Tag: cbi

cbi

  • Recruitment Scam: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    Recruitment Scam: হাতে নয়া তথ্য, দাবি সিবিআইয়ের, তাই কি ফের খারিজ পার্থর জামিনের আর্জি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পুজোটাও জেলের ঘুপচি সেলেই কাটাতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বুধবার আদালতে সিবিআই দাবি করে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় নতুন তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সেগুলি যাচাই করতে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন পার্থকে। পার্থর জামিনের বিরোধিতাও করেছে তারা। এর পরেই খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিনের আবেদন। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। পার্থ জানান, এ পর্যন্ত তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন তিনি। আগামিদিনেও করবেন। তবে গোয়েন্দারা নতুন কী তথ্য পেয়েছেন, তা জানা নেই।

    ‘নতুন নতুন তথ্য’

    তদন্তের অগ্রগতি (Recruitment Scam) নিয়ে নিম্ন আদালত এবং হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হতে হয়েছে সিবিআইকে। অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে একাধিকবার ধমক খেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে। এদিন বিচারক শুভ্রসোম ঘোষালের এজলাসে সুর চড়াল সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী আদালতে বলেন, “প্রতিদিন আমাদের তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে। নতুন নতুন তথ্য উঠে এসেছে। সেটা যাচাই করতে আমরা জেলে গিয়ে জেরা করতে চাইছি। আমরা হাইকোর্টকে রিপোর্ট দিচ্ছি। আমাদের তদন্তকারী অফিসার ঘুমিয়ে নেই।”

    পুজো কাটবে জেলেই!

    প্রসঙ্গত, সদ্য বদল হয়েছে সিবিআই বিশেষ আদালতে। এর আগে বিচারক ছিলেন অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বিচারক ঘোষাল। নয়া এই বিচারকের এজলাসেই এদিন শুনানি হয়েছে পার্থর জামিনের। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছিল পার্থর। তাঁকে জেরা করে ইডি গ্রেফতার করে পার্থকে। পরে গ্রেফতার করা হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তার পর থেকে জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ-অর্পিতা। জামিন না মেলায় গত বছরও বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থর পুজো কেটেছিল গারদে। এবারও তাঁর পুজো কাটবে জেলেই।

    আরও পড়ুুন: টেট পাশের নথি দেখাতে পারেননি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

    পার্থ জামিনের আবেদন করেছেন একাধিকবার। প্রতি বারই হতাশ হতে হয়েছে তাঁকে। সম্প্রতি পূর্ণ সময়ের একজন সহায়ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছে। এদিনও ফের বাড়ল তাঁর জেল হেফাজতের মেয়াদ (Recruitment Scam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ফের মুখ পুড়ল পার্থর! সহায়ক নিয়োগের আবদার খারিজ করে দিলেন জেল কর্তৃপক্ষ

    Partha Chatterjee: ফের মুখ পুড়ল পার্থর! সহায়ক নিয়োগের আবদার খারিজ করে দিলেন জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে জামিন চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশেষ সিবিআই আদালতের। প্রত্যাখাত হয়েছিলেন। এবার একজন পূর্ণ সময়ের সহায়ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। পার্থর সেই আবেদনেও সাড়া দিলেন না প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সূত্রে খবর, পার্থর অনুরোধ মঞ্জুর হয়নি।

    খারিজ জামিনের আবেদন

    শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে পার্থ গ্রেফতার হন ২০২২ সালের ২২ জুলাই। তার পর থেকে তিনি রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে একাধিকবার জামিনের আবেদন করেছেন তিনি। দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশেষ সিবিআই আদালতের। সর্বত্রই প্রত্যাখাত হয়েছেন পার্থ।

