Tag: cbi

cbi

  • Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন সহ ৩

    Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলা, সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন সহ ৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে শাহজাহান শেখ ও তাঁর প্রধান ২ শাগরেদ তথা শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার— এই তিন জন রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে। তবে সোমবার, ইডির উপর হামলার ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি করল সিবিআই। ধৃত শাহজাহান শেখের ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা জিয়াউদ্দিন মোল্লা। জানা গিয়েছে, তিনি সরবেড়িয়া-আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে দিদারবক্স মোল্লা এবং ফারুক আকুঞ্জি নামে শাহজাহানের আরও দুই শাগরেদকে। দিদারবক্স পেশায় নিরাপত্তারক্ষী বলে জানা গিয়েছে। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শাহজাহান মার্কেটে সে কাজ করত। তবে ফারুকের পেশা নিয়ে কিছু জানা যায়নি।

    সন্দেশখালিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নোটিশ ধরায় সিবিআই

    মামলা হাতে পাওয়ার পর পরই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) যান সিবিআই আধিকারিকরা। তখনই তাঁরা অভিযুক্তদের হাজিরার নোটিশ ধরান। সিবিআই বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে প্রথমে ন্যাজাট থানার অন্তর্গত রাজবাড়ি ফাঁড়িতে পৌঁছায়। এরপর সন্দেশখালি থানার পুলিশকে নিয়ে সরবেড়িয়া-আকুঞ্জিপাড়ায় হাবিবুর রহমানের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সে সময়ে বাড়িতে ছিলেন না হাবিবুর। সিবিআইয়ের নোটিশ ছিঁড়ে ফেলে দেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে, সিবিআই পৌঁছে যায় শাহজাহানের জামাই রানাবাবু লস্করের বাড়িতেও। কিন্তু সেখানে বাড়ি তালা বন্ধ থাকায় শুধু ছবি তুলে নিয়ে চলে যায় তারা। জিয়াউদ্দিন সহ ৭ জনকে সোমবার হাজির হওয়ার নোটিশ ধরানো হয়েছিল। সেই মতো সোমবার কলকাতায় সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন জিয়াউদ্দিন সহ বাকিরা। দীর্ঘ জেরা চলার পর, জিয়াউদ্দিন  এবং শাহজাহানের আরও ২ শাকরেদকে গ্রেফতার করে সিবিআই।

    মঙ্গলবার কারা হাজিরা দিচ্ছে সিবিআই দফতরে

    এদিকে, তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আরও বেশ কয়েকজনকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার যে তিনজনের সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা রয়েছে, তাঁদের মধ্যে দুজন হলেন হাবিবুর রহমান এবং বেড়মজুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিকি মোল্লা। আপাতত শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। এবং সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল ন্যাজাট থানায়। কোর্টের নির্দেশ মতো, রাজ্য পুলিশের হাত থেকে এই মামলা চলে যায়, সিবিআই-এর হাতে।

    আরও পড়ুন: হিন্দু বাঙালির দ্বিতীয় স্বাধীনতা, দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে গেল সিএএ

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানকে নোটিশ দিল সিবিআই, শোরগোল

    CBI: বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানকে নোটিশ দিল সিবিআই, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সকালে ইডির ওপরে হামলার ঘটনার তদন্তে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শঙ্করের বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বনগাঁ পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বাড়ি। তাঁকে এদিন সিবিআই (CBI) নোটিশ ধরিয়েছে।

    চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়া হয় (CBI)

     ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি হানা দেওয়ার পর শাহজাহান বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। ওই দিনই বনগাঁয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে ইডি হানা দেয়। শঙ্করকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ইডি-র ওপর হামলা হয়। সেই হামলার ঘটনার তদন্তে এদিন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠকে নোটিশ ধরাল সিবিআই (CBI)। সোমবার সকালে ইডির উপরে হামলার ঘটনার তদন্তে বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শঙ্করের বাড়িতে ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তায় রয়েছে বেশ কয়েকটি সিসি ক্যামেরা। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার ঘটনার তথ্য শঙ্কর আঢ্যর বাড়ির ক্যামেরাগুলি তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। এই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেতে চান তদন্তকারীরা। সে কারণেই সোমবার গোপাল শেঠের সঙ্গে বেশি কিছু সময় কথা বলার পর তাঁকে নোটিশ ধরানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। পাশাপশি বনগাঁ থানা, বনগাঁ পুরসভাকেও নোটিশ দেয় সিবিআই। শঙ্করের বাড়ির এলাকায় কয়েকটি সিসি ক্যামেরা আছে, যার কয়েকটি নিয়ন্ত্রণ পুরসভার হাতে বলে খবর। কয়েকটি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ থানার হাতে। ঘটনার দিনের ফুটেজ পাওয়ার জন্যই এদিন থানা ও পুরসভাকে দেওয়া হয় নোটিশ।

