Tag: cbi

cbi

  • RG Kar: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    RG Kar: সন্দীপ, চার চিকিৎসক-পড়ুয়া কি সত্যি বলছেন? আজ হবে পলিগ্রাফ টেস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়। তাঁর ভূমিকা আতসকাচের তলায়। আদৌ সন্দীপ সিবিআইকে সত্যি কথা বলছেন তো? নাকি সুকৌশেলে তাদের বিভ্রান্ত করছেন একদা আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ? এসব জানতেই এবার সন্দীপের পলিগ্রাফ টেস্ট হবে। এমনই অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। তবে সন্দীপের (Sandip Ghosh) পাশাপাশি ঘটনার রাতে নির্যাতিতার সঙ্গে যে চার চিকিৎসক ডিনার করেছিলেন সেমিনার রুমে (RG Kar), তাঁদেরও পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। জানা গিয়েছে, আজ, শুক্রবার তাঁদের পলিগ্রাফ টেস্ট করানো হবে।

    বৃহস্পতিবার শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসে সিবিআই 

    বৃহস্পতিবারই আরজি করের (RG Kar) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ও চার চিকিৎসককে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআইয়ের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ থেকে শিয়ালদা আদালতে নিয়ে আসে সিবিআই। রুদ্ধদ্বার আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মুখোমুখি বসানো হয় ওই পাঁচজনকে। এরপরেই সিবিআই-এর তরফে তাঁদের পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য আবেদন করা হয়। সন্ধ্যায় সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি আগেই পেয়েছে সিবিআই। তবে অভিযুক্তের টেস্ট এখনও করাতে পারেনি সিবিআই। এবার সন্দীপ ঘোষ এবং আরজি করের চার চিকিৎসক পড়ুয়ারও পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    এই পলিগ্রাফ টেস্ট আসলে (RG Kar) কী?

    পলিগ্রাফ টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় কোনও ব্যক্তি মিথ্যা বলছেন কি না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কারও পলিগ্রাফ টেস্টের মাধ্যমে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি, নাড়ির স্পন্দন তথা গতি, রক্ত চাপ, শরীর থেকে কতটা ঘাম-ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করা হয়। সাধারণভাবে কেউ মিথ্যা কথা বললে তাঁর হৃৎস্পন্দন এবং রক্তচাপের পরিবর্তন ঘটে। প্রসঙ্গত, আরজি করে ছাত্রী খুনের ঘটনায় অধ্যক্ষর (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার অভিযোগ আগেই এনেছিলেন চিকিৎসক মহলের বড় অংশ এবং নির্যাতিতার পরিবার (RG Kar)। সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে এ ব্যাপারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। এবার তদন্তের আরও অগ্রগতির প্রয়োজনেই পলিগ্রাফ টেস্ট হতে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    CBI: হাথরস কাণ্ডের দুঁদে মহিলা সিবিআই অফিসার সীমা এবার আরজি করের তদন্তে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাথরস কাণ্ডের কথা মনে আছে? ২০২০ সালে উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। উচ্চবর্ণের চার ব্যক্তি দলিত তরুণীটিকে গণধর্ষণের পর একটি মাঠে ফেলে পালায়। পরে, নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় মহিলা পদমর্যাদার এসপি নিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই পদ্ধতিতেই আরজি করের ঘটনায় নিযুক্ত করা হল মহিলা এসপিকে। নাম সীমা পাহুজা। তিনি এর আগে হাথরস ধর্ষণকাণ্ডের তদন্ত করেছিলেন। ইতিমধ্যেই কলকাতায় চলে এসেছেন সীমা। এই মামলায় তিনজন তদন্তকারী আধিকারিক (CBI) নিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দুজন মহিলা। একজন কলকাতার অফিসার। 

    কে এই মহিলা আধিকারিক? (CBI)

    আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই (CBI)। সোমবার তাঁকে চতুর্থ বারের জন্য ডেকে পাঠানো হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। গত ৯ অগাস্ট চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। যদিও সিবিআইয়ের হাতে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তার মধ্যেই জানা গেল, হাথরসের ঘটনায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেওয়া তৎকালীন ডিএসপি সীমাকে আরজি করের ঘটনার তদন্তকারী দলে যুক্ত করা হয়েছে।

    সীমার প্রশংসা সিবিআইয়ের অন্দরে
    সিবিআই আধিকারিক সীমা এক সময় গাজিয়াবাদে কর্মরত ছিলেন, অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোয়। হাথরস তো বটেই, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তকারী অফিসার হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অন্দরে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। সিবিআই আধিকারিক হিসেবে তাঁর কাজের জন্য ২০১৪ সালের ১৫ অগাস্ট পুলিশ মেডেল পান সীমা। সাহসী এবং নির্ভীক অফিসার হিসেবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। হাথরস-কাণ্ডে সিবিআইয়ের ১৪ সদস্যের বিশেষ দলের নেতৃত্ব দেওয়া ছাড়াও হিমাচল প্রদেশের গুতি মামলার তদন্তের ভার ছিল তাঁর ওপর। সংশ্লিষ্ট মামলার সমাধান করেছিলেন তিনি। এবার তাঁকে আরজি কর (RG Kar Incident) কাণ্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সূত্রে খবর, আরজি করে যে সেমিনার হলে গোটা ঘটনাটা ঘটেছে, সেখানে যাবেন সীমা। নির্যাতিতার বাড়িতেও যাবেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করকাণ্ডে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করবে সিবিআই, এরপর কি সন্দীপ?

    CBI: আরজি করকাণ্ডে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করবে সিবিআই, এরপর কি সন্দীপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণকাণ্ডে ধৃতের পলিগ্রাফ টেস্টের অনুমতি পেল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ধৃত সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করানোর অনুমতি এসে গিয়েছে। সোমবার সিবিআই-কে সেই অনুমতি দিল শিয়ালদা কোর্ট। কবে সেই টেস্ট হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এদিন আদালতে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেছে সিবিআই। এটি মূলত একটি মানসিক পরীক্ষা। হার্ট রেট, রক্তচাপ পরীক্ষার মাধ্যমে অভিযুক্ত সত্যি বলছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়। যে টেস্টের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, কেউ মিথ্যা বলছে কিনা। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য তাঁরও পলিগ্রাফ টেস্ট করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে, গোটাটাই হবে দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর।

    পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বললেন? (CBI) 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় যখন কোনও প্রশ্ন করা হয়, তখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হার্টের পালস, রক্তচাপ, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মতো বিভিন্ন শারীরিক মানদণ্ড পরিমাপ করা হয়। যখন কেউ মিথ্যে কথা বলে, তখন সাধারণত সেইসব মাপদণ্ডের হেরফের হয়ে থাকে। সেটার মাধ্যমেই নির্ধারণ করা হয় যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মিথ্যে বলছে কিনা। যদিও সব সময় পলিগ্রাফ টেস্ট পুরোপুরি নির্ভুল হয় না বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক (CBI) বলেন, “কোনও ব্যক্তি যখন মিথ্যা কথা বলে, তখন তার মস্তিষ্ক থেকে পি ৩০০ নামে একটি বিশেষ সংকেত বের হয়। সেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ওই স্নায়বিক সংকেতের জন্যই তার হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। আর গোটা বিষয়টি আমাদের কাছে আরও স্পষ্ট হয়। সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয় ן”‎

    আরও পড়ুন: ২২ অগাস্ট স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও, আরজি কর কাণ্ডে লাগাতার ধর্না বিজেপির

    এই পলিগ্রাফ টেস্টের ঠিক কী নিয়ম?

