Tag: cbi

cbi

  • Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

    Partha Chatterjee: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই প্রথম সিবিআই মামলায় পার্থর নামে এল চার্জশিটের অনুমোদন। গ্রুপ সি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় পার্থর নামে চার্জশিটের অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার আদালতে এ কথা জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

    মন্ত্রীর ক্ষেত্রে চার্জশিট দেওয়ার নিয়ম

    এতদিন পর্যন্ত রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় চার্জশিট গ্রহণ করেনি আদালত। উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন পার্থ। মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল। তাই কোনও মন্ত্রীকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে কিংবা চার্জশিটে নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় রাজ্যপালের অনুমতির। গ্রুপ সি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ওই চার্জশিটে শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ কয়েকজন প্রাক্তন আধিকারিকের নাম রয়েছে। তাঁদের জন্য প্রয়োজন রাজ্য সরকারের অনুমোদন। সেই অনুমোদন চাওয়াও হয়েছে। যদিও মেলেনি। তাই ওই চার্জশিট আদালত গ্রহণ করবে কিনা, সে প্রশ্নও উঠছে।

    নেপথ্য কাহিনি

    প্রসঙ্গত, গত বছর ২২ জুলাই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরের দিন গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডির গ্রেফতারির মাস কয়েক পরে পার্থকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার পর বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন ছিল রাজ্যপালের অনুমোদনের। সেটা আগেই দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এবার দিলেন চার্জশিটে নাম দেওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমোদনও।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর প্রথম যে হেভিওয়েট গ্রেফতার হন, তিনি হলেন পার্থ। তাঁর বাড়ির পাশাপাশি পার্থর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জোড়া ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় সবান্ধব পার্থকে। প্রেসিডেন্সি জেলের আলাদা আলাদা সেলে রয়েছেন পার্থ ও অর্পিতা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    কিছু দিন আগেই আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, পার্থর (Partha Chatterjee) বাড়িতেই ছিল চাকরি বিক্রির অফিস। তাঁর নাকতলার বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে একটি অফিস ছিল। সেখানে অবাধে যাতায়াত করতেন দালালরা। গ্রুপ সি-র নিয়োগ তালিকা তৈরি হত সেখানেই। পরে তা চলে যেত এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের কাছে। যাঁরা টাকা দিতেন, তালিকাভুক্ত হত তাঁদের নাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Manik Bhattacharya: “মানিক ভট্টাচার্যের কিছু অনুগামী গন্ডগোল করছেন”! শুনানিতে পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্যর কয়েকজন অনুগামী এখনও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাজে গন্ডগোল পাকাচ্ছেন, বলে অভিমত প্রকাশ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। মঙ্গলবার ওএমআর শিট দুর্নীতি নিয়ে একটি মামলা চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “একসময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Recruitment Scam) মানিক ভট্টাচার্যর (Manik Bhattacharya) জমিদারি ছিল। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরে এখনও তাঁর অনুগামীরা হস্তক্ষেপ করছেন। ” তাঁরা সিবিআই-ইডির নজরদারিতে আছে বলে মত বিচারপতির।

    সিবিআইকে বিচারপতির প্রশ্ন

    এখনও ওএমআর শিট দুর্নীতির কেস ডায়েরি আনতে পারেনি সিবিআই। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে আবারও সময় চায় তারা। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন তদন্তকারীদের কাছে কেস ডায়েরি চান। কীভাবে ওএমআরশিট ডিজিটালাইজেশন হয় এ সম্পর্কে রিপোর্ট চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি তদন্তকারীদের কাছে এটাও জানতে চান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে তিন বার যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তার ফল কী? মানিক ভট্টাচার্যের কথা রেকর্ড রাখা হয়েছে কি না, তাও জানতে চায় আদালত।

