Tag: cbi

cbi

  • CBI: বুধবার শহরে পা সিবিআই প্রধানের! আধিকারিকদের সঙ্গে করলেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক

    CBI: বুধবার শহরে পা সিবিআই প্রধানের! আধিকারিকদের সঙ্গে করলেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় পা রাখেন সিবিআইয়ের ডিরেক্টর (CBI) প্রবীণ সুদ। বুধাবার সকালে সিবিআইয়ের প্রধান সোজা চলে যান নিজাম প্যালেসে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সিবিআই প্রধান। প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে গরুপাচার, কয়লাপাচার, সমেত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তও যুক্ত হয়েছে তালিকায়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর যে এই সমস্ত তদন্তের রুপরেখা তৈরি করতেই আইসিসিআর এ বিশেষ বৈঠক করেন সিবিআই প্রধান। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সম্পর্ক সভা’। জানা গিয়েছে, তদন্তের গতি, বর্তমান স্থিতি সমেত একাধিক বিষয়ে আলাপচারিতা করেন সিবিআই প্রধান।  বিমানবন্দরে নামার পরে রসিকতার ছলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘শুনেছি কলকাতার দই নাকি খুব মিষ্টি! তাই দই খেতে এসেছি।’

    রাজারহাটে সিবিআই-এর (CBI) নয়া দফতর হবে?

    সিবিআই (CBI) এর সামনে ২০১৪ সাল থেকেই তদন্তের পাহাড় জমে রয়েছে। সারদা কেলেঙ্কারি, রোজভ্যালি মামলা, নারদা কাণ্ড এগুলোতো সিবিআই দেখছেই, পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের আমলে নয়া দুর্নীতির তদন্তের বেশিরভাগটাই সিবিআইয়ের দায়িত্বে রয়েছে। জানা গিয়েছে, কাজের বহর যে পরিমাণে বাড়ছে সেক্ষেত্রে এবারে নিজাম প্যালেসের বদলে নিজেদের জন্য রাজারহাটে দফতর বানাতে চাইছে সিবিআই। বুধবার রাজারহাটেও যেতে দেখা গেছে সিবিআই প্রধানকে।

    তদন্তের গতি কি বাড়বে? 

    প্রসঙ্গত সিবিআই-এর (CBI) আইনজীবীর কাছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দিন কয়েক আগেই জানতে চেয়েছিলেন যে দুর্নীতি মামলা তদন্ত আর কতদিন চলবে!  তদন্তের গতি যেভাবে চলছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে।  এর ঠিক পর পরেই নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রবীণ সুদ। দুঁদে এই আইপিএস অফিসারের জমানায় তদন্তের গতি বাড়ে নাকি, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    আরও পড়ুন: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI-ED: আসানসোল কোর্টে চলা কেষ্টর মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি ইডির

    CBI-ED: আসানসোল কোর্টে চলা কেষ্টর মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার আর্জি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের শুনানি চলছিল আসানসোল বিশেষ সিবিআই (CBI-ED) আদালতেও। এবার এই মামলাটি দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত করার আবেদন জানাল ইডি (CBI-ED)। কেন্দ্রীয় সংস্থা আর্জি জানিয়েছে, তাদের এবং সিবিআইয়ের করা মামলাটি এক জায়গায় আনা হোক এবং তা দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে স্থানান্তরিত করা হোক। সেখানেই চলুক মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। ইডির এই আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী আগামী ১৯ অগাস্ট পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন। দিল্লিতে মামলা স্থানান্তর হলে সাক্ষ্যগ্রহণও দিল্লিতে হবে। অর্থাৎ এখানকার সাক্ষীদের শুনানির দিনগুলিতে দিল্লি উড়ে যেতে হবে।

    কী বলছেন কেষ্টর আইনজীবী?

    শুক্রবার কেষ্টর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, ‘‘গরু পাচারের যে মামলাটি চলছে আসানসোল বিশেষ সিবিআই (CBI-ED) আদালতে, সেটি স্থানান্তরিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালতে যেখানে ইডির মামলা চলছে সেখানে স্থানান্তরিত হবে মামলাটি।’’ তবে মামলা স্থানান্তরের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, ‘‘আমরা আপত্তি জানাব। তার কারণ, এই মামলা দিল্লিতে চলে গেলে সাক্ষীদের দিল্লিতে যেতে হবে সাক্ষ্য দিতে। সমস্ত নথিও দিল্লিতে নিয়ে যেতে হবে। তাই আমরা আপত্তি জানাব। সরকার মনে করলে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতকে ইডির (CBI-ED) বিশেষ আদালত হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে। যদি তাই হয়, তা হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে অনেকটা। এখন দেখার আসানসোলের বিচারক কী রায় দেন বা সরকার কী পদক্ষেপ করে।’’