    অভিযুক্তকে এই পরীক্ষায় মত দিতে হয়। অভিযুক্ত মত দিলে তদন্তকারী সংস্থা (CBI) আদালতকে জানাবে। আদালত অনুমতি দিলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে পলিগ্রাফি টেস্ট। অভিযুক্তর সামনে টেস্ট করার আগে সমস্ত আইনি দিক ব্যাখ্যা করা হবে। পলিগ্রাফ টেস্টেরই একটি প্রকারভেদ হল লাই ডিটেকশন (মিথ্যা কথা ধরার উপায়) বা ব্রেন ম্যাপিং টেস্ট। মূলত পলিগ্রাফ টেস্টের সময়, অভিযুক্তর রক্তচাপের পরিবর্তন, পালস রেটের পরিবর্তন, ত্বকের উপরিভাগে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কি না, এইসব সূক্ষ্ম বিষয়ের ওপর নির্ভর করে বুঝতে হয় যে অভিযুক্ত সঠিক বলছে কি না।

    সন্দীপকে ম্যারাথন জেরা সিবিআইয়ের

    ইতিমধ্যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সূত্রের খবর, সন্দীপের থেকে জানতে চাওয়া হয় যে কেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা’কে হাসপাতালে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়েছিল? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে আরও একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সূত্রের খবর, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর শোনার পরে তাঁর প্রথম প্রতিক্রিয়া কী ছিল, কার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করেছিলেন, সেমিনার হলের (যেখান থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল) কাছে আচমকা কেন সংস্কারের কাজ শুরু হল, সেই প্রশ্নও করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: একাধিক আঘাতের চিহ্ন, যৌন নিগ্রহ স্পষ্ট! চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কী মিলল?

    RG Kar Incident: একাধিক আঘাতের চিহ্ন, যৌন নিগ্রহ স্পষ্ট! চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের নিহত তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই তাঁকে, এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে রিপোর্টে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার পড়ুয়া-চিকিৎসকের শরীরে ব্যাপক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, যা সবই মৃত্যুর আগে ঘটেছে বলে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    কী কী বলা হল রিপোর্টে (RG Kar Incident)

    ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী—

    গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। মৃতের মাথা, মুখ, গলা, বাহু এবং যৌনাঙ্গে ১৪টিরও বেশি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যৌনাঙ্গেও রক্ত পাওয়া গিয়েছে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

    অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল ওই তরুণীর দেহ। চার তলার ওই সেমিনার হলের কাছে কোনও নিরাপত্তারক্ষীও ছিল না বলে জানা গিয়েছে। 

    ধর্ষণের আগে বীভৎস মারধর করা হয়েছিল তরুণীকে। তার পরেও তিনি প্রতিরোধ করলে, প্রবল বল প্রয়োগ করা হয়েছিল তাঁর উপর। তরুণীর বুকে আঘাত লাগে, শ্বাসরোধ করে দমবন্ধ করার প্রমাণ মিলেছে। 

    চশমার কাচ ভেঙে চোখে গভীর ক্ষত হয় তরুণীর। অপরাধীর হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রতিরোধ করতে গিয়ে প্রবল ধস্তাধস্তিতেই কাচ ভেঙে যায় এবং চোখে ঢুকে রক্ত বেরিয়ে যায়। মাথাতেও আঘাত রয়েছে তাঁর। মাথায় কোনও হাড় ভাঙার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

    তাঁর যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত রয়েছে। এতই ভয়ানক পেনিট্রেশন হয়, যার জেরে বিপুল রক্তপাত ঘটে এবং হাইমেন ফেটে যায়! মৃতের যৌনাঙ্গে “সাদা, ঘন, আঠালো তরল” পাওয়া গিয়েছে। ফুসফুসে রক্তক্ষরণ এবং শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ মিলেছে। রক্ত এবং অন্যান্য শারীরিক তরল নমুনা আরও বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল যুবভারতী, সমর্থকদের গ্রেফতারি আটকে ‘নায়ক’ কল্যাণ চৌবে