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    সময় চায় সিবিআই

    উত্তরে কেন্দ্রের ডেপুটি সলিসেটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, মানিক ভট্টাচার্যকে তিন বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেন্দ্রের আইনজীবী বলেন, “যেহেতু এই মামলায় ইতিমধ্যেই শীর্ষ আদালতের নির্দেশে অন্য বিচারপতির (বিচারপতি অমৃতা সিনহা) এজলাসে চলে গিয়েছে।” তাই কেস ডায়েরি তারা কীভাবে দেবেন জানতে চায় সিবিআই। প্রসঙ্গত, নিয়োগ-দুর্নীতির মূল মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্য এজলাসে বিচারাধীন।  ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় কেস ডায়রি দেখতে সুপ্রিম কোর্ট তো বারণ করেনি, মন্তব্য করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলাই এফআইআর নম্বর আরসি সিক্সের অন্তর্ভুক্ত, জানায় সিবিআই। তখন বিচারপতি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট নতুন নির্দেশ দিতে পারে। সিবিআই-এর এই দুশ্চিন্তা হতে পারে। কিন্তু এই সংক্রান্ত মামলায় তো কোন নির্দেশ নেই। তাহলে কেন এই মামলার কেস ডায়েরি তৈরি নেই?” এরপরই সিবিআই আদালতের কাছে একটু সময় চায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
     

  • Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Gangopadhyay: “মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে”, মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ আছে।” সোমবার এই ভাষায়ই সিবিআইকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য বন্দি রয়েছেন জেলে। জেলে গিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় সিবিআইকে ভর্ৎসনা করেন তিনি।

    সিবিআইকে ভর্ৎসনা

    সিবিআইকে তিনি বলেন, “ওএমআর শিট নষ্ট করা নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন? সুপ্রিম কোর্ট কড়া পদক্ষেপ করতে বারণ করেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করতে তো বারণ করেনি।” বিচারপতি বলেন, “আমার নির্দেশের পরেও সিবিআই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। দীর্ঘদিন ছেড়ে রেখে দিয়েছিলেন, আমার তো মনে হয় যোগসাজশ আছে। আমার তো মনে হয় সিবিআই-মানিক ভট্টাচার্যের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে।”

    মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন!

    তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “আমার তো মনে হয় মানিককে সিবিআই আধিকারিকরাই বুদ্ধি দিয়েছিলেন। মনে হয়, সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ আনার বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই। সুপ্রিম কোর্ট থেকে রক্ষাকবচ নিয়ে আসুন, তাহলে গ্রেফতার করব না বলে বুদ্ধি দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরাই।” কেন মানিকের বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, এদিন সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরেই তিনি (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে কি পদক্ষেপ করবেন? আপনারা মুখে বলছেন আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে। কিন্তু আদতে আদালতকেই কাঁচকলা দেখাচ্ছেন।”

    আরও পড়ুুন: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী জানান, একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও, মানিক সহযোগিতা করছেন না। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই মানিককে গ্রেফতার করতে পারবে না, এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন? মানিক ভট্টাচার্য যদি সহযোগিতা না করেন, তাহলে সুপ্রিম কোর্টে আগের রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করছেন না কেন? ২০২২ সালে সুপ্রিম কোর্ট মানিক ভট্টাচার্যকে রক্ষা কবচ দিয়েছিল। এখন ২০২৩ সাল। এক বছর হয়ে গিয়েছে, কেন সুপ্রিম কোর্টে আবেদনপত্র দাখিল করেননি?”  বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “সবাই শুধু অপেক্ষা করে আছে, আমি কবে অবসর নেব। আমি অবসরে যাব না। মাঝে মাঝে ভাবছি, একটা পদযাত্রা শুরু করব। সুন্দরবন চলে যাব। কিছু বলব না, শুধু হেঁটে যাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Anubrata Mondal: গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রতর জামিনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদনের মামলায় সিবিআইকে নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ ওই নোটিশ দেয়। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানতেই সিবিআইকে নোটিশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।  

    অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য

    অনুব্রতর আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, “এই মামলায় জড়িত অনেকেই ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছেন। পাঁচটি চার্জশিট ফাইল হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডল একমাত্র জেলে রয়েছেন। ১৪ মাস ধরে জেলে রয়েছেন উনি। এই মামলায় ‘কিংপিন’ জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই অনুব্রতকে জামিন দেওয়া হোক।” গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্টে। উচ্চতর আদালতের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অনুব্রত।

    সিবিআইকে নোটিশ আদালতের

    এদিন সেই মামলারই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বসু জানান, আদালত সিবিআইকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিচ্ছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা জানা দরকার। তার পরেই বিবেচনা করা হবে জামিনের আবেদন। হাইকোর্টে সিবিআই জানিয়েছিল, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) জামিন দিলে ব্যাহত হতে পারে তদন্ত। সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত বছরের পর বছর বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে থেকেছেন। সেই জেলায় চলছে তাঁর একচ্ছত্র অধিকার। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়েই গরু পাচারের মতো ঘটনায় যোগ রয়েছে তাঁর।

