Tag: bjp

bjp

  • Howrah: দলীয় প্রার্থী প্রসূনকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের, ভোটের মুখে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Howrah: দলীয় প্রার্থী প্রসূনকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের, ভোটের মুখে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূলের কঙ্কালসার চেহারা আবার প্রকাশ্যে চলে এল। সোমবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কার্যত বিক্ষোভের মুখে পড়লেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। হুডখোলা জিপে প্রচার করার সময় পুরনো কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এতেই ধৈর্য হারান তিনি। আর ভোটের মুখে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার হাওড়া (Howrah) এলাকায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় হুডখোলা জিপে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে ছিল। প্রচার চলাকালীন সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তৃণমূল প্রার্থীর দিকে এগিয়ে যান। জগৎ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “১৯৯৮ সাল থেকে আমরা দুলাল সেনের নেতৃত্বে পার্টিটা করি। আমরা এতদিন ধরে পার্টি করে আসছি। বিক্রম সরকারকে আমরা জিতিয়েছি। প্রসূনবাবুকেও তিনবার জিতিয়েছি। হঠাৎ এই পুরনো টিমটাকেই বাদ দিয়ে দিল। নতুন নতুন ছেলে মনোজ তিওয়ারির মতো লোকজন এসেছে। এরা আমাদের বাদ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও বুথ স্লিপ আসেনি। এটা বিরোধিতা নয়। আপনাদের অ্যাটেনশনের জন্য বলছি। এভাবে চলতে থাকলে কর্মীরা বসে যাবে। দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর উৎসাহ হারিয়ে যাবে।” অবিলম্বে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরা আর্জি জানান। তবে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভ একটুও কমেনি।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    বিজেপি প্রার্থী ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করেন

    হাওড়া (Howrah) সদরের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী এই ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “যেভাবে শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় তোলাবাজি সহ নানা ধরনের কাটমানির খেলা চলছে। তাতে মন্ত্রী এবং সাংসদ দুজনেই দায়ী। সাংসদ এবং মন্ত্রী দুজনেই দুর্নীতিতে যুক্ত। আজ মানুষ ক্ষোভ চেপে রাখতে না পেরে তারা বিক্ষোভ দেখান। ভোট যত এগিয়ে আসবে এই ঘটনা তত বাড়বে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শুভেন্দুর পোস্টারে আপত্তি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা তৃণমূলের, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    Sandeshkhali: শুভেন্দুর পোস্টারে আপত্তি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা তৃণমূলের, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাগদিপাড়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় সোমবার দুপুরে এলাকার কয়েকজন বিজেপি কর্মীরা রাজ্যের বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। সেই সময় এলাকার বেশ কিছু তৃণমূলের কর্মী সেই পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়। বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের হামলায় দুজন বিজেপি কর্মী জখম হন। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে সন্দেশখালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়।

     আবারও সন্দেশখালিতে সিবিআই প্রতিনিধি দল (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) খুলনা এলাকায় সঞ্জয় মণ্ডলের বাড়িতে সোমবার দুপুরে হানা দেয় সিবিআই এর চার সদ্যসের প্রতিনিধি দল। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও রয়েছেন। ২০১৯ সালে বিরোধীদল করার অপরাধে শেখ শাজাহানের বাহিনী এই সঞ্জয় মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সঞ্জয় মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। এই অভিযোগ করে সিবিআই এর মেল এ অভিযোগ করেন সঞ্জয়বাবু। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্জয়ের বাড়িতে আসে সিবিআই। তাদের কাছ থেকে পুরো ঘটনাটি শোনেন সিবিআই আধিকারিকরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    কাঠপোল বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী -সমর্থকদের

    রবিবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। মিথ্যা ভিডিও তৈরি করে মেয়েদের বদনাম করা হচ্ছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। রাস্তায় ফেলে তৃণমূল নেতাদের পেটানো হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় চারজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। ধৃত এই চারজন বিজেপি কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। তৃণমূল পরিকল্পনা করিয়ে পুলিশকে দিয়ে তাদের গ্রেফতার করিয়েছে। পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমনটাই দাবি জানিয়ে সোমবার সন্দেশখালির বেড়মজুরের কাঠপোল বাজারে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির রোড শোয়ে বোমাবাজি তৃণমূলের! এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন সৌমেন্দু

