Tag: cbi

cbi

  • SSC Scam: ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ! এসএসসি দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাও

    SSC Scam: ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ! এসএসসি দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Case) ক্ষেত্রে এক দফতর থেকে অন্য দফতরে কী ভাবে ইমেল চালাচালির মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করা হত, তা জানতে পেরেছে ইডি। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি,  ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে এসএসসিতে (SSC Scam) প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে সিবিআই জানিয়েছে শুধু মন্ত্রী, বা সরকারি আধিকারিক নয় রাজ্য় জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন বহু শিক্ষকও। অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এরকম বহু শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নাম পেয়েছে সিবিআই।

    আদালতে ইডির দাবি

    আদালতে ইডি দাবি করেছে, এসএসসিতে (SSC Scam) প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো সুপারিশপত্র। এর পর সেই সুপারিশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ (ডব্লিউবিবিএসই)-এর কাছে। সেই দফতরের কয়েক জন কর্মীর মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশিত হত। ইডির দাবি, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার নির্দেশে এই ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরির কাজটি করেছিলেন দফতরের অস্থায়ী কর্মী সমরজিৎ আচার্য। ইডির দাবি, এই সুপারিশগুলো এসেছিল মূলত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নকুমার রায়ের থেকে। তাঁর হয়ে আবার কাজ করতেন প্রদীপ সিং ওরফে ছোটু।

    কীভাবে করা হত সুপারিশ

    ইডি দাবি করেছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এজেন্টদের সঙ্গে যোগ ছিল প্রসন্নের। ওই এজেন্টদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতেন প্রসন্ন। তার পর বেআইনি ভাবে তাঁদের চাকরির সুপারিশ করতেন শান্তিপ্রসাদের কাছে। সমরজিৎকে অযোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করে যে ইমেল করেছিলেন ছোটু, তা হাতে এসেছে ইডির। ইডি জানিয়েছে, একটি মেল ২০২০ সালের ১৬ জুন সমরজিৎকে করেছিলেন প্রদীপ। মেলের সঙ্গে ‘একাদশ-দ্বাদশ অ্যালটেড স্কুল-২১’ নামাঙ্কিত একটি ‘অ্যাটাচমেন্ট’ পাঠানো হয়েছে। তাতে ২১ জন প্রার্থীর নাম পাঠানো হয়েছিল। ইডির আরও দাবি, সমরজিৎ এই সুপারিশপত্রের প্রিন্ট করিয়ে পাঠিয়ে দিতেন পর্ষদের দফতরে। সেখানে রাজেশ লায়েক নামে এক কর্মী নিয়োগপত্র (Recruitment Case)  প্রিন্ট করাতেন। সেই কাজটা করতেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নিয়োগপত্র প্রিন্ট করাতেন রাজেশ।

    আর পড়ুন: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা

    অন্যদিক, ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলে (SSC Scam) অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্য়ে রয়েছে বিভিন্ন সকুলে কর্মরত ১১ জন শিক্ষক ও ২ জন অশিক্ষক কর্মীর নাম। অযোগ্য়দের বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় কি ভূমিকা ছিল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের? সরাসরি টাকার লেনদেনেও যুক্ত ছিলেন তাঁরা? জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, সোমবার থেকে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী সহ ৩৭ জনকে তলব করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    CBI: কয়লাকাণ্ডে ধৃত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ইসিএল কর্তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠনের আগে কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। কয়লা কান্ডে এবার ইসিএল কর্তার জড়িত থাকার তথ্য সামনে এসেছে। পরে, ওই ইসিএল কর্তা ও একজন সিভিল কনট্রাক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     ইসিএল কর্তাকে কেন গ্রেফতার? (CBI)

    কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে ফাইনাল চার্জ গঠন হবে আগামী ৩ জুলাই। তার আগেই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়লেন ইসিএল কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহা। আর সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদব। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে চার্জশিটে যে ৩৪ জনের নাম রয়েছে, তার বাইরে এই দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। কয়লা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালার সঙ্গে ইসিএল কর্তার যোগসূত্রের একাধিক প্রমাণ মিলেছে। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ওই সিভিল কনট্রাক্টর অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেটে সাপ্লাই দিত বলে অভিযোগ উঠে আসছে। সেই কারণেই বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়।

    আরও পড়ুন: রানিগঞ্জে শিল্পপতির বাড়িতে ভোর থেকেই শুরু ইডির হানা, শোরগোল

    লালার থেকে টাকা নিতেন ইসিএল কর্তা!

    জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারই কলকাতায় নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার জিএম (আইইডি) পদে কর্মরত নরেশচন্দ্র সাহাকে। ডাক পড়েছিল পেশায় সিভিল কনট্রাক্টর অশ্বিনীকুমার যাদবেরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। এরপর শুক্রবার ভোরে সিবিআই এসপি উমেশ কুমার ধৃতদের নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের উদ্দেশে রওনা দেন। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে যোগ থাকার কারণেই এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, কয়লা-কাণ্ডের  (Coal Scam) অন্যতম অভিযুক্ত লালার থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ধৃত ইসিএল অফিসারের বিরুদ্ধে। তার তথ্য প্রমাণও রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    CBI: কালীঘাটের কাকুর পর তাপস, নিয়োগ মামলায় কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটের কাকুর পর এবার তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তৃণমূল বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI)। তবে কাকুর ক্ষেত্রে নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। সিবিআই কিছু না জানালেও তৃণমূল বিধায়কের আইনজীবী আজ এই কথা জানিয়েছেন। তবে শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে তাঁর কথাবার্তার চাঞ্চল্যকর রেকর্ড এবং তথ্য, তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। 

    আইনজীবীর বক্তব্য (CBI)

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলা বিষয়ে তেহট্টর বিধায়ক তাপস সাহাকে আগেও ডাকা হয়েছিল। এদিন শুক্রবার তিনি সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দেন। সংবাদ মাধ্যম তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “আমায় আবার ডাকা হয়েছিল। তদন্তে সহযোগিতা করব।” তাঁর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেছেন, “বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য তলব করা হয়েছিল। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেছেন। প্রায় ২ ঘণ্টা সময় দিয়ে বেলা ১টা নাগাদ বেরিয়ে গিয়েছিলেন।” তবে বের হওয়ার সময় তাপস বাবু কেবল মাত্র মাথা নেড়ে নমুনা সংগ্রহ বিষয়ে ইঙ্গিত দেন।

    আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল আমডাঙ্গা, লাঠি-বোমা-বন্দুকে রণক্ষেত্র এলাকা, আহত ৪

    সিবিআই সূত্রে খবর

    সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপস ঘনিষ্ঠ প্রবীর কয়ালের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের পর এই বিধায়কের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। কথোপকথনের একটি রেকর্ডিং সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। আগেও তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। উল্লেখ্য আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছিল ইডি। গত এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্টে কণ্ঠস্বরের নমুনা সম্বলিত রিপোর্ট পেশ করেছে ইডি। তবে তদন্তকারী সংস্থা যা সন্দেহ করেছিল, তা মিলে গিয়েছে, বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তলব পেয়ে নিজাম প্যালেসে তৃণমূল বিধায়ক তাপস

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সিবিআই তলব পেয়ে নিজাম প্যালেসে তৃণমূল বিধায়ক তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে সিবিআই (CBI)। টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা-বিধায়কদের বিরুদ্ধে। এবার এই মামলায় তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে ফের তলব করল সিবিআই। শুক্রবার সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখা নিজাম প্যালেসে তৃণমূল বিধায়ককে তলব করেছে। ফের তলব পেয়ে এদিন বেলা ১১ টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, ফের আমাকে তলব করা হয়েছে। তদন্তে আমি সবরকমভাবে সহযোগিতা করব।

     দ্বিতীয়বার তলব করল সিবিআই (CBI)

    তাপস ছাড়াও এই মামলায় আরও ৩ জনকে তলব করা হয়েছে। তাপসে বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরই প্রথমে এই মামলার তদন্ত করেছিল রাজ্যের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ। পরে, হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সিবিআই (CBI)। এরপরই এই মামলায় সিবিআই ক়ড়া ভূমিকা পালন করে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগেও সিবিআই তলব পেয়ে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছিলেন তাপস সাহা। এবার দ্বিতীয়বার তলব করল সিবিআই। শুক্রবার সারাদিনের মধ্যে তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে, এই তলব নিয়ে তাপসবাবুর কী অবস্থান তা জানা যায়নি। তদন্তকারীদের দাবি, টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাপসের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের আরও একাধিক নেতা-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে। এই মামলায় নদিয়ার তেহট্টে তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশিও চালান আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ১২ জন আধিকারিক তাপসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন। তাপসের আপ্ত সহায়কের বাড়ি, বাড়ির পাশের পুকুরেও তল্লাশি চলে। পুকুরপাড়ে বেশ কিছু নথি পোড়ানোর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল সে সময়ে। পরীক্ষা করার জন্য সেই পুড়ে যাওয়া নথির নমুনা সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। ১৫ ঘণ্টার তল্লাশির পর সিবিআই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে লোক ডেকে মাংসভাত খাইয়েছিলেন তিনি। রীতিমতো উৎসবের মেজাজে ছিলেন তিনি। তবে, সিবিআই তল্লাশির পর তাপস  বলেছিলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: ১০০ কোটি ঘুষ চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল! ‘প্রমাণ রয়েছে’, আদালতে দাবি ইডির