    গরু পাচার মামলায় গত বছর অগাস্ট মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। তাঁকে পাঠানো হয় আসানসোল জেলে। পরে এই মামলায়ই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে ইডি নিজেদের হেফাজতে তাঁকে রেখে দু’ সপ্তাহ জিজ্ঞাসাবাদের পর তিহাড় োজেলেই রয়েছেন অনুব্রত। এখানেই বন্দি রয়েছেন অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারিও।

    আরও পড়ুুন: পঞ্চায়েত মামলায় কমিশনের বিরুদ্ধে কি রুল জারি করবে আদালত? জানা যাবে বৃহস্পতিবার

    প্রসঙ্গত, গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের এক চালকল মালিক রবিন টিব্রেওয়ালকে মার্চ মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। গরু পাচারকাণ্ডের কিংপিন এনামুল হকের ‘হক ইন্ডাস্ট্রি’র সঙ্গে টাকার যে লেনদেন হয়েছে, তার বিস্তারিত হিসেব চেয়েছে সিবিআই। কোনও ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছে কিনা, তাও জানাতে (Anubrata Mondal) বলা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, এনামুল গ্রেফতার হওয়ার পরেও হয়েছে আর্থিক লেনদেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    Partha Chatterjee: “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না”, পার্থ প্রসঙ্গে সাফ জানালেন বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। শুক্রবার সাফ জানিয়ে দিলেন বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি রয়েছেন জেলে। তাঁরই জামিনের শুনানির জন্য তারিখ চেয়ে আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থর আইনজীবী। তখনই বিচারক জানিয়ে দেন, কারও জন্য আদালতে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৭ সেপ্টেম্বর।

    বিশেষ সুবিধা নয়

    আলিপুরে বিশেষ আদালতে নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডের শুনানি ছিল। এদিন ফের একবার পার্থর জামিনের আবেদন করা হয়। তখনই বিচারক বলেন, “আদালতে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে না। যে রকম যা তারিখ নির্ধারিত রয়েছে, সে রকম হবে।” উল্লেখ্য, এর আগে ৮ সেপ্টেম্বরও একবার পার্থর জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন পার্থ। হাজির করানো হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা অশোক সাহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এজেন্ট চন্দন মণ্ডলকে। ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাও।

    ফের জেল হেফাজত

    বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের কাছে সবাই সমান। কাউকে বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়। এর পর যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করা হবে, সেদিনই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।” এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) সহ বাকি অভিযুক্তদেরও জামিনের শুনানি হয়। কেউ অসুস্থতা, কেউ বয়সের কারণ দেখিয়ে জামিন চেয়েছিলেন। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি বিচারক। প্রত্যেককেই ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছে আদালত।

    আরও পড়ুুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই, এবার জানিয়ে দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও

    প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি তত্ত্বে খারিজ হয়ে যায় পার্থর জামিনের আবেদন। তবে তিনি যে নির্দোষ, তা একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে পার্থকে। ২৪ জুলাই আদালতে ঢোকার সময় তিনি (Partha Chatterjee) তো বলেইছিলেন, “আমি নির্দোষ। আমি নিয়োগ কর্তা নই, আমি সুপারিশ কর্তাও নই। আমি কোনও ব্যাপারের সঙ্গে ছিলাম না।” তাঁকে বিনা বিচারে এক বছর ধরে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    Recruitment Case: ট্যুইন টাওয়ারের পর এবার হাইকোর্টে উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Recruitment Case) পরিমাণ বোঝাতে আগেই তুলনা টানা হয়েছিল ট্যুইন টাওয়ারের সঙ্গে। এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta high court) উপমা দিতে গিয়ে সিবিআই তুলল দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গও।

    উঠে এল বুর্জ খলিফা প্রসঙ্গ

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “নিয়োগ কেলেঙ্কারির বিস্তৃতি যেন আমেরিকার ট্যুইন টাওয়ারের মতো। এর একটি স্তম্ভ যদি স্কুল সার্ভিস কমিশন হয়, তাহলে অন্যটি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।” এই সময়ই ওঠে পুরসভা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “পুর নিয়োগ দুর্নীতিকে বুর্জ খলিফা বললেও ভুল হবে না।”

    ‘দুর্নীতি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত’ 