    সুপ্রিম কোর্টে শুনানি

    আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক প্রশিক্ষণার্থী মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। দেশ ছাড়িয়ে এই ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর প্রতিবাদে সর্বত্র একটাই সুর ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এই মামলা গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার (২০ অগাস্ট), কলকাতার এই ধর্ষণ-খুনের ঘটনার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ছাড়া এই বেঞ্চে থাকছেন বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: সেমিনার হল নাকি অন্যত্র, নির্যাতিতাকে ধর্ষণ-খুন কোথায়? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    RG Kar Incident: সেমিনার হল নাকি অন্যত্র, নির্যাতিতাকে ধর্ষণ-খুন কোথায়? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) তোলপাড় গোটা দেশ। কলকাতার সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় চলছে সিবিআই (CBI) তদন্ত। তবে তদন্তের মাঝেই চিন্তার ভাঁজ পড়ল তদন্তকারীদের কপালে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেস্ট বিভাগের সেমিনার হলেই কি ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল তরুণী ডাক্তার ছাত্রীকে? না কি অন্যত্র ঘটনা ঘটিয়ে সেমিনার হলে মৃতদেহ সাজিয়ে রাখা হয়েছিল‌? এই প্রশ্নেরই উত্তরের খোঁজেই তদন্তকারীরা। 

    কী জানিয়েছেন তদন্তকারীরা? (RG Kar Incident) 

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আরজি করের চেস্ট বিভাগে ৬০টি শয্যা রয়েছে। তা ছাড়া, সেমিনার হল-সহ আরও দু’টি ঘর রয়েছে। ওই ঘরের শয্যাগুলি রাতে সাধারণত খালি থাকে। সেখানেও খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চেস্ট বিভাগের নানা জায়গায় থ্রিডি স্ক্যানারের মাধ্যমে ম্যাপিং এবং ভিডিও করা হয়েছে। 

    ফের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা সন্দীপ ঘোষের (CBI) 

    ঘটনাস্থল ও সংলগ্ন জায়গা জরিপ করার পাশাপাশি আরজি করের (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও শুক্রবার থেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। রবিবারের পর ফের সোমবার সকালে আবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এই নিয়ে চতুর্থ বার সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এদিন বেশ কিছু নথি নিয়ে দফতরে ঢুকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যদিও সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি সন্দীপ।  

    আরও পড়ুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ভয়াবহ…’’, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব মিঠুন চক্রবর্তী

    প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় (RG Kar Incident) গত বৃহস্পতিবার সন্দীপ ঘোষকে তলব করা হয়েছিল। তবে সে দিন হাজিরা দেননি তিনি। এরপর শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে সন্দীপের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তিনি নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার আবেদনও জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওই দিনই রাস্তা থেকে সিবিআই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। তারপর থেকে প্রতি দিনই তাঁকে তলব করা হয়েছে। রবিবার প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। 

    অন্যদিকে, নিহত ওই চিকিৎসক কোনও চক্রান্তের শিকার হয়েছিলেন কি না, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই (CBI)। তবে ধৃত সঞ্জয় রায়ের কিছু অসংলগ্ন কথাবার্তা তদন্তকারীদের চিন্তায় রেখেছে। জানা গিয়েছে, সঞ্জয়ের থেকে কথা বার করার জন্য মনোবিদের সাহায্যও  নিতে পারে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: আরজি করে চিকিৎসক খুনের তদন্তে সিবিআইয়ের অস্ত্র থ্রিডি লেজার স্ক্যানার

    CBI: আরজি করে চিকিৎসক খুনের তদন্তে সিবিআইয়ের অস্ত্র থ্রিডি লেজার স্ক্যানার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিবিআই (CBI)। তারপরই নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন সিবিআই কর্তারা।

    থ্রিডি লেজার স্ক্যানার মেশিনের কী কাজ? (CBI)

    জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) যেখানে তরুণী চিকিৎসককে খুন করা হয়েছিল, সেই জায়গাটা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘুরে দেখেছেন ইতিমধ্যেই। তবে ঘটনাস্থলে এমন অনেক জিনিসই থাকে যা খালি চোখে ধরা পড়ে না। সে ক্ষেত্রে তদন্তের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে উন্নত ও আধুনিক প্রযুক্তির থ্রিডি লেজার স্ক্যানার মেশিন। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনাস্থলের ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলের ডিজিটাল ছবি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। ফলে, খালি চোখে দেখা যায় না এমন নানা সূক্ষ্ম জিনিসও তদন্তকারীদের সাহায্য করে নানা ভাবে। ঘটনাস্থলের কাছেই হঠাৎ সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ তোলা হয়েছে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে। যদিও পরে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় পুলিশের নির্দেশে। তবে সিবিআই (CBI) তদন্তের ক্ষেত্রে কোনও কিছুই চোখের আড়াল করবে না। আর তাই ঘটনাস্থল থেকে শুরু করে গোটা ওই বিল্ডিং থ্রিডি লেজার স্ক্যানিং করে রাখছে তারা। লেজার স্ক্যানার দ্বারা ক্যাপচার করা পয়েন্ট ক্লাউড ডেটা থেকে ব্লাড স্প্যাটার, বুলেট ট্র্যাজেক্টোরি এবং খালি চোখে না দেখা বস্তুও পরীক্ষা করে বের করা যেতে পারে। শুধু তাই নয় আদালতে পরবর্তীতে বিচারের ক্ষেত্রেও এই ডিজিটাল ডেটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। মুহূর্তেই যে কোনও জায়গায় ঘটনাস্থলকে তুলে ধরতে পারে এই ডেটা। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে একাধিক তদন্তকারীর প্রয়োজন হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে হয় তদন্তকারীদের। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটি বোতামের স্পর্শেই কয়েক মিনিটের মধ্যে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা যেতে পারে। একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ হোন বা তদন্তকারীরা, যে কোনও সময় এই নথি দেখেই প্রমাণ পর্যালোচনা করে নিতে পারেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    বগটুই কাণ্ডে ব্যবহার হয়েছিল এই লেজার

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ধরনের লেজার স্ক্যানার সাধারণত বড় কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর আগে বাংলায় এই মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল বগটুই কাণ্ডে। এই যন্ত্র চালাতে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন তদন্তকারী দলও আরজি কর হাসপাতালে কাজ করছে বলে জানা গিয়েছে। এই থ্রিডি লেজার স্ক্যানারগুলি অত্যন্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ডেটা কালেক্ট করায় নির্ভুলভাবে উচ্চ বাস্তবতার ভার্চুয়াল কপি তৈরি করতেও সক্ষম। তার জেরে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে, একটি অপরাধের দৃশ্য খুব কম সময়ে এবং অনেক বেশি বিশদে খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়। সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের কাছে অত্যাধুনিক এই প্রযুক্তিই গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠতে চলেছে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চাই’’, ডায়েরিতে স্বপ্নের কথা লিখেছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা

    RG Kar Incident: ‘‘গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চাই’’, ডায়েরিতে স্বপ্নের কথা লিখেছিলেন আরজি করের নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিহত চিকিৎসক গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চেয়েছিলেন। নাইট শিফটে যাওয়ার আগে তাঁর সেই স্বপ্নের কথা ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন তিনি। সেই অভিশপ্ত রাতেই যে সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেবে তা তিনি ভাবতেও পারেননি। অথচ সেই অভিশপ্ত রাতের আগে নিজের ডায়েরিতে যা লিখেছিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক, তা থেকে স্পষ্ট যে তাঁর দু’চোখে অসংখ্য স্বপ্ন ছিল।

    কী বললেন নিহত চিকিৎসকের বাবা? (RG Kar Incident)

    নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী (RG Kar Incident) ছিল। অত্যন্ত মেধাবী। দিনে ১০-১২ ঘণ্টা পড়াশুনা করত। প্রায় সারাক্ষণই বইয়ে ডুবে থাকত। নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য মেয়ে কঠোর পরিশ্রম করত। ডাক্তার হওয়ার যে স্বপ্ন দেখেছিল মেয়ে, সেটা পূরণের জন্য সে প্রচুর পরিশ্রম করেছিল। অভিভাবক হিসেবেও আমরাও অনেক আত্মত্যাগ করেছি। এমডি পরীক্ষায় মেয়ে গোল্ড মেডেলিস্ট হতে চেয়েছিল। সে কথা ডায়েরিতে সে লিখেছিল। কিন্তু, সেই রাতেই সব শেষ হয়ে গেল। আমি আমার মেয়েকে ফিরে পাব না। কিন্তু, আমি সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি। আর আশাবাদী হতে পারি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেভাবে সমর্থন করা হচ্ছে, তা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আমাদের প্রচুর সাহস জোগাচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি, আরজি কর কাণ্ডে ফের মোমবাতি হাতে রাত দখলে মেয়েরা

    সিবিআইয়ের হাতে খাতা-ডায়েরি

    জানা গিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে ডায়েরি হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। সেই সঙ্গে একটি খাতাও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই ডায়েরি নির্যাতিতার বলেই প্রাথমিক অনুমান সিবিআইয়ের। কী রয়েছে সেই ডায়েরিতে? এখন সেদিকেই নজর গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, ওই নির্যাতিতার খাতা ও ডায়েরিতে বেশ কিছু তথ্য লেখা রয়েছে। তবে, সেই ডায়েরি ও খাতায় যে হাতের লেখা রয়েছে তার সঙ্গে ওই নির্যাতিতার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখবেন সিবিআইয়ের হ্যান্ড-রাইটিং এক্সপার্টরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের নাম, পরিচয় পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, হাসপাতালের প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে অনেক কিছুই লেখা রয়েছে ওই ডায়েরি ও খাতায়। এমনটাই সিবিআইয়ের (CBI) তরফ থেকে জানতে পারা যাচ্ছে। তবে সঠিক কী লেখা রয়েছে তা এখনই স্পষ্ট করতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Incident: ‘‘গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি’’, সিবিআইকে বলেছেন নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেয়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন তাঁরই সহকর্মী চিকিৎসকরা। ডিউটিতে থাকাকালীন রাতে সাত ঘণ্টায় একবারও মেয়েকে কেউ ডাকল না, এটা খুবই অবিশ্বাস্য লাগছে বলে সিবিআইকে জানালেন নির্যাতিতার বাবা। ইতিমধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Incident) তদন্তে নেমেছে সিবিআই। কেস ফাইল নিয়ে তাঁরা নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সিবিআইকে (CBI) সন্দেহভাজন কয়েকজনের নামও বলেছেন বলে খবর। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই অন্তত ৩০ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে। 

    কী বললেন নির্যাতিতার বাবা

    সিবিআই সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবা নাকি নিজের সন্দেহের কথা জানিয়েছেন সিবিআই-কে। মেয়ের খুন এবং নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় (RG Kar Incident) কারা জড়িত থাকতে পারে, তা নিয়ে নাকি তদন্তকারীদের কাছে মুখ খোলেন মৃত চিকিৎসকের বাবা। তিনি নাকি সিবিআই- (CBI) এর কাছে দাবি করেছেন, মেয়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন তাঁরই সহকর্মী চিকিৎসকরা। ডিউটিতে থাকাকালীন রাতে সাত ঘণ্টায় একবারও তাঁর মেয়েকে কেউ ডাকেনি তাঁর সহকর্মী বা হাসপাতালের কেউ, বিষয়টি অত্যন্ত সন্দেজনক লাগছে। ভোররাত ৩টে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কারও তাঁকে ডাকার প্রয়োজন হল না? নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা নাকি সিবিআই-কে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে সকালে ৮টা ১০ নাগাদ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন বাড়ি থেকে। তাঁর ওপিডি-তে ডিউটি ছিল তখন। শেষ বারের মতো রাত ১১টা ১৫ মিনিটে মাকে ফোন করেছিলেন সেই চিকিৎসক। সেই মেয়ের সঙ্গে শেষ বারের মতো কথা বলা তাঁদের। 

    আরও পড়ুন: ট্র্যাকে বোল্ডার! লাইনচ্যুত সবরমতী এক্সপ্রেসের ২০টি কামরা, নাশকতার ছক?

