Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: “দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়, তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়, তত্ত্বাবধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। সম্পূর্ণ তত্ত্ববাধানে ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক।” ঠিক এই অভিযোগ করে আরজি কর হত্যাকাণ্ডের ধামাচাপা দেওয়ার প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় গোটা দেশ এখন ক্ষোভে ফুঁসছে। পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। মৃতার বাবা-মাও পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ছাত্রসমাজ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন মাঠে ময়দানে, রাস্তায় নেমে ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন করছেন।

    ঠিক কী বলেলন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সামজিক মাধ্যমে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “শ্মশানে গোটা অপারেশন হয়েছে পুলিশের নির্দেশনায়। অতি দ্রুততার সঙ্গে দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। মমতার নির্দেশে ঘটনাস্থলে ছিলেন পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ। মহিলা চিকিৎসকের দেহ দাহ করা হয় ব্যরাকপুর কমিশনারেট এলাকায় অথচ আশ্চর্য জনক ভাবে দেখা যায় বিষয়টির পরিচালনা করেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের দুই আইসি। সম্পূর্ণ ঘটনায় নজর রেখেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক। আর তাহলেই ধামাচাপা দেওয়ার বিষয় প্রকাশ্যে সামনে আসবে।” ঠিক এই ভাবেই তৃণমূল সরকার এবং পুলিশকে নিশানা করে সিবিআইকে দ্রুত তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

    পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল!

    একইভাবে তড়িঘড়ি দাহ করা নিয়ে মুখ খুলেছেন নির্যাতিতা মহিলার বাবা-মা। মৃত ডাক্তারের বাবা-মা বলেন, মেয়ের সৎকারের সময় পুলিশ একটা চাপ তৈরি করেছিল। রাস্তায় জ্যাম ছিল, ধীরে ধীরে গাড়ি চলছিল। কিন্তু পুলিশ গাড়ির চালককে তাড়া দিচ্ছিলেন। প্রায় ৫০ কিমি বেগে শববাহী গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “কীভাবে শ্মাশানঘাটে আগে থেকে লাইন দেওয়া দুটি মৃতদেহ পেরিয়ে দাহ করে দেওয়া হল নির্যাতিতার দেহ, কেন এতো তাড়াহুড়ো?” উল্লেখ্য একইভাবে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঘোলা থানা পর্যন্ত বিশাল পদযাত্রা করে প্রতিবাদ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিং, কৌস্তভ বাগচি। এই পদযাত্রা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি আরও জারালো করেন। এরপর ধর্নামঞ্চে যান তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    BJP: আরজি কর ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির থানা ঘেরাও, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) ইস্যুতে বিজেপির (BJP) ডাকে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছিল। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের পর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এদিন রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। অনেক জায়গায় পুলিশ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

    নন্দীগ্রামে উত্তেজনা (BJP)

    থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয় নন্দীগ্রামে। জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম থানায় ডেপুটেশন দিতে যান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের তরফে বলা হয়েছিল, তারা একটি নির্দিষ্ট প্রতিনিধি দলকে থানায় প্রবেশের অনুমতি দেবে। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের দাবি ছিল, তাঁরা সকলেই থানার ভিতরে ঢুকবেন। এরপর নন্দীগ্রাম থানার গেটের কাছে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের পুলিশ আটকে দেয়। তারপরই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তুমুল বচসা। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। পরে বিজেপি (BJP) কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে নন্দীগ্রাম থানার সামনে বিক্ষোভও দেখান। পরে অবশ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল থানায় ডেপুটেশন জমা দেয়।

    আরও পড়ুন: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    ঘোলায় ব্যারিকেড ভাঙল বিজেপি

    এদিন ঘোলা থানায় বিজেপির কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেন। বিজেপি (BJP) কর্মীদের আটকাতে থানার অনেকটা আগে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে। কিন্তু, বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে থানার দিকে এগিয়ে যান। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা।

    মেদিনীপুরে বিক্ষোভ মিছিলে দিলীপ ঘোষ

    মেদিনীপুরে বিজেপির (BJP) থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও শেষ পর্যন্ত থানা ঘেরাও না করে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। সন্দীপ ঘোষের বয়ানে অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। ডাক্তার, প্রিন্সিপালও বাঁচাতে পারবেন না। এই নিয়ে অনেকবার রাস্তায় হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আর তাঁকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। একাধিক কারণে গ্রাম ও শহরের মানুষের জমে থাকা ক্ষোভ চোখে পড়ছে। তাই উকিল, ডাক্তার, সাধারণ মানুষ সকলেই প্রতিবাদে নেমেছেন। এর জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”

    টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ

    নন্দীগ্রাম, ঘোলা, মেদিনীপুরের পাশাপাশি কাঁকসা থানা ঘেরাও করে বিজেপি। কাঁকসার হাটতলা থেকে মিছিল করে আসে বিজেপি কর্মীরা, থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। থানায় ঢুকে ডেপুটেশন জমা দেয়। মাথাভাঙ্গা থানা ঘেরাও নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। মাটিগাড়ায় বিজেপি থানা ঘেরাও করে। থানার সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানার সামনে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান।

    পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি

    চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে মিছিল করে চুঁচুড়া থানার সামনে বিজেপি কর্মীরা যেতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পশ্চিম বর্ধমানের বারাবানি থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। নিউ জলপাইগুড়ি থানা করেন অবরোধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়লেন বিজেপি সমর্থকরা। এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্য দিকে, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বীরভূমের সিউড়ির চৈতালি মোড়ে এদিন থেকে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করল বিজেপি। নেতৃত্বে বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের কড়া শাস্তি চেয়ে এদিন মিছিল করেন সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং অধ্যাপকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পুলিশি বাধা, আজ রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও করবে বিজেপি

    BJP: স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে পুলিশি বাধা, আজ রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয় তাদের নেতা-কর্মীদের। এরই প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে রাজ্য জুড়ে সমস্ত থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিজেপি। গতকালই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, রাজ্য জুড়ে সমস্ত থানার সামনে আন্দোলনের কর্মসূচির কথা। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘পুলিশের মনে হয়েছিল পরিস্থিতি অশান্ত হবে। আমাদের কর্মীরা ভ‍্যান ভাঙবে, জ্বালাবে। সেই জন‍্য ৩০ মিনিট বসিয়ে রেখেছিল। ওদের পরিকল্পনা সফল হয়নি।’’ প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য ভবন অভিযান শুরু হতেই আটক করা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। সন্ধ্যার আগে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতার সঙ্গে ছিলেন ৪৫ জন কর্মী। বৃহস্পতিবার থানা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, পুলিশ বর্বরোচিত আক্রমণ করেছে। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানায় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি (BJP)।

    নবান্ন অভিযান রুখতে আদালতে রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন দাবি শুভেন্দুর (BJP) 

    অন্যদিকে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফ থেকে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্য় সরকার এই অভিযান রুখতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য সরকারের আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তই বুঝিয়ে দিচ্ছে আরজি কর ইস্যুতে (RG kar Incident) ঠিক কতটা চাপে রয়েছে তারা। এ প্রসঙ্গে মমতা সরকারকে চরম কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবারই  শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন তাই আদালতে দ্বারস্থ হয়েছেন। আমাদের ক্লিয়ার স্ট্যান্ড, পতাকা ছাড়া যারা এই ইস্যুতে (RG kar Incident) যে কোনও আন্দোলনে নামবেন তাদের পাশে বিজেপি আছে।’’

    ‘নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম, আবার হারাব

    বিগত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও তিনি (BJP) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমি দলের কাছে আবেদন করব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন্দ্র থেকে দাঁড়াবেন আমাকে যেন সেই কেন্দ্রেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়। নন্দীগ্রামে হারিয়েছিলাম। আবার হারাব।’’
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি’র স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে তুলকালাম সল্টলেকে, ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন কর্মীরা

    BJP: বিজেপি’র স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে তুলকালাম সল্টলেকে, ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান কর্মসূচিতে বিজেপির মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল সল্টলেকে (Salt Lake)। বৃহস্পতিবার দুপুরে হিডকো থেকে বিজেপির (BJP) মিছিল শুরু হয়। গন্তব্য ছিল স্বাস্থ্য ভবন। মিছিলে পা মেলান সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিং, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরী, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষ, হিরণ চট্টোপাধ্যায়রা। মিছিল কিছুটা এগোতেই স্বাস্থ্য ভবনের ৪ কিলোমিটার আগেই বিজেপি কর্মীদের পুলিশ বাধা দেয়। ফলে, পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা স্বাস্থ্য ভবনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এরই মাঝে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে একটি প্রিজন ভ্যানে পুলিশ তুলে নেয়। এই ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। ওই ভ্যানও আটকে দেন ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে, মিছিল নিয়ে এগতে থাকলে অর্জুন সিং সহ বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয়। এদিন বিজেপি কর্মীদের প্রবল বিক্ষোভের সামনে পুলিশকে অনেক সময়ই অসহায় মনে হয়েছে। তারা লাঠি উঁচিয়ে বার বার তেড়ে গেলেও একরোখা বিজেপি কর্মীদের মনোবলে এতটুকু চিড় ধরাতে পারেনি।

