Tag: bjp

bjp

  • Election Result 2024: পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    Election Result 2024: পূর্ব মেদিনীপুরের মুসলিম অধ্যষিত অঞ্চলেও লিড দিয়ে বাজিমাত বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ২টি লোকসভা কেন্দ্র কাঁথি এবং তমলুকে ভোটের ফলাফলে (Election Result 2024) ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ১৫টিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। একই ভাবে নন্দীগ্রামে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ফলে ২০২১ সালে তৃণমূলের জয়ী হওয়া বিধানসভাগুলিতে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কার্যত শুভেন্দু ম্যাজিকে বাজিমাত করেছে বিজেপি।

    ৩০ শতাংশ মুসলমান এলাকায় এগিয়ে বিজেপি (Election Result 2024)

    ২০২১ সালে তৃতীয় বারের জন্য বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্রে এই নির্বাচনে জয় ধরে রেখে ব্যাপক ভাবে সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। কিন্তু দুটিতে হারের মুখ দেখতে হয়েছে তৃণমূলকে। তমলুকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন প্রায় ৭৮ হাজার ভোটে। আবার কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন প্রায় ৪৮ হাজার ভোটে। একই ভাবে মুসলমান অধ্যষিত বিধানসভাগুলিতে লিড পেয়েছে বিজেপি। কোলাঘাটে ৩০ শতাংশ মুসলমান রয়েছে, সেখানেও এবার বিজেপি ২৭১১ ভোটে এগিয়ে (Election Result 2024) গিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, মুসলিম এলাকাগুলিতেও শুভেন্দু অধিকারীর বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে বরাবর তাঁর উপর আস্থা রেখেছেন জনসাধারণ। মুসলমান সমাজের উন্নয়ন নিয়ে মমতা সরকারের দুর্নীতির কথাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরেছিলেন তিনি। একই ভাবে মসজিদের ইমাম ও মুসলমান সমাজের মুরুব্বিদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যকে এগিয়ে নিতে গেলে বিজেপিকে কেন গ্রহণ (Election Result 2024) করা উচিত, সেই দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃবিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কোলাঘাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী নিজের বুথে হেরেছেন। তিনি বলেছেন, “গোটা জেলাতেই তৃণমূলের ফল (Election Result 2024) অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। কেন এই রকম ফলাফল হল তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমি নিশ্চিত আমাদের সাংগঠনিক ভাবে দুর্বলতা ছিল। কিছু লোক বিজেপির হয়ে কাজ করেছে নির্বাচনে। আমরা পর্যালোচনা করে জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটেও ধরাশায়ী তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা সরকারি কর্মীদের

    Election Result 2024: উত্তরবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটেও ধরাশায়ী তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের থেকে বেতন, ডিএ অনেক কম পান রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তা নিয়ে ভোটের আগে বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে সেই ক্ষোভের আঁচ ধরা পড়েনি। কারণ, দক্ষিণবঙ্গে সরকারি কর্মীরা শাসক দলের ওপর আস্থা রেখেছেন। পোস্টাল ব্যালটে তার প্রমাণ মিলেছে। বিজেপির থেকে অনেক বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। তবে, উত্তরবঙ্গের সরকারি কর্মীরা তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। সেখানকার সরকারি কর্মীদের আস্থা রয়েছে বিজেপির ওপর। ভোটের ফল (Election Result 2024) বের হওয়ার পর পোস্টাল ব্যালটের পরিসংখ্যান সেই কথা বলছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ ভোটারদের মতো উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রে স্থানীয় সরকারি কর্মীদের মন যে পায়নি, তা পরিষ্কার। কোচবিহার থেকে বালুরঘাট পর্যন্ত এই আটটি কেন্দ্রে শাসক দলের চেয়ে সরকারি কর্মীদের ভোটের নিরিখে ভাল ভোট পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা।

    উত্তরবঙ্গে পোস্টাল ব্যালটে ধরাশায়ী তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা (Election Result 2024)