    Arvind Kejriwal: ১০০ কোটি ঘুষ চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল! ‘প্রমাণ রয়েছে’, আদালতে দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার আবগারি দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) এই মামলায় ৩ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়েছেন বিচারপতি। এদিন ইডির তরফ থেকে দাবি করা হয়, আবগারি দুর্নীতিতে ১০০ কোটির ঘুষ চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল এবং তার প্রমাণ রয়েছে তাদের কাছে।

    কী বললেন ইডির আইনজীবী? 

    ইডির হয়ে এদিন সওয়াল জবাবে অংশ নেন আইনজীবী এএসজি রাজু। তিনি বলেন, ‘‘তদন্তে জানা গিয়েছে কেজরিওয়াল ১০০ কোটি টাকার ঘুষ চেয়েছিলেন আবগারি দুর্নীতিতে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির আগেই এ বিষয়ে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। দুর্নীতি যে হয়েছে আদালতে প্রাথমিকভাবে তা প্রমাণও করা গিয়েছে।’’

    ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে কেজরিওয়াল

    প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Arvind Kejriwal) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে অংশগ্রহণ করানো হয়। কেজরিওয়ালের আইনজীবী হিসেবে হাজির ছিলেন বিক্রম চৌধুরী এবং তিনি জানান, এর আগে দায়ের হওয়া কোনও চার্জশিটে আপ সুপ্রিমোর নাম ছিল না। সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআরেও কেজরিওয়ালের নাম ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে আম আদমি পার্টির আইনজীবীর এই সমস্ত দাবি এদিন আদালতে টেকেনি।

    গত মার্চ মাসে গ্রেফতার করা হয় কেজরিওয়ালকে

    আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত মার্চ মাসে গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালের সঙ্গেই জেলে রয়েছেন (Arvind Kejriwal) দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াও। কেজরিওয়ালে গ্রেফতারির দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয় বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে। প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির আগে এই মামলায় ইডি ৯ বার সমন পাঠিয়েছিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। নানা অজুহাতে প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। ঘুষের বিনিময়ে মদ নীতিতে সুবিধা পাওয়ানোর অভিযোগ ওঠে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: নৈসর্গিক ডাল লেকের পাড়ে যোগ দিবস পালন, যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী, আঁটসাঁট নিরাপত্তা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Leaps And Bounds Case: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

    Leaps And Bounds Case: “‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সোর্স অফ মানি কি?” প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কিছু আধিকারিকের মধ্যে তদন্তে গাফিলতির প্রবণতা দেখা দিয়েছে।” বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির আধিকারিকদের উদ্দেশে (Leaps And Bounds Case) একথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির আধিকারিকদের একাংশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা।

    কী বললেন বিচারপতি? (Leaps And Bounds Case)

    তিনি বলেন, “আপনাদের কিছু আধিকারিককে সতর্ক হতে বলুন। আদালতের কাছেও বিভিন্ন তথ্য আসছে। বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকেই সেই তথ্যগুলি আসছে। কিছু আধিকারিকের মধ্যে তদন্তে গাফিলতির প্রবণতা দেখা দিয়েছে। কী তদন্ত করা হবে, কী তদন্ত করা হবে না, তা নিয়ে বাছবিচার করা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই আমার কাছেও কিন্তু খবর আসছে। চূড়ান্তভাবে সতর্ক থাকতে (Leaps And Bounds Case) বলুন আপনার অফিসারদের।”

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র প্রসঙ্গ। বিচারপতি সিনহা বলেন, “লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের কী সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে সেটা আপনারা জানেন, কোর্টও জানে। সোর্স অফ মানি কী? কোথা থেকে আসছে সেই টাকা, সেটা জানা দরকার। যা তথ্য আপনাদের রিপোর্ট থেকে দেখেছি, সেখানে কোম্পানি কোনও অর্থ জেনারেট করেনি। অন্য কোনও জায়গা থেকে এসেছে সেই টাকা।” এদিন ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ১৪৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার মোট সাড়ে ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয় ইডির তরফে।

