Tag: bjp

bjp

  • BJP Bangla Bandh: গৃহবন্দি সজল ঘোষ, বাড়ি ঘিরে বিশাল পুলিশ বাহিনী, পাল্টা পাহারা মহিলাদের

    BJP Bangla Bandh: গৃহবন্দি সজল ঘোষ, বাড়ি ঘিরে বিশাল পুলিশ বাহিনী, পাল্টা পাহারা মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন‍্ধের দিন (BJP Bangla Bandh) সকাল থেকেই বিজেপি নেতা সজল ঘোষের (Sajal Ghosh) বাড়ি ঘিরে রাখল বিশাল পুলিশ বাহিনী। বুধবার সকাল থেকে বন‍্ধের সমর্থনে সজল ঘোষ নিজের এলাকায় মিছিল শুরু করেন। এই সময়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপরে সজল ঘোষ বাড়িতে চলে যান। তারপরেই তাঁর বাড়ি ঘিরে ধরে বিশাল পুলিশ বাহিনী। অন্যদিকে, সজল ঘোষের এলাকার মহিলারা পাল্টা বাড়ির সামনে পাহারা দিতে শুরু করেন, যাতে বিজেপি নেতাকে পুলিশ তুলতে না পারে।

    কী বলছেন সজল ঘোষের পাড়ার মহিলা?

    সজল ঘোষের সপক্ষে দাঁড়ানো এক মহিলা বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমাদের একজন মহিলা বন্ধুকে যেমন হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিয়ে গেল, ঠিক একইভাবে সজল ঘোষকেও একবার হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে নিয়ে গিয়েছিল। আমাদের ওপর দিয়ে সজল ঘোষকে (Sajal Ghosh) নিয়ে যেতে হবে।’’ সজল ঘোষের বাড়ির সামনে হাজির হন ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ও। সজল ঘোষের বাড়ির বাইরে এত পুলিশ নিয়ে ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করছে প্রশ্নও। কেউ কেউ বলছেন, এই পুলিশই আরজি করে সক্রিয় থাকলে এমন কাণ্ড হত না।

    কী বলছেন সজল ঘোষ?

    এই পরিস্থিতিতে ঘরে আটকা পড়া সজল বলেন, ‘‘আমি চাই পুলিশ এখানে থাকুক। আমাদের আন্দোলনকারীরা বাকি জায়গায় আন্দোলন করুক। আমাকে যা করার করুক। দরজা ভেঙে নিয়ে যাক না। পালিয়েছি নাকি? আমি চাইলে এখনও পালাতে পারি। কিছু করতে পারবে না। কিন্তু, পালাব না।’’

    বুধবার সকালের ঘটনা (BJP Bangla Bandh) 

    আজ বুধবার সকালে সজল ঘোষ বের হন বন‍্ধের সমর্থনে। দোকানদারদের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘দাদা আজ বন‍্‍ধ’, ‘বাকি দিনগুলি ভালো কাটাতে গেলে একটা দিন কষ্ট করতে হবে’। এক মিষ্টির দোকানেও ঢুকতে দেখা যায় সজলকে। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘এই লড়াই আমার একার নয়। এই লড়াই সবার।’’ এই সময় হঠাৎ করেই দেখা যায় একদল তৃণমূল কর্মী সমর্থক এসে ঝামেলা শুরু করেন, ‘বন‍্‍ধ কীসের?’, ‘কোনও বন‍্‍ধ হবে না’, ইত্যাদি বলতে শুরু করেন। এরপরেই তাঁরা বিজেপির (BJP Bangla Bandh) মিছিলে ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • BJP Bangla Bandh: ওভারহেড তারে কলাপাতা, লাইন অবরোধ সমর্থকদের, বিজেপির বন‍্ধে থমকে রেল

    BJP Bangla Bandh: ওভারহেড তারে কলাপাতা, লাইন অবরোধ সমর্থকদের, বিজেপির বন‍্ধে থমকে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যজুড়ে বন‍্ধের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। দিকে দিকে রেল অবরোধে সামিল হয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা (BJP Bangla Bandh)। একাধিক স্টেশনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ট্রেনের ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করেন। হুগলি, কাটোয়া, শিয়ালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর— এই সমস্ত জায়গাগুলিতে ট্রেন চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বিজেপির বন‍্ধের ফলে অনেক জায়গাতে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে লোকাল ট্রেন।

