Tag: bjp

bjp

  • Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    Malda: “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে”, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তম দফায় দেশের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে শনিবার। আগামীকাল ৪ জুন গণনা পর্ব। ঠিক তার আগেই শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এসেছে। দলের অন্তরেই তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “দলের একাংশ কংগ্রেস-বিজেপির হয়ে কাজ করছে।” এই কথা অকপটে স্বীকার করেছেন মালদা (Malda) জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান। এই মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে। যদিও লোকসভার টিকিট বণ্টন এবং ভোট প্রচার পর্বে এই জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে একাধিক বার কোন্দলের চিত্র প্রকাশ্যে এসেছিল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল নেতা (Malda)?

    মালদা (Malda) জেলার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য বুলবুল খান বলেন, “আমাদের পার্টির কাছে রিপোর্ট আছে, কারা দলের ভিতরে কাজ খারাপ করেছেন। যাঁরা এসব কাজ করেছেন, তাঁদের নজরে রাখা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আমার কাছে খবর আছে, দলের হয়ে কিছু কিছু লোক কংগ্রেস ও বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন।” তাঁর এই মন্তব্যে শাসক দলের মধ্যে কোন্দলের চিত্র ফের একাবার প্রকাশ্যে এলো। যদিও গণনার আগে তৃণমূল নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি, তৃণমূলের ঘর ভেঙে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    দলের অন্দরে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যকে ঢাল করে বিজেপির মালদা (Malda) জেলা সম্পাদক রুপেশ আগরওয়াল বলেছেন, “৪ জুনের পর তৃণমূলের মধ্যে একটি বড় ভূমিকম্প হবে। এই ভূমিকম্পে তৃণমূলের দল ভেঙে ছাড়খার হয়ে যাবে। তৃণমূল দলের মধ্যে কে কাজ করছেন আর কে করছেন না, সেই তালিকা তাঁদের কাছ থেকে নেওয়াই ভাল। বিষয়টা তাঁদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু গণনার পর তৃণমূলকে ভূমিকম্পের কারণে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”

    আরও পড়ুনঃরাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    কংগ্রেসর বক্তব্য

    একই ভাবে উত্তর মালদার (Malda) কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “প্রকাশ্যে না করলেও গোপনে অনেকেই বাম-কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন। প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বাম-কংগ্রেসের পতাকা ধরতে ভয়পান। অনেক মানুষ নীরবে ভোট দানের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    Sandeshkhali: রাতের অন্ধকারে আক্রমণ তৃণমূল দুষ্কৃতীদের! গণনা পর্যন্ত সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটতেই রাতের অন্ধকারে এলাকাবাসীদের উপর আক্রমণ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গত ১ জুন ছিল রাজ্যের সপ্তম দফা লোকসভা নির্বাচনের শেষ ভোট গ্রহণ পর্ব। ২০১১ সালের পর এই প্রথম ভোট দিতে পেরেছিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) গ্রামের মানুষ। আর তাই গতকাল রবিবার রাতে বাড়িতে ঢুকে তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে গণনার দিন পর্যন্ত এলাকায় প্রশাসনের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আক্রমণ (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার অন্তর্গত খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিতাই মোড় সংলগ্ন এলাকায় রবিবার গভীর রাতে তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি সান্যাল, বিপ্লব বর্মন, কৌশিক মন্ডল, দেবব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন দুষ্কৃতীরা বাইকে করে ঘুরে ঘুরে জয় বাংলা স্লোগান দেয় এবং এরপর হুমকি দেয় সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু আচমকা সেই সময় সঞ্জীব মণ্ডল ও পিয়ালী মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে মারধর করে ওই দুষ্কৃতী বাহিনী। প্রতিবাদ করতে গেলে এলাকার মানুষদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পর রাতেই  দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা।

    আক্রান্তদের বক্তব্য

    তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণ বিষয়ে আক্রান্ত পিয়ালী মণ্ডল বলেছেন, “আমরা ভোট দেওয়ায় তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়িতে (Sandeshkhali) ঢুকে হামলা করেছে। ব্যাপক মারধর করে ভাতের থালা ফেলে দিয়েছে ওরা। আমার স্বামীকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। স্বামীকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও হাতে, পীঠে মারধর করে দুষ্কৃতীরা। আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়েছে ওরা। কীভাবে এলাকায় থাকব, এই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”

