Tag: cbi

cbi

  • Sandeshkhali: জমি হাতিয়েছিলেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর! সন্দেশখালি গিয়ে খোঁজ নিল সিবিআই

    Sandeshkhali: জমি হাতিয়েছিলেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর! সন্দেশখালি গিয়ে খোঁজ নিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একের পর এক বাসিন্দাদের জমি হাতিয়েছিল শাহজাহান বাহিনী। জমিহারাদের তালিকায় নাম রয়েছে, সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুগরিপাড়ার কাবিল মোল্লা ,আনসার মোল্লা, ফজের আলি মোল্লা, সুজয় লস্কর, রাজু লস্কর সহ একাধিক গ্রামবাসীদের। তাঁদের কাছ থেকে জমির চরিত্র বদল করে সরকারি তথ্য নষ্ট করে বেনামে জমি দখল করে বেনামে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ  তৃণমূল নেতা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

    জমিহারাদের কী বক্তব্য? (Sandeshkhali)

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর সেই সিবিআই প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির রাজবাড়ি, ডুগড়ি পাড়া এলাকায় গিয়ে জমি হারাদের অভিযোগের সত্যতা তথ্য যাচাই করেন। গ্রামবাসীদের বয়ান রেকর্ড করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কাবিল মোল্লার অভিযোগ,আমরা দীর্ঘদিন এই জমি চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই গ্রামের বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর কাছে থেকে জোরপূর্বক শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর ক্ষমতা বলে আমাদের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুরাহা পাইনি। সিবিআই ওয়েবসাইটে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। এরপর তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করবো, সিবিআইয়ের তদন্তের পর আমাদের জমি আমরা ফেরত পাব। সেই আশায় প্রহর গুনছি।

    আরও পড়ুন: ‘এক ফোনে দিদিভাই’ কর্মসূচি চালু করলেন অগ্নিমিত্রা, ট্রেনে জনসংযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমান বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সিপিএমের আমলে জমির পাট্টা দেওয়া ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর থেকে এই জমির বিষয় দেখছে। এই জমির সঙ্গে আমার কোনও যোগসূত্র নেই। পাশাপাশি সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু জমির পাট্টা আছে, রেকর্ড নেই। আবার জমির রেকর্ড আছে, পাট্টা নেই। সেই জমির প্রকৃত কাগজপত্র নিয়ে ধন্দে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সমস্ত কিছু যাচাই করতে এদিন সন্দেশখালি যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতি! অনিয়মের ইঙ্গিত সিবিআই রিপোর্টে

    Calcutta High Court: ২০১৪ সালের টেট নিয়োগেও দুর্নীতি! অনিয়মের ইঙ্গিত সিবিআই রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালের এসএসসির পর প্রকাশ্যে তৃণমূল জমানার আরও এক কেলেঙ্কারি! ২০১৪ সালের টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই রিপোর্টে ব্যাপক অনিয়মের ইঙ্গিত। সিবিআইয়ের তদন্তে প্রকাশ (Calcutta High Court), নকল ওয়েবসাইট বানিয়ে বাইরের লোক নিয়োগ করে ফেল করাদের পাশ দেখিয়ে নিয়োগ-সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। ওই টেটে কীভাবে জালিয়াতি হয়েছে সবিস্তারে তার তথ্য সিবিআইয়ের তরফে তুলে দেওয়া হয়েছে বিচারপতি মান্থার এজলাসে।

    চার দফায় নিয়োগ (Calcutta High Court)

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের (Calcutta High Court) টেট পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে ২০১৬, ২০২০, ২০২২ এবং ২০২৪ সালে। মঙ্গলবার পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, এই টেট মামলার ফল যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এর ওপর ভিত্তি করে হওয়া সব নিয়োগ মামলা অস্তিত্ব হারাবে। আইনজীবীদের আশঙ্কা, গত চার দফায় যে প্রায় ৭০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আট সপ্তাহ পরে। তার আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে হলফনামা দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।

    কী বললেন বিচারপতি?

