Tag: cbi

cbi

  • Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    Murshidabad: নামেই পথশ্রী, আঙুল দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পিচ! এলাকাবাসী বন্ধ করল কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পথশ্রী প্রকল্পে মুখ্যমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে উন্নয়নের কথা বললেও বাস্তবের পরিস্থিতি একদম আলাদা। আজ মঙ্গলবার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় এলাকার মানুষ ব্যাপক ভাবে সরব হয়েছেন। বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া এবং নবগ্রামের বাসীরা। গ্রামবাসীদের দাবি সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হোক। পাশাপাশি শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।

    হরিহরপাড়ায় নিম্নমানের সামগ্রীর অভিযোগ (Murshidbad)

    নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে গেল রাস্তা নির্মাণের কাজ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidbad) হরিহরপাড়া থানার স্বরূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নুড়িতলা মাঠ এলাকায়। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে ৪.২ কিলোমিটার রাস্তা, এক কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণের কাজ চলছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে লোচনমাটি মাঠ থেকে স্বরুপপুর ঘোষপাড়া পর্যন্ত রাস্তার কাজ একেবারে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হচ্ছিল। এদিন গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পাথর যেখানে ৯ ইঞ্চি মোটা রাস্তার কথা, সেখানে করা হচ্ছে মাত্র সাড়ে ৬ থেকে ৭ ইঞ্চি। আবার যেখানে ৩ ইঞ্চি হওয়ার কথা সেখানে দেড় ইঞ্চি হচ্ছে। এমনকী কাজের বোর্ড না টাঙিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসীরা।

    নবগ্রামে রাস্তার পিচ আঙুল দিয়ে তোলা যাচ্ছে

    এই জেলায় (Murshidbad) পথশ্রী প্রকল্পে নবগ্রাম ব্লকের ঘুরা-পাশ্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১.৪০ মিটার রাস্তার নির্মাণের কাজ পেয়েছে এসএস এন্টারপ্রাইজ। ৩৮ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৫১ টাকার এই কাজ মিনারেলের বাড়ি থেকে দুর্গা মন্দির পর্যন্ত পিচ রাস্তা নির্মাণ হওয়ার কথা। কিন্তু এই কাজ শেষ হওয়ার পরেই এলাকার মানুষজন বিক্ষোভ দেখান। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে আর তাই নতুন রাস্তার প্রলেপকে সামান্য আঙুল দিয়ে স্পর্শ করলে উঠে যাচ্ছে পিচ। ঠিকাদার সংস্থা যেভাবে পিচ দিয়ে রাস্তা তৈরি করছে তা দু একদিনের মধ্যেই রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসীরা। অপরে ঠিকাদার সংস্থার কর্ণধার নবগ্রামের বুড়া পাঁচলাই তার কোনও খোঁজ মেলেনি। যোগাযোগ করলেও পাওয়া যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    রাস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে বিজেপির জেলা (Murshidbad) সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, “রাজ্যের শাসকদল প্রশাসনকে ব্যবহার করে টাকা লুট করছে। রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীর ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে নওদার বিডিও অফিসে ইডি-সিবিআই তাল্লশি করতে গিয়েছিল। আগামী দিনে তৃণমূলের সব চোরদের জেলে ভরা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: শাহজাহানকে রক্ষা করছে মমতা-পুলিশ! সন্দেহ কলকাতা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে মমতা-পুলিশ রক্ষা করছে বলে এবার সন্দেহ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় এই মন্তব্য করতে শোনা যায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। তবে মনে হচ্ছে, হয় রাজ্য পুলিশ তাঁকে রক্ষা করছে, না হলে তিনি পুলিশের আওতার বাইরে চলে গিয়েছেন।’’

    শাহজাহানকে নিয়ে কেন্দ্র করে এত সমস্যা!

