Tag: cbi

cbi

  • CBI: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

    CBI: চাকরির টোপ দিয়ে ‘মানব’ পাচার রাশিয়ায়, চক্রের খোঁজে ভারতজুড়ে সিবিআই তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা মাইনের লোভ দেখিয়ে ভারতীয় তরুণদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাশিয়ায়। পরে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, ক্ষেপণাস্ত্রের খাদ্য হতে। এ ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যের আসার পর শুক্রবার সাত সকালে দেশের ১৩টি জায়গায় তল্লাশি চালাল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৩৫ জনকে এভাবে পাচার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। এখনও কত তরুণ না জেনেই জড়িয়ে গিয়েছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, তা জানতে জোর কদমে চলছে তল্লাশি।

    দেশজুড়ে সিবিআই তল্লাশি (CBI)

    এদিন দিল্লি, মুম্বই, তিরুবনন্তপূরম, অম্বালা, চণ্ডীগড়, মাদুরাই এবং চেন্নাইয়ে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই নগদ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা, সন্দেহজনক নথিপত্র, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মোবাইল ফোন এবং সিসিটিভি ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) দাবি, মানব পাচারকারীদের একটি সুসংহত চক্র কাজ করছে একাধিক রাজ্যজুড়ে।

    চাকরির টোপ দিয়ে ধরা হচ্ছে ‘ছেলে’

    ইউটিউব চ্যানেল ও সমাজমাধ্যমে যেমন রাশিয়ায় চাকরির টোপ দেওয়া হচ্ছে, তেমনি স্থানীয় এজেন্টরাও সক্রিয় ‘ছেলে’ ধরতে। টোপ গিলে নেওয়ার পর ওই তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন রণক্ষেত্রে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করছেন ভারতীয় তরুণরা। রণাঙ্গনে গিয়ে জখমও হয়েছেন অনেকে। চাকরির টোপ গিলে সমরভূমে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন হায়দরাবাদের মহম্মদ আফসান বা সুরাটের হামিল মাঙ্গুকিয়ার মতো তরুণরা। রাশিয়ায় বেড়াতে যাওয়া সাত ভারতীয়কেও জোর করে বহাল করা হয়েছে রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে।

    আরও পড়ুুন: “আরও ১০ বছরও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদি”, সাফ জানালেন শাহ

    সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে চার যুবক দাবি করেছেন, চাকরি দেওয়ার নামে তাঁদের রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। পরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনের রণাঙ্গনে। ভাইরাল হওয়া ১৫০ সেকেন্ডের আরও একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, একটি ছোট্ট ঘরের ভিতরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন যুবক। তাঁদেরও অভিযোগ, তাঁদের ভুল বুঝিয়ে যোগ দেওয়ানো হয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে।

    তদন্ত করতে গিয়ে জনৈক ফয়সল খানের নাম জানতে পেরেছেন সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, জোর করে রাশিয়া পাঠানোর যে অভিযোগ বিভিন্ন পরিবার করছে, তারা প্রত্যেকেই পুলিশকে জানিয়েছে ফয়সলের কথা। এই ব্যক্তিই সিকিউরিটি গার্ড বা শ্রমিকের চাকরি দেওয়ার নামে অনেক যুবককে রাশিয়ায় পাঠিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে জেরা সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে জেরা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের সক্রিয় হল সিবিআই। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার সিবিআই দফতরে আসেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী মলয় পিট (Malay Pith)। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগেও একাধিক বার বোলপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয়কে ডাকা হলেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। 

    কেন জিজ্ঞাসাবাদ মলয়কে

    সিবিআই সূত্রে খবর, বুধবার সকাল ১১টার নাগাদ নিজাম প্যালেসে আসেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী মলয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় মিডলম্যানের কাজ করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বুধবার মলয়কে তলব করা হয়েছিল। মলয় একাধিক বিএড কলেজের সঙ্গে যুক্ত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেই সব তথ্য সামনে রেখেই বুধবার মলয়কে জেরা করে সিবিআই। সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা তাঁকে নিজাম প্যালেসের ১৩ তলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন। 