    কেন্দ্র এবং রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) বৈষম্যের জেরেই সরকারি কর্মীরা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বেতন বৈষম্য, পদোন্নতি, পোস্টিং নিয়েও দলের অন্দরে নানা বক্তব্য রয়েছে। সংগঠনের মধ্যে মতানৈক্য, বিভেদ, গোষ্ঠী রয়েছেই। তাতে শাসক দলের সংগঠন যতটা শক্তিশালী থাকার কথা, তা হচ্ছে না। রাজ্য সরকারের কর্মীদের একটা বড় অংশ যুক্ত থাকেন ভোট-প্রক্রিয়ার সঙ্গে। ভোট দেন পোস্টাল ব্যালটে। ভোটের আগে বিরোধীর মুখে বার বার ফিরে এসেছে ডিএ নিয়ে বঞ্চনার বিষয়টি। দেড় বছর পরে রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেখানে উত্তরবঙ্গের সরকারি কর্মীরা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তৃণমূল নেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, প্রায় ৩৮,৬৪৮ পোস্টাল ব্যালটের ভোট পড়েছে। এগুলোর অধিকাংশই বা কিছু ক্ষেত্রে সবই সরকারি কর্মীদের ভোট। ভোটের ফল (Election Result 2024) বের হওয়ার পর দেখা যায়, তাতে বিজেপি সাড়ে ২২ হাজার ৪২৫টি ভোট পেয়েছে। তৃণমূলের সংখ্যা ১৬ হাজার ২২৩টি ভোট।

    আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির নেতার কী বক্তব্য?

     তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য গৌতম দেব বলেন, “দলের তরফে পর্যালোচনা হবে। দলের ফলে কোথায়, কী হয়েছে, তা সবই খতিয়ে দেখা হবে।”সরকারি ফেডারেশনের অনেক নেতাই মনে করছেন, সরকারি কর্মীদের ভোট (Election Result 2024) শুধু পোস্টাল ব্যালটে নয়, তাঁদের পরিবারের ভোটেও প্রভাব ফেলেছে তা ধরেই নেওয়া যেতে পারে। আগামী বিধানসভার আগে এই পরিস্থিতি না বদল হলে, শাসকের বিরুদ্ধেই যে সরকারি কর্মীদের ভোট পড়বে তা স্বাভাবিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    Post Poll Violence: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরে যুক্ত ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার বাবা-ভাইকে মারধরের (Post Poll Violence) ঘটনায় ৮ তৃণমূল দুষ্কৃতীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিউড়ি আদালত। গত বৃহস্পতিবার, তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে এক বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের গুন্ডারা। হামলার সঙ্গে চলে ব্যাপক ভাবে বাড়ি ভাঙচুর। সেই সঙ্গে বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনের উপর করা হয় অত্যাচার। ঘটনা ঘটেছিল বীরভূমের সদাইপুরের সাহাপুরে।

    বিজেপির বক্তব্য (Post Poll Violence)

    স্থানীয় বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরেই শুরু হয় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence)। বীরভূম বিজেপি নেতা দেবব্রত ঘোষের বাবা এবং ভাইকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডারা। দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই ভাবে বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুঁড়ে মারা হয়। ঘটনায় মোট আটজন তৃণমূল দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তাদের আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন সিউড়ি আদালতের বিচারক। এই হামলা এবং মারধরের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সদাইপুর পুলিশের কাছে।

    আরও পড়ুনঃভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    ফলাফল ঘোষণার পর থেকে শুরু সন্ত্রাস

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)। কোচবিহার থেকে কলকাতা সর্বত্র জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করে হামলা করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িঘর ভাঙচুর করছে, প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র লুটপাট করেছে। প্রাণের ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়ে অন্যত্রে আশ্রয় নিয়েছে অনেক কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যের সন্ত্রাস আটকানো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট তীব্র ভর্ৎসনা করেছে রাজ্য সরকারকে। প্রয়োজন হলে পাঁচ বছর রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে এমন মন্তব্যও করেছে কোর্ট। কিন্তু তাতেও মমতার হেলদোল নেই।

    উল্লেখ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ব্যাপক ভাবে সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের জেলায় জেলায় প্রচুর পরিমাণে অভিযোগপত্র জমা পড়েছিল। খুন, ধর্ষণ, লুটপাট হয়েছিল ব্যাপক। মামলা কলকাতা হাইকোর্টে গেলে তদন্তের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দেওয়া হয়। সেই মামলা এখনও চলছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    Bankura: ভোটে বাঁকুড়া পুরসভার ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি, ধরাশায়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুভাষ সরকার এই লোকসভা নির্বাচনে পারাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে। বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভার নিরিখে সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতে এগিয়ে তৃণমূল। কিন্তু জেতার পরও গলায় কাঁটা তৃণমূলের। এই লোকসভার শহর অঞ্চলের পুর এলাকাগুলিতে একদম দাগ কাটতে পারেনি তৃণমূল। বাজিমাত করেছে বিজপি। কিন্তু কেন এমন হাল হল তৃণমূলের? এই নিয়ে অন্তর্ঘাত শুরু হয়েছে দলের মধ্যে।

