Tag: cbi

cbi

  • Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    Manipur Violence: মণিপুর হিংসায় আরও ন’টি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে, সব মিলিয়ে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর হিংসায় (Manipur Violence) আরও ন’টি মামলার তদন্তভার বর্তাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা জানান, সব মিলিয়ে ১৭টি মামলার তদন্তভার পেল সিবিআই। তবে এই ১৭টি মামলায়ই সীমাবদ্ধ থাকবে না সিবিআই, আরও বেশ কয়েকটি মামলার তদন্তভারও পেতে পারে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা। মহিলাদের প্রতি অপরাধ এবং যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে সিবিআইকে। মণিপুরে সিবিআইয়ের হাতে যে আটটি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে দুটি মহিলাদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। আধিকারিকরা জানান, এর ওপর আরও ন’টি মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাঁরা জানান, চূড়াচাঁদপুর জেলায় যৌন নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার তদন্তভারও দেওয়া হতে পারে তাঁদের হাতে।

    চিত্রাঙ্গদার দেশে সিবিআই

    মণিপুরে (Manipur Violence) ঘটনার তদন্ত করাটা সিবিআইয়ের আধিকারিকদের কাছে খুবই জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চিত্রাঙ্গদার দেশে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার শেকড় মূলত দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গভীরে। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে যাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে, তাই তদন্ত করতে গিয়ে আধিকারিকদের পা ফেলতে হচ্ছে সাবধানে। তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা যেসব নমুনা সংগ্রহ করেছে, পরীক্ষার জন্য সেগুলি পাঠানো হবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। মহিলা সংক্রান্ত যেসব মামলার তদন্তে নেমেছে সিবিআই, সেগুলিতে মহিলা আধিকারিকদের কাজে লাগানো হয়েছে। নির্যাতিত মহিলাদের বয়ান রেকর্ড এবং প্রশ্ন করার জন্যও কাজে লাগানো হচ্ছে ওই মহিলা আধিকারিকদের।

    আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা

    ৩ মে হিংসা শুরু হয় মণিপুরে (Manipur Violence)। মেইতেই এবং কুকিদের সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয় উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি এই রাজ্য। হিংসায় মৃত্যু হয়েছে ১৬০ জনের। জখমও হয়েছেন কয়েকশো। দীর্ঘদিন ধরে তফশিলি জাতির দাবি জানিয়ে আসছেন মেইতেইরা। এই নিয়েই শুরু হয় সংঘর্ষ। এদিকে, দোরগোড়ায় স্বাধীনতা দিবস। তার আগে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হল মণিপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, উপদ্রুত অঞ্চলে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলা-বারুদ। স্বাধীনতা দিবসে বনধের ডাক দিয়েছে উপত্যকার কয়েকটি সংগঠন। এক আধিকারিক বলেন, শনিবার চূড়াচাঁদপুরে পিস গ্রাউন্ডে স্বাধীনতা দিবসের রিহার্সাল হয়েছে। অংশ নিয়েছিল বিএসএফ, পুলিশ এবং অসম রাইফেলস।

    আরও পড়ুুন: কানাডায় ফের হিন্দু মন্দিরে হামলা খালিস্তানপন্থীদের, দেওয়ালে ভারত-বিরোধী পোস্টার

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Recruitment Scam: সুপ্রিম নির্দেশ, হাইকোর্টই শুনবে নিয়োগ মামলা! আরও দু’মাস জেল হেফাজত পার্থর

    Recruitment Scam: সুপ্রিম নির্দেশ, হাইকোর্টই শুনবে নিয়োগ মামলা! আরও দু’মাস জেল হেফাজত পার্থর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্ট থেকে নিয়োগ মামলা সরিয়ে শীর্ষ আদালতে নিয়ে যাওয়ার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam Case) শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টেই (Calcutta High Court)। নিয়োগ দুর্নীতির যাবতীয় মামলা একযোগে সুপ্রিম কোর্টে শোনার আর্জি জানানো হয়। শুক্রবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হয়। এদিনের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, হাইকোর্টকে এড়িয়ে সরাসরি কোনও মামলার শুনানি সম্ভব নয়।

