Tag: cbi

cbi

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বরানগর পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে তলব সিবিআইয়ের

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বরানগর পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বরানগর পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে তলব করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের (CBI) পক্ষ থেকে এই পুরসভায় নোটিস ধরানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই এই পুরসভায় নোটিস পাঠানোয় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বারাকপুর মহকুমার বরানগর ছাড়াও ৬টি পুরসভাকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছিল। এমনকী কামারহাটি পুরসভার ৩৩জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির মূল পান্ডা অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভায় চাকরি করেন। অয়ন শীলের সংস্থার প্যানেলে তাঁর চাকরি হয়েছিল বলে সূত্রে খবর। এর আগে তাকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে এই পুরসভায় কী দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্ত করছে সিবিআই। বরানগর পুরসভায় নতুন করে সিবিআই নোটিস দেওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    নোটিসে কী বলেছে সিবিআই? (CBI)

    বরানগর পুরসভায় ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে দুদফায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিল। মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কয়েকজনের নাম নিয়োগের তালিকায় ছিল। এর আগে সিবিআই (CBI) সরাসরি পুরসভার কাছে কাদের নিয়োগ করা হয়েছিল তার তালিকা চেয়েছিল। বরানগর পুরসভার পক্ষ থেকেও সেই তথ্য সিবিআইকে জমা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই পুরসভায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বীরভূমের এক তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি হয়। অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরেই তাঁর নিয়োগ হয়েছিল। তবে, এদিন সিবিআই যে নোটিস পাঠিয়েছে তাতে  মালদা, মুর্শিদাবাদের ৩২ জন কর্মীর নাম রয়েছে। পুরসভার পাশাপাশি ওই কর্মীদেরকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, ২১ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মীদের হাজিরা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে কর্মীদের রাতের ঘুম উধাও হয়ে গিয়েছে। পুরসভার কর্মকর্তারা কেউ এই নোটিস নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

    সিবিআই (CBI) নোটিস নিয়ে বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে সিবিআই (CBI)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্ত করছে ইডিও। বিরোধীদের বক্তব্য, বরানগর পুরসভায় বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের আত্মীয়রা অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। পাশাপাশি মোটা টাকার খেলা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, সিবিআই তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইডি-সিবিয়াইয়ের নির্দেশকে বহাল রাখলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তবে দিতে হবেনা সিআইডিকে জরিমানার পাঁচ লাখ টাকা। আলিপুরদুয়ারের ঋণদান সমিতিতে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এই দুর্নীতির কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল  পড়ে যায়। রাজ্য প্রশাসনের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির উপর আস্থা রাখতে পারলেন না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরাও তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ  করল। 

    ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দিয়েছে(Calcutta High Court)?

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে জানান, এই মামালায় সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানার দিতে হবে না। যদিও এই জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ দুর্নীতির তদন্ত বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই দুর্নীতির মামালায় ইডি-সিবিআই তদন্ত করবে। ফলে রাজ্য সরকারে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি আদালতে কার্যত ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    মামালার প্রেক্ষাপট

    প্রথমিক ভাবে আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। কিন্তু তদন্ত নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। এরপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। দুর্নীতির বিষয়ে সিআইডিকে তীব্র ভৎসনাও করেন বিচারপতি। তিনি তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের বলেছিলেন যে আপনাদের নিয়ম অনুয়ায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। পরবর্তীতে সিআইডি, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে। সেই রায়ের ভিত্তিতে আজ ফের ডিভিশন বেঞ্চ জরিমানাকে বাদ দিয়ে আগের রায়কে বহাল রাখলেন বিচারপতির বেঞ্চ।  

    সূত্রে জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদান সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এই সমবায়ে মোট ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। সমিতির সদস্যরা পরে জানতে পেরেছিলেন এই সমিতি উঠে গেছে। আর এরপরেই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ঋণ সমিতির উপভোক্তারা মামলা করেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: হামলার অভিযোগ, নিহত বিজেপির কর্মীর দাদা দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের

    BJP Murder: হামলার অভিযোগ, নিহত বিজেপির কর্মীর দাদা দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই তৃণমূলের তাণ্ডব লীলা শুরু হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। সেদিনই খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার (BJP Murder)। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে। এরপরে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলাগুলির তদন্তভার নেয় সিবিআই। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন, মারপিট সমেত একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রথম থেকেই দোষীদের শাস্তি পাওয়ার বিষয়ে সক্রিয় ছিলেন নিহতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এবার তাঁর ওপরেই হামলার অভিযোগ।

    শনিবার প্রাণঘাতী হামলা নিহতের দাদার ওপর 

    এরই মধ্যে গত শনিবার সিবিআই এর খাতায় ফেরার দুই অভিযুক্ত নাড়ু এবং অরুণ দে, বিশ্বজিৎ সরকারের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ১৬ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনার পরেই নারকেলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্বজিৎ সরকার। শনিবার নিহতের দাদাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুই ফেরার আসামির (BJP Murder) বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ক্ষুর দিয়ে গলার নলি কাটারও চেষ্টা করা হয় বিশ্বজিৎ সরকারের, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এরপরেই সিবিআই-এর দ্বারস্থ হন নিহতের দাদা। তবে এটা প্রথম নয় আগেও প্রাণঘাতী হামলা হয় বিশ্বজিৎ এর ওপর। তখনও তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাণনাশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ সরকারকে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কিন্তু বিচারপতির নির্দেশের পরেও রাজ্য পুলিশ কোনও রকম নিরাপত্তা দেয়নি বলে অভিযোগ যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

    কেন সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হলেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা

    তাঁর ওপর হামলার পর পরই বিশ্বজিৎ সরকার সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের খাতায় পলাতক অভিযুক্ত (BJP Murder) অরুণ দে বলছিল ক্ষুরটা বের কর ওর গলাটা কেটে দেব, সাক্ষ্য দিতে পারবে না। এর পরে রাস্তায় দুজন চলে আসায় ওরা পালিয়ে যায়। ওদের নামে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, আমার বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকলেও আমার সঙ্গে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী নেই।’’বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, এই ঘটনার পরে তিনি সিবিআই আধিকারিকদের ফোনও করেছেন। পলাতক নাড়ু এবং অরুণ দে’কে কেন ধরা হচ্ছে না সে বিষয়ে তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেন সিবিআইকে। এর পাশাপাশি তাঁর নিজের নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ফেরাররা (BJP Murder) কীভাবে এভাবে প্রকাশ্য রাস্তা ঘুরে বেড়াতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত আবু তাহের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করলেন

    Nandigram: ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত আবু তাহের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করলেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় নাম জড়িয়েছিল নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হলদিয়া আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর নামে হুলিয়াও জারি হয়ে গিয়েছিল। এরই মাঝে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আবু তাহের (Nandigram)। সেখানেও মেলেনি রক্ষাকবজ। পরের সুপ্রিম কোর্টে যান ভোট পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয়। শনিবার আত্মসমর্পণ করেন আবু তাহের। জানা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শনিবার দুপুর নাগাদ আবু তাহের (Nandigram) তাঁর পুত্র এবং আইনজীবীকে নিয়ে হলদিয়া কোর্টে আসেন।

    বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে হত্যায় নাম জড়ায় আবু তাহেরের

    প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের (Nandigram) ফল প্রকাশের পরে রাজ্যজুড়ে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বহু বিজেপি কর্মী নিহত হন শাসক সন্ত্রাসে। ঘরছাড়া হন প্রায় লক্ষাধিক বিরোধী কর্মী। অবাধে রাজ্যজুড়ে লুট হতে থাকে একের পর বিজেপি কর্মীর বাড়ি। নন্দীগ্রামের চিল্লাগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেবব্রতকে ভর্তি করা হয় কলকাতার হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় নাম জড়ায় নন্দীগ্রামের (Nandigram) তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের।

