Tag: cbi

cbi

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করল আরও এক ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে ওএমআর সিট জালিয়াতির অভিযোগে পার্থ সেন নামে এক ব্যক্তিকে এদিন সিবিআই আটক করেছে। দিন কয়েক আগেই অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। এদিনই পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI) সূত্রে খবর, ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন। এই সংস্থায় মূলত প্রোগ্রামিং এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাসিন্দা পার্থ সেনকে এদিনই আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই-এর (CBI) দাবি অনুযায়ী এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও  ওএমআর সিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল। প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই গত মাসে সংস্থার অন্যতম দুই আধিকারিক কৌশিক মাজি এবং সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জাল গোটাচ্ছে সিবিআই-ইডি

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ  দুর্নীতি মামলায় তদন্তে ব্যাপক গতি বাড়িয়েছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) ও ইডি। এই মামলাতেই জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমেত শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ জুলাই এই মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা। সেই শুরু তারপর একে একে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ও নেতার নাম উঠে আসতে থাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য যিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন তিনিও জেলে রয়েছেন এই মামলায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Passport Scam: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    Passport Scam: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরিব মহিলাদের পাচার করে পাঠানো হত মধ্যপ্রাচ্যে। জাল পাসপোর্ট (Passport Scam) কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। গতকাল নকশালবাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়ে রাশি রাশি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে বরুণ সিং রাঠোর নামক এক ব্যক্তি। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে। একাধিক রাজ্য থেকে নারীপাচার হতো বলে অনুমান সিবিআইয়ের। 

    আন্তর্জাতিক নারীপাচারের সঙ্গে যোগসূত্র (Passport Scam)

    সূত্রের খবর, টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথির মাধ্যমে পাসপোর্ট (Passport Scam) তৈরি করে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর সূত্র ধরে শিলিগুড়ি, গ্যাংটকের নানান জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রমাণ মেলে এই চক্রের সঙ্গে নেপাল যোগের কথা। পাসপোর্টের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচারের যোগসূত্র রয়েছে। মূলত বিভিন্ন এলাকার পিছিয়ে থাকা গরীব মহিলাদের টার্গেট করা হতো।

    গ্রেফতার এক ব্যক্তি

    শনিবার নকশালবাড়ি এলাকা থেকে পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) কাণ্ডে বরুণ সিং রাঠোর নামক এক ব্যক্তিকে গ্রফতার করা হয়, ইতিমধ্যেই তাকে সিকিমের আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। এরপর তাকে আপাতত দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে, আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার কাছে অনেক জাল পাসপোর্টে উদ্ধার করা হয়েছে। এই জাল পাসপোর্টগুলি ডেলিভারি দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলমাত্র সে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশের নানা রাজ্যে থেকে পাসপোর্ট তৈরি করত বলে জানা গেছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, গরিব মহিলাদেরকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে, টাকা নিয়ে জাল পাসপোর্ট দিয়ে, মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে দিত সে। ফলে এই জাল পাসপোর্টের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচারের সম্পর্ক রয়েছে।

    তদন্তে সিবিআই

    সূত্রে জানা গেছে, এই ভুয়ো পাসপোর্ট (Passport Scam) মামলাটি অন্য রাজ্যের মামলা। সম্প্রতি সিবিআই মোট এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই সূত্র ধরেই পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। একসঙ্গে ৫০ টির বেশী জায়গায় হানা দেয় বলে জানা গেছে। বরুণ সিং নিজে এক সরকারি দফতরে চাকরি করত কিন্তু বেআইনি কাজের জন্য তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সে এই নকল পাসপোর্টের কারবার শুরু করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে মহালয়ার দিনও শিলিগুড়ি-সিকিমে একযোগে অভিযান চালাল সিবিআই

    CBI: ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে মহালয়ার দিনও শিলিগুড়ি-সিকিমে একযোগে অভিযান চালাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৎপর সিবিআই (CBI)। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই-ইডি। এবার সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে তেঁড়ে ফুঁড়ে নামল সিবিআই। শনিবার মহালয়ার দিনও শিলিগুড়ি জুড়ে দিনভর অভিযান চালায় সিবিআই। শিলিগুড়ির একাধিক জায়গা-সহ সিকিমেও পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।

