Tag: cbi

cbi

  • Manipur Violence: মণিপুরে ২ মহিলাকে গণধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় চার্জশিট দিল সিবিআই

    Manipur Violence: মণিপুরে ২ মহিলাকে গণধর্ষণ ও বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় চার্জশিট দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৩ মে থেকে হিংসা (Manipur Violence) ছড়ায় মণিপুরে। ঠিক তার পরের দিন ৪ মে অভিযোগ ওঠে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে দুই কুকির জনজাতি মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর। আরও অভিযোগ তাঁদেরকে গণধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই, সোমবারই চার্জশিট জমা দিল। জানা গিয়েছে, চার্জশিটে মোট ৭ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে। এই ঘটনার ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বেশ কয়েকদিন আগে সারা দেশ জুড়ে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা দেখে চমকে ওঠে সারা দেশ।

    নির্যাতিতা কী বললেন?

    ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই দুই নির্যাতিতার (Manipur Violence) মধ্যে একজন সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন। ওই নির্যাতিতার দাবি, খুনের ভয় দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা জনসমক্ষে সেদিন তাঁকে বিবস্ত্র করেছিল। ওই ঘটনার পরে স্থানীয় থানাতে ১৮ মে এফআইআরও করেন নির্যাতিতা। ওই নির্যাতিতার আরও দাবি, ৪ মে তাঁর বাবা এবং ভাইকেও খুন করেছিল বিক্ষোভকারীরা। অভিযুক্তরা কেউই গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা। চলতি বছরের ২৭ জুলাই মণিপুরের সরকার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত নির্দেশ চায় এবং সেই মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তা অনুমোদনও করে। ২৯ জুলাই থেকে এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সোমবারই জমা পড়ল তার চার্জশিট।

    মে মাস থেকেই অশান্ত মণিপুর

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের মে মাস থেকেই উত্তপ্ত হয় মণিপুর। ৩ মে একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী সংঘর্ষ (Manipur Violence) ছড়ায় কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে। লুট, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণধর্ষণ এ সমস্ত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন হিংসার ঘটনায়।  হিংসা ঠেকাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও যান মণিপুর সফর করেন বেশ কয়েকমাস আগে। ১০১ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় প্যাকেজও ঘোষণা করেন অমিত শাহ। দুপক্ষের অর্থাৎ কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের কাছে শান্তির আবেদনও জানান অমিত শাহ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fake Passport: পাকিস্তানের আইএসআইয়ের জন্যও তৈরি হত জাল পাসপোর্ট! খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    Fake Passport: পাকিস্তানের আইএসআইয়ের জন্যও তৈরি হত জাল পাসপোর্ট! খতিয়ে দেখছে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাল পাসপোর্টকাণ্ডের তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে! কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জেনেছেন, জাল পাসপোর্ট (Fake Passport) তৈরির একটি চক্র রয়েছে। এই চক্রই জাল পাসপোর্ট তৈরির বরাত পায়। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইও এদের বরাত দেয়।

    পাসপোর্ট যেত আইএসআইয়ের হাতে

    বাংলাদেশের কোনও নাগরিকের নামে তৈরি হওয়া পাসপোর্ট চলে যায় আইএসআইয়ের হাতে। জঙ্গিরা যাতে ভায়া বাংলাদেশ ভারতে ঢুকতে পারে, তাই এমনতর ব্যবস্থা। এদের পাশাপাশি জাল পাসপোর্ট তৈরি করত জেএমবি এবং আকিসের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির স্লিপার সেলের সদস্যরাও। এই চক্রের পান্ডারা গত কয়েক মাসে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। সিবিআই জেনেছে, মূলত দুটি রুট দিয়ে ভারতে ঢোকে জাল পাসপোর্টধারী জঙ্গিরা। এক, বাংলাদেশ হয়ে হিলি সীমান্ত টপকে এবং দুই, উত্তরবঙ্গ দিয়ে।

