Tag: cbi

cbi

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে মিলল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভান্ডার, কে এই আবু তালেব?

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে মিলল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভান্ডার, কে এই আবু তালেব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) লোকসভা ভোটের আবহের মধ্যেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হল। উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় শাসক দলের যোগ আরও সুস্পষ্ট হয়েছে। তবে, কে এই আবু তালেব। শাহজাহানের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক রয়েছে, তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কে এই আবু তালেব? (Sandeshkhali)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবু তালেবের বাড়ি ন্যাজাট থানার বাউনিয়া গ্রামে। তাঁর বয়স ৩০ বছর। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর অল্পদিনের মধ্যে তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। সেই সূত্রে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক পাড়ার বাসিন্দা তাসমিনা বিবির সঙ্গে আবু তালেবের বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত পাঁচ বছর ধরে মল্লিক পাড়ায় তিনি থাকতে শুরু করেন। এলাকায় তিনি টোটো চালাতেন। শাহজাহানের ভেড়ি দেখতেন। শাহজাহানের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও রয়েছে। অনেকে তাঁকে শাহজাহানের ডান হাত বলতেন। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    তালেবের বাড়ি থেকে অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার হতেই হতবাক এলাকাবাসী

    সরবেড়িয়া (Sandeshkhali) আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক পাড়ায় একদা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে সিবিআই টিম সাতসকালে সিআরপিএফ জওয়ান নিয়ে হানা দেয়। বাড়িতে আবু তালেবের স্ত্রী তাসমিনা বিবিসহ আরও একজন সদস্য ছিলেন। ঘরে তল্লাশি চালাতেই কিছু বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা দ্রুত এনএসজি-কে খবর দেয়। তারপর অত্যাধুনিক রোবটকে কাজে বোমার বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে আবু তালেবের স্ত্রীকে আটক করে সিবিআই। সাধারণ টোটো চালক ও ভেরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তির কাছে থেকে কীভাবে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেল তা সিবিআই খতিয়ে দেখছে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তালেব খুব ভালো ছেলে। তাঁর বাড়িতে বাইরে থেকে কাউকে আসতে কেউ দেখেনি। তবে, তাঁর বাড়ি থেকে এত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হল তা জেনে হতবাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    Sandeshkhali: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গড়ে ইডি হানার পর থেকে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর সন্দেশখালি নিয়ে চর্চা কিছুটা কমেছিল। তবে, শুক্রবার রাজ্যে দ্বিতীয় দফা ভোটের দিন সন্দেশখালিতে যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার হল তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পুলিশের রিভলভার উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় সব থেকে বেশি চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    অস্ত্রভান্ডারে উদ্ধার হয়েছে পুলিশের রিভলভার (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়া গ্রাম থেকে যে অস্ত্রসম্ভার উদ্ধার হয়েছে, তার ছবি প্রকাশ করেছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, শাহজাহাবন ঘনিষ্ঠের ডেরা ছেকে সিবিআই শুক্রবার ৭টি স্মল আর্মস, ৭টির মধ্যে ৪টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বাকি দেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে। ২২৮ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সমস্ত বোমা দেশি। একইসঙ্গে বেশ কয়েকটি পরিচয়পত্র, সোনার গয়নার ব্যাগ, বিল উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া অস্ত্রভান্ডারে পুলিশের রিভলভার উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে কীভাবে পুলিশের সার্ভিস রিভলভার সরবেড়িয়ার ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হল? অস্ত্রের ডেরায় কে বা কারা পুলিশের রিভলভার দিয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে। আর সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার মতো প্রত্যন্ত এলাকায় বিদেশি অস্ত্রের জোগান কে দিল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনের যোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করতে হবে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    গ্রামবাসীদের সরিয়ে বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের এক ঘনিষ্ঠের আত্মীয়র বাড়িতে মিলেছে অস্ত্রের খোঁজ। মাটির নিচে বিপুল অস্ত্র লুকিয়ে রাখার খোঁজ মেলে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনএসজি কমান্ডো টিম। নামানো হয় ‘ক্যালিবার’ রোবট, ডিটেকশন ডগ। নিয়ে যাওয়া বালিবোঝাই বস্তা। অত্যাধুনিক এই রোবটিক্স ডিভাইস সরবেড়িয়ার গ্রামের পথ ধরে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। এরপর ওই বাড়ি থেকে একটি ব্যাগে নিয়ে বেরিয়ে আসে সেটি। গ্রামের আশপাশের লোকজনকে এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই নির্দিষ্ট জায়গায় ব্যবস্থা করে একের পর এক বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ভোটের বাংলায় সন্দেশখালিতে বেনজির ছবি, অস্ত্র উদ্ধারের সব তথ্য কমিশনে জানাবে সিবিআই

