Tag: bjp

bjp

  • Hiran Chaterjee: “আমার ছেলেকে মেরে দেবে, নিয়ে যাও”, হিরণের হাত ধরে কাতর আর্জি মহিলার

    Hiran Chaterjee: “আমার ছেলেকে মেরে দেবে, নিয়ে যাও”, হিরণের হাত ধরে কাতর আর্জি মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেশপুরে তৃণমূল ভোট করতে দেবে না। কর্মীদের কাছে থেকেই আগাম জেনেছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। তবে, বুকে বল ছিল তাঁর। কারণ, প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলে তৃণমূল কিছু করতে পারবে না। আর তাই ভোটের আগের রাতে এলাকা ঘুরে দেখতে গিয়ে হতাশ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই বলে অভিযোগও করেছিলেন। আর ভোটের দিন দিনভর তৃণমূলের “লুঙ্গি বাহিনীর” উদ্দাম নৃত্য দেখলেন রাজ্যবাসী। এমনই দাবি বিজেপির। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি মারধরও করা হয়েছিল। বিজেপি প্রার্থীও কেশপুরে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। হিরণকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে বাঁচানোর আর্জি জানালেন মহিলারা।

    আমার ছেলেকে মেরে দেবে গো নিয়ে যাও, কাতর আর্জি মহিলার (Hiran Chaterjee)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল লোকসভার কেশপুরের পাঁওসা। ভোটের দিন দুপুরে গাড়ি নিয়ে সদ্য এলাকায় ঢুকলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। আর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গাড়ি ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন গ্রামবাসীরা। চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। বুকে ভয়। মহিলারা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এক মহিলা বললেন, “রাম কে নিয়ে যান। নিয়ে যান আপনি। ওকে মেরে দেবে ওরা।” এক গ্রামবাসী বললেন, “ভোটের আগের রাত থেকে ওরা অশান্তি করছে। মহিলাদেরও ছাড়ছে না। আর আমাদের ওই ছেলেটিকে বলছে মেরে শেষ করে দেব।” আরও এক মহিলা কার্যত আতঙ্কে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বলেন, “আমার ছেলেকে মেরে দেবে গো তুমি ওকে নিয়ে যাও।” হিরণের হাত ধরে কার্যত অঝোরে কেঁদে ফেললেন মহিলারা। পাল্টা হিরণও আশ্বাস দিয়ে বলেন, “কিছু হবে না। আমি আছি। আমি থাকব।” কেশপুরের মহিলারা যখন চরম আতঙ্কে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন, তখন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারীকে দেখা গেল ভোটের পর আবির খেলতে। উচ্ছ্বাসে মাতলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    কেশপুরে ভোট লুট করেছে তৃণমূল!

    হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, কেশপুরে ভোট লুট করেছে তৃণমূল। মানুষ নিজের ভোট দিতে পারিনি। আমি নিজে আক্রান্ত হয়েছি। দলীয় কর্মীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। আমি নিজে আক্রান্ত হয়েছি। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না। তাই, কেশপুরে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আক্রান্তদের সঙ্গে আমি সবসময় পাশে রয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu AdhikarI: “কাঁথি-তমলুক বিজেপি জিতছে”, দিনভর তদারকি করে প্রত্যয়ী শুভেন্দু

    Suvendu AdhikarI: “কাঁথি-তমলুক বিজেপি জিতছে”, দিনভর তদারকি করে প্রত্যয়ী শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনের গড় নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামের মাটিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhijari)। তমলুক লোকসভার মধ্যে রয়েছে নন্দীগ্রাম। এই লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থী করেছে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। এই আসনটি এবার বিজেপি-তৃণমূলের মানরক্ষার লড়াই। এমনকী নন্দীগ্রামে দিন কয়েক আগে ভোটপ্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক বদলার হুমকি দিয়ে আসেন। ফলে, এই আসনটিকে তিনি যে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন তা বলাবাহুল্য। তবে, ভোট পর্ব শেষে এই আসনে বিজেপি বাজিমাত করতে চলেছে। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

