Tag: bjp

bjp

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় স্থায়ী কর্মীদের বসিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল! নালিশ শুনলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় স্থায়ী কর্মীদের বসিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল! নালিশ শুনলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিজেপি করার ‘অপরাধে’ চালকলের স্থায়ী কর্মীদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই কাজ হারানো বিজেপি কর্মীরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছে নালিশও জানিয়েছেন। তৃণমূল কীভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে সেই বিষয়ও বিজেপি কর্মীরা তুলে ধরেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বর্ধমানে দলীয় কার্যালয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ‘ঘরছাড়া’দের সঙ্গে কথা বলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে ও সংলগ্ন এলাকাতেই বিজেপির দলীয় কর্মীরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়ে ‘ঘরছাড়া’ তাঁদের অনেকেই। তাঁদের সকলের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পরে, শুভেন্দু বলেন, “রায়না, জামালপুর, ভাতারের কিছু এলাকায় অভিযোগ শুনলাম। বর্ধমানের মতো ঐতিহ্যশালী শহরেও তৃণমূল অমানবিক। চালকলের যে সব কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকে, বিজেপি করার অপরাধে তাঁদের কর্মীদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমে জেলা চালকল সমিতিকে বিষয়টি জানিয়ে সুরাহার জন্য বলব। তাতে কাজ না হলে আইনের পথে আমাদের যেতেই হবে।” বিজেপির জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) অভিজিৎ তায়ের দাবি, “অন্তত ৮-১০ জন এমন অমানবিক ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি।” বর্ধমান রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, “এই ধরনের অভিযোগের কথা শুনিনি, জানাও নেই। আমাদের এ নিয়ে কোনও চিঠি দিলে নিশ্চিত ভাবে খোঁজ নেব।”

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, “বিজেপিই (BJP) ঘরছাড়াদের আটকে রাখছে। ঘরছাড়াদের নিয়ে দিলীপ আর শুভেন্দুর মধ্যে রাজনীতি হচ্ছে। আমরা তো বলেই দিয়েছি, একদম নির্দিষ্ট করে নাম-ঠিকানা দিয়ে আমাদের জানালে সবাইকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে দেব। বিজেপি করে বলে কারও কাজ গিয়েছে, সেটাও ঠিক নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J P Nadda: মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা, কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?

    J P Nadda: মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা, কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা নির্বাচিত হলেন। এর আগে এই পদে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা পিযুষ গোয়েল। তিনি এবার মুম্বাইয়ের একটি আসন থেকে জয়ী হয়ে লোকসভায় পৌঁছেছেন। এমতাবস্থায় রাজ্যসভায় বিজেপির প্রবীণ নেতা জে পি নাড্ডাকেই (J P Nadda) বিজেপি এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুতই তিনি দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিতে পারেন। ফলে তাঁর উত্তরাধিকারী কে হবেন তা নিয়ে এখন জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।  

    >

    মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা (J P Nadda)

    মনে করা হচ্ছে খুব দ্রুতই বিজেপি দল সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করতে পারে। যেহেতু বিজেপিতে এক ব্যক্তি এক পদের নীতি রয়েছে, সে কারণে সর্বভারতীয় সভাপতি এর দায়িত্বে অন্য কেউ আসবেন তা সময়ের অপেক্ষা। বিকল্প হিসেবে সুনীল বনসল, বিনোদ তাওড়ে, অনুরাগ ঠাকুর, রাজনাথ সিং সহ বেশ কয়েকজনের নাম চর্চায় রয়েছে। চলতি বছরেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সমেত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। তবে এমনও হতে পারে কিছুদিনের জন্য কেউ ভারপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন। পরবর্তীতে তাঁকে সম্পূর্ণ মেয়াদ ও নতুন কমিটির অধিকার দেওয়া হল।

    কে হবেন পরবর্তী সভাপতি (BJP)