    খারিজ সহায়কের আবদারও 

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চলতে-ফিরতে উঠতে-বসতে অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে পূর্ণ সময়ের একজন সহায়কের আবদার করেন পার্থ (Partha Chatterjee)। এ নিয়ে তিনি চিঠি দেন জেল কর্তৃপক্ষকে। তাঁরা আবার যোগাযোগ করেন এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে। সেখানে চিকিৎসকরা পার্থকে পরীক্ষা করে বেশ কিছু ওষুধ দিলেও, তাঁর সহায়কের প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দেন। কেবল পার্থ যখন ব্যায়াম করবেন, তখন একজন সহায়ক দেওয়া যেতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষকে। এর পরেই নাকচ হয়ে যায় পার্থর আবেদন।

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    সেপ্টেম্বর মাসে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ (Partha Chatterjee)। সে যাত্রায় তা খারিজও হয়ে গিয়েছিল। পার্থর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, পার্থর গ্রেফতারির পর প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গিয়েছে। সিবিআই শুধু বলছে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। বয়সজনিত সমস্যার পাশাপাশি নানা রকম শারীরিক অসুস্থতার কথাও জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তার পরেও মেলেনি জামিন। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, পার্থর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, মামলায় অনেকে যুক্ত। ১৭ অক্টোবর পার্থর জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে তদন্তে নেমে পার্থর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা খানাতল্লাশি চালায় পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়া ও টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে। সেখানে প্রচুর পরিমাণ নগদ টাকা ও সোনার গয়না উদ্ধার করা হয়। রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকা পার্থ (Partha Chatterjee) ও অর্পিতার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি”, আইন কলেজকাণ্ডে মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা একটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। তদন্ত করে দেখতে হবে। প্রয়োজনে সিবিআইকে তদন্তভার দিতে পারি।” যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকের বেআইনি নিয়োগ মামলায় এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বৃহস্পতির পর ফের শুনানি হয় শুক্রবারে। তখনই সিবিআই তদন্তের ইঙ্গিত দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    অপসারণের নির্দেশ বিচারপতির

    ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকায় বৃহস্পতিবার ওই ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা এবং অধ্যাপক অচিনা কুন্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, ওই দুই ব্যক্তি যদি তাঁদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারেন, তাহলে পুনর্বহাল করা হবে।

    গুরুতর অভিযোগ শিক্ষা দফতরেরও

    সুনন্দা ও অচিনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরও। একুশ, বাইশ এবং তেইশ সালে তাঁদের বেতন বন্ধ ও বিভাগীয় তদন্তের জন্য কলেজের গভর্নিং বডিকে সুপারিশ করেছিল শিক্ষা দফতর। গভর্নিং বডি সেই সুপারিশ কার্যকর করেনি। আদালত (Justice Abhijit Gangopadhyay) নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের দাবি, গভর্নিং বডির সভাপতির উদ্দেশে সুপারিশপত্র পাঠানো হলেও, তা পৌঁছত সচিবের হাতে। সুনন্দা ছিলেন গভর্নিং বডির বর্তমান সচিব।

    আরও পড়ুুন: রোগীর রক্তচাপ মাপছেন সিভিক ভলান্টিয়ার! রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে কটাক্ষ সুকান্তর

    এদিনের শুনানিতে অচিনার অপসারণের নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কলেজে শিক্ষকতার জন্য ইউজিসির নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁর নেই। তাই তাঁর অপসারণের নির্দেশ বহাল থাকবে। রাজ্যের ও পুলিশের রিপোর্ট দেখার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এ তো তিনজনে (মানিক ভট্টাচার্য, সুনন্দা এবং অচিনা) মিলে যা খুশি করেছেন। অন্দরমহলে রাজা ধন ছড়াচ্ছেন আর কুড়োচ্ছে কে? রানি। তিনজন কলেজ চালাতেন। তিনজন মিলেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

    ওই অধ্যক্ষ কীভাবে বেতন পেতেন, তা জানতে কলেজ সার্ভিস কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।  এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে স্পেশাল অফিসার অর্ক কুমার নাগ বৃহস্পতিবার রাতে এসে পুলিশ নিয়ে কোর্ট অর্ডারে অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে সিল করে দিয়ে চলে যান। তাঁর রুমের দরজায় সাঁটিয়ে দেওয়া হয় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) অর্ডারের কপি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই ল কলেজের সদ্য অপসারিত অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েনকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MGNREGA: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের

    MGNREGA: “লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সিবিআই চাই”, দাবি গিরিরাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়! একশো দিনের কাজের (MNREGA) টাকা পেতে দিল্লিতে বাস ভর্তি করে লোক নিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে সোমবার বিক্ষোভও দেখায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এই দাবিতে মঙ্গলবারও দিল্লিতে ধর্না দেবে তৃণমূল।

    সিবিআই চান গিরিরাজ

    এদিনই কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা অভিষেকের। এহেন আবহে একশো দিনের কাজে টাকার ক্ষেত্রে বাংলায় প্রচুর ভুয়ো জবকার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ খোদ কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের। এজন্য সিবিআই তদন্তের দাবিও জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলায় একশো দিনের কাজের (MNREGA) টাকা নিয়ে যখন অনুসন্ধান করা হয়, তখন অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে একেবারেই সহযোগিতা করা হয়নি। তাঁর দাবি, এর পর যখন আধারের সঙ্গে তথ্য মিলিয়ে দেখা হল, তখন দেখা গিয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ জবকার্ডে হেরফের রয়েছে।

    ২৫ লাখ জবকার্ডের ইস্যু

    গিরিরাজ বলেন, “২৫ লাখ শ্রমিকের নামে টাকা ঘোরানো হয়েছে। এটা শুধু চুরিই নয়, গা জোয়ারিও। এখন তো মনে হচ্ছে, সময় এসে গিয়েছে এটার তদন্তভার আমাকে সিবিআইয়ের ওপর দিয়ে দিতে হবে। যেভাবে অনুসন্ধানে অসহযোগিতা মিলেছে, তার ওপর ২৫ লাখ জবকার্ডের ইস্যু… এটা অবশ্যই তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।” তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকেও এদিন একহাত নিয়েছেন গিরিরাজ। বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, গরিবের লুট করা টাকা গরিবদের ফেরত দিন। ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ডের টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, এটা কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশবাসী জানতে চায়।” এতদসত্ত্বেও যে কেন্দ্র বার্ধক্য পেনশন, বিধবা পেনশন সহ বিভিন্ন প্রকল্পে টাকা আটকে রাখেনি, তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন গিরিরাজ।

    আরও পড়ুুন: বাংলায় বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য মোদি ও গিরিরাজকে ধন্যবাদ শুভেন্দুর

    তিনি বলেন, “গ্রামীণ এলাকাগুলিতে সরকার ইউপিএর তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি তহবিল (MGNREGA) বিনিয়োগ বরাদ্দ করেছে মোদি সরকার। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, সরকারের অন্যতম দারিদ্র মোচন কৌশল ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে। মমতা সরকার এটি পছন্দ করছে না। সম্ভবত তাঁর রাজনীতি বাংলাকে দরিদ্র রাখতে চায়।” তিনি বলেন, “এটি একটি লুট, হত্যার সরকার। বাংলার মানুষের সামনে ওঁদের কোনও জবাবদিহিতা নেই। এঁরা আর্বান নকশালদের মতো ব্যবহার করেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি 

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ৫ অক্টোবর থেকে শুরু নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অক্টোবর থেকে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হবে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার শুনানি। শুনানি হবে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ থেকে প্রাথমিক সব মামলারই শুনানি হবে পর পর।

    নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা

    এসএসসি, প্রাইমারি সহ একাধিক মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল পিটিশন। ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭ সহ একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির মামলা দায়ের হয় দেশের শীর্ষ আদালতে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠায় বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। বিচারপতি বোস ও ত্রিবেদীর ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন ছিল, এতগুলি মামলা, কোনটি আমরা আগে শুনব?