    প্রধান বিচারপতি পলাতক শাহজাহানকে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এসে আত্মসমর্পণ করার কথা বলতে পারেন বলেও জানিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নিজের ভাষায়, ‘‘শেখ শাহজাহানকে আমরা এই কোর্টে আসতে বলতে পারি। ইডি, সিবিআই এবং পুলিশ সবাই থাকবে। স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় তাঁকে আমরা এখানে আত্মসমর্পণ করতে বলতে পারি। এত দিন ধরে ওই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে এত সমস্যা। শাহজাহান প্রকাশ্যে এসে তো বলতে পারেন, এই সব অভিযোগ সঠিক নয়। কারও জমি নেওয়া হয়নি। তা না করে ওই ব্যক্তি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদি তিনি পালিয়ে বেড়ান, তবে স্বাভাবিক ভাবে সমস্যা আরও বাড়বে। তাঁর সমর্থকেরাই সমস্যা তৈরি করতে পারে।’’

    মূল মাস্টারমাইন্ড শাহজাহান 

    এদিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতির (Calcutta High Court) মন্তব্যে সন্দেশখালির মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে শাহজাহানের নাম। শাহজাহানকে কটাক্ষ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘এক জন ব্যক্তি পুরো সমস্যার জন্য দায়ী। অথচ তিনি কিনা জনপ্রতিনিধি! মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করেছেন। যেখানে জনগণের স্বার্থে ওই ব্যক্তির কাজ করা উচিত, সেখানে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, তিনি জনগণের ক্ষতিই করেছেন।’’

    পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ

    সন্দেশখালি ইস্যুতে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি (Calcutta High Court) এবং তিনি বলেন, ‘‘মামলা দায়ের হয়েছে, অথচ রাজ্য পুলিশ তাঁকে (শাহজাহানকে) ধরতে পারছে না। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ১৮ দিনের বেশি হয়ে গেল কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এমন ব্যক্তিকে রক্ষা করা হচ্ছে কি না আমরা জানি না। কিন্তু তাঁকে সমর্থন করা উচিত নয় রাজ্যের।’’

    মামলায় যুক্ত করা হল ইডি-সিবিআইকে

    পাশাপাশি, এ দিনই প্রধান বিচারপতি সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত করেন ইডি এবং সিবিআইকে। প্রসঙ্গত, মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং জমি দখল করে নেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে সেখানে। এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়। ওই মামলা এবার থেকে শুনবেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court)। আগামী সপ্তাহের সোমবারে এই মামলার শুনানি হবে। সেদিন মামলার সব পক্ষকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।

    সন্দেশখালি প্রেক্ষাপট

    গত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে তবে এখনও তিনি বেপাত্তা রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি সকালে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকরা। সেখানে ৮০ থেকে ১০০ জনের উন্মত্ত জনতা গাড়ি ভাঙচুর করে তাঁদের। মাথাও ফাটিয়ে দেওয়া হয় ইডি অফিসারদের। এই ঘটনায় আবার ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় ন্যাজাট থানায়। সেখানে শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এরপরেই সেখানে শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার নামের শাহজাহানের দুই শাগরেদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দেশখালির মানুষজন। হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় নামেন তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতিতে সন্দেশখালি নিয়ে জোর চর্চা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ভর্ৎসনা পুলিশকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নিখোঁজ নাবালিকার তদন্ত করবে সিবিআই

    Purba Bardhaman: ভর্ৎসনা পুলিশকে, হাইকোর্টের নির্দেশে নিখোঁজ নাবালিকার তদন্ত করবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত মাস ধরে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষের নাবালিকা নিখোঁজ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল এবার সিবিআইকে। রাজ্য পুলিশের গাফলতি দেখে আজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনায় ফের একবার ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ। মুখ পুড়ল রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের।

    পুলিশের গাফিলতি (Purba Bardhaman)

    খণ্ডঘোষের (Purba Bardhaman) নাবালিকার নিখোঁজ মামলায় শাসকদলের বিধায়ক সহ বড় বড় নেতারা জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে চরম গাফিলিতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় আদালত গত ১৫ জানুয়ারি সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পুলিশের হাতে মামলা থাকাকালীন দুইজন গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু গ্রেফতারের ৯০ দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পাড়ায় পরের দুই দিনের মাথায় জামিন পেয়ে যায় দুই ধৃতরা। মূল অভিযোগ হল যারা জামিন পেয়ছিলো তারা উভয়েই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের খুব কাছের মানুষ। এলাকায় বিধায়কের হয়ে কাজ করে থাকে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনার মধ্যে অভিযুক্ত সকলেই শাসক দলের কাছের বলে পরিচিত। ফলে মামলায় শাসক দলের প্রভাবশালী নেতাদের প্রত্যক্ষ যে যোগ রয়েছে একথা অভিযোগকারীরা বার বার বলছেন। সিআইডি মামলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বেশ কিছু জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। কিন্তু আসল দোষীদের এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি। ফলে পরিবারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দ্বারা তদন্তের কথা বার বার দাবি হয়েছিল।