    ফল বেরনো পর্যন্ত জারি ১৪৪

    সন্দেশখালিতে ভোটের পরদিন গতকাল ২ জুন থেকে ফলাফল ঘোষণার ৪ জুন পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ প্রশাসন। ন্যাজাট (Sandeshkhali) থানা এলাকার সরবেড়িয়া থেকে বয়ারমারি গোটা এলাকাজুড়ে জারি এই নির্দেশিকা। ভোটের দিনেই সন্দেশখালির বেড়মজুর, বয়ামারি, আগারহাটি, কানমারি সহ একাধিক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। একই ভাবে এলাকার মহিলারা আন্দোলনে নেমে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল!

    ভোটের দিন বয়ারমারি (Sandeshkhali) গ্রামে বিজেপির ক্যাম্প অফিসে হামলা চালিয়ে ছিল ৬০ থেকে ৭০ জন তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী। চঞ্চল খাটুয়া নামে এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফেটেছিল। এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। নির্বাচন কমিশন ঘটনায় অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চেয়েছিল। আবার ন্যাজাট থানার অন্তর্গত বয়রামারিতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ ছিল, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছিল। সেই জন্য মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ পুলিশের ওপর গিয়ে পড়ে। পাল্টা পুলিশ ধরপাকড় শুরু করেছে এলাকায়। বিজেপির এক নেতা পরিতোষ সর্দারকে গ্রেফতার করায়, মহিলারা পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections Result: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    Lok Sabha Elections Result: জয়জয়কার বিজেপির-ই, ভবিষ্যদ্বাণী সাট্টা বাজারেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় হবে নিছক কেক-ওয়াক (Lok Sabha Elections Result)! বলছে সাট্টা বাজার। এই বাজারের ভবিষ্যদ্বাণী, তৃতীয়বারের জন্যও প্রধানমন্ত্রী পদে বসছেন নরেন্দ্র মোদি। তবে বিজেপি যে দাবি করছে, ৪০০ পার, পদ্ম-পার্টির সে আশা পূরণ হবে না বলেও দাবি বুকিদের। মুম্বইয়ের এক শীর্ষ বুকি বলেন, “প্রথম দফার নির্বাচনের আগে বিজেপির পক্ষেই হাওয়া ছিল। তৃতীয় দফার ভোটের পর সে হাওয়া ক্রমেই নিম্নগামী।”

    সাট্টা বাজারের ভবিষ্যদ্বাণী (Lok Sabha Elections Result)

    সাট্টা বাজারের ভবিষ্যদ্বাণী, বিজেপি জয়ী হতে পারে ২৯৫-৩০৫টি আসনে। কংগ্রেস পেতে পারে ৫৫-৬৫টি আসন। প্রথম দফার নির্বাচনের আগে এই বাজারেরই পূর্বাভাস ছিল (Lok Sabha Elections Result) বিজেপি পেতে পারে ৩১৫-৩২৫টি আসন। আর কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৪৫-৫৫টি আসন। তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে বাজারের খবর, গেরুয়া ঝুলিতে যেতে পারে ২৭০-২৮০টি আসন। আর কংগ্রেস পেতে পারে ৭০-৮০টি আসন। ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের শেষে মুম্বইয়ের এই বাজারের পূর্বাভাস পদ্ম ফুটতে পারে ২৯৫-৩০৫টি কেন্দ্রে। হাত মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে ৫৫-৬৫টি আসনে।

    কী বলছেন বুকিরা?

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বুকি বলেন, “বিজেপির ৪০০ পার স্লোগান কখনওই সমর্থন করেনি বাজার। বেটিং রেট অনুযায়ী বিজেপির পক্ষে ৩৫০টি আসন পাওয়াও অসম্ভব।” বাজারের দাবি, গুজরাট হবে কেবলই পদ্মময়। মহারাষ্ট্রে এনডিএ পেতে পারে ২৮টি আসন। আর উত্তরপ্রদেশে এনডিএ-র ঝুলিতে যেতে পারে ৬৪ থেকে ৬৬টি আসন।

