Tag: cbi

cbi

  • Raju Jha Murder: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    Raju Jha Murder: শক্তিগড়ে রাজু ঝা খুনের তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা’কে গাড়ির মধ্যেই খুন (Raju Jha Murder) করা হয়। এবার এই খুনের ঘটনায় সিবিআই-কে তদন্তভার দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে বলেও সময়সীমা এদিন বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় রাজু ঝাও ছিলেন ইডির রেডারে। বীরভূমের আবদুল লতিফ নামে ওই গাড়িতে থাকা আর এক জনের নাম ইতিমধ্যেই মিলেছে গরু পাচার মামলার চার্জশিটে। কয়লা পাচার মামলা এবং এই খুনের ঘটনায় যোগসূত্র থাকতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিচারপতি তাই হয়তো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেই তদন্তভার তুলে দিলেন। রাজ্যকে ইতিমধ্যে কেস ডায়েরি সহ যাবতীয় নথি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, খুনের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে না গেলে ধাক্কা খাবে কয়লা পাচার তদন্ত।

    ইডি দফতরে হাজিরার ২ দিন আগেই খুন হন রাজু (Raju Jha Murder)

    প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত রাজু ঝা-র চলতি বছরের ৩ এপ্রিল ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক একদিন আগে  ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় তিনি কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন। রাত পৌনে আটটা নাগাদ রাজুর সাদা গাড়ি শক্তিগড়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির চালকের পাশের সিটে বসে ছিলেন রাজু ঝা। পিছনের আসনে বসে ছিলেন রাজু ঝার সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও গরু পাচার মামলায় ফেরার অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ। গাড়ি দাঁড়ানোর কিছু সময়ের মধ্যেই সেখানে এসে দাঁড়ায় নীল রঙের একটি চারচাকা গাড়ি। অভিযোগ, ওই গাড়ি থেকে নেমেই দুই শার্পশুটার পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর গুলি চালিয়ে রাজু ঝার শরীর ঝাঁঝরা করে দিয়ে পালিয়ে যায়। রাজুর পিছনের সিটে বসে থাকা ব্রতীন মুখোপাধ্যায়ের হাতেও গুলি লাগে। এই হামলার সময়েই বেপাত্তা হয়ে যান আব্দুল লতিফ।

    তদন্তের গতিপ্রকৃতি

    রাজু ঝার গাড়ির চালক নূর হোসেন খুনের (Raju Jha Murder) পর পরই শক্তিগড় থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে খুনের ধারায় মামলা রুজু করে ও ‘সিট’ গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনার ১৯ দিন পরে পুলিশ গ্রেফতার করে অভিজিৎ মণ্ডল নামে এক অভিযুক্তকে। অভিজিৎ দুর্গাপুর-আসানসোলের এক কুখ্যাত কয়লা মাফিয়ার গাড়ির চালক বলে জানা যায়। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন অভিজিৎ মণ্ডল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হলে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, খুনের জন্য ব্যবহৃত গাড়িটি সরবরাহ করেছিল ইন্দ্রজিৎ গিরি ও লালবাবু কুমার নামের দুই ব্যক্তি। এর পরে মে মাসের ৩ তারিখে রাঁচি থেকে ইন্দ্রজিৎ ও লালবাবুকে গ্রেফতার করে সিট। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনের নাম পায় পুলিশ। জুন মাসের ১৪ তারিখে ঘটনার তদন্তভার গেল সিবিআই-এর হাতে।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর! জঙ্গি হামলার বলি ৩, সিট গঠন সিবিআই-এর

    Manipur: ফের অশান্ত মণিপুর! জঙ্গি হামলার বলি ৩, সিট গঠন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অশান্ত মণিপুর (Manipur)। জানা গিয়েছে কাংপোকপি এবং ইম্ফল পশ্চিম জেলার সীমানায় খোকেন গ্রামে ৩ জনকে খুন করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন। অভিযোগ, মায়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরাই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সেখানে। অমিত শাহের সফর এবং ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজ ঘোষণার পরে ধীরে ধীরে শান্ত হচ্ছিল মণিপুর। কিন্তু ফের অশান্তির আশঙ্কার দিন গুনছেন সেখানকার মানুষ। অশান্তির পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তা তদন্ত করছে সিবিআই।

