Tag: cbi

cbi

  • CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    CBI: সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে নিহত যুবকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডি নয়, সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানালেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে খুন হওয়া মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার মালদহের ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুর পাওয়ার গ্রিড এলাকায় জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদারের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা এই দাবি জানান। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, সিআইডি তদন্তে আমাদের আস্থা নেই। তাই, পুলিশের গুলিতে খুনের ঘটনায় আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল এলাকা। পরে, দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কালিয়াগঞ্জ থানায় আদিবাসী ও রাজবংশী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় থানা। ঘটনার পর পরই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে ধরতে গিয়ে নিরীহ যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে পুলিশ গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সরব হয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

    মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের পরিবারের সদস্যরা কেন ঘরছাড়া?

    ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন মৃতের পরিবার। বিভিন্নভাবে চাপ আসছে পরিবারের ওপর। এমনই অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। মৃত্যুঞ্জয়ের দাদা বলেন, ঘটনার পর থেকে রাতে গ্রামে পুলিশ আসছে। ভয় দেখাচ্ছে। আতঙ্কে আমরা ভিটে ছেড়ে চলে এসেছি। কখনও সপরিবারে শিলিগুড়িতে রয়েছি। কখনও আবার মালদহে। রাত আড়াইটে নাগাদ পুলিশ এসে আমার ভাইকে গুলি করে খুন করল। আমাদের সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ফের ঘটতে পারে। আতঙ্কে আমরা আর বাড়িতে থাকার সাহস পাইনি। এদিন কমিশনের আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান?

    জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরুণবাবু বলেন, এদিন আমাদের কালিয়াগঞ্জে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু, জানতে পারলাম, তাঁরা কেউ বাড়িতে নেই। পুলিশের আতঙ্কে তাঁরা ভিটে ছাড়া। মালদহে রয়েছে জেনে আমরা তাঁদের ডেকে কথা বললাম। পরিবারের সকলের সঙ্গে বিস্তারিত আমরা কথা বলেছি। সমস্ত বিষয় আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। পরে, আমরা পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে নিয়ে কালিয়াগঞ্জের ঘটনাস্থলে যাব। সেখানে পরিবারের লোকজনকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা এবং তাঁদের নিরাপত্তা আমরা সুনিশ্চিত করব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    Post Poll Violence: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের অষ্টম পর্ব।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) তথ্য এবং কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়ে তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিপি-কে ৮ মে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কিন্তু রাজভবনে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ ছিলেন তাঁরা। রাজ্যপাল ১৪ মে এবং ১৫ মে হিংসা (Post Poll Violence) কবলিত এলাকা শীতলকুচি, আলিপুরদুয়ার, অসমের রিলিফ ক্যাম্প এবং নন্দীগ্রাম অঞ্চল পরিদর্শন করেন। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরিতে নির্বাচনে একটাও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে নব নির্বাচিত শাসকদলের তরফে কোনও রক্তক্ষয়ী আক্রমণ করা হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার অপরাধেই নবনির্বাচিত শাসকদলের হিংসাত্মক আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে বহু মানুষকে। পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর রিপোর্ট চেয়ে ৮ জুন নবনিযুক্ত তৎকালীন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, মুখ্যসচিবও নিজে কোনও প্রকার তথ্য দিতে ব্যর্থ ছিলেন।