    মামলা দায়ের ৩০২ ধারায়

    ভোট পরবর্তী হিংসাযর তদন্তভার হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সিবিআই গ্রহণ করে। সেই তদন্তে উঠে আসতে থাকে একের পর এক শাসকদলের নাম। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান তাঁর নামও উঠে আসে। জানা গিয়েছে, সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে (Nandigram) ছিল আবু তাহেরের নাম। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ তিনি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু রেহাই মিলল না। শনিবারই আত্মসমর্পণ করতে হল তাঁকে। আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    BJP Murder: বিজেপি নেতা খুনে অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে ‘চক্রান্তে’ সামিল পুলিশ! মত হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়া খুন (BJP Murder) হন। ওই খুনের ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে জামিনে মুক্ত করতে চক্রান্ত (BJP Murder) করছে পুলিশ, সোমবার এই মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। প্রসঙ্গত, এই খুনের (BJP Murder) ঘটনায় ৯১ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করে। আইন অনুসারে ঠিক তার আগের দিনই জামিন পেয়ে যান মূল অভিযুক্ত। কেন চার্জশিট পেশ করতে একদিন সময় বেশি লাগল পুলিশের, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়েই এই মন্তব্য করে কলকাতা হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, গত ৪ অগাস্ট জামিন পেয়ে যায় মূল অভিযুক্ত (BJP Murder)। ঠিক তার পরের দিনই আদালতে চার্জশিট জমা পড়ে পুলিশের।

    কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে হয়, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন বিচারপতি

    ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের (BJP Murder) ঘটনায়, সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলাটি হাইকোর্টে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন যে আমরা কোনও মামলা সিবিআই-সিআইডিকে দিতে চাই না। কিন্তু কেন আমাদের এই কাজ করতে হয় তার স্পষ্ট উদাহরণ দিচ্ছি। এরপরেই বিচারপতি বলেন, ‘‘গত ৪ অগাস্টই চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সেই চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়নি। মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতেই পুলিশ এই কাজ করেছে (BJP Murder)। ৫ অগাস্ট চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ (BJP Murder)। এতে স্পষ্ট মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে পুলিশের চক্রান্ত (BJP Murder)।’’ 

    মামলায় এসসি-এসটি আইনের ধারা যোগ হওয়ার পরেও কীভাবে জামিন, প্রশ্ন হাইকোর্টের

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের আর প্রশ্ন, মামলাতে এসসি-এসটি আইনের ধারাগুলিকে যোগ করা হয়েছে। তারপরেও কীভাবে মূল অভিযুক্ত (BJP Murder) জামিন পেতে পারেন? প্রসঙ্গত,  বিজয়কৃষ্ণ ভূঁইয়াকে বোম মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার। তারপরেও বিস্ফোরক আইনের কোনও ধারা কেন যোগ করা হয়নি তাও জানতে চান বিচারপতি।   ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির  দিন রয়েছে। সেদিন এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশকে, এমন কথাই শুনিয়েছেন বিচারপতি (BJP Murder)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujit Bose: সিবিআই দফতরে দেখা মিলল না সুজিত বসুর, কী যুক্তি দিলেন মন্ত্রীমশাই?

    Sujit Bose: সিবিআই দফতরে দেখা মিলল না সুজিত বসুর, কী যুক্তি দিলেন মন্ত্রীমশাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁকে সিবিআই তলব করেছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা নাকি সম্পূর্ণ ভুয়ো। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন গত ২৪ অগাস্ট দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose) খবর পেয়েছিলেন, পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে সিবিআই ‘তলব’ করেছে। তার কিছুক্ষণ পরেই বিবৃতি দিয়ে সুজিত ঘোষণা করেন, সিবিআইয়ের তরফে কোনও তলবি চিঠি তিনি নাকি পানইনি।

