Tag: cbi

cbi

  • CBI: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের প্রস্তুতি শুরু

    CBI: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের প্রস্তুতি শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ফরেন্সিক মেডিসিন দফতরের অধ্যক্ষ দেবাশিস সোম এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুজাতা ঘোষ। সিবিআই তাঁদের তদন্তের আওতায় রেখেছে। এই মর্মে স্বাস্থ্যসচিব এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ৯ অক্টোবর চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে নিজেদের বক্তব্য জানাল স্বাস্থ্য দফতর।

    দু‘জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত (CBI)

    সিবিআই (CBI) সূত্রের দাবি, তদন্তকারীদের ওই চিঠির পর স্বাস্থ্য দফতরে তরফে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, ওই দু’জনের দুর্নীতির বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবন অবগত নয়। তবে, সিবিআইয়ের চিঠির ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া যায় বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়েছে। সিবিআইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জনের বিষয়ে বিভাগীয় তদন্তের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।’’ তবে স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতাল থেকে ওষুধ সরবরাহ এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক সামগ্রীর বিষয়ে অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন চাওয়া হত স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। আবেদন অনুযায়ী স্বাস্থ্য দফতর তা মঞ্জুর করত। ওই বিষয়টি সিবিআইকে বিশদে জানানো হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, দেবাশিস ও সুজাতাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ওই দু’জন দুর্নীতি এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার তথ্যও পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিরাম নয় বারিধারায়! শনিবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস

    রাজ্যের আইনজীবীর কী বক্তব্য ছিল?

    আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের চিকিৎসক খুন-ধর্ষণ এবং হাসপাতালের দুর্নীতির মামলার শুনানিতে চিকিৎসকদের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, আরজি কর কলেজে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পরে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘সিবিআই (CBI) দুর্নীতির তদন্ত করছে। সে ক্ষেত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারদের নাম পাঠালে রাজ্য বিবেচনা করবে।’’ এর পরেই দেবাশিস ও সুজাতার নাম উল্লেখ করে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি দেয় সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সন্দীপ-অভিজিৎ, ধৃতদের ফোনে মিলেছে বহু ভিডিও, কী আছে তাতে?

    RG Kar Incident: ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেলেই সন্দীপ-অভিজিৎ, ধৃতদের ফোনে মিলেছে বহু ভিডিও, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডে ধৃত সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিনা, তার তদন্ত এখনও চলছে। তবে তাঁরা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। শুক্রবার আদালতে বিচারক অভিজিৎ মণ্ডলের এজলাসে এমনই দাবি করল সিবিআই। 

    সত্য যাচাইয়ের পরীক্ষায় রাজি নন ধৃতরা

    সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়, অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল থেকে কিছু ভিডিও মিলেছে, যা ‘তদন্তসাপেক্ষ’। আরও কিছু ডিজিট্যাল তথ্য সংগ্রহ করার লক্ষ্যেই ধৃতদের আরও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের আবদেন জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী। তদন্তকারী সংস্থার তরফে ধৃত দু’জনের নারকো ও পলিগ্রাফ টেস্ট করার আবেদন করা হয়। তবে, নারকো টেস্টের জন্য রাজি হননি সন্দীপ ঘোষ। অন্যদিকে, পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য রাজি হননি অভিজিৎ মণ্ডল। আরজি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে সিবিআই। শুক্রবার সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, সন্দীপ এবং অভিজিতের ফোন থেকে কিছু ‘তদন্তসাপেক্ষ’ ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার আরও দাবি, ঘটনা চাপা দিতে ধৃতদের মোবাইল থেকে বেশ কিছু ফোন কলও করা হয়েছিল। কয়েক জন সাক্ষীকে ফোন করেছিলেন তাঁরা। এই বিষয়গুলিই বেশি করে খতিয়ে দেখতে চাইছে বলে আদালতে জানায় সিবিআই।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতেই বাংলায় উপনির্বাচন, সব বুথে হবে ওয়েব কাস্টিংও

