Tag: cbi

cbi

  • Recruitment Scam: টেটে নম্বর বাড়ানোর জন্যও ছিল আলাদা আলাদা দর, দাবি সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: টেটে নম্বর বাড়ানোর জন্যও ছিল আলাদা আলাদা দর, দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেবল চাকরি বা পছন্দ মতো জায়গায় পোস্টিং নয়, টেটে (Recruitment Scam) প্রাপ্ত নম্বর বাড়ানোর জন্যও ছিল আলাদা আলাদা দর। বৃহস্পতিবার আদালতে এমনই দাবি করেছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা তোলার ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা দর ছিল। কার নম্বর কত শতাংশ বাড়াতে হবে, সেই অনুযায়ী ঠিক হত দর। সিবিআইয়ের দাবি, কেউ যদি ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়ে থাকেন, তবে সেই নম্বরকে ৭২ শতাংশ করার জন্য আলাদা দর।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam)… 

    আবার ৬৫ শতাংশকে ৭২ শতাংশ করার আলাদা দাম এবং অপেক্ষাকৃত বেশি দাম দিতে হত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এভাবেই প্রার্থীদের প্রাপ্য নম্বরের শতাংশের বিচারে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই। দালাল (Recruitment Scam) মারফত সেই টাকা যেত অন্যত্র। এদিন কেস ডায়েরি দেখে বিচারক প্রশ্ন করেন, সময় সময় অভিযোগগুলো বদলে যাচ্ছে…আপনার কেসের মূল অভিযোগগুলো কী।এরই উত্তর দিতে গিয়ে সিবিআই আলাদা আলাদা দরের কথা বলে।

    আরও পড়ুুন: রিষড়ায় অশান্তি, পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়েও পাননি বিচারকের পরিবার!

    এদিকে, বিস্ফোরক দাবি করলেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। আদালত চত্বরে তাঁর দাবি, তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে আদালতে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এদিন আলিপুরের নগর দায়রা আদালতে শুনানি ছিল প্রাথমিকের নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার। আদালত চত্বরে নিয়ে আসা হয়েছিল দুই অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে।

    অন্যদিকে, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছে জনৈক পার্থ সরকারের। সিবিআইয়ের দাবি, মন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কেলেঙ্কারির টাকা পৌঁছে দিতেন এই পার্থ। জানা গিয়েছে, জেরায় প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ দাবি করেন, দুর্নীতির কালো টাকা প্রথমে সংগ্রহ করতেন পার্থ। পরে তা পৌঁছে দেওয়া হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের কাছে পার্থ সরকার দাবি করেছেন, কুন্তল ঘোষকে চেনেন না তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cow Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় ফেরার আব্দুল লতিফ! তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে সিবিআই

    Cow Smuggling Case: গরুপাচার মামলায় ফেরার আব্দুল লতিফ! তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) আব্দুল লতিফকে ফেরার ঘোষণা করতে পারে সিবিআই (CBI)। গরু পাচার মামলায় আসানসোলের (Asansol) সিবিআই স্পেশাল কোর্টে (cbi Special Court) চার্জশিট জমা দেওয়ার কয়েকদিন পরেই জামিন অযোগ্য ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছিল আব্দুল লফিতের বিরুদ্ধে। কিন্তু, তারপরে এত দিন কেটে গেলেও লতিফ সেই সমনে সাড়া দেননি। আদালতে আত্মসমর্পণও করেননি। তাই লতিফের বিরুদ্ধে এবার প্রক্লেম অফেন্ডার (সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া) প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে সিবিআই। এ বিষয়ে আইনি পরামর্শও নিচ্ছেন সিবিআই তদন্তকারীরা।