    গত সপ্তাহেই টেট সংক্রান্ত মামলায় রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি (Recruitment Case) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১১ সেপ্টেম্বর রিপোর্ট পেশ করার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই সময়ই সিবিআইয়ের আইনজীবী দুর্নীতর সঙ্গে তুলনা টানেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের। প্রসঙ্গত, ১১ সেপ্টেম্বর জঙ্গি হানায় ভেঙে পড়েছিল আমেরিকার নিউইয়র্কের ওই যমজ টাওয়ার। শুনানির দিন বিচারপতি বলেছিলেন, “দুর্নীতি যদি আকাশছোঁয়া বহুতলের মতো হয়, তাহলে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুুন: মোদিই ‘বিশ্বনেতা’, লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের সুর বেঁধে দিল বিজেপি?

    প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ। এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। গ্রেফতার হয়েছে প্রায় গোটা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদই। এঁদের মধ্যে অনেকে আবার তৃণমূল নেতা হিসেবেও পরিচিত। দুর্নীতির তদন্ত করতে নেমে তদন্তকারীরা জেনেছিলেন, কীভাবে জেলায় জেলায় এজেন্ট নিয়োগ করে দুর্নীতি করা হয়েছিল। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চাকরি ‘কিনেছিলেন’ অনেকেই। পাহাড় প্রমাণ এই (Recruitment Case) দুর্নীতির অভিযোগ ঢাকতে এবং বেআইনিভাবে চাকরিতে যোগ দেওয়া চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি বাঁচাতে রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বলে অভিযোগ। আকাশচুম্বি এই দুর্নীতির শেকড়ে পৌঁছতে চাইছেন তদন্তকারীরা। দুর্নীতির নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ খুলে দেওয়াও তাঁদের লক্ষ্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Mathew Samuel: নারদকাণ্ডে ফের নাড়াচাড়া! ম্যাথু স্যামুয়েলকে কলকাতায় তলব সিবিআইয়ের 

    Mathew Samuel: নারদকাণ্ডে ফের নাড়াচাড়া! ম্যাথু স্যামুয়েলকে কলকাতায় তলব সিবিআইয়ের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারদ স্টিং অপারেশনের (Narada Case) নেপথ্য়ে থাকা ম্য়াথ্য়ু স্য়ামুয়েলকে (Mathew Samuel) আাগামী সোমবার সকালে নিজাম প্য়ালেসে ডেকে পাঠাল সিবিআই। ১৮ সেপ্টেম্বর,  সকাল সাড়ে ১০ টায় হাজির হওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে ম্যাথুকে। সিবিআই সূত্রের খবর, নারদ মামলায় তিনি আগে যে সব তথ্য দিয়েছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেই তথ্য সঠিক কি না, তা যাচাই করতেই ম্যাথু স্যামুয়েলকে তলব করা হয়েছে।

    কেন তলব ম্যাথুকে

    সাত বছর আগে ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে রাজ্য় রাজনীতিকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল নারদ স্টিং অপারেশনের ফুটেজগুলো। তৎকালীন প্রথম সারিতে থাকা রাজনীতিকরা ঘুষ হিসেবে নগদ টাকা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগই সামনে এনেছিলেন ম্য়াথ্য়ু স্য়ামুয়েল। যাঁকে আগেও কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত প্রায় দেড়বছরে নারদকাণ্ডে কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। তদন্তেও সেরকম কোনও নাড়াচাড়া দেখা যায়নি। সিবিআই সূত্রে দাবি, ম্য়াথ্য়ু স্য়ামুয়েল (Mathew Samuel) যে মোবাইল ফোনে স্টিং অপারেশন করেছিলেন, তার ফরেন্সিক পরীক্ষা হয়েছে। সম্প্রতি সেই রিপোর্ট দেখে গোয়েন্দারা মনে করছেন, ম্য়াথ্য়ু বেশ কিছু তথ্য় গোপন করেছেন। ম্য়াথ্য়ুর মোবাইল ফোনের ফরেন্সিক রিপোর্ট দেখে, গোয়েন্দাদের মনে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে। তাই এই বিষয়গুলি নিয়েই সিবিআই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। 

    আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? কীভাবে যাবেন তীর্থধাম তারাপীঠে?

