Tag: bjp

bjp

  • Subhash Sarkar: “১ নম্বর বোতাম টিপে ইভিএম মেশিন চেক করতে বলেছে তৃণমূল”, অভিযোগ সুভাষের

    Subhash Sarkar: “১ নম্বর বোতাম টিপে ইভিএম মেশিন চেক করতে বলেছে তৃণমূল”, অভিযোগ সুভাষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইভিএম সম্পর্কে তৃণমূল ভুল বোঝাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে নালিশ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar)। তাঁর দাবি, “১ নম্বর বোতাম টিপে ইভিএম মেশিন চেক করতে বলেছে তৃণমূল”। কার্যত নির্বাচনে হারার ভয়ে তৃণমূল এই আচরণ করছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। পাল্টা তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

    ঠিক কী বললেন সুভাষ (Subhash Sarkar)?

    রবিবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে জনসংযোগ এবং ডামি ভোটার স্লিপ বিতরণ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhash Sarkar)। তিনি বাঁকুড়া পুরসভা নিয়ন্ত্রিত বাজারে প্রচার কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, “তৃণমূল নিশ্চিত হারবে, আর তাই মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। তৃণমূল বলছে আগে ১ নম্বর বোতাম টিপে দেখবেন মেশিন ঠিক আছে কি না, কিন্তু এই কথা অত্যন্ত অন্যায়। তৃণমূল মানুষের মধ্যে ভ্রান্তি তৈরি করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ জানাবো। ভোটাররা যাকে খুশি ভোট দেবেন।” তিনি আরও বলেন, “এলাকায় পান চাষের জন্য একটি শেড তৈরি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ত্রলাকার তৃণমূল বিধায়ক এই কাজ করতে দেননি। সাংসদ তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকার অনুমোদন দিয়েছিলাম। কিন্তু তৃণমূলের অপশাসনে কার্যকর হল না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই ঘটনায় তৃণমূলের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের নাম রয়েছে ইভিএমে ১ নম্বরে। আর বিজেপির নাম রয়েছে ৪ নম্বরে। সুভাষবাবু (Subhash Sarkar) পাগল হয়ে গিয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

    রাজ্যের বিজেপি নেতা হিসাবে সুভাষ সরকার গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৎকালীন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ১ লাখের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। পরবর্তী কালে তিনি কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। বাঁকুড়ার রাজনীতিতে সুভাষ সরকার বেশ পরিচিত মুখ। এইবারের নির্বাচনে তিনি নিজের জয় নিয়ে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তাঁর প্রচার এলাকায় ব্যাপক জমজমাট।

    আরও পড়ুন: হাইওয়েতে উড়ছে টাকা, টেম্পো থেকে উদ্ধার থরে থরে বিপুল টাকা! চাঞ্চল্য

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Andhra Pradesh: হাইওয়েতে উড়ছে টাকা, টেম্পো থেকে উদ্ধার থরে থরে বিপুল টাকা! চাঞ্চল্য

    Andhra Pradesh: হাইওয়েতে উড়ছে টাকা, টেম্পো থেকে উদ্ধার থরে থরে বিপুল টাকা! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইরোডে যেন টাকা কুড়ানোর ধুম লেগে গেছে। জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি ছোটা হাতি এবং আরেকটি টেম্পোকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় টেম্পো। এবার এই টেম্পো থেকে হাওয়ায় উড়তে থাকে টাকা। পরে পুলিশ এসে টেম্পোর ভিতর থেকে উদ্ধার হয় কয়েক বাক্সে কোটি কোটি টাকা। ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh)।

    কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Andhra Pradesh)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আর একদিন বাদেই লোকসভার চতুর্থ দফার নির্বাচন, ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) জাতীয় সড়ক থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ টাকা। পূর্ব গোদাবরী জেলার একটি সড়ক দুর্ঘটনার জেরে এই কোটি কোটি টাকার সন্ধান মিলেছে। পুলিশ উল্টে যাওয়া টেম্পো থেকে বাক্সে বন্দি করা থরে থরে টাকা উদ্ধার করে। প্রথমে পথ চলতি মানুষ ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশে খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে ওই টেম্পো থেকে ৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেন। আরও জানা গিয়েছিল গাড়িটি বিজয়ওয়াড়া থেকে বিশাখাপত্তনমের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ দুর্ঘটনা ঘটলে এই বিপত্তি ঘটে। ইতিমধ্যে গাড়ির চালককে গুরুতর অবস্থায় গোপালপুরম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ সেই টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু টাকার মালিক কে তা এখনও জানা যায়নি।

    আগেও উদ্ধার হয়েছে টাকা

    উল্লেখ্য লোকসভার ভোটে এই ভাবে টাকা উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম নয়, আগেও অনেক নগদ অঙ্কের টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই রাজ্য বাংলায় হাওড়া স্টেশন থেকে একাধিক বার রাজধানী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। আবার দক্ষিণের এই রাজ্যে গত ১০ মে পুলিশ পাইপ বোঝাই একটি ট্রাক থেকে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। অন্ধ্রপ্রেদেশের মোট ২৫ টি লোকসভার আসন। আগামীকাল ১৩ মে এই রাজ্যের নির্বাচন। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।

    আরও পড়ুন: কল্যাণের অস্থাবর সম্পত্তি ২৪ কোটির বেশি, রয়েছে দুটি গাড়ি, দিল্লি-কালীঘাটে ফ্ল্যাট   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Banerjee: কল্যাণের অস্থাবর সম্পত্তি ২৪ কোটির বেশি, রয়েছে দুটি গাড়ি, দিল্লি-কালীঘাটে ফ্ল্যাট

    Kalyan Banerjee: কল্যাণের অস্থাবর সম্পত্তি ২৪ কোটির বেশি, রয়েছে দুটি গাড়ি, দিল্লি-কালীঘাটে ফ্ল্যাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের তিনবারের সংসদ এবং হেভি ওয়েট নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerje)। আগে একবার বিধায়কও ছিলেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। হুগলির শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের এই বারের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই মেয়ের প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বোস। অপরে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের প্রার্থী দিপ্সীতা ধর। নিজের মনোনয়ন জমা করে এদিন কল্যাণ নিজের হলফ নামায় সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছেন।

    সম্পত্তির পরিমাণ কত(Kalyan Banerje)?

    বছর সাতষট্টীর এই আইনজীবী তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ নিজের হলফ নামায় জানিয়েছেন ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়ের হিসেব জানিয়েছেন। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৬৬ টাকা। তার আগের অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ এ তাঁর আয় ছিল ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪৪ টাকা। তিনি ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ১২৩ টাকা আয় করেছিলেন ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ২ কোটি ১২ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৬৯ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তিনি ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮২০ টাকা আয় করেছিলেন।

    স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ কত?

    কল্যাণ নিজের হলফ নামায় স্ত্রী ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের হিসাবে জানিয়েছেন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর স্ত্রীর আয় ছিল ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয় ছিল ২ লক্ষ  ৮৮ হাজার ৫৩০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫০ টাকা আয় করেছিলেন ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের অর্থবর্ষে ২০১৯-২০ তে তাঁর আয় ছিল ২ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫৪ টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ১২০ টাকা আয় করেছিলেন ছবিদেবী। মনোনয়ন পেশ করার সময় কল্যাণের (Kalyan Banerje) হাতে নগদ ছিল ৫০ হাজার টাকা। একাধিক ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একই ভাবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “পঁচাত্তরের পরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদিই”, জনসভায় দাবি শাহের