    হুগলিতে রেল লাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিজেপি কর্মী 

    বুধবার সকালেই (BJP Bangla Bandh) হুগলি স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল অবরোধ করেন তাঁরা। রেল লাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিজেপি কর্মী। চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়, এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ টেনে হিঁচড়ে অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়। ১ ঘণ্টা পরে অবরোধ ওঠে। অন্যদিকে, হিন্দমোটর স্টেশনে অবরোধে বসে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। রেল লাইনে বসেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ট্রেন চলাচল আটকাতে ওভারহেড তারে কলাপাতা ছুড়ে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি বন‍্ধের সমর্থনে জনগণকে আজ রাস্তায় না বেরনোর আবেদনও জানান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুরুলিয়া রেল স্টেশনে লাইনের ওপরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে দলের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।

    বারাকপুর ও মুর্শিদাবাদে রেললাইনে অবরোধ

    অন্যদিকে, বারাকপুর স্টেশনেও বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মীরা অবরোধ শুরু করেন। দলের নেতা কৌস্তভ বাগচীকে দেখা যায় রেললাইন ধরে হাঁটতে, তাঁর কাঁধে ছিল বিজেপির পতাকা (BJP Bangla Bandh)। পরে এখানেই বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সাত সকালেই অবরোধ শুরু হয় জিয়াগঞ্জ স্টেশনে। মুর্শিদাবাদ স্টেশনেও একই চিত্র দেখা যায়। এর পাশাপাশি বহরমপুর স্টেশনেও অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

    সোনারপুরে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বিজেপির (BJP Bangla Bandh)

    অন্যদিকে, সোনারপুরেও ট্রেন অবরোধ করে বিজেপি। সোনারপুরে রেল লাইনের উপর শুয়ে পড়েন পদ্ম-কর্মীরা। জোর করে অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৫জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরে সোনারপুর থানাতেও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি বেধে যায়। কৃষ্ণনগরেও রেললাইনে নেমেও বিক্ষোভ দেখাত থাকেন বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা। এরফলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন পরিষেবা।

    লক্ষীকান্তপুর লাইনের একাধিক স্টেশনে ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে দেন বন‍্‍ধ সমর্থকরা

    বীরভূম জেলার রামপুরহাট স্টেশনে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা রেল অবরোধ শুরু করেন। অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার লক্ষীকান্তপুর লাইনের একাধিক স্টেশনে ওভারহেডের তারে কলাপাতা ফেলে দেন বন‍্‍ধ সমর্থকরা। যার জেরে ওভারহেডের তারের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়। অন্যদিকে, বনগাঁ হাওড়া-ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হয় সকাল থেকেই। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়ার নেতৃত্বে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা স্টেশনে রেল অবরোধ করেন। বসিরহাট স্টেশনেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা সকাল থেকেই অবরোধ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP Bangla Bandh: ‘‘এটা পাকিস্তান-আফগানিস্তান নয়’’, বন‍্ধের সকালে পুলিশকে হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রার

    BJP Bangla Bandh: ‘‘এটা পাকিস্তান-আফগানিস্তান নয়’’, বন‍্ধের সকালে পুলিশকে হুঁশিয়ারি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযান করেছিল বাংলার ছাত্রসমাজ। জাতীয় পতাকা হাতে সেই আন্দোলনের উপর লাঠি চালায় পুলিশ, চলে জলকামান, কাঁদানে গ্যাসও। তার প্রতিবাদেই বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP Bangla Bandh)। সেই বন‍্‍ধ সফল করতে সকাল থেকেই পথে নেমেছেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে আটকাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। জোর করে খোলা হচ্ছে দোকানপাট, গাড়ি চালানো হচ্ছে। এদিন সকালে ভবানীপুরে রাস্তায় বসে পড়ে গাড়ি চালকদের বন‍্‍ধ পালনের অনুরোধ করেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁকে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করেন এক পুলিশ কর্মী। বিজেপি নেত্রীর দক্ষ জবাব,  “এটা আফগানিস্তান বা পাকিস্তান নয়।”