    গরুপাচার মামলার কিংপিন

    গরুপাচার মামলার (Cow Smuggling Case) কিংপিন, শেখ আবদুল লতিফের খোঁজ করছে সিবিআই। সূত্রের খবর শনিবার, শক্তিগড় শ্য়ুটআউটের সময় কয়লা মাফিয়া রাজু ঝার সঙ্গে গাড়ির ভিতরেই ছিলেন আবদুল লতিফ! শ্য়ুটআউটে খুন হন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। সেসময় আব্দুল লতিফের গাড়িতে আব্দুল লতিফ, রাজু ঝা, আব্দুল লতিফের চালক ও ব্রতীন মুখোপাধ্যায় আসছিলেন। শক্তিগড়ে অন্য একটি নীল গাড়ি করে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি করে লতিফের গাড়িতে সওয়ার রাজুকে। তাতেই মৃত্যু হয় কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের। ভাইরাল ভিডিওয় ধরা পড়ে আব্দুল লতিফের ছবিও।  এরপরই ওঠে প্রশ্ন। যিনি পলাতক তিনি রাজু ঝা সঙ্গে কি করছিলেন?প্রশ্ন ওঠে কয়লা মাফিয়া রাজু এবং গরু কাণ্ডে অভিযুক্ত লতিফ কী ভাবে পরস্পরকে চিনলেন, কী ভাবেই বা পরস্পরের কাছাকাছি এলেন? তবে কি সবটাই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত? ওই ঘটনার পরপরই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) গত বুধবার লতিফকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। সেইসময় কেমোথেরাপি চলছে বলে জানিয়ে হাজিরা এড়ান গরুপাচারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। দিল্লিতে ইডি দফতরে না গেলেও, তলবের দু’দিন পরে, শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা-কে খুনের সময় উপস্থিত ছিলেন আবদুল লতিফ। কীভাবে একজন অভিযুক্ত খোলা হাওয়ায় জনসমক্ষে ঘুরে বেড়াচ্ছেন , তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    Supreme Court: ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহারের অভিযোগে বিরোধীদের করা আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মুখ পুড়ল বিরোধীদের। ইডি (ED) ও সিবিআইকে (CBI) হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই দুই সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেছিল দেশের ১৪টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল। বুধবার বিরোধীদের সেই পিটিশন খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ বলেছে, কোনও নির্দিষ্ট উদাহরণ নিয়ে শুনানি চলতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে মামলার শুনানি ও রায়দান সম্ভব নয়। আবেদনকারী (Supreme Court) পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে প্রধান বিচারপতি বলেন, যখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনতে পারবেন, তখন আবার আসবেন।

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন…

    প্রসঙ্গত, ২৪ মার্চ দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছিল দেশের ১৪টি বিরোধী দল। কংগ্রেসের পাশাপাশি তাতে ছিল তৃণমূল, আপ, বাম, সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং বিআরএস-ও। এদিন আদালতে (Supreme Court) বিরোধীদের তরফে আইনজীবী মনু সিংভি জানান, বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত শুরু করেছে, তাদের মধ্যে মাত্র ২৩ শতাংশ ক্ষেত্রে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। ২০০৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ইডি তদন্তাধীন ৯৩ শতাংশ রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল। ২০১৪ সালের পর থেকে সিবিআই ও ইডি যে রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে, তাঁদের ৯৫ শতাংশই বিরোধী দলের নেতা। অথচ ইউপিএ সরকারের সময় যে ৭২ জন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিল সিবিআই, তাদের মধ্যে ৪৩ জন বিরোধী দলের।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই হনুমান জয়ন্তী, অশান্তি রুখতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা কেন্দ্রের

    শীর্ষ আদালত জানায়, মামলার আবেদনে লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিক রাজনৈতিক বিরোধিতা ও অন্যান্য সরব কণ্ঠস্বরকে ধ্বংস করা, দীর্ঘ দিনের জন্য তাদের জেলে বন্দি করার একটি স্পষ্ট নকশা দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি, মাঝেমধ্যেই ভয়াবহ আইন তৈরি করা হচ্ছে যাতে জামিন পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, সিবিআই এবং ইডির অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী সহ ৮টি বিরোধী দলের ৯ জন  নেতা। ওই চিঠিতে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মতো নেতারা স্বাক্ষর করলেও, কংগ্রেসের কারও সই ছিল না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা! রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা সিবিআই-এর

    Nisith Pramanik: নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলা! রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার মামলায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সিবিআই-এর আইনজীবী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী জানান, ওই ঘটনায় হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেও পুলিশ মামলার নথি হস্তান্তর করছে না। ফলে তদন্তও শুরু করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চায় সিবিআই। 

    সিবিআইয়ের দাবি

    ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনহাটায় নিশীথ প্রামাণিকের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় আদালত। নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সিবিআই ঘটনার তদন্ত করুক বলে রায় দেয় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। নথি হস্তান্তরের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু সিবিআই-এর অভিযোগ, এখনও সেই নথি হস্তান্তর করেনি রাজ্য পুলিশ। ফলে তদন্তে অসুবিধা হচ্ছে। মঙ্গলবার আদালতকে সিবিআই জানায়, পুলিশ মামলার নথি হস্তান্তর করছে না। ফলে তদন্তের কাজও শুরু করা যাচ্ছে না। সিবিআইয়ের দাবি, এর মধ্যে দিয়ে পুলিশ আদালত অবমাননা করেছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘ব্রেক ইন্ডিয়া ব্রিগেডকে রুখবে আত্মনির্ভর বাংলা’’! আহতকে দেখতে এসএসকেএমে রাজ্যপাল