    সুপ্রিম পর্যবেক্ষণ

    প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের নির্দেশে অনেক শিক্ষকের চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেই সব শিক্ষকদের একটি অংশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। আর্জি ছিল, নিয়োগ দুর্নীতির অন্যান্য মামলাগুলি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে রাজ্যের বাইরের কোনও হাইকোর্টে যাতে স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আর্জি ধোপে টিকল না শীর্ষ আদালতে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে নিয়োগ মামলার শুনানিতে কোনও বাধা রইল না। হাইকোর্টে যেমন শুনানি চলছে তেমনই চলবে।

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    পার্থর জেল হেফাজত

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, অয়ন শীল, শান্তনু মুখোপাধ্যায়, সৌভিক ভট্টাচার্য এবং কুন্তল ঘোষকে আরও দু’মাসের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বিচারকের নির্দেশ, আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই রাখতে হবে পার্থদের। তাঁদের কোনও আইনজীবীই শুক্রবার জামিনের জন্য আবেদন করেননি। শুক্রবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের শুনানিতে পার্থ, অর্পিতা, সৌভিক এবং কুন্তলকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়েছিল। শান্তনু এবং অয়নকে সশরীরে আদালতে হাজির করানো হয়। মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য আদালতে হাজির হতে পারেননি। তিনি আদালতকে তা আগে থেকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। ইডির তরফ থেকে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি, অভিজিৎ ভদ্র এবং ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: এবার শিলিগুড়ির ২২ শিক্ষককে তলব, জিজ্ঞাসাবাদে কী জানতে চাইছে সিবিআই?

    Recruitment Scam: এবার শিলিগুড়ির ২২ শিক্ষককে তলব, জিজ্ঞাসাবাদে কী জানতে চাইছে সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষকদের ভয় ধরাচ্ছে সিবিআই (CBI) তলব! নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের চার শিক্ষককে। এঁরা মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে চাকরি কিনেছিলেন বলে অভিযোগ। তার পর থেকে ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়া একের পর এক শিক্ষককে নিজাম প্যালেসে তলব করছে সিবিআই। এতেই থরহরি কম্পমান ওই পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের একাংশের। কার, কখন ডাক পড়ে, সেই আশঙ্কায় কাঁটা তাঁরা। এবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই তলব করেছে শিলিগুড়ির ২২জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে।

    একের পর এক শিক্ষককে তলব

    মুর্শিদাবাদের চার শিক্ষককে গ্রেফতারের পরের দিনই তলব করা হয়েছিল বাঁকুড়ার সাত শিক্ষককে। তাঁদের নথিপত্র সংগ্রহ করে বয়ান রেকর্ড করেছেন (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল কোচবিহারের ৩০ জন প্রাথমিক শিক্ষককে। মাধ্যমিক সহ বিভিন্ন পরীক্ষার যাবতীয় নথিপত্র নিয়ে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের। শুক্রবার তলব করা হল শিলিগুড়ির ২২ জন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষককে।

    আড়াই ঘণ্টা ধরে জেরা 

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন কোচবিহারের শিক্ষকদের। টেটের নথি সহ বিভিন্ন পরীক্ষার মার্কশিট সহ যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তাঁরা কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন, সে প্রশ্নও করা হয়। ওই শিক্ষকদের বয়ানও রেকর্ড করে সিবিআই। প্রয়োজনে তাঁদের ফের তলব করা হতে পারে বলে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জানিয়ে দেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    সোমবার আলিপুর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ৩১৯ নম্বর ধারায় নোটিশ দিয়ে তলব করেছিল নবগ্রামের চার শিক্ষককে (Recruitment Scam)। পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। ২১ তারিখ পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সিবিআই সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির যে ২২ জন শিক্ষককে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে, তাঁরা যে অভিযুক্ত, তা নয়। তবে ২০১৪ সালের টেট দিয়ে ২০২১ সালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন এঁরা। এঁদের নিয়োগের পদ্ধতিগত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে চাইছে সিবিআই। সেই কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে শিলিগুড়ির ওই ২২ জন শিক্ষককে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: শিক্ষক পোস্টিং মামলায় তদন্ত চালিয়ে যাবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই করছে, এর পাশাপাশি এবার পোস্টিং দুর্নীতি মামলাতেও তদন্ত চালাবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষকদের পোস্টিং নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, এদিন সেই মামলার শুনানি চলছিল তখনই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন যে পোস্টিং দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েকজন শিক্ষকের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাই তাঁদের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে সিবিআই।  