    রয়েছে দুটি গাড়ি

    হলফ নামায় কল্যাণ (Kaylan Banerje) জানিয়েছেন তাঁর দুটি গাড়ি রয়েছে। একটি গাড়ি ২০২১ সালে ২২ লক্ষ ৬৭ হাজার দিয়ে কিনেছেন। অপর আরেকটি গাড়ি ৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন। তাঁর কাছে ১৫ লক্ষ টাকার সোনা রয়েছে। স্ত্রীর কাছে রয়েছে ২৪ লক্ষ টাকার সোনা। তাঁর বাড়িতে আইনজীবী পেশার কারণে ১ কোটি টাকার বই রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ২৪ কোটি ২০ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৩৫ টাকা। স্ত্রীর কাছে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ রয়েছে ২ কোটি ৭১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫৩৬ টাকা। এছড়াও কালীঘাটে, দিল্লি এবং শ্রীরামপুরে ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। তিনি ১৯৭৫ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম পাশ করেছিলেন। এরপর ১৯৭৯ সালে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি পাশ করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানায় বিক্রির জন্য”, আইয়ারকে মুখের মতো জবাব মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানায় বিক্রির জন্য”, আইয়ারকে মুখের মতো জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার ওড়িশার কান্ধামালে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, “পাকিস্তান পরমাণু বোমা তৈরি করে বিক্রির জন্য। কারণ আর্থিক দৈন্য মেটানোই এখন তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।”

    কী বলেছিলেন আইয়ার? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। সেটি হল, ১৫ এপ্রিল কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার বলেছিলেন, “পাকিস্তান একটি শ্রদ্ধেয় দেশ। তাদের পরমাণু বোমাও রয়েছে। তাই ভারতের অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন।” আইয়ারের সেই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (PM Modi) বলেন, “পাকিস্তানের পরমাণু বোমা নিয়ে ভারতবাসীকে ভূতের ভয় দেখাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই দুর্বল মনোভাবের ফলেই সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছিল পাকিস্তান। কংগ্রেস লাগাতার নিজের দেশের মানুষকেই ভয় দেখানোর চাল চালছে। ওরা বলে চলেছে, পাকিস্তান সম্পর্কে সাবধান। ওদের হাতে পরমাণু বোমা রয়েছে।”

    মোদির জবাব

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সব দুর্বল মানুষ ভারতের জোশকে খুন করার চেষ্টা করছে। আজ নয়, কংগ্রেস চিরকাল এটাই করে এসেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখন এমন একটা দেশে পরিণত হয়েছে যে ওদের নিজেদের পরমাণু বোমা মজুত করার ক্ষমতা নেই। ওরা অন্য দেশকে পরমাণু বোমা বিক্রি করতে চাইছে। কিন্তু কেউ কিনছে না। কারণ সেগুলোর মান খুবই খারাপ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওদের এই ভীরু মনোভাবের কারণেই জম্মু-কাশ্মীরকে জঙ্গিদের উপদ্রব সহ্য করতে হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন আইয়ারের বেফাঁস মন্তব্যে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই আইয়ারের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। দলের নেতা পবন খেরা বলেন, “আইয়ারের এই দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে এক মত নয় কংগ্রেস। এটা দলেরও মত নয়। আইয়ার কোনও অধিকারেই দলের তরফে এমন (PM Modi) মন্তব্য করার হকদার নন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Ranaghat: “প্রতারক মুকুটমণিকে একটাও ভোট দেবেন না”, আর্জি তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রীর

    Ranaghat: “প্রতারক মুকুটমণিকে একটাও ভোট দেবেন না”, আর্জি তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রতারক মুকুটমণিকে একটাও ভোট দেবেন না।” শনিবার বিকালে রানাঘাটে (Ranaghat) মহাগুরুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভোটারদের কাছে এমনই আর্জি জানালেন তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। ভোটের আগেই মুকুটমণি অধিকারীর স্ত্রীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল। তৃণমূল প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    মিঠুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান (Ranaghat)

    রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে বড়সড় চমক দিল বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর স্ত্রী বিজেপিতে যোগদান করলেন। বলিউড সুপারস্টার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। শনিবার শেষ মুহূর্তের প্রচারে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে ভোট প্রচারে আসেন বিজেপির তারকা ক্যাম্পেনার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন হেলিকপ্টারে আসার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তিনি সড়ক পথেই নদিয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তাহেরপুরের নেতাজি মাঠে আসেন। সেখানে জগন্নাথ সরকারের হয়ে ভোট প্রচার করেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেই মঞ্চ থেকেই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের উপস্থিতিতে মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। যদিও কিছুদিন আগে মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের একটি কথা উঠে আসে এবং সূত্র মারফত জানা যায় সেই বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। এখনও পর্যন্ত খাতায়-কলমে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীরই স্ত্রী হচ্ছেন স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। তাই ভোটের আগে তৃণমূল প্রার্থী স্ত্রীকে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে এক বড়সড় চমক দিল বিজেপি।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী কী বললেন?

    এদিন মঞ্চ থেকেই স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী বলেন, আমি নিজের ইচ্ছেতেই বিজেপিতে যোগদান করেছি। মুকুটমণি লোভী। তাঁকে ভোট দিলে প্রতারিত হবেন। বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে ভোট দিন। এলাকার উন্নয়ন হবে। যদিও এদিনের এই সভা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সুযোগ-সুবিধা এবং প্রকল্পের কথাও জানান বিজেপি নেতা তথা তারকা ক্যাম্পেনার মিঠুন চক্রবর্তী। তবে, শেষ প্রচারের আগে নতুন চমক এনে ভোট বাক্সে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বিজেপি এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiranmoy Chattopadhyay: প্রচারের মাঝেই আচমকা সেলুনে বিজেপি প্রার্থী, ৮২ দিন পর চুল কেটে চর্চায় হিরণ

    Hiranmoy Chattopadhyay: প্রচারের মাঝেই আচমকা সেলুনে বিজেপি প্রার্থী, ৮২ দিন পর চুল কেটে চর্চায় হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের প্রচারে সারাদিন ব্যাপক ব্যস্ততায় প্রচার অভিযানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiranmoy Chattopadhyay)। দলীয় কর্মসূচি, রোড শো, পথসভা, জনসভা ইত্যাদির চাপে ঠিক নেই স্নান-খাওয়ার সময়। এমনকী চুল কাটারও সময়ও পাননি তিনি। অবশেষে নির্বাচনী ব্যস্ততার মধ্যে আজ ৮২ দিন পর চুল কেটে চাঞ্চল্য ফেলে দিলেন এই প্রার্থী। আজ দাসপুরের হরিরামপুরে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন হিরণ। সেখানেই হঠাৎ এলাকার একটি সেলুনে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর সেখানে কেটে ফেললেন নিজের চুল-দাড়ি। বিজেপির এই তারকা প্রার্থী হিরণকে দেখতে পেয়ে বেজায় খুশি সেলুনের মালিক রতন নাপিত। এলাকায় এই নিয়ে ভোটের প্রচার জমে উঠেছে।

    অভিনব ভোট প্রচার (Hiranmoy Chattopadhyay)

    ঘটালের প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiranmoy Chattopadhyay) নাপিতের দোকানে গেলে আসে পাশের অনেক মানুষ তাঁকে দেখার জন্য ভিড় জমান। দোকানের নাপিত বলেন, “আগে এত বড় মাপের কেউ আমাদের এই দোকানে আসেননি। খুব ভালো লাগছে।” ইতিমধ্যে তাঁকে দেখতে আসা প্রার্থীরা জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে শুরু করে। অনেকেই তাঁকে ফুলের মালা পড়িয়ে দেন। উল্লেখ্য একই ভাবে নির্বাচনী প্রচারে অভিনব প্রচার করে তাক লাগিয়েছিলেন দক্ষিণ মালদার প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র। তিনি দোকানে সবজি বিক্রি করে, চায়ের দোকানে চা বানিয়ে চমক দিয়ে ছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ পুলিশকে পেটানোর অভিযোগে গেফতার ৭ তৃণমূল কর্মী, শোরগোল

    কী বললেন হিরণ?