    কাঁথি ও তমলুক বিজেপি জিতছে! (Suvendu Adhijari)

    শনিবার সকালে ভোট দিয়ে নন্দীগ্রামে নিজের দলীয় কার্যালয়ে বসে দিনভর ভোটের তদারকি করেন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhijari) । ভোটগ্রহণ শেষে তিনি বলেন, ‘কাঁথি ও তমলুক বিজেপি জিতছে। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় লোকসভায় যাচ্ছেন।’ এমনিতেই ভোটের দুদিন আগে নন্দীগ্রামে বিজেপির মহিলা কর্মীকে খুনের ঘটনায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। অন্যদিকে, ভোটের দিন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করে তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য দাবি করেন নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সোনাচূড়ায় ছাপ্পা ভোট করাচ্ছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ভিডিও পোস্ট করে এই দাবি করেন তিনি। অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে কমিশনের তরফে জানানো হয়, ওই বুথে ইভিএম খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই খারাপ ইভিএম বদলানোর কাজ করছিলেন কমিশনেরই কর্মীরা। তাকেই ছাপ্পা হচ্ছে বলে পোস্ট করেছেন দেবাংশু। সঙ্গে, কী করে কমিশনের লাইভ স্ট্রিমিয়ের ফুটেজ দেবাংশু পেলেন তার তদন্ত শুরু করেছে কমিশন। মূলত, ছাপ্পার অভিযোগ করে মুখ পুড়েছে বিজেপি প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের।

    আরও পড়ুন: প্রবল গতিতে ধেয়ে আসছে ‘রেমাল’, শুরু বৃষ্টি, ভয়ঙ্কর দুর্যোগের পূর্বাভাস

    নন্দীগ্রামে বসেই মনিটরিং শুভেন্দুর              

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রামে বসেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhijari) তমলুক লোকসভার একাধিক বিধানসভা তিনি মনিটরিং করেন। আর দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এলাকা চষে বেড়়ান। কোথায় কোন এজেন্ট বসবে, বুথ ক্যাম্পে কর্মীদের জমায়েত সবই নিজে হাতে তদারকি করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুধু, তমলুক নয়, কাঁথি আসনও ছিল তাঁর পাখির চোখ। ফলে, ভোটের শেষে দুটি কেন্দ্রে জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছে তাঁর চোখে মুখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    Debangshu Bhattacharya: দেবাংশুর হাতে বুথের ভিডিও ফুটেজ কীভাবে? খোঁজ নিচ্ছে কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েবকাস্টিংয়ের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। তমলুক কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দেবাংশু লড়ছেন তাঁরই বিরুদ্ধে।

    দেবাংশুর অভিযোগ (Debangshu Bhattacharya)

    তৃণমূলের এই প্রার্থীই বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়েবকাস্টিংয়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন। তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগের যে কোনও সারবত্তা নেই, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে বুথের ভিতরের ভিডিও ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে, তার উত্তর পেতে তদন্ত শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরে পরেই একটি ভিডিও পোস্ট করেন দেবাংশু (Debangshu Bhattacharya) (ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, ইভিএমের সামনে কয়েকজন জড়ো হয়ে রয়েছেন। দেবাংশুর দাবি, ভিডিওটি নন্দীগ্রাম ১ এর সোনাচূড়া অঞ্চলের ২৭৯ নম্বর গঙ্গা বাসুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। দেবাংশুর অভিযোগ, এই বুথে বিজেপি দেদার ছাপ্পা দিচ্ছে।

    কমিশনের দাবি

    তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি, ওই বুথে ভিভিপ্যাট খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেটি পাল্টানো হচ্ছিল। তাই ভিড় হয়েছিল। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেবাংশুর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিজেপির অভিজিৎ। হেভিওয়েট এই প্রার্থীর সামনে দাঁড়ানোটাই চ্যালেঞ্জ দেবাংশুর কাছে। তিনি জানেন, অভিজিতের কাছে গোহারা হারবেন। তাই গেয়ে রেখেছেন আগাম গাওনা। দেবাংশুর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন অভিজিৎও। তিনি বলেন, “কমিশন আগেও ওঁর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। কোথাও কোনও ছাপ্পার অভিযোগ নেই।”