    ২০টিতেই এগিয়ে বিজেপি (Bankura)

    বাঁকুড়া (Bankura) লোকসভায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে, পুরসভার ২৪টি ওয়র্ডের মধ্যে ২০টিতেই এগিয়ে আছে বিজেপি। আবার বাঁকুড়া বিধানসভার সাপেক্ষে তৃণমূলের থেকে বিজেপি মোট ১৬৩১২ ভোটে এগিয়ে গিয়েছে। যেখানে লোকসভা ভোটে তৃণমূল জয়ী হয়েছে, সেখানে এই কেন্দ্রে কীভাবে এই পুর ও শহর এলাকায় তৃণমূল ধারশায়ী হয়েছে, তা নিয়ে দলের তরফ থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বাঁকুড়ার (Bankura) পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন, “শহর অঞ্চলে আমাদের ফল অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছি না, কেন এমনটা হল। গত আড়াই বছর ধরে এলাকায় রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জল, ড্রেন সহ নানা পরিষেবায় আমরা অনেক কাজ করেছি। হয়তো দলের কোনও সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। তবে দলের মধ্যে অন্তর্ঘাত দেখা দিলে আমরা দলের মধ্যে তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব।

    আরও পড়ুনঃ নকল এমভিআই অফিসার সেজে রাজ্য সড়কে তোলাবাজি! গ্রেফতার চার যুবক

    বিজপির বক্তব্য

    বাঁকুড়া (Bankura) সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল বলেছেন, “মোদি সরকারের আমলে দেশের বিদেশনীতি, সুরক্ষানীতি, অর্থনীতি মানুষের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শহরের মানুষ এই বিষয়গুলিকে ভালো ভাবে গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের দুর্নীতি মানুষকে বিপক্ষে ভোট দান করতে প্রভাব ফেলেছে। তবে সামগ্রীক ভাবে কীভাবে বিজেপির পরাজয় হয়েছে তা নিয়ে আমরা আলোচনায় বসব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ (Arambagh) লোকসভায় জয়ের পরই তান্ডব শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এমনকী গন্ডগোল থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির মাঝে পড়ে রক্ত ঝরল এক পুলিশ কর্মীর। জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পরও কেন এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝামেলার সূত্রপাত। সেই গন্ডগোল থেকেই রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা এসে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি ইট ছোড়া হয়। রক্তাক্ত হন এএসআই পদমর্যাদার এক আধিকারিক। আহত ওই আধিকারিকের নাম বরুণকুমার বাগ। তাঁর মাথায় চোট লাগে। উর্দিতেও রক্তের ছিটে লাগে। ৫ জন বিজেপি কর্মী, ২ মহিলা ও পুলিশ আধিকারিককে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন”, রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভোটের আগে থেকেই বারবার আরামবাগ (Arambagh) সহ গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ এসেছে। ভোট মিটলেও সেই ছবি বদলায়নি। বিজেপির এক নেতা বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও গোঘাট বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ভাল ফল করেছে। এটাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি এলাকায় অশান্তি করছে। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। অকারণে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে”, ভোটে হেরে বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    Balurghat: “অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে”, ভোটে হেরে বিস্ফোরক বিপ্লব মিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়ের মুখ থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে। ২০০৯ সালের পর ফের লোকসভায় ভোটে নিজের হারের পিছনে এবার অন্তর্ঘাত দেখছেন বালুরঘাটের (Balurghat) তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তাঁর অভিযোগের তির মূলত দলের অন্য গোষ্ঠীর দিকে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অন্তর্ঘাত হয়েছে, বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে (Balurghat)