    এদিন চুল কেটে নাপিতকে ১০০ টাকা দেন হিরণ (Hiranmoy Chattopadhyay)। তারপরে বলেন, “আজ ৮২ দিন পর চুল দাড়ি কাটলাম। নির্বাচনের ব্যস্তার জন্য চুল কাটা হয়নি। ৮২ দিন ধরে হেঁটে চলেছি। সকাল ৯ টা থেকে রাত্রি ১১ টা পর্যন্ত প্রচার কাজে থাকি। এই জায়গা দিয়ে যাচ্ছিলাম তাই রতনদা বললেন আমার দোকান দেখে যান। ওর ডাকেই আজ ঢুকে পড়লাম। আগে তো মাটিতে ইটে বসে চুল কাটাতাম। আমি কোনও বড় মানুষ নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই”, শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

    Dilip Ghosh: “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই”, শেষ বেলার প্রচারে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ বেলা আজ নিজের কেন্দ্রে প্রচার সারলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আমরাই ধোবি ঘাট এলাকায় রোড শো করে শেষে চা চক্রে যোগদান করেন তিনি। তাঁকে উদ্দেশ্য করে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল, মেদিনীপুর না দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা আসনে এসে কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হচ্ছে? উত্তরে দিলীপ বলেন, “এটাও জেতা সিট, তাই লক্ষাধিক মার্জিনে জিততে চাই।” এলাকার কর্মীরা আমার সঙ্গে আছেন। অপর দিকে গতকাল তাঁর রোড শোকে কমিশন আটকালে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। দিলীপ বলেন, সময়মতো আমাদের রোড-শো চলায় আটকে দেওয়া হয়েছে।” আগেও তাঁর সভা আটকানোর বিরুদ্ধে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ছিলেন তিনি।

    দেবের বিরুদ্ধে তোপ (Dilip Ghosh)

    আবার গতকাল ঘটাল কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দেব প্রচার করে গিয়েছেন দুর্গাপুর-বর্ধমানলোকসভা কেন্দ্রে। দেব কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) বলেন, “মেদিনীপুর ছেড়ে এখানে আসতে হলো।” প্রত্যুত্তরে আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমি মেদিনীপুরের ছেলে মেদিনীপুরে ফিরে যাব কিন্তু ও কোথায় যাবে! তৃণমূলের স্টার প্রচারক কিন্তু সংসদে যান না। এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কোনও ভূমিকা রাখেন না। তৃণমূল যেমন দেবও তেমনি। সব চোরের দল।” সন্দেশখালির কয়েকজন মহিলার বিরুদ্ধে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে ওই সমস্ত মহিলাদের চিহ্নিত করে মিথ্যা অভিযোগ এবং অপপ্রচার করা হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের হয়ে তাবেদারি করছে। পুলিশ নিয়ে আমরা ভাবি না।”

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী

    শেষ প্রচারের আসরে নেমে দিলীপ বলেন, “আমরা প্রত্যন্ত এলাকায় কাজ করছি। আমাদের কর্মীরা বুথে বথে কাজ করে চলেছেন। আমি জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আমি শেষ বেলায় সব এলাকায় যাচ্ছি। এখানে কোনও বাধা নেই। তবে তৃণমূল যে আছে এটা জানাতে ওঁরা মাঝে মাঝে গো ব্যাক শ্লোগান দেন। এমনকী কোথাও কোথাও কালো পতাকা দেখিয়ে থাকেন। তবে পুলিশ যদি ঠিক করে কাজ করেন তাহলে মানুষ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ না করলেই ভালো।” তবে শেষ দিনের প্রচারে ভোটারদের মন জয় করতে ব্যাপক জমজমাট চিত্র লক্ষ্য করা গেল।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। শুক্রবার দলীয় প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বীরভূমে প্রচারে ঝড় তোলেন তিনি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

    তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুরে বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম এবং তৃণমূল নেতা অশ্বীনি মণ্ডল কাউকে হুমকি দিলে আমাকে মেসেজ করবেন। ভোটের দিন যদি পাড়ায় আটকে রাখে তাহলে আমাকে বুথ নম্বর এবং পোলিং নম্বর দিয়ে মেসেজ করবেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে সিআরপিএফ চলে যাবে কথা দিলাম। কীভাবে এদের কোমর ভাঙতে হয় জানি। আমরা দিনহাটায় উদয়ন গুহকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। ফলে, তৃণমূলের কোনও দাদাগিরি চলবে না।

     মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো পুলিশ কর্মীদের বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ক্লোজ করা হবে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি কেষ্টকেও সতর্ক করেছিলাম। এখন তিহাড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।’ এরপর স্থানীয় শুভেন্দু- নুরুল ইসলাম, অশ্বিনী মণ্ডল, বলরাম বাগদী, রাজু মুখোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁদের তিনি সতর্ক করেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রসঙ্গ তোলেন শুভেন্দু  পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যে সমস্ত পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ক্লোজ করা হবে। আর অবসর নিলে অবসরকালীন সুবিধা বন্ধ করে দেবে।’ তিনি ঘোষণা করেন, মিথ্যা মামলায় যাঁদের জেল খাটতে হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ৫০০০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। সেটা হল ‘সংগ্রামী ভাতা।’ এদিনও তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। আমি বলছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৩ হাজার টাকা করে দেব লক্ষ্মীর ভান্ডার। রাজস্থানের মতো ৪৫০ টাকা করে গ্যাস করে দেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভোটের জন্য সিএএ করতে দিচ্ছেন না মমতা। বিরোধিতা করছেন। চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক।” শুক্রবার অমিত শাহ (Amit Shah) রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে প্রচারে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের প্রশ্ন, “সিএএ এই দেশে আসা উচিত কি না! বহু মানুষ আজ নাগরিকত্ব পাননি। অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দিচ্ছে মমতার সরকার। কিন্তু মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে।আমরা সকলকে নাগরিকত্ব দেব।”

    মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে বিজেপিকে ভোট দিন (Amit Shah)

    রানাঘাটের মাজদিয়া রেল বাজার হাই স্কুলের মাঠে সভা বিজেপি। সেখানে বক্তৃতা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রানাঘাটে তৃণমূলের প্রার্থী বিজেপি ছেড়ে আসা মুকুটমণি অধিকারী। বক্তৃতায় তাঁকে বার বার কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। জানালেন, এই ভোট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। নদিয়াবাসীর পক্ষ থেকে অমিত শাহকে স্বাগত জানালেন দলীয় কর্মীরা। তার পরেই মঞ্চে উঠলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বলুন, ‘ভারত মাতার জয়’। ‘জয় শ্রীরাম’।”এর পর একে একে মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতা, কর্মীদের নাম নেন শাহ (Amit Shah)। উপস্থিত সকলকে নমস্কার জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের উৎসাহের জন্য প্রণাম জানাই। এখানে এক ইঞ্চিও জায়গা রাখেননি। জগন্নাথজিকে জয়ী করানোর জন্য সকলে এসেছেন। জগন্নাথকে কমল চিহ্নে দেওয়া প্রতি ভোট নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করবে। জগন্নাথকে দেওয়া ভোট মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে।”

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    দুর্নীতিতে এক নম্বরে মমতার সরকার