    হাইকোর্টের বক্তব্য

    মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আজ মামলার তদন্ত ভার দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিরটা গাফিলতি রয়েছে।” নিখোঁজ মেয়েকে (Purba Bardhaman) যদি ভিন রাজ্যে বা অন্য দেশে পাচার করে দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে সেই বিষয়েও তদন্ত করার কথা কথা বলেছেন বিচারপতি। আগামী ১৩ মার্চ হল মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিন সিবিআইকে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি মামলায় সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশ যে যে মামলা রুজু করছে, সেগুলির উপরেও আপাতত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ  দিয়েছে আদালত। সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Incident) কারা তদন্ত করবে, সিবিআই না রাজ্য, তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি এবং রাজ্য দু’পক্ষই। বুধবার সেই মামলা সংক্রান্ত একটি নির্দেশে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্ট। যার ফলে আপাতত সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত অন্তত এক মাস পিছিয়ে গেল বলে মনে করছেন আইনজীবী এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    ইডির সওয়াল

    ইডি প্রথম থেকেই চেয়েছিল, সন্দেশখালিকাণ্ডের (Sandeshkhali Incident) তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এই মর্মে তারা কলকাতা হাইকোর্টে আর্জিও জানিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত তাঁর নির্দেশে জানিয়ে দেন, শুধু সিবিআই নয়, এই মামলার তদন্ত করতে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) তৈরি করা হবে। সেই সিটের মাথায় থাকবেন সিবিআই এবং রাজ্য, দু’তরফেরই এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। এ ছাড়া দু’পক্ষেরই সমান সংখ্যক সদস্য সিটে থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। বিচারপতি এ-ও জানিয়েছিলেন আদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত হবে। এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যায় ইডি। 

    কী বলল আদালত

    এদিনের শুনানির সময়ে ইডি-র আইনজীবী  এস ভি রাজু সওয়াল করেন, “খুব সিরিয়াস একটি বিষয়। রাজ্য এক্ষেত্রে তদন্ত করলে পক্ষপাতদুষ্ট হবে।” তিনি আদালতে জানান,  সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়েছিল রাজ্য তদন্তে অসন্তুষ্ট। তাও রাজ্য পুলিশকে রাখা হয়। একজন মন্ত্রী জড়িত, সেখানে রাজ্য পুলিশ কীভাবে তদন্ত করতে পারে? তাঁর কথায়, “জয়েন্ট টিম এর পারপাস ক্লিয়ার করতে পারবে না।” সিবিআই তদন্তের দাবি জানান তিনি। এদিনের শুনানিতে ইডি-র বক্তব্যের পর প্রধান বিচারপতি আর কারোর বক্তব্য শুনতে চাননি। তিনি সরাসরি সিট গঠনের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন। একইভাবে রাজ্য সরকারের পুলিশ যে কটি তদন্ত করছিল, সব কটির ওপরই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুুন: মানব পাচার চক্রের মাধ্যমে এরাজ্যে রোহিঙ্গারা, এনআইএ-র জালে ১৬ বাংলাদেশি টাউট

    বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ আপাতত স্থগিত থাকবে। কোনও এফআইআরের উপরই তদন্ত করতে পারবে না রাজ্য পুলিশও। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। ৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলেও জানায় বেঞ্চ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তেন! আদালতে পার্থর পর্দাফাঁস করল সিবিআই

    Partha Chatterjee: আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তেন! আদালতে পার্থর পর্দাফাঁস করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক পদে বা শিক্ষাকর্মী হিসেবে কারা চাকরি পাবে, কারা পাবে না… গোটাটাই ঠিক করা হত সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক। শুধু তাই নয়, দফতরের যাঁরা এই বিষয়ে সঙ্গ দিতেন না, তাঁদের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হত। সবটাই হতো রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অঙ্গুলিহেলনেই। শনিবার আলিপুর আদালতে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এমনই দাবি করল সিবিআই। 

    আদালতে সিবিআই-এর দাবি

    শনিবার আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পার্থর জামিনের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই সিবিআইয়ের তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জানানো হয়, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে কাকে নিয়োগ করা হবে, কাকে সরানো হবে, পার্থ সেই প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন। যাঁরা এই কাজে তাঁকে সাহায্য করতেন না, তাঁদের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কোপে পড়তে হত। পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হত তাঁদের। সিবিআই জানিয়েছে, পার্থ নিজের বাড়িতে বৈঠক করে অনেককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘‘দুর্নীতির সম্পূর্ণ ছবিতেই রয়েছেন পার্থ। অপরাধ তিনি এমন ভাবে করতেন, যাতে নিজে পিকচারে না থাকেন।’’