    শিলিগুড়ির কোথায় কোথায় অভিযান চালাল সিবিআই ?(CBI)

    সিবিআই সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (CBI) সংস্থার একটি দল বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামে। সেখান থেকে তারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি দল সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেয় এবং আরও একটি দল শিলিগুড়ি মহকুমায় অভিযানে নামে। ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তেই বাংলা এবং সিকিমে একযোগে অভিযান চালান গোয়েন্দারা। এমনিতেই শুক্রবার দুপুর থেকে শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই হানা শুরু হয়। শনিবারেও জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান। এদিন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মাটিগাড়া, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, শিবমন্দির- সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে। এদিন সকালে সিবিআই আধিকারিকদের দলটি প্রথমে বাগডোগরার বাবুপাড়ায় উদয়শঙ্কর রায়ের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে অটল চা বাগানের অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এ ছাড়া আরও কয়েক জনের বাড়িতে এবং অফিসে হানা দিয়েছে সিবিআই।

    তল্লাশিতে কী মিলল?

    সিবিআই সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির পাশাপাশি, ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় সিকিমেও সিবিআই হানা চলছে। জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে ভুয়ো পাসপোর্ট-সহ বহু নথি উদ্ধার হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে নেপালের নাগরিকদের ভারতের ভুয়ো পাসপোর্ট এবং ভুয়ো নথি তৈরি করিয়ে দেওয়ার চক্র চলছিল। সেই কেলেঙ্কারির শিকড়ে পৌঁছতেই চলছে সিবিআই (CBI) অভিযান। শুক্রবার নিউ জলপাইগুড়ি এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সিবিআই। শিলিগুড়ির পাশাপাশি, ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় সিকিমেও সিবিআই হানা চলছে। জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে ভুয়ো পাসপোর্ট-সহ বহু নথি উদ্ধার হয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে এসব কারবার চলত বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ডায়মন্ডহারবার-মধ্যমগ্রামে সিবিআই হানা

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ডায়মন্ডহারবার-মধ্যমগ্রামে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই সাতসকালে রাজ্যের ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। ফিরহাদ-মদন ছাড়াও একাধিক চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই কর্তারা। এবার সেই পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই সোমবার সকালে পৌঁছে গেল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ডহারবারে। ডায়মন্ডহারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মীরা হালদারের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। চলছে বেশ কিছু নথির খোঁজ। একইসঙ্গে মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও এদিন সিবিআই হানা দেয়। এর আগে ইডি এই পুরসভায় হানা দিয়েছিল।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ডায়মন্ডহারবার পুরসভায় নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন মীরা হালদার। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে ওই নিয়োগ হয়েছিল বলে জানত পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর কাছে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত নথির সন্ধানে গিয়েছে সিবিআই (CBI)। নিয়োগে মীরার কোনও ভূমিকা ছিল কি না, সে বিষয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মীরার বাড়িতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। বাড়িটি আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। মীরা হালদার বাড়িতেই ছিলেন। ফলে, নথি খোঁজার পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অন্যদিকে, মধ্যমগ্রাম পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দুদিন আগেই ইডি খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। পুরসভাতেও তাঁরা গিয়েছিলেন। এবার সেই তদন্তে সিবিআই ফের হানা দিলেন।