    আর পড়ুন: দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন, কুয়েতের বহুতলে জীবন্ত দগ্ধ ৪০ ভারতীয়

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই এবং ইডি। এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করার পর কেন তদন্ত এগোচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। এই মামলায় গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যকে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল আদালত। রাজ্য এখনও সেই রিপোর্ট জমা না দেওয়ায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি সিনহা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ জুলাই (Leaps And Bounds Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Shahjahan: বাড়িতে অস্ত্র লুকোতেই ইডির উপর হামলা! সন্দেশখালি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    Sheikh Shahjahan: বাড়িতে অস্ত্র লুকোতেই ইডির উপর হামলা! সন্দেশখালি কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও সংবাদ শিরোনামে সন্দেশখালি। ইডির ওপর হামলার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের। বুধবার ইডির ওপর হামলা সংক্রান্ত চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। আর সেখানেই উল্লেখ করা হয়, শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে বিপুল বেআইনি অস্ত্র মজুত করে রাখা হয়েছিল। ইডির হাত থেকে তা বাঁচাতেই তদন্তকারীদের উপর হামলা করা হয়। একইসঙ্গে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলেছে সিবিআই। 

    সিবিআই-এর দাবি (CBI) 

    সম্প্রতি সন্দেশখালি কাণ্ডে বসিরহাট মহকুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। যেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, গত জানুয়ারি মাসে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে ইডির উপর যে হামলা হয়, সেই সময় শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বাড়িতে লুকানো ছিল বিপুল অস্ত্রভান্ডার। বিপুল পরিমান অস্ত্র লুকোতেই ইডির ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন শেখ শাহাজাহান। আর এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেন তাঁর দুই ভাই শেখ আলমগীর ও গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে ইডির অভিযানের কথা আগাম জানতে পেরে যান সন্দেশখালির বাদশা শেখ শাহাজাহান। তখনই দেরি না করে তিনি ভাই শেখ আলমগীর ও গিয়াসুদ্দিন মোল্লাকে নির্দেশ দেন বাড়িতে মজুত করে রাখা অস্ত্র যেন সরিয়ে ফেলা হয়। বেশিরভাগই অস্ত্রই ছিল লাইসেন্স ছাড়া। সেই নির্দেশ মতোই তাঁদের সহযোগী আবু তালেবের বাড়িতে অস্ত্র রেখে আসে অভিযুক্ত শেখ আলমগীর ও গিয়াসউদ্দিন। তারপর ইডি আধিকারীকেরা সন্দেশখালিতে পা রাখলে তাঁদের ওপর চড়াও হয় গ্রামবাসীরা।
    সিবিআই-এর (CBI) ওই চার্জশিটে শেখ শাহজাহানকেই (Sheikh Shahjahan) মাস্টারমাইন্ড বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে অস্ত্র যে সন্দেশখালিতেই ছিল, তা প্রমাণ হয়ে গেছে গত এপ্রিল মাসেই। ২৬ এপ্রিল প্রচুর বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল ওই এলাকায়। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হাফিজুল খা-এর আত্মীয় আবুতালেব মোল্লার তাঁর বাড়ি থেকে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়। সে দিন এলাকায় পৌঁছেছিল এনএসজি। পরে ওই সন্দেশখালিতেই গোলাম শেখ নামে আর এক ব্যক্তির কাছ থেকেও উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র।  

    আরও পড়ুন: চড়কাণ্ডে সোহমের বিরুদ্ধে মামলা রেস্তোরাঁ মালিকের, উঠল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও

    পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ 

    অন্যদিকে, সন্দেশখালি (Sandeskhali) কাণ্ডে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তোলে সিবিআই। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর, গত ৫ জানুয়ারি যখন ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে তখন ঘটনাস্থলে ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। শেখ শাহজাহান মার্কেটের বাইরেই তিনি কর্মরত ছিলেন। সেই ভলান্টিয়ারের বয়ান নিয়েছে সিবিআই। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ওইদিন শাহজাহান মার্কেটের পিছনে যে সকাল থেকে অচেনা মানুষদের ভিড় জমতে শুরু করে তা তিনি সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ থানায় জানিয়েছিলেন। বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখে ওই জমায়েতে জিয়াউদ্দিন সহ আর কারা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের শনাক্তও করেছেন তিনি। এরপর সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সেক্ষেত্রে আগে থেকে খবর থাকা সত্ত্বেও কেন প্রায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে পুলিশ সেখানে পৌঁছল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Sahajahan: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    Sheikh Sahajahan: শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ, মে মাসের শেষেই ইডি-সিবিআই-এর চার্জশিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Sheikh Sahajahan) আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, মে মাসের শেষেই সন্দেশখালির এই নেতার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করতে চলেছে ইডি এবং সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দুই সংস্থাই এবার সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে শাহজাহানের নাম দিতে চলেছে। একই ভাবে এই তৃণমূল নেতার সঙ্গে অভিযুক্তের তালিকায় নাম থাকবে শেখ আলমগীর, দিদার মোল্লা এবং শিবু হাজরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার আলোড়ন ফেলেছে রাজনৈতিক মহলে।

    চলতি মাসের শেষেই চার্জশিট (Sheikh Sahajahan)

    সিবিআই তদন্তকারী সংস্থা কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার ৯০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা করতে হয়। শেখ শাহজাহানের (Sheikh Sahajahan) গ্রেফতারের ২৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা দেওয়ার কথা। তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষেই সিবিআই চার্জশিট জমা করবে। আবার ইডি, কাউকে গ্রেফতার করার ৬০ দিনের মাথায় চার্জশিট দাখিল করতে হয়। এবার এই মাসের ৩১ তারিখ শেষ হচ্ছে সেই মিয়াদের দিন। তাই মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে চার্জশিট জমা করতেই হবে। আর তাই রাজনৈতিক মহল মনে করছেন রাজ্যের শেষ দফায় ভোট সন্দেশখালি, তাই নির্বাচনী আবহে এই চার্জশিট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুনঃ “ইমামরা আবেদন করতে পারেন, কার্তিক মহারাজ প্রতিবাদ করলেই অসুবিধা?” মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    ঘটনার সূত্রপাত ৫ জানুয়ারি

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ইডির আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করে শাহজাহান (Sheikh Sahajahan) বাহিনী। ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনা জওয়ান আহত হন মারের আঘাতে। সেই সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের গাড়িকেও ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকেই শাহজাহান পলাতক হন। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় ন্যাজাট থানার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। অপর দিকে সন্দেশখালির মহিলারা যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সরব হন। শাহজানের অনুগামী উত্তম-শিবু, সিরাজ, জিয়াউদ্দিনের মতো দুষ্কৃতীরা জোর করে চাষের জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করেছে। একই ভাবে বেছে বেছে হিন্দু মহিলাদের তৃণমূল পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতভর যৌন শোষণ চালাতো। এমনকি কম বয়সী সুন্দরী বাড়ির বউদের এলাকাকে থেকে দূরে বা কোনও অন্য রাজ্যের রাখতে বাধ্য হতেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে সিবিআই ক্যাম্প করে মানুষের অভিযোগদায়ের করেছে। অপর দিকে রেশন দুর্নীতির কালো টাকাকে সাদা করার ক্ষেত্রে শাহজাহানের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মনে করছে ইডি। বেআইনি কাজ, দুর্নীতি, নারী নির্যাতন, জমি দখল, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ ধারায় চার্জশিট গঠন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমা পড়ল ভুরি ভুরি অভিযোগ

    Sandeshkhali: সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমা পড়ল ভুরি ভুরি অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তদন্তের জন্য একাধিকবার সন্দেশখালিতে  (Sandeshkhali) গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েকজনের বাড়ি গিয়ে কথা বলা এবং জমি সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। এবার সন্দেশখালি নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ শুনতে সেখানেই অস্থায়ী শিবির বা ক্যাম্প অফিস তৈরি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে থেকেই এবার তদন্ত করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা। ধামাখালিতে একটি ব্যাঙ্কের কাছে অস্থায়ী শিবির করেছে সিবিআই। সেখানেই শনিবার ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা করেছেন গ্রামবাসীরা।

    একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে সিবিআই ক্যাম্পে (Sandeshkhali)

