Tag: cbi

cbi

  • Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েকের মধ্যে এ রাজ্যে কি কোনও বড়মাপের চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে চলেছে? সম্প্রতি দিল্লি থেকে আগত পদস্থ সরকারি কর্তাদের কলকাতায় আনাগোনা দেখে তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তাহলে কি এ রাজ্যে দুর্নীতির মাথার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে? এসব নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে তখন ইডি, সিবিআইকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বুধবার রাজ্যজুড়ে একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়, আর সেদিনই বরানগরে দলীয় সভায় যোগ দিয়ে মদনের সিবিআই, ইডিকে কড়া বার্তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর মদনকে সেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকী কয়েকদিন আগেই ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসের বৈঠকে অধিকাংশ বিধায়ক, মন্ত্রী হাজির থাকলেও মদন (Madan Mitra) গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ, পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দলের সঙ্গে মদনের দূরত্ব বাড়়ছে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও সে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন মদন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইডি, সিবিআইকে নিশানা করেন তিনি। তিনি বলেন, “কোথায় যাচ্ছেন, তৃণমূলকে আগে থেকে না জানালে রাস্তায় আটকে যেতে পারেন। এমন সভা হবে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স পাবে না ইডি, সিবিআই। তাপসকে (বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়) বলব সিজিও কমপ্লেক্স, ইডি অফিসে একটি চিঠি দিয়ে দিতে। অভিষেকের বাড়িতে একটি অফিস রয়েছে।” সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন,” কোথায় যাচ্ছেন তা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। নাহলে এমন সভা করব যে যাওয়ার রাস্তা পাবেন না। কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? আমাকে ২৩ মাস আটকে রেখেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনলেন, বাহুবলী, প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী। এসব উপমা তো হনুমানকে দেওয়া হয়। এরপর অভিষেকের নবজোয়ারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    CBI: এবার অনুব্রতর পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হাজির সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক হিসাবে পরিচিত বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই বোলপুরের কালিকাপুর এলাকায় সিবিআই আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। বাড়িতে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়। সামান্য বেতনের একজন চাকরিজীবী হয়ে অট্টালিকার মতো বাড়ি তৈরির পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস জানার চেষ্টা করেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    কে এই বিদ্যুৎবরণ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বোলপুর পুরসভার গ্রুপ ডি কর্মী বিদ্যুৎবরণ। ২০০৮ সালে তিনি এই চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে তিনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী নিযুক্ত হন। এক সময় তিনি গাড়ির খালাসির কাজ করতেন। পরে, পদোন্নতি হয়ে গাড়ির চালক হন। বুধবার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে অস্থায়ী শিবির করে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা রয়েছেন। মূলত অনুব্রতর জাল কতদূর পর্যন্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করতেই এদিন সিবিআই হানা হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিদ্যুৎবরণ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তাঁর বাড়িতে পরিচারকের কাজ করতেন। অনুব্রতর ক্ষমতা বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরও প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করে। অনুব্রতর সঙ্গে তাঁকে সব সময় দেখা যেত। তিনি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের কোম্পানির ডিরেক্টর হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এর আগে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে তাঁর বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। পরে, তাঁকে একাধিকবার নোটিশ পাঠানো হলেও তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি। এবার সিবিআই আর তাঁকে সময় দেয়নি। এদিন তাঁর বাড়িতে দুজন সিবিআই আধিকারিক হানা দেন। জানা গিয়েছে, সিবিআই আধিকারিকরা জেলার কয়েকটি ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের অস্থায়ী ক্যাম্পে তলব করেছেন। ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। মূলত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে। সেই লেনেদেনের পিছনে কারা রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান সিবিআইয়ের

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ক্রমশই জাল গোটাচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। বুধবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় হানা দিল সিবিআই (CBI)। এদিন সকালেই সিবিআই কর্তার রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান চালান। সল্টলেকে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরেও চলে সিবিআই হানা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখার জন্যই তাদের এই অভিযান।

    কোথায় কোথায় চলছে তল্লাশি অভিযান

    জানা গেছে রাজ্যের ১৪ টি জায়গায় এই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। এই প্রথম সিবিআই (CBI) পুর-নিয়োগ মামলায় তদন্তে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে এত সক্রিয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে। জানা গেছে, সল্টলেকের নগরোন্নয়ন দফতর, দক্ষিণ ও উত্তর দমদম পৌরসভা, বারাকপুর পুরসভা, পানিহাটি পুরসভা, কাঁচরাপাড়া, টিটাগড়, চুঁচুড়া, শান্তিপুর সহ আরও বিভিন্ন পৌরসভাতে হানা দিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি অয়ন শীলের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। সূত্র মারফত জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় অয়নের ফ্ল্যাটে ঢোকে সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করলেন প্রধান বিচারপতি