    NIA: শুভেন্দুর গড়ে বিজেপির রোড শোয়ে বোমাবাজি তৃণমূলের! এনআইএ তদন্তের দাবি জানালেন সৌমেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুর থানার ভগবানপুরে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর রোড শোয়ের সামনে বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলই এই বোমাবাজি করেছিল বলে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। এবার সেই ঘটনায় অবশেষে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সৌমেন্দু অধিকারী। পটাশপুরে বোমাবাজিতে পুলিশি অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু। তাঁর আর্জি তদন্ত এনআইএকে (NIA) হস্তান্তর করা হোক। এই আবেদন জানিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (NIA)

    গত ১১ মে পটাশপুরের ভগবানপুরে বিজেপির মিছিলের আগে বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভগবানপুর দুই ব্লকের আড়গোয়াল থেকে ইটাবেড়িয়া যাওয়ার সময় সৌমেন্দু অধিকারীর রোড শোর অদূরে রাস্তায় বোমা ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। আচমকা বোমের আওয়াজে মিছিলে থাকা কর্মী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেই অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। এলাকা যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। পরে ক্ষোভে তৃণমূল ও পুলিশকে এরজন্য দায়ী করে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে। জানা যাচ্ছে, ভগবানপুর বিধানসভা এলাকা ও পটাশপুর থানা এলাকায় বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে। বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর রোড শো যাওয়ার আগেই বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ প্রার্থীর। সৌমেন্দুর গাড়ি বেশ কিছুটা দূরে একটু ফাঁকা দেখেই বোমা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, পরিকল্পিতভাবেই তৃণমূল এই কাজ করেছে। মিছিলের ওপর  বোমা ছোড়া হলে বড় বিপদ হতে পারত। অবিলম্বের অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। এই ঘটনার পর এবার এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবি জানানো হল।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    এনআইএ এই ঘটনার তদন্ত করুক

    সৌমেন্দু অধিকারী বলেন,আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাইছি। আর তৃণমূল পায়ে পা লাগিয়ে এভাবে ঝামেলা করতে চাইছে। আমাদের মিছিলের আগে বোমা ছোড়া হল কেন? আসলে তৃণমূল ভয় পেয়েই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে আমার মনে হয়। ভোটের মুখে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করছে। সৌমেন্দুর আইনজীবীর বক্তব্য, শাসকদলের তরফে বোমা ছোড়া হয় মিছিলের দিকে। মামলাকারীর বক্তব্য, এই ঘটনায় অতি সক্রিয়তা দেখাচ্ছে পুলিশ। এনআইএ (NIA) এই ঘটনার তদন্ত করুক বলে আর্জি মামলাকারীর। ১৭ মে শুনানির সম্ভাবনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    Lok Sabha Election 2024: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের সামনেই বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন দুর্গাপুর ২৭৭ এসি ৮২ নম্বর বুথের সামনে থেকে তৃণমূলের বাহিনী বিজেপি বিধায়ককে তুমুল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ২৭৭ এসি ৮২ নম্বর বুথে বিজেপি পোলিং এজেন্ট রাহুল সাহানি’কে বুথে ঢুকতে বাঁধা দেয় তৃণমূল। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র ঘোরুই যান। তৃণমূল নেতা কর্মীরা ধাক্কা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন।  পুলিশের সামনে বিধায়কের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন তৃণমূলের লোকজন। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র ঘোরুই বলেন, পুলিশের সামনে তৃণমূলের লোকজন আমার গায়ে হাত দিয়েছে। এসব চলতে পারে না। আমরা সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানাব।

    বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ

    দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর  করার অভিযোগ ওঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কর্মীদের বক্তব্য, আমরা বুথের বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা ১৫০ জন তৃণমূল কর্মী আমাদের ওপর চড়াও হয়। দুটি বাইক ভাঙচুর করে। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী। ব্যাপক উত্তেজনা।

    বুথে তৃণমূল নেতার দাপাদাপি! (Lok Sabha Election 2024)

     এদিন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন আসানসোল জামুরিয়া এলাকায় বহু বুথে বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়ায় বলে বিজেপির অভিযোগ। আসানসোল পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুলটির লালবাজার এলাকায় ৫৮ / ৫৯ নম্বর বুথে উত্তেজনা। বিজেপির অভিযোগ, কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত দলবল নিয়ে বুথে ঢোকার চেষ্টা করে। ওই ওয়ার্ডের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও কী করে বিমান দলবল নিয়ে সেখানে আসে? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি প্রতিবাদ করলে দু পক্ষের তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে ।

    বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বাধা

    পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভারি বিলপাহাড়ি গ্রামে বিজেপির পোলিং এজেন্ট  শুভজিৎ দেওয়াসীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ সকাল থেকে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে তৃণমূল কর্মীরা। শুভজিৎ বলেন, আমাকে তৃণমূলের লোকজন বুথে বসতে দেয়নি। ওরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তিনি ওই এলাকার ভোটার নয় বলেই পুলিশ হরিপুরের গাইঘাটা মোড়ে তাঁর গাড়ি আটকে দেয। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তিন ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের চাপে আসানসোল ফিরে গেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, পুলিশ এবং প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। পাণ্ডবেশ্বর জুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। আমাদের এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না। আর পুলিশ প্রশাসন আমাকে বাধা দিচ্ছে।  ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফায় রাজ্যে লোকসভার ভোট গ্রহণ শুরু হতে দিকে দিকে অশান্তির খবর উঠে আসছে। লাগাতার বহরমপুর এবং বীরভূমে উত্তপ্ত হওয়ার খবর আসছে। এবার বর্ধমানের কাঞ্চনপুর এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মীদেরকে খুনের হুমকি দিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল পাঁচটার পরে বিজেপির লোকজনকে খুন করা হবে। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাস এবং তাঁর দলবল এই হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা তৃণমূলকে এই হুমকির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    আবার চতুর্থদফা নির্বাচনের দিনেই দুর্গাপুরের তুল্লাবাজার এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণে গাড়ির কাচ ভাঙল। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের। বুথে ঝামেলার কথা জানতে পেরে ছুটে যান তিনি। এরপর তাঁর গাড়িকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। আধলা ইট মেরে ভেঙে দেওয়া হয় সংবাদ মধ্যমের গাড়ি। একই ভাবে দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয় গো-ব্যাক স্লোগান।

    কী বললেন দিলীপ (BJP)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন সকালেই বেলেপুকুর প্রাইমারি স্কুলে আসেন দিলীপ ঘোষ। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আর সেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, “বর্ধমান দুর্গাপুরে এই খুনোখুনি হতে দেবো না। সেই কারণেই আমি এলাকা ঘুরছি। বিজেপি (BJP) কর্মীদের পাশে আমি সবসময় রয়েছি। এই খোকন দাস একজন ছিঁছকে মস্তান। কাউন্সিলরের মতো ব্যবহার করছেন। এলাকায় কাটমানি তোলে, এলাকায় মানুষকে ভয় দেখায়। খুনের হুমকি দিয়ে বেড়ায়।” তাঁকে ঘিরে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তিনি বলেন,“রাজ্যের দুষ্কৃতীরা ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে। বিজেপি কর্মীদের মেরে বার করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবটাই দেখছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগের রাতেই খুন তৃণমূল কর্মী! পরিবারের দাবি দলের গোষ্ঠীকোন্দল

    ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব

    একই ভাবে তৃণমূল নেতা খোকন দাসের হুমকির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার বিজেপি (BJP) নেতা অভিলাস দাস বলেন, “এখানে এসে এই তৃণমূল নেতা হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। ওঁর গুন্ডারা বলেছে বিজেপির ছেলেদের কেটে ফেলবে। সবাইকে মাটির নিচে পুঁতে দেবে। এলাকার মহিলাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওঁর ড্রাইভার বাজারে দাঁড়িয়ে মহিলাদের হুমকি দিয়েছে। ওঁদের এত বড় ক্ষমতা, কত বড় হনু হয়েছে আমরাও দেখব? একই ভাবে আমার বউকে হুমকি দিয়েছে। আমরাও ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব দেখি কী করে এই তৃণমূল নেতা।” চতুর্থ দফায় আজ এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    Birbhum: বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের শক্ত জমি আলগা হয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি বিরোধীদের। শাসক দলের নেতাদের একাংশ সেটা জানেন। আর তাই ভোটের আগের দিন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রামে টাকা, কাপড় বিলির অভিযোগ। আর তা ঘিরেই তুমুল হইচই বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের তাড়া খেয়ে চটি ফেলে মোটর সাইকেল নিয়ে কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচলেন মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ ঘোষ। তৃণমূল নেতার ছুটে পালানো দেখে এলাকার লোকজনও নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার বসন্তপুর এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে রয়েছে অধিকাংশ মানুষ। দলের পক্ষে ভোট করাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতা তথা পুরাতন গ্রামপঞ্চায়েতের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ। অভিযোগ, রবিবার বসন্তপুর গ্রামে ভোটারদের প্রলোভন দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করার কাজ করছিলেন তিনি। টাকা ও শাড়ি বিলি করছিলেন বলেও দাবি করে বিজেপি। এরপরই এলাকার লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। তিনি সেখান থেকে ছুটে পালান তৃণমূল নেতা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোমনাথ। তিনি বলেন, জমিতে ধান কাটার লোকজনের জন্য আমি গিয়েছিলাম। সেই সময় বিজেপির কিছু ছেলে দল বেঁধে এসে আমার ওপর আক্রমণ করে। অভিযোগ করে আমি টাকা বিলি আর কাপড় বিলি করছে। যদি কাপড় বা টাকা বিলি করার একটা প্রমাণও দেখাতে পারে যা অভিযোগ করবে মেনে নেব। কিন্তু এর কোনও প্রমাণ নেই। বিজেপির ছেলেরা আগে থেকেই টার্গেট করে রেখেছিল আমাকে হেনস্থা করার। তাই হেনস্থা করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    মহম্মদবাজারের (Birbhum) মণ্ডল-৩-এর বিজেপি নেতা নেতা উত্তম দাস বলেন,  “তৃণমূলের সোমনাথ ঘোষ তেঁতুলবেড়িয়া থেকে এসে কাপড়, টাকা বিলি করছিলেন। গ্রামবাসী আমাকে খবর দেয়। গ্রামের লোকেরা একেবারে ঘিরে নেন ওনাকে। এরপরই তিনি ছুটে একজনের  বাড়িতে ঢুকে পড়েন। পরে পুলিশ এসে বের করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Gangarampur: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে আক্রান্ত খোদ সরকারি আধিকারিক, কেড়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল

    Gangarampur: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে আক্রান্ত খোদ সরকারি আধিকারিক, কেড়ে নেওয়া হয়েছে মোবাইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আগামীকাল চতুর্থ দফা নির্বাচন। বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য আটকাতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন সরকারি আধিকারিক। অবৈধ বালি পাচার আটকাতে গিয়ে খোদ সরকারি অফিসারকে অপদস্তু হতে হল, কেড়ে নেওয়া হল মোবাইল। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের গঙ্গারামপুরে (Gangarampur)। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Gangarampur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুরের (Gangarampur) পুনর্ভবা নদীর বানগড় এবং নারায়ণপুরে এলাকার বালি মাফিয়ারা দেদার বালি পাচার করছিল। এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে আক্রান্ত হন খোদ সরকারি আধিকারিক। ঘটনার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ভূমি ও ভূমি সংস্কর দফতরে। যদিও ঘটনায় বালি মাফিয়াদের সঙ্গে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বিশেষ যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা বিজেপি। অপরে পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    কোনও ক্রমে প্রাণে বেঁচে যান