    মামলা দায়েরের অনুমতি

    সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সিবিআইকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চ মাসের ৩১ তারিখেও হাইকোর্টের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চে সিবিআইয়ের অভিযোগ করেছিল, নিশীথ প্রামাণিকের মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করছে না রাজ্য পুলিশ। গত শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই এই আদালত চায়, তার নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হোক। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • CBI: এবার গরু পাচারকাণ্ডে শুল্ক দফতরের ৪ আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    CBI: এবার গরু পাচারকাণ্ডে শুল্ক দফতরের ৪ আধিকারিককে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) শুল্ক দফতরের (Customs Department) চার আধিকারিককে তলব করল সিবিআই (CBI)। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিপত্র নিয়ে কলকাতায় নিজাম প্যালেসে দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁদের। শুল্ক দফতরের এই চার আধিকারিকের বাড়িতে শনিবার তল্লাশি চালায় সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি। সোমবার তাঁদের তলব করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহেই দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁদের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই চার আধিকারিকের বাড়ি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁদের প্রত্যেককে ১০ বছরের ব্যাঙ্কের নথিপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে।

    সিবিআইয়ের (CBI) দাবি…

    সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছে, এনামুল-আবদুল লতিফের সঙ্গে যোগসাজশে ছিলেন শুল্ক দফতরের ওই চার আধিকারিক। শুল্ক আধিকারিক মারফত ঘুরপথে গরু কিনে পাচার করা হত বাংলাদেশে। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে সিবিআইয়ের (CBI) দাবি, গরু পাচারের কিংপিন শেখ আবদুল লতিফ ও গরু ব্যবসায়ী এনামুল হকের সঙ্গে শুল্ক দফতরের কয়েকজন আধিকারিকের সরাসরি যোগাযোগ ছিল। শুল্ক দফতরের এই আধিকারিকদের যোগসাজশেই ঘুরপথে গরু কিনে পাচার করা হত বাংলাদেশে।

    এর আগে গরু পাচার মামলায় বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এবার তলব করা হল শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের। গরু পাচার মামলার তদন্ত চলাকালীন সিবিআই নানা সময় দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রভাবশালী, পুলিশ, কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরের কর্তাদের নিবিড় বোঝাপড়া ছাড়া দিনের পর দিন এই কারবার চালানো সম্ভব ছিল না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই শুল্ক আধিকারিকদের ডেকে জানার চেষ্টা করা হবে শুধু কলকাতার আধিকারিকরাই যুক্ত নাকি দিল্লিরও কেউ কেউ এর মধ্যে রয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: ‘মমতা সকালে এক রকম কথা বলেন, সন্ধ্যায় অন্য রকম’, অভিযোগ সম্বিতের

    শনিবার শুল্ক দফতরের ওই চার আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় শুল্ক দফতরের যে সব অফিস রয়েছে, সেগুলিতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই (CBI)। তার পরেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে আসেন এই চার আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের রেকর্ডও বয়ান করতে চান তদন্তকারীরা। গরু পাচারকাণ্ডে তাঁদের কী ভূমিকা ছিল, তাও জানতে চান। সিবিআইয়ের অভিযোগ, গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত এনামুল হক ও শেখ আবদুল লতিফের সঙ্গে একটা যোগসূত্র ছিল শুল্ক দফতরের কয়েকজন আধিকারিকের। তাই রাজ্যের যেখানে যেখানে গরু নিলাম হত সেখানে লতিফ ও এনামুলকে দামি গরুগুলি অনেক কম দাম দেখিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দিতেন অভিযুক্ত শুল্ক আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • SSC Scam: স্বেচ্ছাবসর চান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত সিট কর্তা, আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই

    SSC Scam: স্বেচ্ছাবসর চান নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গঠিত সিট কর্তা, আদালতের দ্বারস্থ সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় গঠিত হয়েছিল সিবিআইয়ের (CBI) সিট। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশেই গঠিত হয়েছিল সিট। এবার সেই সিটেরই সদস্য ধরমবীর সিংহ (Dharambir Singh) চাইলেন স্বেচ্ছাবসর নিতে। ঘটনার জেরে শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। ধরমবীর সিবিআইয়ের এসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক। তিনিই জানিয়েছেন স্বেচ্ছাবসরের আর্জি। কিন্তু যেহেতু সিট গঠন করেছে কলকাতা হাইকোর্ট, তাই আদালতের অনুমতি ছাড়া ধরমবীরের এই আবেদনে সাড়া দেওয়া সম্ভব নয় সিবিআইয়ের। বিষয়টি দ্রুত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিটে কয়েকজন বাঙালি অফিসার রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলেও এদিন আদালতে জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।

    প্রাথমিক কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলা…

    সিবিআইয়ের প্রাক্তন অতিরিক্ত অধিকর্তা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের সুপারিশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারির (SSC Scam) তদন্তে সিবিআইকে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সময় উপেন জানিয়েছিলেন, সিট গঠিত হলে সিটের সদস্যরা কেবল এই মামলারই তদন্ত করবেন। তাঁরা অন্য কোনও মামলায় ব্যস্ত হতে পারবেন না। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তাহলে প্রধানমন্ত্রীও প্রভাব খাটাতে পারবেন না। উপেন এও জানিয়েছিলেন, এই কেলেঙ্কারির তদন্তে তিনি সিবিআইকে সব রকম সহযোগিতা করবেন। এর পরেই উপেনের সুপারিশ মেনে গঠন করা হয় সিট।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারির দুই মামলায় তদন্তের জন্য একটি সিট গঠন করতে হবে সিবিআইকে। সিবিআই আদালতকে জানিয়ে দেবে, সিটের সদস্য কারা। প্রাথমিক শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় তদন্ত চলাকালীন সিটের কোনও সদস্য অন্য কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। আদালতের অনুমতি ছাড়া এই মামলা থেকে বেরিয়েও যেতে পারবেন না তাঁরা। আদালতের নজরদারিতে হবে পুরো মামলার তদন্ত (SSC Scam)। তাই ধরমবীর চাইলেই স্বেচ্ছাবসর নিতে পারবেন না। সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: স্বস্তিতে জিতেন্দ্র তেওয়ারি! কয়লাকাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ মতো আগেই সিটের সদস্যদের নাম জমা দিয়েছিল সিবিআই। তারা জানিয়েছিল, ছয় আধিকারিককে নিয়ে সিট গঠন করা হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছিল, তদন্তকারী দলের মাথায় রয়েছেন এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক। একজন পুলিশ সুপার, দুজন ডিএসপি এবং তিনজন ইনস্পেক্টর। তদন্তে কলকাতা শাখার প্রধান রাজীব মিশ্র ও পূর্বাঞ্চলের যুগ্ম অধিকর্তা বেণুগোপাল নজরদারি করবেন বলেও জানিয়েছিল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • CBI: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মামলা নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কী বলল সিবিআই?

    CBI: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের মামলা নিয়ে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে কী বলল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সিবিআই (CBI)। মূলত, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করছে না রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসন। এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ সিবিআই (CBI) । যদিও এর আগেই কনভয়ে হামলার ঘটনা নিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনার পর পরই পুলিশ মামলা রুজু করে। জানা গিয়েছে, পুলিশের দায়ের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় নাম রয়েছে কোচবিহারের জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিজেপি সহ সভাপতি, দিনহাটা ব্লকের বিজেপি সভাপতি-সহ মোট ২৮ জনের। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়। বেছে বেছে ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এফআইআরে নাম থাকা বিজেপি কর্মীদের ইতিমধ্যেই রক্ষাকবচ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সিবিআইকে (CBI)  নথি হস্তান্তর নিয়ে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