    তিহাড় জেলে বন্দী রয়েছেন কেষ্ট

    গত বছরের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার (CBI-ED) হন অনুব্রত। চলতি বছরের মার্চ মাসে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় দিল্লিতে। সেখানে অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন একদা তাঁর সহকারী সায়গল। তিহাড়ে রয়েছেন গরু পাচার মলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক এবং ধৃত বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার। পাশাপাশি কেষ্ট কন্যাও বর্তমানে রয়েছেন তিহাড়ে। একাধিকবার তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ কেন্দ্রের

    Manipur Violence: মহিলাদের নগ্ন করে হাঁটানোর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত, নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত মণিপুরে (Manipur Violence) দুই মহিলাকে বিবস্ত্র হাঁটানো এবং গণধর্ষণের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল অমিত শাহের মন্ত্রক। ঘটনার ভাইরাল ভিডিও সামনে আসতেই নিন্দার ঝড় ওঠে সব মহলে। প্রধানমন্ত্রীও দোষীদের কড়া শাস্তি হবে বলে জানান তখন। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার সম্পূর্ণ বিচারপর্ব মণিপুরের বাইরে করতে চায় মোদি সরকার।

    ৪ মে মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগ ওঠে 

    গত ৪ মে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে।  রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় তাঁদের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ (Manipur Violence)। দুই মহিলার মধ্যে একজনের ভাই ও বাবাকে হত্যাও করে আক্রমণকারীর। পর্যবেক্ষকদের দাবি, ঘটনার পরেই থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিছু দিন আগে ২৬ সেকেন্ডের একটি  ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয় (Manipur Violence)। মণিপুরের ঘটনার নিন্দায় সরব হয় দেশের সমস্ত মহল। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই ঘটনার নিন্দা করেন। তারপরেই একে একে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হতে থাকে।

    প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি

    মণিপুর নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেছেন, ‘‘এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।’’ প্রসঙ্গত, গত ৩ মে ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তির আগুনে জ্বলে ওঠে মণিপুর। সে দিন রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় জনজাতি গোষ্ঠীভুক্ত কুকিদের সঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ১৬০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন এই সংঘর্ষে (Manipur Violence)। কেন্দ্রীয় সরকার এর আগেই সেখানের উন্নয়নের জন্য ১০১ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। অভিযোগ, কুকি এবং দু’সম্প্রদায়েরই বহু মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাড়ি বাড়ি লুট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে।

    বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডি যে তুলেছিল, তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে

    ২৬ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয় কয়েকদিন আগে। সেখানেই মণিপুরের দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনা সামনে আসে। পরে মাঠে নিয়ে গিয়ে তাদের গণধর্ষণও করা হয় (Manipur Violence)। এই ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হল। অত্যাচারের ভিডিও যে তুলেছিল, বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক সূত্রের থেকে পাওয়া এই খবর জানিয়েছে দেশের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম। ধৃতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    CBI: নিয়োগ-দুর্নীতিতে নজরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর পুরসভা! সিবিআই তলবে হাজির আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় পুরসভার আধিকারিকদের ডেকে পাঠাল সিবিআই (CBI)। বুধবার তাঁদের জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুর পুরসভা থেকে বেশ কয়েকজন আধিকারিক নিজাম প্যালেসের উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর ২ টোর পরই তাঁরা পৌঁছে যান নিজাম প্যালেসে। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তে নতুন কী তথ্য উঠে আসে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।

    কী বললেন শান্তিপুর পুরসভার কর্মী?

    সূত্রের খবর, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরেই পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির কথা উঠে আসে। হুগলি থেকে অয়ন শীলকে গ্রেফতার করে সিবিআই (CBI) প্রতিনিধি দল। এরপরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অয়ন শীলের সংস্থা পুরসভার নিয়োগের পরীক্ষা নিয়েছিল বলে জানা যায়। সেখানেই লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছিল বলে তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্যকে সামনে রেখে গত ৭ জুন কৃষ্ণনগর এবং শান্তিপুর পুরসভায় দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি চালিয়ে তারা কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। গতকাল সিবিআই দফতর থেকে দুই পুরসভার কাউন্সিলারের কাছে ফোন করে তাদের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয় বলে জানা যায়। ইতিমধ্যেই দুই পুরসভার আধিকারিকরা সিবিআই অফিসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার প্রধান করণিক উদয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, মূলত ২০১৮ সালের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই প্রতিনিধি দল তদন্ত করতে এসেছিল শান্তিপুর পুরসভায়। কিন্তু সেই সময় আমাদের কোনও নিয়োগ হয়নি। আমরা সেদিনও সিবিআই প্রতিনিধি দলকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আজও তাঁরা যা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এবং যে সাহায্য আমাদের কাছে চাইবেন আমরা পুরোটাই তাঁদের জানাব।