    আর পড়ুন: “চন্দ্রযানের ল্যান্ডিং পয়েন্টের নামকরণও করত পরিবারের নামে”, কংগ্রেসকে তোপ মোদির

    তবে ওয়েবকাস্টিংয়ের ফুটেজ দেবাংশুর হাতে গেল কীভাবে তা জানার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। ওয়েবকাস্টিং নিয়ন্ত্রিত হয় দিল্লিতে কমিশনের সদর দফতর, সিইওর দফতর এবং জেলাশাসকের দফতর থেকে। ওয়েবকাস্টিংয়ের পাশওয়ার্ড রয়েছে হাতে গোণা কয়েকজনের কাছে। তাই কীভাবে বাইরে এল ভিডিও ফুটেজ? সিইও দফতর সূত্রে খবর, সেখান থেকে ফুটেজ বের হয়নি। তাহলে বাকি রইল জেলাশাসকের দফতর। যদি তা হয়ে থাকে, তবে তা সার্ভিস রুল অবমাননার শামিল। ফুটেজ লিকের নেপথ্যেই বা কে, তাও জানার চেষ্টা করছে কমিশন (Debangshu Bhattacharya)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Keshpur: “কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা”, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন হিরণ

    Keshpur: “কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা”, পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেন হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। তাই, ভোটের আগের দিন রাত জেগেছিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। একাধিক এলাকায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছিলেন। আর সকাল হতেই কেশপুরে (Keshpur) গড় সামলাতে তিনি ছুটে যান। কিন্তু, তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর প্রবল বাধায় তিনি কেশপুর এলাকায় ঘুরে বেড়াতে পারেননি। গোটা বিধানসভা জুড়ে দাপিয়ে বেরিয়েছে তৃণমূলের মস্তানবাহিনী। বুথে বুথে চালিয়েছে লুঠতরাজ। এমনই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। ষষ্ঠ দফার ভোটদানপর্ব শেষ হতে না হতেই কেশপুর বিধানসভা এলাকায় পুনর্নির্বাচন দাবি করলেন ঘাটাল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ বলেন, ‘এটা দেখে পশ্চিমবঙ্গ মনে হচ্ছে না কি? কেশপুরকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

    দিনভর অশান্তি কেশপুরে (Keshpur)

    শনিবার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই অশান্ত হয়ে ওঠে কেশপুর (Keshpur)। রাস্তায় অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিজেপি প্রার্থী হিরণের গাড়ি রুখে দেয় তৃণমূল। হিরণের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। এমনকী গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন অনেকে। লাঠি হাতে বিজেপি প্রার্থীকে রুখে যান তৃণমূল কর্মীরা। তবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় হামলা চালাতে পারেননি। তবে, দফায় দফায় কেশপুরে চরম বিক্ষোভের মধ্যে পড়তে হয় বিজেপি প্রার্থীকে। শুধু তৃণমূল নয়, পুলিশও নানা অছিলায় বিজেপি প্রার্থীকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে দিনভর অশান্ত ছিল কেশপুর।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে ফেলেছেন মমতা, পুনর্নির্বাচন দাবি