    প্রভাবশালী তত্ত্ব সিবিআইয়ের

    জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের বক্তব্য, ধৃত দু’জনই প্রভাবশালী। তাঁরা জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। ধৃতরা মূল ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা বা তার পূর্ব পরিকল্পনা ছিল কিনা তার তদন্ত চলছে। টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের আইনজীবীর প্রশ্ন,  “সিএফএসএল-এর রিপোর্ট পেয়ে যাওয়ার পর আবার কী রিপোর্ট করাবে? আমার মক্কেল যাওয়ার আগে অনেকেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।” সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য, “আমার মক্কেলকে গ্রেফতারের কোনও কারণ আজও জানানো হয়নি।” সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী আদালতে জানান, “সঞ্জয় রায়ের কিছু বায়োলজিক্যাল এভিডেন্স পেয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে যা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।” সিবিআই আদালতে জানায়,  এখন দেখা হচ্ছে যে ঘটনার সঙ্গে অর্থাৎ মূল ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: গভীর ষড়যন্ত্র? ওসি অভিজিতের পলিগ্রাফ ও সন্দীপের নারকো টেস্ট করতে চায় সিবিআই

    RG Kar: গভীর ষড়যন্ত্র? ওসি অভিজিতের পলিগ্রাফ ও সন্দীপের নারকো টেস্ট করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের সময় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) নারকো টেস্ট করাতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এদিনই শিয়ালদা আদালতে এই মর্মে আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গুজরাটের গান্ধীনগরে সন্দীপ ঘোষের নারকো অ্যানালাইসিস টেস্ট করাতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আদালতে এর আগেই সিবিআই জানিয়েছিল কোনও অপরাধের ক্ষেত্রে গভীর ষড়যন্ত্র থাকলে নারকো টেস্টের মাধ্যমে রহস্য উন্মোচন করা সম্ভব হয়। সিবিআই ইতিমধ্যে জানিয়েছে, এর আগে সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে এবং দিল্লির সিএফএসএল-র রিপোর্ট অনুযায়ী বেশ কিছু অসঙ্গতি (RG Kar) পাওয়া গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বয়ানে। এবার তাঁর নারকো অ্যনালাইসিস টেস্ট করাতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। 

    সন্দীপের আর্জিতে আমল দিল না উচ্চ আদালত

    এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar)  জেল বন্দি প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মামলা জরুরি ভিত্তিতে শোনার আর্জিতে আমলই দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) দাবি ছিল, তাঁর পরিবারে অনটন চলছে, তাই ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে তিনি কিছু টাকা তুলতে চান। এই আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। শুক্রবার সেই মামলা শোনার কথা ছিল আদালতে। কিন্তু সেই আর্জিতে কোনও আমলই দিল না কলকাতা হাইকোর্ট।

    ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে (RG Kar) ফের তলব

    অন্যদিকে, আরজিকর কাণ্ডে নিহত মহিলা চিকিৎসকের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাসকে ফের একবার তলব করল সিবিআই। শুক্রবারে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন ওই ডাক্তার। প্রসঙ্গত, আরজি করের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক হলেন অপূর্ব বিশ্বাস। তিনিই নিহত চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁকে এর আগে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর আগেই অপূর্ব বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, নিহত চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্ত দ্রুত করার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়েছিল। সংবাদ মাধ্যমকে অপূর্ব বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, ঘটনার পরেই মৃতার কাকা পরিচয় দিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে জানা যায়, ওই কাকা আসলে সঞ্জীব নামের এক ব্যক্তি। যাঁকে নির্যাতিতা, কাকু বলে সম্মোধন করতেন। সঞ্জীব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    Nadia: কৃষ্ণনগরে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন! সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টে নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডের আবহে নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে পুজো মণ্ডপের কাছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই, রাজ্য পুলিশের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না কৃষ্ণনগরের ‘নির্যাতিতা’ তরুণীর মা। তিনি চান সিবিআই মেয়ের মৃত্যুর তদন্ত করুক। আর্জি জানাতে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। 

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Nadia)

    বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরে (Nadia) এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়েরাই দেহটি রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরিবারের অভিযোগ, দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। আঙুল ওঠে তরুণীর প্রেমিকের দিকে। প্রাথমিক তদন্তে নেমে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মেয়েটির সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত যুবকের। ওই যুবক ভিনরাজ্যে একটি হোটেলে কর্মরত ছিলেন। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাঁদের বিয়ে হবে বলেও স্থির হয়। ওই যুবকের বাড়িতে মাঝে মধ্যেই যেতেন ওই তরুণী। তার পরেও এমন ঘটনা কেন, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। প্রায় ২৪ ঘণ্টা কাটলেও কৃষ্ণনগরে তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অনেক ধোঁয়াশাই কাটছে না।

    আরও পড়ুন: হাসিনার পরিবারের সঙ্গে যুক্ত আটটি জাতীয় দিবস বাতিল হচ্ছে বাংলাদেশে

    ময়না তদন্তের রিপোর্ট কী বলছে?