    শুভেন্দুকে আটক করতেই প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ (BJP)

    পূর্ব ঘোষণা মতো বৃহস্পতিবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ রাজ্য বিজেপি নেতারা মিছিল নিয়ে রওনা দেন স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশে। কিন্তু,অনেক আগেই রাস্তার ওপরে ব্যারিকেড তৈরি করে রেখেছিল পুলিশ। উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কায় আগে থেকেই বিশাল পুলিশবাহিনীও মোতায়েন ছিল স্বাস্থ্য ভবন যাওয়ার পথে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে চার কিলোমিটার দূরেই বিজেপির মিছিল আটকে দিতে চেয়েছিল পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতেই পুলিশ আটকে দেয় করুণাময়ীর আগে ইন্দিরা ভবনের সামনে। কিন্তু একটার পর একটা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় মিছিল। পুলিশের ব্যারিকেড টপকে অনেক বিজেপি কর্মী স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে শুরু করেন। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, বিজেপি কর্মীদের বাধার কাছে পুলিশ পিছু হঠতে বাধ্য হয়।  মিছিল এগিয়ে যেতে থাকে। রাস্তার ওপরে আরও ব্যারিকেড ছিল। সেই সময়েই শুভেন্দু রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা প্রিজন ভ্যানের দিকে এগিয়ে যান। পুলিশ তাঁকে টেনে গাড়িতে তুলে দেয় বলে অভিযোগ। তাঁকে গাড়িতে তোলার পরেও মিছিল এগোতে থাকে। এর পরে বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পুলিশ আটক করে। তবে সুকান্ত পতাকা নিয়ে এগিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শমীককে তোলার সময়ে সুকান্তকেও গ্রেফতার করতে চায় পুলিশ। তবে, সেই সময় কর্মীরা ছিনিয়ে নেন সুকান্তকে। ঘটনার পর পরই সুকান্ত বলেন, “বাংলায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার একমাত্র সমাধান মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা। আর পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করতে হবে। সেই দাবিতেই এই অভিযান। বিচার না-পাওয়া পর্যন্ত পথেই থাকবে বিজেপি।”

    আরও পড়ুন: ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর ভয়! মিছিলে নেই, মেয়ের সঙ্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সৌরভের

    পুলিশকে ধাওয়া

    এদিন মিছিলে রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি হাঁটেন প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অর্জুন সিংহেরা। মিছিলে আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা প্রতীকী হাতকড়া, ফাঁসির দড়ি নিয়ে হাঁটেন। পুলিশের গাড়িতে বিরোধী দলনেতা-সহ কয়েক জন উঠে যাওয়ার পরেও নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের ভ্যানের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন। তবে খুব কম সময়ের মধ্যে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এর পরে অর্জুনকে প্রিজন ভ্যানে তুলতে গেলেও পুলিশকে ধাওয়া করে একদল বিজেপি কর্মী।  একের পর এক ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকে বিজেপির মিছিল।

    শুক্রবার রাজ্যজুড়ে থানায় বিক্ষোভ

    মিছিলের সামনে থাকেন সুকান্ত, দিলীপের সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। ব্যারিকেড ভেঙে স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে চাওয়া অনেক কর্মীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। অন্য দিকে, মিছিল এগোতে থাকে। পুলিশের গাড়িতে উঠেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রেফতার হওয়া কর্মীরা। অনেক বিজেপি কর্মী পুলিশের গাড়ির উপরে উঠেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তবে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিশাল পুলিশবাহিনী থাকায় বিজেপি কর্মীরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। এর পরে সুকান্ত, দিলীপরাও স্বাস্থ্য ভবন থেকে ২০০ মিটার দূরে রাস্তার ওপরে বসে পড়েন। পরে সেখানেই ছোট একটি সভা হয় বিজেপির। বক্তব্য রাখেন দিলীপ ও সুকান্ত। সুকান্ত বলেন, “পুলিশ অনেক বাধা দিলেও স্বাস্থ্য ভবনের প্রবেশ দ্বারে পৌঁছে গিয়ে সফল হয়েছে দলের অভিযান। রাজ্য সরকার এখনও আগুন নিয়ে খেলছে। কিন্তু এটা করে গেলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। আন্দোলন আরও তীব্র আকার নেবে। শুক্রবার রাজ্যের সর্বত্র সব থানায় বিক্ষোভ দেখাবে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir Assembly Election: ফের সক্রিয় রাজনীতিতে, ভূস্বর্গের ভোটে  বিজেপির দায়িত্বে রাম মাধব