    সিট গঠন করল সিবিআই

    মণিপুরে কুকি-মেইতেই গোষ্ঠীহিংসার নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের সন্ধান পেতে শুক্রবার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, ১০ সদস্যের সিট-এর নেতৃত্বে রয়েছেন ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। মণিপুর (Manipur) হিংসায় দায়ের হওয়া মোট এফআইআর সংখ্যা ৩,৭০০ হলেও সিবিআইয়ের তরফে শুক্রবার ৬টি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মণিপুর পুলিশের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায় ইম্ফল যাচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মণিপুর সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিবিআই তদন্তের ঘোষণা করেছিলেন। উভয় গোষ্ঠীর নেতাদের শান্তি রাখতে আবেদনও জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    মেইতেই-কুকি বিবাদ ৩ মে থেকে চরম আকার ধারণ করে

     হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষ শুরু হয় ৩ মে থেকে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠলে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্র। নামানো হয় সেনা এবং অসম রাইফেলস বাহিনীকে। সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির ভার দেওয়া হয় সিআরপিএফের প্রাক্তন প্রধান কুলদীপ সিংহকে। তাঁর অধীনে এডিজিপি (ইন্টেলিজেন্স) আশুতোষ সিংহকে সমগ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপারেশনাল কমান্ডার-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ১ মাস কেটে গেলেও হিংসা থামেনি।

     

    আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    Abhishek Banerjee: আদালত নির্দেশ দিলে অভিষেককে কান ধরে নিয়ে যাবে ইডি, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করল ইডি। ১৩ জুন ইডি অফিসে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের জনজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেক প্রথমে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে রোড শো করেন। পরে, ধুবুলিয়াতে দলীয় কর্মসূচিতে তিনি যোগ দেন। সেখান থেকে নদিয়ার নাকাশিপাড়া, পলাশীপাড়া সহ কালীগঞ্জে একাধিক কর্মসূচিতে তিনি যোগদান করেন। সেখানেই ইডি-র নোটিশের বিষয়ে তিনি জানতে পারেন।

    ইডিতে হাজিরা নিয়ে কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    ইডির নোটিশ প্রসঙ্গে অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “এর আগে যখন আমাকে সিবিআই প্রায় আট ঘণ্টা অফিসে বসিয়ে রেখেছিল, আমি তদন্তে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছি। এর পাশাপাশি অনুরোধ করেছিলাম, তৃণমূলের যে নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে, তার মধ্যে যেন আমাকে না ডাকা হয়। কিন্তু, দেখা গেল, আমার স্ত্রীকে ডেকেও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হল। স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার পনেরো মিনিট পরই আমাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক চক্রান্ত। তৃণমূলের নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়েছে। আর তা দেখেই বিজেপি ভয় পেয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমি তাদের সম্পর্কে কোনও খারাপ মন্তব্য করব না এবং দোষও দেব না। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে না উঠে এই চক্রান্ত চালাচ্ছে। তবে যে কদিন জনজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে, সেই কদিন আমার অন্য কোথাও যাওয়ার মতো সময় নেই। তারপর সামনে ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে আট ঘণ্টা কোথাও গিয়ে নষ্ট করার মতো সময় আমার হাতে নেই। ভোট মিটে যাওয়ার পর আমাকে যেদিন ডাকবেন, আমি সেদিনই যাব। তার আগে আমার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নয়।”

    অভিষেক (Abhishek Banerjee) প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কুকুরের লেজ তো সহজে সোজা হয় না। তাই, ইডি ডাকলে তো তিনি (Abhishek Banerjee) যাবেন না, এটাই স্বাভাবিক বিষয়। ইডির হাত থেকে বাঁচতে এত কিছু হচ্ছে। যাত্রা হচ্ছে, নবজোয়ারের নাটক হচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে। ইডি এবার আদালতকে বিষয়টি জানাবে। আদালত কান ধরে নিয়ে আসার নির্দেশ দেবে। ইডি তখন কান ধরে নিয়ে আসবে। তখন দেখবেন ঠিক হাজির হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: সাতদিনের মধ্যে পানিহাটি পুরসভার কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল সিবিআই

