Tag: cbi

cbi

  • Coal Scam Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই ফের সক্রিয়, লালা ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা

    Coal Scam Case: কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই ফের সক্রিয়, লালা ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচার মামলায় রাজ্য জুড়ে ফের সিবিআই হানা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যের নানা জায়গায় কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত লালা ওরফে অনুপ মাজি ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে-অফিসে অভিযান শুরু করেছে। এদিন সকাল থেকেই সক্রিয় সিবিআই। তদন্তকারী দলের অফিসাররা একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে ভবানীপুর, আসানসোল, মালদা এবং পুরুলিয়ায় তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

    রাজ্যের শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী কয়লা পাচার (Coal Scam Case) কাণ্ডে অভিযুক্ত বলে সিবিআই-ইডি জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি। উল্লেখ্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কয়লাকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সিবিআইয়ের তল্লাশি অভিযান ফের একবার রাজ্যে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

    সিবিআই সূত্রে খবর (Coal Scam Case)

    রাজ্যের জেলা জুড়ে ১২ টি জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের স্নেহাশিস তালুকদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। মালদার রতুয়ার শ্যামল সিং নামে আরও এক ব্যক্তির বাড়িতেও তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়েছে। উল্লেখ্য দু’জনই কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam Case) অভিযুক্ত লালার খুব ঘনিষ্ঠ। এই স্নেহাশিস লালার আর্থিক হিসেবের কাজ দেখাতেন। পাশপাশি বৃহস্পতিবার সকালে ভবানীপুরের এক আবাসনে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।

    কয়লা পাচার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত লালা

    ২০২০ সালে কয়লা পাচারের (Coal Scam Case) তদন্ত শুরু করে সিবিআই। লালা ওরফে অনুপ মাজি হলেন এই মামলায় প্রধান অভিযুক্ত। বর্তমানে তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। এই লালা আবার তৃণমূলের খুব ঘনিষ্ঠ। লালার সঙ্গে গুরুপদ মাজি নামক আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। লালা জামিন পেলেও বাকিরা তিহার জেলে বন্দি। উল্লেখ্য এই কয়লা পাচার মামলায় তৃণমূলের তৎকালীন যুব সহ সভাপতি বিনয় মিশ্রও প্রধান অভিযুক্ত। তদন্তকারী অফিসারেরা তাঁর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছেন। বর্তমানে তিনি পলাতক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চক্রী অনীত থাপা, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির চক্রী অনীত থাপা, সিবিআই তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মূল চক্রী অনীত থাপা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের একবার শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগ করে সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনীত থাপা অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    পাহাড় সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের সমস্ত জেলা স্কুল বোর্ড, জেলা রিক্রুটমেন্ট কমিটি গঠনের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে সমস্ত দায়িত্ব জিটিএ-র উপর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অপর দিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পাহাড়ে গিয়ে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির কথা বলে বলেন, ‘এখানে নিয়োগের মূল চক্রী হলেন অনীত থাপা। জিটিএ-র প্রধান ছিলেন অনীত থাপা। টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।’ এছাড়াও শুভেন্দু আরও স্পষ্ট করে সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে অনীত থাপা পাঁচশোর বেশি শিক্ষক নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ এসএসসির মাধ্যমে হয়নি। জিটিএ সরাসরি নিয়োগ করেছে। মাথা পিছু নিয়োগে ১৫ লক্ষ করে টাকা তিনি নিয়েছেন। সমস্ত তথ্য এবং নথি নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে যাবো।”

    আর কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পাহাড়ে গিয়ে আরও বলেন, “এই শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণ নীতি এবং ন্যূনতম যোগ্যতা মানা হয়নি। উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকার বাধ্যবাধকতাকেও মানা হয়নি। তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং ইউব্লিউএস সংরক্ষণের নিয়মকে মান্যতা দেওয়া হয়নি। শিক্ষক নিয়োগের সকল নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অনীতকে ১৯২ জন শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছেন। এটাও একটা বড় রকমের কেলেঙ্কারি।” তিনি জনজাতি বোর্ড নিয়ে বলেন, “পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য ১২টি জনজাতি বোর্ড গঠন হলেও সব অকেজো হয়ে রয়েছে। আগামী মকর সঙ্কক্রান্তির পর পাহাড়ে বিরাট আন্দোলন শুরু করবো আমরা।”

    অপরদিকে শুভেন্দুর সব অভিযোগকে অস্বীকার করে অনীত থাপা বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যা, নিয়ম মেনে সব শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বিজেপি কোনও ইস্যু না পেয়ে অপপ্রচার করছে।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: সমবায়ের ঋণদানেও জালিয়াতি! তদন্তে নেমে সিবিআই-ইডি’র আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ

    Alipurduar: সমবায়ের ঋণদানেও জালিয়াতি! তদন্তে নেমে সিবিআই-ইডি’র আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ঋণদান সমবায় সমিতির ঋণপ্রদানে বহু জালিয়াতির তথ্যপ্রমাণ হাতে পেল সিবিআই। সমবায় থেকে বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন। ইতিমধ্যে ওই সমবায় থেকে ঋণদানের বেশ কিছু রেজিস্টার সহ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে। ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে সেই হিসেব মেলাতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের। ঋণগ্রহীতাদেরও যেন মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ অর্থ তছরুপ করেছেন সমবায়ের আধিকারিক ও কর্মীদের একাংশ। পরিকল্পিতভাবে সমবায়ের টাকা লুটপাট করা হয়েছে। তবে, সমবায়ের টাকা নযছয় করার পিছনে কোনও প্রভাবশালী যোগ রয়েছে কিনা, সেটাই তদন্তকারীরা খুঁজতে শুরু করেছেন। শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার আত্মীয়কে সিবিআই বৃহস্পতিবার গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়েছে, তবে এ নিয়ে তদন্তকারীরা এখনই মুখ খুলতে নারাজ।

    ঋণগ্রহীতাদের জিজ্ঞাসাবাদ (Alipurduar) 

    আলিপুরদুয়ার সমবায় ঋণদান সমিতির প্রায় ৫০ কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির মামলায় সিবিআই ও ইডি যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। সমবায়ের কর্মী-আধিকারিকদের একাংশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই সমবায় থেকে যাঁরা ঋণ নিয়েছিলেন, আদৌ কি তাঁদের ঋণ দেওয়া হয়েছিল? এনবিএসটিসির এক কর্মী পার্থ সেনগুপ্ত বলেন, সিবিআইয়ের নোটিশ পেয়ে আলিপুরদুয়ারে ছুটে এসেছি। ২ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। তার অনেকটা পরিশোধ করেছি। বাকি ঋণ শোধ করতেও গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি সমবায়ের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিস্তারিত সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের জানিয়েছি। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) পুরসভার এক কর্মী সিবিআই নোটিস পেয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন। পৌরসভার ওই কর্মী বলেন, বাবা এক লক্ষ টাকা সমবয় থেকে ঋণ নিয়েছিলেন, উনি মারা গিয়েছেন। এখন তদন্তকারীদের কাছে যে রেকর্ড দেখছি, তাতে ঋণের পরিমাণে এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা লেখা রয়েছে। এতেই আমার সন্দেহ হচ্ছে, বাকি টাকা ঋণ না দিয়ে মৃত বাবার নামে লিপিবদ্ধ করে সমবায়ের কেউ সেই টাকা হাতিয়ে নিতে পারে। চিলাপাতার একটি রিসর্টের কর্মী তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, তিনি মাত্র ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নামে দু’ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা কিভাবে হল, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। কোটমোড় এলাকার এক জেরক্স ব্যবসায়ী বলেন, সমবায়ের এক কর্মী এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা আমাকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু সেই ঋণের টাকা একবারে পাইনি, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য আমার কাছে চার হাজার টাকা সেই সমবায় কর্মী বকশিস আদায় করেছিল। পুরো বিষয়টি সিপিআই তদন্তকারীদের জানিয়েছি।

    মূল মাথার হদিশ চলছে (Alipurduar) 

    আলিপুরদুয়ারের সমবায় দুর্নীতির মামলায় ইতিমধ্যেই সমবায়ের কর্মী, আধিকারিক থেকে পরিচালন কমিটির পদাধিকারী, এমনকি এজেন্টদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। সম্প্রতি তাঁরা ঋণ গ্রহীতাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করে আর্থিক তছরুপের সুলুক সন্ধান করার চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় আরেকটি সংস্থা ইডি সম্প্রতি ওই সমবায়ের আধিকারিক ও কয়েকজন পদাধিকারীকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সমবয় (Alipurduar) বিপুল পরিমাণ অর্থ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে নয়ছয় করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছেন। তবে ওই আর্থিক তছরুপের পিছনে বড়সড় মাথার হাত না থাকলে এসব সম্ভব হতে পারে না। তাই কিছু কর্মী-আধিকারিকদের দুর্নীতির সরাসরি যোগসূত্র থাকলেও এখনই তাদেরকে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা গ্রেফতার না করে, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রভাবশালী মূল মাথার হদিশ পেতে চাইছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Raid: সোমবার সাতসকালে নিউটাউনে সিবিআইয়ের তল্লাশি, ১০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    CBI Raid: সোমবার সাতসকালে নিউটাউনে সিবিআইয়ের তল্লাশি, ১০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সাতসকালে নিউটাউনে সিবিআইয়ের হানা (CBI Raid)। ১০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার মামলায় কলকাতা শহরে অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এই আর্থিক প্রতারণার মামলায় কারা অভিযুক্ত, তা এখনও জানা যায়নি।

    ঠিক কোথায় তাল্লাশি (CBI Raid)?

