Tag: cbi

cbi

  • Jiah Khan: জিয়া খান মামলায় দশ বছর পরে বেকসুর খালাস অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি

    Jiah Khan: জিয়া খান মামলায় দশ বছর পরে বেকসুর খালাস অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার জিয়া খান (Jiah Khan) আত্মহত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করল বিশেষ সিবিআই আদালত। প্রেমিকা জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি। সূরজকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল আদালত। এদিন বিচারক এএস সৈয়দ রায় ঘোষণার সময় বলেন, ‘তোমার (সূরজ) বিরুদ্ধে যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তা উপযুক্ত নয়, তাই তোমাকে রেহাই দেওয়া হল সমস্ত অভিযোগ থেকে’। প্রসঙ্গত, মাত্র ২৫ বছর বয়সে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী জিয়া খান (Jiah Khan)। ২০১৩ সালের ৩ জুন জিয়ার মৃত্যুর খবর নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। জিয়ার (Jiah Khan) মৃত্যুর পর তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রেমিক সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। আজকের রায়দানের পরে খুশি পাঞ্চোলি পরিবার।

    সুইসাইড নোট উদ্ধার…

    জিয়ার (Jiah Khan) আত্মহত্যার পর প্রয়াত অভিনেত্রীর সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সেটাই ছিল এই মামলার মূল ভিত্তি। ওই চিঠিতে সূরজের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছিলেন জিয়া। এই মামলায় প্রায় ২২জন সাক্ষী আদালতে সূরজের বিরুদ্ধে বয়ান দেন। তবে শুরু থেকেই সূরজের দাবি ছিল তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। অভিনেতার কথায়, ‘আমি জিয়াকে (Jiah Khan) ভালোবেসেছি, ও আমার কাছে ভগবানের দেওয়া সেরা উপহার’। নিজের লিখিত বয়ানে জিয়ার মা রাবিয়ার দিকে অভিযোগের পালটা আঙুল তুলেছেন সূরজ। তাঁর কথায়, ‘রাবিয়া জানে উনি নিজে দোষী মেয়ের মৃত্যুর জন্য। আমার মনে হয় ওঁনার ভূমিকা খুঁজে দেখা উচিত এই মামলায়’।

    বিচারপ্রক্রিয়া…

    জিয়াকে (Jiah Khan) আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতারও হন সূরজ, পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। শুরু থেকেই জিয়ার মা রাবিয়া খানের অভিযোগ ছিল খুন করা হয়েছে তাঁর মেয়েকে, পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রাবিয়া। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে জিয়ার মৃত্যুর প্রায় এক বছর পর ২০১৪ সালের ৩ জুলাই মুম্বই পুলিশের হাত থেকে সরে সিবিআইয়ের কাছে যায় এই মামলা। ২০১৬ সালে সিবিআই জানায় আত্মহত্যাই করেছেন বলি-নায়িকা। পরে ২০১৯ সালে সেশন কোর্টে এই মামলার বিচার পর্ব শুরু হয়েছিল, কিন্তু তা খুব বেশি দূর এগোয়নি। দীর্ঘ আট বছর ঝুলে থাকার পর ২০২১ সালের জুলাই মাসে জিয়ার আত্মহত্যার মামলা সেশন কোর্ট থেকে সরে যায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। ২০২৩ সালে সেই মামলারই রায় এল।

    রায়দানের পরে কী বললেন জিয়া খানের (Jiah Khan) মা?

    অন্য দিকে শুক্রবার সকালে জিয়ার (Jiah Khan) মা রাবিয়া খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি শুধু এইটুকুই বলতে চাই, জিয়া আত্মহত্যা করেনি। বিগত ১০ বছর ধরে উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে আমরা লড়াই করছি। মহামান্য আদালতের কাছে আমি শুধু সত্যের পক্ষে রায় আশা করছি।’’ যদিও রায় তাঁর বিপক্ষেই গেল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সুকন্যা গ্রেফতার হতেই জামিনের জন্য কাকুতিমিনতি অনুব্রতর

    Anubrata Mondal: সুকন্যা গ্রেফতার হতেই জামিনের জন্য কাকুতিমিনতি অনুব্রতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসাধিককাল তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত তিনি। তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি (ED)। কিন্তু আসানসোল আদালতে এখনও চলছে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সিবিআইয়ের মামলা। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় আসানসোল আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয়েছিল অনুব্রতকে। পেশ করা হয়েছিল তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও। বুধবার সন্ধ্যায় ইডি গ্রেফতার করে কেষ্ট-কন্যাকে। তার পর এদিন শুনানির সময় কার্যত ভেঙে পড়েন অনুব্রত। ভার্চুয়াল শুনানিতে জামিনের জন্য বিচারকের কাছে কাকুতিমিনতি করেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। সিবিআইয়ের মামলা থেকে অব্যাহতিও চেয়েছেন তিনি।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বলেন…

    এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসা করেন, অনুব্রতবাবু, কেমন আছেন? অনুব্রত বলেন, শরীর ভাল নেই। অনেক সমস্যাও রয়েছে। বিচারকের প্রশ্ন, আপনি যে আসানসোল জেলে ফেরার আবেদন করেছিলেন দিল্লি হাইকোর্টে, তার স্ট্যাটাস কী?  অনুব্রত বলেন, স্যার, এখনও সেটা চলছে। আমাকে আসানসোল জেলে ফেরত চেয়ে নিন। বিচারক বলেন, ওটা তো হাইকোর্টের বিষয়। আমার হাতে নেই। বিচারক ফের প্রশ্ন করেন, এমনি কেমন আছেন? অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সংক্ষিপ্ত উত্তর, ঠিক আছি। পরে অনুব্রত বলেন, সিবিআই মামলায় এবার আমায় বেল দিয়ে দিন। ওটা ফলস কেস। বিচারক বলেন, আমরা সরকারি লোকজন। কাগজপত্র, ডকুমেন্ট সব দেখেই বিচার করতে হয়। আমি কী জানি, সেটা বড় কথা নয়। আর আপনার মামলা তো দিল্লি হাইকোর্টে রয়েছে। সেটা কী হল জেনে আসানসোল জেলে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হবে।  

    আরও পড়ুুন: অনুব্রত কন্যা সুকন্যাকে তিন দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

    বিচারক এও বলেন, তিহাড় জেলে কেমন (Anubrata Mondal) আছেন? যদি কোনও অসুবিধা হয় জেল সুপারকে জানাবেন। ওখানে পরিবেশ তো একটু আলাদা। কোনওরকম দ্বিধা-সংকোচ করবেন না। তিনি জানান, সিবিআই সমস্ত নথির কপি অনুব্রতর আইনজীবীর হাতে দিয়ে দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ মে।

    এদিকে, এদিনই সুকন্যাকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে পেশ করবে ইডি। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল ছিলেন সুকন্যা। আর্থিক লেনদেনে সরাসরি যুক্তও ছিলেন তিনি। ইডির দাবি, তদন্তে দেড়শো-দুশো ব্যাঙ্কে নগদ জমার রশিদ মেলে। টাকার অঙ্ক ১০ কোটিও বেশি। ওই টাকা নগদে জমা পড়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘কলকাতা লন্ডন না হলেও, মালদা হয়েছে আমেরিকা’’! বন্দুকবাজকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘কলকাতা লন্ডন না হলেও, মালদা হয়েছে আমেরিকা’’! বন্দুকবাজকাণ্ডে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা লন্ডন না হলেও তৃণমূলের রাজত্বে মালদা আমেরিকা হয়ে গিয়েছে। বুধবার মালদার স্কুলে পড়ুয়াদের পণবন্দি করে বন্দুকবাজের শাসানির প্রতিক্রিয়ায় এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    সুকান্তর দাবি

    সুকান্তের কথায়, কালিয়াগঞ্জের ভিডিওতে দেখা গেল, পুলিশকে জনতা পেটাচ্ছে। এখানে দেখা গেল স্কুলে বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ছে দুষ্কৃতী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই। মালদার এক স্কুলে (Malda School) বুধবার পিস্তল হাতে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি (Gunman in School)। সটান ক্লাসরুমে। হাতে পিস্তল। টেবিলে রাখা দুটি বোতল। বোতলের মাথাগুলি সাদা কাপড়ে মোড়া। পিস্তল উঁচিয়ে ভরা ক্লাসরুমে ছোট ছোট পড়ুয়াদের সামনে শাসক দল তৃণমূল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। অতীতে মার্কিন মুলুকে এমন স্কুলের ভিতের বন্দুকবাজের হানার কথা বহুবার শোনা গিয়েছে। কিন্তু এ দৃশ্য বাংলার কোনও স্কুলে অন্তত সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। কর্নাটকে প্রচার সেরে কলকাতায় ফিরেই সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন কলকাতাকে লন্ডন করবেন। তা আদতে স্বপ্নই রয়ে গিয়েছে। তবে কলকাতা লন্ডন না হলেও মালদা আমেরিকা হয়ে গিয়েছে। আমেরিকাতে এরকম বন্দুকবাজের তাণ্ডব হয়। এখন সেটা পশ্চিমবঙ্গের গ্রামেগঞ্জেও হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখুন বাংলার আইন-শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি!”