    কী বললেন পুরসভার কাউন্সিলার?

    এ বিষয়ে শান্তিপুর পুরসভার কাউন্সিলার সুব্রত ঘোষ বলেন, এর আগেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) আমাদের পুরসভায় এসে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেস থেকে আমাকে ফোন করা হয় এবং পুরসভার প্রতিনিধিদের এদিন ডেকে পাঠিয়েছেন তাঁরা। আমরা সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমোদন রাজ্যপালের! বাধাহীন বিচারপ্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে ট্রায়াল চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু হঠাৎ রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজন কেন? সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যে কোনও মন্ত্রী বা আইন প্রণেতা বা সরকারি ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া চালাতে অনুমোদন প্রয়োজন হয়। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, নিজের ক্ষমতাবলে এই অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল।’’ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন মমতার মন্ত্রিসভায়। সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভাকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। আবার পার্থ যেহেতু বিধানসভারও সদস্য, তাই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হলে বিধানসভার অধ্যক্ষেরও সম্মতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া হল সিভি আনন্দ বোসের। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্যপালের অনুমোদনে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতিতে আর কোনও বাধা রইল না।

    ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার হন পার্থ (Partha Chatterjee) 

    প্রসঙ্গত, এক বছর আগে নিজের নাকতলার বাড়ি থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তখনই তাঁর বান্ধবী অর্পিতার বাড়িতেও হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে মেলে ২২ কোটি টাকা। পরে আবারও অর্পিতার অন্য ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া যায় ২৮ কোটি টাকা। ইডি গ্রেফতার করলেও পরে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে সিবিআই। পার্থর বিচারের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদন জরুরি ছিল। সিবিআইয়ের সেই আবেদনেই সিলমোহর দিলেন রাজ্যপাল। বিচার প্রক্রিয়ায় আর কোনও বাধা রইল না।

    প্রেসিডেন্সি জেল যেন তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের পর্যটন কেন্দ্র 

    প্রেসিডেন্সি জেল যেন তৃণমূলের নেতাদের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ছাড়াও জেলে আছেন আরও দুই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। রয়েছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরাও। এঁদের সবাই গ্রেফতার হয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। পার্থর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে তারা, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। তা আদালতে ইতিমধ্যে পেশও করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rhea Chakraborty: সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা! রিয়ার জামিনের বিরোধিতা প্রত্যাহার করল সিবিআই

    Rhea Chakraborty: সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা! রিয়ার জামিনের বিরোধিতা প্রত্যাহার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০ সালের ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার হয়, তাঁরই ফ্ল্যাট থেকে। রাজপুতের মৃত্যুর পরেই আঙুল ওঠে তাঁর প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর (Rhea Chakraborty) দিকে। তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতারও হন রিয়া। হাজতবাসও করতে হয় রিয়াকে। রিয়ার গ্রেফতারির চারদিন আগে অ্যারেস্ট করা হয় তাঁর ভাই সৌভিককে। পরে অবশ্য দুজনেরই জামিন মেলে। এক লক্ষ টাকার বন্ড দিয়ে জামিন নেন রিয়া। কিন্তু মামলা চলতে থাকে। এরপরের বছরগুলিতে সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি রিয়ার। সম্প্রতি ‘রোডিস’ নামের একটি টিভি শোতে মেন্টরের ভূমিকা দেখা যাচ্ছে তাঁকে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে রিয়ার জীবন! ছাড়ছে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলার আইনি জটও। 

    স্বস্তি পেলেন রিয়া (Rhea Chakraborty)…

    সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল রিয়াকে। জানা গিয়েছে, রিয়া (Rhea Chakraborty) জামিন পেলে, ২০২০ সালের অক্টোবরে সেই বেল-এর বিরোধিতা করেছিল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। এ বার সিবিআইয়ের তরফে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। বোম্বে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এনডিপিএস আইনের ধারা ২৭এ অনুসারে (অবৈধ ভাবে অর্জিত অর্থ, তার অনৈতিক লেনদেন এবং অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য একজনকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জন্য জেল হতে পারে) একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রিয়ার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগটি তুলে নেওয়া হল।