    আরও পড়ুন: জনসভায় মোদিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ, রাহুলকে ফের সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

    অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সঙ্গে যোগ

    অতীতে গরুপাচার মামলাতেও নাম জড়িয়েছিল ব্যবসায়ী মলয় পিটের। তখন সিবিআইয়ের (CBI) জেরার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam)  মামলায় এই প্রথম কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলেন। বর্তমানে জেলবন্দি বীরভূমের জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত ওরফে কেষ্টর সঙ্গে মলয়ের ঘনিষ্ঠতার কথা অনেকেই জানেন। শোনা যায়, অনুব্রত (Anubrata Mondal) যে গাড়িতে চেপে ঘুরতেন, সেটিও এই ব্যবসায়ীর নামেই ছিল। প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার বড় ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ নামডাক আছে মলয়ের। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১০ বছরে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে তাঁর। রাজ্যে প্রচুর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসাতেও প্রতিপত্তি বেড়েছে মলয়ের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত, আজই সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহান?

    Sheikh Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল শীর্ষ আদালত, আজই সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার৷ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই জারি রাখল শীর্ষ আদালত। শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) সিবিআই-এর হাতেই তুলে দিতে হবে রাজ্য পুলিশকে, বুধবার এমনই নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শাহজাহান শেখকে সিবিআইয়ের হাতেই তুলে দিতে হবে। সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল সরকার। বুধবার বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ জানিয়ে দেয় ধৃত নেতাকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করতে হবে পুলিশকে। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    সন্দেশখালি মামলায় (Sandeshkhali Incident) হাইকোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল রাজ্য। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) নিজেদের হেফাজতে নিতে আর বাধা নেই সিবিআইয়ের। মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই-এর হাতে শেখ শাহজাহানকে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। সেই নির্দেশের পরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি শীর্ষ আদালতে জরুরি শুনানির আবেদন জানালে তা খারিজ হয়ে যায়। তবে বুধবার পিটিশন দাখিল করা হয় শীর্ষ আদালতে। তাও সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ সেই মামলা শুনতে চায়নি। এই আবহে আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশের ওপর হস্তক্ষেপ করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। 

    আরও পড়ুন: ১২.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! ইডির তালিকায় শাহজাহানের কোন কোন জমি?

    আজই সিবিআই হেফাজতে শাহজাহান

    বুধবার সকালে অভিষেক মনুসিঙ্ঘভির আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানান, এই ধরনের মামলায় জরুরি শুনানির আবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। তবে আজ বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সাংবিধানিক বেঞ্চের কাজে ব্যস্ত। তাই তাঁর এজলাসে শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) সংক্রান্ত মামলার উল্লেখ করা সম্ভব হয় কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলেই হাইকোর্টের নির্দেশ মতো শাহজাহানকে হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শাহজাহানকে না-নিয়েই ভবানী ভবন ছাড়তে হয় তাঁদের। সিআইডি যুক্তি দেয় যেহেতু রাজ্য সরকার হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়েছে রাজ্য, তাই মামলাটি বিচারাধীন। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম নির্দেশের পর সিবিআই আজ, বুধবার ফের শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিতে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sk. Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে দিল না সিআইডি

    Sk. Shahjahan: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে দিল না সিআইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও শেখ শাহজাহানকে (Sk. Shahjahan) সিবিআই-এর হাতে তুলে দিল না সিআইডি। যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়ে সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) মূল অভিযুক্ত শাহজাহানকে নিয়ে যেতে ভবানী ভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা৷ সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। কিন্তু ২ ঘণ্টারও বেশি সময়ের অপেক্ষার পর শাহজাহানকে ছাড়াই খালি হাতে ফিরে যেতে হল সিবিআইকে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার শেখ শাহজাহানকে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে৷ সেই যুক্তিতেই এদিন সিআইডির পক্ষ থেকে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়নি।