    জে পি নাড্ডা সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার আগে অমিত শাহ এই দায়িত্বে ছিলেন। নাড্ডা (J P Nadda)  ২০২০ সালে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আসীন হন। বিগত কয়েক বছরে নাড্ডার গুরুত্ব দলে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের ভরসা রয়েছে তাঁর সঙ্গে। ফলে (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি মন্ত্রী হলেন এবং এবং একইসঙ্গে রাজ্যসভার দলনেতা। দলের অন্দরে নাড্ডার মর্যাদা ধরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে বিজেপি শিবিরের একাংশের মতে সঙ্ঘ শিবির চাইছে শিবরাজ সিং চৌহান, বা রাজনাথ সিংকে পার্টির দায়িত্ব দেওয়া হোক। যদিও মোদি ও অমিত শাহ শিবির অন্য কাউকে এই পদে দেখতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে।  

    আরও পড়ুন: গড়চিরৌলিতে মাওবাদ শেষের পথে, মাওবাদি দম্পতির আত্মসমর্পণ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) মথুরাপুরে। এই লোকসভার শ্রীধরনগরে শাসক দলের সন্ত্রাসে শম্ভু চরণ প্রধান নামে এক বিজেপি কর্মী পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া। বর্তমানে জয়নগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে আছেন ওই বিজেপি কর্মী। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার, কাকদ্বীপের এসডিপিওকে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের ফল বের হওয়ার পরই ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী শম্ভুচরণবাবু বলেন,”এলাকায় নিজেদের দাপট দেখাতেই তৃণমূলের লোকজন আমাদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। থানায় অভিযোগ জানানোর পর এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আমার কাছে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ওই পরিবার গ্রাম ছেড়েছি।” অভিযোগের তালিকায় নাম আছে গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ওসি চন্দন পণ্ডিত ও সিভিক ভলান্টিয়ার তাপস মাইতির। তারা নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ। সুন্দরবন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। 

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, এই ধরনের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। উল্টে লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি কর্মীরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে দেয়নি। এখন ভোটে হেরে গিয়ে এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ করছে। এসব করে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তিকে কখনও নষ্ট করা যাবে না। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার বিপ্লব নায়েক বলেন, শুধুমাত্র পাথরপ্রতিমা নয়, গোটা মথুরাপুর জুড়েই ভোটের পরে এই ভাবেই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুদিন আগেও কাকদ্বীপে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে মিথ্যে মামলা দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আইনের শাসন যাদের হাতে, সেই পুলিশ অফিসার এখন তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তারা বিজেপি কর্মীদেরকে ভয় দেখাচ্ছে। তৃণমূলের কথা না শুনলেই মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    Nadia: শান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক ভবন দখল করছে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ। এবার এই সরকারি ভবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রশাসনের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (বিডিও) দফতরকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ করল বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি। তৃণমূলের তরফ থেকে যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরে (Nadia)।

    সুকান্ত ভবন দখল করেছে তৃণমূল (Nadia)

    নদিয়ার শান্তিপুরের (Nadia) বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় “বিডিও অফিসে অবস্থিত সুকান্ত ভবন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে নদিয়া জেলা পরিষদ সেই ভবনটিকে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। যদিও ইলেকট্রিক বিল থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু ব্যয়ের অর্থ মেটাতে হয় পঞ্চায়েত সমিতিকেই। কিন্তু শাসক দল নিজেদের কাজে ব্যবহার করছে সরকারি ভবনকে।” ঘটনায় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সন্দীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, “আমার কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা পড়েছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।”

    পঞ্চায়েত সমিতির বক্তব্য

    এই ভবন অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার বেলা ১১টা থেকে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দফতর গেটের সামনে ধর্নায় বসেছে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। এই অবস্থান বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন শান্তিপুর (Nadia) পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “অবিলম্বে যদি এই ভবন পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে না ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে লাগাতার এই আন্দোলন চলবে। আমরা হাতে গুনে সাত দিন সময় দিলাম, আগামী সাত দিনের মধ্যে এই ভবন যদি ফিরিয়ে দেওয়া না হয়, তাহলে জোরপূর্বক দখল করার রাস্তা বেছে নেবো।” অন্যদিকে আন্দোলন চলাকালীন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও ঘন্টাখানেক ধরে চলে এই অবস্থান বিক্ষোভ।

    আরও পড়ুনঃ দিঘার সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে শুরু অবৈধ হকার উচ্ছেদ, জানাল প্রশাসন