    আরও পড়ুন: স্কুলব্যাগে বিশ্ব বাংলা লোগো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি শুভেন্দুর

    দিলীপ ঘোষের মন্তব্য

    মালদায় স্কুলে বন্দুকবাজের তাণ্ডবে দিল্লির চক্রান্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই মন্তব্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাংলার পাড়ায় পাড়ায় যে খুন-ধর্ষণ হচ্ছে, সেটা কি দিল্লি করাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যখনই কোনও কাজে ব্যর্থ হন তখনই অন্যের ঘাড়ে দায় ঠেলেন। উনি পুলিশমন্ত্রী হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ। তাই এখন দিল্লির ঘাড়ে দায় ঠেলার চেষ্টা করছেন। এটা অযোগ্যতার প্রাথমিক লক্ষ্মণ। এভাবে উনি পার পাবেন না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: এবার গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল

    Anubrata Mondal: এবার গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা গ্রেফতার হয়েছিলেন আগেই। এবার গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal)। বুধবার সন্ধ্যায় ইডি (ED) গ্রেফতার করে তাঁকে। এই মামলায় আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর থেকেই সুকন্যাকে তলব করা হচ্ছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, পরে নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে যান সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রত-কন্যাকে। চলে টানা জেরা। তার পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করছিলেন সুকন্যা।

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়েকে জেরা…

    কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে সুকন্যাকে প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও তিনি কোনও সদুত্তর দেননি। সুকন্যা জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, সেই কারণেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সুকন্যা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। আয়ের সঙ্গে মিল নেই তাঁর বিপুল সম্পত্তির। এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি সুকৌশলে গরু পাচারের টাকা রাখা হচ্ছিল সুকন্যার ভাণ্ডারে? কেবল অনুব্রত নন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই মামলায় একে একে গ্রেফতার করে অনুব্রতর সঙ্গীদের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশকে। এবার গ্রেফতার করা হয় কেষ্ট-কন্যাকে।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    এদিকে, বাবা-মেয়ে দুজনেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় খাঁ খাঁ করছে বীরভূমে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বাড়ি। বাড়ির প্রহরায় রয়েছেন রাজ্য পুলিশের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। কিছুদিন আগেই দলীয় কর্মীদের সুকন্যার খোঁজ-খবর নিতে বলেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পার্টির কেউ পাশে না থাকায় ঘনিষ্ঠ মহলে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন সুকন্যা। এবার তিনিও চলে গেলেন গারদের অন্তরালে। পার্টির লোকজন কি তবে বিপদ আঁচ করে আগেই কেটে পড়ে ছিলেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Saha: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে তাপস! জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    Tapas Saha: সিবিআই তলবে নিজাম প্যালেসে তাপস! জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে বাড়িতে তল্লাশির পরে সোমবার রাতে নোটিশ পাঠিয়ে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহাকে (Tapas Saha) ফের তলব করে সিবিআই। সেইমতো মঙ্গলবার সকালেই তাপস সাহা (Tapas Saha) পৌঁছে যান সিবিআইয়ের আঞ্চলিক অফিস নিজাম প্যালেসে। সেখানে তাঁকে একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।

    জিজ্ঞাসাবাদে কী কী বিষয় উঠে এল?

    সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, তাপসের (Tapas Saha) ছেলে সাগ্নিক বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে আছেন। তাঁকেও ইতিমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সাগ্নিকের বয়ানের ভিত্তিতেই এ দিন বেলা ১১টা থেকে তাপসকে প্রশ্ন করা হয় দীর্ঘক্ষণ। জানা যাচ্ছে, তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে সাগ্নিকের অ্যাকাউন্টও। সিবিআই সূত্রে খবর, তাপস কীভাবে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন? প্রবীরের সঙ্গে কীভাবে আলাপ? তাপসের নির্দেশে কি টাকা তুলতো প্রবীর ও অন্যান্যরা? তাপসের (Tapas Saha) থেকে ছেলের সঙ্গে লেনদেন রয়েছে কিনা?  এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় সিবিআই।