    দিনকয়েক আগেই মানিককে জেলে গিয়ে জেরা করে সিবিআই

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে পোস্টিং দুর্নীতি মামলায় প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার ভিডিও আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। জিজ্ঞাসাবাদ ও ভিডিও ফুটেজ পেশের এই মামলায় শেষ পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এদিনের পর্যবেক্ষণ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে বেশ কিছু নিয়োগ হয়েছিল, সেই সময়ে কোন স্কুলে কার পোস্টিং হবে সে নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা করেন কয়েকজন শিক্ষক। চলতি বছরের ২৫ জুলাই এ বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। 

    বিচারপতির রায়ে ঘুম উড়েছে অনেকের

    অন্যদিকে, মানিক ভট্টাচার্যের ভিডিও ফুটেজ আদালতে পেশ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্ট যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ প্রকাশ করতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। বিচারপতির এই নির্দেশের পর অনেক আইনজীবী (Calcutta High Court) তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁদের মতামত হল যে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় অনেকের মনে ভয় ধরাতে পেরেছে। তাদের ঘুম উড়ে গিয়েছে। এ কথা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেউ দুষ্টুমি করলে তাকে তিনি রেয়াত করবেন না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘‘দম থাকলে টাকা নিতে এসো’’! জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে মিলল বিস্ফোরক তথ্য

    Recruitment Scam: ‘‘দম থাকলে টাকা নিতে এসো’’! জীবনকৃষ্ণের মোবাইলে মিলল বিস্ফোরক তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) মোবাইল ফোন থেকে মিলল বিস্ফোরক তথ্য।  পুকুরে উদ্ধার হওয়া সেই মোবাইলের তথ্য ঘেঁটে অবাক সিবিআই-এর গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে (CBI) দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের অক্টোবরে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, টাকা দিয়েও হয়নি কাজ, ফেরত চাওয়ায় চাকরিপ্রার্থীকে হুমকি দিয়েছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। জানা গিয়েছে, টাকা ফেরত চাইলে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুমকি দেন বড়ঞার বিধায়ক। টাকা ফেরত পেতে অনুরোধ জানালেই চাকরিপ্রার্থীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে।

    কীভাবে মিলল মোবাইল

    চলতি বছরের ১৭ই এপ্রিল, মুর্শিদাবাদের বড়ঞার আন্দিতে, নিজের বাড়ি থেকে তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার (Recruitment Scam) করে সিবিআই। সেই সময়ই প্রমাণ লোপাটের জন্য়, নিজের ২টি মোবাইলই তিনি বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। পাম্পের সাহায্য জল ছেঁচে টানা প্রায় তিনদিনের চেষ্টায় পুকুরের কাদা পাঁক থেকে জীবনকৃষ্ণের মোবাইল দুটি উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। টানা প্রায় তিনদিন জলের তলায় থাকা এই মোবাইল দুটি থেকে আদৌ কোনও তথ্য উদ্ধার করা যাবে কী না, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন তদন্তকারীরা। তবে সূত্রের খবর, জীবনকৃষ্ণর দুটি মোবাইল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। 

    আরও পড়ুন: বাংলার গ্রামোন্নয়নে মোদি সরকারের বরাদ্দ ১ হাজার ৬০০ কোটি, ১০ দিনে টাকা পাবে রাজ্য