    সংবাদ মাধ্যমে এই খবর জানাজানি হতেই এলাকার প্রশাসন ইতিমধ্যেই নড়েচড়ে বসেছে। গত দুই দিন আগে এই গঙ্গারামপুরে (Gangarampur) পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩টি ট্রাক্টার এবং ২টি মোটর বাইক আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য রুখতে শনিবার গঙ্গারামপুরের পশ্চিম হালদারপাড়া এলাকায় অভিযান চালাতে যায় ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকেরা। মূলত অভিযোগ হল, অভিযান চালাতে গেলে ভূমি রাজস্ব ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের বাধা দেওয়া হয়। একই ভাবে তাঁদেরকে হেনস্থা করা হয় এবং জোর করে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে যান তাঁরা। ঘটনায় গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথাও জানিয়েছেন সরকারি আধিকারিকেরা। ঘটনায় তদন্তের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: থানায় বিক্ষোভ বিজেপির, ভুয়ো ভিডিও বানাতে এসে বিধায়কের সামনেই মার খেলেন তৃণমূল কর্মী

    বিজেপির বক্তব্য

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Gangarampur) নদী থেকে বালি পাচার বন্ধ হওয়ার বিষয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেছেন, প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদতে এই অবৈধ বালি পাচার চলছে। অবিলম্বে এই পাচার বন্ধ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। এই বালি পাচারের টাকা জেলার ব্লক থেকে কালীঘাট পর্যন্ত যায়। এই সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।” একই ভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেছেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attack On BJP: ভোটের আগে উত্তপ্ত পূর্বস্থলী! বিজেপির ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Attack On BJP: ভোটের আগে উত্তপ্ত পূর্বস্থলী! বিজেপির ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে উত্তপ্ত পূর্বস্থলী। আবারো বিজেপির ওপর হামলার (Attack On BJP) অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। বিজেপির ব্যানার,ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ সহ বিজেপি কর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে বলে দাবি।  যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। 

    ঠিক কি ঘটেছিল? (Attack On BJP)

    বিজেপি কর্মী নৃপেণ কাপাসিয়া জানান, “শনিবার শেষ লগ্নের প্রচার ছিল। টোটো করে তারা প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের টোটোতে লাগানো বিভিন্ন বিজেপির ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে (Attack On BJP) দেওয়া হয়েছে।” শুধু তাই নয়, সেখানে থাকা কর্মীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই শনিবার রাতে নাদন ঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 

    অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

    এ বিষয়ে পূর্বস্থলী ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন,“তৃণমূলের খেয়েদেয়ে কাজ নেই যে মারধর (Attack On BJP) করতে যাবে। গোষ্ঠী কোন্দলে জীর্ণ ওরা। নব বিজেপি, আদি বিজেপি, তৎকাল বিজেপি। প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ওদের মধ্যে কোন্দল দেখা দিয়েছিল। এ ওকে সহ্য করতে পারছে না। বিশ্বাস করতে পারছে না। বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। এটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।”

    বহরমপুরে হামলা

    উল্লেখ্য,বিজেপির ওপর হামলার (Attack On BJP) ঘটনা এটাই প্রথম নয়। দুদিন আগেই বহরমপুরে রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ চলাকালীন বিজেপির ব্যানার ফেস্টুন ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বহরমপুর পৌরসভার উনিশ এবং কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো হাসপাতালের পিছনে বিজেপি পার্টি অফিসের ২০০ মিটারের মধ্যে রাতের অন্ধকারে বিজেপির পোস্টার গুলি ছিঁড়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। 
    এ প্রসঙ্গে বিজেপির লাল্টু দাস বলেন, “পোস্টার ছিঁড়ে রাতের অন্ধকারে ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবেনা।” তিনি আরো জানান গত রাত্রি থেকে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল নেতা কর্মীরা। সেই সঙ্গে উনিশ এবং কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তার দুপাশে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে পোস্টার লাগানো ছিল। সেই পোস্টটার ছেঁড়ারও অভিযোগ আনলেন বিজেপির লাল্টু দাস। এ বিষয়ে তৃণমূল এর পক্ষ থেকে জানানো হয় হিংসার রাজনীতি তৃণমূল করে না। বিজেপি নেতা কর্মীরাই নিজেরাই রাতের অন্ধকারে পোস্টটার ছিড়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: এক্স-রে প্লেটের আকাল! বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে বন্ধ হতে বসেছে পরিষেবা