    CBI: সাতদিনের মধ্যে পানিহাটি পুরসভার কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতদিনের মধ্যেই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সিবিআই (CBI) অফিসে জমা দেওয়ার জন্য পানিহাটি পুর কর্তৃপক্ষকে বলা হল। জানা গিয়েছে, পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের বাড়ি থেকে একটি নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছিল, যা ছিল পানিহাটি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে সিবিআই এই পুরসভায় হানা দিয়েছিল। বুধবার সিবিআই দিনভর সেখানে তল্লাশি চালায়। শুক্রবারই রয়েছে সিআইসি বৈঠক। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হতে পারে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পুরসভায় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই ১০২ জন কর্মীর নিয়োগের জন্য ৪০ হাজার জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অয়নের সংস্থার মাধ্যমে সেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। রহস্যজনকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার পরও কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। কেন নিয়োগ হয়নি, সেই বিষয়ে পুরসভার কেউ মুখ খোলেননি। কামারহাটি, হালিশহর, টিটাগড় এবং বরানগর পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ হলেও পানিহাটি পুরসভায় কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে, পুরসভার কর্মকর্তাদের আশা ছিল, এখানে সিবিআই হানা হবে না। কিন্তু, বুধবার দিনভর সিবিআই তল্লাশি চালানোয় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। পুর আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশপাশি আলমারি খুলে নথি দেখা হয়। তবে, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাইয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও নথি পুরসভায় সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা পাননি। পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, যে সময়ের ঘটনা, আমি তখন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলাম। আর নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি ছিলাম না। এই পুরসভায় শেষ ২০১৪ সালে নিয়োগ হয়েছিল। তারপর আর কোনও নিয়োগ হয়নি। ফলে, দুর্নীতির কোনও প্রশ্নই আসে না। তবু, সিবিআই (CBI) যে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে, তা দেওয়ার জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করব। সিবিআইকে আমরা সমস্তরকম ভাবে সহযোগিতা করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েকের মধ্যে এ রাজ্যে কি কোনও বড়মাপের চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে চলেছে? সম্প্রতি দিল্লি থেকে আগত পদস্থ সরকারি কর্তাদের কলকাতায় আনাগোনা দেখে তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তাহলে কি এ রাজ্যে দুর্নীতির মাথার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে? এসব নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে তখন ইডি, সিবিআইকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বুধবার রাজ্যজুড়ে একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়, আর সেদিনই বরানগরে দলীয় সভায় যোগ দিয়ে মদনের সিবিআই, ইডিকে কড়া বার্তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর মদনকে সেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকী কয়েকদিন আগেই ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসের বৈঠকে অধিকাংশ বিধায়ক, মন্ত্রী হাজির থাকলেও মদন (Madan Mitra) গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ, পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দলের সঙ্গে মদনের দূরত্ব বাড়়ছে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও সে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন মদন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইডি, সিবিআইকে নিশানা করেন তিনি। তিনি বলেন, “কোথায় যাচ্ছেন, তৃণমূলকে আগে থেকে না জানালে রাস্তায় আটকে যেতে পারেন। এমন সভা হবে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স পাবে না ইডি, সিবিআই। তাপসকে (বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়) বলব সিজিও কমপ্লেক্স, ইডি অফিসে একটি চিঠি দিয়ে দিতে। অভিষেকের বাড়িতে একটি অফিস রয়েছে।” সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন,” কোথায় যাচ্ছেন তা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। নাহলে এমন সভা করব যে যাওয়ার রাস্তা পাবেন না। কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? আমাকে ২৩ মাস আটকে রেখেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনলেন, বাহুবলী, প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী। এসব উপমা তো হনুমানকে দেওয়া হয়। এরপর অভিষেকের নবজোয়ারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক হিসাবে পরিচিত বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই বোলপুরের কালিকাপুর এলাকায় সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। বাড়িতে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়। সামান্য বেতনের একজন চাকরিজীবী হয়ে অট্টালিকার মতো বাড়ি তৈরির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস জানার চেষ্টা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    কে এই বিদ্যুৎবরণ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী বিদ্যুৎবরণ। ২০০৮ সালে তিনি এই চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে তিনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী নিযুক্ত হন। এক সময় তিনি গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। পরে, পদোন্নতি হয়ে গাড়ির চালক হন। বুধবার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে অস্থায়ী শিবির করে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা রয়েছেন। মূলত অনুব্রতর জাল কতদূর পর্যন্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করতেই এদিন সিবিআই হানা হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদ্যুৎবরণ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন। অনুব্রতর ক্ষমতা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরও প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করে। অনুব্রতর সঙ্গে তাঁকে সব সময় দেখা যেত। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এর আগে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তাঁর বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। পরে, তাঁকে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি। এবার সিবিআই আর তাঁকে সময় দেয়নি। এদিন তাঁর বাড়িতে দুজন সিবিআই আধিকারিক হানা দেন। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকরা জেলার কয়েকটি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করেছেন। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। মূলত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। সেই লেনেদেনের পিছনে কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান সিবিআইয়ের