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) অবিলম্বে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ইডির উপরে হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আজই বিকেল ৪.৩০টার মধ্যে শেখ শাহজাহানকে (Sk. Shahjahan) হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ওই সময়ের মধ্যে সিবিআইকে নথি দেওয়ারও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ‘৫০ দিন পালিয়ে থাকার পর ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহান একজন সাধারণ নাগরিক নন, তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। যে রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটা রাজ্যের শাসক দল। ন্যায়বিচারের স্বার্থে, স্থানীয়দের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যেই সিবিআই।’

    কোথায় শাহজাহান

    বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিবিআই-এর দুই আধিকারিক প্রায় ২৫ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে নিয়ে শেখ শাহজাহানকে (Sk. Shahjahan) হেফাজতে নিতে ভবানী ভবনে পৌঁছন৷ মনে করা হচ্ছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে হয়তো শাহজাহানকে সিবিআই-এর হেফাজতেই তুলে দেবেন সিআইডি আধিকারিকরা৷ কিন্তু প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপেক্ষার পর যখন সিবিআই আধিকারিকরা ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাঁদের সঙ্গে শেখ শাহজাহান ছিলেন না৷ শাহজাহানকে না নিয়েই ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই আধিকারিক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে আসা চারটি গাড়ি৷  

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    সুপ্রিম কোর্টের অজুহাত

    সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবারই ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে তৃণমূল সরকার। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি লড়বেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। শীর্ষ আদালতে জরুরি ভিত্তিতে মামলাটির শুনানি চেয়েছিল রাজ্য। যদিও সুপ্রিম কোর্ট ওই আর্জিতে সাড়া দেয়নি। তবুও সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়বে রাজ্য এই অজুহাতেই মঙ্গলবারও শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়নি সিআইডি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

    .

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, আজই শাহজাহানকে হস্তান্তর, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে সিবিআই, আজই শাহজাহানকে হস্তান্তর, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিকাণ্ডের মামলার (Sandeshkhali Case) তদন্তভার তুলে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এদিনই বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে ধৃত শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। গত পাঁচ জানুয়ারি ইডির আধিকারিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সিট গঠনের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ, তাও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। ন্যাজোট ও বনগাঁ থানার তিনটি অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশও রাজ্য পুলিশকে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। জানা গিয়েছে, এই মামলার তদন্ত করবে স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্ত নিয়ন্ত্রিত হবে সিজিও কমপ্লেক্স থেকেই।

    সিবিআই তদন্তের দাবি ছিল (Sandeshkhali Case) বিজেপির

    প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি করে আসছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেন, “সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) সিবিআই তদন্তই হওয়া উচিত।” পঞ্চান্ন দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর শেষমেশ গত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর এলাকা থেকে শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে রাখা হয় সিআইডি হেফাজতে। শাহজাহানকে গ্রেফতার করার দিনই ইডি জানিয়েছিল, তারা দ্রুত হেফাজত চাইবে শাহজাহানের। ইডিও প্রথম থেকেই দাবি করেছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। কলকাতা হাইকোর্টে তারা এ ব্যাপারে আবেদনও করেছিল।

    প্রাক কথন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা (পরে বহিষ্কার করা হয়) শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির দুই কর্তা। শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। তার পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান। প্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন শাহজাহান। তার পরেই তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূল আর বেশিদিন থাকবে না’’, ইস্তফা দিয়েই হুঙ্কার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Case) আক্রান্ত হওয়ার পরেই ইডি হাইকোর্টে জানিয়েছিল, রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই তাদের। তথ্য বিকৃতির আশঙ্কাও করেছিল তারা। আদালতে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, “সন্দেশখালিরকাণ্ডের তদন্ত করানো হোক সিবিআই বা কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে।” ইডির সেই দাবিকেই এদিন মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে আগ্নেয়াস্ত্র লুটের (Manipur Violence) ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। রবিবার মণিপুর প্রশাসনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। গত বছর বিষ্ণুপুরে পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে লুট হয়েছিল ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। অসমের গুয়াহাটিতে কামরূপ (মেট্রো) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সম্প্রতি ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে।

    কাদের নাম রয়েছে চার্জশিটে?

    চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, লইসরাম প্রেম সিং, খুমুকচাম ধীরেন ওরফে থাপকপা, মৈরাঙথেম আনন্দ সিং, এথোকপাম কাজিত ওরফে কিশোরজিৎ, লৌক্রাকপাম মাইকেল মাংগাংছা ওরফে মাইকেল, কনথৌজাম রোমোজিৎ মেইতেই ওরফে রোমোজিৎ এবং কেইশাম জনসন ওরফে জনসন। গোষ্ঠী হিংসার জেরে (Manipur Violence) গত বছর হঠাৎই অশান্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি। খুন হন বহু মানুষ। সন্দেহের চোখে কোনও গৃহস্থ দেখতে থাকেন বহু চেনা তাঁর প্রতিবেশীটিকেও।

    পুরানো সেই দিনের কথা

    অশান্তির আশঙ্কায় ভিটে ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন অনেকে। হামলা হয় পুলিশের ওপরও। গত অগাস্টের তিন তারিখে তিনশোরও বেশি অস্ত্র লুট করে জনতা। ১৯ হাজার ৮০০ রাউন্ড গুলি এবং অন্যান্য যুদ্ধ-সরঞ্জাম লুট হয়। বিষ্ণুপুরে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়েনের সদর দফতরের দুটি ঘরে রাখা ওই অস্ত্রশস্ত্রগুলি লুঠ হয়ে যায়। বিভিন্ন ক্যালিবারের প্রায় ৯ হাজার বুলেটও খোয়া যায়। লুঠ হয়ে যায় (Manipur Violence) একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি ঘটক রাইফেল, ১৯৫টি সেল্ফলোডিং রাইফেল, পাঁচটি এমপি-ফাইভ বন্দুক, ১৬.৯ এমএম পিস্তল, ২৫টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ২১টি কার্বাইন এবং ১২৪টি হ্যান্ড গ্রেনেডও।

    আরও পড়ুুন: “৪০০ আসনে জিতবে বিজেপি”, প্রার্থী হয়েই বললেন রবি কিষান

    জানা গিয়েছে, উপজাতির লোকজন গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃতদের গণকবর দেওয়ার আয়োজন করেছিল চূড়াচাঁদপুরে। মে মাসের তিন তারিখে গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি হয়েছিলেন এঁরা। সেদিনের ওই সংঘর্ষে খুন হয়েছিলেন ২১৯জন। জখম হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা। তাতে আপত্তি জানায় জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। সংঘর্ষের সূত্রপাত সেখান থেকেই। যার জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে চিত্রাঙ্গদার দেশ। প্রসঙ্গত, মণিপুরের জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের। এঁরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। আর পাহাড়ি এলাকায় বাস করেন নাগা এবং কুকিরা। মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এঁরাই (Manipur Violence)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পথশ্রী প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবের পরিস্থিতি একদম আলাদা। আজ মঙ্গলবার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় এলাকার মানুষ ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছেন। বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া এবং নবগ্রামের বাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হোক। পাশাপাশি শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।

    হরিহরপাড়ায় নিম্নমানের সামগ্রীর অভিযোগ (Murshidbad)

    নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা নির্মাণের কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া থানার স্বরূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুড়িতলা মাঠ এলাকায়। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ৪.২ কিলোমিটার রাস্তা, এক কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ চলছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে লোচনমাটি মাঠ থেকে স্বরুপপুর ঘোষপাড়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ একেবারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছিল। এদিন গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাথর যেখানে ৯ ইঞ্চি মোটা রাস্তার কথা, সেখানে করা হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি। আবার যেখানে ৩ ইঞ্চি হওয়ার কথা সেখানে দেড় ইঞ্চি হচ্ছে। এমনকী কাজের বোর্ড না টাঙিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা।