    কী রয়েছে চ্যাটে

    তদন্তকারী সংস্থার দাবি, চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েও শেষ পর্যন্ত যাদের চাকরি দিতে পারেননি সেই সব চাকরিপ্রার্থীদের (Recruitment Scam) সঙ্গে জীবনকৃষ্ণের কথোপকথনের একাধিক তথ্য রয়েছে ওই চ্যাটে। সেখানে টাকা ফেরতের অনুরোধ করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। পাল্টা হিসেবে বিধায়কের তরফে কখনও ‘অর্ধেক টাকা ফেরৎ দেওয়ার আশ্বাস’, কখনও বা ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে এক পয়সা না দেওয়ার হুঁশিয়ারি’ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, চাকরি দেওয়ার জন্য কারও কাছ থেকে ১২ লক্ষ, কারও কাছে ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বিধায়ক। এক গোয়েন্দা কর্তার কথায়, “এতদিন যা ছিল অভিযোগ, এবার সেটাই বলছে খোদ বিধায়কের মোবাইলের চ্যাট হিস্ট্রি!” সিবিআই সূত্রে পাওয়া এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট অনুযায়ী, চাকরিপ্রার্থী বলছেন, ‘‘স্য়র, আমার টাকার দরকার। চারদিক থেকে খুব চাপ আসছে।’’ উত্তরে জীবনকৃষ্ণ সাহা, বলছেন, ‘‘আমি অর্ধেক টাকা দিয়েছি। বাকি টাকার জন্য় ধৈর্য ধরতে হবে। বারবার ফোন করলে কিন্তু গ্রেফতার হতে হবে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Recruitment Scam: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া, সাত শিক্ষককে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার বাঁকুড়া। সোমবার তলব করা হয়েছিল মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের প্রাইমারি স্কুলের চার শিক্ষককে। টাকা দিয়ে চাকরি কেনার (Recruitment Scam) অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এবার তলব করা হল বাঁকুড়ার প্রাইমারি স্কুলের সাত শিক্ষককে। বুধবার নিজাম প্যালেসে তাঁদের হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই।

    হাজিরায় আসতে হবে নথি নিয়ে 

    বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, জেলার এই সাত শিক্ষককে তাঁদের চাকরি সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার যাবতীয় নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছে সিবিআই। এই শিক্ষকদের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট, জাতিগত শংসাপত্র সহ বিভিন্ন নথি নিয়ে সিবিআই দফতরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছেও ওই সাত শিক্ষকের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই শিক্ষকদের নথিগুলি মিলিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ টেটে

    জানা গিয়েছে, যে সাত শিক্ষককে বুধবার নিজাম প্যালেসে তলব (Recruitment Scam) করেছে সিবিআই, তাঁরা প্রত্যেকেই চাকরি পেয়েছিলেন ২০১৪ সালের টেট পাশ করে। সিবিআই সূত্রে খবর, এঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। সিবিআই সাত শিক্ষককে তলব করেছে খবর ছড়িয়ে পড়তেই হইচই জেলায়। সিবিআই কাকে, কখন তলব করবে, সেই আশঙ্কায় কাঁটা ২০১৪ সালের টেট পাশ করে চাকরি পাওয়া প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের একটা অংশ। প্রসঙ্গত, সোমবার যে চার শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন জাহিরউদ্দিন শেখ, সায়গর হোসেন, সীমার হোসেন এবং সৌগত মণ্ডল।

    আরও পড়ুুন: আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতি, দিনভর অবস্থানে কোভিড যোদ্ধারা

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের চার্জশিটে। ২৪ পাতার ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, চাকরি বিক্রির এজেন্ট ও চাকরি প্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে তাপস নেন ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। আর চাকরি বেচে ৭১ জনের কাছ থেকে কুন্তল নিয়েছিলেন ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। চাকরি করে দিয়ে মুর্শিদাবাদের পাঁচ শিক্ষকের কাছ থেকে তাপস মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন বলেও অভিযোগ। এর মধ্যে ধৃত সায়গর দিয়েছিলেন ছ’ লক্ষ টাকা। জহিরউদ্দিন ও সৌগত দেন সাড়ে পাঁচ লক্ষ করে টাকা। সীমার দিয়েছিলেন পাঁচ লক্ষ টাকা। ওই চার্জশিটের প্রথমেই নাম রয়েছে আশিক আহমেদের। তিনি অবশ্য এখনও অধরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: ৪ ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন তাপস-কুন্তলরা? বিরাট দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি-বিক্রির এজেন্ট ও চাকরিপ্রার্থী মিলিয়ে মোট ১৪১ জনের কাছ থেকে ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। অন্যদিকে, চাকরি বিক্রি করে ৭১ জনের কাছ থেকে মোট ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) বিরুদ্ধে সিবিআই-এর (CBI) ২৪ পাতার চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য।