    সুশান্তর সঙ্গে ভিডিও পোস্ট রিয়ার

    তবে ফি বছর সুশান্তর জন্মদিন অথবা মৃত্যুদিনে তাঁকে নিয়ে পোস্ট করেন রিয়া (Rhea Chakraborty)। চলতি বছরের জুন মাসেছিল সুশান্তের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। এইসময় রিয়া সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন একটি আদুরে ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, লাদাখের পাহাড়ি পরিবেশে পরস্পরকে আগলে বসে রয়েছেন রিয়া-সুশান্ত। দুজনকে হাসতে আর আলিঙ্গন করতেও দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৯ সালে লাদাখ ঘুরতে গিয়েছিলেন দুজনে, খুব সম্ভবত সেই সময়ের ভিডিও এটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    Anubrata Mondal: নেটওয়ার্ক খারাপ! তিহাড় বন্দি কেষ্টর শুনানি হলনা আসানসোল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর একদা দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে এই শুনানি ছিল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতর আইনজীবীরা এদিন আদালতে উপস্থিতও ছিলেন। কিন্তু বাধা খারাপ নেটওয়ার্ক। কোনওভাবেই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা গেল না। বারবার সংযোগ করতে চেয়েও এদিন প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় আসানসোল আদালতের। শুক্রবার তাই শুনানি সত্ত্বেও জামিনের কোনও আবেদন করতে পারলেন না, কেষ্টর আইনজীবীরা।

    নিয়োগ দুর্নীতিতেও কেষ্ট?

    গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জানা গিয়েছে, এবার আরও এক দুর্নীতিতে জড়িয়েছে কেষ্টর নাম।  সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। সূত্রের খবর এনিয়ে উদ্যোগ নিতেও শুরু করেছে ইডি আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, একধাপ এগিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বয়ান রেকর্ড করার জন্য ইতিমধ্যেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছে ইডি। আগামী ২০ জুলাই বিচারক রঘুবীর সিং-এর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি রয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে। ইডি-র আর্জি আদালতে মঞ্জুর হলে তারা তিহাড় জেলে গিয়ে কেষ্টকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে পারবে। 

    সুকন্যার নামে পেট্রল পাম্পের হদিশ

    সিবিআই তদন্তে উঠে এল নতুন তথ্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, বীরভূমে একটি পেট্রল পাম্প অনুব্রতের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এবং তৃণমূল (Anubrata Mondal) নেতার ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের নামে রয়েছে। সিবিআই এর আরও অভিযোগ, খন্দকার কনস্ট্রাকশন নামে একটি কোম্পানিতে বিপুল পরিমাণে নগদ টাকা জমা হয়েছে। সিবিআই এর দাবি,  ওই কোম্পানির মালিক সায়গলের সম্পর্কে শ্যালক। প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, অনুব্রতের নামে চারটি পেট্রল পাম্প থাকার কথা এর আগে আদালতকে জানিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, নতুন একটি চালকলের খোঁজও পেয়েছে সিবিআই। এই চালকলের সঙ্গে কেষ্টর প্রত্যক্ষ আর্থিক লেনদেন হতো বলে খবর। অন্যদিকে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জমি কেনা বেচা নিয়েও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। সিবিআই আদালতে বিচারককে জানিয়েছে, কেষ্টর জমিগুলোর রেজিস্ট্রি হয়েছ নগদ টাকায়। প্রায় এক কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থে জমির রেজিস্ট্রি হয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে রেজিস্ট্রি অফিস কোনও প্রশ্নই নাকি তোলেনি। এতেই বোঝা যায়, কেষ্ট কতটা প্রবাবশালী, মত ওয়াকিবহাল মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    Forced Conversion: ‘অপহরণ করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ’! হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইআর সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল সিবিআই। কালিয়াচকের ওই সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দোর করে দুই ব্যক্তিকে হিন্দু থেকে মুসলমান ধর্মে (Forced Conversion) ধর্মান্তকরণ করেছে তারা। জানা গিয়েছে, মালদার মোথাবাড়ি ও কালিয়াচকের ৬ জায়গায় বৃহস্পতিবার অভিযান চালায় সিবিআই। সাত অভিযুক্তের বাড়ি থেকে মোবাইল সহ বেশ কিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ২০২১ সালে মালদার মালদার কালিয়াচকের ঘটে এই ঘটনা। দুই বোনের অভিযোগ ছিল, তাঁদের স্বামী বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল বিজেপির সমর্থক হওয়ার কারণে ভোট পরবর্তী সময়ে তাদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পরাস্ত হয়। তাঁরা কোর্টের কাছে আরও জানান, ২৪ নভেম্বর ২০২১ সাল থেকে তাদের স্বামীরা নিঁখোজ। পুলিশকে এব্যাপারে জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। হাইকোর্টের কাছে রাজ্য অবশ্য রিপোর্ট দেয়, ওই দুই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং পারিবারিক বিবাদের কারণে তারা বাড়ি ছেড়েছে। যদিও পরিবারের দাবির সঙ্গে কোনওভাবেই মিলছে না রাজ্যের রিপোর্ট। এবিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে সিবিআই রিপোর্ট জমা দেয় গত ২০ ফেব্রুয়ারি, যার ভিত্তিতে চলতি বছরের ৬ জুন হাইকোর্ট এফআইআর করতে নির্দেশ দেয়। সেই মতো এফআইআর করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। নাম রয়েছে, খুরশেদ সেখ, রবিউল সেখ, মুক্তাবুল সেখ, তিনু সেখ, নজু সেখ, বরকতি সেখ এবং হাবিব সেখের। জানা গিয়েছে প্রত্যেকেরই বাড়ি মালদায়।