     প্রসঙ্গত, আগামীকাল বহরমপুর লোকসভা ভোট। এই ভোট সুষ্ঠুভাবে সুসম্পূর্ণ করার জন্য নির্বাচনী কমিশনার বদ্ধপরিকর। কিন্তু এরই মধ্যে বিজেপির পোস্টটার ছেঁড়াকে (Attack On BJP) কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে একাধিক জায়গায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “তিনি কি ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?”, রাহুলকে প্রশ্ন স্মৃতির

    PM Modi: “তিনি কি ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?”, রাহুলকে প্রশ্ন স্মৃতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) বিতর্কে আহ্বান করেছিলেন তিনি। দেশে চলছে অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় বিতর্কের আহ্বান কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর। রাহুলের সেই আহ্বানের প্রেক্ষিতেই তাঁকে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বৈরথের ক্ষমতা রাহুলের রয়েছে কিনা, সে প্রশ্নও তুললেন স্মৃতি। একদা কংগ্রেসে ঘাঁটি আমেঠিতেই যিনি দাঁড়াতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, সেই তিনিই কিনা বিতর্ক সভায় প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান করেছেন শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    আমেঠিতে ধরাশায়ী রাহুল (PM Modi)

    ২০০৪ সাল থেকে আমেঠিতে ধারাবাহিকভাবে জয়ী হয়ে আসছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। উনিশের নির্বাচনে স্মৃতির কাছে ধরাশায়ী হন তিনি। তার পর আর আমেঠিতে দাঁড়াতে রাজি হননি রাহুল। কেরলের ওয়েনাড়ের পাশাপাশি রাহুল মনোনয়নপত্র দাখিল করেন রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্রে দু’দশক ধরে জিতে আসছিলেন সোনিয়া গান্ধী। বয়সজনিত কারণ এবার আর প্রার্থী হতে চাননি তিনি। কেন্দ্রের মৌরসিপাট্টা ধরে রাখতে রাহুলকে প্রার্থী করে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। সেই রাহুলই এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) আহ্বান করেন তর্ক-যুদ্ধে।

    কী বললেন স্মৃতি?

    এরই জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী তথা আমেঠির বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি। বলেন, “প্রথমত, যিনি সামান্য একজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার সাহস পান না তাঁর তথাকথিত খাসতালুকেই, তাঁর অহঙ্কার ত্যাগ করা উচিত। আর দ্বিতীয়ত, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিতর্কে বসতে চান। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি, তিনি কি ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?”

    আরও পড়ুুন: “এই নির্বাচন রামভক্ত ও রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে বেছে নেওয়ার”, বললেন যোগী

    সম্প্রতি একটি মহলের তরফে বিতর্ক সভায় আহ্বান করা হয়েছিল রাহুলকে। চিঠিতে রাহুল তাঁদের লিখেছেন, “যেহেতু প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে লড়ছে, জনগণ তাঁদের নেতাদের মুখ থেকে সরাসরি শুনতে চান তাঁদের বক্তব্য।” এর পরেই তিনি লিখেছেন, “হয় আমি নিজে নয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এরকম তর্ক-যুদ্ধে অংশ নিতে মুখিয়ে রয়েছি।” তিনি বলেন, “এরকম বিতর্কে অংশ নিতে আমি একশো শতাংশ প্রস্তুত। যদিও প্রধানমন্ত্রী এতে রাজি হবেন না।” এরই জবাবে রাহুলের যোগ্যতা নিয়েই (PM Modi) প্রশ্ন তোলেন স্মৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: থানায় বিক্ষোভ বিজেপির, ভুয়ো ভিডিও বানাতে এসে বিধায়কের সামনেই মার খেলেন তৃণমূল কর্মী