    বিশেষ কয়েকটি কেন্দ্রে কারা জিতবে, তাও জানিয়েছে বাজার। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আমেঠিতে জিততে পারে বিজেপির স্মৃতি ইরানি। রায়বেরিলিতে জিততে পারেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। ওয়েনাড়ও তাঁর দখলেই থাকবে। নাগপুরে জয়ী হতে পারেন বিজেপির নীতীন গডকরি। গান্ধীনগরে পাঁচ লাখেরও বেশি ভোটে জিততে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লখনউ কেন্দ্রে আড়াই লাখেরও বেশি ভোটে জিততে পারেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।

    আর পড়ুন: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    সাট্টা বাজারের পূর্বাভাস যে নিছক ফেলনা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে অনেক ক্ষেত্রেই। ক্রিকেট হোক কিংবা নির্বাচন, সর্বত্রই তাদের ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যায়। তবে এবার বুকিরা যে বিজেপির পক্ষে বাজি ধরেছেন, তার সমর্থন মিলেছে বিভিন্ন সংস্থার করা এক্সিট পোলেও। ভোট কূশলী প্রশান্ত কিশোরেরও পূর্বাভাস বিজেপি পেতে পারে ৩০০-র কিছু বেশি আসন (Lok Sabha Elections Result)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    Repoll 2024: ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, দুটি বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে শেষ দফা ভোটের দিন ছাপ্পা ভোট (Re-Poll 2024) করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জাকির হোসেন নামে তৃণমূলের এক এজেন্টের নাম জড়ায়। পরে, তৃণমূলের ওই এজেন্টকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। কমিশনের নির্দেশ মেনে সোমবার দেগঙ্গার ৬১ নম্বরের ওই বুথ এবং  দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের একটি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। দুটি বুথেই এদিন সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে।

    ছাপ্পার অভিযোগে তৃণমূলের এজেন্ট গ্রেফতার, বিক্ষোভ (Re-Poll 2024)

    শনিবার শেষ দফায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন দেগঙ্গা বিধানসভার ৬১ নম্বর বুথে (Re-Poll 2024) ছাপ্পা ভোট করার অভিযোগ ওঠে। ছাপ্পা ভোট পরিচালনা করেছেন ওই বুথের তৃণমূল এজেন্ট জাকির হোসেন। ভোট শেষ হওয়ার পর ওই তৃণমূল এজেন্টের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন দেগঙ্গা বিধানসভার অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দলীয় এজেন্টের গ্রেফতারির খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে কদম্বগাছি সর্দারপাড়ায় যান তৃণমূল নেতারা। ছিলেন তৃণমূলে দেগঙ্গার ব্লক সভাপতি। সেখানে পৌঁছলে তাঁদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। কেন তৃণমূল এজেন্টকে গ্রেফতার করা হল তার জবাব দাবি করেন দলীয় নেতাদের কাছে। ক্রমেই বাড়তে থাকে বিক্ষোভ। জাকির হোসেনের জামিন না হলে তাঁদেরও ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেন স্থানীয় মহিলারা। পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দত্তপুকুর থানার পুলিশ। তারা কোনও ক্রমে তৃণমূল নেতাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের আগেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বালুরঘাটে কড়া হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    দুটি বুথে পুনর্নির্বাচন, দেগঙ্গায় বিজেপি নেতাকে পুলিশি হেনস্থা

    সোমবার বারাসত লোকসভার দেগঙ্গা বিধানসভার কদম্বগাছি সর্দারপাড়া এফপি স্কুলের ৬১ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে। পুনরায় ভোট হচ্ছে মথুরাপুর কেন্দ্রের কাকদ্বীপ বিধানসভার আদ্দিরমহল শ্রীচৈতন্য বিদ্যাপীঠ এফপি স্কুলের ২৬ নম্বর বুথেও। শনিবার সপ্তম  দফায় এই দুই লোকসভা কেন্দ্রে ভোট হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে সেদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে অশান্তির খবর আসে। গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের কাছে। তবে, ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট এই দু’টি বুথেই আবার ভোট করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা খোলসা করেনি কমিশন। জানা গিয়েছে, এদিন দেগঙ্গার ৬১ নম্বর বুথে ভোট শুরু হলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে এলাকায় চলে আসেন বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা কাসেম আলি। অভিযোগ নিয়ে তিনি যখন ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেই সময় তাঁকে পুলিশ ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতা বলেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাস তা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    Sukanta Majhumdar: বিজেপি ক্ষমতায় এলে ‘উত্তর প্রদেশ ট্রিটমেন্ট’! সুকান্ত মজুমদারের কণ্ঠে এবার যোগীর সুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর একদিন। তারপর লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা। আর নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে বালুরঘাটে (Balurghat) রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar)। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার ভোট পরবর্তী রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে হুঁশিয়ারি দেন। সুকান্ত মজুমদারের মুখে উঠে আসে যোগীর সুর। 