    ২০ মার্চের মধ্যে ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ

    আর শিমুলতলায় শঙ্করের বাড়ির আশপাশের কয়েকজন প্রতিবেশীকেও এদিন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় সিবিআই। এমনকী শঙ্করের বাড়ি ও পার্টি অফিসে লাগানো ক্যামেরায় ঘটনার দিনের কী ছবি ধরা পড়েছে তা খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। সে কারণেই এদিন শঙ্কর আঢ্যকেও নোটিশ ইস্যু করা হয়। এদিন তাঁর স্ত্রী সিবিআইয়ের (CBI) নোটিশ গ্রহণ করেন। নোটিশে আগামী ২০ মার্চের মধ্যে সকলকেই তথ্য হিসাবে ফুটেজ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ‘ডানহাত’ জিয়াউদ্দিন সহ ৭ ঘনিষ্ঠ

    Shahjahan Sheikh: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে শাহজাহানের ‘ডানহাত’ জিয়াউদ্দিন সহ ৭ ঘনিষ্ঠ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তলব পেয়ে সোমবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) ‘ডানহাত’ বলে পরিচিত জিয়াউদ্দিন মোল্লা। তাঁর সঙ্গে আরও ৬ জন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মী আছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সিবিআই দফতরে সকাল ১১ টায় ঢোকার মুখে জিয়াউদ্দিন বলেন, “তদন্তে সব রকম সহযোগিত করব।”

    শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) ‘ডান হাত’ জিয়াউদ্দিন

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) ডানহাত হিসাবে পরিচিত জিয়াউদ্দিন মোল্লা। উল্লেখ্য ইডির তদন্তকারী অফিসারদের উপর হামলার সময় তাঁর উপস্থিত আগেই নজরে এসছিল। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে কীভাবে এই তৃণমূল নেতা রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত শাহজাহানের বাড়ি তাল্লাশিতে বাধা দিয়েছিলেন। এরপর থেকে এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম নিয়ে শোরগোল পড়েছে সংবাদমাধ্যমে। জিয়াউদ্দিন সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান। তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণে নেতৃত্বের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে গতকাল বসিরহাট আদালতে তোলা হয় শেখ শাহজাহানকে। তাঁর মোবাইল হাতে পেতে জোর তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। রবিবার শাহজাহানকে (Shahjahan Sheikh) বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

    ইডির উপর আক্রমণ

    গত ৫ জানিয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় সরবেড়িয়ার আকুঞ্জিপাড়ায় অভিযুক্ত শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে যায় ইডি। কিন্তু বাড়িতে তালা থাকায়, তালা ভেঙে ঢুকতে গেলে শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) ঘনিষ্ঠ তথা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তদন্তকারী অফিসারদের উপর। এই আক্রমণে তিন জন অফিসারের মাথা ফাটে। নিরাপত্তায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ করা হয়। তাঁদের গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় । একাধিক নথি নষ্ট করে দেওয়া হয়। এরপর কোনও ক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে টোটোয় চেপে নিজেদের জীবন রক্ষা করেন ইডির আধিকারিকরা। আক্রমণের পর থেকেই তৃণমূলনেতা শাহজহান পালাতক হন। ইডির তরফ থেকে ন্যাজাট থানায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পরে হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত ভার এবং শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) হেফাজত নেয় সিবিআই।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে সিবিআই

    CBI: রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরার পর এবার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির এলাকায় গেল সিবিআই (CBI)। শঙ্কর বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে রেশন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। যদিও শঙ্কর নিজে সে সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। সোমবার বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ফরেন্সিক দল নিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা সোমবার সকালে বনগাঁয় পৌঁছেছেন। রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্করের বাড়িতে ইডির ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত করতে যায় সিবিআই।