     প্রসঙ্গত, পুর-নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। কয়েকদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ রাজ্যের ১২ টি জায়গায় একযোগে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে নামে ইডি। কামারহাটি পুরসভা এবং বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ইডি। পাশাপাশি আড়াই কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাটের হদিশ পায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর সেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রবিবার সিবিআই ১২টি জায়গায় হানা দেয়। হালিশহরের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে কিছু নথি উদ্ধার করে নিয়ে যায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার অভিষেকের গড় ডায়মন্ডহারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কী কী তথ্য উদ্ধার হয় তার দিকে তাঁকিয়ে রয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের (CBI)। আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির লোন রেজিস্টার পেয়ে গেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আলিপুরদুয়ার শহরে ঢাকেশ্বরী মোড়ে মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিস থেকে এই লোন রেজিস্টার উদ্ধার হয়েছে। এই তথ্য তদন্তে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    কী রয়েছে লোন রেজিস্টারে? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই (CBI) কর্তাদের একটি বড় দল মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিসে যান। সমবায় সমিতির হিসাব রক্ষক রীনা স্যান্নাল ও সম্পাদিকা রুপা গুহ রায়কে নিয়ে সিবিআই কর্তারা সমবায় সমিতির অফিসে যান। পরে সেখানে সমবায়ের দুই লোন ক্লার্ক  সঞ্জীব দাস ও পঙ্কজ গুহ আচার্যকেও ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেখানে প্রথমে অফিস বিল্ডিংয়ের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই কর্তারা। তারপর চাবি এনে সমবায় সমিতির অফিসে ঢোকেন তাঁরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ তল্লাসি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। অফিস থেকে লোন রেজিস্টার উদ্ধার করেন তদন্তকারিরা। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়,  উদ্ধার লোন রেজিস্টারে এই সমবায় সমিতির ২০ বছরের কার্যকালের মধ্যে কাকে কতটাকা লোন দেওয়া হয়েছে তার সবই আছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই লোন রেজিস্টার থেকেই কারা কারা এই সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করেননি সেই তালিকাও পেয়ে যাবেন সিবিআই কর্তারা।

    প্রথম অভিযোগকারীর কী বক্তব্য?

    গুরুত্বপূর্ণ এই নথি উদ্ধারের নিয়ে এই মামলায় প্রথম অভিযোগকারী আরটি আই কর্মী অলোক রায় বলেন, আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তে আশাবাদী। এবার সিবিআইয়ের পদক্ষেপ করতে সুবিধে হবে। হাতে গরম প্রমাণ পেয়ে গিয়েছে সিবিআই। আমরা চাই টাকা উদ্ধার হোক। প্রতারিত গরীব মানুষেরা টাকা ফেরত পাক। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ১৮ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালে এই সমবায় সমিতির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। লোন রেজিস্টার খাতা পেয়ে সিবিআই কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন প্রতারিতরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় হানা দিল সিবিআই

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় হানা দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের ১২ জায়গায় একযোগে ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সেই একই কায়দায় রবিবার সাত সকালে রাজ্যের ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দেয়। তৃণমূলের বর্তমান চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে তদন্তকারী আধিকারিকরা হানা দেয়।

    কোথায় কোথায় হানা সিবিআইয়ের? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে খবর, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, বারাকপুর, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, কৃষ্ণনগর, টাকি, কামারহাটি, চেতলা, ভবানীপুর সহ ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দেয়। এদিন হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। তিনি ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। রবিবার সকালে অংশুমানের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল। তাঁর বাড়ির আলমারি ঘেঁটে কাগজপত্র বার করে দেখতে থাকেন আধিকারিকেরা। বা়ড়ির অন্যান্য জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। কাঁচরাপাড়া পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদমা রায়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চালায়। নিউ বারাকপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদারের বাড়িতে সিবিআই হানার খবর মিলেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে তৃপ্তির বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি খতিয়ে দেখতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া, দমদম পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহের বাড়িতেও চলে সিবিআইয়ের অভিযান। একইসঙ্গে, কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম রায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। একইসঙ্গে এদিন প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়ার খবর মেলে। তার পর একে একে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং দক্ষিণেশ্বরের আবাসস্থলে সিবিআই অভিযান হয়।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে, সিবিআইয়ের (CBI) এই অভিযানের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল। তাদের দাবি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দুদিন আগেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডি হানা দেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে সাতসকালে সিবিআই (CBI)  হানা দেন। পাশাপাশি কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়়িতে সিবিআই হানা দেয়।

    মেয়রের দুয়ারে সিবিআই (CBI)  

    সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার সাতসকালে প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে বের হন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা (CBI)। তাঁরা চেতলায় পুরমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকেন। বাইরে দাঁড়িয়ে বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানেরা। কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা সেখানে ভিড়় জমাতে শুরু করেন। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফিরহাদের কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তাঁকেও ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দরজায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলে প্রিয়দর্শিনীর। পরে, তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়। ফিরহাদের বাড়ির সামনে আসেন তাঁর আইনজীবী গোপাল হালদারও। তাঁকেও ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আইনজীবী  বলেন, তাঁর প্রবেশাধিকার রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরে জানান, তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ফিরহাদের বাড়ির সামনে জমায়েত হওয়া অনুগামীরা। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। উঠছে কেন্দ্রীয় সরকার-বিরোধী স্লোগান। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই এই সিবিআই হানা।

    মদনের বাড়িতে সিবিআই (CBI)  

    অন্য দিকে, সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে। তবে, তাঁকে কী কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা স্পষ্ট নয়। কামারহাটি পুরসভায় কর্মী নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে তাঁর কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না তা সিবিআই আধিকারিকরা খতিয়ে দেখতে পারেন। বরানগর, কামারহাটির চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুদিন আগে ইডি হানা দিয়েছিল। এদিন মন্ত্রী ফিরহাদের পাশাপাশি আরও কয়েকটি পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। হানা দেওয়া হয়েছে কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে। হালিশহরেও গিয়েছে সিবিআই।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সমবায় দুর্নীতি কাণ্ড! আলিপুরদুয়ার শহরে ১৫টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি

    CBI: সমবায় দুর্নীতি কাণ্ড! আলিপুরদুয়ার শহরে ১৫টি জায়গায় সিবিআই তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী সহ বারাকপুর মহকুমার একাধিক পুর চেয়ারম্যানের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছুনথি। সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার আলিপুরদুয়ার ঋণদান সমবায় সমিতির প্রায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় শহর জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। শনিবার সকাল থেকে শহরজুড়ে শুরু হয়েছে সিবিআইয়ের তল্লাশি।

    সাত সকালেই সিবিআই হানা (CBI)

    শনিবার সকাল ছটা নাগাদ শিবের তদন্তকারীরা ডিআরএম অফিস সংলগ্ন এলাকায় যান। সেখান থেকে দলে দলে ভাগ হয়ে তাঁরা এদিন মূলত সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ  শুরু করেন। আর্থিক ওই তছরূপের মামলায় আগে সিবিআই (CBI) এর  তদন্তকারীরা প্রতারিতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সমবায়ের ম্যানেজার তৃপ্তিকনা চৌধুরী সহ শহরের সূর্য নগর এলাকায় কয়েকটি বাড়িতে ওই তল্লাশি অভিযান চলছে। সমবায়ের কর্মী  আধিকারিকদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদেরকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন সিবিআই এর কর্তারা। সিবিএর ওই তদন্তকারী দলে মহিলা সদস্যরাও রয়েছেন।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    আলিপুরদুয়ার ঋণদান সমবায় সমিতির প্রায় ২১ হাজার আমানতকারী তাঁদের টাকা গচ্ছিত রেখে প্রতারিত হয়েছেন। আগে এ নিয়ে প্রতারণার একটি অভিযোগ আলিপুরদুয়ার থানায় করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা আরটিআই কর্মী অলোক রায়। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে পুলিশ পরে সিআইডি তদন্ত হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হন কল্পনা দাস সরকার নামে এক প্রতারিত মহিলা। আদালতের নির্দেশে সম্প্রতি ওই মামলায় সিবিআই ও ইডির তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর্থিক তছরূপের  ওই মামলায় তদন্তকারীরা সমবায় সংস্থার ম্যানেজার থেকে কর্মীদের বাড়ি ছাড়াও শহরের এক প্রভাবশালী ঠিকাদারের বাড়িতে গিয়েও তাঁকে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসা বাদ করেছেন। এদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর পর্যন্ত ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সমবায় সংস্থার সঙ্গে জড়িত এবং যাদের সঙ্গে ওই সংস্থার আর্থিক যোগ ছিল তাদেরকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়েছে। শহর জুড়ে অন্তত ১৫ টি জায়গায় এদিন  একসঙ্গে  সিবিআইয়ের (CBI) এই তল্লাশি অভিযান চলেছে। আলিপুরদুয়ার শহরের সূর্যনগর বিধানপল্লি এলাকার অনেকের বাড়িতে এদিন গিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রতারিতদের বক্তব্য, আমাদের গচ্ছিত টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সিবিআই আধিকারিক সেজে দেড় কোটি টাকার প্রতারণা করল দম্পতি, তাজ্জব পুলিশ কর্তারা