    ২০১৪ সালের টেটে কারচুপির অভিযোগে জনৈক রাহুল চক্রবর্তী-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ ছিল, সিবিআইকে ওএমআর শিটের আসল তথ্য খুঁজতে হবে, নচেৎ বাতিল করে দেওয়া হবে ২০১৪ সালের টেট। এই মামলায় সিবিআই আগেই জানিয়েছিল, ৩০৪ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। তখনই আদালত জানিয়েছিল, তথ্যের খোঁজে প্রয়োজনে সিবিআই ফের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে।

    আরও পড়ুুন: গোদরেজ পরিবারে ভাঙন, বাঁটোয়ারা হল সম্পত্তি, কার ভাগে কী?

    এদিন বিচারপতি মান্থার কড়া নির্দেশ, সিবিআইকে ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করতে হবে। ডিজিটাল ডেটা বের করার নির্দেশও দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে। ডিজিটাল ডেটা ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। ওএমআর শিটের প্রকৃত তথ্য খুঁজে বের করার জন্য সিবিআইকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে যাওয়ার ছাড়পত্রও দেন বিচারপতি মান্থা। সিবিআই ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট খুঁজে আনতে পারে বলেও জানিয়ে দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, এই মামলায়ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, ওএমআর শিটের হার্ড কপি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। তবে ডিজিটাল ভার্সান সংরক্ষিত রয়েছে (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালিতে হানা, শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে তলবের নোটিস দিল সিবিআই

    Sandeshkhali: ফের সন্দেশখালিতে হানা, শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে তলবের নোটিস দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনকে এর আগে তলব করেছিল ইডি। তিনি সেই ডাকে সাড়া দেননি। তার পর ইডির তরফে লুকআউট নোটিস জারি করা হয় তাঁর নামে। এ বার সিরাজকে ডেকে পাঠাল সিবিআইও। বুধবার সকালে সন্দেশখালিতে ফের হানা দেয় সিবিআই।

    সিরাজ ডাক্তারের বাড়িতে নোটিস (Sandeshkhali)

    শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিন পেশায় হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসক। এলাকায় তাঁর ক্লিনিকও ছিল। তিনি সিরাজ ডাক্তার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার (Sandeshkhali) ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তিনি ফেরার। ইডির পর এদিন সিবিআই টিম সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকায় যায়। শাহজাহান মার্কেটে গিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকায় শাহজাহানদের বাড়ির সামনে যান সিবিআইয়ের একটি দল। সিরাজের বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করা হয়। কিন্তু, কোনও সাড়া মেলেনি। তালাবন্ধ বাড়ির বাইরে নোটিস সেঁটে দিয়ে এসেছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, ৬ মে তলব করা হয়েছে সিরাজকে।

    আরও পড়ুন: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    ফের সন্দেশখালিতে সিবিআই

    কিছুদিন আগে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল সিবিআই। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর পর সেখানে সিবিআই ডেকে পাঠায় এনএসজিকে। ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র নিয়ে তারা দিনভর সন্দেশখালিতে বোমার খোঁজে তল্লাশি চালায়। কয়েকটি বোমা নিষ্ক্রিয়ও করা হয়। সে দিনের উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে সিবিআইকে রিপোর্ট দিয়েছে এনএসজি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের আবহে বাংলার রাজনীতি নতুন করে আলোড়িত হয়েছে। ইডি এবং সিবিআইয়ের তরফে পৃথকভাবে আদালতে দাবি করা হয়েছে, সন্দেশখালিতে যে জমিগুলি শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীরা দখল করেছিলেন, সেই টাকাতেই কেনা হয়েছে অস্ত্র। সন্দেশখালিতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র এবং রসিদও পেয়েছে সিবিআই। কলকাতার দোকান থেকে শাহজাহানের নামে কেনা অস্ত্রের রসিদও ছিল তার মধ্যে। শাহজাহান বর্তমানে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। সন্দেশখালির ঘটনায় এবার সিরাজকে খুঁজছেন তদন্তকারীরা। এবার তাঁর হদিশ পেতেই বুধবার ফের সন্দেশখালিতে হানা দেয় সিবিআই। সিরাজের বাড়িতে রান্না চলছিল। সিবিআই আসছে দেখে রান্না মাঝ পথে ফেলে চলে গিয়েছে বাড়ির লোকজন। শাক ভাজা পড়ে রয়েছে রান্না ঘরে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালির সেই ব্যাগে কী ছিল সিবিআইকে জানাল এনএসজি