    সূত্রে জানা জানা গিয়েছে, সকাল ৯ টার সময় নিজাম প্যালেস থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (CBI Raid) সংস্থার কয়েকজন আধিকারিক বেরিয়ে যান। তাঁরা নিউ টাউনের কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি করেন। আর্থিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত, নিউটাউন সংলগ্ন এলাকায় দত্তাবাদের এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতে সকাল ১০ টায় অভিযান চালানোর কাজ শুরু করেন। তবে এই আর্থিক প্রতারণার মামলায় ঠিক কারা কারা অভিযুক্ত, সেই খবর এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

    তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলারের বাড়িতে তল্লাশি

    গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে সিবিআই (CBI Raid) বিরাট অভিযান চালিয়েছিল। সেই সময় এই বিধায়ক বিধানসভায় ছিলেন বলে খবর। বিকেলে রীতিমতো টাকা গোনার মেশিন নিয়ে অভিযান চালান তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্রের আরও খবর, তাঁর বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এমনকী বিধায়কের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় নগদ আট লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর সোনার গহনা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা তল্লাশি আভিযান চালিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী তৃণমূল কাউন্সিলার দেবরাজ চক্রবর্তীর দুটি বাড়িতে। বাদ যায়নি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িও। সূত্রের খবর এসএসসি শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি পাওয়া গিয়েছে।

    দেশ জুড়ে সিবিআই তল্লাশি

    উল্লেখ্য, সারা দেশ জুড়ে দুর্নীতি এবং আর্থিক প্রতারণার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। বেশ কিছু রাজ্য বিশেষ করে দিল্লি, বিহার, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা রাজ্যে অনেক নেতা, মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন। উল্লেখ্য দিল্লির আপ পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, সঞ্জয় সিং প্রমুখ গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআই-ইডির হাতে। এই রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। সিবিআই (CBI Raid), ইডি ব্যাপক ভাবে জেলায় জেলার পাশাপাশি কলকাতায়ও তল্লাশির কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি ক্যাশ এবং গয়না। মেশিন নিয়ে এসে রাতভর চলেছিল টাকা গোনার কাজ। আর তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছিল রাজ্যবাসীর। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের  বা়ড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তাঁর বাড়ি থেকে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যা জানাজানি হতে এলাকার মানুষও হতবাক হয়ে যান। প্রতিবেতন লেখা পর্যন্ত ৩১ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    শৌচাগারেও মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা (CBI)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারীদের নজর ছিল ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের উপর। তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, জাফিকুলের দুটি কলেজ রয়েছে। তাঁর সম্পত্তি, আয় এবং যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সকাল থেকেই সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। বাড়ির পিছন থেকে দুটি ব্যাগের মধ্যে প্রচুর নথি উদ্ধার করে সিবিআই (CBI)। সেই তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। পরে, বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানোর সময় লক্ষ লক্ষ টাকার হদিশ পান আধিকারিকরা। এরপরই তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকেলে টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল,মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু টাকা মিলেছে জাফিকুলের বাড়ির শৌচাগার থেকে। তদন্তকারীদের একটি অংশের সূত্রে দাবি, বিধায়কের বেডরুমেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেও প্রচুর টাকার হদিশ মিলেছে।  বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় রয়েছেন। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিধায়কের বাড়ির শৌচাগারের  থেকে সাত লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের ওই অংশের দাবি, জাফিকুলের ‘বেডরুম’ থেকেও কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

    টাকা উদ্ধার নিয়ে বিধায়কের পরিবারের লোকজন কী সাফাই দিলেন?