    নবগ্রামে রাস্তার পিচ আঙুল দিয়ে তোলা যাচ্ছে

    এই জেলায় (Murshidbad) পথশ্রী প্রকল্পে নবগ্রাম ব্লকের ঘুরা-পাশ্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১.৪০ মিটার রাস্তার নির্মাণের কাজ পেয়েছে এসএস এন্টারপ্রাইজ। ৩৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৫১ টাকার এই কাজ মিনারেলের বাড়ি থেকে দুর্গা মন্দির পর্যন্ত পিচ রাস্তা নির্মাণ হওয়ার কথা। কিন্তু এই কাজ শেষ হওয়ার পরেই এলাকার মানুষজন বিক্ষোভ দেখান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে আর তাই নতুন রাস্তার প্রলেপকে সামান্য আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলে উঠে যাচ্ছে পিচ। ঠিকাদার সংস্থা যেভাবে পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে তা দু একদিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসীরা। অপরে ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার নবগ্রামের বুড়া পাঁচলাই তার কোনও খোঁজ মেলেনি। যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির জেলা (Murshidbad) সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “রাজ্যের শাসকদল প্রশাসনকে ব্যবহার করে টাকা লুট করছে। রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নওদার বিডিও অফিসে ইডি-সিবিআই তাল্লশি করতে গিয়েছিল। আগামী দিনে তৃণমূলের সব চোরদের জেলে ভরা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে মমতা-পুলিশ রক্ষা করছে বলে এবার সন্দেহ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় এই মন্তব্য করতে শোনা যায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’

    শাহজাহানকে নিয়ে কেন্দ্র করে এত সমস্যা!

    প্রধান বিচারপতি পলাতক শাহজাহানকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এসে আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘শেখ শাহজাহানকে আমরা এই কোর্টে আসতে বলতে পারি। ইডি, সিবিআই এবং পুলিশ সবাই থাকবে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে আমরা এখানে আত্মসমর্পণ করতে বলতে পারি। এত দিন ধরে ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এত সমস্যা। শাহজাহান প্রকাশ্যে এসে তো বলতে পারেন, এই সব অভিযোগ সঠিক নয়। কারও জমি নেওয়া হয়নি। তা না করে ওই ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদি তিনি পালিয়ে বেড়ান, তবে স্বাভাবিক ভাবে সমস্যা আরও বাড়বে। তাঁর সমর্থকেরাই সমস্যা তৈরি করতে পারে।’’

    মূল মাস্টারমাইন্ড শাহজাহান 

    এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্যে সন্দেশখালির মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে শাহজাহানের নাম। শাহজাহানকে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এক জন ব্যক্তি পুরো সমস্যার জন্য দায়ী। অথচ তিনি কিনা জনপ্রতিনিধি! মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন। যেখানে জনগণের স্বার্থে ওই ব্যক্তির কাজ করা উচিত, সেখানে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তিনি জনগণের ক্ষতিই করেছেন।’’

    পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ

    সন্দেশখালি ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) এবং তিনি বলেন, ‘‘মামলা দায়ের হয়েছে, অথচ রাজ্য পুলিশ তাঁকে (শাহজাহানকে) ধরতে পারছে না। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেল কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। কিন্তু তাঁকে সমর্থন করা উচিত নয় রাজ্যের।’’

    মামলায় যুক্ত করা হল ইডি-সিবিআইকে

    পাশাপাশি, এ দিনই প্রধান বিচারপতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত করেন ইডি এবং সিবিআইকে। প্রসঙ্গত, মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং জমি দখল করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেখানে। এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। ওই মামলা এবার থেকে শুনবেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। আগামী সপ্তাহের সোমবারে এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন মামলার সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    সন্দেশখালি প্রেক্ষাপট

    গত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে তবে এখনও তিনি বেপাত্তা রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি সকালে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জনের উন্মত্ত জনতা গাড়ি ভাঙচুর করে তাঁদের। মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডি অফিসারদের। এই ঘটনায় আবার ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ন্যাজাট থানায়। সেখানে শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এরপরেই সেখানে শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার নামের শাহজাহানের দুই শাগরেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দেশখালির মানুষজন। হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় নামেন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতিতে সন্দেশখালি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভর্ৎসনা পুলিশকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নিখোঁজ নাবালিকার তদন্ত করবে সিবিআই