    পরিবারের দাবি মেনে বৃহস্পতিবার কল্যাণীর (Nadia) জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ‘নির্যাতিতার’ দেহের ময়নাতদন্ত হয়। যদিও, ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এটাও মনে করছেন, অ্যাসিডে নয়, তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে খুন করা হতে পারে। কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য় বাইরে পাঠানো হচ্ছে। 

    পুলিশে আস্থা নেই, সিবিআই তদন্তের দাবি

    তার আগে মৃতার মা বলেন, ‘‘বুধবার সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত যে ঘটনাপ্রবাহ দেখেছি, তার পরে আর পুলিশের ওপরে আস্থা রাখতে পারছি না। পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এটা এক জনের কাজ হতে পারে না। বাকিদের ব্যাপারে পুলিশের কোন উৎসাহ নেই কেন?’’ তাঁর অভিযোগ, ’’পুলিশ একাধিক কাগজে সই করার জন্য চাপ দিয়েছে। এমনকী কাগজ না পড়িয়েই সই করানোর চেষ্টা করে। তাই, পুলিশের ওপর আমাদের আস্থা নেই। নিরপেক্ষ তদন্ত এবং যথোপযুক্ত সাজার জন্য মেয়ের খুনের তদন্ত করুক সিবিআই (CBI)। আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাব। প্রয়োজনে বাড়ি বিক্রি করে এই লড়াই চালাব।’’

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    কৃষ্ণনগরের (Nadia) তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যান এডিজি সিআইডি সোমা দাস এবং সুপ্রতিম সরকার এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ)। পাশাপাশি সঙ্গে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিত কুমার সহ জেলার অন্যান্য আধিকারিকরা। কৃষ্ণনগরকাণ্ডে সিট (বিশেষ তদন্তকারী দল) গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্তে সিআইডি (রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ)-র সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জানালেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, কৃষ্ণগর জেলা পুলিশ সর্বস্তরে মৃত যুবতীর পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। ইতিমধ্যেই তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। অভিযুক্ত রাহুল বোসকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি এবং অনেক জিজ্ঞাসাবাদ বাকি রয়েছে। সেই কারণে আমরা অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হবে। পাশাপাশি, যুবতীর পরিবারের যে দাবি ছিল সেই অনুযায়ী ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার কাজ চলছে।

    হত্যার নেপথ্যে কী কারণ?

    ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত নেমে বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক লোকেশন ট্র্যাক করে খুনের কিনারা করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সূত্রের খবর, ঘটনার একদিন আগে একটি বাইকের শোরুমে যায় অভিযুক্ত ও নির্যাতিতা। নির্যাতিতা বাইক কেনার কিছু টাকা বাড়ি থেকে জোগাড় করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কথা রাখতে না পারা নিয়ে তীব্র গোলমাল হয় বলে দু’জনের মধ্যে।

    অন্য একটি সূত্রের খবর, ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। তরুণীর প্রেমিক হোটেলে কাজ পেয়ে বেঙ্গালুরুতে চলে যান। বাড়িতে না জানিয়ে দিন পনেরোর জন্য তরুণী প্রেমিকের কাছেও চলে গিয়েছিলেন। সে সময়ে তাঁর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    সম্পর্কে টানাপোড়েন নাকি টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন, সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি কর দুর্নীতিতে ‘যোগ’! রাজ্যের হাতে ডাক্তারদের তালিকা দিল সিবিআই