    Sandeshkhali Violence: সন্দেশখালির সেই ব্যাগে কী ছিল সিবিআইকে জানাল এনএসজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (অবশ্য গ্রেফতার হতেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়) গড়ে (Sandeshkhali Violence) অভিযান শেষে শুক্রবার একটি ব্যাগ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল এনএসজি। সেই ব্যাগে কী ছিল, তা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত ছিল না। তবে এনএসজির নিয়ে যাওয়া ব্যাগে কী ছিল, তা জানা গেল এবার, এনএসজি রিপোর্ট দেওয়ার পর। সিবিআইকে দেওয়া রিপোর্টে এনএসজি জানিয়েছে, ওই ব্যাগে দুটি বিদেশি আগ্নায়াস্ত্র ছিল। বেশ কিছু কার্তুজ ও বিস্ফোরকও মিলেছে। এনএসজির রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই মামলায় প্রায় দশজনকে তলব করা হচ্ছে। এনএসজি যে রিপোর্ট দিয়েছে, সিবিআই তা আদালতে দেবে বলেও জানা গিয়েছে।

    উদ্ধার অস্ত্র (Sandeshkhali Violence)

    শুক্রবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Violence) প্রথমে অভিযান চালায় সিবিআই। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু অস্ত্র। সিবিআইয়ের তরফে খবর দেওয়া হয় এনএসজিকে। ক্যালিবার যন্ত্র নিয়ে এসে দিনভর সন্দেশখালিতে অস্ত্রের খোঁজে তল্লাশি চালায় এনএসজি। নিষ্ক্রিয় করা হয় বেশ কিছু অস্ত্র। বন্দুক, পিস্তল, কার্তুজ ও কয়েকটি রশিদও পায় সিবিআই। সেই রশিদে নাম ছিল শাহজাহানের। কলকাতার একটি দোকান থেকে কেনা হয়েছিল ওই কার্তুজ। সিবিআইয়ের দাবি, সেদিন যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল, তার মধ্যে একটি আবার শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরের।

    সিবিআইয়ের অভিযান

    শুক্রবার সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালায় সন্দেশখালির (Sandeshkhali Violence) দুটি ঠিকানায়। সেখানে তিন দিক ভেড়ি দিয়ে ঘেরা একটি পাকা বাড়ির মেঝে খুঁড়ে বিভিন্ন মাপের সাতটি রিভলভার পেয়েছিল তারা। এর মধ্যে তিনটি রিভলভার ও পিস্তল বিদেশি। এর মধ্যে একটি পিস্তল রয়েছে, যেটি ব্যবহার করে পুলিশ। দেশি একটি রিভলভারও রয়েছে। কার্তুজ মিলেছিল সাড়ে তিনশোর মতো।

    আরও পড়ুুন: “মোদি জমানায় গণতন্ত্র বিপন্ন! মিথ্যা কথা”, দাবি সুব্রহ্মণ্যমের

    অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট বসিরহাট মহকুমা আদালতে জমা দিয়েছে সিবিআই। তদন্তের স্বার্থে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র নিজেদের কাছে রাখার আবেদনও জানানো হয়েছিল। সিবিআইয়ের আবদেন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। জানা গিয়েছে, আবুল স্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জমি লুট করত শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মীজানুর”, বললেন সন্দেশখালির জমিহারারা