    সিসি টিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে (CBI)

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। ইডি-র ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। ওই দিনই বনগাঁয় শঙ্কর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সে দিনই রাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়। শঙ্করকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধার সম্মুখীন হয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। শঙ্করের অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখান। এমনকি, ইডির গাড়িতে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। বনগাঁ থানায় অভিযোগও হয়। সেই হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এর আগেও সিবিআইয়ের (CBI) দল শঙ্করের বাড়ির এলাকায় গিয়েছিল। তবে তখন তারা বাড়ির ভিতরে ঢোকেনি। সোমবার বাড়িতে ঢুকেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সে দিন রাতে কারা ছিলেন, ইডিকে কারা বাধা দিয়েছিলেন, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘পার্থ সকলকে উস্কে গালাগাল করাচ্ছিল’, বারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে তোপ অর্জুনের

    শঙ্করের বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ

    এর আগে তারা সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ফরেন্সিক দল। ইডির দু’জন আধিকারিকও সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে গিয়েছিলেন। শাহজাহানের বাড়ি, অফিস, বাজারে তল্লাশি চালানো হয়। ডুগরিপাড়া গ্রামে শাহজাহানের দুই ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও গিয়েছিল সিবিআই। একই ভাবে এদিন বনগাঁয় শঙ্করের বাড়ি থেকেও নমুনা, তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: বসিরহাট আদালতে তোলা হল শাহজাহানকে, চারদিনের হেফাজত চাইল সিবিআই

    Sheikh Shahjahan: বসিরহাট আদালতে তোলা হল শাহজাহানকে, চারদিনের হেফাজত চাইল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার বসিরহাট আদালতে তোলা হয় সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan)। তবে, এদিন সিবিআইয়ের কনভয় যখন শাহজাহানকে নিয়ে বসিরহাটের পথে, সেই সময়েও উল্টো দিক থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গাড়ি কলকাতার ব্রিগেডের দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। এমনকী, সেই গাড়ির কারণে মাঝেমধ্যে থমকেও গিয়েছে শাহজাহানের কনভয়। পরে,বসিরহাট আদালতে তুলে সন্দেশখালির শাহজাহান শেখকে চার দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই। তবে, আপাতত আদালতের পক্ষ থেকে রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে।

    কোনও কথা বলননি শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)

    ইডি-র ওপর হামলার প্রায় দুমাস ফেরার ছিলেন শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মিনাখাঁ থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এরপর বসিরহাট আদালতে তাঁকে তোলা হয়েছিল। সেই সময় পুলিশ তাঁকে স্পর্শ করার সাহস দেখায়নি। বাদশার মেজাজেই ছিলেন। সেবারও তিনি কোনও কথা বলেননি। তবে, জহর কোর্ট পরে সংবাদ মাধ্যমকে ভি চিহ্ন দেখিয়েছিলেন। তবে, সিবিআই তাদের হেফাজতে নেওয়ার পর এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামার সময়ে কোনও কথা বলেননি শাহজাহান। তাঁর হাত ধরেই তদন্তকারীরা আদালতে নিয়ে যান। শুনানি শেষে তাঁর আইনজীবী জানান, শাহজাহানকে আরও জেরা করে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা প্রয়োজন- এই মর্মে তাঁর হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল সিবিআই। আদালত এখনও পর্যন্ত রায় দেয়নি।

    আরও পড়ুন: শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূলে ধাক্কা, ভোটের আগে আড়াইশো সংখ্যালঘু পরিবার যোগ দিল বিজেপিতে

    শাহজাহানের সঙ্গীদের নোটিস দিল সিবিআই

    গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলে। হিসাব মতো, তিন দিন শাহজাহানকে হেফাজতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শাহজাহানকে হেফাজতে পাওয়ার পরেই সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে তৎপর হয়েছে সিবিআই। পর পর দু’দিন তারা সন্দেশখালিতে গিয়েছে। তার মধ্যে দ্বিতীয় দিন শাহজাহানের বাড়ি, বাজার, অফিসে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকা কার্যত চষে ফেলেছে। এমনকী, ডুগরিপাড়া গ্রামে শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ দু’জনের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। শাহজাহানের আট সঙ্গীকে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে নোটিস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই হানা, ভাঙা হল ঘরের তালা