    ভোট পরবর্তী হিংসায় সরব সুকান্ত মজুমদার

    এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট হবে। পুরো এনকাউন্টার করা হবে।” একইসঙ্গে তিনি (Sukanta Majhumdar) বলেন, “গতকাল কালীগঞ্জ থানার চাঁদপুর এলাকার বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে, কারণ ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বসিরহাট, নদীয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীকে ধমকানো চমকানো, খুন করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। কারণ তৃণমূল বুঝে গিয়েছে তাঁদের সময় শেষ। আমি পরিষ্কার এই গুন্ডা মস্তানদের বলে দিতে চাই বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির কোনো নেতাকে ধরে বিজেপির ঝান্ডা পতাকা ধরলেও কিন্তু তারা বাচঁবেনা। উত্তরপ্রদেশের মতো ট্রিটমেন্ট করা হবে। পুরো এনকাউন্টার হয়ে যাবে।” 
    অন্যদিকে, বুথ ফেরত সমীক্ষায় বাংলায় গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত। ম্যাট্রিজ, সিএনএক্সের সমীক্ষায় পঁচিশ থেকে ছাব্বিশটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা পদ্ম শিবিরের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majhumdar) বলেন, “আমি বুথ ফেরত সমক্ষায় খুব একটা বিশ্বাস করিনা। আমাদের এক্সিট পোল, বিজেপি কর্মীদের যে ফিডব্যাক, সেই ফিডব্যাকের উপর বিশ্বাস করে আমি বলতে পারি, আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হবার পর একটা স্লোগান দিয়েছিলাম ‘এই বার পঁচিশ পার’। সেই স্লোগানটা আমাদের কর্মীরা আত্মবিশ্বাস করতে পারেনি। তখন দলের অবস্থা খারাপ ছিল। আজকে প্রায় আড়াই বছর পর এখন শুধু দল নয় প্রতিটি খবরের চ্যানেল বিশ্বাস করছে এইবার ২৫ পার। আমাদের টার্গেট ৩০। ৩০ পর্যন্ত যতক্ষণ না পৌঁছোচ্ছি আমাদের লড়াই চলবে। তিরিশে পৌঁছালে আমি ধরে নেবো যে আমরা জিতেছি। 

    আরও পড়ুন: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! ডায়মন্ড হারবারের বিভিন্ন বুথে ছাপ্পা, অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    তৃতীয়বার মোদিজিই ক্ষমতায় 

    তৃতীয় মোদি সরকারের ইঙ্গিত, বুথ ফেরত সমীক্ষায়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মোদিজি ক্ষমতায় আসবেন এইটা নিয়ে কারোর দ্বিমত নেই। আমাদের বিরোধী পার্টির যারা লিডার তারাও জানে যে মোদিজি ক্ষমতায় আসবে্ন। সেই জন্য তো মমতা ব্যানার্জি এক তারিখের ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে গেলেননা। কেন গেলেন না? কারণ উনিও জানেন মোদি আসছে। মোদির বিকল্প কিছু নেই। মোদিজি ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর জন্য শপথ নিতে চলছেন।” একইসঙ্গে তিনি জানান, এবার আরও একবারের জন্য  লাল কেল্লায় মোদিজির হাত ধরে পতাকা উঠবে।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assembly Election Results 2024: অরুণাচলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপির, রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ মোদির

    Assembly Election Results 2024: অরুণাচলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিজেপির, রাজ্যের মানুষকে ধন্যবাদ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা (Assembly Election Results 2024) নিয়ে ফের একবার সরকার গড়তে চলেছে প্রেমা খান্ডুর নেতৃত্বাধীন বিজেপি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬০টি আসনের মধ্যে ৪৬টি আসনে ইতিমধ্যে জিতে গিয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেখানকার এনপিপি নামের আঞ্চলিক দলটি পেতে চলেছে পাঁচটি আসন। উত্তরপূর্ব ভারতে দলের এমন ফলাফলে সেখানকার রাজ্যের মানুষকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সিকিমের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেখানকার বিধানসভায় ৩২টি আসনের মধ্যে ৩১টি দখল করেছে শাসকদল এসকেএম। অভাবনীয় এই ফলাফল বিগত পাঁচ বছরে তাঁদের কাজের জয় বলে জানিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং।