    তদন্তে কী উঠে এল?

    জানা গিয়েছে পেশায় রাজমিস্ত্রি দুই ভাই বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডল ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর কাজে যান। গৌরাঙ্গ মণ্ডল যান রবিউল সেখের বাড়ি এবং বুদ্ধ মণ্ডল যান হাবিব সেখের বাড়ি। এরপর সেদিন দুপুর দুটোর সময় তাঁরা বাড়িতেও ফেরেন মধ্যাহ্নভোজ সারতে। তারপর আবার বেরিয়ে যান। পরে রাতে আর বাড়ি ফেরেন নি। এরপর নিঁখোজ দুইজনের স্ত্রী (বু্দ্ধ মণ্ডলের স্ত্রী পার্বতী মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলের স্ত্রী কলাবতী মণ্ডল) জানতে পারেন তাঁদের স্বামীদের ইসলামে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে এবং নমাজ পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। পুলিশ এরপর বুদ্ধ মণ্ডল ও গৌরাঙ্গ মণ্ডলের সন্ধান পায় একটি মুসলিম বাড়িতে। মামলাকারীদের পুলিশ জানায়, বুদ্ধ মণ্ডল এবং গৌরাঙ্গ মণ্ডলকে কোর্টে তোলা হবে ২৮ নভেম্বর ২০২১। পরিবারের দাবি, কোর্টে তোলার দিন তাঁরা সকাল থেকেই আদালত চত্বরে হাজির ছিলেন, কিন্তু গোটা দিন উপস্থিত থাকার পরেও যখন বু্দ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে কোর্টে তোলা হল না তখন কলাবতীদেবী এবং পার্বতীদেবী বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর বিকালের পরে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে এসডিও এর সামনে হাজির করানো হয়, সেসময় প্রচুর পরিমাণে মুসলিমদের ভিড় সেখানে ছিল। তারা বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়, পরিবারের লোকের অনুপস্থিতিতে। এরপর ২০২২ সালের সালের ৪ জানুয়ারি স্থানীয় ধরলা গ্রামে বুদ্ধ এবং গৌরাঙ্গকে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। খবর পেয়ে তখনই গ্রামে পৌঁছান পার্বতী দেবী ও কলাবতী দেবী। তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হলে স্থানীয় মুসলিমরা হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর গৌরাঙ্গ কোনওভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের খপ্পর থেকে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। এবং কলাবতীকে সঙ্গে করে সে একটি গোপন আস্তানায় থাকতে শুরু করে। অভিযোগ, অপহরণকারীদের চাপে কলাবতী ও গৌরাঙ্গর নামে এফআইআর করে বুদ্ধ। এরপর গৌরাঙ্গকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। কলাবতী জামিনে মুক্ত হন। পরিবারের অভিযোগ, দুইভাই ফোনে জানিয়েছে, তাদের জোরপূর্বক মাদকের নেশা করানো হচ্ছে এবং পশু হত্যা করার প্রশিক্ষণও দিচ্ছে মুসলিমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বারাকপুরে চিকিৎসক প্রজ্ঞার রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে সিবিআিই তদন্তের দাবি পরিবারের