    Sandeshkhali: ভোটের বাংলায় সন্দেশখালিতে বেনজির ছবি, অস্ত্র উদ্ধারের সব তথ্য কমিশনে জানাবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার ভোট পর্বের মধ্যেই ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) অভিযান সিবিআইয়ের। শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খায়ের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার তালাবন্ধ বাড়ি থেকে এদিন বিপুল অস্ত্রের খোঁজ পায় সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। ভোটের বাংলায় বেনজির ছবি। সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে এনএসজি টিম। এলাকা খালি করছেন কমান্ডোরা। ভেড়ির আলপথে বেয়ে ঘুরছে রোবোটিক ডিভাইস। শুক্রবার এ গ্রামেরই এক বাড়িতে অস্ত্রসম্ভারের খোঁজ মেলে। এরপর কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে তল্লাশি।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তা জানাতে চলেছে সিবিআই (Sandeshkhali)

    সূত্রের খবর, এদিনের অভিযানে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে এসেছে বিদেশে তৈরি পিস্তল ও রাইফেল। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে অন্তত ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এখনও পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি নাইন এম এম, দেশি সেভেন এমএম পিস্তল। বোমা ও কার্তুজও পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গ জুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। মাটি খুঁড়ে চলছে তল্লাশি। সন্দেশখালিতে শুক্রবারের অভিযান প্রসঙ্গে এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিতে চলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে। আদর্শ আচারণবিধি জারি থাকাকালীন অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেখান, সেই কারণেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তা জানাতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

    আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

    আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ!

    এনএসজির মূলত তিনটি শাখা রয়েছে। তার মধে একটি হচ্ছে বম্ব ডিসপোজাল এবং ডিটেকশন স্কোয়াড। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এনএসজির এই বম্ব ডিসপোজাল এবং ডিটেকশনস স্কোয়াডকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কোথা থেকে কেনা হয়েছিল? এই অস্ত্রপাচার চক্রের সঙ্গে কি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে? শাহজাহানই বা কীভাবে জড়িত, কীভাবে হয়েছে অস্ত্র পাচার? শাহজাহানের বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার সঙ্গে কী এর যোগ আছে? তাহলে কী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে শাহজাহান সরাসরি যুক্ত? উঠছে প্রশ্ন।

    রোবট-গাড়ির সাহায্যে উদ্ধার হল সাদা ব্যাগ

    শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খায়ের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ির দিকে পাঠানো হয় ওই রোবট-গাড়ি। যা ‘বখ ডিসপোজাল রোবট’ হিসাবে পরিচিত। দেখতে ছোটখাটো ট্যাঙ্কের মতো। রহস্যজনক ব্যাগ নিয়ে আবু তালেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে রোবোটিক ডিভাইস। আবারও আলপথ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল পর্যবেক্ষক এই রোবট। কী রয়েছে এই সাদা ব্যাগে, উঠছে প্রশ্ন। সরবেড়িয়ার (Sandeshkhali) ঘিরে ফেলেছে এনএসজি। তার দিয়ে ঘেরা হচ্ছে নিাপত একটি জায়গা। সেখানে একের পর এক বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। এলাকার সমস্ত বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে এনএসজি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে ৮-ঘণ্টা জেরা, নতুন কোন তথ্য পেল সিবিআই?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে ৮-ঘণ্টা জেরা, নতুন কোন তথ্য পেল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) কাণ্ডে এবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠাল সিবিআই। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সন্তুর নাম জানতে পেরেছে সিবিআই।

    কেন সন্তুকে তলব

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেহালার ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ে ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অয়নশীল ধৃত কুন্তল ঘোষের কথাতেই ২৬ লক্ষ টাকা সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টে ফেলেছিলেন। কিন্তু এই ২৬ লক্ষ টাকা কেন অয়ন শীল এই ব্যবসায়ী তথা রাজনৈতিক নেতার অ্যাকাউন্টে ফেলেছিলেন, সেই তথ্যই জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়, শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় নয়, কালীঘাটের কাকু তথা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র এবং হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে পরিচিত। আধিকারিকদের সঙ্গে বারংবার কথা বলার পর সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম পরিচয় সামনে আসে তদন্তকারীদের ৷ সেই মতো বেহালায় সন্তু একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। উল্লেখযোগ্য কাগজপত্র পাওয়ার পরেই সেগুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার সন্তুকে তলব করা হয় ৷