    মোদির ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী ধন্যবাদ জানিয়েছেন অরুণাচলের জনগণকে। তিনি লেখেন, উন্নয়নের রাজনীতির পক্ষেই রায় দিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ।

    সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী জয়ী, ক্ষমতায় এসকেএম

    সিকিমের বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election Results 2024) মুখ্যমন্ত্রীর আসনের ফলাফল প্রকাশিত হয় আজকেই দুপুর ১২টা নাগাদ। তখনই প্রেম সিং তামাংকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রসঙ্গত প্রেম সিং তামাং রেনকা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন এবং ৭০৪৪ ভোটে জিতেছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    Loksabha Election 2024: ভোটই দিতে পারলেন না ববি! পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পর্ব মিটতেই ডায়মন্ড হারবারে উঠল পুনর্নির্বাচনের দাবি। সপ্তম দফায় ভোট (Loksabha Election 2024) ছিল ডায়মন্ড হারবারে। কিন্তু এদিন ভোটই দিতে পারেননি ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbor) বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। পাশাপাশি এদিন ভোটে ছাপ্পার অভিযোগ তুলল বিজেপি। 

    কী কারণে ভোট দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থী? 

    জানা গিয়েছে ভোটে (Loksabha Election 2024) ছাপ্পার অভিযোগ পেয়েই বুথে বুথে যাওয়া শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী এবং তখনই দফায় দফায় বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। আর তার জন্য নিজের কেন্দ্রে পৌঁছতেই সন্ধ্যা ৬টা বেজে যায়। ফলে ভোট দানের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ভোট দিতে পারলেন না ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী। আর সেই কারনেই ডায়মন্ড হারবারের ৪৭০ টি বুথে পুনর্নির্বাচনের আবেদন করেছেন তিনি। 
    অভিজিৎ দাসের বক্তব্য, “প্রচুর ছাপ্পা পড়েছে। আমি রিপোলিং চাইছি। অন্যান্য বিরোধীরাও তাই চাইবেন। এমনকি যাঁরা পুরনো তৃণমূল প্রার্থী তাঁরাও চাইবেন পুনর্নির্বাচন হোক। যদিও বাতিল না হয়, অন্তত ৪৬০টা বুথে রিপোলিং হোক।”

    পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    বিজেপির দাবি, ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) ও মথুরাপুর কেন্দ্রের বেশিরভাগ বুথগুলিতেই ভোটগ্রহণ (Loksabha Election 2024) স্বচ্ছ ভাবে হয়নি। অনেক বুথে অবাধে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো ভোটও পড়েছে অনেক বুথে। কোনও কোনও বুথে কারচুপি হয়েছে সিসি ক্যামেরায়। আর সেই কারণেই ওই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবি তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। ওই দুই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর তরফে কমিশনে এই আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। 

    আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস! কোন কোন জেলায় সতর্কবার্তা? জানাল আবহাওয়া দফতর

    শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য 

    শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যকে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সে সময় তিনি বলেন, “হরিয়ানা, বিহারে এ রকম দেখা যেত। এ বার এখানে এই প্রবণতা শুরু হয়েছে। আপনারা ডায়মন্ড হারবারে দেখেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কোনও পদক্ষেপ করতে না দিয়ে রাজ্য পুলিশ চার ঘণ্টা ধরে আমাদের প্রার্থী অভিজিৎ দাসকে ফলতায় রাস্তার উপরে আটকে রেখেছে। যাতে তিনি অন্য কোনও বুথে যেতে না পারেন।” এর পরেই ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbor) কেন্দ্রের বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন শুভেন্দু। 
    উল্লেখ্য, বিজেপির তরফে যে বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) দাবি তোলা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের ফলতার সব কটি বুথ। এছাড়াও বজবজ, মহেশতলা বিধানসভা এলাকারও বহু বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলা হয়েছে। কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে মথুরাপুর কেন্দ্রের সাগরের একাধিক বুথেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: গণনা কেন্দ্রে কেন সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে? ‘গোপন’ তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: গণনা কেন্দ্রে কেন সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে? ‘গোপন’ তথ্য ফাঁস শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝের একটা দিন! তারপরেই দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে। ভোট গণনার কেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে বলেই জানা গিয়েছে। স্ট্রং রুমের সব থেকে বাইরে থাকবে বন্দুকধারী পুলিশ। তারপরে দ্বিতীয় স্তরে থাকবে লাঠিধারী পুলিশকর্মীরা। স্ট্রং রুমের যেখানে গণনা চলবে তার সব থেকে কাছে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে এর নেতৃত্বে থাকবেন একজন উপ নগরপাল। ঠিক এই আবহে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হতে দেখা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, গণনা কেন্দ্রে কেন সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে?