    CBI: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে সিবিআই হানা, ভাঙা হল ঘরের তালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহানের ডেরায় সিবিআই হানা দেয়। তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে পৌঁচ্ছে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হাতুড়ে চিকিৎসক শফিকুল মোল্লার বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দেয়। সন্দেশখালির ডুগরিপাড়া গ্রামে ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। বাড়ির বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকেরা। এর আগে ভুগরিপাড়া গ্রামের আরও একটি বাড়িতে গিয়েছিল সিবিআই। দিন আলি মোল্লা নামের ওই গ্রামবাসীর ছেলে শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইলের খোঁজ করছিলেন গোয়েন্দারা। এর পর ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা যান হাতুড়ে চিকিৎসকের বাড়িতে।

    চিকিৎসকের ভা়ড়াটেদের জিজ্ঞাসাবাদ (CBI)

    কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। ওই ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত শাহজাহান এখন তাদের হেফাজতে রয়েছে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিনভর শাহজাহানকে জেরা করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তার পরেই শুক্রে তাদের দল পৌঁছে গিয়েছে সেই শাহজাহানের ডেরায়। ডুগরিপাড়ার চিকিৎসকের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তিনি পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক হলেও তাঁর বাড়ির দোতলায় একটি স্কুল চলে। স্কুলটির নাম সরবেড়িয়া ডুগরিপাড়া চাইল্ড অ্যাকাডেমি। এছাড়া ওই বাড়ির নীচের তলায় অনেক ভাড়াটে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, তাঁদের কেউ মুর্শিদাবাদ, কেউ দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে সন্দেশখালিতে এসেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী বাইরে থেকে গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলে। বাড়ির প্রত্যেকের পরিচয়পত্র যাচাই করা হয়। সিবিআইকে দেখে বাড়ির মহিলারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

    ঘরের তালা ভেঙেছে সিবিআই

    ডুগরিপাড়ার এই বাড়ির একটি ঘরের তালাও ভেঙেছে সিবিআই (CBI)। সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখের বাড়ির সামনে ইডির ওপর হামলার সময়ে এই বাড়ির কেউ উপস্থিত ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে, শফিকুল সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। চিকিৎসকের কন্যা বলেন, হঠাৎ করে ওরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আমি জানি না কেন ওঁরা এসেছেন। বাবা এখন বাড়িতে নেই। শাহজাহানকে এলাকার নেতা হিসাবে চিনি। আমাদের বাড়িতে তাঁর যাতায়াত নেই। ৫ জানুয়ারি ঘটনার দিন আমার বাবা বাড়িতেই ছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহানের আরও এক ‘সহচরে’র বাড়িতে সিবিআই-এর তল্লাশি

    Sandeshkhali: শাহজাহানের আরও এক ‘সহচরে’র বাড়িতে সিবিআই-এর তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আরও সক্রিয়। এবার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ ‘সহচরে’র বাড়িতে তাল্লাশি অভিযানে পৌঁছাল। জানা গিয়েছে, এই তৃণমূল নেতা শাহজাহানের ‘সহচর’। ইতিমধ্যে শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে সিল করা তালা খুলে তল্লাশি এবং তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় জাওয়ান, দুই ইডি আধিকারিক এবং ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। শাহজাহানের চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।

    কে এই শাহ জাহানের সহচর (Sandeshkhali)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই যে সহচরের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়েছে তাঁর নাম হল আবু হোসেন মোল্লা ওরফ দুরন্ত আলি মোল্লা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আকুঞ্জবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়ির একদম কাছেই ডুগরি গ্রামে দুরন্ত আলি মোল্লার বাড়ি। তিনি শাহজাহানের ভীষণ অনুগত। কিন্তু শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযান করলে এই দুরন্ত মোল্লা পলাতক বলে জানা যায়। আপাতত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে সিবিআই। জানা গিয়েছে  শাহজাহানের সঙ্গে ফোনে খুব কথা হতো তাঁর। 