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে এই যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল পরিচালিত নদিয়া (Nadia) জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্য এবং প্রাক্তন সভাধিপতি রিক্তা কুন্ডু বলেছেন, “সুকান্ত ভবন সংস্কারের জন্য এখনও কাজ চলছে, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কারণে কাজ বন্ধ ছিল, এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে ভবনটি সংস্কারের পরে আবার নতুন করে মানুষ পরিষেবা পাবেন। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি যে অভিযোগ করছেন সেটি সম্পন্ন ভিত্তিহীন, এখানে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই করছে না বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “বালুরঘাট থেকে ছুটবে দক্ষিণ ভারতের ট্রেন”, বড় আশ্বাস দিলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “বালুরঘাট থেকে ছুটবে দক্ষিণ ভারতের ট্রেন”, বড় আশ্বাস দিলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের ছেলে ভোটে জিতেছেন, হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মন্ত্রীসভায় জোড়া মন্ত্রক পেয়েছেন বালুরঘাটের দ্বিতীয় বারের বিজেপির সাংসদ। শিক্ষা মন্ত্রক ও উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মন্ত্রী হবার পর প্রথম  বালুরঘাট রেল স্টেশনের কাজ পরিদর্শন করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    বালুরঘাট-দক্ষিণ ভারত ট্রেন চলবে (Sukanta Majumdar)

    পরিদর্শনে এসে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “বালুরঘাট স্টেশনের কাজের অগ্রগতি কতটা হয়েছে তা খতিয়ে দেখলাম। যেসব জায়গাগুলিতে আমার অসুবিধা মনে হয়েছে, সেগুলি ডিআরএমকে এবং নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে জানাব। স্টেশন এখন অনেকটা সেজে উঠেছে। আরও কাজ হবে। লিফ্ট, চলমান সিঁড়ি লাগানোর কথা রয়েছে। আমিও তাড়া দেব যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলি হয়ে যায়।” তিনি আরও বলেন, “বালুরঘাট স্টেশনের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। স্টেশনটি অনেকটা সেজে উঠেছে। আমরা কথাবার্তা শুরু করেছি। আমরা খুবই আশাবাদী। বালুরঘাট থেকে দক্ষিণ ভারতে ট্রেন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, প্রত্যেকটি লাইনেই কোনও না কোনও ট্রেন আছে। এরজন্য পরিকাঠামো আরও বাড়াতে হবে। দক্ষিণ ভারতের ট্রেন এখান থেকে চালু করতে গেলে এখানে আরও দুটি রেক রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা হওয়ার পরই আমরা বালুরঘাট থেকে দক্ষিণ ভারতের ট্রেন চালাতে পারব। তাই, শুধুমাত্র তৃতীয় প্ল্যাটফর্ম নয়, আরও দুটি রেল ট্র্যাক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেগুলির কাজ শেষ হলেই বালুরঘাট থেকে ছুটবে দক্ষিণ ভারতের ট্রেন।

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    অনুপ দাস নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের দক্ষিণ ভারতের একটা ট্রেন দরকার। চিকিৎসা করাতে জেলার বেশিরভাগ মানুষ দক্ষিণ ভারতের দিকে যায়। কিন্তু, সেখানে যেতে দু-তিনটি ট্রেন পরিবর্তন করতে হয়। আমাদের সাংসদ যদি বালুরঘাট (Balurghat) থেকে দক্ষিণ ভারতের ট্রেন চালু করেন, তাহলে আমাদের খুব ভালো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    Nandigram: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram)। নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে বিজেপি। আর তারপরই একটি গন্ডগোলকে ইস্যুকে করে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nandigram)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামের (Nandigram) হরিপুরের প্রিয়ানগরী সমবায় সমিতিতে জানুয়ারি মাসের ২১ তারিখ ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তা হয়নি। পরে, কলকাতা হাইকোর্টে ২৫ মে ভোট করানোর নির্দেশ দিলেও পুলিশ যথেষ্ট বাহিনী না দিতে পারায় ফের তা পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত রবিবার এই সমবায়ে নির্বাচন ছিল। দুপুরে ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ১টি  আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। বিপুল সাফল্যের পর এবার বিজেপি কর্মীরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। এক বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে ওই এলাকায় গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগ তোলে তৃণমূল। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করলে বিজেপির অন্যান্য কর্মীরা পুলিশকে বাধা দেন। পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা বাধে। পরে, ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, লোকসভার পরে নন্দীগ্রামে (Nandigram) সমবায় নির্বাচনেও হার মেনে নিতে পারছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপি প্রার্থীদের জয় তাদের সহ্য হচ্ছে না। দলীয় কর্মীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। সেটা তৃণমূলের লোকজন মেনে নিতে না পেরে মিথ্যা বদনাম দিয়ে আমাদের কর্মীদের আনন্দ মাটি করার চেষ্টা করেছে। তাই, পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু, এভাবে  দমানো যাবে না। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ভোটে জয়লাভ করার পরই এলাকায় বিজেপি কর্মীরা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছিল। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। এতে, তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে ধরাশায়ী তৃণমূল, ব্যাপক জয় হাসিল করল বিজেপি