    আদালতে কী জানাল সিবিআই? CBI

    ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেই এই হামলার ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের ওপর দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। তবে, সুপ্রিম কোর্ট এখনও এই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। পাশাপাশি কনভয় হামলার ঘটনা নিয়ে সিবিআইয়ের (CBI) অভিযোগ, এই ঘটনায় তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না সরকারের পুলিশ। এমনকী মামলার নথিও হস্তান্তর করছে না বলেও অভিযোগ। সিবিআই (CBI) বৃহস্পতিবার আদালতে জানায়, সব ক্ষেত্রে অসহযোগিতা কাম্য নয়। এই মামলায় প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “যেহেতু এখনও সিবিআই (CBI) তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের কোনও স্থগিতাদেশ নেই, তাই এই আদালত চায় যে তার নির্দেশকে মান্যতা দেওয়া হোক।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: চাকরি বাতিল মামলা, সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    Recruitment Scam: চাকরি বাতিল মামলা, সিবিআইকে নোটিশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় নবম-দশমের ৯৫২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর (OMR) শিট বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। এঁদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে নেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। এই শিক্ষকদেরই একাংশ দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বুধবার এই শিক্ষকদের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী মুকুল রোহতগি। দেশের শীর্ষ আদালতে তিনি বলেন, কারও কথা না শুনে কীভাবে ৫ হাজার লোকের চাকরি খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি? তাঁর প্রশ্ন, তিনি একের পর এক টেলিভিশন ইন্টারভিউ দেন কীভাবে?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলা (Recruitment Scam)…

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Scam) একের পর এক নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই কারণে চাকরি প্রার্থীদের পাশাপাশি রাজ্যবাসীরও ভীষণ কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন দেশের শীর্ষ আদালতে সেই প্রসঙ্গই তোলেন আইনজীবী রোহতগি। শিক্ষকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু বলেন, কাদের চাকরি গিয়েছে, কীভাবে চাকরি গিয়েছে, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের বক্তব্যও জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পর খুলবে। আগামী ১২ এপ্রিল হতে পারে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    আরও পড়ুুন: অয়নকে টাকা না দেওয়ায় চাকরি গিয়েছে বৈধ চাকরিপ্রার্থীদের?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি খারিজের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই শূন্যস্থানগুলিতে নিয়োগের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। গ্রুপ সির ৮৪২ জনের চাকরি খারিজের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। উচ্চ আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টে যান চাকরি হারানো কর্মীরা। তার প্রেক্ষিতে নবম-দশম ও গ্রুপ সি-র নিয়োগে কাউন্সেলিংয়ের ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। 

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। গত বছর এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, মানিক ভট্টাচার্য সহ আরও কয়েকজন। তাঁদের জেরা করে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও কয়েকজনকে। তার পরেই উঠে আসতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরক সব তথ্য। কখনও লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে চাকরি, কখনও আবার তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় খোয়াতে হয়েছে চাকরি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    SSC Scam: সিআইডি-র জালে ধরা পড়েও কীভাবে ছাড়া পেলেন নীলাদ্রি? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রশ্ন সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাইসা-কর্তা নীলাদ্রি দাসকে নিয়ে নিয়োগ-দুর্নীতির (SSC Scam) ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য (Subiresh Bhattacharya)। সিবিআই-এর দাবি, সুবীরেশ-নীলাদ্রি আঁতাঁতেই চলেছিল চাকরি কেনাবেচা। বাঙালি অফিসার নীলাদ্রি দাসকে পেয়ে দুর্নীতির কাজ আরও সহজ হয়েছিল সুবীরেশ ভট্টাচার্যের।

    সুবীরেশ-নীলাদ্রি যোগ

    ২০১৪-র জানুয়ারি থেকে ২০১৮-র জুলাই মাস পর্যন্ত এসএসসি-র চেয়ারম্যান ছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। সুবীরেশের কার্যকালের মধ্যেই, ২০১৫ সাল থেকে ওএমআর বিকৃতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন নীলাদ্রি। চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা টাকা দিতেন, তাঁদের নাম এসএসসি-র মাধ্যমে জানানো হত নীলাদ্রিকে। নাইসা-র ডিরেক্টর পুনীত কুমার বাঙালি হিসেবে নীলাদ্রি দাসকে এসএসসি-র সঙ্গে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়ায় সুবীরেশের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।

    ধরা পড়েও ছাড়া পান নীলাদ্রি

    চার বছর আগে একবার চাকরি সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং প্রতারণার মামলায় ধরা পড়েছিলেন নীলাদ্রি দাস। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি। মামলার চার্জশিটেও তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়নি। সূত্রের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টে নীলাদ্রির জামিনের বিরোধিতাও করেনি সিআইডি। সিবিআই সূত্রের দাবি, এই তদন্তে প্রয়োজনে সিআইডি আধিকারিকদেরও তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, নীলাদ্রির কি পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ মহলেও যোগাযোগ ছিল? না হলে তিনি এত সহজে ছাড় পেলেন কী করে? সুবীরেশের ক্ষেত্রেও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি?