    এই পরিস্থিতির জন্য দিনের শেষে ক্ষোভ উগরে দেন হিরণ। তিনি বলেন, “এটা ভোট হয়েছে না কি? এখানে তো পাগলু ড্যান্স হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে, লাঠি নিয়ে পাগলুরা ডান্স করেছে। ওরা জানে, এভাবে ভোট না করালে ওরা জিততে পারবে না। আসলে মানুষ ওদের সঙ্গে নেই। তাই, বুথে বুথে ওদের বাহিনী লুঠ চালিয়েছে। আমাকে বিক্ষোভ দেখিয়ে বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আসলে এটা পশ্চিমবঙ্গ বলে মনে হচ্ছে না। পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হয়ে গিয়েছে। আমরা কেশপুরে (Keshpur) পুনর্নির্বাচন দাবি করছি। কমিশনকে আজই দাবি জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: অভিষেকের গড়ে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকপোল করতে আসা বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবারে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) ফকির চাঁদ কলেজে চলছিল মকপোল। আর সেই সেখানেই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের হয়ে মকপোল করতে আসেন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অনুপম রায় ও তাঁর সঙ্গীরা। তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় তাঁদের ওপর। তাঁদেরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী বলেন, বিজেপি প্রার্থীর হয়ে মকপোল করতে আসা আমাদের দোষ। ওরা চর-কিল -ঘুষি-লাথি মারার পাশাপাশি আমাদের মোবাইল ফোন এবং টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এই বিষয় নিয়ে ডিএম থেকে শুরু করে এসপি প্রত্যেকের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনই পদক্ষেপ নেয়নি।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    বিজেপি প্রার্থী কী বললেন?

    শনিবার ডায়মন্ড হারবার (South 24 Parganas) থানায় যান বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ডায়মন্ডহারবার থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করবে। তবে এই বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী ও অভিজিৎ দাস বলেন, ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় ভাইপো অভিষেকের দুষ্কৃতী বাহিনীর সন্ত্রাসের আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে এলাকার মানুষজন। বিরোধী কর্মীদেরকে মারধর করার পাশাপাশি তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে না এটাই স্বাভাবিক। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এই বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা হয়। একাধিক বুথে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখায়। সৌমেন্দু অবশ্য পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকার অভিযোগ করেন। অপর দিকে তমলুক, মেদিনীপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাধিক বার হামলা করার চেষ্টা করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, বুথে বসতে না দেওয়া এবং বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য অশান্তি মূলের তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি।

    কী বললেন সৌমেন্দু (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের দিন (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগ তুলে সৌমেন্দু বলেন, “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। বাহিনী কী করবে কী করবে না তা কী ওরা ঠিক করবে? বুথের সামনে ব্যাপক অবৈধ জমায়েত করা হচ্ছে। সকলের ভোটার আইডি দেখা হোক। আমি এখানকার প্রার্থী, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে কিনা, তাই দেখতে এসেছি।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, “বুথে বাহিনী অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। যারা ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিচ্ছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর লোকজন বিজেপি নেতাদের বাইকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।”

    আরও পড়ুনঃমেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য

    নন্দীগ্রামে ভোট দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সৌমেন্দুর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটাধিকার (Lok Sabha Election 2024) আমাদের অধিকার। আমি আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য মোদি জি-কে ভোট দিলাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন। তিনি তৃণমূলের অনেক চোরকে জেলে পাঠিয়েছেন। এই এলাকায় আরও বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে দরকার। এই এলাকায় তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। ২০০ টির বেশি বুথে তৃণমূল এজেন্ট খুঁজে পায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: “ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম,” বললেন নিহত বিজেপি মহিলা কর্মীর মেয়ে

    Nandigram: “ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম,” বললেন নিহত বিজেপি মহিলা কর্মীর মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রামে (Nandigram) প্রকাশ্যে বিজেপি নেতার মা রথিবালা আড়িকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত মাকে জড়িয়ে ধরে খুনি তৃণমূলীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছিলেন মেয়ে সঞ্জু আড়ি। শনিবার তিনি বুথে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন। ভোট পূর্ববর্তী হিংসা’য় মাকে হারানো সঞ্জু ভোট দিয়ে বেরিয়ে বললেন, বাড়ির বাকিরাও ভোট দেবেন।

    থমথমে মনসা বাজার (Nandigram)