    মানবিক ছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও 

    ২ জুলাই হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গে হিংসার (Post Poll Violence) সঠিক তদন্তের জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ কমিটি গঠন করে। কমিশন ২০ দিনে ৩১১টি স্থান পরিদর্শন করে। মোট পঁচিশ হাজার মানুষের প্রায় ১৬৫০টি অভিযোগ জমা পড়ে। সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে ভোট-পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) প্রায় ৯৯৪৯ জনের ৩১৫টি অভিযোগ জমা পড়ে। মানবাধিকার কমিশন বলে, মহিলা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৫৭টি। ২ মে-র পর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা উচ্চস্বরে ডিজে বাজিয়ে লাঠি, বাঁশ, কাঠ, রড, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সর্বত্র লুটপাট, ধর্ষণ, হত্যা ভাঙচুর চালায়। কমিশন বলে, যাদবপুর, মালদা, চাপড়া, কোচবিহারে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা মানবাধিকার কমিশনের সদস্যের উপরও হামলা করে। সবথেকে বেশি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা হয় কোচবিহার, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। ২৩টি জেলায় মোট ১৯৭৯টি হিংসার ঘটনা ঘটে। তথ্য দিয়ে কমিশন বলে, পুলিশ ৯৩০৪ জন অভিযুক্তের নামে এফআইআর দায়ের করেছিল। এর মধ্যে ১৩৫৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আবার অভিযুক্তদের ১০৮৬ জন জামিনে মুক্ত হয়েছিল। খুব স্পষ্ট করে কমিশন বলে, মোট অভিযুক্তদের ১৪ শতাংশকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তার মধ্যে ৮০ শতাংশ জামিনে মুক্ত হয়। কমিশন রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে। কমিশনের সদস্যা ডঃ শ্রীমতী রাজুলবেন দেশাই ৭ জেলা পরিদর্শন করে মোট ৪২৫ জন আক্রান্ত মহিলার চরম ভয়াবহ নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন।

    হাইকোর্টের আদেশে তদন্তে সিবিআই ও সিট

    পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন, শিশু সুরক্ষা, নারী সুরক্ষা, তফশিলি জাতি-উপজাতি কমিশন এবং আদালতের পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে হাইকোর্ট ১৯ অগাস্ট ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। বলেছিল, এই তদন্ত হবে দ্বিমুখী। ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) মামলার তদন্ত করবে সিবিআই, আর বাকি মামলার তদন্ত করবে সিট। ৩৩৮৮৭টি মামলার মধ্যে ১০০০ মামলায় রাজ্য পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। ধর্ষণ, খুন, লুট মামলার বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কোনও খবরই নেই বলে দাবি করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনও রাজ্য সরকারের দায়বদ্ধতার বিষয়ে বিশেষ কোনও সক্রিয়তা দেখায়নি। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মন্তব্য করেছিলেন “অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য প্রশাসনকে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা হয়। তার মানে এই নয় যে সাধারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ পুলিশ বন্ধ করে দেবে’’।

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?

    তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন, “যে সময়কার অত্যাচারের (Post Poll Violence) কথা বলা হচ্ছে, তখনও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছিল প্রশাসন, আমার অধীনে ছিল না। গত তিনমাস ধরে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।” বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, হিংসার দায়ভার সম্পর্কে তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের পাঠানো এক চিঠির মধ্যেও রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, হিংসা ঠেকাতে রাজ্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। রাজ্য থেকে দ্রুত রিপোর্ট না পেলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। উল্লেখ্য, এতে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল, রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা কতটা নিষ্ক্রিয় ছিল। আজ পশ্চিমবঙ্গের ভোট-পরবর্তী হিংসার দু-বছর পার হয়ে গেল। অনেক হিংসার ঘটনাই বিচারাধীন। অনেক বিরোধী রাজনৈতিক সমর্থক ঘরছাড়া। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, হিংসা, হানাহানি, মারামারি, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট কিন্তু এখনও রোজ খবরের শিরোনামে।  (শেষ)

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: অভিষেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা, কী মিলল?

    CBI: অভিষেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বারাকপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ দাসের বাড়িতে বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা অভিযান চালান। জয়দীপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত। টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে চলে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, সকাল ন’টায় ওই নেতার বাড়িতে আসে সিবিআই (CBI)। বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যান। তবে, সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কোনও কথা বলতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূলের কাউন্সিলর?

    সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর জয়দীপ দাস বলেন, ঘুম থেকে উঠেই দেখি বাড়িতে সিবিআই (CBI) এসেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সূত্র ধরেই তারা এদিন আমার বাড়িতে এসেছিল। আসলে তৃণমূল করি বলেই এসব হচ্ছে। আমি সমস্তরকমভাবে তাদের সহযোগিতা করেছি। আমার বাড়িতে এবং অফিসে ওরা তল্লাশি চালায়। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। আমার দুটি ফোন আর আমার স্ত্রীর একটি ফোন তারা খতিয়ে দেখেছে। আর বাড়ি থেকে দুটি কাগজ নিয়ে গিয়েছে। তাতে পাড়ার দুজনের বায়োডেটা ছিল। এর বেশি কিছু তারা নিয়ে যায়নি।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে নিউ বারাকপুরের দক্ষিণ মাসুন্দার জগদীশ বসু রোডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যের বাড়িতেও সিবিআই (CBI) হানা হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের এই হানা বলে এই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় সুকান্তবাবু বাড়িতেই ছিলেন। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুপারিশ নথি সহ বিভিন্ন কাগজপত্র সিবিআই আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। সকাল থেকে তাঁকে ম্যারাথন জেরা করা হয়। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত সিবিআই তল্লাশি চালায়। তাঁর আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পত্তির পরিমাণ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য সুকান্ত আচার্যকে। এর আগেও দুর্নীতিকাণ্ডে নিজাম প্যালেসে ইডি হেফাজতে একাধিকবার জেরা করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন এই আপ্ত সহায়ককে। সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা সুকান্তবাবুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে কোনও কিছু বলতে চাননি। সুকান্তবাবুর পরিবারের এক সদস্য বলেন, সিবিআইকে (CBI) সবরকম সহযোগিতা করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় অগ্রগতি, রেকর্ড করা হল গোপন জবানবন্দি

    SSC Scam: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বড় অগ্রগতি, রেকর্ড করা হল গোপন জবানবন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় তদন্তের গতি নিয়ে বারংবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআইকে (CBI)। দিন কয়েক আগেই বিচারক প্রশ্ন করেছিলেন, কোথায় ডেভেলপমেন্ট? শেষমেশ মিলল সেই ডেভেলপমেন্ট। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় এই প্রথম কারও গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, নাইসার আধিকারিক পঙ্কজ বনশলের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করানো হয়েছে।

    এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় অগ্রগতি…

    ওএমআর শিট কারা নষ্ট করার নির্দেশ দিল, মূলত তা জানতেই রেকর্ড করানো হয়েছে গোপন জবানবন্দি। কোন সিন্ডিকেটে কারা, কারা কাদের কাছে নির্দেশ পাঠাত, তাও জানার চেষ্টা করা হয়। জানা গিয়েছে, বুধবার আদালতে ওই ব্যক্তির গোপন জবানবন্দি করানোর জন্য আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করলে নাইসার ওই আধিকারিকের গোপন জবানবন্দি রেকর্ড করা হয় আদালতে। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) তদন্তের গতি নিয়ে দিন কয়েক আগে বিচারক সিবিআইকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের পর শুধু আবেদন জমা পড়ছে। এই বিষয়ে যা প্রয়োজনীয়, তা করার কথাও জানান বিচারক। পরে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, আজ আমি কিছু বলব না, যা করার তা কলম দিয়ে করে দেব।

    আরও পড়ুুন: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ একাধিক নেতা, আমলার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কেন জানেন?

    সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন, মিডলম্যান নীলাদ্রি ঘোষকে কবে গ্রেফতার করেছেন? এর পর তদন্তে কী অগ্রগতি হয়েছে? ভর্ৎসনার সুরে বিচারক বলেন, নীলাদ্রি-কুন্তল-তাপস কাকে টাকা দিলেন, তিনি তো পিকচারেই নেই। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের জমা করা কেস ডায়েরি দেখে বিচারক বলেন, প্রসেস বলছেন শুধু, এভাবে কতদিন আটকে রাখব। তিনি বলেন, এটা তো সিভিল কেস হচ্ছে? নিশ্চিতভাবে তদন্তে কিছু পজিটিভ অগ্রগতি থাকতে হবে। মিসিং লিঙ্ক থাকলে কারও কিছু করার থাকবে না। চার্জশিট হয়ে অভিযুক্তরা ছাড়া পেয়ে যাবে।

    সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে বিচারক বলেন, গতি বাড়ান। যাঁরা প্রতারিত (SSC Scam) তাঁদের গোপন জবানবন্দি নিতে বলা হয়েছিল। এতদিন সিবিআই চুপ করে বসে ছিল। আদালত একাধিক প্রশ্ন করলেও, সিবিআইয়ের কাছে সদুত্তর নেই। তিনি বলেন, সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের বলছি, তদন্ত দ্রুত শেষ করুন। তদন্ত যেহেতু প্রসেসের মধ্যে রয়েছে, তাই জামিন দিলাম না। প্রসঙ্গত, শনিবার, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল ও নীলাদ্রি ঘোষকে ১২ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Partha Chatterjee: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ একাধিক নেতা, আমলার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কেন জানেন?  

    Partha Chatterjee: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ একাধিক নেতা, আমলার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদের শিরোনামে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বৃহস্পতিবার তাঁর দুটি বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। সিবিআইয়ের অন্য একটি দল তল্লাশি অভিযান চালায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের (TMC) পার্থ সরকার ওরফে ভজার বাড়িতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দুজনের বাড়িতেই নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার তদন্তের রেশ ধরেই চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ আমলার বাড়িতেও হানা…

    এর পাশাপাশি সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় নামে বেহালার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বারাকপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দীপ দাসের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটেও। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। তিনি সরকারি আমলা। পার্থর দফতরে স্পেশাল ডিউটি অফিসার হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর বাড়ি নিউ বারাকপুরের জগদীশচন্দ্র রোডে। বৃহস্পতিবার সেখানেই হানা দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।

    সিবিআইয়ের এই হানার আগে ইডি অভিযান চালিয়েছিল সুকান্তর বাড়িতে। একাধিকবার ইডির তলব পেয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এবং সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এবার তাঁর বাড়িতেই অভিযান চালাল সিবিআই। পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নয়া তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। তার পরেই হানা সুকান্তর বাড়িতে। এদিন সকালে সিবিআই একযোগে অভিযান চালায় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। একটি দল যায় কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে। এই কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তাপস মণ্ডল।

    আরও পড়ুুন: এবার শুভেন্দুর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা

    এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ ভজার বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। তদন্ত চলাকালীন একাধিকবার উঠে এসেছে এই তৃণমূল নেতার নাম। লোকনাথ আবাসনে তাঁর একটি ফ্ল্যাটেও এদিন সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চার্জশিট পেশ করে ইডি। ওই চার্জশিটে নাম ছিল আমলা সুকান্তের। নাম ছিল শিক্ষাসচিব, আইএএস মণীশ জৈনেরও। চার্জশিটে ইডির অভিযোগ, শিক্ষাক্ষেত্রে পাকা চাকরির আশ্বাস দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদাভাবে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হত। আর সেটা করা হত শুধু টাকা নেওয়ার জন্য। ইডির আরও অভিযোগ, মূলত পার্থর নির্দেশেই সেই ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করতেন মণীশ, সুকান্তর মতো আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কলকাতায় আসছেন সিবিআইয়ের দক্ষ ৫ অফিসার, কেন জানেন?

