Tag: cbi

cbi

  • Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    Sandeshkhali: হামলার দিন শাহজাহানকে তিনি ফোন করেছিলেন, আগেভাগেই স্বীকার তৃণমূল বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এই টালমাটাল পরিস্থিতির সূচনা হয়েছিল চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারি। সেদিন শাহজাহান বাহিনী ইডি’র ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল। শাহজাহানের দাপটের কথা যতই তারপর থেকে প্রকাশ্যে এসেছে, ততই একটা প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। তা হল, তাঁর মাথায় কার কার হাত রয়েছে অর্থাৎ তৃণমূলের কোন কোন প্রভাবশালী নেতা তাঁর এই ধরনের অমানবিক অত্যাচারে মদত জুগিয়ে গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই শাহজাহানের ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই খবর পাওয়া মাত্রই সেখানকার বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সাফাই গাইতে ময়দানে নেমে পড়েছেন। নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে সেদিন তিনি শাহজাহানকে ফোন করেছিলেন।

    কী বললেন বিধায়ক? (Sandeshkhali)

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “ওইদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ আমি শাহজাহানকে ফোন করেছিলাম।” আর সেই ফোন তিনি নাকি নিজের ইচ্ছায় করেননি, করেছিলেন হাজি নুরুলের নির্দেশ মেনে। ফোনে তিনি শাহজাহানকে (Sandeshkhali) কী বলেছিলেন? সুকুমার মাহাতোর কথায়, “ইডির ওপর যাতে হামলা না হয়, সেই পরামর্শই আমি ওকে দিয়েছিলাম। যদিও ততক্ষণে সমস্ত ঘটনা ঘটে গিয়েছে।” তৃণমূলের প্রভাবশালী তত্ত্ব এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই সামনে এসেছে। তাই সুযোগ বুঝে তৃণমূলের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরিতে নেমেছেন ওই বিধায়ক। তিনি বলেন, “আমি তেমনভাবে দল করি না। শুধু উন্নয়নের কাজকর্ম দেখছি।” তাঁর দাবি, তিনি রাজনৈতিকভাবে কোনও প্রভাবশালী নেতাও নন।

    ৩ মিনিটে ২৮টি ফোন? (Sandeshkhali)

    এদিকে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সেদিন ইডির তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার পর ৩ মিনিটে মোট ২৮ টি ফোন করেছিলেন শাহজাহান। তাঁর নিজের হেফাজতে ছিল দুটি ফোন। ফোনগুলি করা হয়েছিল সেখান থেকেই। যেহেতু এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তদন্তে নেমেছিল ইডি, তাই তারা শুরুতেই ফোনের কল লিস্ট জোগাড় করে ফেলেছিল। এরপর সিবিআই যখন তদন্তের নির্দেশ পায়, তখন সেই কল লিস্ট (Sandeshkhali) তারা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। তৃণমূল বিধায়কের কাছে এটা পরিষ্কার যে কল লিস্ট অনুযায়ী তাঁরও ডাক আসবে। তাই আগেভাগেই তিনি সাফাই দেওয়া শুরু করে দিয়েছেন, এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: শংকর আঢ্যকে গ্রেফতারের পরও হয়েছিল হামলা, তদন্তে নেমে সোজা বনগাঁয় সিবিআই

    CBI: শংকর আঢ্যকে গ্রেফতারের পরও হয়েছিল হামলা, তদন্তে নেমে সোজা বনগাঁয় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ জানুয়ারি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশির পর মধ্যরাতে শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে তাঁর শিমুলতলার বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যান তাঁরা। সেই সময় সন্দেশখালি মডেলে হামলা চালানো হয়েছিল ইডি আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর। পরবর্তীতে এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ পেয়ে তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। ইডি এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর হামলার এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শংকর আঢ্যের বাড়ির সামনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ধরে চারপাশ ঘুরে দেখেন সিবিআই কর্তারা। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।

    সন্দেশখালি মডেলেই প্রতিরোধ (CBI)

    তদন্তভার হাতে পেয়েই সিবিআই যেমন সন্দেশখালির ত্রাস শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে, ঠিক একই ভাবে সিবিআইয়ের (CBI) আরও একটি দল হানা দিয়েছিল বনগাঁয়। এই বনগাঁতেই রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে বাধা পেয়েছিল ইডি। এখানে কোনও আধিকারিক প্রহৃত হননি ঠিকই, কিন্তু সন্দেশখালি মডেলেই তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল।