    CBI: সিবিআই আধিকারিক সেজে দেড় কোটি টাকার প্রতারণা করল দম্পতি, তাজ্জব পুলিশ কর্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম সৌমেন মুখোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রীর নাম জয়শ্রী কর। তাদের বাড়ি বারাসত থানা এলাকায়। তাদের প্রতারণা কৌশল দেখে হতবাক বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। কার্যত তারা পুলিশের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? এই দম্পতির বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) আধিকারিক সেজে এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারিত ব্যবসায়ী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে থানার দ্বারস্থ হন। অবশেষে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (CBI)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দম্পতি মূলত ব্যবসায়ীদের টার্গেট করত। যে সব ব্যবসায়ী কিছুটা হলেও বেআইনি কারাবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে তারা টার্গেট করত। এই তথ্য দেওয়ার জন্য তাদের এই চক্রে আর কেউ রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে সোদপুরের তারক রায় নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে অভিযুক্ত দম্পতি যায়। সেখানে গিয়ে সিবিআই (CBI) অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র দেখতে চায়। স্বাভাবিকভাবে সিবিআই হানা দিয়েছে ভেবে তারকবাবু কিছুটা হলেও ঘাবড়ে যান। দম্পতির চালচলন দেখে ব্যবসায়ী ধরতেও পারেননি। ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকদের কথা মেনে ব্যবসার কাগজপত্র তুলে দেন তারকবাবু। বেশ কিছুক্ষণ ধরে কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ত্রুটি রয়েছে বলে আইনকানুনের ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই তারকবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। সেই সময় তিনি বারাসত দত্তপুকুর থানার দ্বারস্থ হন। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ চরকডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে অভিযুক্ত সৌমেন মুখোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী জয়শ্রী কর নামে দু’ই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকি সদস্যদের নাগাল পেতে চাইছে সাইবার ক্রাইম আধিকারিক।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। পরে, তাদের গ্রেফতার করা হয়। আর কোন কোন ব্যবসায়ীকে তারা এভাবে প্রতারিত করেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা থানা এলাকার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, দাশনগর থানার আলামোহন দাস রোডে কৌশিক মাজি এবং জগাছার পার্থ সেনের বাড়ি-ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই দুই ব্যক্তির বাড়ির পাশাপাশি অফিস, গোডাউনে একইসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। যদিও তল্লাশির বিষয় নিয়ে আধিকারিকরা প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির হদিশ পেতে নতুন করে তৎপর হয়েছে সিবিআই (CBI)। মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা এলাকায় সিবিআই আচমকা হানা দেয়। মূলত, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামের একটি সংস্থার কর্তা কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেন। পর্ষদের কাছ থেকে কীভাবে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরা পেয়েছিলেন এই বিষয়ে কৌশিক মাজিকে আগেই জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। জেরায় বিস্তর অসঙ্গতি থাকার কারণেই এই তল্লাশি বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কীভাবে তাঁদের যোগাযোগ, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, দুই কর্তার বাড়ি থেকে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই পর পর টানা তিন দিন নিয়োগ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।  যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, নিয়োগ মামলার দুর্নীতির নেপথ্যে উঠে এসেছে একাধিক নাম ও তথ্য। সেগুলি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেকারণেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে। গত এক সপ্তাহ আগে নিয়োগ মামলার কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেয় সিবিআই (CBI)। যা দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। এমনকী অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারীদের আঁতাত নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। বিচারপতির উষ্মা প্রকাশের পরই সিবিআই হানা নিয়েও জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share