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) গড়চক্রবেড়িয়া থেকে সোনাচূড়াগামী সড়ক ধরে প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিলে মনসা বাজার। ভোটের দিন সকালে দেখা গেল বাজারে তেমন লোক নেই। পুলিশের একটি দল টহল দিচ্ছে রাস্তায়। ওই মূল রাস্তার ডান দিক থেকে ছোট্ট পাকা রাস্তা ধরে প্রায় আড়াই কিলোমিটার হাঁটাপথ ধরে এগিয়ে গেলেই রথিবালাদের বুথ। সাউদখালি জলপাই গ্রামের এই রাস্তায় ঢুকতেই অদ্ভুত এক থমথমে পরিস্থিতি মালুম হয়। গোটা এলাকায় চোখে পড়ছে বিজেপির পতাকা। প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে বিজেপির মহিলা কর্মী রথিবালাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় নতুন করে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম। রথিবালাদেবীর মেয়ে সঞ্জু এক জনের স্কুটিতে চেপে বুথে যান।

    আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থীকে ছোড়া হল ইট, গাড়ি ভাঙচুর,পালাল জওয়ানরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম

    বুথের বাইরে সতর্ক প্রহরায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান। সেখানেই সকাল সকাল ভোটদান করলেন রথিবালার মেয়ে সঞ্জু। তাঁকে দেখেই দ্রুত বুথের ভিতরে যাওয়ার রাস্তা ছেড়ে দিলেন অন্যরা। ছলছল চোখে ভোট দিয়ে বেরিয়ে সঞ্জু বলেন, “মাকে নৃশংসভাবে খুন করার ঘটনায় গোটা পরিবার ভেঙে পড়েছে। বাড়িতে দুই দাদা এবং বউদি। বড় দাদা সঞ্জয় গুরুতর জখম হয়ে কলকাতায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বাড়িতে ওর স্ত্রী আর দুই শিশু আছে। আর এক দাদা এবং তার স্ত্রী-ও বাড়িতে আছে। আমি আগে এলাম। বাড়ির বাকি সবাই ভোট দিয়ে যাবে। ইভিএমেই মায়ের মৃত্যুর জবাব দিলাম।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। মেদিনীপুর লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হলেন অগ্নিমিত্রা পল। এই লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথ কেন্দ্রে বিজেপির এজেন্টদের তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একেবারে কেশিয়াড়িতে অগ্নিশর্মা মেজাজে দেখা গেল অগ্নিমিত্রা পলকে। বুথের মধ্যেই পুলিশ ঢুকে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নিজেই পুলিশকে বার করে দেন বুথের ভিতর থেকে। এরপর ওই বুথে বিজেপির এজেন্টকেও বসান। কিন্তু বুথ থেকে বেরোলে তাঁকে ঘিরে পাল্টা বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। আবার খড়্গপুর সেরসা স্টেডিয়ামে ২৬৩ নম্বর বুথে ভোট দিলেন বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পাল (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিনে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে অগ্নিমিত্রা বলেন, “পুলিশ অত্যন্ত নির্লজ্জ। বুথের ভিতরে ঢুকে পুলিশ ভোট করাচ্ছে। আমাদের বুথ এজেন্টদের গতকাল রাত থেকেই পুলিশ তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। আজ সকালে অনেককে কোর্টে চালান করে দিয়েছে। আমাদের বুথে নতুন করে এজেন্ট বসাতে হচ্ছে। মমতা সরকারের পুলিশ, তৃণমূলের হয়ে সরাসরি কাজ করাচ্ছে। দরজায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাচ্ছে পুলিশ।“ একই ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনারা কী চোখে দেখতে পান না? পুলিশ কীভাবে বুথের বাইরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস পায়। আপনারা কর্তব্য ঠিক মতো পালন না করলে আমরা অভিযোগ জানাবো কমিশনে। হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম।” একই ভাবে বেলদা থানার সাবড়ায় ৫৫ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অগ্নিমিত্রা।

    আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    ঝাড়গ্রামে প্রণত টুডুর গাড়িতে আক্রমণ

    নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ২০০ নম্বর বুথে দেখা দিয়েছিল ব্যাপক উত্তেজনা। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে যান মহিলারা। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আবার গাড়িতে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গ্রহণের দিনেও অশান্ত তমলুক লোকসভা (Lok Sabha Election 2024)। খুন আরও এক ব্যক্তি। ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের মাত্র একদিন আগেই নন্দীগ্রামে খুন হয়েছিলেন বিজেপি মহিলা কর্মী। ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ভোটের দিন মহিষাদলের বেতকুণ্ডুতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। লোকসভার ভোটে রক্তাক্ত হয়েছে তমলুক লোকসভা। গণতান্ত্রিক উৎসবে শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

    ভোটে কেন খুন (Lok Sabha Election 2024)?

    জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শেখ মইবুল। তাঁকে গতকাল শুক্রবার কুপিয়ে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের তির বিজেপির দিকে। প্রথমে বচসা হয় এরপর দুই পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি হন। এরপর বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অপরে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে তৃণমূল। এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে পরিকল্পনা করে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষের মনে ভয় তৈরি করে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরিবেশকে ভয়ভীতিপূর্ণ পরিবেশ করা হচ্ছে। গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা রাজ্যে ব্যাপক ভাবে হয়েছে। সব ক্ষেত্রে আঙ্গুল ছিল তৃণমূলের দিকেই। 

    আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিজিৎ

    এই ষষ্ঠ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে রাজনৈতিক হিংসার কথা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন এই মৃত মহিলার ছেলে। ভোটের আগে থেকে রাতভর সন্ত্রাস চালায় দুষ্কৃতীরা। এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, “পুলিশ সন্ত্রাস করছে। পুলিশের গায়ে উর্দি আছে তাই সন্ত্রাস করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। মমতা-অভিষেক পরিকল্পনা করে এই সব করাচ্ছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ না করার চক্রান্ত চলেছে রাজ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করা হল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    এই তমলুক কেন্দ্র প্রথম থেকেই সকলের নজরে রয়েছে। এক দিকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি এসএসসি সহ একাধিক দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন। একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক জেলে গিয়েছেন। আবার এই লোকসভা কেন্দ্রের একটি বিধানসভা নন্দীগ্রাম বিধানসভা। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে শুভেন্দুর কাছে ভোটে হেরেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভার ভোটের জয়-পরাজয়ের একটি বিশেষ কেন্দ্র হিসেবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই লোকসভা কেন্দ্র।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের দখল নিয়ে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামীদের কার্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী গোষ্ঠীর অনুগামীরা। দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Anubrata Mondal)

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে মঙ্গলকোটে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীরভূমের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মঙ্গলকোটে তাঁর অনুগামীরা দলের মধ্যে কোণঠাসা হতে শুরু করে। এবার ফের নতুনহাটে দলীয় কার্যালয়ের দখলকে ঘিরে প্রকাশ্যে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়। বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান শান্ত সরকারের অভিযোগ, আমাদের নেতা অনুব্রত। দাদা এখন জেলে বলে আমরা ব্রাত্য। আমাদের অনুগামীদের চড়-থাপ্পড় মেরে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজ করেছে তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর অনুগামী বর্তমান উপপ্রধার ছাহিম মল্লিকের দলবল। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা উত্তপ্ত হতে থাকে। শান্ত সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের মঙ্গলকোটে জন্মলগ্ন থেকে দল করে আসছেন। একদা অনুব্রতর স্নেহধন্য ছিলেন। আর তাঁরাই এখন দলের কাছে ব্রাত্য হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকেই অনুব্রত গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ-সহ বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুই পক্ষকেই কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের তরফেও তৃণমূলের ওই কার্যালয়ের দরজায় আরও একটি তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    পুলিশ তালা দিয়েছে পার্টি অফিসে

    মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘অফিস কখনও কারও ব্যক্তিগত হয় না। তৃণমূলের অফিসে সমস্ত দলীয় কর্মীরা বসবেন। এলাকায় অশান্তি রুখতে পুলিশ ওই অফিসে তালা দিয়েছে। আবার সময় হলে অফিস খুলে দেবে। আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। নেতৃত্ব যা বলবে তাই হবে।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপির বোলপুর জেলা সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি মেঘনাথ দাস বলেন, তৃণমূলের জঘন্য রাজনীতিতে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। পঞ্চায়েত ভোটে ওরা ভোট লুট করেছে। এখন নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share