    RG Kar: আরজি কর দুর্নীতিতে ‘যোগ’! রাজ্যের হাতে ডাক্তারদের তালিকা দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দেহের তালিকায় থাকা চিকিৎসকদের নামের তালিকা রাজ্যকে পাঠাল সিবিআই। সূত্রের খবর, অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের অধ্যাপক-চিকিৎসক সুজাতা ঘোষ এবং অপর এক চিকিৎসক দেবাশিস সোম সিবিআইয়ের আতসকাচের তলায় রয়েছেন। জানা গিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে এ কথা জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ছিল আরজি কর মামলার শুনানি। সে দিনের শুনানিতে জানা যায়, সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তের আওতায় থাকা একাধিক জন এখনও আরজি করে (RG Kar) বিভিন্ন পদে রয়ে গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: এনএসজির বদলে এবার ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাবে সিআরপিএফের বিশেষ দল

    সিবিআইয়ের চিঠিতে রয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের শুনানির কথাও 

    চাপে পড়ে রাজ্য তখন শীর্ষ আদালতকে জানায়, সিবিআই তদন্তের আওতায় থাকা ব্যক্তিদের (RG Kar) নামের তালিকা দিলেই পদক্ষেপ করা হবে। তখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও জানিয়েছিলেন, সিবিআই নামের তালিকা দিলে রাজ্যকেও আইন মেনে পদক্ষেপ করতে হবে। নিজেদের চিঠিতে শুনানির সেই কথাও উল্লেখ করেছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, ও অপর একজন আশিষ পাণ্ডে। এবার আরও দুই চিকিৎসককে নিয়ে শুরু হল চর্চা।

    কী লিখল সিবিআই?

    জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে সিবিআই লিখেছে, আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির মামলায় (RG Kar) দুই চিকিৎসক— সুজাতা ঘোষ এবং দেবাশিস সোম বর্তমানে তদন্তের আওতায় রয়েছেন। হাসপাতালের বিভিন্ন জিনিসপত্র কেনা, হাউস স্টাফ বাছাই-সহ একাধিক ক্ষেত্রে এই দু’জনের সক্রিয় যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে, নিজেদের চিঠিতে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আরজি করের আর্থিক দুর্নীতিতে এই চিকিৎসকের কী ভূমিকা ছিল, তা তদন্ত করে দেখছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা।

    আরও পড়ুন: ঘুচল অন্ধত্ব, হাতে তরোয়ালের জায়গায় সংবিধান, নব কলেবরে ‘লেডি অফ জাস্টিস’ 
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: প্রাথমিক টেটে অযোগ্যদের তালিকা আমলাকে পাঠান স্বয়ং পার্থই, দাবি সিবিআইয়ের

    Partha Chatterjee: প্রাথমিক টেটে অযোগ্যদের তালিকা আমলাকে পাঠান স্বয়ং পার্থই, দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা (TET) আমলাকে পাঠান স্বয়ং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঠিক এমনটাই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বিকাশ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হওয়া গুরুত্বপূর্ণ নথি দেখার পর এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারী অফিসারদের হাতে। এই তথ্যের উপর নির্ভর করে তাঁকে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা।

    তালিকাভুক্তদের অনেকেই অযোগ্য (Partha Chatterjee)

    গত জুন মাসে বিকাশ ভবনে টানা অভিযান চালায় সিবিআই। সেখানে ২০১৪ সালের অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) সঙ্গে টেট (TET) দুর্নীতির প্রত্যক্ষ যোগসূত্র রয়েছে। বিকাশ ভবনের গুদামঘর থেকে উদ্ধার হয় বস্তাভর্তি নথিপত্র। তার মধ্যে ছিল, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার টেট প্রার্থীদের তালিকা। মোট ৭৫৩ জনের একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে ওই বছর ৩১০ জনের চাকরি হয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকাভুক্তদের অনেকেই অযোগ্য। বাজেয়াপ্ত নথি ঘেঁটে জানা গিয়েছে, পার্থ অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন এক সরকারি আমলাকে। ওই তালিকা থেকে কয়েক জনের চাকরি হয়। এই নথির মধ্যে প্রভাবশালী কয়েকজনের নাম পাওয়া গিয়েছে বলে খবর।

    ২০২২ সালে গুদামটি সিল করেছিল সিবিআই

    শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ব্যবহৃত ওই গুদামটি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিল করেছিল সিবিআই। এই গুদামে তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি উদ্ধার করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার টেট সংক্রান্ত জরুরি তথ্য ছাড়াও সেই নথিতে ছিল পরীক্ষার্থী এবং চাকরি প্রাপ্তদের নামের তালিকাও।