    তাপসের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের দাবি

    তদন্তকারীদের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাপসের (Tapas Saha) আপ্ত-সহায়ক প্রবীর কয়াল তাঁদের জানিয়েছেন, তাপসের নির্দেশেই বাজার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে টাকা তোলা হয়েছিল। কয়েক দফায় এক কোটি ৪২ লক্ষ টাকা জমা পড়েছিল প্রবীরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকে এক কোটি টাকা তুলে তিনি তাপসকে দিয়েছিলেন বলে প্রবীর সিবিআইয়ের কাছে দাবি করেছেন।

    সম্প্রতি তাপসের (Tapas Saha) তেহট্টের বাড়ি এবং প্রবীর-সহ তাপস-ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তৃণমূল নেতানেত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাদের দাবি, সেই সব জায়গা থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে।

    দলের একাংশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তাপসের (Tapas Saha)

    নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের আঞ্চলিক দফতরে ঢোকার সময় তাপস সাহা (Tapas Saha) বলেন, ‘‘আমি দলের গোষ্ঠী-দ্বন্দ্বের শিকার। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমার দলীয় কর্মী ও জেলা পরিষদের এক সদস্য ষড়যন্ত্র করছেন। আমার আপ্ত-সহায়ক প্রবীর কয়াল নিজেকে বাঁচানোর জন্য এক-এক সময় এক-এক রকম কথা বলছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের (CBI) আতস কাচের তলায় ছিলেন নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) তাপস সাহা (Tapas Saha)। দিন কয়েক আগে তাঁর বাড়ি ও কার্যালয়ে টানা তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। তার জেরেই বুধবার তাপসকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে। কেবল সিবিআই নয়, তাপসের দিকে নজর রয়েছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিরও। সিবিআইয়ের এফআইআরের সূত্র ধরেই তাপসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে ইডিও। যদিও সিবিআই তল্লাশির পর এই তৃণমূল নেতা জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে কিছুই পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    তৃণমূল নেতা তাপস সাহার (Tapas Saha) দাবি…

    তিনি এও দাবি করেছিলেন, তৃণমূলেরই একাংশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি কোনও টাকা নেননি বলেও দাবি করেছিলেন তেহট্টের বিধায়ক। তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর পর দলীয় কর্মীরা যাতে তাঁর পাশ থেকে সরে না যান সেজন্য তদন্তকারীরা চলে যাওয়ার পরেই বাড়িতে দলীয় কর্মীদের মহাভোজ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তাপস। দলের নেতা-কর্মীদের ডেকে খাইয়েছিলেন মাংসভাত। এহেন তৃণমূল নেতাকেই এবার দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠাল সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাপসেরও (Tapas Saha)। তাঁর বিরুদ্ধেও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে তাপসের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। সেই সময় তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ জেরাও করেছিলেন তদন্তকারীরা। পরে তেহট্টের বিধায়কের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও। বেঙ্গালুরুতে ফ্ল্যাট রয়েছে তাপসের ছেলের। সেই ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাপসের বাড়িতে তল্লাশির পর তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল ও তাপসের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের তিন বিধায়ক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে তিনজনেই রয়েছেন গরাদ-বন্দি। এবার তাপসকে (Tapas Saha) ডাকল সিবিআই। তাহলে কি তাঁরও পরিণতি হবে দলীয় তিন বিধায়কের মতোই? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: তাপস সাহা ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে সিবিআই! জানেন কে তিনি?

    SSC Scam: তাপস সাহা ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে সিবিআই! জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। শনিবার সকালে তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একটি দল। সূত্রের খবর, ইতি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। আজ, শনিবার সকালেই আসতুল্লানগরে ওই তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই গোয়েন্দারা। ইতি তৃণমূল কংগ্রেসের তেহট্ট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি। এদিন সিবিআই টিম তাপসের বাড়ি থেকে চলে যায় তাঁর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়িতে। প্রবীরের হাওড়ার বাড়িতে শুক্রবার গিয়েছিল সিবিআই। শনিবার যায় তেহট্টের বাড়িতে। তারপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি যায় ইতি সরকারের বাড়িতে।