    Nandigram: নন্দীগ্রামে সমবায় ভোটে ধরাশায়ী তৃণমূল, ব্যাপক জয় হাসিল করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে তৃণমূলের বিজয় রথ এসে থমকে গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরে। তমলুক, কাঁথি দুই জায়গাতেই দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। উড়েছে গেরুয়া আবির। আর এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় নন্দীগ্রামে (Nandigram) ফের গেরুয়া ঝড়। তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে সমবায়ের ভোটে বিপুল জয় হাসিল করল বিজেপি।

    ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী বিজেপি (Nandigram)

    রবিবার নন্দীগ্রামের (Nandigram) হরিপুরে প্রিয়া নগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের ভোট ছিল। মোট ১২টি আসনে লড়াই। বিজেপি প্যানেলের পক্ষ থেকে ১২টি আসনে প্রার্থী দেয়। অন্যদিকে, তৃণমূল প্যানেলের পক্ষ থেকেও ১২টি আসনে প্রার্থী দেওয়া হয়। দুপক্ষই ভোটের আগে প্রচার করেছিল। এদিন কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। সমবায়ের ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছেন বিজেপি সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। তৃণমূল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা একটি আসনে জয়ী হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    আবির খেলে উচ্ছ্বাসে মাতলেন বিজেপি কর্মীরা

    লোকসভা ভোটের পর এদিনের সমবায় ভোটে কী ফল হয়, সেদিকে নজর ছিল জেলার রাজনৈতিক মহলের। নন্দীগ্রামের ১২টি আসনের এই প্রিয়া নগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে এই প্রথমবার  নির্বাচন হল। আর প্রথম বারেই ব্যাপকভাবে সাফল্য পেলেন গেরুয়া সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা। প্রসঙ্গত, সমবায় সমিতির ভোটগুলিতে কোনও রাজনৈতিক দল সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে না। অর্থাৎ, রাজনৈতিক দলগুলির প্রতীকে এখানে কোনও ভোট হয় না। তবে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দলেরই সমর্থিত প্যানেল থাকে সমবায় ভোটগুলির জন্য। রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশের মতে, এই সমবায় ভোটগুলি থেকে অনেক ক্ষেত্রেই এলাকায় রাজনীতির হাওয়া কোন দিকে, তার একটি আভাস পাওয়া যায়। এদিন ভোটে সাফল্য পাওয়ার পরই বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকরা আবির খেলায় মেতে ওঠেন। বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের বক্তব্য, এবারই প্রথম নির্বাচন হয় এই সমবায় সমিতিতে। তৃণমূল এই সমবায় সমিতি দখল করার জন্য বহু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, ভোটে এবারও তারা ধরাশায়ী হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”, তোপ অগ্নিমিত্রার

    Durgapur: “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”, তোপ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল শনিবার দুর্গাপুরে (Durgapur) তৃণমূল সমর্থক এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিল তৃণমূলের তিন নেতা। ঘটনায় মর্মাহত হয়ে আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আজ রবিবার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল মহিলাকে দেখতে গেলে গো ব্যাক স্লোগান দেয় এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এরপর ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই বিজেপি নেত্রী। তিনি বলেন, “মহিলা কর্মীকে তৃণমূলের নেতাদের কুপ্রস্তাব! দুর্গাপুর কি এখন সন্দেশখালি?”