    ঘটনার পুনর্নির্মাণ? (CBI)

    এদিন সিবিআই যা করল, তাকে সেদিনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ বলে চলে। সিবিআই আধিকারিকরা পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে সেদিনের ঘটনার বিবরণ শোনেন। তাঁর বাড়ি ঘুরিয়ে দেখানোর পাশাপাশি এলাকার কোন কোন জায়গায় কতগুলি সিসিটিভি রয়েছে, তার পরিসংখ্যান নেয় সিবিআই। একই সঙ্গে সেদিন শংকর আঢ্যকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় কোন জায়গায় হামলার ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গাটিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। সিবিআই আধিকারিকরা শংকর আঢ্যের বাড়ির ছবি তোলার পাশাপাশি তার বাড়ির সামনে রাস্তায় বিদ্যুতের পোলে লাগানো সিসিটিভির ছবিও তোলেন।

    তবে তাঁদের ওপর নতুন করে যাতে কোনও হামলার ঘটনা না ঘটে, তাই সিবিআই (CBI) আগে থেকেই সতর্ক ছিল। আধা সেনা নিয়েই তারা এলাকায় ঘোরে। পুলিশকে অবশ্য এদিন আগাগোড়া তাদের সহযোগিতা করতেই দেখা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই

    Sandeshkhali: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে রয়েছে দুজন ইডির আধিকারিক এবং ফরেন্সিক দল। আজ শুক্রবার সকালে আবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এসেছে সিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়ি এবং তার আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখে গিয়েছিল। আজ সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কমপক্ষে ৫০ জন সেনা জওয়ান বাহিনী রয়েছে। গোটা বাড়িকে ঘিরে রেখেছে বাহিনী। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে যাতে পড়তে না হয় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। রেশন দুর্নীতির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির তিন জন আধিকারিক। এরপর ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।

    সঙ্গে ফরেন্সিক দল (Sandeshkhali)

    পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে রয়েছে ফরেন্সিক দল। এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ফরেন্সিক দলের তরফ থেকে শাহজাহানের বাড়ির (Sandeshkhali) আশেপাশের এলাকার যাওয়া-আসার ছবি স্কেচ করে নেওয়া হয়েছে। ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছে এলাকার বাড়ি এবং চারিপাশের মুহুর্তকে। সেই সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ইডির দুই আধিকারিক। ইডির সঙ্গে কথা বলেই তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছেন সিবিআই তদন্তকারী অফিসার এবং ফরেন্সিক দলের সদস্যরা।

    ইডির বয়ানও রেকর্ড করে সিবিআই

    উল্লেখ্য হাইকোর্টের নির্দেশে শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। ইডির অফিসারদের উপার হামলা, মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গতকাল তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয় নিজাম প্যালেসে। সেখানে গিয়েছিলেন ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরব ভারিল। গত ৫ই জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির উপর আক্রমণে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনিই এই মামলার এফআইআর দায়ের করেছিলেন। একই সঙ্গে সিবিআই, ইডির বয়ান রেকর্ড করেছে। এরপর আজ শুক্রবার শাহজাহানের বাড়িতে গিতে তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা।

    আগেও শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান হয়েছিল

    এর আগে শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাড়িতে দুবার গিয়েছিল ইডির তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রথম বার ঢুকতে বাধা পেয়েছিল এবং আক্রান্ত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল। দ্বিতীয় বার এই তৃণমূল নেতার বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ঢুকেছিল ইডির অফিসারেরা। এরপর ফাঁকা বাড়িতে তাল্লাশি চালিয়ে বাড়িটিকে সিল করে দেয় তাঁরা। এরপর আজ ফের একবার সিবিআই সিল করা তালা ভেঙে তল্লাশি শুরু করে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে সন্দেশখালি, বসিরহাটে গিয়ে নথি সংগ্রহ করল সিবিআই