    আরও পড়ুুন: ভারতরত্ন পাচ্ছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী, ঘোষণা করলেন নরেন্দ্র মোদি

    শিক্ষা সমাজ তৈরি করে

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করার সময় এদিন সিবিআই-এর সওয়ালে উঠে আসে সামাজিক অবক্ষয়ের উদ্বেগও। সিবিআই আইনজীবী বলেন, ‘‘শিক্ষা এমন একটা বিষয়, যা সমাজ গঠন করে। চিকিৎসক কোনও ভুল করলে রোগীর ক্ষতি হয়। কিন্তু এঁরা যে ধরনের অযোগ্য শিক্ষক এনেছেন, তাতে সমাজ কোন দিকে যাবে, ঠিক নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতেই সেই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।’’ বহু ছাত্র ছাত্রীর ভবিষ্যৎ এখন প্রশ্নের মুখে বলে জানায় সিবিআই। পার্থের আইনজীবী অবশ্য সিবিআইয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তারপর থেকে জেলই তাঁর ঠিকানা। বহুবার আবেদন করেও মেলেনি জামিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    Ration Scam: রেশন সংক্রান্ত সব মামলা সিবিআইকে দেওয়ার আর্জি, আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট ইডি। রেশনের আটা বিলি ও চাল কেনা সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা সব ক’টি মামলা এবার সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানো হোক, চাইছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। হাইকোর্টে ইডির আবেদন, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মামলাগুলির তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক সিবিআই-এর হাতে।

    কেন এই আবেদন

    ইডির দাবি, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) সংক্রান্ত ছ’টি এফআইআর রাজ্যের পুলিশের তদন্তাধীন থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অপরাধীকে ধরা তো দূর তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি। উপরন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ হাতে থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে রেখেছে। হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) ইডির অনুরোধ, রেশন সংক্রান্ত যে সমস্ত মামলা রাজ্য পুলিশের তদন্তাধীন ছিল, তা যেন সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শুক্রবারই হাইকোর্টে এই আবেদনের শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। ইডির অভিযোগ রেশন দুর্নীতির সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা মন্ত্রী জড়িত থাকার কারণে উপযুক্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে রেশন দুর্নীতির তদন্ত এগিয়েছে এক তরফা ভাবে। 

    আরও পড়ুন: হেমন্ত সোরেনের ৫ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল বিশেষ আদালত

    বিস্মিত ইডি

    বাংলায় রেশন সংক্রান্ত (Ration Scam) আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করছে ইডি। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তারা গ্রেফতার করেছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী তথা চাল-গমের মিলের মালিক বাকিবুর রহমান এবং বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকেও। রেশন কাণ্ডে তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সন্দেশখালির শাহজাহান শেখকেও খুঁজছে ইডি। রেশন সংক্রান্ত রাজ্য পুলিশের ছ’টি মামলার মধ্যে দু’টি এফআইআর দায়ের হয়েছিল কলকাতায়। বাকি চারটি দায়ের হয় নদিয়া জেলায়। ইডি এই এফআইআরের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল। শুক্রবার হাই কোর্টকে তারা জানিয়েছে, ‘‘মামলাগুলির কি অগ্রগতি হয়েছে, তা জানতে চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডি়জিকে চিঠি দিয়েছিল তারা। একই সঙ্গে এই মামলায় যুক্ত থাকা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও চিঠি দেওয়া হয়েছিল ডিজিপিকে। কিন্তু কোনও প্রশ্নেরই জবাব আসেনি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: সুজিত-ঘনিষ্ঠ নিতাইকে তলব ইডির, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবরাজের

    Recruitment Scam: সুজিত-ঘনিষ্ঠ নিতাইকে তলব ইডির, সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজ, বুধবার বিধাননগরের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তীকে (Debraj Chakraborty) তলব করেছে সিবিআই। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ দেবরাজ হাজির হন নিজাম প্যালেসে। অন্যদিকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তকে তলব করেছে ইডি।  চলতি সপ্তাহেই ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তাঁকে। একসময় মন্ত্রী সুজিত বসুর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক ছিলেন নিতাই।