    Calcutta High Court: কলকাতায় আসছেন সিবিআইয়ের দক্ষ ৫ অফিসার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে সিবিআইয়ের (CBI) ওপর মামলার পাহাড়। তদন্তের চাপে কার্যত নাজেহাল হওয়ার জোগাড় সিবিআই আধিকারিকদের। এমতাবস্থায় বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তী জানান, ৫ জন দক্ষ সিবিআই আধিকারিক কলকাতায় আসছেন।  

    কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)…

    এদিন শান্তনু পান্ডার একটি মামলায় কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের উদ্দেশে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেন, সিবিআইয়ের হাতে প্রচুর মামলা রয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি মামলা করে সিবিআই তদন্ত দাবি করছেন। রাজনৈতিক বিরোধী হলে তো কথাই নেই। তাঁরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন। কিছু ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট যুক্তিও থাকে। এই অবস্থায় সিবিআইকে নতুন তদন্ত দিতে আদালত (Calcutta High Court) উদ্বিগ্ন। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল জানান, বিষয়টি তাঁদের নজরে রয়েছে। সিবিআইয়ে যে কর্মীর অভাব রয়েছে, তা মেনে নিয়ে তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মামলার চাপ সামলাতে অনেক অফিসার আনা হচ্ছে রাজ্যে। শীঘ্রই আরও ৫ জন দক্ষ অফিসার কলকাতায় আসছেন। তাঁরা তদন্তের কাজ শুরু করবেন।

    আরও পড়ুুন: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    গত কয়েক মাসে প্রায় ৫০টি মামলায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কিছু মামলায় সেই আর্জিতে সায়ও দিয়েছে আদালত। কয়েকটি খারিজ হয়ে গিয়েছে। তবে গত ২২ মাসে ২৩টি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আদালতের প্রশ্ন, সবাই সিবিআই তদন্ত চাইছেন। কিন্তু আপনারা কি এত তদন্ত ভার নিতে সক্ষম? এত আধিকারিক কি আছে আপনাদের?

    এদিন ওই মামলার শুনানিতে কাঁথি থানার আইসির ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত (Calcutta High Court) । তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি মান্থা বলেন, পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ কাম্য নয় বলেই মনে করে আদালত। বিচারপতির নির্দেশ, ওই থানার সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে জেলার পুলিশ সুপারকে বক্তব্য জানাতে হবে। এই সময়ের মধ্যে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    Manik Bhattacharya: মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সিবিআইয়ের, রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Primary Recruitment Scam) দুর্নীতির মূল কারিগর মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দাখিল করা রিপোর্টে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই (CBI)। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিভিন্ন বৈঠক হত মানিক ভট্টাচার্যের নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশে। বাকি সদস্যদের যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্মতি জানাতে হত। কী কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদে মানিকের মেয়াদ দুবার বাড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, সে প্রশ্নও তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। আরও বলা হয়েছে, পর্ষদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল মানিকের হাতে। তদন্তের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি সবটাই এড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিছু চাকরিপ্রার্থীকে বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। তাই তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন।

    মূল কারিগর মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya)…

    সিবিআইয়ের দাবি, ওই ব্যক্তিদের চাকরি দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বোর্ডের যে বৈঠকে এই বাড়তি নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেখানে উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার ১১, মুর্শিদাবাদের ২৬, বীরভূমের ১৩ জনকে দেওয়া নিয়োগপত্রের নম্বর যোগ্যতামানের চেয়ে কম। কলকাতা, কোচবিহার এবং পুরুলিয়ার ৩৬ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হননি। রিপোর্টে সিবিআইয়ের আরও দাবি, উর্দু মাধ্যমের দুজন প্রার্থী যাঁরা বাংলা ভাষায় টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বাংলা মাধ্যম স্কুলে।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাখিল করা রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, এই দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, তাঁরা সব কাজ করেছেন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) নির্দেশে। সংসদ সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচি জানিয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা পাঠানোর সময় যে ফরওয়ার্ডিং লেটার পাঠাতে হয়, তাতে মানিক ভট্টাচার্যের নির্দেশে সই করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, তালিকা না দেখেই সই করেছেন তিনি। সিবিআইয়ের দাবি, অন্য অভিযুক্তরা তদন্তে সহযোগিতা করলেও মানিক করছেন না। তাই বারবার বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তদন্ত।