    Sandeshkhali: “আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জমি লুট করত শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মীজানুর”, বললেন সন্দেশখালির জমিহারারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে জমি দখল করত শাহজাহান বাহিনী। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর এবার মুখ খুলছেন জমি হারারা। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম, শিবু হাজরার পর এবার মীজানুর মোল্লা তান্ডব চালানোর  কথা বললন সন্দেশখালির বঞ্চিতরা। সিবিআই-এর কাজে ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন জমিহারারা।

    জমি লুট করত মীজানুর, তার ওপরে শাহজাহান (Sandeshkhali)

    ২৬ এপ্রিল সরবেড়িয়ায় (Sandeshkhali) শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়ির মাটি খুঁড়ে কার্যত অস্ত্র ভান্ডারের হদিশ পেয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। নেমেছিল এনএসজি কমান্ডো। উদ্ধার হয় একাধিক দেশি-বিদেশি অস্ত্র, বোমা। এই আবহের মধ্যেই আবার সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ করলেন জমিহারারা। জমিহারাদের বক্তব্য, এই সব অস্ত্রের জোরেই দশ বছর আগে জমি দখল করেছিল শাহজাহানের সঙ্গী মীজানুররা। আনসার মোল্লা নামে এক জমিহারা বলেন, “ওদের অনেক দাপট। সব সময় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরে। কখন কোন সময় গুলি করে দেবে ঠিক নেই। কার কাছে কত আগ্নেয়াস্ত্র আছে হিসাব পাবে না। কোমরে গোঁজা থাকত মেশিন। মেশিন দেখিয়ে ওরা জমি দখল করত। অন্য এক জমিহারা বলেন, প্রশাসনকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হলে আমাদের বলা হয়েছিল শেখ শাহজাহানকে জানাও। ওইখানে গেলে সব সমস্যা মিটে যাবে। আর শাহজাহানকে বললে বলত, ওই জমির কাগজ নেই, ওই জমি তোমাদের নয়। মীজানুরকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে। ও যেটা করবে সেইটাই। জমির ধারে যাবে না। জমি লুট করত এখানে মীজানুর। আর তার ওপরে শেখ শাহজাহান। দিনের পর দিন জমি দখল হয়েছে। মানুষ বলতে গিয়ে মার খেয়েছে।

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    কে এই মীজানুর মোল্লা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আগারহাটি পঞ্চায়েতের একসময় সদস্য ছিলেন মীজানুর মোল্লা। এদের মতো আরও অনেক মীজানুর প্রতিটি অঞ্চলে রয়েছে। বেড়মজুরে যদি শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজুদ্দিন হয়, সরবেড়িয়া অঞ্চলে জিয়াউদ্দিন মোল্লা, মীজানুর মোল্লারা হলেন শাহজাহানের জমি দখলের অন্যতম সাগরেদ। অভিযুক্ত মীজানুর বললেন, “আমরা কোনও দিন অস্ত্র চোখেই দেখিনি। এখন টিভিতে দেখছি। আর আমরা জমি লুট করার মতো লোক নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ব্যাগভর্তি অস্ত্র নিয়ে আদালতে পেশ করল সিবিআই, দাবি জানালো এনআইএ তদন্তের

    Sandeshkhali: ব্যাগভর্তি অস্ত্র নিয়ে আদালতে পেশ করল সিবিআই, দাবি জানালো এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনএসজি কমান্ডো নামিয়ে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সোমবার সেই বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্র তোলা হয় বসিরহাট আদালতে। সিবিআই সূত্রে খবর, শাহজাহানের সঙ্গে অস্ত্রের কারবারের যোগ পাওয়া গিয়েছে। শুধু জমি কেনাবেচা বা জমির চরিত্র বদল করে টাকা নয়ছয় নয়, সেই টাকা বিদেশি অস্ত্র কারবারে ব্যবহার করেছেন শাহাজাহান। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় অস্ত্র আইন যোগ করা হতে পারে।

    এনআইএ তদন্তের দাবি জানালো সিবিআই (Sandeshkhali)