    নিজাম প্যালেসে দেবরাজ

    গত ২৫ তারিখে দেবরাজ চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই (CBI) প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল দেবরাজকে। তা সত্ত্বেও জিজ্ঞাসাবাদ অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছিল বলে দাবি সিবিআইয়ের। তাছাড়া বিধাননগরের মেয়র পারিষদ সব নথিও জমা দিতে পারেননি বলে সিবিআইয়ের দাবি। আজ তাই নিজাম প্যালেসে ফের তলব করা হয়েছে দেবরাজ চক্রবর্তীকে। তাঁকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নথি নিয়ে আসার কথা বলেছিল সিবিআই। বুধবার সেই নথি নিয়েই সম্ভবত তিনি এসেছেন নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তাঁর যোগাযোগের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দেবরাজ বলেন, ‘‘নিয়োগ বা বদলি সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণভিত্তিক। আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি।’’ 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতারির আশঙ্কা! আজ ইডির সামনে হেমন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কি স্ত্রী কল্পনা সোরেন?

    নিতাইকে ইডির তলব

    পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ইডি তলব করল নিতাই দত্তকে। দক্ষিণ দমদম পুর সভার ভাইস চেয়ারম্যান তিনি। একসময় মন্ত্রী সুজিত বসুর ব্যক্তিগত আপ্ত সহায়ক ছিলেন এই নিতাই। এর আগেও তাঁর বাড়িতে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। নিতাই দত্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাত পাতার নথি উদ্ধার করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দক্ষিণ দমদম পুর সভার ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা আধিকারিকদের দাবি ছিল, পুরনিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত নিতাই দত্ত। কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পেয়েছেন নিতাইয়ের স্ত্রী ও ভাই। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরার নোটিস পাঠানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Justice Abhijit Gangopadhyay: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই, জানালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। দু’ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশ কেন মানা হবে না, বৃহস্পতিবার পর্যবেক্ষণে তাও জানিয়েছেন তিনি।

    সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ

    মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি মামলায় এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির নজিরবিহীন মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার সূত্রপাত এদিন সকালে। মেডিকেলে ভর্তি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। পরে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে করা সিবিআইয়ের এফআইআরও খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “মেমোররেন্ডাম আপিল বা সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের কপি ছাড়া কীভাবে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশের নির্দেশ দিল? এর আগে এমন কোনও উদাহরণ বা এই হাইকোর্টের নিয়মে কি তা রয়েছে এমন কিছু দেখাতে পারবেন?”

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ

    তাঁর নিজের নির্দেশ বহাল রাখার পাশাপাশি আরও বলেন, “তাঁর এই নির্দেশের কপি কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছেও পাঠানো হবে।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও জানান, বিচারপতি সৌমেন সেন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করছেন। তাই দেশের শীর্ষ আদালতের উচিত তাঁর সমস্ত নির্দেশ খারিজ করা। তাঁর মন্তব্য, “এই মামলায় রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকা ব্যক্তির মতো আচরণ করছেন বিচারপতি সেন। কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।”

    আরও পড়ুুন: মমতার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! অনুব্রত-কাজল অনুগামীদের সংঘর্ষ

    বিচারপতি সেনের বিরুদ্ধে কেন ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হবে না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পর্যবেক্ষণ, “কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দু’ বছর ধরে তাঁর বদলি হচ্ছে না? অন্য বিচারপতিদের তো বদলি হয়ে গিয়েছে। কে তাঁকে বাঁচাচ্ছে? আমি দেশের প্রধান বিচারপতিকে এটা দেখার জন্য অনুরোধ করব।” বিচারপতি (Justice Abhijit Gangopadhyay) গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এফআইআর খারিজের যে নির্দেশ বিচারপতি সেন দিয়েছেন, সেটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে দিয়েছেন। তাই সেটা বৈধ নয়। সিবিআইয়ের উচিত তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Case: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূলের দেবরাজ-বাপ্পাদিত্যের

    Recruitment Case: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূলের দেবরাজ-বাপ্পাদিত্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের সমন। সেই মতো আজ, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজির হলেন তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী। তিনি বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি কীর্তন শিল্পী তথা তৃণমূল বিধায়িকা অদিতি মুন্সীর স্বামী। দেবরাজের পাশাপাশি তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের আর এক নেতা কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও। হাজিরা দিয়েছেন তিনিও। দুই তৃণমূল নেতাকেই এদিন কলকাতার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সিবিআই দফতরে দেবরাজ-বাপ্পাদিত্য