    Sandeshkhali: থানায় বিক্ষোভ বিজেপির, ভুয়ো ভিডিও বানাতে এসে বিধায়কের সামনেই মার খেলেন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাকে বাড়ি থেকে বার করে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা। ভুয়ো ভিডিও করতে এসে বিধায়কের সামনে তৃণমূল নেতাকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করলেন প্রতিবাদী মহিলারা। মূলত এলাকাবাসীর অভিযোগ হল, মিথ্যা মামলায় বিজেপির দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ! এমনই অভিযোগ তুলে রবিবার দুপুরে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীসমর্থকরা। বিক্ষোভে এদিন নেতৃত্ব দেন বসিরহাটের এবারের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। ইতিমধ্যে জেলিয়াখালি এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Sandeshkhali)?

    চতুর্থ দফা নির্বাচনের আগের দিনেই ফের শিরোনামে নতুন করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক এবং বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সামনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাতান গায়েনকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করলেন গ্রামের মহিলারা। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই ঘটল এমনই ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর সন্দেশখালিতে একটি বাড়িতে দিলীপ এবং সুকুমার ছিলেন সকাল থেকেই। খবর পেয়ে সেখানে চড়াও হন মহিলারা। এরপর তৃণমূল নেতাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে এনে পেটান মহিলারা। এদিন মহিলা কর্মীদের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই পৌঁছে যায় পুলিশ।

    মহিলাদের বক্তব্য

    এদিন এলাকাবাসীর (Sandeshkhali) কয়েকজন মহিলা বলেন, “আমরা বিক্ষোভ করতে এসেছি কারণ আমাদের নামে ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমরা টাকা খেয়েছি। আমাদের নাকি টাকা দিয়ে পথে নামিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কে আমাদেরকে টাকা দিয়েছে তাকে আমাদের সামনে নিয়ে আসুক। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে আমাদের নামে। পাশাপাশি মহিলারা আরো জানান, আমাদেরকে ঘরছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের লোকজন। তাই আমরা এদিন রীতিমতো আটক করে রাখি তৃণমূল নেতা এবং বিধায়কদের।”

    এদিন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “যা হয়েছে, তা কেউ ছড়িয়েছে, তবে কে প্ররোচনা দিয়েছে, তা আমরা জানি না। ঘটনায় কারও প্ররোচনা তো আছেই।”

    আরও পড়ুন: “১ নম্বর বোতাম টিপে ইভিএম মেশিন চেক করতে বলেছে তৃণমূল”, অভিযোগ সুভাষের

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলিয়াখালি এলাকার বিজেপির তরফ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে, মিথ্যা ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। রবিবার আবারো প্রকাশ্যে এসেছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) স্টিং ভিডিয়োর দ্বিতীয় পর্ব। এই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে। প্রথম ভিডিয়োতেই দেখা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছে গঙ্গাধর নিজে স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির আন্দোলন সাজানো। কিন্তু আজ এলাকার মানুষ দাবি করেন, টাকার বিনিময়ে সন্দেশখালির আন্দোলন হয়েছে। ফলে এই নিয়ে প্রতিদিনই ভুয়ো ভিডিয়ো বানাচ্ছে তৃণমূল। এলাকার মানুষের আরও বক্তব্য, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে টাকার বিনিময়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভিডিও বানিয়েছেন, যা কয়েকদিনের মধ্যেই আবার প্রকাশ্যে আসবে। এই এলাকার মহিলাদের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতেই তৃণমূল ষড়যন্ত্র করছে বলেও এদিন দাবি করা হয়। সাধারণ মানুষের এই অভিযোগকে এদিন তুলে ধরে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ-সহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি তুলে থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share