    সিবিআই-এর সন্দেহের তালিকা

    এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পরে এমন ব্যক্তির নাম ধরে ধরে নাকি সিবিআই-কে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে এমনিতেই হাসপাতালে (RG Kar Incident) সমস্যার সম্মুখীন হত। এই গোটা ডিপার্টমেন্টকেই সন্দেহ করি আমি। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমর্থন আছে।’’ সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ঘটনার রাতে যে ওয়ার্ড বয়, নার্সিং স্টাফ, বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী, ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের ৯ জনকে তলব করেছে সিবিআই। তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলা। সিবিআই শুক্রবার একটি রেজিস্টার খাতা বাজেয়াপ্ত করে। সেই খাতায় ওই রাতে যাঁদের ওই বিল্ডিংয়ে ডিউটি ছিল, সেই অনুযায়ী তলব করা হয়। আরজি কর কাণ্ডে ধৃত কখন কখন ওই বিল্ডিংয়ে ঢুকেছে, কোন পথে গিয়েছে, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সিবিআই দফতরে পৌঁছন আরজি করের কর্মীরা। তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয় বলে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, সিবিআই তাঁদের কাছে জানতে চায়,  ওই রাতে তাঁরা কে কোথায় ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতের ঘটনাক্রম তৈরি করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরজিকর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ‘‘টাকা নয়, বিচার চাই’’, মমতা সরকারের আর্থিক সাহায্য ফিরিয়ে দিলেন নির্যাতিতার বাবা

    RG Kar Case: ‘‘টাকা নয়, বিচার চাই’’, মমতা সরকারের আর্থিক সাহায্য ফিরিয়ে দিলেন নির্যাতিতার বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্যাতিতার (RG Kar Case) পরিবারকে ইতিমধ্যে আর্থিক সাহায্য দিতে চেয়েছিল মমতা সরকার। সরকারের সেই সাহায্য ফিরিয়ে দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘আগে মেয়ের বিচার চাই। মেয়ের জীবনের বিনিময়ে টাকা নিলে মেয়েটা খুবই দুঃখ পাবে। মুখ্যমন্ত্রীকে (West Bengal Government) বলেছি, বিচার পেলে তখন নিশ্চয়ই নবান্নে গিয়ে টাকা নিয়ে আসব।’’

    পরিবারের বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই (RG Kar Case)

    আরজি কর (RG Kar Case) কাণ্ডে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এই আবহে তদন্তকারী অফিসাররা নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেছেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার টানা বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে নিহত চিকিৎসকের পরিবারের বয়ান রেকর্ড করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। লিখিতভাবেও তাঁদের বয়ান নেওয়া হয়। তবে সিবিআইয়ের সঙ্গে তাঁদের কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও কিছু বলতে চাননি মৃতা চিকিৎসকের বাবা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘এটা আইনত উচিত নয়, সিবিআই অফিসারদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে তা প্রকাশ্যে আনা। এই মামলার সঙ্গে জড়িত কোনও প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিতে পারব না।’’

    সিবিআইয়ের আশ্বাস  

    সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের (RG Kar Case) তরফ থেকে নিহত চিকিৎসকের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে ঘটনায় যুক্ত অপরাধীদের কঠোরতম সাজা দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, ঘটনার পরে ময়নাতদন্ত ছাড়া ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে যে তত্ত্ব প্রচার করা হয়েছিল, তাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের কাছে জানিয়েছে ওই পরিবার। প্রসঙ্গত, নির্যাতিতার বাবা-মা প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কারণ তাঁদের আশঙ্কা ছিল, পুলিশি তদন্ত (West Bengal Government) ঠিকভাবে এগোচ্ছে না। তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে।