    যদিও এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে প্রকাশ্যে বা সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিধায়ক না থাকায় সিবিআই আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়কের পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কিছু সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে। সেই টাকাই তাঁর বাড়িতে ছিল। অন্য কোনও বিষয়। তবে, শৌচাগারে কেন টাকা রাখা হয়েছিল সেই বিষয়ে পরিবারের লোকজন স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর সময় পিছনের পুকুরে দুটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন স্বয়ং বিধায়ক। মেশিন লাগিয়ে পুকুরের জল মেরে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই (CBI)। এর সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার সেই মুর্শিদাবাদ জেলায় হানা দিল সিবিআই। এবার প্রাইমারি স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে মিলল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    বাড়়ির পিছনে মিলল নথি বোঝাই দুটি ব্যাগ! (CBI)

    ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ির পিছনে মিলল নথিবোঝাই দু’টি ব্যাগ। কী রয়েছে নথিতে, এখন তা-ই পরীক্ষা করে দেখছেন সিবিআইয়ের (CBI) তিন তদন্তকারী আধিকারিক। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধায়কের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সিবিআইয়ের চারজন আধিকারিক বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ডও করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক বিধায়কের বাড়ির গ্যারাজের পিছন দিকে যাচ্ছেন। সেখানে দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ব্যাগে ভরা রয়েছে নথি। ওই নথি কিসের, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে জন্য প্রতিটি নথি আলাদা আলাদা করে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের অন্তত চার জায়গায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। কেন, কোন মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাতসকালে অভিযান, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বড়ঞায় সিবিআই হানা নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় বড়ঞার কুলিতে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী সুজল আনসারি ওরফে ঝন্টু শেখের বাড়িতে। সূত্রের খবর, ঝন্টু নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়াও তাপস মণ্ডল, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও ঝন্টুর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় ভিড় করেন। গাফ্ফর সেখ বলেন, ঝন্টু খুব খারাপ ছেলে। অনেক স্কুল করেছে। সিবিআই (CBI) হানা দেখতে এসেছি। আমরা চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেয়। তবে গ্রুপ সি মামলায় জামিন হলেও নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতারের আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আলিপুর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। তাই জামিন পেয়েও বের হওয়া হল না কল্যাণময়ের। এদিন তাঁকে ফের জেলে যেতে হল।

    ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকছেন কল্যাণময়

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ৬ ডিসেম্বর রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে জেলেই থাকবেন অশোক সাহা, সুব্রত সামন্তরাও। প্রসঙ্গত, নিজাম প্যালেসের (Recruitment Scam) সিবিআই এর দফতরে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে তাঁকে তলব করে সিবিআই। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর একাধিক বয়ানে অসঙ্গতি মেলে। এরপরেই কল্যাণময়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্রে সই করে তা শান্তিময়প্রসাদ সেনের কাছে কল্যাণময় পাঠাতেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসে।

    কী কী শর্ত চাপানো হল কল্যাণময়ের ওপর? 

    এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জামিন দিলেও, তাঁকে তদন্তে সাহায্য (Recruitment Scam) করার নির্দেশও দিয়েছেন। তবে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়েই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে এদিন জামিন দেওয়া হয়। এগুলি হল, তাঁকে কলকাতা পুরসভার এলাকাতেই থাকতে হবে। বিধাননগর কমিশনারেট ও পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায় কল্যাণময় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁর যদি কোনও পাসপোর্ট থাকে তবে তা নিম্ন আদালতে জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই। কলকাতার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ ও কোচবিহার জেলায় অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে এদিন সিবিআই হানা দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল, এই বিধায়কের বাড়ি সিবিআই হানা দিতে পারে। পাশাপাশি বড়ঞাতেও ঝন্টু শেখের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে।

    মানিক ঘনিষ্ঠ বিধায়ক (CBI)

    সিবিআইয়ের (CBI) চারজন আধিকারিক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে রয়েছেন। বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই বিধায়ক। তিনি ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই হানা দিতে পারে। প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    বড়ঞায় সিবিআই

    বৃহস্পতিবার সাত সকালে বড়ঞার কুলি চৌরাস্তার মোড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝনটু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁর বাড়ি। তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝন্টুর কী ভূমিকা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর কাছে বেশি নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুন্তলের কাছে তথ্য পেয়ে তা যাচাই করতে কেন্দ্রীয় টিম এসেছে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    কোচবিহারেও হানা দিল সিবিআই

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই (CBI) হানা দিল কোচবিহারে দু’নম্বর ব্লকের রাজারহাটের টেঙর মারির বিএলএডুকেশনের টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। সকাল সকাল সিবিআই এর ৪টি গাড়ি নিয়ে বিশাল টিম তদন্ত করতে কোচবিহারের রাজারহাটের টেংর মারির ওই বিএড কলেজে হানা দেয়। জানা যায়, এই কলেজের মালিক রয়েছেন শ্যামল কর। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও এই কলেজের মালিক রয়েছেন সজল কর এবং শ্যামল কর সহ আরও দুই ভাই। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর পরই শ্যামল গাঢাকা দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyanmoy Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন পর্ষদ-কর্তা কল্যাণময়ের জামিন, মানতে হবে কী কী শর্ত?