    সুজিতের দাবি, চক্রান্ত

    বৃহস্পতিবারই ছিল ৩১ অগাস্ট। এদিন দুপুরে নিজের ক্লাব শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে সুজিত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, তিনি কোনও সিবিআইয়ের চিঠি পাননি। সুজিত সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘আমি এ রকম কোনও নোটিসই পাইনি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের একাংশ থেকে ধারাবাবিক ভাবে বলা হচ্ছে, আমাকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় আমি মানসিক ভাবে আহত।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই যে র‌্যাগিং নিয়ে এত কথা হচ্ছে, আমার সঙ্গে যেটা হচ্ছে সেটাও র‌্যাগিং। একটা ভুয়ো খবরকে বার বার বলা হচ্ছে।’’

    গত সপ্তাহে সিবিআই সূত্রে জানা যায়, ৩১ অগাস্ট সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে মন্ত্রীমশাইয়ের হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন নির্দিষ্ট সময় হাজির হননি তিনি। এর পরই তিনি আদৌ হাজির হবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। এরই মধ্যে বেলা দেড়টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে সুজিত বসু জানান, তিনি সিবিআইয়ের কোনও নোটিসই পাননি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে ইডি, নোটিশ ১২টি পুরসভাকে

    সুজিতের আমলেই দুর্নীতি

    সুজিত এক সময়ে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তখনই এই পুর দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-ও। ইডি সূত্রে খবর, যে ১২টি পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে তারা নথি চেয়ে পাঠিয়েছে, তার মধ্যে দমদম, কামারহাটি, পানিহাটির মতো কলকাতা সংলগ্ন একাধিক পুরসভাও রয়েছে। ইডি ওই পুরসভাগুলির কর্তৃপক্ষকে বলেছে, ২০১৪ সাল থেকে সমস্ত নিয়োগের তথ্য পাঠাতে। এক সপ্তাহের মধ্যে ওই তথ্য এবং যাবতীয় নথি পাঠাতে হবে বলে নোটিসে জানিয়েছে ইডি। সিবিআইয়ের নোটিস দেওয়ার খবর নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন সুজিতের দাবি, ‘এই খবর ছড়ানোর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। কালি ছেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। কে বা কারা জড়িত রয়েছে, সেটাই তদন্ত করে দেখতে হবে। দোষীদের শাস্তি হোক।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআই-এর

    Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতিতে ধৃত মিডলম্যান প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন মিডলম্যান প্রসন্ন রায়। বুধবার তাঁর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল সিবিআই। জানা গিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে ন’টার পর নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা (Recruitment Scam)। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি রয়েছে বলে খবর ছিল তাঁদের কাছে।  ধৃত (Recruitment Scam) মিডলম্যান প্রসন্ন রায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, বুধবার যে ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয় সেটি প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীর নামে রয়েছে। সেখান থেকে এদিন বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছে সিবিআই। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় প্রসন্ন রায়ের ফ্ল্যাটের তল্লাশি (Recruitment Scam)। তবে এই প্রথম নয়, নিউটাউনের ফ্ল্যাটে সিবিআই আগেও তল্লাশি চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    মিডলম্যান প্রসন্ন করতেন গাড়ির ব্যবসা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রসন্ন রায়কে (Recruitment Scam)। তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি মেলে এবং একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায়। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে গাড়ি ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন প্রসন্ন রায়। তাঁর ওই সংস্থার অফিস ছিল উত্তর কলকাতায়। প্রসন্ন রায়ের সংস্থার এক কর্মীর দাবি, শিক্ষা দফতরেও গাড়ি ভাড়া দিতে দেখা যেত প্রসন্ন রায়কে (Recruitment Scam)। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা এই নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিনহার অফিসেও একাধিকবার গাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন প্রসন্ন। সেই সূত্রেই কি নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িয়ে পড়া তাঁর? এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।

    নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত চলছে ২০২২ সাল থেকে 

    নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) গ্রেফতারি শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রথম গ্রেফতার হন ইডির হাতে। এরপরে তৃণমূলের ছোট, বড়, মাঝারি অনেক নেতাই গত এক বছরে নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় আটক হয়েছেন। পাশাপাশি পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়কার একাধিক শিক্ষা আধিকারিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই দুর্নীতির জাল যে অনেক দূর পর্যন্ত রয়েছে তা স্বীকার করে নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা (Recruitment Scam)। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার সন্দেহে ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: ৩৫১ কোটির ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! আলিপুরের অভিজাত আবাসনে হানা সিবিআইয়ের

    CBI: ৩৫১ কোটির ব্যাঙ্ক জালিয়াতি! আলিপুরের অভিজাত আবাসনে হানা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শহরে সিবিআই হানা। মঙ্গলবার সকালে আলিপুর ভিসা হাউসে পৌঁছে যায় সিবিআই-এর (CBI) একটি দল। জানা গিয়েছে, ভিসা স্টিলের কর্ণধার বিশ্বম্ভর শরণের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। ৩৫১ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে এই কোম্পানির বিরুদ্ধে। সেই মতো ২০২০ সালে মামলাও দায়ের করা হয়। তারপর থেকেই চলছে তদন্ত এবং আজ তল্লাশিতে নামে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, বছর খানেক আগেই একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে এই পরিমাণ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বিশ্বম্ভর শরণ। পরবর্তীকালে সংস্থাকে দেউলিয়া বলে তিনি নিজেই ঘোষণা করে দেন।

    ২৫-২৬ জনের সিবিআই (CBI) দল হানা দেয়

    জানা গিয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ ঋণের টাকা পরিকল্পনা মাফিক নয়ছয় এবং তছরূপ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালেই ২৫ থেকে ২৬ জনের একটি সিবিআই দল (CBI) আচমকাই হানা দেয় অফিসে। ভিসা হাউসের ভিতরে থাকা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে থাকেন অফিসাররা (CBI)। সিবিআই-এর (CBI) সঙ্গে এদিন ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা। অফিসের বাইরে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়, যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও জানা যায়নি যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই বিশ্বম্ভর শরণ অফিসের ভিতরে রয়েছেন কিনা। কিন্তু অফিসের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে সিবিআই (CBI) কথা চালিয়ে যাচ্ছে।

    সোমবার থেকেই লাগাতার তল্লাশি চলছে শহরে

    সোমবার থেকেই লাগাতার তল্লাশি চলছে শহরে। কখনও ইডি, কখনও সিবিআই (CBI)। সোমবার দুপুর থেকে রাতভর তল্লাশি চালানো হয় কালীঘাটের কাকু যে অফিস দেখভাল করতেন সেই ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ডস’-এর অফিসে। সারারাত তল্লাশির পর তিনটি ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। পাশাপাশি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের জামাইয়ের ফ্ল্যাট সহ তিন জায়গায় গতকাল থেকেই তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি।

    আরও পড়ুুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা মোদির, কী বললেন জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর নাকতলার বাড়িতেই বিক্রি হতো চাকরি! আদালতে বিস্ফোরক সিবিআই

    Partha Chatterjee: পার্থর নাকতলার বাড়িতেই বিক্রি হতো চাকরি! আদালতে বিস্ফোরক সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নিজের বাড়িতে বসে এসএসসির গ্রুপসি পদের চাকরি বিক্রি করতেন বলে আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকা নিয়ে বেআইনি চাকরির লিস্ট তৈরি করা হত এই বাড়িতেই। নিত্য যাতায়েত ছিল প্রসন্ন রায় এবং প্রদীপ সিংহের মতন ব্যক্তিদের। সিবিআই-এর এই অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে। 

    সিবিআই আদালতে কী বলেছেন (Partha Chatterjee)?