    Jammu Kashmir Assembly Election: ফের সক্রিয় রাজনীতিতে, ভূস্বর্গের ভোটে  বিজেপির দায়িত্বে রাম মাধব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Jammu Kashmir Assembly Election) দলের নির্বাচনী ইনচার্জ নিযুক্ত হলেন সঙ্ঘ পরিবার ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা রাম মাধব (Ram Madhav)৷ তাঁর সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী ইনচার্জ হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডিও৷ তবে আসল ব্যক্তি রাম মাধবই, মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ৷ জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নেতার নাম মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে বিজেপি (BJP)।

    সঙ্ঘ পরিবার থেকে রাজনীতিতে

    ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে বিজেপির সঙ্গে সঙ্ঘ (RSS) পরিবারের সমন্বয় সাধন করার গুরুদায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল রাম মাধবের (Ram Madhav) কাঁধে৷ সেই বছরেই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে (Jammu Kashmir Assembly Election) রাম মাধবের নেতৃত্বে লড়াই করে বিজেপি জিতেছিল ২৫টি আসন৷ পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি আসন, ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি৷ রাম মাধবই পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতিকে বুঝিয়ে সুজিয়ে বিজেপির সঙ্গে পিডিপির ভোট পরবর্তী সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করিয়েছিলেন, জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মেহবুবা৷ তবে, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পর আরএসএস-র সেন্ট্রাল কমিটিতে যোগ দেন রাম মাধব। সংগঠনের দায়িত্ব সামলান। প্রায় পাঁচ বছর পরে আবার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন হল রাম মাধবের। জম্মু ও কাশ্মীরের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্বে বিজেপি-র প্রাক্তন জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডিকে দায়িত্বভার তুলে দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। পার্টির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং একটি বিবৃতি জারি করে সেই তথ্য জানিয়েছেন।

    উপত্যকায় পরিচিতি

    সূত্রের দাবি, উপত্যকার সবক’টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে রাম মাধবের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়৷ ১০ বছর আগে কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে (Jammu Kashmir Assembly Election) সাফল্যের পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি রাম মাধবকে৷ রাতারাতি দলের সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) পদে উত্তীর্ণ হন রাম মাধব (Ram Madhav)৷ এর পরে অসম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যেও বিজেপির জয়রথ দৌড়তে শুরু করেছিল রাম মাধবের রণকৌশলেই, দাবি বিজেপি সূত্রের৷ বস্তুত, তিনিই ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভা ভোটে বিজেপির (BJP) প্রার্থী নির্বাচন এবং প্রচার কৌশল নির্ধারণের মূল দায়িত্বে বলে দলীয় সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    BJP: দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার (JP Nadda) সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। ‘বিজেপিকে জানুন’ নামে একটি কর্মসূচিতে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন ওই দেশের প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি সম্প্রতি তিন দিনের সফরে এসেছেন ভারতে। নাড্ডা দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে অত্যন্ত আশা প্রকাশ করেছেন।

    ঠিক কী বললেন নাড্ডা (BJP)?

    বিজেপির (BJP) বিদেশ পর্যবেক্ষক বিজয় চৌথাইওয়ালে জানিয়েছেন, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এই বৈঠকে ওই দেশের শাসকদল ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে ‘বিজেপিকে জানুন’-এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে নাড্ডা (JP Nadda) নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে বলেন, “এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের শাসক দলের মধ্যে সম্পর্ককে শক্তিশালী করার ভাবনার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাই দাতো সেরি আনোয়ার বিন ইব্রাহিমের সঙ্গে দেখা করে বেশ সম্মানিত হয়েছি। আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক দল সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি বিনিময় করতে পেরেছি। দুই দেশ এবং দুই শাসক দলের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও গভীর ভাবে অধ্যায়ন করা সম্ভবপর হয়েছে। ভারত-মালয়েশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য, কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে।”

    আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশে ইউনূস জমানায় মুক্ত করে দেওয়া হল জঙ্গি নেতা রাহামানিকে

    শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আয়ুর্বেদ নিয়ে আলোচনা

    বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। গত এক দশকে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বেশ উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনার বিষয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। দুই দেশের শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আয়ুর্বেদ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। দুই নেতার মধ্যে মতবিনিময়ে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং পিপলস জাস্টিস পার্টির মধ্যে সহজতর সম্পর্ক নির্মাণে আলোচনা হয়েছে। দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অংশীদারিত্ব এবং পরস্পরের বোঝাপড়া গড়ার বিষয়ে ফলপ্রসূ মতবিনিময় হয়েছে। উল্লেখ্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কার্যকালের প্রথম সফরসূচি বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: দলীয় পতাকা ছাড়াই ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক, ‘ব্যক্তিগত’ভাবে অংশ নেবেন শুভেন্দু

    RG Kar: দলীয় পতাকা ছাড়াই ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক, ‘ব্যক্তিগত’ভাবে অংশ নেবেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হত্যাকাণ্ডে (RG Kar) ন্যায় বিচারের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য। আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন রাজ্যবাসী। কোনও রকম দলীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়া ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’-এর নামে ২৭ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ‘ব্যক্তিগত’ ভাবে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার শ্যামবাজার মোড়ে বিজেপি পাঁচদিনের জন্য ধর্না-বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে। একই ভাবে জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে নেমেছিলেন। কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সামাজিক সংগঠনও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তায় নেমেছে।

    ঠিক কী বললেন শুভেন্দু(RG Kar)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), একজন মহিলা চিকিৎসককে (RG Kar) ধর্ষণ করে খুনের প্রতিবাদে বলেন, “সব পরিবারের পক্ষ থেকে একজন করে এই আন্দোলনে যোগদান করুন। আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেখানে যাব। তবে এটা কোনও দলের আহ্বান নয়। সকলেই বুঝে গিয়েছেন, সব সমস্যার মাথা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলব, ২৬ তারিখের মধ্যে পদত্যাগ করুন, যাতে ২৭ তারিখে কোনও গুলি চালাতে না হয়।”

    আরও পড়ুনঃ টিএমসিপি-র জঙ্গি আন্দোলনে পদত্যাগ করলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য!

    বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্য

    আরজি করের (RG Kar) ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেছিল আরএসএস-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। কিন্তু স্বাস্থ্য ভবন যাওয়ার আগেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছিল। এরপর এবিভিপি এবং পুলিশের মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে, উভয় পক্ষের মধ্যে চলে সংঘর্ষ। ছাত্রদের দাবি, পুলিশ নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে। এরপর ২০ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একই ভাবে মহিলা ডাক্তার খুনের ঘটনায় পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিটে আন্দোলন হয়েছিল। অপর দিকে গড়িয়াহাটে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এবং যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ-র নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা করেছিলেন। ঠিক একই সময়ে আবার হাওড়া ব্রিজে বিজেপির পক্ষ থেকে পথ অবরোধ করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখানো হয়। তাতে পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এইভাবে দিকে দিকে ক্রমেই জোরদার হচ্ছে রাজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bjp: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি, আজ স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও

    Bjp: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি, আজ স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে বুধবার থেকেই শ্যামবাজারে বিজেপির (Bjp) পাঁচদিনের টানা ধর্না কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ বহস্পতিবার রয়েছে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান। জানা গিয়েছে, অভিযানের উদ্দেশে কর্মীদের জমায়েত হতে বলা হয়েছে দুপুর একটা নাগাদ উল্টোডাঙা হাডকো মোড়ে। স্বাস্থ্য ভবন অভিযানকে ঘিরে যে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটতে চলছে, তার আভাস সুকান্ত মজুমদার আগেই তাঁর বিবৃতিতে দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপির এই অভিযানে বৃহস্পতিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিতে চলেছে সল্টলেক, এমনটাই মনে করছেন কেউ কেউ। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক দীপক বর্মন মাধ্যমকে ফোনে বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য ভবন হল যাবতীয় দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা। হতে পারে নিহত চিকিৎসক জেনে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য ভবনের (RG Kar Incident) দুর্নীতির কথা, তাই প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল।’’ দীপকবাবু আরও জানিয়েছেন, কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলি থেকেই মূলত কর্মীরা আসবেন এই অভিযানে।

    কী বলছেন বিজেপি (Bjp) বিধায়ক অনুপ সাহা?