    পুলিশের সঙ্গে বচসা

    হাতজোড় করে বাসের সামনে দাঁড়িয়ে অগ্নিমিত্রা বললেন, ‘অনুরোধ করছি, আজকে গাড়ি চালাবেন না।’ যদিও পুলিশ গাড়ি চলাচল সচল রাখতে এগিয়ে আসে। অগ্নিমিত্রার (BJP Bangla Bandh) স্পষ্ট কথা কলকাতা পুলিশকে, “কী করবেন, গায়ের উপর দিয়ে চালাতে বলছেন? আপনার বাড়িতে মেয়ে নেই? আজকে বন‍্‍ধ ডাকা হয়েছে একটি খুব রেলিভেন্ট ইস্যু নিয়ে। আমাদের ‘অভয়া’কে খুন করা হয়েছে। দিনের পর দিন আমাদের ‘অভয়া’দের খুন করা হয়, এই পশ্চিমবঙ্গে। অন্য রাজ্যেও হয়। অন্য রাজ্যে হয় না, তা নয়। কিন্তু সেই রাজ্যে বিচার হয়, সেই রাজ্যে শাস্তি হয়। আমাদের রাজ্যে কোনও শাস্তি হয় না। প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশের লাঠিচার্জ খেতে হয়।” পুলিশের উদ্দেশে অগ্নিমত্রা বলেন, “এটা আফগানিস্তান, পাকিস্তান নয়, যে আমার মুখ বন্ধ করতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে আরজি কর কাণ্ডে আপনারা জোরপূর্বক কিছু করতে পারবেন না।”

    সকাল থেকে থমথমে কলকাতা

    এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের সামনে থেকে বিজেপি (BJP Bangla Bandh) কর্মীদের তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। শ্যামবাজারেও বিজেপি কর্মীদের আটক করা হয়। সকাল থেকে বন্‌ধের প্রভাব পড়েছে হাওড়া স্টেশনেও। ব্যান্ডেল ও কাটোয়া রেল অবরোধের জেরে বিঘ্নিত হয়েছে ট্রেনের স্বাভাবিক পরিষেবা। শিয়ালদা শাখায়ও ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত। বুধবার সকাল থেকে কলকাতায় রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছেন পুলিশকর্মীরা। বন‍্‍ধ পালনে বাধা দিচ্ছেন তাঁরা। কলকাতায় বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে পথে নামতে দেখা গিয়েছে বিজেপি কর্মীদের। হাওড়া বাস স্ট্যান্ডে বাসের সংখ্যা অন্যান্য দিনের তুলনায় কম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nabanna Abhijan: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    Nabanna Abhijan: বিজেপির লালবাজার অভিযানে কাঁদানে গ্যাস পুলিশের, অসুস্থ হয়ে পড়লেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার লালবাজার চত্বরে। একদিকে যেমন ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) করা হয়, ঠিক একই ভাবে বিজেপির লালবাজার অভিযান করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ছাত্র সহ সাধারণ মানুষকে ছাড়াতে এই অভিযান করে বিজেপি। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হায় হায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ ইত্যাদি স্লোগানও ওঠে ঘটনাস্থলে। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপিকে ঠেকাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ল পুলিশ। যার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। 

    পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি (Nabanna Abhijan)

    মঙ্গলবার দুপর ১টায় সাঁতরাগাছি ও কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিলের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ। মিছিল শুরু হতেই পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস এবং জল কামান দিয়ে নির্মম ভাবে অত্যাচার করে। একই ভাবে নির্বিচারে বহু ছাত্র-ছাত্রী এবং সাধারণ নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে ধৃতদের বিরুদ্ধে। এর আগে, গতকাল মধ্যরাতে আন্দোলনকারী ৪ ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্ত করতে বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে লালবাজারে অভিযান করা হয়।

    পুলিশের কাঁদানে গ্যাস অসুস্থ সুকান্ত

    বিকেল চারটের সময় মিছিল করে লালবাজারের দিকে এগোলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এদিন রাজ্য সভাপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন— লকেট চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিং, সমীক ভট্টাচার্য সহ আরও অনেকে। আটকে দিলে বিজেপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন। রাস্তায় বসে বিজেপি নেতারা স্লোগান দেন— ছাত্রদের জোর করে পুলিশ আটক করেছে। তাঁদের মুক্তির জন্য পুলিশকে আধ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এর পরই সুকান্তদের অবস্থান হঠানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এতে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্কাতর্কি ও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এরপর বিজেপিকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। তাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপির বিক্ষোভে কার্যত অবরূদ্ধ হয়ে যায় লালবাজার। লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ বিনা কারণে লাঠিচার্জ করেছে। কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।” 

    আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে নির্বাচনের দাবি শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Halisahar: ক্ষমতার দম্ভ! জন্মাষ্টমীতে প্রকাশ্যে পর পর গুলি চালালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Halisahar: ক্ষমতার দম্ভ! জন্মাষ্টমীতে প্রকাশ্যে পর পর গুলি চালালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর রাতে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হালিশহর (Halisahar) পুরসভা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের নাম অশোক যাদব। তিনি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Halisahar)

    সোমবার ছিল জন্মাষ্টমী উৎসব। হালিশহর (Halisahar) পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয়দের উদ্যোগে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক যাদব থেকে শুরু করে দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও এলাকার কয়েকশো সাধারণ মানুষও সেখানে হাজির ছিলেন। জন্মাষ্টমী উৎসবে মেতে ওঠেন এলাকার মানুষ। অনুষ্ঠান চলাকালীন আচমকা তৃণমূল কাউন্সিলর শূন্যে দু রাউন্ড গুলি চালান বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়।

    ‘‘আবদার রাখতেই গুলি চালিয়েছি’’

    বিরোধীদের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কাউন্সিলর এভাবে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছেন। যদিও তৃণমূল কাউন্সিলর অশোক যাদবের সাফাই, তিনি আবদার রাখতেই নাকি গুলি চালিয়েছেন! অশোক যাদব বলেন,  ‘‘এ বছর আমি রিভলভরের লাইসেন্স পেয়েছি। এটা কোনও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নয়। আমার ওয়ার্ডের দলের ছেলেরা আমাকে অনুরোধ করেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ফায়ার করার জন্য। ওরা বাজি ফাটাচ্ছিল, সঙ্গে ফায়ার করার জন্য অনুরোধ করে। তার জন্য আমাকে টাকাও দিতে চেয়েছিল। আমি তাদের কাছে কোনও টাকা পয়সা নিইনি। শুধু ওয়ার্ডের ছেলেদের আবদার রাখতেই আমি পর পর দু’রাউন্ড শূন্যে ফায়ার করেছি। কোনও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার জন্য এ কাজ আমি করিনি। আর আমি ১২.০৫ মিনিট নাগাদ ফায়ারিং করি। তখন সেখানে খুব বেশি লোকজনও ছিল না। ফলে, ভয় দেখানোর কোনও প্রশ্নই নেই।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আসলে ওই তৃণমূল নেতার কাছে রিভলভর রয়েছে তা সকলকে জানাতে হবে। তাই, এভাবে তিনি প্রকাশ্যে গুলি চালালেন। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’ অন্যদিকে, হালিশহর (Halisahar) পুরসভার চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আমি প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ভিডিও দেখেছি। কেন তিনি এভাবে গুলি চালালেন তা জানি না। বিষয়টি নিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলব। তাছাড়া প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangla Bandh: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    Bangla Bandh: নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি সন্ত্রাস’, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্‍ধ ডাকল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রসমাজের পাশে দাঁড়িয়ে আগামিকাল, বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন‍্ধের  (Bangla Bandh) ডাক দিল বিজেপি (BJP)৷ মঙ্গলবার ছাত্রদের নবান্ন অভিযানে লাঠি চালায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। এরপরই বন‍্ধের ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই বন‍্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে৷ ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের দমনপীড়নের প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি বলে জানান সুকান্ত।

    বন‍্‍ধ সফল করার আহ্বান

    মঙ্গলবার দুপুরের সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, ‘‘আগামী পরশু থেকে আমরা ধর্না শুরু করব। এছাড়াও ছাত্র সমাজকে সব রকম আইনি ও মেডিক্যাল সাহায্য দেওয়ার জন্য আজ থেকে পুনরায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করছি আমরা। এখানে ফোন করে আপনারা যে কোনও রকম আইনি সহায়তা কিংবা পরামর্শ চালাতে পারেন। আসুন, আগামী ৩০ অগাস্ট আমাদের মহিলা মোর্চার ডাকে সকল মহিলা, সকল মানুষ পথে নামুন। এই আন্দোলন বিজেপির নয়, এটা সমাজের আন্দোলন।’’

    বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘এই বন‍্‍ধকে (Bangla Bandh) সর্বাত্মক করুন৷ স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে বাংলাকে মুক্ত করুন৷ মানুষ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ করতে পারছেন না৷ এর প্রতিবাদ করতে, বাংলায় গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে, আগামিকালের বন‍্‍ধকে সবাই সফল করুন৷ শুধু বিজেপি কর্মীরা নন, সাধারণ মানুষের কাছে আমার আবেদন। ভেবে দেখুন, আজ আপনার পাশের বাড়ির ছেলের ওপর লাঠিচার্জ হয়েছে, কাল আপনার ছেলের ওপর হতে পারে। আজ পাশের বাড়ির ছেলের চাকরি বিক্রি করে দিয়েছে তৃণমূল নেতারা, কাল আপনার ছেলে চাকরি বিক্রি হবে। আজ আরজি করের বোনটি যেমন অত্যাচারিত হয়েছে কাল আপনার বাড়ির মেয়ের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই বন‍্‍ধকে সর্বাত্মক করুন। এটা স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারী সরকারের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করার বন‍্‍ধ।’’ 

    বাংলার গণতন্ত্র বিপন্ন

    এদিন সুকান্ত বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপরে কেন পুলিশ লাঠি চালাল? কেন কাঁদানে গ্যাস ছুড়ল? এমনকী, মহিলা, বয়স্করাও ছাড় পায়নি। কোথাও পুলিশ লাঠি চালানোর আগে কেউ পাথর ছোড়েনি। কেমিক্যাল মেশানো জল স্প্রে করা হয়েছে এরকম অভিযোগও আমরা ছাত্রদের কাছ থেকে পাচ্ছি। এটা কী ধরণের আচরণ? বেকার যুবক – যুবতীরা কি বাংলায় জন্ম নিয়ে কোনও ভুল করেছেন? যে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতায় থাকতে এত দমন পীড়ন করতে হয় তার আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। বাংলার মানুষকে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে।’’ বাংলার গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সুরক্ষা সমস্ত কিছু বিপন্ন। তা রক্ষা করতে বাংলার মানুষকে একজোট হওয়ার কথা বলে বিজেপি নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    Champai Soren: পদ্ম শিবিরে চললেন চম্পাই সোরেন, ভোটের আগে বিপাকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন ‘ঝাড়খণ্ডের বাঘ’ চম্পাই সোরেন (Champai Soren)। সোমবার রাতে এ খবর জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sharma)। এ বছরই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে চম্পাই গেরুয়া খাতায় নাম লেখালে ঝাড়খণ্ডে যে শাসক দল ঝড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) বিপাকে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে তিনি জানান, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

    চম্পাইকে সরতে হয় (Champai Soren)

    ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রবীণ নেতা চম্পাই। ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন। তখনই হেমন্তর স্ত্রীকে ওই পদে না বসিয়ে বসানো হয় চম্পাইকে। হেমন্ত জামিন পাওয়ার পর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য করা হয় চম্পাইকে। তখন থেকেই জেএমএম-এর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে চম্পাইয়ের (Champai Soren)। তাঁর অভিযোগ, দলের নেতারা তাঁকে অসম্মান করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই থেকে দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছিল চম্পাইয়ের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চম্পাইয়ের সেই ক্ষোভকেই কাজে লাগাল গেরুয়া শিবির।

    কবে যোগ চম্পাইয়ের?

    দিন কয়েক আগে ক্ষুব্ধ চম্পাই জানিয়েছিলেন, নতুন দল গঠন করছেন তিনি। বছর সাতষট্টির চম্পাই কবে নয়া দল গড়বেন, তা নিয়ে জল্পনার আবহেই সোমবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Himanta Biswa Sharma) বলেন, “আমি চাই চম্পাই সোরেন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিন। আমাদের দলকে আরও শক্তিশালী করুন।” সোমবার রাতে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন চম্পাই। তার পরেই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি। শাহের সঙ্গে বৈঠকের ছবি পোস্ট করে হিমন্ত লেখেন, ‘‘কিছুক্ষণ আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আদিবাসী নেতা চম্পাই সোরেন। ৩০ অগাস্ট রাঁচিতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন বিজেপিতে (BJP)।” এ ব্যাপারে অবশ্য চম্পইয়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: ‘‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমন নয়’’, মমতাকে সুপ্রিম-নির্দেশ মনে করালেন রাজ্যপাল