    কে এই ইতি

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ইতি সরকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেসের তেহট্ট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি। স্থানীয় একটি স্কুলে চাকরি করেন।  সরকারি ওই স্কুলের পোশাক সরবরাহ এবং পোশাক তৈরির কাজের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এই এতকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে থাকার জন্যই সিবিআইয়ের নজর পড়েছে নেত্রীর উপর। তাই তাঁর বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ বলেই ইতি সরকারের বাড়িতে তল্লাশি করতে যান সিবিআই অফিসাররা। এখান থেকে কোনও লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায় কিনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: চাকরি বিক্রির টাকার অঙ্ক কত জানাল ইডি! পার্থ-অর্পিতা-মানিকের সম্পত্তির রিপোর্ট পেশ আদালতে

    সূত্রের খবর, তদন্তে একাধিকবার উঠে এসেছে তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের নাম। সিবিআইয়ের দাবি, ইতি একাই ১৩টি সরকারি স্কুলে ইউনিফর্ম বিলির বরাত পান, একইসঙ্গে ওই স্কুলগুলিতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণও দিতেন ইতি। তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারকে সরকারি স্কুলে কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে সিবিআই। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পারিবারিক অনুষ্ঠান হলে ইতির বাড়িতে আসতেন বিধায়ক তাপস সাহা। প্রবীর কয়ালের বাড়িতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এখন দেখার ইতির বাড়িতে তল্লাশিতে কখন ইতি টানে এজেন্সি। শনিবার তাপসের পুত্র সাগ্নিককেও বেঙ্গালুরুতে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই-এর একটি দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam:  ‘দল পাশে নেই, তবে লড়াই ছাড়ব না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’! বিস্ফোরক তাপস সাহা

    SSC Scam: ‘দল পাশে নেই, তবে লড়াই ছাড়ব না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’! বিস্ফোরক তাপস সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসা সিবিআই আধিকারিকরাও না কি তাঁকে এমনটা বলেছেন, দাবি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হলেও তিনি দল ছাড়বেন না। মোকাবিলা করবেন রাজনৈতিক ভাবে।

    রাজনৈতিক চক্রান্ত

    শুক্রবার বিকেল থেকে বিধায়কের বাড়িতে শুরু হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশি অভিযান। একটানা জিজ্ঞাসাবাদ চলে তৃণমূল বিধায়কের। বাড়ি থেকে কার্যালয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাতভর তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। শনিবার সকালে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। নথি সংগ্রহের জন্য বিধায়কের বাড়িতে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তল্লাশি শেষে তাপস সাহার অভিযোগ,‘আমি চক্রান্তের শিকার’, কার চক্রান্ত? তাপস বলেন, ‘বিজেপিও চক্রান্ত করেছে, তৃণমূলও করেছে। আমি লড়াই করা মানুষ। দল ছাড়ব না। এটাকেই তো রাজনীতি বলে। যাঁরা চক্রান্ত করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।’ দলের কেউ কেউ যে তাঁর নাম বলেছেন, সে কথা নাকি শোনা গিয়েছে সিবিআই-এর মুখেও। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। দলের কোনও নেতা কথাও বলেননি তাঁর সঙ্গে।  

    তদন্তে সহযোগিতা

    তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। প্রয়োজনে যা জানতে চাইবেন তাই বলব।’ তবে তাঁর দু’টি ফোন এবং তাঁর ছেলের কিছু নথি সিবিআই আধিকারিকরা সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন বলেও তাপস জানিয়েছেন। নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর স্কুলশিক্ষিকা ভাইঝিরও কিছু নথি। সেই প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘‘আমি সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করেছি সিবিআইকে। আমার দু’টো ফোন নিয়ে গিয়েছে। আমার ছেলের কাগজ নিয়ে গিয়েছে। আমার মেজ দাদার মেয়ের নথি নিয়ে গিয়েছে। আমার মেজ দাদার মেয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: সাড়ে ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ! সকালে তাপসের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই

    দল প্রসঙ্গে তাঁর মত,’রাজ্যের নেতারা নামেই নেতা। মমতা-অভিষেক ছাড়া কাউকে বলে লাভ হয় না। তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বকে বলে লাভ হয় না। মমতা-অভিষেকের কাছে চিঠি পাঠালেও পৌঁছয় না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় দুর্নীতি করেননি। মানিক ভট্টাচার্য করেছেন। দলের পরিস্থিতি ভালো না। ৪ বছরে টিনা সাহা ৪০ কোটির মালিক হয়েছেন।’ এমনকি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক এও বলেন যে, ‘মানুষের সবসময় দিন সমান যায় না। টাকা পয়সা ধার করতে হয়। আমিও করেছি। সবার শোধ করতে পারিনি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে এবার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে এবার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) তদন্তে এবার সিবিআই (CBI) হানা আরও এক তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে সিবিআই হানা দেয় নদিয়ার তেহট্টে বিধায়ক তৃণমূলের তাপস সাহার বাড়িতে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা তাঁর মোবাইল ফোনটি জলে ফেলে দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা আসছেন শুনে। তাপসও যাতে সেই একই কাজ করতে না পারেন, তাই প্রথমেই তাঁর মোবাইল ফোনটি সিজ করেন তদন্তাকারীরা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ১৮ এপ্রিল তাপসের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার জেরে এদিনই তাঁর বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) তদন্তে সিবিআই…