    কীভাবে সামনে এল পুরনিয়োগ দুর্নীতি

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই উঠে আসে অয়ন শীলের নাম। তার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং ওএমআর শিট মেলে। ইডির দাবি, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিল প্রমোটার অয়ন শীল (Ayan Sil)। অয়নকে জেরা করেই এই তথ্য হাতে পান ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। অয়নের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কাগজে একাধিক পুরসভার নাম পাওয়া যায়। এই ডাস্টবিনেই পাওয়া যায় পুরসভায় চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও। পুরসভার টেন্ডারেও একচেটিয়া নাম দেখা যায় অয়নের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একাধিক বার দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় টাকার বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। ইডির দাবি, মোট ৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আবার এই মামলা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) ফিরিয়ে দেয়। মঙ্গলবারই এই মামলা বিচারপতি তপোব্রত চক্রব্রতীর এজলাসে পাঠিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kaliaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ, এলেন না অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা

    Kaliaganj: মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকাণ্ডে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ, এলেন না অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জের (Kaliagan) রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল মঙ্গলবার। এই ঘটনার সাথে জড়িত সকল আধিকারিক, প্রত্যক্ষদর্শী ও জনসাধারণকে এদিন সাক্ষ্য দিতে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। পুলিশের ওই গুলি চালানো ন্যায়সঙ্গত ছিল কি? তা নিরুপণ করার জন্যই সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে কালিয়াগঞ্জ বিডিও অফিসের সভাকক্ষে মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতির উপস্থিতিতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। বিকেল ৩ টে পর্যন্ত গুলিতে মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা, স্ত্রী, দাদা সহ এলাকার প্রায় ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তবে এদিন ওই ঘটনার সাথে জড়িত কোনও পুলিশকর্মী সাক্ষ্য দিতে আসেননি। মৃতের পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা প্রত্যেকেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কী ঘটেছিল কালিয়াগঞ্জে (Kaliagan)?

    গত ২১ শে এপ্রিল কালিয়াগঞ্জের (Kaliagan) সাহেবঘাটায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ২৫ এপ্রিল  বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় সাংসদের নেতৃত্বে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। রাতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। সেই সময় মৃত্যুঞ্জয় বর্মন (৩৩) নামে এক যুবক পুলিশের গুলিতে মারা যান বলে অভিযোগ ওঠে।

    জেলা প্রশাসনের বিশেষ দায়িত্ব

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ আদালত ও মানবাধিকার কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী কোথাও পুলিশের গুলিতে কেউ মারা গেলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করতে হয়। সেই নিয়ম মেনেই পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে ম্যাজিস্ট্রেট (Kaliagan)পর্যায়ের তদন্ত করার আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রায়গঞ্জের মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতিকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

    মহকুমা শাসকের বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছিল?

    ২২ মে এই মর্মে মহকুমা শাসক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ৬ জুন কালিয়াগঞ্জ (Kaliagan) বিডিও অফিসে রাধিকাপুরের চাঁদগা গ্রামে রাতে তল্লাশি অভিযানে অংশগ্রহণকারী সকল পুলিশকর্মীকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়। এর পাশাপাশি মৃতের পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা, প্রত্যক্ষদর্শীদেরও আসার জন্য বলা হয়। আর তাই এদিন সকাল ১১ টা থেকে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তার আগেই মৃত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন, স্ত্রী গৌরী বর্মন, দাদা বিষ্ণু বর্মন সহ এলাকার প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা বিডিও অফিসে চলে আসেন। প্রত্যেককে আলাদা করে মহকুমা শাসক জিজ্ঞাসাবাদ করেন ও তাঁদের বয়ান ভিডিও রেকর্ড করা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৭ জনের বয়ান ভিডিও রেকর্ড করা হয়। পাশাপাশি আরও কয়েকজন তাঁদের বয়ান কাগজে লিখে জমা দেন। কোনও পুলিশকর্মী এদিন সাক্ষ্য দিতে না আসায় তাঁদের জন্য আগামী সপ্তাহে একটি দিন নির্দিষ্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    নিহত মৃত্যুঞ্জয় (Kaliagan) বর্মনের স্ত্রী গৌরী বর্মন জানিয়েছেন, “মহকুমা শাসক সাক্ষ্যগ্রহণ করার শুরুতেই সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন। বিনা প্ররোচনায় পুলিশ সেদিন আমার স্বামীকে কীভাবে গুলি চালিয়ে খুন করেছে, তা জানাই। ওই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি আমি সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” এলাকার এক বাসিন্দা সত্যচরণ বর্মন বলেন, “সেদিন আমি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির বাইরে আসি। পুলিশ আমাকে ভয় দেখিয়ে সরে যেতে বলে। মৃত্যুঞ্জয় ঘর থেকে বেরিয়ে পুলিশকে তাঁর বাবাকে ধরে নিয়ে যাবার কারণ জিজ্ঞেস করে। তখনই এক অফিসার গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। আর তারপরেই তাঁকে গুলি চালানো হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের

    BJP: সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন বিজেপির সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে সরব হলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা। মঙ্গলবার দক্ষিণেশ্বরে পুজো দিতে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই তদন্তকে ভয় পাচ্ছেন কেন? জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার সময় তো আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) রেলমন্ত্রী ছিলেন। আপনি তো সেই সময় দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য সিবিআইকেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তাহলে সিবিআই নিয়ে আপনার কীসের এত ভয়? সিবিআই তদন্ত থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন কেন?

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বিমান বন্দরে আটকানো নিয়ে যথেষ্ট জলঘোলা হচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে কেন্দ্র ও নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন। এই ঘটনার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিলেন বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং। তিনি বলেন, “উনি রাজনীতি করেন। আর তদন্তকারী সংস্থার কাজ তদন্ত করা। সেটাই ইডি করছে। কোনও সমস্যা থাকলে ইডি-কে বলুন বা আইনগত ব্যবস্থা নিন। যা খুশি মন্তব্য করলে তো চলবে না।” সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যে ক্রমশ বেড়ে চলা বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে বলেন, “অন্য রাজ্যের বিরোধীদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ না করে নিজের রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে কেন, সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারণ, তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন সিদ্ধার্থনাথ সিং?

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে সৌগত রায়ের গরমকালের তত্ত্ব প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) নেতা বলেন “সৌগত রায়ের বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজন আছে। সরকারে আছেন যখন, তখন দায়িত্বশীল হয়ে কারা দোষী সেটা প্রকাশ করা উচিত। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তৃণমূল সরকার একদম দ্বায়িত্বশীল সরকার নয়।” বোমা বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাজ্যে সিন্ডিকেট রাজের মতো বোমার সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সরকার চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারে। কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে সরকার। তাই এসবের জন্য দায়ী একমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজসাক্ষী কারা? আদালতে কী জানাল সিবিআই?

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজসাক্ষী কারা? আদালতে কী জানাল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) চার্জশিটে এমন অনেকের নাম রয়েছে, সিবিআই যাদের গ্রেফতারের পথে হাঁটেনি। আদালতের এক প্রশ্নের জবাবে সিবিআই বলে, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। কারণ তাঁদের রাজসাক্ষী করার কথা ভাবা হচ্ছে। অর্থাৎ অপরাধের মাত্রা কম, এমন ব্যক্তিরাই নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) আদালতের সামনে জবানবন্দি দেবেন। চার্জশিটে নাম থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন! তা নিয়ে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা এদিন আদালতের মধ্যেই হইচই শুরু করে দেন। এদিনের শুনানিতে হাজির ছিলেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা, প্রাক্তন এসএসসি কর্তা সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, সুব্রত সামন্ত রায়, প্রসন্ন রায় সমেত মোট ১১ জন।

    অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবীরা কী বলছেন?

    অভিযুক্তদের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, চার্জশিটের ১৬.১.১৩ অনুচ্ছেদে কয়েকজনের নাম থাকলেও তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? এদের বিরুদ্ধে তো অভিযোগ রয়েছে যে তারা ওএমআর শিটে কারচুপি করেছে। এ বিষয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে উত্তর জানতে চান বিচারক।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    কী বললেন সিবিআইয়ের আইনজীবী?

    সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন বলেন, ‘‘রাজ্যজুড়ে একটি সংগঠিত অপরাধচক্রের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে যাদের বিরুদ্ধে জোরালো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিছু অভিযুক্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) জড়িত থাকলেও তাদের অপরাধের মাত্রা কম। কিংবা কোনও পারিপার্শ্বিক চাপে পড়ে তারা অপরাধে যুক্ত হয়েছে। এই ধরনের অভিযুক্তদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। পরবর্তী পর্যায়ে তাদের রাজসাক্ষীও করা হতে পারে। সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।’’

    জীবনকৃষ্ণ সহ প্রত্যেকেরই জামিনের আবেদন খারিজ 

    অভিযুক্তদের আইনজীবীদের তরফ থেকে প্রত্যেকেরই জামিনের আবেদন করা হয়। কিন্তু তা খারিজ করে দেন বিচারক। এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের জামিনের আর্জি জানিয়ে তাঁর আইনজীবী বলেন, উনি বয়স্ক। তারপর অসুস্থ। ওঁকে দরকারে গৃহবন্দি করে রাখা হোক। কিন্তু একথায় কর্ণপাত করেননি বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    CBI: সিবিআইয়ের নয়া ডিরেক্টর হচ্ছেন প্রবীণ সুদ, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম বাংলা নিউজ: কর্নাটক (Karnataka) ক্যাডারের আইপিএস (IPS) অফিসার প্রবীণ সুদ (Praveen Sood) হতে চলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের (CBI) নয়া ডিরেক্টর। রবিবার এই পদে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। মেয়াদ শেষ হতে চলেছে সিবিআইয়ের বর্তমান প্রধানের। সেই কারণেই প্রয়োজন ছিল নয়া সিবিআই প্রধান নির্বাচন। সেই জন্যই শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হয় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। বিরোধী দলের প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও। এদিন সিবিআই প্রধান পদে তিনজনের নামের সুপারিশ জমা পড়েছিল। এঁরা হলেন, কর্নাটকের ডিজিপি প্রবীণ সুদ, মধ্যপ্রদেশের ডিজিপি সুধীরকুমার সাক্সেনা এবং দমকল পরিষেবা, নাগরিক প্রতিরক্ষা এবং হোমগার্ড বিভাগের তাজ হাসান।

    সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর…

    বর্তমানে সিবিআইয়ের (CBI) ডিরেক্টর পদে রয়েছেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার সুবোধকুমার জয়সওয়াল। ২০২১ সালের ২৬ মে সিবিআই ডিরেক্টর পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। ২৫ মে শেষ হতে চলেছে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ। তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হবে, নাকি নতুন কাউকে নিয়োগ করা হবে, তা ঠিক করতেই শনিবার বসেছিল বৈঠক। রবিবার ঘোষণা করা হল প্রবীণের নাম।

    বস্তুত সিবিআই ডিরেক্টর হওয়ার দৌড়ে প্রথম থেকেই এগিয়েছিলেন প্রবীণ। হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা প্রবীণ আইআইটি দিল্লির প্রাক্তনী। ১৯৮৬ সালের আইপিএস অফিসার তিনি। এর আগে টানা তিন বছর ধরে কর্নাটকের ডিজিপি হিসেবে কাজ করেছেন প্রবীণ। ২০২৪ সালের মে মাসে অবসর নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সিবিআই ডিরেক্টর মনোনীত হওয়ায় তাঁকে কাজ করতে হবে কমপক্ষে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, দুর্নীত ও অর্থনৈতিক নানা অপরাধ থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাই প্রোফাইল মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই (CBI)।

    আরও পড়ুুন: সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে মোদি সরকার

    রবিবার যে সরকারি নির্দেশনামা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে প্রবীণকেই সিবিআইয়ের পরবর্তী ডিরেক্টর হিসেবে বেছে নিয়েছে ভারত সরকার। তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে দু বছর। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত কমিটি নিয়োগ করেন সিবিআই প্রধানকে। এই পদে কাউকে মনোনীত করা হয় দু বছরের জন্য। পরে প্রয়োজনে সর্বাধিক পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে তাঁর মেয়াদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ধৃতের মৃত্যু দমদম জেলে, কী অভিযোগ জানাল পরিবার?

    BJP: বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় ধৃতের মৃত্যু দমদম জেলে, কী অভিযোগ জানাল পরিবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জগদ্দলে বিজেপি (BJP) কর্মী আকাশ যাদব খুনের ঘটনায় রোহিত ওরফে গুড্ডু যাদব নামে এক যুবককে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার ভাই সুমিত যাদবকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। গুড্ডু এতদিন দমদম জেলে ছিল। ৭ মে জেলেই সে অসুস্থ হয়। তাকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুড্ডু বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। সোমবার রাতে জগদ্দলে গুড্ডুর দেহ আনতেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিবারের লোকজন ও গুড্ডুর অনুগামীরা তার মৃত্যুর প্রকৃত বিচার দাবি করেন।

    কীভাবে খুন হয়েছিলেন বিজেপি (BJP) কর্মী আকাশ?