    জাল পাসপোর্ট চক্রের জাল 

    সিবিআইয়ের দাবি, এই জাল পাসপোর্ট চক্রের শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা পর্যন্ত। গ্যাংটকের পাসপোর্ট অফিসের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফিসার গৌতম সাহাকে গ্রেফতারের পর এবার তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন কলকাতার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসের এক কর্তাও। শনিবার দিনভর (Fake Passport) অভিযান চালিয়ে গৌতমের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপু ছেত্রী নামে এক এজেন্টকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল মিডলম্যান বরুণজিৎ সিং রাঠোরকে। গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় তাকেও। জাল পাসপোর্ট তৈরি করে অনুপ্রবেশ করার মামলায় কলকাতা সহ রাজ্যের নানা প্রান্ত এবং গ্যাংটকের পাসপোর্ট অফিসের ২৫ জন কর্তা, একাধিক কর্মী ও এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। কলকাতা, উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ-খুন করে মাংস ভক্ষণ! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ

    ভুয়ো পাসপোর্ট (Fake Passport) চক্রের জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। নেপালের একাধিক বাসিন্দার জন্মের শংসাপত্র সহ বিভিন্ন জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে তাঁদের ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই জাল পাসপোর্ট তৈরির কাজে দার্জিলিংয়ের এক অফিসার যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক এজেন্ট প্রথমে ১৮টি ও পরে আরও ৯টি পাসপোর্ট তৈরির জন্য অফিসারদের ঘুষ দিয়েছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। এই ঘুষ নেওয়া আধিকারিকদের নামের তালিকাও তৈরি করছেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হওয়া ফোনের কললিস্ট থেকে গোয়েন্দারা জেনেছেন বিপুল অর্থ লেনদেন হয়েছে। ওই টাকা কোথায় গিয়েছে, তাও জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • CBI: পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস সিবিআইয়ের, একযোগে দেশের ৫০ শহরে হানা

    CBI: পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের পর্দাফাঁস সিবিআইয়ের, একযোগে দেশের ৫০ শহরে হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাসপোর্ট জালিয়াতিচক্রের পর্দা ফাঁস করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এদিন পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের প্রায় ৫০টি জায়গায় হানা দেয় বলে সূত্রের খবর। অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে সিবিআই (CBI)। ধৃতদের মধ্যে একজন পাসপোর্ট অফিসের শীর্ষকর্তাও রয়েছেন বলে খবর। ওই শীর্ষকর্তার নাম জানা গিয়েছে গৌতম কুমার সাহা। অন্যদিকে একজন হোটেল কর্মীকেও ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার নগদসহ গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, এই হোটেল কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট জালিয়াতিচক্রের সঙ্গে জড়িত ছিল। সূত্রের খবর এই দিনের তল্লাশি অভিযানে মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেছে সিবিআই। এই ২৪ জনের মধ্যে ১৬ জন পাসপোর্ট অফিসের আধিকারিকের নাম রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যাঁরা জাল নথির বদলে আসল পাসপোর্ট ইস্যু করে দিতেন। এর সবটাই চলত মোটা টাকা ঘুষের লেনদেনের উপরে।

    শনিবার ভোরে হাওড়ার উলুবেরিয়ায় হানা দেয় সিবিআই (CBI) 

    শনিবারই ভোরে হাওড়ার উলুবেরিয়া বাসিন্দা শেখ শাহানুরের বাড়িতে আচমকাই হানা দেয় সিবিআইয়ের (CBI) ৬ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল। ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শাহানুরকে। এরপর শাহানুরকে গাড়িতে করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। ঠিক একই সময়ে রুবি এলাকায় পাসপোর্ট অফিসে সিবিআইয়ের অন্য একটি দল হানা দেয় সাতসকালে।

    পাসপোর্ট ইস্যু খুব গুরুত্বপূর্ণ, দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা স্বার্থে

    জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে জাল নথির উপর ভিত্তি করে আসল পাসপোর্ট ইস্যু করার অভিযোগ ছিল সিবিআইয়ের কাছে। সেই মতো তারা জালিয়াতিচক্রের সন্ধান শুরু করে। শনিবার ওই জালিয়াতিচক্রকে ধরতে কলকাতা, শিলিগুড়ি গ্যাংটকের একাধিক জায়গায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পাসপোর্ট ইস্যু খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা স্বার্থে (CBI)। ভুয়ো নথির সাহায্যে পাসপোর্ট ইস্যু যেকোনও বিদেশিও যেমন ভারতে এসে পাসপোর্ট পেয়ে যাবে, তেমনই অনায়াসেই ভুয়ো পাসপোর্টের দৌলতে ভারত থেকে যে কোনও অপরাধী অন্য দেশেও চলে যেতে পারে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Newsclick: জেল হেফাজতে নিউজক্লিকের প্রবীর-অমিত, ফের সিবিআই হানা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বাড়ি, অফিসে  

    Newsclick: জেল হেফাজতে নিউজক্লিকের প্রবীর-অমিত, ফের সিবিআই হানা প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদকের বাড়ি, অফিসে  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ দিনের জেল হেফাজত নিউজক্লিকের (Newsclick) প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থর। ওই নিউজ পোর্টালের এইচআর অমিত চক্রবর্তীকেও পাঠানো হয়েছে ১০ দিনের জেল হেফাজতে। মঙ্গলবার দিল্লির একটি আদালত প্রবীর ও অমিতকে জেল হেফাজতে পাঠায়। প্রসঙ্গত, ৩ অক্টোবর দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের হাতে গ্রেফতার হন প্রবীর এবং অমিত। পরের দিন অতিরিক্ত সেশন কোর্ট তাঁদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায়।

    নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার ফের আদালতে তোলা হলে পাঠানো হয় জেল হেফাজতে। এদিনই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রবীর-অমিত। আদালতে প্রবীরের হয়ে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি বলেন, “সব অভিযোগ মিথ্যে। চিন থেকে একটি পয়সাও আসেনি।” প্রসঙ্গত, নিউজক্লিকের (Newsclick) বিরুদ্ধে অভিযোগ, চিনপন্থী মার্কিন ধনকুবেরের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীর ও অরুণাচল প্রদেশকে ‘বিতর্কিত’ এলাকা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এর পরেই দিল্লিতে ৩০ জন সাংবাদিকের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরে গ্রেফতার করা হয় প্রবীর এবং অমিতকে।

    দিল্লি পুলিশের অভিযোগ

    এদিকে, বুধবারও প্রবীরের অফিস এবং বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। দায়ের হয়েছে এফসিআরএ মামলা। ইউএপিএ আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রবীর ও অমিতকে। ২০২১ সাল থেকে নিউজক্লিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রবীরের সম্পত্তিও অ্যাটাচ করেছে তারা। দিল্লি পুলিশের দায়ের করা এফআইআরে বলা হয়েছে, এই নিউজ পোর্টালের (Newsclick) মোটা টাকা এসেছে চিন থেকে। ভারতের সার্বভৌমত্বকে ভাঙার জন্য এই চক্রান্ত। পিএডিএস নামে একটি গ্রুপের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রবীর এসব করতেন বলে অভিযোগ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে অন্তর্ঘাত করার ছকও কষা হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    দিল্লি পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, নিউজক্লিক প্রায় ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছে চিনের সূত্র থেকে। চিনের পক্ষে খবর করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল ওয়েবসাইটটি। তারা যে ৩৮ কোটি টাকা পেয়েছিল, তার মধ্যে ২৯ কোটি টাকা পেয়েছিল এক্সপোর্ট সার্ভিস হিসেবে, এফডিআই হিসেবে পেয়েছিল ৯ কোটি টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    Recruitment Scam: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুজোটাও জেলের ঘুপচি সেলেই কাটাতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বুধবার আদালতে সিবিআই দাবি করে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় নতুন তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেগুলি যাচাই করতে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন পার্থকে। পার্থর জামিনের বিরোধিতাও করেছে তারা। এর পরেই খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিনের আবেদন। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। পার্থ জানান, এ পর্যন্ত তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন তিনি। আগামিদিনেও করবেন। তবে গোয়েন্দারা নতুন কী তথ্য পেয়েছেন, তা জানা নেই।