    নভেম্বর মাসে দেবরাজের বাড়িতে (Recruitment Case) তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাঁর স্ত্রী বিধায়িকা-কীর্তনশিল্পী অদিতির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় টেটের কয়েকটি মার্কশিট ও বদলির আবেদনপত্র। বাপ্পাদিত্যের বাড়িতেও মিলেছিল নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। সিবিআই সূত্রে খবর, দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্যের ঠিকানায় চালানো তল্লাশিতে যেসব নথি উদ্ধার হয়েছিল, সেগুলি বিশ্লেষণ করার পরেই তলব করা হয়েছে তৃণমূলের এই দুই নেতাকে। এই নথি ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁদের। দেবরাজ বলেন, “বুধবার নোটিশ দিয়ে বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাও সময় দেওয়া হয়নি। তবে আমি তদন্তে সহযোগিতা করব।”

    নিয়োগের এজেন্ট ছিলেন এই তৃণমূল নেতারা!

    সিবিআই সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে নাম রয়েছে দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্যের। রিপোর্টে এঁদের নিয়োগ কেলেঙ্কারির এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এজেন্ট হিসেবে নাম রয়েছে মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর ও সৌরভ ঘোষের। তৃণমূলে দেবরাজের উত্থান রকেটের গতিতে। এক সময় কংগ্রেস করতেন। পরে প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের পূর্ণেন্দু বসুর আপ্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন। পূর্ণেন্দুর সুপারিশে বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। পরে মেয়র পারিষদের সদস্য করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    বাপ্পাদিত্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। পার্থ যে সংস্থায় চাকরি করতেন, সেখানেই কাজ করতেন বাপ্পাদিত্যও। পার্থর হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও বাপ্পাদিত্যের সঙ্গে পার্থর আর্থিক লেনদেনের সম্পর্কও ছিল (Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    Recruitment Scam: ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি-অফিসে ২১ ঘণ্টা তল্লাশি ইডির, বাজেয়াপ্ত প্রচুর নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বৃহস্পতিবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। ২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতিতে ‘মিডলম্যান’ হিসাবে গ্রেফতার (Recruitment Scam) হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। গতকাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাঁরই বিভিন্ন ফ্ল্যাট, বাগানবাড়ি, অফিসে হানা দেয়। সূত্রের খবর, প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানা থেকে প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তকারীরা প্রায় ২১ ঘণ্টা তল্লাশি চালান বলে খবর। ইডি সূত্রে খবর, প্রসন্ন রায়ের অফিস ছিল টাকা লেনদেনের অন্যতম বড় আস্তানা, প্রসন্ন হয়ে উঠেছিলেন এসএসসি-র অন্যতম ‘মিডলম্যান’। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের চাকরি করে দেওয়া হতো তাঁর অফিসের মাধ্যমে। সেই টাকা তারপর পৌঁছে যেত নেতা-মন্ত্রীদের কাছে।

    জিজ্ঞাসাবাদ প্রসন্ন রায়ের স্ত্রীকেও

    তদন্তের শেষে তিনটি ট্রাঙ্ক ও তিনটি ট্রলিতে ভর্তি করে কাগজপত্র নিয়ে যায় ইডি। জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া নথির মধ্যে বেশ কিছু ব্যাঙ্কের পাস বইও রয়েছে। গতকাল রাতে সস্ত্রীক প্রসন্ন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদও করেন আধিকারিকরা। তদন্তে (Recruitment Scam) নেমে ইডি আধিকারিকরা প্রসন্ন রায়ের অফিসের কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

    আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন অর্ধদিবস ছুটি ঘোষণা কেন্দ্রের, রাজ্যের সিদ্ধান্ত কী?

    সাত সকালেই হাজির হয় ইডি 

    জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবন সাহারও ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়। এর আগে প্রসন্ন রায়ের বিভিন্ন আস্তানায় সিবিআই তল্লাশি চালালেও এই প্রথম অভিযানে নামে ইডি। গতকাল সকালেই ইডি আধিকারিকরা নিউটাউনে অবস্থিত প্রসন্ন রায়ের অফিসে প্রথমে পৌঁছান। তবে প্রায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর চাবি খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার প্রসন্ন ঘনিষ্ঠ এক পরিবহণ ব্যবসায়ী রোহিত ঝা-এর বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা।

    আরও পড়ুুন: “আমি বাংলা বলতে চাই, আপনারাও বাংলায় বলুন”, বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share