    ২০২১ সালের মে মাসে ভোট পরবর্তী হিংসায় খুন হন জগদ্দলের বাসিন্দা আকাশ যাদব। তিনি এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে সবে বেরিয়েছিলেন আকাশ। অভিযোগ, বাড়ির অদূরেই তাঁকে প্রথম বোমা ছোড়া হয়েছিল। তারপর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। জগদ্দলের পুরানি তালাবের কাছে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আকাশের। ঘটনার পর থেকে ফেরার ছিল মূল অভিযুক্ত গুড্ডু। তার নামে হুলিয়া জারি হয়। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের মাঠ থেকে গুড্ডুকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে কার্তুজ, আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রথমে এই খুনের ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। পরে, সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে। সিবিআইয়ের হাতে গুড্ডু গ্রেফতার হয়। গুড্ডুকে নিয়ে এসে গত বছর তারা খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছিল। বিজেপি কর্মী খুনের তথ্যপ্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে এসেছিল। দমদম জেলে থেকেই গুড্ডুর বিচার চলছিল। তারমধ্যেই তার মৃত্যুতে নতুন করে রহস্য দানা বেঁধেছে।

    কী বললেন গুড্ডুর পরিবারের লোকজন?

    গুড্ডুর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, জেলে থাকাকালীন গত পাঁচদিন ধরে সে অসুস্থ ছিল। এই বিষয়ে আদালত এবং জেল কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। কেউ কোনও সুরাহা করেনি। কার্যত বিনা চিকিত্সায় তার হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সব মৃত্যুই দুঃখজনক। আকাশ আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁকে খুনের ঘটনায় সিবিআই গুড্ডুকে গ্রেফতার করেছিল। গুড্ডু অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছে, না এর পিছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েঁরা, তা সিবিআই খতিয়ে দেখুক। কারণ, বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে সব কিছুই সম্ভব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: তিহাড়েই কেষ্ট! খারিজ আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন

    Anubrata Mondal: তিহাড়েই কেষ্ট! খারিজ আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতর (Anubrata Mondal) আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পরে কেষ্ট মণ্ডলকে রাখা হয় আসানসোলের সংশোধনাগারে। ইডি হেফাজতে দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে নানা কৌশল অবলম্বনও করতে দেখা যায় একদা বীরভূ্মের ত্রাসকে। যে পুলিশ তাঁর কথায় ওঠবস করতো তারাই মামলা ঠুকতে থাকে অনুব্রতর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীকে মারধর। দুবরাজপুর আদালতে হাজির করিয়ে মেলে বেশ কয়েকদিনের পুলিশ হেফাজত কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি, দিল্লি যেতেই হয়। প্রথমে দুসপ্তাহের ইডি হেফাজতে পরে তাঁর ঠাঁই হয় তিহাড়ে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, প্রভাবশালী অনুব্রত (Anubrata Mondal) আসানসোল জেলে বসেই পরিচালনা করতেন বীরভূমের সংগঠন, তিহাড়ে বসে তিনি তা করতে পারছেন না, তাই আসানসোল ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন তিনি। কোর্টের ভিতরে ও বাইরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলতেন কেষ্ট। জেল হেফাজতে থাকাকালীন শক্তিগড়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ল্যাংচা খেতেও দেখা গেছে তাঁকে। কিন্তু এখন তিহাড়ে দু’বার স্নান করার পর্যাপ্ত জলও মিলছে বলে অনুযোগ করেন কেষ্ট।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    কী বললেন বিচারক?

    তিনি তিহাড়ে থাকবেন নাকি আসানসোলে ফিরবেন এবিষয়ে অনুব্রতের আবেদনের ভিত্তিতে ১ মে দীর্ঘ শুনানি হয়েছিল দিল্লির আদালতে। তবে সেই দিন কোনও নির্দেশ দেননি বিচারক। অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। এদিনই বিচারক নির্দেশ দেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) তিহাড়েই থাকবেন। প্রসঙ্গত, ইডির আইনজীবী দিল্লির আদালতে আগে একাধিকবার বলেন, একজন অভিযুক্ত কীভাবে স্থির করতে পারেন তিনি কোন জেলে থাকবেন? দিল্লির আদালতে ইডির আইনজীবী অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) এও বলেন, তিহাড়কেই ঘর ভেবে ফেলুন। আগামী ৩-৪ বছর এখানেই থাকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ষষ্ঠ পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ‘খেলা হবে, কঠিন খেলা হবে’-এই স্লোগান দিয়ে বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড (Post Poll Violence) চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সন্তান হারানো মায়ের আর্তনাদ, স্বামী হারানো স্ত্রীর কান্না, পিতা হারানো সন্তানের বেদনা আপামর বঙ্গবাসীর কাছে ছিল জাতীয় বিভীষিকা, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। না হলে শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন বলে এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়!