    অন্যদিকে দুবরাজপুরের বিজেপি (Bjp) বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ‘‘আরজি কর-কাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে স্বাস্থ্য ভবন। প্রথমে তারা খুনের ঘটনাকেও অস্বীকার করে। এই কারণে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। আমাদের একটাই দাবি। সেটা হল মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। তিনি পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীও বটে। এই দাবিতে আমরা লাগাতার আন্দোলন করছি। তারই অংশ হল স্বাস্থ্য ভবন অভিযান।’’ এই অভিযানে শুধু বিজেপি কর্মীরাই নন, অনেক সাধারণ মানুষও অংশ অংশগ্রহণ করবেন বলে দাবি অনুপ সাহার।

    আজ দ্বিতীয় দিনে বিজেপির (Bjp) ধর্না কর্মসূচি

    কয়েকদিন আগেই শ্যামবাজারে যেখানে বুধবার থেকে অবস্থান শুরু হচ্ছে সেখানে মঞ্চ বাঁধা হলে পুলিশ তা ভেঙে দেয়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই বিজেপি তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় অনড় থাকলে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বেশ কয়েকজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে আটক করা হয়েছিল। ‌এরপরই বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকে শ্যামবাজারে‌ ধর্না অবস্থান করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে আদালত মঙ্গলবার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয়। শ্যামবাজার এক নম্বর মেট্রো স্টেশন গেটের সামনে রাজ্য বিজেপির (Bjp) এই ধর্না অবস্থান প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের সময় ধর্না মঞ্চে কারা থাকবেন? এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক দীপক বর্মন জানান, বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী, প্রতাপ ব্যানার্জীর মতো দলের সিনিয়র নেতারা স্বাস্থ্যভবন অভিযানের সময় ধর্না মঞ্চ সামলাবেন।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আরজি করে সব তথ্য সাফ করে দিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘আরজি করে সব তথ্য সাফ করে দিয়েছেন মমতা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শ্যামবাজারে ধর্নায় বসেছে বিজেপি। ধর্নামঞ্চ থেকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রকাশ্যে আনলেন বিস্ফোরক তথ্য। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদে পাঁচ দিন ধরে বিজেপি-র ধর্না চলবে বলেও জানান তিনি। আগামিকাল স্বাস্থ্যভবন অভিযান রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে সরব হওয়ার দাবিও জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    ওষুধ পাচার চক্র জেনে যাওয়াতেই খুন! (Suvendu Adhikari)

    ধর্নামঞ্চ (RG Kar Protests) থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আরজি করের ঘটনায় শুধুমাত্র উপাচার্য বদল করা হয়নি, ভিসেরা, রক্তের নমুনাও পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আরজি করের ঘটনা একজনের কাজ নয়, একাধিক ব্যক্তি জড়িত। ওষুধ পাচার চক্রের কথা জেনে যাওয়াতেই নির্যাতিতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার পর মুছে দেওয়া হয়েছে সিসিটিভির ফুটেজ। ঘটনার রাতের রোস্টারও খাতা থেকে ছিঁড়ে ফেলে হয়েছে। চার-পাঁচ দিনে মমতা এবং তাঁর গুন্ডারা সব তথ্য সাফ করে দিয়েছে। মমতা অপকর্ম লুকোতে চাইছেন।’’

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে শ্যামবাজারে আজ থেকে ধর্না বিজেপির

    কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কল রেকর্ড পরীক্ষার দাবি

    সাধারণ মানুষের উদ্দেশে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যাঁকে সততার প্রতীক বলতেন, হাওয়াই চটির উল্লেখ হত, মা-মাটি-মানুষের পূজারিণী বলা হত, চরিত্রের উদাহরণ দেওয়া হত, কত শত বিশেষণ জুড়ত, আসলে প্রদীপের নীচের অন্ধকারটা প্রকাশিত হতে চলেছে। তদন্তকারী সংস্থা, সর্বোচ্চ আদালতের কাছে দাবি, অবিলম্বে কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েল, শ্যামাপদ দাস এবং সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নেওয়া হোক। চেক করা হোক ওঁদের কল রেকর্ড।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ঘটনার পর নির্যাতিতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, নির্যাতিতার মা-বাবা টাকা নেননি। জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা পুলিশের আচরণ ঠিক নয়। এক নয়, অনেকে যুক্ত। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’