    Kalyanmoy Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন পর্ষদ-কর্তা কল্যাণময়ের জামিন, মানতে হবে কী কী শর্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই প্রাক্তন সভাপতির গতিবিধির উপর শর্ত আরোপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যেহেতু অভিযুক্ত কল্যাণময়, তাই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, তাঁকে কলকাতা পুরসভা এলাকায় থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পার্ক স্ট্রিট থানা এবং বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।

    শর্ত সাপেক্ষে জামিন (Kalyanmoy Ganguly)

    শিক্ষক দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly) সিবিআইয়ের কাছে প্রধান অভিযুক্ত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর গতিবিধির উপর নজরদারি রাখা হবে। কোন কোন এলাকায় যেতে পারবেন এবং কোথায় যেতে পারবেন না, তাও হাইকোর্ট নির্দেশে বলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখার কথাও জানানো হয়েছে।

    এক বছর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে (Kalyanmoy Ganguly) গ্রেফতার করে ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। ২০১০ সাল থেকে তিনি টানা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, তিনি নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে, সই নকল করে একের পর এক নিয়োগ করেছেন। এই দুর্নীতিকাণ্ডে আরও গ্রেফতার করা হয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা, প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকেও। বাকিরা সকলে জেলে রয়েছেন। এর আগেও কল্যাণময় সিবিআই আদালত এবং হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এবার তাঁর জামিনের আবেদনের সিবিআই বিরোধিতা করলেও, হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    Durgapur: “ইংরেজি বছরের শুরুতে মমতাকে ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে” বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইংরেজি নতুন বছরের শুরুতেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-সিবিআই চা খেতে আমন্ত্রণ করবে।” দুর্গাপুরের গোপালমাঠে চায়ে পে চর্চার অনুষ্ঠানে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি, সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে দুর্গাপুরের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যে যত কেলেঙ্কারি হচ্ছে, তার মাথায় মাননীয়া। যদি সবার শাস্তি হয় তাহলে কেন নয় মুখ্যমন্ত্রীর? তাই অপেক্ষা করুন, সব কেলেঙ্কারির তথ্য এবার সামনে আসবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশির ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল বেঁচে আছে।” সেই সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, “মহুয়া সংসদে ইংরেজিতে গালিগালাজ করেন, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করেন। লিপস্টিক, পাউডার, স্নো নিয়েছেন।”

    পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত (Durgapur)

    দুর্গাপুরের জনসভায় বনগাঁর তৃণমূল নেত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে দিলীপ ঘোষ কড়া সমালোচনা করেন। শুক্রবার বারাসতের জনসভায় বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করে দেওয়ার প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস মন্তব্য করেছিলেন। শনিবার দুর্গাপুরের মায়াবাজার এলাকায় বিজেপির একটি কার্যালয়ে বিজায় সম্মেলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে এদিন বিকেলে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ দিলীপ ঘোষ যোগদান করেন। সেই সঙ্গে একটি জনসভাও করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ই। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশিদের ভোট না পেলে তৃণমূল জিতবে না। ওখান থেকে ভোটের প্রচার করতে খালি ভোটার নয়, নায়ক-নায়িকাদেরও নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ থেকে টাকা আসছে, সোনা আসছে অনেক কিছু চলছে তৃণমূলের রাজত্বে। তার মধ্যে ভাগও আছে তৃণমূলের নেতাদের। সেই জন্য বাংলাদেশের ওপর ভর করে তৃণমূল জিততে চাইছে। আমরা বারবার বলছি, পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। রত্না বিশ্বাস তারই উজ্জ্বল প্রমাণ।”

    মহুয়ার পাপের ঘড়া পূর্ণ!

    দুর্গাপুরে (Durgapur) সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলাদেশিদের ভোটার কার্ড করার সমালোচনার পর, কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে বলেন, “ছবি দেখুন আপনারা। তাঁর কালো চশমার দাম জানেন? দুই লাখ টাকার গগলস! ভ্যানিটি ব্যাগের দাম এক লাখ টাকা! ঘড়ির দাম তিন লাখ টাকা! শুনেছেন কোনও দিন। সবই উপহার নিয়েছেন। তাঁর দিল্লির কোয়ার্টারে কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংস্করণ করেছেন। বিনিময়ে দেশের সুরক্ষাকে বিক্রি করছেন মহুয়া। ওঁর পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এবার সিবিআই তদন্ত শুরু করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন জিনিস তৈরি করে দিল্লিতে পাঠিয়ে বাংলার নাক-কান কেটেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share