    গ্রেফতার চার শিক্ষক

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছে টাকা দিয়ে চাকরি কেনা চার শিক্ষককে (Teacher recruitment scam)। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত চার শিক্ষককে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়। তাঁদের ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সিবিআই তার নথিতে উল্লেখ করেছে, গ্রেফতার হওয়া ওই চার শিক্ষক ঘুষের টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। সিবিআই আগেই দাবি করছিল যে, একাধিক প্রার্থীর বয়ান থেকে তাপসের টাকার লেনদেন প্রকাশ্যে এসেছে। তবে কে কাকে টাকা দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। এদিন আদালতে সিবিআই তদন্তকারীরা যে নথি পেশ করেন, তাতে ওই চার শিক্ষকের নাম ছিল এবং নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই চার শিক্ষক টাকা দিয়ে চাকরি কেনেন।

    আরও পড়ুন: মোদির মুখে ‘কুইট ইন্ডিয়া’! জাতীয় হ্যান্ডলুম দিবসের মঞ্চে বিরোধীদের তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    কার থেকে কত টাকা

    সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ, চাকরি বিক্রি করে মুর্শিদাবাদের ৫ শিক্ষকের কাছ থেকে মোট ২৩ লক্ষ টাকা নেন তাপস মণ্ডল। এর মধ্যে ধৃত সায়গর হোসেন দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ টাকা। ধৃত জাহিরুদ্দিন শেখ, সৌগত মণ্ডল দিয়েছিলেন সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা করে এবং ধৃত সীমার হোসেন চাকরি কিনতে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাপস মণ্ডলকে। চার্জশিটের ১ নম্বরে নাম থাকা আশিক আহমেদকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। ঘুষ দিয়ে চাকরি কেনার অভিযোগে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ জন অযোগ্য শিক্ষককে। সোমবার সমন করে, এই ৪ শিক্ষককে আদালতে তলব করা হয়। তারপর আদালত কক্ষ থেকেই গ্রেফতার করে ৪ জনকে জেলে পাঠান আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। ২১ অগাস্ট পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Recruitment Scam) বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী, একাধিক গ্রেফতারির ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও শিক্ষককে এর আগে গ্রেফতার হয়নি। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagdish Tytler: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

    Jagdish Tytler: শিখদের হত্যা করতে বলেছিলেন জগদীশ টাইটলার! চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি পদবি বিতর্কে সাময়িক স্বস্তি মিলেছে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর। তবে ফের অস্বস্তিতে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। এবার শিখ-নিধনের অভিযোগে খুনের মামলা দায়ের হল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জগদীশ টাইটলারের (Jagdish Tytler) বিরুদ্ধে। চার্জশিটে সিবিআই জানিয়েছে, ১৯৮৪ সালে শিখ বিরোধী মামলায় জগদীশ শিখদের হত্যা করার জন্য জনতাকে প্ররোচিত করেছিলেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান

    চার্জশিটে যে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে তাঁর দাবি, জগদীশ প্রথমে শিখদের হত্যা করতে জনতাকে বলেছিলেন। পরে বলেছিলেন, তাঁদের দোকান এবং মূল্যবান সামগ্রী লুট করতে। চার্জশিটে এও দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেস নেতা দাঙ্গাকারীদের এই বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। তাঁর (Jagdish Tytler) সংসদ ক্ষেত্রে অন্য কংগ্রেস সাংসদের আসনের তুলনায় বেশি শিখকে হত্যা করা হয়েছে কিনা, তাও তুলনা করে দেখছিলেন ওই কংগ্রেস নেতা। তিনি তাঁর অনুগামীদের আরও শিখকে আক্রমণ করতে বলেছিলেন।