    আরও পড়ুনঃ ১৮ অক্টোবর সিঙ্গুরে রতন টাটার ছবি নিয়ে মৌন মিছিলের ডাক শুভেন্দুর

    নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন পার্থ

    ২০২২ সালের ২২ জুলাই তারিখে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশির পর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। এরপর এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তৎকালীন এই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতাকেও গ্রেফতার করেছিল। যদিও আলাদা করে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেয়নি পার্থকে। বর্তমানে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে, পার্থর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় জামিনের আবেদন শুনানি শেষ হয়েছে। রায়দান আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে হাইকোর্টে।         

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    RG Kar Case: ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডে ধৃত সিভিক ছাড়া আর কে কে জড়িত? তদন্ত চলছে, শীর্ষ আদালতে জানালো সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতলে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ধৃত সিভিক ছাড়া আর কেউ জড়িত কিনা, এই বিষয়ে জানতে তদন্ত চলছে। কার্যত সুপ্রিমকোর্টে এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারেরা। উল্লেখ্য, আগেই সিবিআই (CBI), ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সঞ্জয় রায়ের নামই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। কিন্তু গত ৯ অগাস্টের পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে এই খুনের মামলায় একাধিক ব্যক্তির ষড়যন্ত্র ছিল বলে বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকরা মতামত দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।

    তদন্তের গতিপ্রকৃতির রিপোর্ট পড়েন প্রধান বিচারপতি (RG Kar Case)

    মঙ্গলবার ফের একবার চিকিৎসক তরুণীর হত্যা মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এই শুনানি। আবার আরজি কর মামলায়, গত ৭ অক্টোবর সিবিআই প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল শিয়ালদা আদালতে। এই চার্জশিটে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে নাম দেওয়া হয় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। সেইসঙ্গে শিটে নাম দেওয়া প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের নামও। এদিন সুপ্রিম কোর্টে এই চার্জশিটের কথার ফের উল্লেখ করা হয়। সেই সঙ্গে চার্জশিটের কপিও জমা করা হয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। খুনের পিছনে আরও কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশেষ রিপোর্ট দেন সলিসেটার জেনারেল তুষার মেহতা। সেই রিপোর্ট প্রধান বিচারপতি এদিন পড়েন।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যের আপত্তি খারিজ, ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-কে অনুমতি হাইকোর্টের

    নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছে সিবিআই

    এদিন শুনানি চলার সময়, প্রধান বিচারপতি সিভিক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যকে কড়া প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়ারদের কে নিয়োগ করে? কী ভাবে নিয়োগ হয় তাঁদের? এখন রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার আছেন?’’ উত্তরে রাজ্য জানায় সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগ করে থাকে। হাসপাতালের সুরক্ষার প্রসঙ্গে বলেন, “ইন্টিগ্রেটেড হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ১ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। সব হাসপাতালে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।” অপর দিকে নির্যাতিতার (RG Kar Case) পরিবারের সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররা (CBI) নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে একজন নোডাল অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে।….

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    CBI: পার্থকে জেরা করতে জেলে সিবিআই, পুজোর পর ফের সক্রিয় কেন্দ্রীয় সংস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chaterjee) জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে গেল সিবিআই। পুজোর আগে সিবিআই (CBI) আদালতের থেকে এ ব্যাপারে অনুমতি পেয়েছিল। পুজো মিটতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মঙ্গলবারই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করতে প্রেসিডেন্সি জেলে যায় সিবিআই।

    আদালতে মিলল অনুমতি (CBI)

    বর্তমানে এসএসসি মামলাতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সিবিআই অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করলেও পার্থকে নিজেদের হেফাজতে চায়নি। বরং জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে চেয়েছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পরই সিবিআই (CBI) তৎপর হয়। পার্থের পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত অয়নক শীলকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তাঁকেও অবশ্য নিজেদের হেফাজতে চায়নি কেন্দ্রীয় সংস্থা। প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর বিশেষ সিবিআই আদালতে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে হাজির করানো হয়। তার পর তাঁকে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের আবেদন জানায় সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। তার পরেই পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। জেলে গিয়ে পার্থকে জেরার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিতে চায় না মমতার পুলিশ’’, সরব শুভেন্দু

    চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর

    প্রসঙ্গত, প্রায় আড়াই বছর আগে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ২০২২ সালের ২২ জুলাই দক্ষিণ কলকাতার নাকতলায় পার্থর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। পার্থর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ তল্লাশিতে দু’জায়গা থেকে প্রচুর নগদ, সোনা, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেছিল তারা।সোনাদানা, ফ্ল্যাট-বাড়ি মিলিয়ে কম করে ৬০ কোটির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-ও পরবর্তী সময়ে পার্থ-অর্পিতাকে গ্রেফতার করে। অন্য দিকে, কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর জামিনের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছে হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ইডির মামলায় জামিনের যে আর্জি করা হয়েছিল পার্থর তরফে তা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৭ অক্টোবর। তার আগে সিবিআই কার্যত চাপ বাড়াচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ওপর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    RG Kar: ধর্ষণ করে খুন মাত্র ২৮ মিনিটে! সঞ্জয়ের সেদিনের বিশদ গতিবিধি সিবিআইয়ের চার্জশিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর-কাণ্ডের (RG Kar) দিন ধৃত সঞ্জয় রায়ের গতিবিধির সমস্তটাই ধরা পড়ল সিবিআইয়ের চার্জশিটে। মঙ্গলবারই নিম্ন আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরজি কর-কাণ্ডে ৪৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, মাত্র ২৮ মিনিটের মধ্যে গোটা কাণ্ড ঘটায় সঞ্জয়। গত ৯ অগাস্ট ভোর ৪ টে ০৩ মিনিট থেকে ভোর ৪ টে ৩১ মিনিট—এই ২৮ মিনিটে ওই ঘটনা ঘটায় ধৃত সিভিক। ৮ অগাস্ট দুপুর থেকে সঞ্জয়ের গতিবিধির প্রতিটি মুহূর্তের বিবরণ রয়েছে চার্জশিটে। সিবিআইয়ের দেওয়া চার্জশিটে (CBI) কোনওভাবেই নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করা হয়নি, তাঁকে ভিকটিম (V) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সর্বত্রই ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম উল্লেখ রয়েছে।

    ৮ অগাস্ট দুপুরে কোথায় কোথায় গিয়েছিল সঞ্জয়?

    সিবিআইয়ের চার্জশিট (RG Kar) অনুযায়ী সঞ্জয় রায়ের গতিবিধির ১৬ ঘণ্টা ধরে বর্ণনা রয়েছে। ঘটনার দিন দুপুরে অর্থাৎ ৮ অগাস্ট কলকাতা পুলিশের ৪ নম্বর ব্যাটালিয়ানের ব্যারাক থেকে সঞ্জয় বের হয়েছিল। সঙ্গে থাকা আর এক সিভিক ভলান্টিয়ারের এক আত্মীয় ভর্তি ছিল আরজি করে। তাঁকেই দেখতে গিয়েছিল সঞ্জয় এবং তার বন্ধু। এরপরে তারা দুপুর ২ টো ৪৫ নাগাদ পৌঁছায় এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের শোভাবাজার শাখায়। এক এএসআইয়ের নগদ টাকা জমা দিতে গিয়েছিল তারা। চার্জশিটে সিবিআই (CBI) জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাওয়াতে সঞ্জয় সেই টাকা জমা দিতে পারেনি। ব্যাঙ্কে কাজ না হওয়ায় দুজনে মিলে মদ কেনে। তারপর সঞ্জয় চলে যায় আরজি করে। অন্য সিভিক ফিরে যায় ব্যারাকে।

    ৮ অগাস্ট রাতে সঞ্জয় যায় যৌনপল্লিতে

    চার্জশিটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, (RG Kar) ৮ অগাস্ট রাত ১০টা ৪৫ নাগাদ সঞ্জয়ের অনুরোধে ব্যারাক থেকে তার বন্ধু সিভিকটি ফের পৌঁছায়  আরজি করে। এরপরে তারা দুজন মিলে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে রাতের খাবার ও মদ কেনে। এরপর চেতলার একটি যৌনপল্লিতে যায় তারা। নিজেদের চার্জশিটে সিবিআই লিখছে, ওই যৌনপল্লির একটি বাড়িতে ঢোকে সঞ্জয় রায় ও তার বন্ধু। তবে আরজি করের ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত সঞ্জয় কোনও যৌনকর্মীর সঙ্গে ঘরে ঢোকেনি। শুধু বিয়ার খেয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে। কিন্তু সঞ্জয়ের বন্ধু এক যৌনকর্মীর সঙ্গে ঘরে ঢুকে ছিল বলেই জানা গিয়েছে।