    শুনানি শুরু ৫ অক্টোবর থেকে 

    বৃহস্পতিবার নিয়োগ সংক্রান্ত (Supreme Court) মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি শুরু হতেই এদিনের জন্য স্থগিত রাখার আর্জি জানায় রাজ্য। শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এভাবে বারবার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় অযোগ্য প্রার্থীরা চাকরি করেই চলেছেন।” এরপরই আদালত জানায়, ৫ অক্টোবর থেকে যাবতীয় মামলার শুনানি শুরু হবে। এখনও পর্যন্ত এই সব মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট যা যা রায় দিয়েছে, তারিখ অনুযায়ী সেই সব কপি জমা করতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। দিনের ক্রম অনুসারে সেই সব রায়ের প্রতিলিপি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক মামলা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টেও। গত মাসেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কতদূর এগিয়েছে, তা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিল আদালত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এ সংক্রান্ত রিপোর্টও পেশ করা হয়। নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের গোড়ায় পৌঁছতে আলাদাভাবে তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। তার জেরে গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

    এঁদের মধ্যে যেমন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা রয়েছেন, তেমনি (Supreme Court) রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে জেলে হেফাজতে রয়েছেন এঁরা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নামও। তাঁকে তো বটেই, তাঁর মা এবং বাবাকেও সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন! কেন জরিমানা করল সিবিআই আদালত?

    Partha Chatterjee: ফের খারিজ পার্থর জামিনের আবেদন! কেন জরিমানা করল সিবিআই আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত। বুধবার তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পার্থকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    কেন জামিন খারিজ

    প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর শুধু জামিনের আর্জি খারিজই নয় তাঁকে এদিন আর্থিক জরিমানাও করা হয়। বার বার একই আবেদন করায় প্রাক্তন মন্ত্রীর উপর এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে এদিন পার্থসহ ১০ জনকে ফের আদালতে পেশ করা হয়। তখন আদালতে পার্থর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী। সওয়ালে তাঁরা বলেন, পার্থবাবুর গ্রেফতারির পর দেড় বছর কাটতে চলেছে। তাঁর কাছ থেকে নতুন করে আর কিছু জানার নেই তদন্তকারীদের। ছ মাস আগে পার্থর বিরুদ্ধে শেষ নথি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তার পর থেকে কার্যত বিনা বিচারে জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। তাঁর বয়স হয়েছে। একাধিক উপসর্গ রয়েছে তাঁর। যদিও সিবিআই-এর তরফে এদিন ফের জানানো হয়, পার্থর বিরুদ্ধে অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তিনি প্রভাবশালীও বটে। জামিন পেয়ে বাইরে এলে তদন্তে প্রভাবিত করতে পারেন।

    আরও পড়ুন: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    আর্থিক জরিমানা

    দুপক্ষের সওয়াল শুনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থ ছাড়াও কল্যাণময়, সুবীরেশসহ ১০ জনকে আদালতে পেশ করা হয়। প্রত্যেককে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে ২০২২ সালের জুলাই মাসে গ্রেফতার করে ইডি। ২৩ জুলাই রাতে গ্রেফতার হওয়ার ১৩ মাস পর জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পার্থ। কিন্তু ইডি সেই জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে পাল্টা আবেদন করে হাই কোর্টে। সম্প্রতি নিয়োগ মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা চার্জশিটে অনুমোদন পেয়েছে সিবিআই। এদিন আদালতে সেই চার্জশিটও দেখতে চান পার্থ। কিন্তু তা গ্রাহ্য হয়নি। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে ১,০০০ টাকা জরিমান করে আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: সিবিআই সিটের বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপ নয়! বিচারককে বদলির নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বদলির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ, ইডি এবং সিবিআইয়ের সিটের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ পুলিশ যেন না করে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভির কথা শোনার পরই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। 