    শনিবার বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যান। গ্রামবাসীদের সঙ্গে তিনিও শিবিরে হাজির ছিলেন। আব্দুল মাজিদ শেখ নামে এক বাসিন্দা বলেন, বেড়মজুরে আমার ভেড়ি ছিল। শাহজাহান বাহিনী ২ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। সেই টাকা না দেওয়ায় আমার ভেরি ওরা জোর করে দখল করে রেখেছে। এদিন সিবিআই অফিসে আমি অভিযোগ জানাতে এসেছি। জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে জেলা পরিষদের টেন্ডারের ভিত্তিতে ফেরিঘাট চালানোর দায়িত্ব পান সন্দেশখালির বাসিন্দা বিনা রায় অধিকারী। ফেরিঘাট ডাক ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে নিলামে মাধ্যমে তাঁর নাম জেলা পরিষদে উঠলেও তিনি আজ ১০ বছর ঘাট চালাতে পারেননি। ঘাট চালাতে গেলে শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা তাঁকে ঘাট চালাতে দেননি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তিনি ঘাট পেয়েছেন বলে দাবি করলেও কোনও কথা শুনেন নি তাঁরা। দশ বছর পর সেই ধামাখালিতে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে অভিযোগ দায়ের করতে আসেন বিনা রায়। তিনি বলেন, দশ বছরের সুদে আসলে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকার ওপরে হয়ে গেলেও, আমার প্রাপ্য জিনিস আমাকে করতে দেয়নি শিবু,উত্তমরা। বিচারের আশায় আমি সিবিআই ক্যাম্পে অভিযোগপত্র জমা দিলেন। মনে এখনও আশা তিনি তাঁর ফেরিঘাটে লাগানো সমস্ত টাকা ফেরত পাবেন।

    আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে বোমাবাজি, অভিযুক্ত ব্লক সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    বিজেপি নেত্রী কী বললেন?

    বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সঙ্গে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকার মহিলারা ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করতে যান। তিনি বলেন, সন্দেশখালির বাসিন্দাদের ওপর শাহজাহান বাহিনী প্রচুর অত্যাচার করেছে। এখনও অত্যাচার চলছে। দুদিন আগে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ ঠিক মতো অভিযোগ জমা নিচ্ছে না। নির্যাতিতাদের আইনজীবী হিসেবে আমি এসেছি। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে থেকেই অভিযোগ শুনবে সিবিআই, চালু হল অস্থায়ী শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তদন্তের জন্য একাধিকবার সন্দেশখালিতে  (Sandeshkhali) গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অভিযোগকারীদের মধ্যে কয়েকজনের বাড়ি গিয়ে কথা বলা এবং জমি সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। কিছুদিন আগে সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করে তদন্তকারী সংস্থা। এবার সন্দেশখালি নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ শুনতে সেখানেই অস্থায়ী শিবির বা ক্যাম্প অফিস তৈরি করল সিবিআই।

    অস্থায়ী শিবির চালু করল সিবিআই (Sandeshkhali)

     কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) থেকেই এ বার তদন্ত করবেন সিবিআই আধিকারিকেরা। ধামাখালিতে একটি ব্যাঙ্কের কাছে অস্থায়ী শিবির করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে যে অভিযোগগুলি জমা পড়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখার কাজ হবে ওই অস্থায়ী শিবিরে। এর পাশাপাশি সেখানে অভিযোগকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলবেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই অস্থায়ী শিবিরে অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য  কলকাতার সিবিআই দফতর থেকে কয়েকজন আধিকারিক সন্দেশখালি পৌঁছে গিয়েছেন। এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিকও সন্দেশখালি যান। অস্থায়ী শিবিরে অনেক সহজেই এলাকার মানুষ তাঁদের অভাব অভিযোগ জানাতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: জেরক্সের দোকানে জাল আধার-ভোটার কার্ড সক্রিয়, সিমবক্স উদ্ধারে জঙ্গি যোগ!

    অনলাইনে অভিযোগও জমা নেওয়া হবে

    সিবিআইয়ের ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইমেলের মাধ্যমে অভিযোগ জমা নেওয়াও বন্ধ করছে না তারা। তবে, গ্রামের মানুষ যাতে সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন, তাই সেখানেই অস্থায়ী শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি। গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নারী নির্যাতন এবং জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। অভিযোগ জানাতে অনলাইন পোর্টাল খুলতে বলা হয়। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, সন্দেশখালির নিগৃহীতেরা কী ভাবে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন, তা সন্দেশখালি জুড়ে প্রচার করতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই মতো প্রচার করা হয়েছিল। সিবিআই দফতরে ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছিল। ইতিমধ্যে একাধিকবার সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেশখালিতে গিয়ে তদন্ত করেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখেন। এবার অস্থায়ী শিবির করেই এই কাজ করবে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share