    আবু তালেবের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাড়ি থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখান থেকে শাহজাহানের পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছিল। এমনকী, কলকাতার দোকান থেকে শাহজাহানের নামে কেনা কার্তুজের রসিদও পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্রের মধ্যে একটি তাঁর ভাই আলমগিরের কেনা। এ ছাড়া, শাহজাহানের নামে অস্ত্রের লাইসেন্সও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই মনে করছে, সন্দেশখালিতে শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের মজুত করা আরও অস্ত্র থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শাহজাহান। কারণ, যে সব বিদেশি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে তা নিলামে কেনা হয়েছিল। তাঁর ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পুলিশের রিভলভারও ছিল। শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মামলায় এ বার অস্ত্র আইন যোগ করার কথা ভাবছে তারা। বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্র নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সঙ্গে ওই অস্ত্র তদন্তের স্বার্থে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদনও জানায়। পাশাপাশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় ব্যাগ ভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে সিবিআই আধিকারিকরা আনেন। বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারকের কাছে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র নথিপত্র সবকিছু তাঁরা দেখান। সিবিআই আধিকারিকের আইনজীবী বোঝান, বিদেশি অস্ত্র রাখার অপরাধে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার

    ২৬ শে এপ্রিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে পাওয়া যায় বেশ কিছু অস্ত্র। সেই সূত্রেই এনএসজি-কে ডেকে পাঠানো হয়। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু বোমা। ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র দিয়ে সন্দেশখালিতে আরও বোমার খোঁজে তল্লাশি চলে দিনভর। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Seikh Sahajahan: আরও বিপাকে শেখ শাহজাহান! অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের ধারা যুক্ত হবে মামলায়

    Seikh Sahajahan: আরও বিপাকে শেখ শাহজাহান! অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের ধারা যুক্ত হবে মামলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও বিপদে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Seikh Sahajahan)। রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তাঁর বাহিনী আক্রমণ করে। এরপর থেকে পলাতক হয়ে যান তিনি। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় এই পালতক নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের রায়ে তদন্তভার নেয় সিবিআই। এবার নতুন করে আরও একবার মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সিবিআই সূত্রে খবর (Seikh Sahajahan)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে আগামীকাল সোমবার বসিরহাট আদালতে শাহজাহানের (Seikh Sahajahan) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক আইন যুক্ত করার আবেদন করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একে আগেই ইডি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছিল, এরপর ইডির উপর আক্রমণের মামলা, এবার অস্ত্র আইনের মামলা যোগ করা হবে। ফলে এই নতুন মামলায় সন্দেশখালির এই শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে আরও কড়া অবস্থান নিতে চলেছে সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই।

    আবু তাহেরের বাড়িতে উদ্ধার অস্ত্র

    গতকাল শুক্রবার যখন একদিকে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন চলছে ঠিক সেই দিন সন্দেশ খালিতে তদন্তে নামে সিবিআই। গোপন সংবাদ পেয়ে শাহজাহানের (Seikh Sahajahan) ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে লুকিয়ে রাখা প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়। এরপর একই সঙ্গে নামে কমান্ডো। মাটি খনন করে উদ্ধার করা হয় বিপুল অস্ত্র। উদ্ধার করা হয় প্রচুর বিস্ফোরক। এরপর সেগুলিকে নিস্ক্রিয় করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের উৎস কী? শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক কী তাই নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রশ্ন। তাই এবার অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা গ্রহণ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “হামলা হলে হামলা হবে, চোখ দেখালে চোখ দেখাবো”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

    রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়

    উল্লেখ্য সন্দেশখালিতে সন্ধান মিলেছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভাণ্ডার এবং বিস্ফোরক। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের (Seikh Sahajahan) ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বোমা, বন্দুক এবং বিস্ফোরক। ইতিমধ্যেও ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে এনএসজি কমান্ডো এবং রবোর্ট। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন এলাকায় ভোটে আতঙ্ক তৈরি করতে আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। তৃণমূলের নেতার গ্রামের মহিলাদের সাদা থান দেওয়ার নিদান দিচ্ছেন। ঘটনায় রাজ্য বিজেপি তীব্র তোপ দেগেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। পাল্টা মমতার বক্তব্য ছিল সব বিজেপির চক্রান্ত, এনএসজি ইচ্ছে করে বোমা বন্দুক বিস্ফোরক মজুত করেছে। ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: একেকটির দাম ৭-৮ লক্ষ টাকা! মার্কিন মুলুক থেকে নিলামে কেনা হয়েছিল সন্দেশখালির বিদেশি অস্ত্র

    Sandeshkhali: একেকটির দাম ৭-৮ লক্ষ টাকা! মার্কিন মুলুক থেকে নিলামে কেনা হয়েছিল সন্দেশখালির বিদেশি অস্ত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়িতে হানা দিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পুলিশের রিভলভার যেমন পাওয়া গিয়েছে, তেমনি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। দেশি আগ্নেয়াস্ত্র তো রয়েছে। সব মিলিয়ে এই অস্ত্র মজুত করার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগের অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। এই আবহের মধ্যে এই আগ্নেয়াস্ত্র কোথায় থেকে আনা হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে সিবিআই। আর তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের সামনে উঠে এসেছে।

    মার্কিন মুলুক থেকে এসেছিল অস্ত্র! (Sandeshkhali)

    সিবিআই এর এখন সন্দেহ, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) উদ্ধার হওয়া এই সব অস্ত্রের অধিকাংশ এসেছিল মার্কিন মুলুক থেকে। আর এই সব অস্ত্র এমনই, যে বাজার থেকে কেনা যায় না। এগুলি নিলাম হয়। চড়া দামে কিনতে হয়। লক্ষ লক্ষ টাকা দাম উঠে যায় একেকটি অস্ত্রের। তাহলে সন্দেহ প্রবল হচ্ছে, নেপথ্যে আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্র? কীভাবে এই সব আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হত? আর সব থেকে বড় প্রশ্ন এত দামি অস্ত্র কেনার জন্য অর্থ কোথা থেকে আসত? কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৩টি বিদেশি রিভলবার রয়েছে, যেগুলি মার্কিন মুলুকে তৈরি এবং এই সব আগ্নেয়াস্ত্র রীতিমতো নিলাম ডেকে চড়া দামে বিক্রি করা হয়। কী কারণে এই অত্যাধুনিক অস্ত্র সন্দেশখালিতে মজুত করা হয়েছিল, অস্ত্র কেনার টাকাই বা এসেছিল কোথা থেকে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, একেকটি আগ্নেয়াস্ত্রের দাম ৭-৮ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। কোথা থেকে কেনা হয়েছিল এই অস্ত্র? তবে কি অস্ত্র চোরাচালানেও যুক্ত ছিল শেখ শাহজাহান?

    আরও পড়ুন: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    বিলের সূত্র থেকে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের ভান্ডারের কাছে বেশ কিছু বিল বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। সেই বিলে কলকাতার এক অস্ত্র কারবারির হদিশ মিলেছে। বিলে কে কেনা হয়েছিল তা উল্লেখ রয়েছে। কার্তুজ কেনার তথ্য রয়েছে। আর কোথায় থেকে অস্ত্র কেনা হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। জানা গিয়েছে,  শনিবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) হানা দেয় সিবিআই। সেখানে একাধিক অভিযোগকারীর সঙ্গে তারা কথা বলেন। পাশাপাশি এদিনও শাহজাহান ঘনিষ্ঠ সেই আবু তালেবের বাড়িতেও যান সিবিআই আধিকারিকরা। তবে, সেখান থেকে কী তথ্য সংগ্রহ করেছেন তা জানা যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার কাণ্ডে পুলিশকে “অপদার্থ” বললেন সৌগত রায়