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    দুরন্ত শেখ শাহজাহানের কতটা কাছের, সেই সম্পর্কের কথা বলতে গিয়ে এক এলাকাবাসী বলছেন, “বছর খানেক আগে দুরন্ত আলির অনুগত্যের প্রমাণ মিলেছিল। পাঁচতলা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন দুরন্ত! সরবেড়িয়া (Sandeshkhali) হাইস্কুলের উলটো দিকে শাহজাহানের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে দেন। শাহজাহান দুরন্তকে জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি জান দিতে পারবে? কি দিতে পারবে? কথা শোনা মাত্রই এক নিমিষে ঝাঁপ দিয়ে দেন দুরন্ত। উঁচু স্থান থেকে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যায় দুরন্তের। এরপর প্রায় ছয়মাস বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। এটাই আনুগত্য এবং সহচরের নমুনা।”

    গত ৫ জানুয়ারি ইডি তল্লাশি করতে গেলে দুরন্তই প্রথম ফোনে শাহজাহানকে খবর দেয় বলে জানা গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারেরা মোবাইলের সূত্র ধরে জানতে পারেন আক্রমণের দিন প্রথম ফোন করেছিলেন দুরন্ত।        

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই টালমাটাল পরিস্থিতির সূচনা হয়েছিল চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারি। সেদিন শাহজাহান বাহিনী ইডি’র ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল। শাহজাহানের দাপটের কথা যতই তারপর থেকে প্রকাশ্যে এসেছে, ততই একটা প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। তা হল, তাঁর মাথায় কার কার হাত রয়েছে অর্থাৎ তৃণমূলের কোন কোন প্রভাবশালী নেতা তাঁর এই ধরনের অমানবিক অত্যাচারে মদত জুগিয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শাহজাহানের ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই খবর পাওয়া মাত্রই সেখানকার বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সাফাই গাইতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে সেদিন তিনি শাহজাহানকে ফোন করেছিলেন।

    কী বললেন বিধায়ক? (Sandeshkhali)

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “ওইদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আমি শাহজাহানকে ফোন করেছিলাম।” আর সেই ফোন তিনি নাকি নিজের ইচ্ছায় করেননি, করেছিলেন হাজি নুরুলের নির্দেশ মেনে। ফোনে তিনি শাহজাহানকে (Sandeshkhali) কী বলেছিলেন? সুকুমার মাহাতোর কথায়, “ইডির ওপর যাতে হামলা না হয়, সেই পরামর্শই আমি ওকে দিয়েছিলাম। যদিও ততক্ষণে সমস্ত ঘটনা ঘটে গিয়েছে।” তৃণমূলের প্রভাবশালী তত্ত্ব এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সামনে এসেছে। তাই সুযোগ বুঝে তৃণমূলের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরিতে নেমেছেন ওই বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি তেমনভাবে দল করি না। শুধু উন্নয়নের কাজকর্ম দেখছি।” তাঁর দাবি, তিনি রাজনৈতিকভাবে কোনও প্রভাবশালী নেতাও নন।

    ৩ মিনিটে ২৮টি ফোন? (Sandeshkhali)

    এদিকে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার পর ৩ মিনিটে মোট ২৮ টি ফোন করেছিলেন শাহজাহান। তাঁর নিজের হেফাজতে ছিল দুটি ফোন। ফোনগুলি করা হয়েছিল সেখান থেকেই। যেহেতু এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমেছিল ইডি, তাই তারা শুরুতেই ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছিল। এরপর সিবিআই যখন তদন্তের নির্দেশ পায়, তখন সেই কল লিস্ট (Sandeshkhali) তারা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। তৃণমূল বিধায়কের কাছে এটা পরিষ্কার যে কল লিস্ট অনুযায়ী তাঁরও ডাক আসবে। তাই আগেভাগেই তিনি সাফাই দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন, এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: শংকর আঢ্যকে গ্রেফতারের পরও হয়েছিল হামলা, তদন্তে নেমে সোজা বনগাঁয় সিবিআই

    CBI: শংকর আঢ্যকে গ্রেফতারের পরও হয়েছিল হামলা, তদন্তে নেমে সোজা বনগাঁয় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জানুয়ারি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশির পর মধ্যরাতে শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে তাঁর শিমুলতলার বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যান তাঁরা। সেই সময় সন্দেশখালি মডেলে হামলা চালানো হয়েছিল ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর। পরবর্তীতে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ পেয়ে তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর হামলার এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শংকর আঢ্যের বাড়ির সামনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ধরে চারপাশ ঘুরে দেখেন সিবিআই কর্তারা। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।