    আরও পড়ুুন: প্রাথমিকে নিয়োগে মেধাতালিকার বিশদ তথ্য চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে স্ত্রী ও পুত্র সহ জেলবন্দি রয়েছেন মানিক। দীর্ঘদিন জেলে থাকলেও মানিককে বিধায়ক পদ ছাড়তে বলেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। কুন্তল, শান্তনুর মতো তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলারও চেষ্টা করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মানিক (Manik Bhattacharya) সব ফাঁস করে দিতে পারেন বলেই কি তাঁকে সমঝে চলেছে তৃণমূল? উঠছে প্রশ্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Enquiry: সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কালিয়াগঞ্জে নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার

    CBI Enquiry: সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ কালিয়াগঞ্জে নিহত মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে রাজবংশী যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণকে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের (CBI Enquiry) দাবি জানিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার। মঙ্গলবার ওই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়ের ভাই মৃণালকান্তি। সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা দায়েরের আর্জি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। হাইকোর্টের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়েছে মামলা দায়েরের। বুধবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা।

    সিবিআই তদন্তের (CBI Enquiry) দাবি…

    ২১ এপ্রিল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তপ্ত হয়েছিল কালিয়াগঞ্জ। ওই ঘটনার রেশ মিলিয়ে যাওয়ার আগেই ২৬ এপ্রিল রাতে মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের একবার তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ সংলগ্ন রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের চাঁদগ্রাম। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত দুটো নাগাদ পুলিশের পোশাকে (CBI Enquiry) বেশ কয়েকজন একটি গাড়িতে চেপে স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মণের বাড়িতে হাজির হন। তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাড়ির বয়স্ক একজনকে মারধর করতে করতে গাড়িতে তোলা হয়। গুলিও চালান পুলিশের পোশাকধারীরা।

    আরও পড়ুুন: স্ত্রী, ছেলের সামনে ময়নার বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই গুলির আঘাতেই মৃত্যু হয় বিষ্ণুর ভাই মৃত্যুঞ্জয়ের। মৃত্যুঞ্জয়কে খুনের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। সোমবার অকুস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছেন সিআইডির আধিকারিকরা। সেদিন পুলিশের ওই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন কালিয়াগঞ্জ থানার এএসআই মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেন মৃণালকান্তি। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার। তাঁদের দাবি, সিবিআই (CBI Enquiry) তদন্ত হলেই মৃত্যুঞ্জয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁর ভাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lalan Sheikh: রক্ষাকবচ সিবিআই-কে, লালনকাণ্ডের তদন্তে আদালতের নির্দেশে গঠিত হল সিট

    Lalan Sheikh: রক্ষাকবচ সিবিআই-কে, লালনকাণ্ডের তদন্তে আদালতের নির্দেশে গঠিত হল সিট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বগটুইকাণ্ডে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল সিবিআই (CBI) হেফাজতে। ওই ঘটনায় সোমবার সিট (SIT) গঠনের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। লালনের মৃত্যুর তদন্ত করবে আদালতের তৈরি এই সিট। এদিন আদালত লালন মামলায় সিবিআইয়ের ৭ আধিকারিককে রক্ষাকবচ দিয়েছে। তবে এও জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে রাজ্যই। এদিন আদালতের নির্দেশে যে সিট গঠিত হবে, তার নেতৃত্ব দেবেন আইপিএস প্রণব কুমার। সঙ্গে থাকবেন হোমিসাইডের বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়। এই দুই আধিকারিকই ঠিক করবেন, এই সিটে আর কারা থাকবেন।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশনামা…

