন। সে কারণে বিনীত গোয়েল যে কোনওভাবে মমতাকে তুষ্ট রাখতে চাইছেন।’’

    ভাটপাড়াতে গুলি চলল কেন, মমতা জবাব দাও

    অপর দিকে, বাংলা বন‍্ধের মধ্যেই ভাটপাড়ায় গুলি চলে। কানে গুলি লাগে এক ব্যক্তির। এই ঘটনাতেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ভাটপাড়াতে গুলি চলল কেন, মমতা জবাব দাও।’’ এরপরেই ফের স্লোগান তুললেন, ‘‘জনতা রাজপথে, তৃণমূল হুঁশিয়ার।’’ পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের হয়ে যাঁরা নবান্ন চলো কর্মসূচি নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম সায়ন লাহিড়িকে মঙ্গলবার একটি নিউজ চ্যানেলের অফিসের বাইরে থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘সায়নের পাশে আমরা আছি। সায়নের পরিবার আদালতে গিয়েছে। চার ছাত্রকে গতকাল মুক্তি দিয়েছে। তবে অ্যারেস্ট মেমো বা ওয়ারেন্ট দেখাতে হবে, কেন গ্রেফতার করা হয়েছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share