    প্রতিবাদে ভরসা পাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা

    নৃশংসভাবে এমন ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে যেভাবে সারাদেশ এবং বিদেশের মানুষও রাস্তায় নেমেছেন, তাতে ভরসা পাচ্ছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। এই ব্যাপারে নিহত ছাত্রীর বাবা-মা বলেন, ‘‘এত লক্ষ লক্ষ ভারতবাসী, এমনকী বিদেশেও মানুষ যেভাবে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন, তাতে তাঁদেরকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা। সবাইকে আমার নিজের ছেলেমেয়ের মতো মনে করছি। ভরসাও পাচ্ছি এভাবে পাশে থাকার জন্য।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: তলবেও মেলেনি সাড়া! প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকে তুলল সিবিআই

    CBI: তলবেও মেলেনি সাড়া! প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকে তুলল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের মূল পাণ্ডা নাকি প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ! তাঁর শাস্তির দাবিতে বার বার সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখায়নি। আদালতের নির্দেশে এই মামলায় তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তলব করার পরও সিবিআইয়ের (CBI) ডাকে সাড়া দেননি আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শাসক দলের ওপরতলার হাত মাথায় রয়েছে ভেবে সব কিছুকেই তিনি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে চাইছিলেন। আশা করেছিলেন সিবিআই তার টিকি পর্যন্ত ছুঁতে পারবে না। তাঁর সব আশাতে জল ঢেলে দিল সিবিআই। শুক্রবার দুপুরে রাস্তা থেকে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে তুলে নিয়ে গেল সিবিআই। বিষয়টি প্রকাশ্যে সিবিআইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (CBI)

    সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষ এদিন দুপুরে স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক সেখানে ছিলেন বলে খবর। সেখান থেকে ফেরার পথে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই (CBI)। এর আগে কলকাতা পুলিশ, সিবিআই উভয়ই ডেকেছিল। কারও ডাকেই সাড়া দেননি। উল্টে বলেন, নিরাপত্তার কারণে তিনি যেতে পারেননি। এরপর থেকে সন্দীপের বাড়ির সামনে সাদা উর্দিধারী পুলিশও মোতায়েন রয়েছে। এবার সিবিআই তাঁকে নিয়ে গেল। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সিবিআই আরজি করের প্রাক্তন সুপারসহ তিনজন চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে। টালা থানার ওসির কাছে থেকে নথি সংগ্রহ করে সিবিআই। এবার প্রাক্তন অধ্যক্ষকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই।

    কেন মাঝরাস্তা থেকে পাকড়াও সন্দীপ ঘোষ?

    প্রসঙ্গত, সন্দীপ সেই ব্যক্তি, যাঁর বিরুদ্ধে মৃতদেহ লোপাটের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালে এই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে এসেছিলেন আরজিকর হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক। সন্দীপ ঘোষ এদিনই হাইকোর্টে জানিয়েছিলেন, তাঁর বাড়িতে বিক্ষোভ চলছে। তাই সিবিআইয়ের সমন পেয়েও হাজিরা দিতে পারেননি। প্রাথমিকভাবে খবর, এরপরই সিবিআই আধিকারিকরা সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সল্টলেকের একটি জায়গা থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশ্ন উঠছে, এভাবে মাঝরাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে যাওয়া হল কেন? তাহলে কি সিবিআই কোনওভাবে মনে করছে, এই মামলায় আরজি করের  (RG Kar Incident) প্রাক্তন অধ্যক্ষের বয়ান তাৎপর্যপূর্ণ?

    আরও পড়ুন: মধ্যরাতে আরজি করে তাণ্ডব, ভয়ে রোগীর চাদরের তলায় লুকিয়েছিল মমতার পুলিশ!

    পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন

    শুক্রবারই সন্দীপ পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। উচ্চ আদালতের কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে আদালত জানিয়ে দেয় সোমবার আবার আবেদন করতে। জানা গিয়েছে, আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর পরই অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ। তবে তার মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করা হয়। যদিও সেখানে বিক্ষোভ শুরু হয় সন্দীপের বিরুদ্ধে। তিনি ওই হাসপাতালে যাওয়ার আগে অধ্যক্ষের ঘরে তালা দেন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়ারা। ঘটনাক্রমে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে চলে যান সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share