    আরও পড়ুন: আজ শুরু দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন, ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ

    এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার তদন্তে সন্তুর নাম প্রকাশ্যে এসেছে।  বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে সকাল ১১টা নাগাদ পৌঁছে যান সন্তু। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বেরিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদে কী জানিয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডির কাছে সন্তুর কথা প্রথম বলেছিলেন হুগলির ব্যবসায়ী অয়নই। টেট দুর্নীতির পাশাপাশি পুরনিয়োগ দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়েছিল তাঁর। ইডির দাবি, অয়ন এই সকল নিয়োগ পরীক্ষার কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করে বেআইনি ভাবে পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বদলেছিলেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অয়ন জেরায় জানিয়েছিলেন, তিনি সন্তুকে টাকা দিয়েছিলেন। আর তা দিয়েছিলেন কুন্তলের কথায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rose Valley Case: রোজভ্যালি মামলায় সিবিআই চার্জশিটে সাধন-কন্যার নাম, আরও গাড্ডায় তৃণমূল

    Rose Valley Case: রোজভ্যালি মামলায় সিবিআই চার্জশিটে সাধন-কন্যার নাম, আরও গাড্ডায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে আরও গাড্ডায় পড়ল তৃণমূল। রোজভ্যালি মামলায় (Rose Valley Case) সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে এক নম্বরেই রয়েছে শ্রেয়া পাণ্ডের নাম। শ্রেয়া উত্তর কলকাতার তৃণমূল নেত্রী। তাঁর বাবা প্রয়াত সাধন পাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।

    শ্রেয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ (Rose Valley Case)

    চার্জশিটে সিবিআইয়ের অভিযোগ, রোজভ্যালির ২ কোটি ২২ হাজারেরও বেশি টাকা গিয়েছে শ্রেয়ার দুই সংস্থায়। রোজভ্যালির টাকায় চিনও ঘুরে এসেছেন এই তৃণমূল নেত্রী। ওড়িশার ভুবনেশ্বর আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, মন্ত্রিকন্যা হওয়ায় প্রভাবও খাটিয়েছেন শ্রেয়া। চিটফান্ড সংস্থা রোজভ্যালির (Rose Valley Case) বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যেত শ্রেয়াকে। তাঁর সংস্থা রোজভ্যালির বিভিন্ন কাজের বরাতও পেয়েছিল। অভিযোগ, মন্ত্রিকন্যা হওয়ার সুবাদে প্রাপ্য টাকার চেয়েও বেশি টাকা দেওয়া হয়েছিল শ্রেয়ার সংস্থাকে।

    সিবিআইয়ের দাবি

    সিবিআইয়ের দাবি, রোজভ্যালি চিটফান্ড জানা সত্ত্বেও শ্রেয়া এই সংস্থার ব্যবসা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছেন। উল্লেখ্য, সিবিআই চার্জশিটে শ্রেয়ার নাম থাকলেও, ইডির চার্জশিটে নাম নেই তাঁর। ইডি সূত্রে খবর, তদন্ত চলছে। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে শ্রেয়ার নাম যোগ করা হতে পারে। সিবিআইয়ের চার্জশিটের এক নম্বরে শ্রেয়ার নাম রয়েছে শুনে, উত্তর কলকাতা বিজেপি প্রার্থী তাপস রায় বলেন, “এই দুর্নীতির পয়লা নম্বর অভিযুক্ত হচ্ছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি আপাতত জামিনে রয়েছেন। শ্রেয়ার নামও তালিকায় রয়েছে। আশা করি, ওঁর বিরুদ্ধেও উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে তদন্তকারী সংস্থা।” সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অভিযুক্ত শ্রেয়া বলেন, “সরকারিভাবে আমায় কিছু জানানো হয়নি। এখনও অবধি আমার কাছে কোনও নোটিশ আসেনি।”