    স্কুল শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কাণ্ডে বৃহস্পতিবার ফের আদালতে তোলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। কোর্টে সিবিআই দাবি করেন, তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব তথা রাজ্যর প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর (Partha Chatterjee) নাকতলার বাড়িতেই একটি অফিস ছিল। আর সেই অফিসেই চাকরি বিক্রেতাদের নিত্য আনাগোনা ছিল। এই বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরেই ছিল চাকরি বিক্রির অফিস। এখানেই প্রথমে লিস্ট তৈরি হত এবং এরপর সেই লিস্ট চলে যেত কমিশনের চেয়ারম্যান, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের অফিসে। এই বাড়িতে টাকা নেওয়া হত এবং নামের তালিকা তৈরি করা হত। সিবিআই আরও বলেন যে কিছু লোক থাকত, যারা জেলা থেকে টাকা নিত এবং এরপর সেই টাকা এবং প্রার্থীদের নাম এখানেই নিয়ে আসতো। প্রসন্ন, প্রদীপদের মতন লোকেরা জেলা থেকে টাকা সংগ্রহ করত। এই নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াটাই একটা ‘পরিকল্পিত অপরাধ’।

    আদালতে পার্থ কী বলেন?

    আদলাতে এই দিন জামিনের আবেদন করে পার্থ (Partha Chatterjee) বলেন, আমার শরীর দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আমার একজন জেলের মধ্যে সহকারী দরকার, যদি আপনি মঞ্জুর করেন। তিনি আরও বলেন, বাগ কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত করা উচিত। আমার বয়স বাড়ছে। তিনি আরও দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা থাকে না, আমার বিরুদ্ধে বিশেষ ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এই দিনেও বিচারক পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করে চার-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করে চার-ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) জেরে মুর্শিদাবাদ জেলার চার শিক্ষক বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি। ঠিক এমন সময়, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই বাঁকুড়ার সাত জন শিক্ষককে তলব করে সিবিআই। কোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত চলছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শাসকদলের একাধিক বিধায়ক বর্তমানে জেলে রয়েছেন। ঠিক এমন সময় এই সাত শিক্ষকের তলব (Recruitment Scam) নিয়ে হইচই পড়ে যায়।

    বুধবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন ওই সাত শিক্ষক

    ৯ অগাস্ট বুধবার তাঁরা হাজিরা দেন নিজাম প্যালেসে (Recruitment Scam)। চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখান থেকে বের হতেই সংবাদমাধ্যম ঘিরে ধরে এই সাত শিক্ষককে। তাঁরা প্রত্যেকেই বলেন, ‘‘হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা চাকরি পেয়েছি।’’ এই সাত শিক্ষকের মধ্যে একজন বলেন, ‘‘কোর্টের নথি চাইল আমাদের কাছে সিবিআই। এ ছাড়া পর্ষদ যে নিয়োগপত্র দিয়েছিল, সেটাও আমাদের কাছ থেকে জমা নেয় সিবিআই আধিকারিকরা।’’ তাঁদের দাবি, পর্ষদ ঠিক সময়ে নথি সিবিআই-এর কাছে পাঠালে এমন হয়রানির শিকার তাঁদের হতে হত না (Recruitment Scam)।

    ৭ শিক্ষকের পরিচয়

    ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। একাধিক মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার এরকম একটি মামলাতে মুর্শিদাবাদের চার শিক্ষককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরই তলব করা হয় বাঁকুড়া সাত শিক্ষককে। এই ৭ শিক্ষক হলেন স্বাধীনকুমার পাল, সায়ন্তনী বেজ, প্রিয়াঙ্কা লাহা, গণপতি মাহাত, প্রিয়াঙ্কা নন্দী, হরেন্দ্রনাথ ধাড়া ও পারমিতা সিংহ মহাপাত্র। জানা গিয়েছে, তাঁদের হাজির হতে বলা হয় মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, পর্ষদের দেওয়া নিয়োগপত্র, জাতিগত শংসাপত্র ইত্যাদি নিয়ে। ওই সাত শিক্ষকের দাবি, তাঁরা নিয়োগ (Recruitment Scam) পেয়েছেন ২০২১ সালে। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার একটি মামলায় তাঁদের ৬ নম্বর বাড়ে বলে দাবি ওই শিক্ষকদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share