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল (Durgapur)?

    ঘটনাস্থলে (Durgapur) বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল পৌঁছে ওঁই মহিলার খোঁজ নিতে যান। এরপর সব শুনে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দুর্গাপুরেও কি সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটছে? তৃণমূলের কাছে মহিলাদের কাছে সম্মান নেই। পুলিশকে আমরা জানিয়েছি। শেখ বিল্লি আর সুকুমার নামে দুই জনকে গ্রফতার করা হয়েছে। বাকি আরও দুজনকে পুলিশ খোঁজ করছে। তৃণমূলের রাজত্বে জুয়া, মদের আড্ডা পাড়ায় পাড়ায় গজে উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী যতই চেষ্টা করুন বিরোধী শূন্য করতে পারবেন না। তৃণমূলের নেতারা কুপ্রস্তাব দিয়ে দুর্গাপুরকে সন্দেশখালি করে দিয়েছেন। বিজেপি সব সময় পথে আছে। আগামী দিনে আন্দোলন আরও জোড়াল হবে।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    গত দুদিন আগে দুর্গাপুরে (Durgapur) তৃণমূলের সমর্থক এক মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, এলাকায় তৃণমূল নেতাদের মদের ঠেক চালানোর প্রতিবাদ করেছিলেন এই মহিলা। এরপর তাঁর স্বামীর ঠিকাদারের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল তৃণমূলের নেতারা। পুনরায় স্বামীকে আবার কাজে যুক্ত হতে গেলে ওঁই মহিলাকে এলাকার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সহবাস করতে হবে। ঠিক এরকম কুপ্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছিল। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওঁই মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা করেছে পুলিশ। যদিও বাকি দুজন এখনও গ্রেপ্তার হয়নি।

    আরও পড়ুনঃ “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দুর্গাপুরের (Durgapur) এই এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য অভিযোগ, “এখানে যে ঘটনা ঘটেছে সে ঘটনার কোনও সত্যতা নেই। এখানে রাজনৈতিক ইস্যুকে খাড়া করতে অগ্নিমিত্রা এসেছেন। তাই এলাকাবাসী তাঁকে গো ব্যাক স্লোগান দিয়েছে।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “ভাইপো দুবার, মুখ্যমন্ত্রী চারবার এসেও বালুরঘাটে তৃণমূল হেরেছে”, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “ভাইপো দুবার, মুখ্যমন্ত্রী চারবার এসেও বালুরঘাটে তৃণমূল হেরেছে”, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি জিতে বসে আছি, আর কলকাতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) হেরে গিয়েছে।” প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর বালুরঘাটে ফিরেই সুকান্ত মজুমদার আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা বিপ্লব মিত্রকে হারায়নি, হারিয়েছি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। শুধু একবার হারাইনি। বালুরঘাট লোকসভা নির্বাচনের পুনরায় গণনাতেও হারিয়েছি তৃণমূলকে। তাই আমরা দু’দুবার হারিয়েছি বিপ্লব মিত্র এবং মুখ্যমন্ত্রীকে।” সুকান্তবাবু আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে হারানোর জন্য এই জেলায় চারবার এসেছিলেন, তারপরেও তিনি হেরে গিয়েছেন। ভাইপো দুবার এসেছিল। তারপরও এই আসনে মোদিজি জয়যুক্ত হয়েছেন। বালুরঘাটে তৃণমূল হেরেছে।”

    বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শন করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হবার পর রবিবার বালুরঘাট রেল স্টেশনের কাজ খতিয়ে দেখতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত, বালুরঘাট স্টেশন ঢেলে সাজানোর কাজ চলছে। ভোটের কারণে এতদিন তিনি সেখানে যেতে পারেননি। পরে, মন্ত্রী হওয়ার পর বালুরঘাট ফিরে স্টেশনের সার্বিক অবস্থা কেমন রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। পাশাপাশি এদিন বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আত্মবলিদান দিবস উদযাপন করা হয়। বালুরঘাটে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি স্থাপনের নির্দেশ দেন সুকান্ত মজুমদার।