    এক সপ্তাহের মধ্যে টিম গঠন করতে হবে। তবে সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না সিট। আদালতের তৈরি করা সিট (Lalan Sheikh) আদালতকে না জানিয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে পারবে না। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সিট কোন পথে তদন্ত করবে, সে সংক্রান্ত একটি নির্দেশনামাও জারি করেছেন বিচারপতি সেনগুপ্ত। সিবিআই হেফাজতে লালনের মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। তার পরে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এদিন হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত রাজ্য করলেও, তদন্তভার সিআইডির হাতে থাকবে না। তদন্ত করবে সিট।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চোখা-চোখা মন্তব্য বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন এক ঝলকে

    নিম্ন আদালত ছাড়া আর কোথাও কোনও রিপোর্ট পেশ করতে হবে না সিটকে। রাজ্যের কাছেও কোনও রিপোর্ট পেশ করতে হবে না সিটকে (Lalan Sheikh)। সিট গঠন না হওয়া পর্যন্ত সিআইডি কোনও তদন্ত করতে পারবে না। সিবিআই রক্ষাকবচ পেলেও, তারা তদন্তে সিটকে সব রকম সহযোগিতা করবে। তদন্ত হবে আদালতের নজরদারিতে। প্রসঙ্গত, ১২ ডিসেম্বর বীরভূমের রামপুরহাটে সিবিআই ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয় লালন শেখের (Lalan Sheikh) ঝুলন্ত দেহ। সিবিআইয়ের সাত তদন্তকারী আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে রাজ্য পুলিশ। গরুপাচার মামলার দুই তদন্তকারী আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য ও স্বরূপ দে-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। রাজ্য পুলিশের তদন্ত এবং এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Recruitment Scam: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: চাকরি খোয়ানো ১০ ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে নথি সহ তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশে খুইয়েছেন চাকরি। এঁদের মধ্যে থেকে ১০ জনকে তলব করল সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে এমন ১০ জন ‘অযোগ্য’ প্রাক্তন গ্রুপ সি কর্মীকে নিজাম (Recruitment Scam) প্যালেসে ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায়ই ওই দশজনকে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে বিভিন্ন দিনে একে একে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। চাকরি সংক্রান্ত সমস্ত নথি ও আর্থিক লেনদেনের কাগজপত্র সহ হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় জেরা…

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত চলাকালীন টাকার বিনিময়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে চাকরি বাতিল হয়েছে অনেক প্রাথমিক এবং হাইস্কুল শিক্ষকের। নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে বরখাস্তও হয়েছেন অনেক গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মী। এঁদের মধ্যে থেকেই ১০ জনকে তলব করা হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। চাকরি পেতে তাঁরা কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কিনা, তাঁদের সঙ্গেই বা কেউ যোগাযোগ করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। টাকার লেনদেন কীভাবে হয়েছিল এবং কেউ মধ্যস্থতা করেছিলেন কিনা, সে ব্যাপারেও তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে। এঁদের সকলেরই বয়ান রেকর্ড করা হবে। চাকরি হারানো (Recruitment Scam) প্রাক্তন ওই ১০ সরকারি কর্মীর দেওয়া টাকা কোন নিয়োগকর্তার কাছে পৌঁছেছে, কার মাধ্যমে নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে আলাপ করানো হয় চাকরিপ্রার্থীদের। এসবও জানতে চাওয়া হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।  

    আরও পড়ুুন: ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে স্যালুট, ওঁকে নিয়ে বিচলিত হবেন না’, বললেন শুভেন্দু

    পিছনের দরজা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই দালাল ধরেছিলেন বলে অভিযোগ। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন বারাসতের জাতীয় পুরস্কার পাওয়া প্রধান শিক্ষক তাপস মণ্ডল, প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন অয়ন শীলও। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ানোয় (Recruitment Scam) বিতর্কও কম হয়নি। কারও চাকরি চলে যাক, তা চাননি বলে জানিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু দিন আগে একটি অনুষ্ঠানে নিজেই সেকথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন চাকরি হারানো সরকারি কর্মীরা। তাঁদের পক্ষে সওয়াল করছেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। এই মুকুল রোহতগিই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, যাঁদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের কথা শোনা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share