    সিবিআই-এর দাবি

    বুধবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান অশ্বিন শেণভি। তাঁকে তদন্তে দেরি নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তখনই শেণভি জানান, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’র মুখে পড়তে হচ্ছে।  নিয়োগ মামলায় অভিযুক্ত কুন্তলের করা অভিযোগের ভিত্তিতে যে মামলা হয়, তাতে পুলিশকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই বিশেষ আদালত। আর সেই মামলায় সিবিআই অফিসারদের বারবার নোটিস দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জোড়া নির্দেশ দেন।

    বিচারককে বদলি করতে হবে

    এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমি জানতে পেরেছি, সিবিআই স্পেশাল কোর্টের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় জেলে থাকা এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সিবিআই বিচারকের কোনও ভাবেই হাইকোর্টের অর্ডারে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এটি তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ। শুনেছি, বিচারক অপর্ণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। তাঁর মাথায় কারও হাত রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।”  তাঁর নির্দেশ, আগামী ৪ অক্টোবরের মধ্যে বিচারককে বদলি করাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তাঁর এই নির্দেশ পালন হল কি না, তা জানিয়ে রিপোর্টও দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে। বিচারপতি বলেন, ‘‘ওই পদটি এখন ফাঁকা রয়েছে। ওই বিচারক অন্তর্বর্তী দায়িত্বে রয়েছেন। তাই ওই পদটিতে ৪ অক্টোবরের মধ্যে নতুন বিচারককে বসাতে হবে। আমি নির্দেশ দিচ্ছি, বিচারক চট্টোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতির আর কোনও মামলা শুনতে পারবে না।’’

    আরও পড়ুুন: নিজ্জর খুনে আরও গাড্ডায় ট্রুডো, পাশে পেলেন না ‘ফাইভ আইজ’ অ্যালায়েন্সকেও

    পুলিশকে কড়া নির্দেশ

    সিটের আধিকারিকদের ‘পুলিশি হেনস্থা’ মুখে পড়ার অভিযোগ শুনে বিচারপতির (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ, সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের মুখ্যসচিবের মাধ্যমে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরেও আনতে চান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওঁদের (সিবিআই সিটের আধিকারিকদের) যেন টাচ (ছোঁয়া) না করা হয়। দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপোস নয়।’’ কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে তাঁর নির্দেশ, তারা সিটের কোনও আধিকারিককে আর হয়রানি করতে পারবে না। আদালতের এই নির্দেশ না মানলে পুলিশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: হাই-অ্যালার্ট মণিপুরে! দুই পড়ুয়াকে খুনের জের, ফের পাঁচ দিন বন্ধ ইন্টারনেট

    Manipur Violence: হাই-অ্যালার্ট মণিপুরে! দুই পড়ুয়াকে খুনের জের, ফের পাঁচ দিন বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও অশান্ত মণিপুর (Manipur Violence)। এক নাবালক ও নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল রাজধানী ইম্ফল(Imphal)। হিংসা  আটকানোর জন্য আগামী পাঁচদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দুই কিশোর-কিশোরীর হত্য়ার তদন্ত সিবিআই(CBI)-র হাতে তুলে দিয়েছে মণিপুর সরকার। বুধবারই বিশেষ বিমানে ইম্ফলে যাচ্ছে সিবিআইয়ের দল। থাকবেন সিবিআইয়ের স্পেশাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগরও।

    রাজ্য জুড়ে হাই-অ্যালার্ট 

    গত জুলাই মাস থেকে এক কিশোর ও কিশোরী নিখোঁজ ছিল। সম্প্রতিই ওই দুইজনকে নৃশংসভাবে খুন করার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরপরই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রায় শতাধিক পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখাতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়ির দিকে রওনা দেয়। মৃত দুই পড়ুয়াই মেইতেই সম্প্রদায়ের বলে জানা গিয়েছে। এরপরেই নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে মণিপুর (Manipur Violence) জুড়ে। সে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে হাই-অ্যালার্টে থাকতে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে উত্তপ্ত বেশ কয়েকটি জায়গায়। 

    বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

    প্রায় দু’মাস বন্ধ থাকার পরে গত ২৫ জুলাই গোষ্ঠীহিংসা দীর্ণ মণিপুরে (Manipur Violence) আংশিক ভাবে ফিরেছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রাথমিক ভাবে যাঁদের স্থায়ী ব্রডব্র্যান্ড সংযোগ রয়েছে, তাঁদেরই কেবল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফের উত্তেজনা ছড়ানোয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব টি রঞ্জিত সিংহ এক নির্দেশিকায় জানিয়েছিলেন, ‘আপৎকালীন পরিস্থিতি এবং জননিরাপত্তা আইন’ মেনে সাময়িক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার প্রস্তাবে অনুমোদন মিলেছে। মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কার্যকর হল ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ রাখার সেই সিদ্ধান্ত। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মণিপুরে মোবাইল ইন্টারনেট ডেটা পরিষেবার উপর সাময়িক বিধিনিষেধ পরবর্তী পাঁচ দিন চলবে। আগামী ১ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত বহাল থাকবে নিষেধাজ্ঞা। তার পর বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।

    মণিপুরে সিবিআই

    মঙ্গলবার রাতেই মণিপুরের (Manipur Violence) মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিং জানান, ওই দুই নাবালিকার মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ঘটনার সমস্ত আপডেট জানানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এরপরই জানা যায় যে বুধবারই বিশেষ বিমানে মণিপুরে যাচ্ছে সিবিআইয়ের দল। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের দলে থাকবেন সিবিআইয়েরর সেকেন্ড-ইন কম্য়ান্ড অজয় ভাটনগর। ইতিমধ্যেই মণিপুরে উপস্থিত রয়েছেন সিবিআইয়ের যুগ্ন ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। এছাড়াও তদন্তকারী দলে স্পেশাল ক্রাইমের একাধিক শীর্ষ কর্তারা উপস্থিত থাকবেন, যারা ঘটনাস্থল পুনর্নিমাণ, জেরা ও টেকনিক্যাল সার্ভেল্যান্সে পারদর্শী। সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির আধিকারিকরাও যাচ্ছেন মণিপুরে।

    আরও পড়ুন: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় সরকার

    গত চার মাস ধরে হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর (Manipur Violence)। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। যদিও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছিল মণিপুর। শিথিল করা হয়েছিল সে রাজ্যের একাধিক জেলায় জারি থাকা কার্ফু। মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মণিপুর প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, মণিপুরে সমস্যা বহুদিন ধরেই।  রাজ্য এমনকি দেশের বাইরে থেকেও মণিপুরে ঢোকেন বহু মানুষ। অশান্তির পিছনে এটি একটি বড় কারণ। সঙ্গে জাতিগত সমস্যাও রয়েছে। তবে, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মিলে মণিপুরে শান্তি ফেরাতে সক্রিয়। খুব শীঘ্রই উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে স্থিতাবস্থা ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    CBI: একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন তৃণমূলের পার্থও! কী বলছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটাল সিবিআই! নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ৩৫টি ভুয়ো সংস্থার হদিশ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলে রেখেছিলেন। আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, প্রতিটি ভুয়ো সংস্থার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লিতে সিবিআইয়ের ফরেন্সিক বিভাগের সহযোগিতায় অ্যাকাউন্টগুলির অডিট চলছে। অডিট শেষ হলে আসল সুবিধাভোগীদের নাম সামনে আসবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা।

    সিবিআইয়ের স্ক্যানারে কারা?

    জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে ‘অনন্ত টেক্স ফ্যাব’ থেকে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সহ একাধিক সংস্থা। পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে ছিল এই কোম্পানি। ওই সংস্থার ডিরেক্টরের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের তথ্যও চলে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে (CBI)। নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা সেখানেও খেটেছে বলে অনুমান সিবিআইয়ের।

    কালো টাকা সাদা করতে ভুয়ো সংস্থা!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ভুয়ো সংস্থাগুলি তৈরি করা হয় বিভিন্ন সময়। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা। কালো টাকা সাদা করতে এই অ্যাকাউন্টগুলিই ব্যবহার করা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করেছে সিবিআই। ফরেন্সিক অডিটের রিপোর্ট হাতে পেলেই মাথারা সামনে চলে আসবে বলে অনুমান সিবিআইয়ের। এই ভুয়ো সংস্থাগুলির মাধ্যমে কোথায়, কীভাবে এবং কাদের কাছে টাকা গিয়েছে, সেই মানি ট্রেল রাখা এবং পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্যই ফরেন্সিক অডিট করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। এর পাশাপাশি ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছেও সাহায্য চেয়েছে সিবিআই (CBI)। যেসব সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেসবই চলে আসবে এই অডিটের আওতায়।

    আরও পড়ুুন: চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল যাবে অভিষেকের অফিসের সামনে দিয়েই, নির্দেশ হাইকোর্টের

    এদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়ও তৎপর হয়েছে সিবিআই। এই নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট পরীক্ষা করেছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই বিভিন্ন ঠিকানায় চলছে তল্লাশি। হাওড়ার দাশনগর ও জগাছায় এদিন তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। সংস্থার দুই অংশীদার পার্থ সেন ও কৌশিক মাজির বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ভর্ৎসিত হন ইডি-সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহাও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই রাতারাতি তৎপর হয়ে উঠেছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    TET Scam: টেটে ফেল করেও চাকরি মেনে নিল পর্ষদ! ওএমআর রহস্যে একসঙ্গে কাজ করবে সিবিআই-ইডি নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন? কেন নিয়েছেন? কোন প্রক্রিয়ায় ডিজিটাইজড করা হয়েছে? উত্তর খুঁজতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই ও ইডি। ওএমআর শিট মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়ে পর্ষদ। আগামী ১০ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    পর্ষদকে প্রশ্ন বিচারপতির

    এদিন শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) ডিজিটাইজড করার সিদ্ধান্ত কে নিয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে সব রকম সাহায্য করতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দেন তিনি। ২০২০ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পর ২০২১ সালে একটি মেধাতালিকা প্রকাশ করে পর্ষদ। কিন্তু মেধাতালিকা প্রকাশের কিছু সময় পরেই সেটি তুলে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসাবে পর্ষদের তরফে বলা হয়, ওয়েবসাইটটি হ্যাক করা হয়েছিল। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও জানানো হয় পর্ষদের তরফে। 

    আরও পড়ুন: বকেয়া নিয়ে উদাসীন রাজ্য! বর্ধিত বেতন ডিএ আন্দোলনকারীদের দেওয়ার ঘোষণা শুভেন্দুর

    সিবিআই-এর কথা মানল পর্ষদ

    টেট (TET) ফেল করেও চাকরি পেয়েছিল আরও ৯৬ জন! হাইকোর্টে পেশ করা সিবিআইয়ের রিপোর্ট এদিন কার্যত মেনে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিন এই বিষযে পর্ষদের তরফে আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সিনহা। তিনি পর্ষদের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, “ওএমআর শিটের (recruitment case) আসল প্রতিলিপি কোথায়?” বিচারপতির প্রশ্ন, ‘‘কারা বেআইনি ভাবে নিয়োগ পেয়েছে, আপনারা জানলেন কী ভাবে? যাচাই করলেন কী করে? যেখানে আসল উত্তরপত্র নেই বলে জানিয়েছেন আপনারাই।’’ এদিন আদালতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “কে পাশ করেছে, কে কত নম্বর পেয়েছে, কীভাবে বিকৃত করা হয়েছে, পর্ষদের রিপোর্টে তো সেগুলো স্পষ্ট নয়।” এমনকী পর্ষদের তরফে জমা দেওয়া ডিজিটাইজড রিপোর্টও এডিট করা সম্ভব বলে এদিন মন্তব্য করেন বিচারপতি। আদালতে তিনি বলেন, “আসল ওএমআর শিট না থাকাতেই সমস্যার সূত্রপাত।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share