    আরও পড়ুুন: এবার ‘বিদেশ থেকে’ প্রাণনাশের হুমকি-ফোন জ্ঞানবাপী মামলার বিচারককে

    ২০১৩ সালে প্রকাশ্যে আসে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি। ওই মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন সংস্থার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে। এর পরে পরেই গ্রেফতার করা হয় আর এক চিটফান্ড রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকেও। তার পর একে একে প্রকাশ্যে আসে এমপিএস, পিনকন, টাওয়ার, ত্রিভুবন অ্যাগ্রো-সহ বেশ কিছু চিটফান্ডের নাম। সেই মামলায় এখনও জেলবন্দি রয়েছেন সুদীপ্ত, গৌতম, অনুকূল মাইতিরা (Rose Valley Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: পুলিশের পর সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই

    Sandeshkhali Incident: পুলিশের পর সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের পর এবার সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে ই-মেল আইডি তৈরি করে স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রহণ করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, মেল আইডি খুলে দিতেই সন্দেশখালি থেকে আসা লিখিত অভিযোগ উপচে পড়ে সিবিআইয়ের মেলবক্সে। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার তদন্তকারী সংস্থা সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে নেমে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করল।

    চাপে পড়ে পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল শিবু-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে

    সন্দেশখালিকাণ্ডে এর আগে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) সহযোগী তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ। বসিরহাট মহকুমা আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবু হাজরার (Shibu Hazra) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল শিবু-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে। এ বার সন্দেশখালিকাণ্ডে নারী নি‌র্যাতনের অভিযোগ দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
    ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের।

    ই-মেইলে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এক নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে কথা বলে সিবিআই

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ই-মেইলে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এক নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে কথা বলেন তাঁরা (Sandeshkhali Incident)। অভিযোগকারিনী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই (CBI)। সেই বয়ানের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। তবে ধর্ষণে অভিযুক্ত কে বা কারা তা জানা যায়নি।

    গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে (Sandeshkhali Incident) দেয় কলকাতা হাইকোর্টের

    উল্লেখ্য শাহজাহান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে সিবিআই হেফাজত এবং তার পরে ইডি হেফাজতে ছিলেন। বর্তমানে জেলে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। গ্রেফতার হয়েছেন শিবু-সহ শাহজাহানের শাগরেদরাও। গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে (Sandeshkhali Incident) দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে সব রকম সাহায্য করার নির্দেশ দেয় আদালত। আর এর পরেই আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে নারী নি‌র্যাতনের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    SSC Recruitment Scam: ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়াদের খুঁজে বের করতে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাল থেকে কাঁকর বাছতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়ল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষকতার চাকরি খুইয়েছেন ২৬ হাজার জন (SSC Recruitment Scam)। এই ভিড়ে যোগ্যদের পাশাপাশি রয়েছেন অযোগ্যরাও, যাঁরা শাসকদলের নেতাদের এজেন্টদের টাকা দিয়ে চাকরি বাগিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যোগ্যদের চাকরি কেন বাতিল হল, তা জানতে চেয়ে আন্দোলনে নেমে পড়েছেন চাকরি খোয়ানো ‘শিক্ষক’দের একাংশ।

    মাঠে সিবিআই (SSC Recruitment Scam)

    এহেন আবহে ঘুরপথে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলেই খবর। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার ২৪৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। এই মর্মে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতরকে। ‘দাদা’ ধরে চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেলেঙ্কারির গোড়ায় পৌঁছতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।

    কেলেঙ্কারি কবুল 

    শিক্ষক নিয়োগে যে কেলেঙ্কারি হয়েছিল, সেকথা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিয়েছিল এসএসসি। তবে বাঁকা পথে কারা চাকরি পেয়েছিলেন, সেই অযোগ্যদের নাম বলেননি এসএসসি কর্তৃপক্ষ। যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই একই মর্মে এসএসসি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল সিবিআই (SSC Recruitment Scam)।

    সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও শব্বর রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খোয়া যায় প্রায় ছাব্বিশ হাজারজনের। এই সময়ই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, সিবিআই যেমন অতিরিক্ত নিয়োগে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে তদন্ত করতে পারবে, তারা অযোগ্যদের চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেও পারবে। সেই প্রক্রিয়াই শুরু করেছে সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: “মুম্বই হামলার পরেও ব্যবস্থা নেয়নি ইউপিএ সরকার”, তোপ জয়শঙ্করের