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ক্রমশই জাল গোটাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। বুধবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় হানা দিল সিবিআই (CBI)। এদিন সকালেই সিবিআই কর্তার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান চালান। সল্টলেকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরেও চলে সিবিআই হানা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখার জন্যই তাদের এই অভিযান।

    কোথায় কোথায় চলছে তল্লাশি অভিযান

    জানা গেছে রাজ্যের ১৪ টি জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই প্রথম সিবিআই (CBI) পুর-নিয়োগ মামলায় তদন্তে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এত সক্রিয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে। জানা গেছে, সল্টলেকের নগরোন্নয়ন দফতর, দক্ষিণ ও উত্তর দমদম পৌরসভা, বারাকপুর পুরসভা, পানিহাটি পুরসভা, কাঁচরাপাড়া, টিটাগড়, চুঁচুড়া, শান্তিপুর সহ আরও বিভিন্ন পৌরসভাতে হানা দিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি অয়ন শীলের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। সূত্র মারফত জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় অয়নের ফ্ল্যাটে ঢোকে সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

    কীভাবে সামনে এল পুরনিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম। তার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ওএমআর শিট মেলে। ইডির দাবি, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিল প্রমোটার অয়ন শীল (Ayan Sil)। অয়নকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। অয়নের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কাগজে একাধিক পুরসভার নাম পাওয়া যায়। এই ডাস্টবিনেই পাওয়া যায় পুরসভায় চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও। পুরসভার টেন্ডারেও একচেটিয়া নাম দেখা যায় অয়নের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিক বার দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় টাকার বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। ইডির দাবি, মোট ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আবার এই মামলা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) ফিরিয়ে দেয়। মঙ্গলবারই এই মামলা বিচারপতি তপোব্রত চক্রব্রতীর এজলাসে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ, এলেন না অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা

    Kaliaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ, এলেন না অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জের (Kaliagan) রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল মঙ্গলবার। এই ঘটনার সাথে জড়িত সকল আধিকারিক, প্রত্যক্ষদর্শী ও জনসাধারণকে এদিন সাক্ষ্য দিতে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। পুলিশের ওই গুলি চালানো ন্যায়সঙ্গত ছিল কি? তা নিরুপণ করার জন্যই সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসের সভাকক্ষে মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতির উপস্থিতিতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। বিকেল ৩ টে পর্যন্ত গুলিতে মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা, স্ত্রী, দাদা সহ এলাকার প্রায় ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তবে এদিন ওই ঘটনার সাথে জড়িত কোনও পুলিশকর্মী সাক্ষ্য দিতে আসেননি। মৃতের পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা প্রত্যেকেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী ঘটেছিল কালিয়াগঞ্জে (Kaliagan)?

    গত ২১ শে এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের (Kaliagan) সাহেবঘাটায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ২৫ এপ্রিল  বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। রাতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। সেই সময় মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩) নামে এক যুবক পুলিশের গুলিতে মারা যান বলে অভিযোগ ওঠে।

    জেলা প্রশাসনের বিশেষ দায়িত্ব

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী কোথাও পুলিশের গুলিতে কেউ মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট (Kaliagan)পর্যায়ের তদন্ত করার আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতিকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    মহকুমা শাসকের বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছিল?

    ২২ মে এই মর্মে মহকুমা শাসক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ৬ জুন কালিয়াগঞ্জ (Kaliagan) বিডিও অফিসে রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে রাতে তল্লাশি অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশকর্মীকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আসার জন্য বলা হয়। আর তাই এদিন সকাল ১১ টা থেকে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তার আগেই মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন, স্ত্রী গৌরী বর্মন, দাদা বিষ্ণু বর্মন সহ এলাকার প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা বিডিও অফিসে চলে আসেন। প্রত্যেককে আলাদা করে মহকুমা শাসক জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও তাঁদের বয়ান ভিডিও রেকর্ড করা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ জনের বয়ান ভিডিও রেকর্ড করা হয়। পাশাপাশি আরও কয়েকজন তাঁদের বয়ান কাগজে লিখে জমা দেন। কোনও পুলিশকর্মী এদিন সাক্ষ্য দিতে না আসায় তাঁদের জন্য আগামী সপ্তাহে একটি দিন নির্দিষ্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    নিহত মৃত্যুঞ্জয় (Kaliagan) বর্মনের স্ত্রী গৌরী বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসক সাক্ষ্যগ্রহণ করার শুরুতেই সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন। বিনা প্ররোচনায় পুলিশ সেদিন আমার স্বামীকে কীভাবে গুলি চালিয়ে খুন করেছে, তা জানাই। ওই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি আমি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” এলাকার এক বাসিন্দা সত্যচরণ বর্মন বলেন, “সেদিন আমি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির বাইরে আসি। পুলিশ আমাকে ভয় দেখিয়ে সরে যেতে বলে। মৃত্যুঞ্জয় ঘর থেকে বেরিয়ে পুলিশকে তাঁর বাবাকে ধরে নিয়ে যাবার কারণ জিজ্ঞেস করে। তখনই এক অফিসার গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। আর তারপরেই তাঁকে গুলি চালানো হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের

    BJP: সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে সরব হলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা। মঙ্গলবার দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার সময় তো আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রেলমন্ত্রী ছিলেন। আপনি তো সেই সময় দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য সিবিআইকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাহলে সিবিআই নিয়ে আপনার কীসের এত ভয়? সিবিআই তদন্ত থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন কেন?

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বিমান বন্দরে আটকানো নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্র ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। এই ঘটনার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং। তিনি বলেন, “উনি রাজনীতি করেন। আর তদন্তকারী সংস্থার কাজ তদন্ত করা। সেটাই ইডি করছে। কোনও সমস্যা থাকলে ইডি-কে বলুন বা আইনগত ব্যবস্থা নিন। যা খুশি মন্তব্য করলে তো চলবে না।” সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে বলেন, “অন্য রাজ্যের বিরোধীদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ না করে নিজের রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে কেন, সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন সিদ্ধার্থনাথ সিং?

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে সৌগত রায়ের গরমকালের তত্ত্ব প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) নেতা বলেন “সৌগত রায়ের বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজন আছে। সরকারে আছেন যখন, তখন দায়িত্বশীল হয়ে কারা দোষী সেটা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তৃণমূল সরকার একদম দ্বায়িত্বশীল সরকার নয়।” বোমা বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে সিন্ডিকেট রাজের মতো বোমার সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সরকার চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারে। কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে সরকার। তাই এসবের জন্য দায়ী একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজসাক্ষী কারা? আদালতে কী জানাল সিবিআই?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজসাক্ষী কারা? আদালতে কী জানাল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) চার্জশিটে এমন অনেকের নাম রয়েছে, সিবিআই যাদের গ্রেফতারের পথে হাঁটেনি। আদালতের এক প্রশ্নের জবাবে সিবিআই বলে, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। কারণ তাঁদের রাজসাক্ষী করার কথা ভাবা হচ্ছে। অর্থাৎ অপরাধের মাত্রা কম, এমন ব্যক্তিরাই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) আদালতের সামনে জবানবন্দি দেবেন। চার্জশিটে নাম থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন! তা নিয়ে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা এদিন আদালতের মধ্যেই হইচই শুরু করে দেন। এদিনের শুনানিতে হাজির ছিলেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, প্রাক্তন এসএসসি কর্তা সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুব্রত সামন্ত রায়, প্রসন্ন রায় সমেত মোট ১১ জন।

    অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা কী বলছেন?

    অভিযুক্তদের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, চার্জশিটের ১৬.১.১৩ অনুচ্ছেদে কয়েকজনের নাম থাকলেও তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? এদের বিরুদ্ধে তো অভিযোগ রয়েছে যে তারা ওএমআর শিটে কারচুপি করেছে। এ বিষয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে উত্তর জানতে চান বিচারক।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    কী বললেন সিবিআইয়ের আইনজীবী?

    সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন বলেন, ‘‘রাজ্যজুড়ে একটি সংগঠিত অপরাধচক্রের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে জোরালো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু অভিযুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িত থাকলেও তাদের অপরাধের মাত্রা কম। কিংবা কোনও পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে তারা অপরাধে যুক্ত হয়েছে। এই ধরনের অভিযুক্তদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে তাদের রাজসাক্ষীও করা হতে পারে। সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।’’

    জীবনকৃষ্ণ সহ প্রত্যেকেরই জামিনের আবেদন খারিজ 

    অভিযুক্তদের আইনজীবীদের তরফ থেকে প্রত্যেকেরই জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারক। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আর্জি জানিয়ে তাঁর আইনজীবী বলেন, উনি বয়স্ক। তারপর অসুস্থ। ওঁকে দরকারে গৃহবন্দি করে রাখা হোক। কিন্তু একথায় কর্ণপাত করেননি বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share