    বামেদের আক্রমণ

    এদিন বামেদেরও আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বামপন্থীরা সাইনবোর্ড হয়ে গিয়েছে। ঘোলা জলে মাছ ধরতে চায়। সারা বছর ‘বিচার চাই’, ‘চোর ধরো’, ‘জেল ভরো’ বলবে, আর ভোটের সময় বলবে, ‘নো ভোট টু মোদি’, ‘নো ভোট টু বিজেপি’। এদের কাজ হচ্ছে, হিন্দু ভোট কাটো। চোর মমতা, ধর্ষকদের নেত্রী মমতা, খুনিদের নেত্রী মমতা, রাজ্যকে রসাতলে পাঠিয়ে দেওয়া মমতাকে ক্ষমতায় রাখার কাজটাই করে বামেরা। এই মাকু-সেকুদের থেকেও সাবধান থাকতে হবে। লোকসভা ভোটেও ১২টি আসন তৃণমূলকে উপহার দিয়েছে ওরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Bypolls: রাজ্যসভা উপনির্বাচন, ৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    Rajya Sabha Bypolls: রাজ্যসভা উপনির্বাচন, ৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভার ১২টি আসনে উপনির্বাচন (Rajya Sabha Bypolls) হবে। মঙ্গলবার তার মধ্যে ৯টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি (BJP)। এই ন’জনের মধ্যে রয়েছেন মমতাও। তবে ইনি বন্দ্যোপাধ্যায় নন, মহন্ত। মমতা মহন্ত। ওড়িশা থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। ২১ অগাস্ট মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১০ জনের। আর রাজ্যসভার দু’জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার পরে। তাই সব মিলিয়ে শূন্য হয়েছে ১২টি আসন। এর মধ্যে ঘোষণা করা হল ৯ পদ্ম-প্রার্থীর নাম।

    বিজেপির প্রার্থী তালিকায় কারা (Rajya Sabha Bypolls)

    জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টুকে প্রার্থী করা হয়েছে রাজস্থান থেকে। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে আগে কংগ্রেস ছেড়ে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। হেরে যাওয়ায় তাঁকে এবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজ্যসভায়। কারণ তিনি কেন্দ্রীয় রেল ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পমন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, ছ’মাসের মধ্যে সংসদের যে কোনও একটি কক্ষের সদস্য হতে হবে তাঁকে। মধ্যপ্রদেশ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে মৎস্য, পশুপালন ও ডেয়ারি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ কুরিয়েনকে। গুণা কেন্দ্র থেকে লোকসভায় গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন। সেই আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে কুরিয়েনকে। 

    তালিকায় আইনজীবী, জাঠ নেতা

    বিহার থেকে রাজ্যসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী মনন কুমার মিশ্র। ত্রিপুরা থেকে প্রার্থী করা হয়েছে রাজীব ভট্টাচার্যকে। হরিয়ানা থেকে প্রার্থী করা হয়েছে কংগ্রেস ছেড়ে আসা কিরণ চৌধুরীকে। মহারাষ্ট্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে ধৈর্যশীল পাটিলকে। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, রাজ্যসভার (Rajya Sabha Bypolls) একটি আসন ছেড়ে দেওয়া হবে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিকে। বিহারে যে দ্বিতীয় আসনটি খালি হবে, সেটা দেওয়া হবে জোট শরিক উপেন্দ্র কুশওয়াহাকে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অশান্তি, ভারতে ঢুকে পড়তে পারে জঙ্গিরা, আশঙ্কা প্রাক্তন কূটনীতিকের

    বিজেপির এই প্রার্থী তালিকায় যেমন রয়েছে ব্রাহ্মণ মুখ, তেমনি রয়েছেন জাঠ প্রার্থীও। কিরণ জাঠদের প্রতিনিধি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে অ্যান্টি-জাঠ সেন্টিমেন্ট কাজ করেছে। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হচ্ছে কিরণকে। অসম থেকে প্রার্থী করা হয়েছে (BJP) রামেশ্বর তেলিকে। প্রাক্তন এই মন্ত্রী অসমের টি-ট্রাইবের প্রতিনিধি (Rajya Sabha Bypolls)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share