    হত্যায় প্ররোচনা 

    চার্জশিটে প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, সেদিন জগদীশ একটি সাদা অ্যাম্বাসাডরে করে এসেছিলেন এবং জনতাকে প্ররোচিত করছিলেন। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দুই শিখ দেহরক্ষীর গুলিতে খুন হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তার পরেই দেশের বিভিন্ন অংশে শুরু হয় শিখদের ওপর অত্যাচার। চার্জশিটে বলা হয়েছে, ১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর টাইটলার জনতাকে শিখদের হত্যা করতে প্ররোচিত করেছিলেন। যার জেরে দিল্লির পল বাঙ্গাস গুরুদ্বারে আগুন লাগানো হয় এবং শিখ সম্প্রদায়ের তিনজনকে হত্যা করা হয়। জনতাকে প্ররোচিত করার পর ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় টাইটলারকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ব্যালটের পর ইভিএম খেতে তৈরি তৃণমূল’’, নন্দীগ্রামে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    দাঙ্গায় পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে তাঁর দোকান। এমন এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানও দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের চার্জশিটে। ওই প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “তিনি (টাইটলার) (Jagdish Tytler) একটি গাড়িতে করে এলেন এবং জনতাকে বললেন প্রথমে শিখদের হত্যা কর, পরে লুট কর তাদের দোকান।” চার্জশিটে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে আরও এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান। সেখানে তিনি বলেছেন, “আমি (টাইটলার) তোমাদের আশ্বস্ত করছি, তোমাদের কিছুই হবে না। তোমরা শুধু শিখদের হত্যা কর।” সিবিআইয়ের দাবি, দাঙ্গায় যে জগদীশ টাইটলার জড়িত ছিলেন, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anurag Thakur: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    Anurag Thakur: ‘‘মমতার নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা’’, রাজ্যে এসে বললেন অনুরাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে (Manipur) দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে অমিত শাহের মন্ত্রক। তার পরেই দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। শনিবার রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি তিনি নিশানা করেন টিম ইন্ডিয়াকেও।

    ভোট-সন্ত্রাস নিয়ে নিশানা মমতাকে 

    শনিবার রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। প্রথমে কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠে যাওয়ার কথা রয়েছে অনুরাগের। তারপর খানাকুলে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। এসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং তৎপরবর্তী হিংসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন। তিনি বলেন,  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গুন্ডামি করছে তৃণমূল কর্মীরা। মমতার নির্দেশে বাংলায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। রাজনৈতিক লাভের জন্য ৮-৯ বছর ধরে সমাজবিরোধী ও অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছেন তিনি। এর জবাব মানুষ ভোটের মাধ্যমে দিয়েছে। বিজেপির আসন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।”

    অনুরাগের নিশানায় ‘ইন্ডিয়া’, অধীর

    এদিন রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বিমানবন্দরে নেমেই নিশানা করেন ‘ইন্ডিয়া’কে। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের মণিপুরে যাওয়া লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই নয়।” অধীরের উদ্দেশে তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে, নির্বাচনে মানুষের রক্ত ঝরেছে, মৃত্যুও হয়েছে। কংগ্রেস ও অন্য বিরোধী দলগুলির নেতারা কি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি দেখতে আসবেন? কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় তাদের নেতার উদ্দেশে আমার এই প্রশ্ন। নিজের রাজ্যেও কি আপনাদের জোটের বাকি সাংসদদের নিয়ে আসবেন আপনি? যাঁরা খুন হয়েছেন, তাঁদের বাড়িতেও নিয়ে যাবেন তো?”

    মণিপুরে ‘ইন্ডিয়া’

    এদিকে, শনিবারই মণিপুরে গিয়েছে টিম ‘ইন্ডিয়া’। ‘ইন্ডিয়া’র ২১ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল গিয়েছে মণিপুরে। এই দলে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী, রাজ্যসভার সাংসদ তৃণমূলের সু্স্মিতা দেবও। রাজ্যে তৃণমূলের ঘোর শত্রু কংগ্রেস। তৃণমূলের সুস্মিতা দেবের সঙ্গে সেই কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী মণিপুর যাওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সন্তোষমোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। 

    “সভ্য সমাজের লজ্জা”