    হাইকোর্টের চাকরি বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এসএসসি। বুধবারই এ বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এক সঙ্গে প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার বড় প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এদিকে, রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের একটি করে ফর্ম পাঠিয়েছেন ডিআইরা। কোন স্কুলে কতজন চাকরি খুইয়েছেন, কোন কোন বিষয়ের শিক্ষকরা সেই তালিকায় রয়েছেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে ডিআইদের তরফে। দ্রুত ওই তালিকা সংশ্লিষ্ট জেলা ডিআইদের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে (SSC Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Shahjahan: স্ত্রীর কান্না দেখে চোখে জল “সন্দেশখালির বাঘের”, আদালতে অন্য শাহজাহানকে দেখলেন সকলে

    Sheikh Shahjahan: স্ত্রীর কান্না দেখে চোখে জল “সন্দেশখালির বাঘের”, আদালতে অন্য শাহজাহানকে দেখলেন সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির “বেতাজ বাদশা” শেখ শাহজাহান  (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হওয়ার পর বসিরহাট আদালতে তোলার সময় পুলিশ তাঁকে স্পর্শ করার সাহস দেখাননি। “নবাবের” মেজাজে তিনি আদালতে যান। সেই ঘটনা সামনে আসতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে শাহজাহানকে নেওয়া হয়। আর এই কয়েকদিনের মধ্যেই এখন তাঁর শরীরী ভাষা বদলে গিয়েছে। সেই আক্রমণাত্মক ভাব এখন উধাও। বসিরহাট আদালতে তোলার সময় যা ঘটল তা দেখে স্থানীয় লোকজনও হতবাক হয়ে যান। বসিরহাট মহকুমা আদালতের বাইরে ‘অন্য শাহজাহান’কে দেখলেন সকলে।

    আদালতের সামনে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sheikh Shahjahan)

    শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) এক ভাই শেখ আলমগিরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রবিবার রাতে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানের দুই শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা এবং দিদারবক্স মোল্লাকে। মঙ্গলবার শাহজাহান, আলমগির, শিবু, মাফুজার মোল্লা, জিয়াউদ্দিন, দিদার-সহ মোট ১২ জনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। কিন্তু, আদালতের এক করণিক মারা যাওয়ার কারণে শুনানি প্রক্রিয়া হয়নি। আবার ৭মে শাহজাহানদের আদালতে আনা হবে। সাসপেন্ড হওয়াতৃণমূল নেতাকে যখন আবার প্রিজন ভ্যানে তোলা হচ্ছে,কয়েক মিটার দূর থেকে ‘আব্বু’ ডাক শুনে মুখ ফেরান তিনি। মেয়ের দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে ‘হ্যাঁ’ বা ‘ঠিক আছি’ বুঝিয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন শাহজাহান। গাড়ির একেবারে জানলার পাশে গিয়ে ততক্ষণে দাঁড়িয়েছেন শাহাজাহানের স্ত্রী তসলিমা বিবি। তদন্তকারীদের তলবে যিনি ইতিমধ্যে একাধিক বার হাজিরা দিয়েছেন। স্ত্রীকে দেখে জানলার দিকে ফিরলেন।আকাশি রঙের জামা এবং ট্রাউজ়ার্স পরিহিত থমথমে মুখে স্ত্রীকে ধীরে ধীরে বললেন, “নিজের খেয়াল রাখবে।”প্রিজন ভ্যানের জানলার কাছে তখন শাহজাহানের স্ত্রী-কন্যা সহ পরিবারের অন্যরাও দাঁড়িয়েছেন। সবাই শাহজাহানকে বলছেন, শরীরের যত্ন নিতে। একজন বললেন, “সময় মতো ওষুধ খাবে।” স্ত্রী আঙুল ছুঁয়েছেন ভ্যানের জানলার রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে। স্ত্রীর কান্না শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না ‘সন্দেশখালির বাঘ’। মুখ ঘুরিয়ে আঙুল দিয়ে নিজের কান্না মুছলেন। তারপর রুমাল চাপা দিয়ে ‘আল্লার কাছে দোয়া করো’ বলে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা, এবার গরম উত্তরেও

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা

    শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার পরে শাহজাহান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে রাজ্যপুলিশের তরফে আরও দু’টি মামলা করা হয়। সেই দু’টি মামলার তদন্তভারও সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছিল হাই কোর্ট। ওই দু’টি মামলায় শাহজাহান ও তাঁর ভাই আলমগির- সহ সাত জন এখন জেলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ফের বসিরহাট এসপি অফিসে সিবিআই হানা