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধার কাণ্ডে পুলিশকে “অপদার্থ” বললেন সৌগত রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করল সিবিআই। আর এই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যোগ রয়েছে বলে বিরোধীরা সরব হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। এবার সেই বিরোধীদের সুরে দমদম লোকসভার প্রার্থী সৌগত রায় সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশকে তোপ দেখেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশের অপদার্থতা! (Sandeshkhali)

    শুক্রবার সকাল থেকে তল্লাশি চালানোর পর সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করে সিবিআই। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে পুলিশের রিভলভারও। বোমা উদ্ধার করতে শুক্রবার নামানো হয়েছিল এনএসজি। আর সেই অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর পুলিশের ওপরেই দায় চাপাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের একটা অংশ। শুক্রবারই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেন, “পুলিশের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের নজরে থাকা উচিত ছিল। যারাই ঢুকিয়ে থাকুক, পুলিশের তো আগেই বের করা উচিত ছিল।” অন্যদিকে, দমদমের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় শনিবার প্রচারে বেরিয়ে সন্দেশখালিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার নিয়ে মন্তব্য করেন। রাজ্যের পুলিশকে ‘অপদার্থ’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যেই অস্ত্র রাখুক না কেন, বেআইনি অস্ত্র ধরা তো পুলিশেরই কাজ। এটা পুলিশের অপদার্থতা।” প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যের পুলিশের ওপর দায় চাপালে কি শাসক দলের দিকে আঙুল উঠবে না?

    আরও পড়ুন: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    অস্ত্র উদ্ধারের কৃতিত্ব পুলিশের, দাবি পার্থ ভৌমিকের

    অস্ত্র মজুত এবং উদ্ধার করার বিষয়টি নাটক বলে অভিযোগ তৃণমূলের একটি অংশ। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দায়ী করার চেষ্টা করছে। এই আবহের মধ্যে বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক আবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। তিনি বলেন, “শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইডি, সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেনি। এখন যাদের হেফাজতে রয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই সব তথ্য মিলছে। আসলে পুলিশের হেফাজতে থাকলেও এই অস্ত্র উদ্ধার হত। আসলে এই অস্ত্র উদ্ধারের সমস্ত কৃতিত্ব হচ্ছে পুলিশের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    CBI: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে হানা দিল সিবিআই (CBI) টিম। শুক্রবারের মতো শনিবারও তৃণমূল নেতা শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি ও দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুক্রবার আবু তালেবের বাড়িতে হানা দিয়ে সিবিআই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। এদিন সিবিআই টিম শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তুফান মৃধার বাড়িতে হানা দেয়।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা (CBI)

    স্থানীয় ও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে সন্দেশখালির সিবিআই (CBI) টিম রাজবাড়ি এলাকায় যায়। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তুফান মৃধার দোকানে প্রথমে হানা দেয়। তুফান শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু, দোকান বন্ধ থাকায় সেখান থেকে তুফানের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তুফান পরিবারের তরফে সিবিআই টিমকে জানানো হয়, সকালে কাজের সূত্রে বাইরে গিয়েছেন তিনি। তবে, এলাকার মানুষজন জানাচ্ছেন, গত তিন-চার দিন ওই দোকান বন্ধ রয়েছে। তুফানকেও এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। তবে, তিনি কোথায় আছেন তা প্রতিবেশীরা কেউ কিছু জানাতে পারেননি।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠকে কলকাতায় জেরা

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে ইডির আক্রান্ত হওয়ার মামলার প্রেক্ষিতে বার বার সন্দেশখালিতে সিবিআই হানা দেয়। শুক্রবার তালেবের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারের পর সিবিআই ডেকে পাঠায় এনএসজিকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সন্দেশখালিতে চলে আসেন এনএসজি কম্যান্ডোরা। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর এদিন শাহজাহানের অন্য এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। এর মধ্যে শনিবার শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এক জনকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। পাশাপাশি অভিযানও জারি রয়েছে। তবে, তুফানের বাড়িতে গিয়ে কী তথ্য জোগাড় করেছে তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে, তালেবের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে তুফান মৃধার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে তুফানের বাড়ির লোকজন কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share