    CBI: শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে সন্দেশখালি, বসিরহাটে গিয়ে নথি সংগ্রহ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার প্রায় দুমাসের মাথায় পুলিশ গ্রেফতার করে শাহজাহানকে। এতদিন তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। পরে, আদালতের নির্দেশে শাহজাহানকে বুধবারই নিজেদের হেফাজতে পায় সিবিআই। রাতেই সন্দেশখালি যান সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর টিম।

    সন্দেশখালি গিয়ে কী করল সিবিআই? (CBI)

    সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর শাহজাহান বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। এই ঘটনার পর শাহজাহান এবং তাঁর অনুগত অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইডি অফিসারদের খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছিল ইডি। পরে ন্যাজাট থানার পুলিশ ইডির ওপর হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীকালে সেই মামলায় যুক্ত করা হয় খুনের চেষ্টার ধারাও। কিন্তু, অভিযুক্ত হিসাবে সেখানে শাহজাহানের নাম ছিল না। মঙ্গলবার এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই সন্দেশখালির ঘটনায় দু’টি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। শুরু করে তদন্ত। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতাহাই কোর্টের নির্দেশানুসারে সন্দেশখালি মামলায় অভিযুক্ত শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় তারা। বুধবার রাতে সিবিআইয়ের (CBI) দল সন্দেশখালি গিয়ে সেখানে উপস্থিত উচ্চ পদাধিকারী পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে। একই সঙ্গে পুলিশের কাছ থেকে তাদের করা অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্রও সংগ্রহ করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

    বসিরহাট থানায় নথি সংগ্রহ করল সিবিআই

    সন্দেশখালিতে হওয়া ইডির ওপর হামলার ঘটনারই তদন্তে নেমেছে সিবিআই। বুধবার এই সংক্রান্ত দু’টি এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়া একটি মামলা দায়ের হয়েছে বনগাঁয়। রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা তথা প্রাক্তন পুরপিতা শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির সামনে হওয়া ইডির ওপর হামলার ঘটনায়। সন্দেশখালির দু’টি মামলার একটি দায়ের হয়েছিল ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে। অন্যটি করা হয়েছে ন্যাজাট থানার পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে। সূত্রের খবর, এই এফআইআর সংক্রান্ত বিষয়েই ন্যাজাট থানার পুলিশের সঙ্গে বুধবার রাতে যোগাযোগ করেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার বসিরহাট থানায় গিয়ে পুলিশের দায়ের করা মামলার নথি সংগ্রহ করল সিবিআই। হামলার পর শাহজাহান ফোনে কার কার সঙ্গে কথা বলেছিল তা খতিয়ে দেখতে কল ডিটেলস চেক করছেন আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, হাইকোর্টে অভিযোগ ইডির

    Calcutta High Court: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে বাধা দিচ্ছে পুলিশ, হাইকোর্টে অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলার তদন্তে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বাধার অভিযোগ। এই মর্মে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল ইডি। চাওয়া হল সিবিআই। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়েছে।

    কী বললেন ইডির আইনজীবী?

    ইডির ওপর হামলার ৫৬ দিন পরে গ্রেফতার হন শেখ  শাহজাহান। তারপর থেকেই এই মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদীর বক্তব্য, ‘‘তদন্তের নামে বারবার ইডি অফিসারদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু অভিযুক্তকে আদতে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জেরার প্রয়োজন।’’ গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী হিসেবে ইডির ডেপুটি ডিরেক্টরকে সিআইডি তলব করে। সোমবারই ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু গতকাল ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর যাননি। এবার আদালতে গিয়েই পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করল ইডি।

    কী বললেন সিবিআই-এর আইনজীবী?

    প্রসঙ্গত, ইডির হামলার ঘটনায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশে বলা হয়, সিবিআই এবং রাজ্যের আধিকারিকরা যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত করবে। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ (Calcutta High Court) দিয়েছিল। আগামী ৬ মার্চ ওই মামলার ফের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী এসভি রাজু এদিন বলেন, ‘‘যদি তদন্ত সিআইডির হাতে থাকে তাহলে তা সাংঘাতিকভাবে ব্যাহত হবে। তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হতে পারে। তাই অবিলম্বে এই মামলার তদন্ত হস্তান্তর করা উচিত সিবিআইয়ের হাতে।’’