    ‘নতুন নতুন তথ্য’

    তদন্তের অগ্রগতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিম্ন আদালত এবং হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হতে হয়েছে সিবিআইকে। অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে একাধিকবার ধমক খেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে। এদিন বিচারক শুভ্রসোম ঘোষালের এজলাসে সুর চড়াল সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, “প্রতিদিন আমাদের তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে। নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। সেটা যাচাই করতে আমরা জেলে গিয়ে জেরা করতে চাইছি। আমরা হাইকোর্টকে রিপোর্ট দিচ্ছি। আমাদের তদন্তকারী অফিসার ঘুমিয়ে নেই।”

    পুজো কাটবে জেলেই!

    প্রসঙ্গত, সদ্য বদল হয়েছে সিবিআই বিশেষ আদালতে। এর আগে বিচারক ছিলেন অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বিচারক ঘোষাল। নয়া এই বিচারকের এজলাসেই এদিন শুনানি হয়েছে পার্থর জামিনের। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছিল পার্থর। তাঁকে জেরা করে ইডি গ্রেফতার করে পার্থকে। পরে গ্রেফতার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তার পর থেকে জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ-অর্পিতা। জামিন না মেলায় গত বছরও বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থর পুজো কেটেছিল গারদে। এবারও তাঁর পুজো কাটবে জেলেই।

    আরও পড়ুুন: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    পার্থ জামিনের আবেদন করেছেন একাধিকবার। প্রতি বারই হতাশ হতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি পূর্ণ সময়ের একজন সহায়ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে। এদিনও ফের বাড়ল তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ (Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ফের মুখ পুড়ল পার্থর! সহায়ক নিয়োগের আবদার খারিজ করে দিলেন জেল কর্তৃপক্ষ

    Partha Chatterjee: ফের মুখ পুড়ল পার্থর! সহায়ক নিয়োগের আবদার খারিজ করে দিলেন জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে জামিন চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশেষ সিবিআই আদালতের। প্রত্যাখাত হয়েছিলেন। এবার একজন পূর্ণ সময়ের সহায়ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পার্থর সেই আবেদনেও সাড়া দিলেন না প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সূত্রে খবর, পার্থর অনুরোধ মঞ্জুর হয়নি।

    খারিজ জামিনের আবেদন

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে পার্থ গ্রেফতার হন ২০২২ সালের ২২ জুলাই। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন তিনি। দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশেষ সিবিআই আদালতের। সর্বত্রই প্রত্যাখাত হয়েছেন পার্থ।

    খারিজ সহায়কের আবদারও 

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চলতে-ফিরতে উঠতে-বসতে অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে পূর্ণ সময়ের একজন সহায়কের আবদার করেন পার্থ (Partha Chatterjee)। এ নিয়ে তিনি চিঠি দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। তাঁরা আবার যোগাযোগ করেন এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে। সেখানে চিকিৎসকরা পার্থকে পরীক্ষা করে বেশ কিছু ওষুধ দিলেও, তাঁর সহায়কের প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দেন। কেবল পার্থ যখন ব্যায়াম করবেন, তখন একজন সহায়ক দেওয়া যেতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষকে। এর পরেই নাকচ হয়ে যায় পার্থর আবেদন।

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। সে যাত্রায় তা খারিজও হয়ে গিয়েছিল। পার্থর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, পার্থর গ্রেফতারির পর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সিবিআই শুধু বলছে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বয়সজনিত সমস্যার পাশাপাশি নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার কথাও জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তার পরেও মেলেনি জামিন। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, পার্থর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, মামলায় অনেকে যুক্ত। ১৭ অক্টোবর পার্থর জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে তদন্তে নেমে পার্থর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা খানাতল্লাশি চালায় পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়া ও টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। সেখানে প্রচুর পরিমাণ নগদ টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়। রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পার্থ (Partha Chatterjee) ও অর্পিতার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি।” যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকের বেআইনি নিয়োগ মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বৃহস্পতির পর ফের শুনানি হয় শুক্রবারে। তখনই সিবিআই তদন্তের ইঙ্গিত দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অপসারণের নির্দেশ বিচারপতির

    ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকায় বৃহস্পতিবার ওই ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অধ্যাপক অচিনা কুন্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে পুনর্বহাল করা হবে।

    গুরুতর অভিযোগ শিক্ষা দফতরেরও

    সুনন্দা ও অচিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরও। একুশ, বাইশ এবং তেইশ সালে তাঁদের বেতন বন্ধ ও বিভাগীয় তদন্তের জন্য কলেজের গভর্নিং বডিকে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা দফতর। গভর্নিং বডি সেই সুপারিশ কার্যকর করেনি। আদালত (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের দাবি, গভর্নিং বডির সভাপতির উদ্দেশে সুপারিশপত্র পাঠানো হলেও, তা পৌঁছত সচিবের হাতে। সুনন্দা ছিলেন গভর্নিং বডির বর্তমান সচিব।

    আরও পড়ুুন: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    এদিনের শুনানিতে অচিনার অপসারণের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলেজে শিক্ষকতার জন্য ইউজিসির নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁর নেই। তাই তাঁর অপসারণের নির্দেশ বহাল থাকবে। রাজ্যের ও পুলিশের রিপোর্ট দেখার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এ তো তিনজনে (মানিক ভট্টাচার্য, সুনন্দা এবং অচিনা) মিলে যা খুশি করেছেন। অন্দরমহলে রাজা ধন ছড়াচ্ছেন আর কুড়োচ্ছে কে? রানি। তিনজন কলেজ চালাতেন। তিনজন মিলেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ওই অধ্যক্ষ কীভাবে বেতন পেতেন, তা জানতে কলেজ সার্ভিস কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।  এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে স্পেশাল অফিসার অর্ক কুমার নাগ বৃহস্পতিবার রাতে এসে পুলিশ নিয়ে কোর্ট অর্ডারে অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে সিল করে দিয়ে চলে যান। তাঁর রুমের দরজায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) অর্ডারের কপি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ল কলেজের সদ্য অপসারিত অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MGNREGA: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের

    MGNREGA: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়! একশো দিনের কাজের (MNREGA) টাকা পেতে দিল্লিতে বাস ভর্তি করে লোক নিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে সোমবার বিক্ষোভও দেখায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এই দাবিতে মঙ্গলবারও দিল্লিতে ধর্না দেবে তৃণমূল।

    সিবিআই চান গিরিরাজ

    এদিনই কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেকের। এহেন আবহে একশো দিনের কাজে টাকার ক্ষেত্রে বাংলায় প্রচুর ভুয়ো জবকার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ খোদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের। এজন্য সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলায় একশো দিনের কাজের (MNREGA) টাকা নিয়ে যখন অনুসন্ধান করা হয়, তখন অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে একেবারেই সহযোগিতা করা হয়নি। তাঁর দাবি, এর পর যখন আধারের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখা হল, তখন দেখা গিয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ জবকার্ডে হেরফের রয়েছে।

    ২৫ লাখ জবকার্ডের ইস্যু

    গিরিরাজ বলেন, “২৫ লাখ শ্রমিকের নামে টাকা ঘোরানো হয়েছে। এটা শুধু চুরিই নয়, গা জোয়ারিও। এখন তো মনে হচ্ছে, সময় এসে গিয়েছে এটার তদন্তভার আমাকে সিবিআইয়ের ওপর দিয়ে দিতে হবে। যেভাবে অনুসন্ধানে অসহযোগিতা মিলেছে, তার ওপর ২৫ লাখ জবকার্ডের ইস্যু… এটা অবশ্যই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকেও এদিন একহাত নিয়েছেন গিরিরাজ। বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, গরিবের লুট করা টাকা গরিবদের ফেরত দিন। ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ডের টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, এটা কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশবাসী জানতে চায়।” এতদসত্ত্বেও যে কেন্দ্র বার্ধক্য পেনশন, বিধবা পেনশন সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা আটকে রাখেনি, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন গিরিরাজ।