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    এই নিয়ে তিনি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের ওই পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ডিআইজি (নিরাপত্তা) আইপিএস রবীন্দ্রনাথকে তোপ দেগেছেন এবং লিখেছেন, “আমি জানি আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর নির্দেশেই আপনি গতকাল সন্দেশখালিতে উপস্থিত ছিলেন ভোট প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন করতে।”

    শুভেন্দু অধিকারী তুলে ধরেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাও

    এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী তুলে ধরেছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাও। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক জানিয়েছেন, গণনা কেন্দ্রগুলিতে ত্রিস্তরীয় যে কর্ডনিং সিস্টেম থাকে, সেই সিস্টেমের প্রথম কর্ডনের বাইরে কখনই যেতে পারে না রাজ্য পুলিশ। তারপরেও ডিআইজি নিরাপত্তা কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন এ নিয়েই প্রশ্ন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। প্রসঙ্গত, প্রথম দুটি কর্ডনে থাকবে পুলিশ। যা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকার পরপন্থী। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী সঠিক কথাই বলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    BJP worker Murder: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সবে শেষ হয়েছে সাত দফার ভোট। আর শেষ দফার ভোট মিটতে না মিটতেই নদিয়ায় (Nadia) খুন (BJP worker Murder) হল বিজেপি কর্মী। মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখ (৩৫) কালীগঞ্জের চাঁদপুরের বাসিন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ির কাছেই তাঁকে খুন করা হয়। দুষ্কৃতীরা পরপর দুটি গুলি করে খুন করার পর হাফিজুলের মাথা নৃশংসভাবে কেটে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ।

    সিবিআই তদন্তের দাবি

    জানা গিয়েছে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের আগে হাফিজুলের নেতৃত্বে এলাকায় সংখ্যালঘুরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনেও ওই এলাকায় বিজেপি বেশ ভালো ভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল আর তার পরিণাম হিসেবেই হাফিজুল কে খুন (BJP worker Murder) করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। খুনের পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অনেক রাত পর্যন্ত দেহ আটকে রাখেন নিহতের আত্মীয়-পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে পুলিশ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অনেক রাত পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। ইতিমধ্যেই মৃত হাফিজুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তর দাবি করা হয়েছে। একই সাথে ঘটনায় জড়িত প্রায় ১০ থেকে ১১ জনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করা হয়েছে।

    মৃতের পরিবারের অভিযোগ (BJP worker Murder)

    এ বিষয়ে মৃত হাফিজুল শেখের দাদা জয়েন উদ্দিন মোল্লা বলেন, “এর আগে আমরা সকলেই সিপিআইএম করতাম। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর আমরা বিজেপিতে যোগদান করি। আর সেই কারণেই আমার ভাইকে খুন করল দুষ্কৃতীরা।” তিনি বলেন, “আমার ভাই ক্যারাম খেলছিল। সকলের সামনেই দুষ্কৃতারা এসে আমার ভাইকে পরপর দুই রাউন্ড গুলি করে। পরবর্তীকালে মাথা কেটে নিয়ে চলে যায়। শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি দুষ্কৃতীরা, এরপরে বোমাবাজি করে তারা।” এই ঘটনার পরে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনিও। 

    আরও পড়ুন: অসমে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বানের জলে ভাসল কেরলও, মৃত্যু