    আরও পড়ুুন: বিজেপির ধর্নামঞ্চে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন জানেন?

    সিবিআই-এর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে শিক্ষা দফতরের পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত নীলাদ্রি। সুবীরেশের সঙ্গে নীলাদ্রির যোগসূত্রও মিলেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এসএসসি-র যে নিয়োগ নিয়ে তোলপাড় চলছে, সেগুলির বেশির ভাগই ২০১৯ সালের আগে হয়েছে। অর্থাৎ, সিআইডি যখন নীলাদ্রিকে ধরেছিল তখন নিয়োগ দুর্নীতিতে তার সব কাজই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। দুর্নীতির চক্র ঘাঁটতে গিয়েই শিক্ষা দফতর, এসএসসি-র শীর্ষ মহলের যোগসূত্র জানতে পেরেছিল সিআইডি। সেই কারণেই তদন্ত ধীর গতিতে চলে এবং নীলাদ্রিকে ছেড়ে দেওয়া হয়,বলে অনুমান সিবিআই-এর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘দুর্নীতির মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি’, বিস্ফোরক মত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Calcutta High Court: ‘দুর্নীতির মহাসমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি’, বিস্ফোরক মত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি হয়েছে, যে তাকে মহাসমুদ্রের সঙ্গে তুলনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিকের একটি মামলায় মামলাকারীদের তরফে বলা হয়, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে ভাবে প্রচুর সংখ্যক বেআইনি নিয়োগ করা হয়েছে, তাতে পুরো প্যানেল বাতিল করা ছাড়া উপায় নেই।  এই প্রসঙ্গে বিচারপতি বলেন, “দুর্নীতির মহাসমুদ্রে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি।” 

    প্যানেল বাতিল প্রসঙ্গ

    প্যানেল বাতিল প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, প্যানেল বাতিল হলে ন্যায্য উপায়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কথাও ভাবতে হবে। যদি এক জনও থেকে থাকেন সেটাও দেখতে হবে। ফলে অন্য উপায় কী আছে, তা জানতে চান বিচারপতি। মামলার সব পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “দুর্নীতির সমুদ্রে আপনারা সাহায্য করছেন। তার পরও আমি হাবুডুবু খাচ্ছি। এ তো মহাসমুদ্র। দুর্নীতির মহাসমুদ্র। এই অবস্থায় ঠগ বাছতে তো গাঁ উজাড় হয়ে যাবে।” এই প্রসঙ্গে তাঁর সংযোজন, “এ নিয়ে বিস্তারিত শুনানি প্রয়োজন। তিন দিন ধরে মামলার সব পক্ষের বক্তব্য শুনব।” হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ এপ্রিল।

    মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে মানিকের

    টেট ২০১৪ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের৷ আদালতের সামনে সেটা প্রমাণিতও হয়েছে।” সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৪-র টেটের ওএমআর শিট সরবরাহের জন্য কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি, জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। রিপোর্টে সিবিআইএর দাবি অনুযায়ী মানিক আরও জানিয়েছেন, ২০১২ র টেটের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেখানেই প্রথম বরাত পায় এস.বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। ভাল কাজ করায় এবং অন্য কেউ টেন্ডার জমা না দেওয়ায় ফের বরাত দেওয়া হয় এস.বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। সিবিআই এর এই রিপোর্ট দেখে অখুশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

    আরও পড়ুুন: ‘‘১৫-২০ দিন অপেক্ষা করুন, দেখুন কী হয়’’, বাংলার বিজেপি সাংসদদের কেন বললেন শাহ?

    সিবিআইকে বিচারপতি

    সিবিআইয়ের রিপোর্ট সন্তোষজনক নয় বলে মনে করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, “এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে ? এর থেকে তো আমি ভাল  জিজ্ঞাসাবাদ করি। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অনেক আইনজীবীও এর থেকে ভাল জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। তদন্ত শেষ করতে হবে তো!” তিনি বলেন,  “সিবিআই তো কিছুই করছে না। তারা তো জানেও না পিছনের দরজা দিয়ে কোন কাজ হয়েছে। এই সরকারের শিক্ষা দফতর কী করে এই দুর্নীতি দেখেও তাদের চোখ বন্ধ করে রাখল সেটা ভেবে আমি বিস্মিত। শিক্ষা দফতরের কেউ কেউ হয়তো হাতে হাত রেখে এই দুর্নীতি করেছিলেন৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share