    আরও পড়ুন: কাঁকসায় তৃণমূল সমর্থকের ছেলে জঙ্গি! গ্রেফতার করল এসটিএফ

    একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন সুকান্ত

    অন্যদিকে, এদিন একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেন সুকান্ত মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো এবার বিদ্যুতের বিল কমাতে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত  বলেন, “রাজ্য সরকারের অবস্থা খারাপ। বিদ্যুতের বিল দিতে পারছে না। বহু জায়গায় এই রকম অবস্থা। পুরসভাগুলি বিদ্যুৎ বিল দিতে না পারার জন্য আলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। যে কোনও দিন এই রাজ্য সরকার উল্টে পড়বে।” সবজি বাজার আকাশ ছোঁয়া, জিনিসপত্রের দাম অগ্নিমূল্য প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, দাম বৃদ্ধির পিছনে হয়তো তৃণমূলের তোলাবাজির রহস্য আছে। আমরা খুঁজছি। নিশ্চই পাওয়া যাবে। তৃণমূলের কে তোলাবাজি করছে। বেহাত হতে চলেছে রবীন্দ্র সরোবর। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, রবীন্দ্র সরোবর দখল করে তৃণমূল পারলে সেখানে ফ্লাট তুলে দেবে। এখন সেটা তুলতে পারেনি এইটা আমাদের সৌভাগ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন, তা শ্যামাপ্রসাদের জন্যই”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির আত্মবলিদান দিবস পালন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই দিন পশ্চিমবঙ্গ দিবসও পালন করা হয়েছে বহরমপুরে। এদিন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, “শ্যামপ্রসাদ খণ্ডিত বাংলা চাননি, অখণ্ড ভারতের জন্য লড়াই করেছিলেন।” তাঁর সঙ্গে আরও একাধিক জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।

    কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

    এদিন বহরমপুরে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির মূর্তিতে ম্যালদান ও রাষ্ট্রীয় সঙ্গীতের পাশাপাশি বক্তৃতা রাখেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা সংগঠনের সভাপতি শাখারভ সরকার, কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সদস্যা মহাফুজা খাতুন সহ একাধিক বিজেপির কার্যকর্তা। দিলীপ ঘোষ সভায় বলেন, “শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় খণ্ডিত বাংলা চাননি। তিনি অখণ্ড ভারতের জন্য সংগ্রাম, করেছিলেন। এক দেশ, এক নিশান ও এক প্রধান নিয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালের ২০ শে জুন হিন্দু বাঙালির জন্য হোমল্যান্ড চেয়ে ছিলেন বাংলার বিধানসভাতে। এরপর জিন্নাহের প্রস্তাবিত পাকিস্তান থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ছিনিয়ে নেন। আমরা যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি তা হল শ্যামপ্রসাদের জন্য, আজ যে বাংলায় মমতা রাজত্ব করছেন তাও শ্যামাপ্রসাদের জন্যই। তাই তাঁকে ভুলে গেলে আমাদের চলবে না। বামপন্থী এবং তৃণমূল সব সময় চেষ্টা করছেন বাংলার এই মহাপুরুষকে ভুলিয়ে দিতে। কিন্তু জাতীয়তাবাদী মানুষ এই অপচেষ্টাকে রুখে দেবেন।”

    আরও পড়ুনঃ অয়নের মহাকাশ গবেষণায় বিরাট সাফল্য, বাঁকুড়া থেকে আমেরিকায় পাড়ি

    আর কী বললেন?

    দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) এদিন আরও বলেন, “বাংলার পিছিয়ে থাকা জেলাগুলির মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা অন্যতম জেলা। সিএএ আইন পাশের পর সবথেকে বেশি হিংসা হয়েছে এই জেলায়। বেলডাঙ্গা স্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হাজার দুয়ারি এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কোনও বিচার হয়নি। এই রাজ্যে রাষ্ট্রবিরোধী সরকার প্রবল হয়ে উঠছে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। জাতীয়তাবাদী মানুষদের বাড়িতে বাড়িতে বেশি করে যেতে হবে। সকলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসতে হবে। গত নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শক্তি বনাম দেশ বিরোধী শক্তির লড়াই হয়েছে। তবুও বিজেপির সমতুল্য হতে পারেনি।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share