    ভোরে সঞ্জয়কে আরজি করে (RG Kar) ছেড়ে দেয় তার বন্ধু

    চেতলার ওই যৌনপল্লি থেকে বের হয়ে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার ৯ অগাস্ট ভোর তিনটে কুড়ি নাগাদ আরজি করে পৌঁছায়। সিবিআই চার্জশিট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে সঞ্জয়কে আরজি করে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় তার বন্ধু। সঞ্জয় ট্রমা কেয়ার সেন্টারের দোতলায় সোজা উঠে যায়। জনৈক শুভ দে-র অস্ত্রোপচারের বিষয়ে খোঁজ নিতে যায়, তবে কাউকে দেখতে পায়নি সে। তার পরে সে চলে যায় ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায়। সেখান থেকে নেমে আসে চারতলায়। ভোর ৪টে ৩ মিনিটে চেস্ট মেডিসিনের সেমিনার রুমে ঢোকে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। সেখানেই একা শুয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। ধর্ষণ এবং খুনের পরে ভোর ৪ টে ৩১ মিনিটে সেমিনার রুম থেকে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    CBI: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar) শিয়ালদা কোর্টে প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিবিআই (CBI)। চার্জশিটে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ই তরুণী চিকিৎসককে মত্ত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুন করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে সঞ্জয় রায়ের। অভিযুক্ত সিভিকের ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে একাধিক ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

    সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! (CBI)

    সিবিআই (CBI) এফআইআর করেছিল ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (১) খুনের ধারায়। তবে চার্জশিট দিল ৬৪ (ধর্ষণ), ৬৬ (ধর্ষণ করতে গিয়ে কাউকে হত্যা বা তাকে মৃতপ্রায় (vegetative state) করলে, সেই ধারায়। সেই সঙ্গে দেওয়া হল ১০৩ (১) খুনের ধারা। চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি সেমিনার রুমে পৌঁছে নির্যাতিতাকে দেখে। তারপরেই ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাধা পেয়ে আঘাত করে যার ফলে নির্যাতিতা মৃতপ্রায়, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। সেই অবস্থায় ধর্ষণ করা হয়। অর্থাৎ সিবিআই গণধর্ষনের কোনও ধারা যুক্ত করল না এক্ষেত্রে। ঘটনাস্থলে আর কারও উপস্থিত থাকা এবং খুন-ধর্ষণ কাণ্ডে সিভিক ছাড়া আর কারও যোগ খারিজ এই চার্জশিট অনুযায়ী। অভিযুক্তের বিকৃত যৌন প্রবৃত্তি এবং মানসিক বিকৃতি আছে, সেটাও উল্লেখ সিবিআই চার্জশিটে। মোট ১২৮ জনের বয়ান রেকর্ড করার কথা উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। 

    আরও পড়ুন: বীরভূমের খনিতে বিস্ফোরণ, মুখ বোজাতে সেই ‘টাকার খেলা’ মমতার! বিজেপি চাইল এনআইএ

    ধারা অনুযায়ী কী সাজা হতে পারে ধৃত সিভিকের?

    সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতা ৬৪ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণ। ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ৬৬ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণের জেরে খুন। এই ধারা প্রমাণিত হলে কুড়ি বছরের কারাবাস বা জেলে স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত কারাবাস কিংবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ভারতীয় ন্যায় সুরক্ষা সংহিতার ১০৩ (১) ধারা অর্থাৎ খুন। এই ধারা প্রমাণিত হলে আমৃত্যু কারাবাস কিংবা মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। মামলার দায়ভার নেওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় এবার শিয়ালদা কোর্টে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। চার্জশিটটি ২১৩ পাতার। সেখানে ২০০জন সাক্ষীর কথা উল্লেখ করেছে সিবিআই। সেই সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা উঠে আসছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share