    আরও পড়ুুন: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    তিনি বলেন, “গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সরকার ইউপিএর তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি তহবিল (MGNREGA) বিনিয়োগ বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, সরকারের অন্যতম দারিদ্র মোচন কৌশল ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে। মমতা সরকার এটি পছন্দ করছে না। সম্ভবত তাঁর রাজনীতি বাংলাকে দরিদ্র রাখতে চায়।” তিনি বলেন, “এটি একটি লুট, হত্যার সরকার। বাংলার মানুষের সামনে ওঁদের কোনও জবাবদিহিতা নেই। এঁরা আর্বান নকশালদের মতো ব্যবহার করেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি 

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার শুনানি। শুনানি হবে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ থেকে প্রাথমিক সব মামলারই শুনানি হবে পর পর।

    নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা

    এসএসসি, প্রাইমারি সহ একাধিক মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল পিটিশন। ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সহ একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির মামলা দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। বিচারপতি বোস ও ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল, এতগুলি মামলা, কোনটি আমরা আগে শুনব?

    শুনানি শুরু ৫ অক্টোবর থেকে 

    বৃহস্পতিবার নিয়োগ সংক্রান্ত (Supreme Court) মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি শুরু হতেই এদিনের জন্য স্থগিত রাখার আর্জি জানায় রাজ্য। শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এভাবে বারবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি করেই চলেছেন।” এরপরই আদালত জানায়, ৫ অক্টোবর থেকে যাবতীয় মামলার শুনানি শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত এই সব মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যা যা রায় দিয়েছে, তারিখ অনুযায়ী সেই সব কপি জমা করতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। দিনের ক্রম অনুসারে সেই সব রায়ের প্রতিলিপি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। গত মাসেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কতদূর এগিয়েছে, তা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করা হয়। নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের গোড়ায় পৌঁছতে আলাদাভাবে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তার জেরে গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    এঁদের মধ্যে যেমন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রয়েছেন, তেমনি (Supreme Court) রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে জেলে হেফাজতে রয়েছেন এঁরা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নামও। তাঁকে তো বটেই, তাঁর মা এবং বাবাকেও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন! কেন জরিমানা করল সিবিআই আদালত?

    Partha Chatterjee: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন! কেন জরিমানা করল সিবিআই আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত। বুধবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    কেন জামিন খারিজ

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর শুধু জামিনের আর্জি খারিজই নয় তাঁকে এদিন আর্থিক জরিমানাও করা হয়। বার বার একই আবেদন করায় প্রাক্তন মন্ত্রীর উপর এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন পার্থসহ ১০ জনকে ফের আদালতে পেশ করা হয়। তখন আদালতে পার্থর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। সওয়ালে তাঁরা বলেন, পার্থবাবুর গ্রেফতারির পর দেড় বছর কাটতে চলেছে। তাঁর কাছ থেকে নতুন করে আর কিছু জানার নেই তদন্তকারীদের। ছ মাস আগে পার্থর বিরুদ্ধে শেষ নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তার পর থেকে কার্যত বিনা বিচারে জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছে। একাধিক উপসর্গ রয়েছে তাঁর। যদিও সিবিআই-এর তরফে এদিন ফের জানানো হয়, পার্থর বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তিনি প্রভাবশালীও বটে। জামিন পেয়ে বাইরে এলে তদন্তে প্রভাবিত করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    আর্থিক জরিমানা

    দুপক্ষের সওয়াল শুনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থ ছাড়াও কল্যাণময়, সুবীরেশসহ ১০ জনকে আদালতে পেশ করা হয়। প্রত্যেককে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করে ইডি। ২৩ জুলাই রাতে গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পর জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ। কিন্তু ইডি সেই জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করে হাই কোর্টে। সম্প্রতি নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা চার্জশিটে অনুমোদন পেয়েছে সিবিআই। এদিন আদালতে সেই চার্জশিটও দেখতে চান পার্থ। কিন্তু তা গ্রাহ্য হয়নি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে ১,০০০ টাকা জরিমান করে আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share