    CBI: বারাকপুরে চিকিৎসক প্রজ্ঞার রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে সিবিআিই তদন্তের দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকিৎসক প্রজ্ঞাদীপা হালদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্তে খুশি নয় পরিবার। তাই, এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল পরিবারের লোকজন। প্রজ্ঞাদীপার পক্ষের আইনজীবী বৃহস্পতিবার লিটন মৈত্র বলেন, পুলিশি তদন্তে আমরা খুশি নয়। এই খুনের ঘটনার আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সোমবারই হাইকোর্টে এই মর্মে আবেদন জানানো হবে। ফলে, এই খুনের তদন্তের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে বলে পরিবারের লোকজনের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, তদন্তে নানাভাবে প্রভবিত করা হয়েছে। ফলে, সঠিক তদন্ত হচ্ছে না। সিবিআই (CBI) তদন্ত একমাত্র পথ।

    আটদিনের পুলিশ হেফাজত সেনা চিকিৎসকের

    এদিনই প্রজ্ঞাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন প্রথম প্রজ্ঞাদীপার পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবীকে আদালতে দাঁড় করানো হয়। মূলত, এই ঘটনায় পুলিশ ৩০৬ ধারা দিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল। এবার প্রজ্ঞার আইনজীবী আদালতে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে ৩০২ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানান। কৌশিকের আইনজীবী সুদীপ মৈত্র পাল্টা বলেন, প্রজ্ঞা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে কেউ মারধর করেনি। তিনি নিজেই শরীরে আঘাত করেছেন। দুই পক্ষের কথা শুনে বিচারক ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। প্রজ্ঞার আইনজীবী এদিন বলেন, যে চিকিৎসক প্রজ্ঞার ময়না তদন্ত করেছিলেন, তাঁকে সেনার এক আধিকারিক ফোন করেছিলেন। ফলে, প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে তা প্রমাণ। সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাল পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে, কৌশিকের বিরুদ্ধে সেনা দফতরের পক্ষ থেকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারের মতে, কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারী এবং প্রজ্ঞা লিভ- ইন  করলেও তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়ে ছিল। তাই, প্রজ্ঞার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য ক্রমশ্য ঘনীভূত হচ্ছে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৌশিক সর্বাধিকারীর ঘরের ভিতর থেকে প্রজ্ঞার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি প্রজ্ঞার সঙ্গে লিভ-ইনে থাকতেন। এই ঘটনার পর সুইসাইড নোটে নাম থাকায় সেনা চিকিৎসক কৌশিক সর্বাধিকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: নথি বিকৃতি মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Panchayat Vote: নথি বিকৃতি মামলার তদন্তে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) মনোনয়নে নথি বিকৃতির অভিযোগে ওঠে উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি শেখর দে-র বিরুদ্ধে। এনিয়ে জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সোমবার বিচারপতি সিনহার সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় সিবিআই তদন্তের মতো উপাদান নেই।

    আরও পড়ুন: লোকসভা, বিধানসভার পর এবার লক্ষ্য জেলা পরিষদ দখল, আলিপুরদুয়ারে ঝাঁপাল বিজেপি

    ঠিক কী হয়েছিল?

    ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পঞ্চায়েতে (Panchayat Vote) মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। ওই কয়েক দিনে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে নথি বিকৃত করার অভিযোগ করেন সিপিএমের দুই প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম খান এবং তনুজা বেগম মল্লিক। উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের বহিরা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দু’টি আলাদা আসনে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন তাঁরা। অভিযোগ, মনোনয়ন পেশের সময় তাঁরা চেকলিস্ট জমা করেন। তাতে তাঁরা জাতিগত প্রমাণপত্র জমা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। এর পর জানা যায়, মনোনয়নপত্রে তাঁদের উল্লেখ করা অংশ কলম দিয়ে কেউ কেটে দিয়েছে।

    তদন্ত কীভাবে হবে?

    হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন নির্দেশ দেয়, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নজরদারিতে এই মামলার তদন্ত করবে রাজ্য পুলিশ। এক সদস্যের এই কমিশনকে সব রকম সাহায্য করতে হবে রাজ্যকে।’’ পাশাপাশি তিন সপ্তাহের মধ্যে নথি বিকৃতির অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে জমা করতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক মামলায় হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে রাজ্যের। এদিন সিবিআই খারিজ হলেও মনোনয়ন বিকৃতির মামলাতে একই ধারা অব্যাহত থাকল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share