মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ঘুচল কানাডিয়ান পরিচয়। দেশের নাগরিক হিসেবে এই প্রথম ভোট দিলেন অক্ষয় কুমার (Akshay Kumar)। শুধু তাই নয়, একেবারে আমজনতার মতোই পাঁচ-ছয়শো লোকের ভিড়ে বুথে লাইন দিয়ে ভোট দিতে দেখা গেল তাঁকে। সোমবার ২০ মে পঞ্চম দফায় দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে মুম্বইয়ের ১৩টি আসনেও ভোটগ্রহণ (Lok Sabha elections 2024) প্রক্রিয়া চলছে। আর এরই মধ্যে সকাল সকাল জুহুর একটি বুথে গিয়ে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিজের প্রথম ভোট দিলেন অক্ষয়।
আম জনতার সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ
রীতিমতো লাইন দিয়ে ভোট (Lok Sabha elections 2024) দিতে দেখা যায় অক্ষয় কুমারকে (Akshay Kumar)। তিনি বলেন, “বুথ খুলতেই সকাল ৭টার সময় চলে আসি আমি। তখনই দেখলাম বুথের বাইরে প্রায় ৫০০-৬০০ মানুষ দাঁড়িয়ে।” এরপর অক্ষয়কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তাঁকেও কি ভোটদানের জন্য লাইন দিতে হয়েছে? উত্তরে হেসে অভিনেতার জবাব, “নয়তো আর কী করব? লাইন ভেঙে এগিয়ে যেতাম নাকি?”
#WATCH | Actor Akshay Kumar shows the indelible ink mark on his finger after casting his vote at a polling booth in Mumbai.
He says, “…I want my India to be developed and strong. I voted keeping that in mind. India should vote for what they deem is right…I think voter… pic.twitter.com/mN9C9dlvRD
— ANI (@ANI) May 20, 2024
গণতন্ত্রের উৎসবে যোগ দিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত অক্ষয়। বুথ থেকে বেরনোর সময়ে তাঁর মুখের হাসি দেখেই বোঝা গেল সেটা। ভোটদানের পর সংবাদমাধ্যমকে অভিনেতা বলেন, “আমি (Akshay Kumar) চাই আমার দেশ আরও শক্তিশালী হোক। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই ভোট দিয়েছি। ভোট দিতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে। খুব ভালো বোধ করছি।” একই সঙ্গে আঙুলে ভোটের কালি ছাপ দেখিয়ে বেশ গর্বই অনুভব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কীভাবে এক পর্তুগিজ নাবিক জলপথে প্রথম ভারতের সন্ধান পেলেন?
ঘুচল কানাডিয়ান পরিচয়
এতদিন কানাডার নাগরিক ছিলেন অক্ষয় (Akshay Kumar)। ২০১৯ সালে ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন বলিউড অভিনেতা। এরপর ২০২৩ সালে স্বাধীন ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন তিনি। তবে ভারতীয় ছবিতে অভিনয় করলেও, ১৯৯০ সালে কানাডার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তাই এতদিন কানাডার নাগরিক ছিলেন বলে ভোট (Lok Sabha elections 2024) দিতেন না অভিনেতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।