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে লড়াই বলে বালুরঘাট আসনে নজর ছিল রাজ্যবাসীর। সেই যুদ্ধে গণনা শুরুর প্রথম থেকেই আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন বিপ্লব। প্রথম রাউন্ড থেকে শুরু করে ৭ম রাউন্ড পর্যন্ত লিড ধরে রাখেন। তখন থেকেই জয়ের আশা জাগতে শুরু করে তৃণমূল শিবিরে। ৮ম রাউন্ডে এগিয়ে যান সুকান্ত। ১৩ রাউন্ডে গিয়ে ফের সুকান্তকে টক্কর দিয়ে এগিয়ে যান বিপ্লব। ১৪ রাউন্ডের পর পিছিয়ে যেতে থাকে রাজ্যের শাসকদল। বালুরঘাট (Balurghat), গঙ্গারামপুর ও তপন বিধানসভায় লিড বাড়ে সুকান্তর। বিপ্লবের গড় বলে পরিচিত গঙ্গারামপুরে শাসকদল দাঁত ফোটাতে পারেনি। হারের পর বিপ্লব মিত্র বলেন, বিজেপি এমন কোনও কাজ করেনি যে তারা জিতবে। আমরা জেতার মতো জায়গায় ছিলাম। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছি। জেলায় যা উন্নয়ন হয়েছে, সব রাজ্য সরকার করেছে। দলে নিশ্চয়ই অন্তর্ঘাত হয়েছে। রয়েছে। এনিয়ে আর বিতর্কের জায়গা নেই। আমরা পর্যালোচনা করব। বেইমানদের উচিত জবাব দেওয়া হবে। রাজ্য থেকে আমার কাছে হারের কারণ জানতে চাওয়া হলে অন্তর্ঘাতের বিষয়টি তখন ব্যাখ্যা করব।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন

    দলীয় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব সামনে আনলেও ঠিক কোনদিকে ইঙ্গিত করছেন জেলার বর্ষীয়ান নেতা বিপ্লব মিত্র , সেই অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন দলের ভোট ম্যানেজাররা। জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে, জেলার প্রাক্তন দুই সভাপতি রয়েছেন তপন ও গঙ্গারামপুর বিধানসভা এলাকায়। তাঁদের সঙ্গে নির্বাচনের আগে থেকেই অনেকটা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন বিপ্লব। নির্বাচনে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পৌঁছেছিল খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। পরে, বালুরঘাটে (Balurghat) সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরও সবকিছু যে ঠিক হয়নি, বিপ্লবের দাবিতে সেকথা স্পষ্ট।

    দলীয় প্রার্থীর হার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতারা?

    এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম দাস বলেন, আমি তো দলের একজন সামান্য কর্মী। দল মনে করেছে বড় জায়গায় কাজ করতে পারব না, সেজন্য ছোট জায়গায় কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। সেই মতো  দলের কাজ করেছি। কে কী মন্তব্য করেছেন, আমার জানা নেই। প্রার্থীর হার নিয়ে নিশ্চয় পর্যালোচনা হবে। আবার জেলা তৃণমূলের আর এক প্রাক্তন সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী যেমন কাজ করতে বলেছেন, সেভাবেই চলেছি। কে অন্তর্ঘাত  করেছেন, দলীয়স্তরে তার পর্যালোচনা  করা হোক। গঙ্গারামপুর শহরে দলের বিপর্যয় কেন হল, সেটাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    Hooghly: রচনার জয়ের পরেও চুঁচুড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের ইস্তফা! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে (Hooghly) জয়ের পরও চুঁচুড়া বিধানসভায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা ইস্তফা দিলেন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয় লাভ করেছেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই পদত্যাগের ঘটনায় দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের চিত্র কি আরও একবার স্পষ্ট হল?

    তিনটি বিধানসভায় এগিয়ে বিজেপি (Hooghly)

    হুগলিতে (Hooghly) সাতটি বিধানসভার মধ্যে তিনটিতে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। রচনা জয়যুক্ত হয়েছেন ৭৬৮৫৩ ভোটে। কিন্তু ওই তিনটি বিধানসভার মধ্যে লকেট ৮২২৮৪ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তবে দলের প্রার্থী জয়ী হলেও চুঁচুড়াতে খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। হারের কারণ খোঁজ করতে গিয়ে বিশ্লেষণে বসে জেলা নেতৃত্ব। ব্যান্ডেল, দেবানন্দপুর, কোদালিয়া-১ এবং ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং চুঁচুড়া পুরসভার দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। সেখানে প্রধান, উপপ্রধান এবং জন প্রতিনিধিদের চরম অপমান করেন এই বিধায়ক। এরপর পঞ্চায়েতগুলির প্রধান এবং উপপ্রধানেরা মগরা বিডিও অফিসে গিয়ে পদত্যাগ করেন।

    পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য

    তৃণমূলের (Hooghly) বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, “রচনা তিনটি বিধানসভায় কম ভোট পেয়েছেন বলে গরু-ছাগলের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। আমাদের অপমান করা হয়েছে।” এই প্রসঙ্গে কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুচেতা মান্না পাল বলেন, “আমাদের উপর কোনও চাপ ছিল না। তবে দলের পরাজয়ের দায় নিয়ে আমি পদত্যাগ করলাম।“ আবার চুঁচুড়া পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে, দলের কর্মী এবং কাউন্সিলরদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের ফল এই পরাজয়।

    আরও পড়ুনঃ তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    অসিত মজুমদারের বক্তব্য

    বিধায়ক (Hooghly) অসিত মজুমদার বলেন, “ওঁদের বিবেক আছে। ওঁরা থাকা অবস্থায় দলের পরাজয় হয়েছে। মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তবে কেন দিয়েছেন, তা নিয়ে বসে পর্যালোচনা করব আমরা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    Tamluk: তমলুক কেন্দ্রে ভোটে হেরে দলেরই বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটে হেরে বেজায় চটেছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তমলুক (Tamluk) লোকসভার বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু শুক্রবার ভোটে হারার কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি। দলের কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই জেলায় অনেকে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন।” দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে এই মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Tamluk)?

    তমলুকে (Tamluk) নিজের হারের কথা বলতে গিয়ে দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে দেবাংশু বলেন, “আমার নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো। অনেকে আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। আমি দেখেছি, এই জেলায় অনেকে দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন। সেই জন্য ভোটে প্রভাব পড়েছে। যাঁরা এই দুই নৌকায় পা দিয়ে চলছেন, তাঁদের আমি চিহ্নিত করতে পেরেছি। তবে এই ভাবে চলতে পারে না। দুই দিকে থাকব আবার দলের হয়ে কাজ করব, এমনটা চলতে পারে না। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    ৭৭ হাজার ভোটে পরাজিত দেবাংশু

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের টিকিটের জন্য বিস্তর জল্পনা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে দল দেবাংশুকে টিকিট দেয়নি। এইবারে লোকসভা নির্বাচনে তমলুক থেকে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এরপর সেখানে নির্বাচনে লড়াই করেন। কিন্তু বিজেপির কাছে ৭৭ হাজার ভোটে পরাজিত হন। তবে নির্বাচনের সময় নানা জায়গায় প্রচার করতে গেলে চোর চোর শ্লোগান শুনতে হয়েছিল তাঁকে। এই বিষয়ে একটি ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু আজ নিজে ভোটে হেরে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    যদিও এই তমলুক (Tamluk) লোকসভা থেকে একটা সময় সিপিএম নেতা লক্ষণ শেঠকে পরাজিত করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী ২০১৯ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। এবার লোকসভার নির্বাচনে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে পরাজয় হতে হয়েছে দেবাংশুকে। তবে এই নির্বাচনে, এই কেন্দ্র ছিল বিরাট হাই ভোল্টেজ কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    Election Result 2024: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিরোধীশূন্য পুরসভায়ও ধরাশায়ী তৃণমূল, এগিয়ে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধীশূন্য পুরসভা অঞ্চলে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। আবার একই সঙ্গে শহর অঞ্চল বা ব্লকেগুলিতে তৃণমূল থেকে অনেক বেশি ভোটে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। লোকসভার ফলাফলে (Election Result 2024) তৃণমূলের বিপক্ষে এই জনমত বিজেপির জন্য আশার আলো দেখা যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক পুরসভায় বাজিমাত করেছে বিজেপি। অপর দিকে হিরণ, ঘাটালে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস বন্ধ করতে নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করলেন সামজিক মাধ্যমে।

    তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জনতা (Election Result 2024)

    রাজ্যের ২০২১ সালের পুরসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার পাঁচটি পুরসভাতেই বিপুল সংখ্যক ভোট পেয়েছিল তৃণমূল। এইবারের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে শহরের জনতা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন তৃণমূলের কাছ থেকে। ভোটের ফলাফলে (Election Result 2024) দেখা যাচ্ছে পাঁচটি পুরসভার মধ্যে চারটি পুরসভা অঞ্চলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন অনেক বেশি পরিমাণে। গত দুই বছরের তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতি একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। তৃণমূল কথিত পুরসভার উন্নয়নমুখী কাজ কি দুর্নীতি ইস্যুর সামনে একটা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে? এই প্রশ্ন এখন সব জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে।

    কোন কোন পুরসভায় এগিয়ে বিজেপি?