    ৪ মে মণিপুরের কঙ্গপোকপি জেলায় দুই তরুণীকে বিবস্ত্র করে এলাকায় ঘোরানো হয়। গণধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ। দিন কয়েক আগে এই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। যদিও ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ঘটনাটি জানাজানি হতেই দেশজুড়ে শুরু হয় হইচই। বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। অভিযুক্তদের পাশাপাশি যিনি ভিডিও করেছিলেন, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোন। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তিনি বলেন, “এই ঘটনা যে কোনও সভ্য সমাজের লজ্জা।” এই ঘটনায় শুরু হয়েছে সিবিআই তদন্ত। 

    আরও পড়ুুন: প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ৫০ শতাংশ আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা মোদির

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: “কাউকে চিনি না”! সিবিআই জেরায় দাবি মানিকের, কাকে বাঁচানোর চেষ্টা?

    Manik Bhattacharya: “কাউকে চিনি না”! সিবিআই জেরায় দাবি মানিকের, কাকে বাঁচানোর চেষ্টা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। এমতাবস্থায়ও তৃণমূল কর্মীদের একাংশকে তিনি বাঁচাতে চাইছেন বলে অভিযোগ। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, গ্রেফতার হওয়ার পরেও মানিককে ছেঁটে ফেলেনি দল। তারই প্রতিদান দিতে সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের সাফ জানালেন, “কাউকে চিনি না!”

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির ‘মাস্টারমাইন্ড’

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত দু দফায় ঘণ্টা সাতেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নিয়োগ কেলেঙ্কারির ‘মাস্টারমাইন্ড’কে (Manik Bhattacharya)। এই জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, মানিক অনেক কিছুই বলেছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে বলেছেন, “অনেক কিছুই মনে নেই।” জেরার সময় কয়েকজনের নাম বলা হলে মানিক সাফ জানান, “চিনি না কাউকে।”

    সিবিআইয়ের অস্ত্র

    মানিককে জেরা করার আগে রীতিমতো তৈরিই হয়ে গিয়েছিল সিবিআই। আস্তিনে ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচির বয়ান। সেই বয়ানের ভিত্তিতেই প্রশ্ন করা হয় মানিককে। মানিক, তাঁর স্ত্রী, পুত্র এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি সম্পর্কেও জানতে চান তদন্তকারীরা। যেহেতু মানিক (Manik Bhattacharya) তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ, তাই দাওয়াই বাতলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মানিকের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ওঁর ইমিডিয়েট পলিগ্রাফ টেস্ট করানো উচিত।”

    এদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে মানিক ও তাঁর পরিবারের ৬১টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলে ইডি সূত্রে খবর। মানিকের এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে পাওয়া আট কোটির কাছাকাছি টাকাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে চার্জশিটে দাবি ইডির। চার্জশিটে ইডির দাবি, জেরায় ৬১টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে মাত্র ২৫টির কথা স্বীকার করেছিলেন পলাশিপাড়ার তৃণমূলের বিধায়ক মানিক। ওই চার্জশিটেই জানা গিয়েছে, ৩২টি কোম্পানিতে মানিকের ছেলে সৌভিকের ৩ লক্ষ ৪ হাজার টাকার শেয়ার রয়েছে। মানিকের স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে পরিবারের বাইরের লোকের ১০টি অ্যাকাউন্টেরও হদিশ মিলেছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় এগুলির তথ্য তাঁরা লুকিয়েছিলেন।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিত্রাণ পাবেন’’! কাকে নিশানা করে এ কথা বললেন শুভেন্দু?

    রীতিমতো ফ্লো-চার্ট করে চার্জশিটে ইডি দেখিয়েছে, কীভাবে টাকা সরানো হয়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে। মে মাসে আদালতে ইডি দাবি করেছিল, ২০১৪ সালের টেটে ৩২৫ জনকে পাশ করিয়ে দিতে মানিক (Manik Bhattacharya) নিয়েছিলেন ৩ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। সেই সময়ই তাঁর ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা পর বুধবার সিবিআই মানিকের বিরুদ্ধে নতুন করে একটি এফআইআর দায়ের করে আলিপুর আদালতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share