    কী জানালেন ম্যাথু 

    ম্যাথুর (Mathew Samuel) দাবি, তাঁকে যাতায়াত ও কলকাতায় থাকার খরচ দিতে হবে সিবিআই-কে। তবেই তিনি হাজিরা দেবেন। নারদ-এর (Narada Case) আগে তেহেলকা পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ম্যাথু। সেই পত্রিকাতেও একটি স্টিং অপারেশন নিয়ে মামলা হয়েছিল। সেই সময় ২০০৭ থেকে ২০২২-এর মধ্যে হাজিরা দেওয়ার জন্য সিবিআই তাঁকে ২৩ হাজার টাকা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাথু। তবে নারদ মামলায় কলকাতা ও দিল্লি মিলিয়ে সিবিআই দফতরে ১০-১২ বার হাজিরা দিলেও কানাকড়ি পাননি তিনি। ম্যাথুর দাবি, এই বিষয়ে কলকাতার সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা জানিয়েছেন, ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। ট্রেনে কলকাতা আসতে ও ফিরে যেতে তাঁর মোট ৬ দিন সময় লেগে যাবে। একজন সাংবাদিকে হিসেবে ওই সময় দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ম্যাথু। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে পার্থর সরাসরি ভূমিকা ছিল! হাইকোর্টে দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে পার্থর সরাসরি ভূমিকা ছিল! হাইকোর্টে দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে বেআইনি নিয়োগে (Recruitment Scam) রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সরাসরি ভূমিকা ছিল। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এমনই দাবি সিবিআইয়ের। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) মানিক ভট্টাচার্যেরও সরাসরি যোগ ছিল বলে জানালেন নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নিযুক্ত আধিকারিকরা। নানা সময়ে মানিক যে পার্থর চেম্বারে যেতেন সেই তথ্যও হাতে রয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতার নাম কেলেঙ্কারিতে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাওয়ায় বিপাকে রাজ্যের শাসক দল।

    দুর্নীতির পর্দা ফাঁসের দাবি সিবিআইয়ের 

    প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার সমান দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হবে বলে জানিয়েছিল সিবিআই। ২২ বছর আগে এই দিনেই আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আত্মঘাতী বিমান হানা চালিয়েছিল জঙ্গি সংগঠন আলকায়দা। সোমবার সেই ধরনের দুর্নীতির পর্দা ফাঁসের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সিবিআই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে পার্থ এবং মানিকের সরাসরি যুক্ত থাকার কথা জানায়।

    ফের শুনানি মঙ্গলবার 

    এদিন শুনানির সময় সিবিআইয়ের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য এ কথা জানান। সিবিআইয়ের আরও দাবি, নিয়োগ মামলার (Recruitment Scam) অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিজের সেক্রেটারিকে দিয়ে ডিলিট করতে বাধ্য করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এই তথ্য ডিলিট করার জন্য ভয় দেখানো হয়েছিল তাঁকে। এই মামলার শুনানি হবে মঙ্গলবার। এক আইনজীবীর মৃত্যুতে এদিন কর্মবিরতি ঘোষণা করেন আইনজীবীরা। তাই শুনানি আর এগোয়নি। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, “আজকের দিনটা কেবল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের ধ্বংসের দিন নয়, স্বামী বিবেকানন্দ শিকাগোয় বক্তৃতা দিয়েছিলেন এই দিনেই। আদালতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বৃহত্তর মানুষ। তাই সিবিআই চাইছে দ্রুত দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জনমানবের সামনে নিয়ে আসতে। এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আমরা মঙ্গলবার আদালতে পেশ করব।” 

    আরও পড়ুুন: “অভিষেক আলালের ঘরের দুলাল নন যে ইডি তাঁর মতামত নিয়ে ডাকবে”, তোপ শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, স্কুল সার্ভিস কমিশনে গ্রুপ সি নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতেও রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মাস্টারমাইন্ড বলে দাবি করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এসপি সিনহা, অশোক সরকার, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দিয়ে যাবতীয় অনিয়ম করিয়েছিলেন তিনিই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ৪ চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে চায় সিবিআই

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে ৪ চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করতে চায় সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় চারজন চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করানোর অনুমতি চাইল সিবিআই। আলিপুর আদালতে এই মর্মে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে আদালতে আগেই সিবিআই-এর সামনে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এই ৪ জন। এই প্রথম নিয়োগ দুর্নীতিতে কোনও চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করাতে চাইছে সিবিআই (CBI)। 