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “রামমন্দির আগেই হওয়া উচিত ছিল কি না! এই কংগ্রেস, তৃণমূল, কমিউনিস্টেরা আটকে রেখেছিল এত বছর। দ্বিতীয় বার আপনারা প্রধানমন্ত্রী করেছেন। মামলা জিতে, ভূমিপুজো করে রামমন্দির করেছেন মোদি। আজ বলতে চাই, মোদিজি ১০ বছরে ৮০ কোটি গরিবের জন্য অনেক কাজ করেছেন। প্রতি মাসে যে ৫ কেজি চাল আসে, তা মোদি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। সন্দেশখালির প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “মমতা একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে মহিলাদের শোষণ করা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। করেছেন ওঁর নেতারা। ওঁর লজ্জা করা উচিত। সিবিআই তদন্ত করছে। বাংলার মা, বোনদের চিন্তার দরকার নেই। আমরা সন্দেশখালি অপরাধীদের উল্টো ঝোলাব। শাহ জানান, দুর্নীতিতে ‘এক নম্বরে মমতার সরকার। শিক্ষক, পুরনিয়োগ থেকে রেশন, কয়লা সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে মমতার সরকার।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, ভয় পাবেন না

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “মমতার মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫০ কোটি টাকা মিলেছে। এই সভায় কেউ এত টাকা দেখেছেন? এই টাকা কার? এই টাকা রানাঘাটের গরিব যুবকদের। এই মমতা এবং তৃণমূল এই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের ভয় পাবেন না।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে এই যে বিস্ফোরণ হচ্ছে, সকলকে ভয় দেখানোর জন্য করাচ্ছেন মমতা। রানাঘাটবাসীকে বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছি আমরা। ভয় পাবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Himanta Biswa Sarma: পেট্রোল-ডিজেলে ‘অতিরিক্ত ট্যাক্স মমতার’, আক্রমণ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Himanta Biswa Sarma: পেট্রোল-ডিজেলে ‘অতিরিক্ত ট্যাক্স মমতার’, আক্রমণ হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের সমর্থনে জগদ্দল বিধানসভার শ্যামনগর অন্নপূর্ণা মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। রাজ্যে তৃণমূল শাসনে একধিক বিষয়ে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। আসাম সরকারের সরকারি প্রকল্প এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি প্রকল্পের নানা বিষয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগলেন। পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোল-ডিজেলের লিটার পিছু মূল্য নিয়ে অতিরিক্ত ট্যাক্স নেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। একই সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকার পরিমাণ কম পান বাংলার মা-বোনেরা, এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।

    কী বলেল হিমন্ত বিশ্বশর্মা(Himanta Biswa Sarma)?

    আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বলেন, “আসামে গোয়াহাটিতে পেট্রোলের লিটার ৯৬ টাকা আর পশ্চিমবঙ্গে পেট্রোলে লিটার ১০৩ টাকা। পেট্রোলে লিটার পিছু সাত টাকা করে বেশি নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার ডিজেলের লিটার পিছু নিচ্ছে তিন টাকা করে। সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায় কিন্তু আসামের মহিলারা ১২৫০ টাকা করে লক্ষ্মীর ভান্ডার পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে পেট্রোল ও ডিজেল এ অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে তাতে এই পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের ২০০০ টাকা করে লক্ষীর ভান্ডার পাওয়া উচিত।”

    নিয়োগ নিয়ে আক্রমণ

    বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “আসামে আমরা প্রথম বছরে ১ লক্ষ যুবকের সরকারি চাকরি দিয়েছি। কিন্তু সেই চাকরি নিয়ে কোনও হাইকোর্ট বা সুপ্রিমকোর্ট হয়নি বা কোনও মন্ত্রীর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়নি, তাই আসামে গিয়ে কীভাবে সাধারণ যুবকদের চাকরি দিতে হয় তা মুখ্যমন্ত্রীকে শিখে আসার জন্য আহ্বান জানাই। অথচ এই রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেকার যুবকদের স্বপ্ন ধ্বংস করে দিয়েছেন মমতা।” বাংলায় তৃণমূল শাসনকে মুক্ত করতে এদিন জনসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে অর্জুন সিং-কে জেতানোর জন্য আহ্বান জানান।

    আরও পড়ুনঃসন্দেশখালির ‘ভুয়ো ভিডিও’ প্রসঙ্গে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপির গঙ্গাধর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share