    এদিন দুপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন তাপসের বাড়ি। তার পরেই বাড়িতে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন বিধায়ক। তদন্তকারীরা ভিতরে ঢোকার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মূল ফটক। বিধায়কের কার্যালয়ে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই কার্যালয়ের বিভিন্ন জিনিস দেখেন তদন্তকারীরা। চাকরি (Recruitment Scam) দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা তাপস সাহার বিরুদ্ধেও। বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি প্রায় ১৬ কোটি টাকা তোলেন বলে অভিযোগ। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে তাপসের বিরুদ্ধেও। এদিন তাপসের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের ১২জন আধিকারিক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকও।

    আরও পড়ুুন: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    তাপসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে চিঠি লেখা হয়েছিল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মোট তিনটি চিঠি লেখা হয়েছিল। এর একটি পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে, একটি তেহট্ট থেকে, আর একটি করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর তাপস বলেছিলেন, স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত। তিনি বলেন, আমাদের একটাই অপরাধ যে, আমরা তৃণমূল করি। তিনি বলেছিলেন, আমার দলের দু একজন বিজেপির সঙ্গে যৌথভাবে চক্রান্ত  করে এটা করেছে। আমি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব।

    এদিন বিধায়ক বলেন, আমার কাছে যা জানতে চাইবে আমি সব বলব। তদন্ত চলছে চলুক, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। সব রকম সহযোগিতা করছি, করব। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সোমবার গ্রেফতার হন তিনি। আজ, শুক্রবার তাপসের বাড়িতে গেল সিবিআই। এবার কি তাহলে তাপসের পালা?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Recruitment Scam: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজন মনে করলে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতির। তিনি জানান, চাইলে অয়ন শীলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২৮ এপ্রিল এই সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সহযোগিতা করতে ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন তিনি। 

    সিবিআইকে নির্দেশ

    নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশির সময় পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার করে ইডি। এর পর জানা যায়, রাজ্যের অন্তত ৭০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে। যার মূল হোতা ছিলেন অয়ন শীল। নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন শ্বেতা। তাঁকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শ্বেতা চক্রবর্তী অন্তত ৮ জন প্রভাবশালীর নাম বলেছেন যাঁরা নিয়মিত অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। বিষয়টি সম্পর্কে সিবিআইকে জানায় ইডি। এর পর এই দুর্নীতির তদন্ত করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে সিবিআই। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চাইলে তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    বিচারপতির  ভর্ৎসনা

    প্রসঙ্গত, এদিন অয়ন শীলের বাড়িতে উদ্ধার করা নথির তথ্য মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেয় ইডি। এরপর নির্দিষ্ট কোনও পুরসভা নয়, সামগ্রিকভাবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তভার-ই সিবিআই-এর হাতে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মাত্র ১০ হাজার টাকা আয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ১০ হাজার টাকা উপার্জনের জন্য খেটে মরছেন। আর এক-একজনের কাছে এত এত টাকা!  অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে? একাংশ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কোটি কোটি টাকা! আসছে কোথা থেকে? এইসব নেতাদের ছুঁলেই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে দেখুন বাজারে তাদের কত দেনা আছে। সাধারণ মানুষ সব জানা উচিত। যারা এই দেশের মালিক। দুটো, চারটে, পাঁচটা ব্যাবসা থাকলেই কেউ দেশের মালিক হয়ে যায় না। দেশের আসল মালিক তার জনগণ।’ 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

    ইডির প্রশংসা

    এদিন, ইডির কাজের প্রশংসা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘তুলনা করলে ইডি সিবিআইয়ের থেকে ভালো ভূমিকা গ্রহণ করছে। ইডি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভালো কাজ করছে।’এদিন সিবিআই-কেও শংসাপত্র দেন বিচারপতি। তিনি জানান, শেষ দু’মাসের থেকে এখন সিবিআই ভালো পারফরম্যান্স করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share