    সন্দেশখালি মডেলেই প্রতিরোধ (CBI)

    তদন্তভার হাতে পেয়েই সিবিআই যেমন সন্দেশখালির ত্রাস শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে, ঠিক একই ভাবে সিবিআইয়ের (CBI) আরও একটি দল হানা দিয়েছিল বনগাঁয়। এই বনগাঁতেই রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বাধা পেয়েছিল ইডি। এখানে কোনও আধিকারিক প্রহৃত হননি ঠিকই, কিন্তু সন্দেশখালি মডেলেই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল।

    ঘটনার পুনর্নির্মাণ? (CBI)

    এদিন সিবিআই যা করল, তাকে সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ বলে চলে। সিবিআই আধিকারিকরা পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে সেদিনের ঘটনার বিবরণ শোনেন। তাঁর বাড়ি ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি এলাকার কোন কোন জায়গায় কতগুলি সিসিটিভি রয়েছে, তার পরিসংখ্যান নেয় সিবিআই। একই সঙ্গে সেদিন শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় কোন জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গাটিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। সিবিআই আধিকারিকরা শংকর আঢ্যের বাড়ির ছবি তোলার পাশাপাশি তার বাড়ির সামনে রাস্তায় বিদ্যুতের পোলে লাগানো সিসিটিভির ছবিও তোলেন।

    তবে তাঁদের ওপর নতুন করে যাতে কোনও হামলার ঘটনা না ঘটে, তাই সিবিআই (CBI) আগে থেকেই সতর্ক ছিল। আধা সেনা নিয়েই তারা এলাকায় ঘোরে। পুলিশকে অবশ্য এদিন আগাগোড়া তাদের সহযোগিতা করতেই দেখা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই

    Sandeshkhali: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে রয়েছে দুজন ইডির আধিকারিক এবং ফরেন্সিক দল। আজ শুক্রবার সকালে আবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এসেছে সিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়ি এবং তার আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখে গিয়েছিল। আজ সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কমপক্ষে ৫০ জন সেনা জওয়ান বাহিনী রয়েছে। গোটা বাড়িকে ঘিরে রেখেছে বাহিনী। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে যাতে পড়তে না হয় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। রেশন দুর্নীতির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির তিন জন আধিকারিক। এরপর ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।

    সঙ্গে ফরেন্সিক দল (Sandeshkhali)

    পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে রয়েছে ফরেন্সিক দল। এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ফরেন্সিক দলের তরফ থেকে শাহজাহানের বাড়ির (Sandeshkhali) আশেপাশের এলাকার যাওয়া-আসার ছবি স্কেচ করে নেওয়া হয়েছে। ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছে এলাকার বাড়ি এবং চারিপাশের মুহুর্তকে। সেই সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ইডির দুই আধিকারিক। ইডির সঙ্গে কথা বলেই তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছেন সিবিআই তদন্তকারী অফিসার এবং ফরেন্সিক দলের সদস্যরা।

    ইডির বয়ানও রেকর্ড করে সিবিআই

    উল্লেখ্য হাইকোর্টের নির্দেশে শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। ইডির অফিসারদের উপার হামলা, মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গতকাল তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয় নিজাম প্যালেসে। সেখানে গিয়েছিলেন ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরব ভারিল। গত ৫ই জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির উপর আক্রমণে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনিই এই মামলার এফআইআর দায়ের করেছিলেন। একই সঙ্গে সিবিআই, ইডির বয়ান রেকর্ড করেছে। এরপর আজ শুক্রবার শাহজাহানের বাড়িতে গিতে তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা।

    আগেও শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান হয়েছিল

    এর আগে শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাড়িতে দুবার গিয়েছিল ইডির তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রথম বার ঢুকতে বাধা পেয়েছিল এবং আক্রান্ত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল। দ্বিতীয় বার এই তৃণমূল নেতার বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ঢুকেছিল ইডির অফিসারেরা। এরপর ফাঁকা বাড়িতে তাল্লাশি চালিয়ে বাড়িটিকে সিল করে দেয় তাঁরা। এরপর আজ ফের একবার সিবিআই সিল করা তালা ভেঙে তল্লাশি শুরু করে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share