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে ফের বসিরহাট এসপি অফিসে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও বসিরহাটের এসপি অফিসে (SP Office) সিবিআই হানা। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া দুটো অভিযোগেরই তদন্ত করছে সিবিআই। এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই মামলার তদন্তে বার বার তৃণমূল নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে এসেছে। বিরোধীরা বার বার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি নারী নির্যাতনের ঘটনায় সন্দেশখালি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এলাকার মহিলাদের আন্দোলনের চাপে তৃণমূল নেতা শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে সমস্ত মামলার তদন্তের ভার দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। 

    নোটিশ জারি করেছিল সিবিআই (Sandeshkhali)

    তবে ন্যাজাট (Sandeshkhali) থানায় দায়ের হওয়া দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এতদিন যা তদন্ত করেছে, তাতে বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিস তালিকা-তথ্য ও নথি পেতে নোটিশ জারি করেছিল সিবিআই। তবে মঙ্গলবারই প্রথম নয়, এর আগে গত ১৬ এপ্রিলও এসপি অফিসে পৌঁছেছিল সিবিআই-এর একটি টিম। ওই দিন সন্দেশখালিতে হামলার ঘটনায় বসিরহাটের (Basirhat) পুলিশ সুপারকে নোটিশ দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। একই সঙ্গে ইডির উপর হামলার ঘটনায় বেশকিছু তথ্য ও নথি চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে মঙ্গলবার সেই তথ্যের খোঁজেই গোয়েন্দা আধিকারিকেরা এসপি অফিসে হানা দিলেন কিনা সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

    আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের

    পুলিশের বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসের খোঁজে সিবিআই

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় ন্যজাট থানায় যে দুটো মামলা দায়ের হয়েছিল, ওই মামলাতে কোনও দাবিদারহীন বাজেয়াপ্ত আছে কিনা, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে বসিরহাটের পুলিশ সুপারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসের মধ্যে দাবিদারহীন জিনিস তদন্তের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে বিজেপি শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ বার বার তুলে সরব হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি গেল সিবিআই টিম, কথা বললেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি গেল সিবিআই টিম, কথা বললেন গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ঘটনার তদন্তভার সিবিআই নেওয়ার পর বেশ কয়েক বার থানায় এসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারী আধিকারিকেরা। শনিবারও তদন্তের সন্দেশখালি যায় সিবিআই টিম। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিতে সিবিআই ইতিমধ্যে নিজস্ব একটি পোর্টাল চালু করেছে। সেখানে সন্দেশখালির মানুষ তাদের অভাব অভিযোগ, নারী নির্যাতন, জমি লুট সহ একাধিক অভিযোগ জানাতে পারবে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সিবিআই সূত্রের খবর, সেখানে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে। একটি দল থানায় যায়। আর অন্য একটি দল যায় গ্রামে।

    কেন সন্দেশখালিতে সিবিআই? (Sandeshkhali)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, পোর্টালে অভিযোগের তদন্ত করতে এদিন ১০ জন সিবিআই আধিকারিক সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থানার সুন্দরখালি, কর্ণ খালি, মাঝেরপাড়া, পাত্রপাড়া, নতুন পড়াসহ একাধিক পাড়ায় গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা জানার চেষ্টা করেন। সন্দেশখালি কান্ড নিয়ে ইতিমধ্যে বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান ও ন্যাজাট থানার পুলিশ আধিকারিকের কাছ থেকে ১৬ এপ্রিল সিবিআই তথ্য নিতে এসেছিল। তারপর এবার সন্দেশখালিতে সিবিআই টিম হানা দিল। প্রসঙ্গত, বসিরহাট পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে ন্যাজাট ও সন্দেশখালি থানার দশটি জায়গায় পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেখানে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছিল, সেই অভিযোগগুলো সিবিআই আধিকারিকরা রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে হস্তান্তর করে নিজের দায়িত্বে নেন। তারপর এদিন সেই অভিযোগের সত্যতা জানতে সন্দেশখালিতে হাজির হন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ! ভোটের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

    বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই টিম

    সিবিআই আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তে এর আগে ওই এলাকায় সিবিআই গিয়েছে বলে শোনা যায়নি। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার ঘটনায় ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই সুন্দরীখালিতে অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানায় ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মহিলা নির্যাতন, জমির জবরদখল, স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর জুলুমবাজির যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তার মধ্যে শাহজাহান শেখ ছাড়া নাম ছিল শিবু হাজরা এবং অন্যদের। যাঁদের বেশিরভাগই শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন অথবা এখনও রয়েছেন। সেই বিষয়ে জানতে এদিন আধিকারিকরা সন্দেশখালি যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share