    তদন্ত দিকভ্রষ্ট হওয়ার আশঙ্কা সিবিআইয়ের

    এসভি রাজু আরও (Calcutta High Court) বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ তদন্তকে বিভ্রান্ত করবে। অন্যদিকে ঘোরাতে চাইবে। যারা ইডি আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করেছিল তাদের কিছু হল না। উলটে ইডি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয়েছে। ফলে অনুমান করা যায় এই মামলা পুলিশ চাইবে অন্যদিকে ঘোরাতে। রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরা সন্দিহান। সেই জন্য সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হোক তদন্তের দায়িত্ব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    Sandeshkhali: ‘‘আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না’’, শাহজাহান ইস্যুতে জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারবে রাজ্য পুলিশ। কোনও স্থগিতাদেশ তাতে দেওয়া হয়নি। সোমবারই এ কথা জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। প্রধান বিচারপতির এদিনের মন্তব্য এটাও সামনে আনল যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি সম্পর্কে এতদিন যা বলেছিলেন, তা একেবারেই মিথ্যা। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘স্পষ্টভাবে বলছি, পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা পুলিশকে বলিনি যে, গ্রেফতার করা যাবে না।’’

    নোটিশ জারি হবে শাহজাহানের নামে

    সোমবারই প্রধান বিচারপতি শাহজাহানকে মামলায় যুক্ত করে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে এবিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশ (Sandeshkhali) অনুযায়ী, সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা এবং ইংরেজি সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে নোটিশ জারি করতে হবে। পাশাপাশি ইডি, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকেও মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৪ মার্চ।

    মিথ্যা প্রমাণিত অভিষেকের দাবি

    গত বুধবারই তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, শাহজাহানের (Sandeshkhali) গ্রেফতারির ক্ষেত্রে অন্তরায় আদালত। কোর্টই পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে। অভিষেক বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাজ্য সরকার। ইডি তাঁকে ধরতে পারেনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গিয়ে রাজ্য পুলিশের ওই এফআইআরের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পেয়েছে। ফলে পুলিশের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে আদালতই।’’ অভিষেকের এই দাবি যে সম্পূর্ণ মিথ্যা, তারই প্রতিফলন ধরা পড়ল আদালতের এদিনের নির্দেশে।

    আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারবেন নির্যাতিতারা

    প্রসঙ্গত, সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সন্দেশখালির একাধিক মামলা ওঠে। শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিব্রেওয়াল অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশ সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের অভিযোগ (Sandeshkhali) শুনছে না। উল্টে অভিযুক্তদের আড়াল করছ। এভাবে চলতে থাকলে নির্যাতিতারা কোনও দিনই বিচার পাবেন না। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট জানিয়েছে, নির্যাতিতা যদি চান জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আইনি সহায়তা কেন্দ্রে যাঁরা অভিযোগ জানাবেন, তাঁদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। পরের শুনানিতে সেই সব অভিযোগের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে।

     

    আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বিলোপের কারণে জম্মু-কাশ্মীরে ৩০ বছর পরে পালিত হয়েছিল জন্মাষ্টমী, জানালেন অমিত শাহ

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Prasanna Roy: দিনভর জেরা ইডির, গ্রেফতার নিয়োগ-দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন

    Prasanna Roy: দিনভর জেরা ইডির, গ্রেফতার নিয়োগ-দুর্নীতির ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)। গতকাল সোমবার রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রসন্ন রায় (Prasanna Roy)। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। নভেম্বর মাসেই তাঁকে জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে প্রসন্নকে জামিন দিলেও, শীর্ষ আদালত তখন জানিয়েছিল নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্ত একইভাবে চলবে। প্রসন্ন রায়ের জামিনের আগে গত নভেম্বরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছিল মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও নীলাদ্রি ঘোষকে। সিবিআইয়ের হেফাজত থেকে সুপ্রিম নির্দেশে মুক্তি পেলেও, এবার ইডির জালে পড়লেন প্রসন্ন। এদিন দিনভর জেরার পরে তাঁকে গ্রেফতার করল ইডি।

    জানুয়ারি মাসেই প্রচুর নথি উদ্ধার হয় প্রসন্নর বাড়ি থেকে

    ইডির সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাসেই প্রসন্নর (Prasanna Roy) ফ্ল্যাট, অফিস-সহ মোট সাত জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেসময় প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। সেই নথির ভিত্তিতে প্রসন্নকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে ইডি। তবে জানুয়ারি মাসে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেননি। সোমবার ফের তাঁকে তলব করেছিল ইডি।

    আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তানের মতো অবস্থা বাংলার মহিলাদের’, সন্দেশখালি নিয়ে মমতাকে আক্রমণ লকেটের

    নামে-বেনামে ৮০টির উপর সংস্থা

    ইডি এবং সিবিআই সূত্রে খবর, নামে-বেনামে কমপক্ষে ৮০টিরও বেশি সংস্থা রয়েছে প্রসন্নর (Prasanna Roy)। আরও জানা যাচ্ছে, প্রসন্নর স্ত্রী এবং নিজের নামে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিনহার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই পরিচিত ছিলেন প্রসন্ন। সিবিআইয়ের দাবি, প্রসন্ন একজন ‘মিডলম্যান’। তাঁর হাত ধরেই টাকা পৌঁছাত। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে জানা গিয়েছিল। বিধাননগর, নিউটাউন সমেত একাধিক জায়গায় প্রসন্নর সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘কেষ্ট’র নাকি শনির দশা চলছে! ৫০ কেজি ঘি দিয়ে বিরাট হোম-যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরে

    Birbhum: ‘কেষ্ট’র নাকি শনির দশা চলছে! ৫০ কেজি ঘি দিয়ে বিরাট হোম-যজ্ঞের আয়োজন বোলপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনির দশা কাটাতে শনিবারে কেষ্টর নামে বিরাট যজ্ঞের আয়োজন। এই যজ্ঞ মহোৎসবের মহাপ্রসাদ খাবেন ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বীরভূমের (Birbhum) জেলা তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার এবং কয়লা পাচার মামলায় দিল্লির তেহার জেলে বন্দি রয়েছেন। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, কেষ্ট বিহনে জেলা তৃণমূল কার্যত অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। আর তাই তাঁর অনুগামীরা মঙ্গল কামনায় বিশেষ হোম-যজ্ঞের আয়োজন করেছেন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারিতে হবে এই মহাযজ্ঞ। জেলায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল।

    কোথায় অনুষ্ঠিত হবে যজ্ঞ (Birbhum)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর রেলওয়ে ময়দানে সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে করা হবে এই মহাযজ্ঞ। তাকে ঘিরেই এখন জেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি, সেই সঙ্গে চলছে বিশাল আয়োজন। দুর্গামন্দিরের সামনে যে পোস্টার দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল হলেন বীরভূমের রূপকার। তাঁর মঙ্গল কামনা করে দীর্ঘায়ুর জন্য শুভাকাঙ্খীগণ এই যজ্ঞের আয়োজন করেছেন। তাই সকলকে বিশেষ ভাবে আমন্ত্রণ।

    আয়োজকদের বক্তব্য

    বোলপুরের (Birbhum) স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিংহ এই মহাযজ্ঞ সম্পর্কে জানিয়েছেন, “৫০ কেজি ঘি, ৫ কুইন্টাল বেলকাঠ প্রজ্বলন করে যজ্ঞ করা হবে। সকাল ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত চলবে এই যজ্ঞ। এরপর শুরু হবে মহাপ্রসাদ বিতরণ। প্রথমে ভেবেছিলাম ৫ থেকে ৬ হাজার লোকসমাগম হবে। কিন্তু দাদার ভক্তদের প্রবল উৎসাহে মনে হচ্ছে সংখ্যাটা ১০ হাজারের বেশি হবে।” তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা দাদার অন্ধভক্ত, তিনি আমাদের অভিভাবক। মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। এজেন্সি জোর করে তাঁকে ধরে রেখেছে। কেষ্টদার মঙ্গল কামনায় আমরা মা দুর্গার কাছে যজ্ঞের আয়োজন করেছি। আমরা আশা করছি তিনি যেন দ্রুত আমাদের কাছে ফিরে আসেন।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    Recruitment Scam: কীভাবে অযোগ্যদের চাকরি দেওয়া হত, হাইকোর্টে হলফনামায় জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিজেদের হলফনামায় বড়সড় দাবি করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মতে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গাজিয়াবাদ থেকে উদ্ধার হওয়া হার্ডডিক্সের তথ্য অবিকৃত এবং তা আসল। প্রসঙ্গত সোমবারই নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই-এর হলফনামা এদিন জমা দেন কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসিটার জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য।