    পশ্চিম মেদিনীপুর এলাকার ঘাটাল মহকুমার মধ্যে একমাত্র চন্দ্রকোনা পুরসভায় জয়কে অব্যাহত রাখতে পেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অপর দিকে ঘাটাল, খড়ার, ক্ষীরপাই এবং রামজীবনপুর পুরসভায় এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। গতবারের পুর নির্বাচনে বিরোধীশূন্য ছিল এই পুরসভাগুলি। এবার এই এলাকাগুলিতে বাজিমাত করেছে বিজেপি। সামগ্রিক ভাবে এগিয়ে থাকা পুর এলাকাগুলির মধ্যে কোথাও এক হাজার আবার কোথাও দেড় হাজার ভোটে এগিয়ে (Election Result 2024) রয়েছে বিজেপি।

    আরও পড়ুনঃ বিধানসভার নিরিখে জ্যোতিপ্রিয়-জীবনকৃষ্ণ ধরাশায়ী, বাজিমাত বিজেপির

    ফেসবুকে সন্ত্রাস বন্ধের আবেদন হিরণের

    ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পরবর্তী হিংসা (Election Result 2024) নিয়ে তৃণমূলের সন্ত্রাস বন্ধ করতে সামজিক মাধ্যমে নিজের আবেদন রেখেছেন হিরণ। তিনি নাম না করে দেবের কাছে আবেদন করে বলেন, “আমি হেরে গিয়েছি। আমি হার স্বীকার করেছি। আমাকে প্রয়োজনে শাস্তি দিন। কিন্তু আমার কর্মীদের অত্যাচার করবেন না। গরিব অসহায় মানুষের উপর অত্যাচার বন্ধ করেদিন। রাজনৈতিক অধিকারকে রক্ষা করে বেঁচে থাকার অধিকারে দয়া করুন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkali: গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা! খুন হওয়ার আতঙ্কে বিজেপি কর্মী

    Sandeshkali: গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা! খুন হওয়ার আতঙ্কে বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট লোকসভায় এবার  বিপুল ভোটে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তবে, সন্দেশখালির মানুষ শাসক দলের সেই বিজয় রথ আটকে দিয়েছেন। এই কেন্দ্রে তৃণমূল দাঁত ফোটাতে পারেনি। লিড পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। ফল বের হওয়ার পর সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার নতুন করে অশান্তির শিকার হলেন এক বিজেপি কর্মী। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    গাড়ি ভাঙচুর করে পুকুরে ফেলল তৃণমূলের লোকজন! (Sandeshkhali)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কোড়াকাঠি এলাকার ২২৭ নম্বর বুথে বাড়ি বিজেপি কর্মী কৃশানু গাইনের। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। তিনি বলেন, ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই নানাদিক থেকে আমাদের হুমকি আসছিল। বৃহস্পতিবার রাতে আমার বাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। আমাকে মারধর করার জন্য জড়ো হয়েছে বুঝতে পেরে আমি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিই। আমাকে বাড়িতে না পেয়ে বাড়ির পাশে থাকা একটি চার চাকা গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর “জয় বাংলা” স্লোগান দিতে দিতে রাস্তার পাশে পুকুরে গাড়িটিকে ফেলে দেয়। ওরা বাড়িতে এসে আমাকে খুন করার হুমকি দিয়ে গিয়েছে। ওরা যে ভাবে হামলা চালিয়েছে তাতে আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। তবে, এই হামলা আমার সঙ্গে শুধু হয়েছে এমন নয়, এই এলাকার সব বিজেপি কর্মীদের একই অবস্থা। সকলের পরিবারের লোকজন চরম আতঙ্কে রয়েছেন।

    আরও পড়ুন: সাতটি কেন্দ্রে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করল বিজেপি, অভিজিতের জয়ে খুশি তমলুকবাসী

    তৃণমূল বিধায়ক কী সাফাই দিলেন?

    যদিও সন্দেশখালি (Sandeshkhali) তৃণমূলের বিধায়ক সুকুমার মাহাত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। আক্রান্তরা পুলিশ প্রশাসনকে জানাতে পারে। তারা আইন অনুয়ায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share