    ঘটনার তীব্র নিন্দা বিজেপির

    অন্যদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নদীয়া (Nadia) উত্তরের বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “এই এলাকায় হাফিজুল শেখ এবং তার দাদার নেতৃত্বে বিজেপির শক্তি অনেকটাই বেড়েছিল। সেই কারণেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাফিজুল শেখ কে খুন (BJP worker Murder) করেছে। আর এই ঘটনায় রয়েছে পুলিশের মদত। আমরা অবিলম্বে যারা দোষী তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।” না হলে আগামী দিনে বড়সড়ো আন্দোলনে নামবো বলে জানান তিনি। ফলে বিজেপি কর্মীর এই খুনের ঘটনায় অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে বলেই জানিয়েছেন অর্জুন বিশ্বাস। তবে পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। প্রাথমিক তদন্তের পরে তাদের ধারণা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই এই হামলা হয়েছে। তবে বর্তমানে আততায়ীদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন অমৃতা রায়

    ঘটনার খবর পেয়ে মৃত বিজেপি কর্মী হাফিজুল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। এই খুনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “হাফিজুল দুই মাস আগে বিজেপিতে যোগদান করেছে এটুকু শুনেছিলাম। কিন্তু তার যে এই পরিণতি হবে তা বুঝতে পারিনি। আমি শুনেছি পুলিশ আগের দিন রাতে এসে সব দোকান বন্ধ রাখতে বলেছে। শুধুমাত্র একটা দোকান খোলা রাখতে বলেছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এই খুন করা হয়েছে। আমি উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি সম্পূর্ণ জানাবো।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arunachal Assembly Election 2024: অরুণাচল প্রদেশে ঢের এগিয়ে বিজেপি, সিকিমে সামনের সারিতে শাসক দল

    Arunachal Assembly Election 2024: অরুণাচল প্রদেশে ঢের এগিয়ে বিজেপি, সিকিমে সামনের সারিতে শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল বিজেপি। ২ জুন সকাল ছ’টায় শুরু হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোট (Arunachal Assembly Election 2024) গণনা। এদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত খবর, ১১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে পদ্ম শিবির। তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনসিপি। অন্যরা এগিয়ে রয়েছে একটি আসনে।

    অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভা(Arunachal Assembly Election 2024)

    অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ৬০। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট হয়েছে ১৯ এপ্রিল। সেদিন এই লোকসভার পাশাপাশি অরুণাচল প্রদেশে হয়েছে বিধানসভার নির্বাচনও। অরুণাচল প্রদেশে ভোট পড়েছিল ৮২.৯৫ শতাংশ। লোকসভা নির্বাচনের ফল গণনা হবে ৪ জুন। তবে (Arunachal Assembly Election 2024) এদিন শুরু হয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ফল গণনা। গতবার অরুণাচল প্রদেশের ৪১টি কেন্দ্রে ফুটেছিল পদ্ম। সেবার জনতা দল ইউনাইটেড জিতেছিল সাতটি আসন, এনপিপির ঝুলিতে গিয়েছিল পাঁচটি, কংগ্রেস পেয়েছিল চারটি আসন। একটি আসনে জয়ী হয়েছিল পিপিএ। দু’জন নির্দল প্রার্থীও জয়ী হয়েছিলেন।

    রাশ ছিল বিজেপির হাতেই

    অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির প্রেমা খাণ্ডু। খাণ্ডু চতুর্থবারের এমএলএ। এক মধ্যে তিনি তিনবার জিতেছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তাওয়াং জেলার মুক্তো বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। এ রাজ্যের সব আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি কংগ্রেস। বিজেপি ৬০টি আসনেই প্রার্থী দিলেও, কংগ্রেস দিয়েছে মাত্র ৩৪টিতে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির কিরেন রিজিজু অরুণাচল প্রদেশের। তিনি বলেন, “গত দশ বছরে মোদি সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে অরুণাচল প্রদেশে। তাই এ রাজ্যে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপিই (Arunachal Assembly Election 2024)।”   

    আর পড়ুন: তৃতীয় বার মোদি সরকার, ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপিই, বলছে এক্সিট পোল

    এদিকে, সিকিম বিধানসভার ফল গণনাও শুরু হয়েছে এদিন। এ রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ৩২। উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট পাহাড়ি রাজ্যে ৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে শাসক দল সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা। একটিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এই রাজ্যে শাসক দল এসকেএমের সঙ্গে মূল লড়াই সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা এসডিএফের। এ রাজ্যে বিজেপির পাশাপাশি প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেসও। তবে এদিন সকাল আটটা পর্যন্ত কোনও আসনে এগিয়ে নেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার সঙ্গে হয়েছে সিকিম বিধানসভার নির্বাচনও। এ রাজ্যে ভোট পড়েছে ৭৯.৮৮ শতাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share