    দুর্নীতির ব্যাখ্যা রয়েছে

    জানা গিয়েছে, ওই হলফনামাতে ব্যাখা (Recruitment Scam)  করা হয়েছে হার্ডডিক্সে কী তথ্য রয়েছে এবং সেই তথ্য যে আসল তাও ব্যাখ্যা করা হয়েছে সেখানে। এর পাশাপাশি কীভাবে উত্তরপত্র স্ক্যান করার পরে সেই তথ্য বিকৃত করে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর বাড়ানো হতো তারও ব্যাখ্যাও রয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তরপত্র স্ক্যান এবং সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকা তৈরি দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার একাধিক কর্মী এই দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন। সেই ব্যাখা ওই রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের একই রকম দুর্নীতির ব্যাখা ওখানে দেওয়া হয়েছে।

    কীভাবে চলত দুর্নীতি

    শুনানিতে এদিন আদালত এও জানিয়েছে, সিবিআই উত্তরপত্র সংক্রান্ত যে তথ্য পেয়েছে তা পরীক্ষার্থীরা দেখতে পাবেন বিকাল চারটার মধ্যে। এ বিষয়ে সিবিআই-এর কাছে আবেদন করতে হবে। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। কী ভাবে চলত দুর্নীতি (Recruitment Scam) , তাও জানা গিয়েছে। নাইসার আধিকারিকদের কাছে তালিকা চলে যেত কোন কোন প্রার্থীর ওএমআর শিট এর নম্বর বাড়াতে হবে এব সেই মতো চলত দুর্নীতির কাজ। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ২০২২ সালের জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতার হন তৎকালীন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেই শুরু, তারপর শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গিয়েছেন গারদের পিছনে। বিগত ২ বছর ধরে তদন্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দুর্নীতির জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনতে পেরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: জাল তফশিলি শংসাপত্র! বসিরহাটে সরকারি কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা

    CBI: জাল তফশিলি শংসাপত্র! বসিরহাটে সরকারি কর্মীর বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে সিবিআই-ইডি হানার ঘটনা বার বার হচ্ছে। বিশেষ করে পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার বসিরহাটে সরকারি এক কর্মী রজত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দেয়। শনিবারই দিনভর তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    এমনিতেই  সরকারি এই কর্মীর বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা হতেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরকারি কর্মীর জড়িত থাকা নিয়ে চর্চা হয়। যদিও পরে জানা যায়, জাল শংসাপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তে সিবিআই হানা দিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, এসসিএসটি-ওবিসি শংসাপত্র জাল করা- সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রজতের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পরে বসিরহাট পুরসভার এক জনপ্রতিনিধির ভুয়ো পরিচয়পত্র নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। শাসকদলের ওই জনপ্রতিনিধির পরিচয়পত্র – প্রভাব খাটিয়ে রজত মণ্ডল বের – করেন বলে অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হওয়ায় বসিরহাট থেকে বারাসত সদরে তাঁকে বদলি করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এদিন তাঁর বাড়িতে তদন্তে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    সরকারি কর্মী কী সাফাই দিলেন?

    সিবিআই আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রজত। সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা তদন্তের বিষয়ে তাঁকে কিছুই জানাননি বলে তিনি দাবি করেন। রজত বলেন, ‘আমার কাছে যা জানতে চেয়েছিল, আমি সে বিষয়ে আগেই উত্তর জানিয়ে দিয়েছি। এদিন কী বিষয়ে সিবিআই  তদন্তে এসেছিল, তা বলতে পারব না।’

    প্রসঙ্গত, তফসিলি জাতি উপজাতি শংসাপত্র জাল করার একাধিক অভিযোগ এর আগে উঠেছে। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ছাত্র ভর্তির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে রাজ্যে এখন চরম শোরগোল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলার দায়িত্ব সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন। তা নিয়ে দুই বিচারপতির দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, তাতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। বর্তমানে এই মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যেই ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র তৈরির অভিযোগে মহকুমা অফিসের এক কর্মীর বাড়িতে তল্লাশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share