    কেন চাকরিপ্রার্থীদের গোপন জবানবন্দি

    সিবিআই সূত্রের খবর, টাকা দিয়ে সরকারি চাকরি পেতে চেয়েছিলেন যাঁরা, এ বার তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করাতে চায় সিবিআই। যে চার চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার কথা আদালতকে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি, তাদের সঙ্গে অবশ্য আগেও কথা বলেছে সিবিআই আধিকারিকরা। এঁদেরকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ঘুর পথে চাকরি পেতে কী পদ্ধতিতে টাকা দিতে হয়েছিল তাঁদের? কোথা থেকে কী ভাবেই বা জেনেছিলেন এ ব্যাপারে? কারা এ বিষয়ে যোগাযোগ রাখতেন তাঁদের সঙ্গে? সূত্রের খবর, আদালত যদি সিবিআইয়ের গোপন জবানবন্দির আবেদন মঞ্জুর করে, তবে ওই চাকরিপ্রার্থীদের এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আবার জানাতে হতে পারে ম্যাজিস্ট্রের সামনে। তবে এর পাশাপাশি অন্য প্রশ্নেরও উত্তর দিতে হতে পারে। তবে যেহেতু এই প্রথম নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআই এই চাকরিপ্রার্থীদের গোপন জবানবন্দির আবেদন করেছে, তাই তাঁদের বক্তব্য এবং তা থেকে কী তথ্য উঠে আসতে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চায় সিবিআই

    প্রথম দিকে তা কেবল শাসকদলের হেভিওয়েটের দিকে ফোকাসড থাকলেও, এখন সেই পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন চাকরি প্রার্থীরাও। কে বা কারা এই দুর্নীতির (Recruitment Scam) শিকার হয়েছেন, বা কারা এই দুর্নীতিতে সামিল হয়েছেন, সবেতেই কড়া নজর দিয়েছে সিবিআই। এর আগে গত ৭ অগস্ট টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া চার অযোগ্য শিক্ষককে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর বাঁকুড়ার ৭ শিক্ষককে তলব করেছিল সিবিআই। এবার চার চাকরিপ্রার্থীর গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করার পথে সিবিআই।

  • Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    Calcutta High Court: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি লক্ষ্যে পৌঁছবে”, নিয়োগ মামলায় মন্তব্য বিচারপতির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের আগে সিআইডি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।” শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের গোঠা হাইস্কুলে ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরিতে যোগদানের মামলায় এদিন এই মন্তব্য করে বিচারপতি বসু। এই মামলায় আগের শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন তিনি। এদিন প্রকাশ করেন সন্তোষ।

    সিআইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন

    এদিন সিআইডির আইনজীবীকে আদালতের প্রশ্ন, “যাঁরা জাল নথি জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কি চিহ্নিত করা গিয়েছে?” সিআইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, “তাঁদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি?” সিআইডির তরফে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, নথি পরীক্ষার কাজ চলছে। এর পরেই বিচারপতি (Calcutta High Court) বসু বলেন, “মনে হচ্ছে সিআইডি সিবিআইয়ের আগে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে বলুন এই শিক্ষকদের ওপর নজর রাখতে।”

    নিয়োগ দুর্নীতি 

    প্রসঙ্গত, জাল নথি দিয়ে সুতির গোঠা এ আর রহমন হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন অনিমেষ তিওয়ারি। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা। অভিযোগ, তিনিই প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে জানা যায়, কেবল অনিমেষ নন, জাল নথি দিয়ে আরও কয়েকজনও ওই স্কুলে চাকরি করছেন। এই দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডির হাতে দেন বিচারপতি বসু। তদন্ত করতে সিআইডির আধিকারিকরা একাধিকবার ওই স্কুলে যান। তার পরেও তদন্তে বিশেষ অগ্রগতি না হওয়ায় গত শুনানিতে সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: “দেদার ছাপ্পা চললেও, প্রাণভয়ে কিছু করতে পারিনি”! হাইকোর্টে স্বীকারোক্তি প্রিসাইডিং অফিসারের

    সিআইডির তরফে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, তার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। তদন্তের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের আদালতে তলবও করেন বিচারপতি বসু (Calcutta High Court)। সিআইডির তদন্তকারী ওই দলের প্রধানকে তাঁর প্রশ্ন, “আপনি কী মনে করছেন, থালায় করে আপনাকে নথি সাজিয়ে দিয়ে আসা হবে?” তদন্ত এভাবে এগোলে এই মামলায় তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশের ব্যাপারে বিবেচনা করবেন বলেও জানিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share