    কে এই অরূপ রুইদাস?

    অরূপ রুইদাস ছিলেন বাঁকুড়ার ইন্দাসের তফশিলি সমাজের মানুষ। বাবা গণেশ রুইদাস এবং মা কাঞ্চন রুইদাস দুজনই বৃদ্ধ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ পাশ করেন অরূপ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ না থাকায় কলকাতায় একটি বইয়ের দোকানে কাজ করতেন। পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন অরূপ। প্রধানমন্ত্রীর মিটিং-এ গিয়ে বিজেপির পতাকা লাগিয়েছিলেন। ভোটের দিন বুথে বিজেপির এজেন্ট হিসাবেও বসেছিলেন অরূপ। আর তারই খেসারত দিতে হল তাঁকে। শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হওয়ার জন্যই তাঁকে খুন (Post Poll Violence) হতে হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের।

    কীভাবে হল নির্মম হত্যা!

    পরিবারের সদস্যদের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, ২ মে ফলাফল ঘোষণার পরদিন, অর্থাৎ ৩ মে সকাল ১১ টা নাগাদ বাড়িতে এসে ৫-৬ জন প্রথমে দেখে নেবো বলে হুমকি দিয়ে যায়। তারপর ৪ মে ঠিক দুপরবেলা ‘খেলা হবে খেলা হবে/ ঠিক ঠিক খেলা হবে’ ডিজে গান আর অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু হয়। দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি তখনও, এমন সময় প্রায় ১০০ জন তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে বাবা-মাকে বেধড়ক মারধর করে। তারপরই অরূপের গায়ের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং গলায় একটা লাল গামছা বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যায় খামারের দিকে। এরপর আর অরূপকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরের দিন ৫ মে সকালে বর্ধমানের বল্লভপুর এবং দিগল গ্রামের মাঝের এক বটগাছে ঝুলন্ত দেহ (Post Poll Violence) খুঁজে পাওয়া যায়। পুলিশ এসে দেহ শনাক্ত করে। বৃদ্ধ নিরুপায় বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

    একইসঙ্গে চলেছিল লুটপাট 

    সেই হামলা ছিল ভয়াবহ। পরিবারের বিবরণ অনুযায়ী, মাটির ঘরের সিমেন্টের সব চাল ভেঙে ফেলা হয়। বাড়িতে পায়খানা, রান্নাঘরের গেট ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। লোহার করাত দিয়ে বাঁশ-বেত কেটে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির চাল, ডাল, শাক-সবজি, গচ্ছিত টাকা, গয়না সব লুট করে নিয়ে চলে যায় তারা। হত্যার (Post Poll Violence) পর অরূপের কাকা প্রায় ৬ মাস ঘরছাড়া ছিলেন।

    পুলিশ উল্টে বাড়ির লোকের বিরুদ্ধেই মামলা করল

    পরিবারের অভিযোগ, খুনের (Post Poll Violence) বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে কোনও অভিযোগ জমা নেয়নি। উল্টে পুলিশ বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করে বলে অভিযোগ মায়ের। পুলিশ পরিবারের বিরুদ্ধে ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭, ৫০৬ ধারায় মামলা করেছিল। পুলিশের প্রতি পরিবারের কোনও আস্থাই নেই বলে পরিবারের লোকজন সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন।

    সিবিআই তদন্ত চলছে

    নির্যাতনের সময় এবং পরে পরিবারের সঙ্গে পুলিশ অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করে বলে অভিযোগ। পরিবার বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করে। চাপে পড়ে পুলিশ বাড়িতে একজন রক্ষী নিযুক্ত করে। মায়ের দাবি, প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল শেখ সইফুদ্দিন, শেখ হামিদ, শেখ নাসের, শেখ কালু, ফকির আহম্মদ শেখ, শেখ বাবু। এই খুনের পিছনে প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশ শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। হাইকোর্টের নির্দেশে পরবর্তীতে সিবিআই খুনের (Post Poll Violence) তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, হত্যাকারীদের ফাঁসিকাঠে ঝোলাতে হবে।

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩ : ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে! 

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share