    প্রসঙ্গত, ঝড়খণ্ডের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বাবা শিবু সোরেনকে রাজনৈতিক ‘গুরু’ বলে মনে (Himanta Biswa Sharma) করেন চম্পাই। সেই ‘গুরু-পুত্র’র সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই চম্পাই (Champai Soren) নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া (BJP) খাতায়। তাও আবার এমন একটা সময়, যখন শিবু-হেমন্তের রাজ্যে দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    Nabanna Abhijan: ‘ছাত্র সমাজের’ নবান্ন অভিযানকে সমর্থন বিজেপির, জানিয়ে দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন। আন্দোলনে সামিল হয়েছে স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারা। এই আবহের মধ্যে এবার নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। নিজেদের অরাজনৈতিক বলেই দাবি করেছে তারা। তবে, কোনও রাজনৈতিক দল চাইলেই সমর্থন করতে পারে তাদের কর্মসূচিকে। ছাত্র সমাজের ডাকে সাড়া দিয়ে বিজেপি এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। এরমধ্যে আবার ২৭ অগাস্ট যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে, তাতে রাজনীতির রং লাগছে বলে এদিনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশের কর্তারা। যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত? (Nabanna Abhijan)

    এমনিতেই সিপিএম প্রথম থেকেই জানিয়ে দিয়েছে, তারা এই কর্মসূচিতে নেই। তবে, অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, ছাত্রদের অধিকার আছে যে পথেই হোক প্রতিবাদ করার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনকে (Nabanna Abhijan) দেখে ভয় পেয়েছেন। তাই মেঘের আড়ালে লুকিয়ে তির চালাচ্ছেন। সামনে এসে লড়ার সৎ সাহস নেই, পুলিশকে সামনে রেখে এসব অভিযোগ করছে। নবান্ন অভিযান কর্মসূচির আমরা উদ্যোক্তা না হলেও আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে।” এদিন সুকান্ত দাবি করেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে সীমান্তে যত না ব্যারিকেড করা হবে, তার থেকে বেশি ব্যারিকেড রাজ্য পুলিশ দিচ্ছে। ভয়ের বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ, তৃণমূল একইসুরে কথা বলছে। উভয়ই বলছে, অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হবে। তাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে। আইজি আইনশৃঙ্খলা তো আইজি বেআইন ও উচ্ছৃঙ্খলায় পরিণত হয়েছে। পুলিশ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছে।”

    আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ক্রমশ ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ, জন্মাষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে

    ‘নবান্ন অভিযানকে ঘিরে কাঁপছে সরকার’

    এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “এই নবান্ন অভিযানকে (Nabanna Abhijan) ঘিরে সরকার কাঁপছে। বলেন, আসলে পুলিশ ভয় পাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোনও বাধা দেওয়া চলবে না। যেভাবে রাত দখলে রাত দখলে লাখ লাখ মানুষ নেমে পড়েছিল, ঠিক সেই ভাবেই এখানেও মানুষ নামবে। আর তাই সিপিএমের একটা অংশ, পুলিশ এবং তৃণমূল মিলে বোঝাতে চাইছে, এটা এবিভিপি, এটা বিজেপি। আরে বিজেপি হোক, এবিভিপি হোক সমস্ত সাধারণ মানুষ, যাই রাজনৈতিক পরিচয় হোক না কেন, তাঁরা একসঙ্গে নামবে। মাথায় রাখবেন বাঙাল-ঘটি মিশে গেছে।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের অভিযোগ, সোশাল মিডিয়ায় লোক খেপিয়ে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভয়া’র সৎকারের পর সরকারি রেজিস্টারে পরিবারের সই নেই কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অভয়া’র সৎকারের পর সরকারি রেজিস্টারে পরিবারের সই নেই কেন? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Rape-Murder) নির্যাতিতার দাহ খরচ সংক্রান্ত রেজিস্টারে স্বাক্ষর পরিবারের কারোর নয়। ঠিক এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাধারণত শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করার পর পরিবারকেই স্বাক্ষর করে টাকা জমা দিতে হয়। কিন্তু অভয়ার ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। এই দাহ কাজে তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পুলিশের ভূমিকা অতি সক্রিয় বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, সবটাই সন্দেহের বাইরে নয়। একই ভাবে তিনি আক্রমণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও।

    ঠিক কী বললেন শুভন্দু (Suvendu Adhikari)?

    হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচীতে যোগদান করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, “ঘটনার দিন নির্যাতিতার (RG Kar Rape-Murder) দেহকে তড়িঘড়ি করে শ্মশানে সৎকার করা হয়েছে। এই কাজে যারা উপস্থিত ছিল তারা কেউ এলাকার লোক নয়। শেষকৃত্যের খরচ মৃত চিকিৎসকের পরিবার দেয়নি। তাহলে দিল কে? দাহের কাজ শেষ করার পর যেসব সরকারি খাতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে, সেখানেও কোনও বাড়ির লোকের স্বাক্ষর ছিল না। তাহলে সরকারি রেজিস্টারে সই কে করল?”

    আরও পড়ুনঃ ‘মর্গে পানশালা, দেহ ঘিরে দালাল চক্র’! বিস্ফোরক আরজি করের প্রাক্তন কর্মী

    প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা সন্দেহজনক!

    উল্লেখ্য, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মৃতদেহের সৎকার নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, “সেই রাতে শ্মশানে আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। চিকিৎসকের (RG Kar Rape-Murder) দেহ দাহ হয় বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের আরও দুইজন আইসিও। সম্পূর্ণ ঘটনায় নজর রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি।” ফলে রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত সক্রিয় ভাবে দাহকাজে পুলিশকে ব্যবহার করেছেন বলে ইঙ্গিত করেছেন। ঘটনার দিন থেকেই ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়কে ধামাচাপা দিতে চাইছে পুলিশ, এমন অভিযোগে বিজেপি সরব হয়েছে বার বার। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা পুলিশের কাছে থেকে সিবিআইকে দেওয়া হয়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন, ১৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

    Jammu Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন, ১৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের জন্য  ১৫ প্রার্থীর সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। ১৫ জন প্রার্থীর এই সংশোধিত তালিকায় ১০ জন মুসলিম। রয়েছেন একজন মহিলাও। এর আগে, সোমবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে (J&K Assembly polls) ৪৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল বিজেপি। তবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করে ১৫ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপি সূত্রের খবর, তালিকায় কিছু ভুলভ্রান্তি থাকায় পুরনো তালিকা প্রত্যাহার করে নয়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    কেন প্রার্থী তালিকা প্রত্যাহার 

    প্রথম প্রার্থী তালিকায় ৯০ সদস্যবিশিষ্ট বিধানসভা (Jammu Kashmir) ভোটে মোট ৪৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রথম দফার ভোটের ১৫ জন, দ্বিতীয় দফার ১০ এবং তৃতীয় দফার ১৯ জনের নাম ছিল এই তালিকায়। কয়েক ঘণ্টা পর ফের নতুন করে একটি তালিকা প্রকাশ করে দল। তাতে প্রথম দফার ভোটের জন্য মাত্র ১৫ জনের নাম রয়েছে। তালিকায় নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিংয়ের ভাই দেবেন্দ্র রানা। রানা সম্প্রতি আবদুল্লা পরিবারের ন্যাশনাল কনফারেন্স থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। কেন প্রার্থী তালিকা প্রত্যাহার করা হল? বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, প্রথম তালিকায় প্রথম দফার ভোটের নাম ঘোষণার কথা ছিল। ভুল করে তিনটি তালিকায় একসঙ্গে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তাই তা প্রত্যাহার করা হয়।

    রাজ্যের মর্যাদা দাবি

    প্রায় এক দশক পর জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) বিধানসভা ভোট। ১৯ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর-মোট তিন ধাপে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনের ফল প্রকাশ হবে ৪ অক্টোবর। কাশ্মীরে শেষ বিধানসভা (J&K Assembly polls) ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন পিডিপি এবং বিজেপি জোট বেঁধে ভোটে জিতে সরকার গঠন করেছিল। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে, সে নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ বছরের লোকসভা ভোটের প্রচারে জম্মুতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করেছিলেন, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের মর্যাদাও ফেরানো হবে। উল্লেখ্য, ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় কাশ্মীরে রয়েছে ৪৭টি আসন বাকি ৪৩টি আসন রয়েছে জম্মুতে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share