    Purba Bardhaman: ভর্ৎসনা পুলিশকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নিখোঁজ নাবালিকার তদন্ত করবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত মাস ধরে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষের নাবালিকা নিখোঁজ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল এবার সিবিআইকে। রাজ্য পুলিশের গাফলতি দেখে আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনায় ফের একবার ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ। মুখ পুড়ল রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের।

    পুলিশের গাফিলতি (Purba Bardhaman)

    খণ্ডঘোষের (Purba Bardhaman) নাবালিকার নিখোঁজ মামলায় শাসকদলের বিধায়ক সহ বড় বড় নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে চরম গাফিলিতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আদালত গত ১৫ জানুয়ারি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পুলিশের হাতে মামলা থাকাকালীন দুইজন গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু গ্রেফতারের ৯০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পাড়ায় পরের দুই দিনের মাথায় জামিন পেয়ে যায় দুই ধৃতরা। মূল অভিযোগ হল যারা জামিন পেয়ছিলো তারা উভয়েই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের খুব কাছের মানুষ। এলাকায় বিধায়কের হয়ে কাজ করে থাকে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার মধ্যে অভিযুক্ত সকলেই শাসক দলের কাছের বলে পরিচিত। ফলে মামলায় শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের প্রত্যক্ষ যে যোগ রয়েছে একথা অভিযোগকারীরা বার বার বলছেন। সিআইডি মামলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ কিছু জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কিন্তু আসল দোষীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি। ফলে পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা তদন্তের কথা বার বার দাবি হয়েছিল।

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আজ মামলার তদন্ত ভার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিরটা গাফিলতি রয়েছে।” নিখোঁজ মেয়েকে (Purba Bardhaman) যদি ভিন রাজ্যে বা অন্য দেশে পাচার করে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেই বিষয়েও তদন্ত করার কথা কথা বলেছেন বিচারপতি। আগামী ১৩ মার্চ হল মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিন সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশ যে যে মামলা রুজু করছে, সেগুলির উপরেও আপাতত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ  দিয়েছে আদালত। সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) কারা তদন্ত করবে, সিবিআই না রাজ্য, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি এবং রাজ্য দু’পক্ষই। বুধবার সেই মামলা সংক্রান্ত একটি নির্দেশে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। যার ফলে আপাতত সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত অন্তত এক মাস পিছিয়ে গেল বলে মনে করছেন আইনজীবী এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ইডির সওয়াল

    ইডি প্রথম থেকেই চেয়েছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই মর্মে তারা কলকাতা হাইকোর্টে আর্জিও জানিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়ে দেন, শুধু সিবিআই নয়, এই মামলার তদন্ত করতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৈরি করা হবে। সেই সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য, দু’তরফেরই এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। এ ছাড়া দু’পক্ষেরই সমান সংখ্যক সদস্য সিটে থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। বিচারপতি এ-ও জানিয়েছিলেন আদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত হবে। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় ইডি। 

    কী বলল আদালত

    এদিনের শুনানির সময়ে ইডি-র আইনজীবী  এস ভি রাজু সওয়াল করেন, “খুব সিরিয়াস একটি বিষয়। রাজ্য এক্ষেত্রে তদন্ত করলে পক্ষপাতদুষ্ট হবে।” তিনি আদালতে জানান,  সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল রাজ্য তদন্তে অসন্তুষ্ট। তাও রাজ্য পুলিশকে রাখা হয়। একজন মন্ত্রী জড়িত, সেখানে রাজ্য পুলিশ কীভাবে তদন্ত করতে পারে? তাঁর কথায়, “জয়েন্ট টিম এর পারপাস ক্লিয়ার করতে পারবে না।” সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। এদিনের শুনানিতে ইডি-র বক্তব্যের পর প্রধান বিচারপতি আর কারোর বক্তব্য শুনতে চাননি। তিনি সরাসরি সিট গঠনের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। একইভাবে রাজ্য সরকারের পুলিশ যে কটি তদন্ত করছিল, সব কটির ওপরই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ আপাতত স্থগিত থাকবে। কোনও এফআইআরের উপরই তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশও। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানায় বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share