Tag: cbi

cbi

  • SSC Scam: শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে কেন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    SSC Scam: শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে কেন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি (SSC Scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) জামিনের বিরোধিতা করায় আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন সোমবার আলিপুর সেশন কোর্টের বিচারপতির কাছে জামিনের আবেদন করেন শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী। 

    সওয়াল-জবাব

    এদিন, আদালতে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী জানতে চেয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই হেফাজতে ২৫৯ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন শান্তিপ্রসাদ। যদি নতুন করে তাঁকে হেফাজতেই নেওয়ার প্রয়োজন থেকে থাকে, তবে সে কথা গত ২৫৯ দিনে কেন মনে পড়েনি সিবিআইয়ের। আইনজীবী এই প্রশ্ন করার পরে বিচারকও সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রশ্নটির জবাব দিতে। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বা আইনজীবী এর স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি। পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাতে এই পর্যায়ে জামিন পেলে তদন্ত (SSC Scam) নষ্ট হবে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এটা। জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’ সিবিআইয়ের বক্তব্য, এসপি সিনহা ভুয়ো সুপারিশ পত্র দিয়ে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছেন।

    সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতির

    বিচারক রানা দাম এরপরই প্রশ্ন করেন,সিবিআই কেন একই কথা টেপ রেকর্ডারের মতো বার বার বলে চলেছে? অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হলে কী হতে পারে বলে আশঙ্কা সিবিআইয়ের? তারা কী নাচবেন? এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত (SSC Scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতির রাশ অনেকটাই তাঁর হাতে ছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতির  প্রশ্ন, ‘তিনমাস আগে চার্জশিট পেশ হয়েছে। অথচ এই ব্যক্তির ভূমিকা বুঝতে এতদিন লেগে গেল? সবই তো ভিতরে ভিতরে সম্পর্কযুক্ত। বলবেন না আপনারা জানতেন না।’একইসঙ্গে এদিন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা বলছেন তদন্তে প্রভাব পড়বে। কী প্রভাব পড়বে যদি জামিন দিই? অন্য কেসে তো জেলে আছেন। এই কেসে কেন দরকার? নতুন কিছুই তো বলার মতো নেই। একই কথা বলছেন। ডিসেম্বরে চার্জশিট দিয়েছেন আর মার্চ মাসে হেফাজতে চাইছেন?’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত নীলাদ্রি দাস বানিয়েছিলেন চাকরি বিক্রির চার্টও! জানুন রেট

    প্রসঙ্গত, আগেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছিল, শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যেই, শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে এসএসসি’র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। দুর্নীতির (SSC Scam) পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদেরও ষড়যন্ত্রমাফিক সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের নিয়োগে দুর্নীতির মামলায়, ইডির হাতে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক তারপরই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee:  ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    Partha Chatterjee: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চোর, চোর স্লোগান শুনলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা সাসপেন্ডেড তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় বৃহস্পতিবার পার্থকে তোলা হয় আদালতে। গাড়ি থেকে পার্থ নামতেই উপস্থিত জনতা স্লোগান দেয়, চোর, চোর। ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত।

    এই পার্থ (Partha Chatterjee) চোর…
    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন আলিপুর সিবিআই আদালতে শুনানি ছিল পার্থ সহ সাতজনের। পার্থকে আদালতে নিয়ে আসা হয় আলাদা একটি গাড়িতে করে। গাড়ি থেকে চেক কাটা পাঞ্জাবি পরা পার্থ নামতেই জনতা স্লোগান দিতে থাকে, এই পার্থ চোর, এই চোর পার্থ। মাথা নিচু করে হেঁটে পার্থ (Partha Chatterjee) সোজা ঢুকে যান আদালতে। এই সময় জনতার একাংশকে বলতে শোনা যায়, ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও জোকা ইএসআই হাসপাতালে কিংবা ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে পার্থকে দেখে চোর স্লোগান দিয়েছিল উপস্থিত জনতা। এদিন আলিপুরও দেখল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

    এদিন জনতার মধ্যে থাকা এক ব্যক্তি পার্থর বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা চালান করার অভিযোগও করেন। এর আগে পার্থকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোড়া হয়েছিল। অন্যদিন প্রতিক্রিয়া না দিলেও, এদিন দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা (Partha Chatterjee) বলেন, চোর হলে এক জায়গায় পাঁচবার জিততাম না। সৎ না হলে আমাকে মানুষ পাঁচ বার জেতাতেন না। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাঁরা আমাকে জানেন তাঁরা আমায় চোর বলবেন না। বেহালার মানুষ আমাকে চোর বলতে পারেন না। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম, চুপ থাকব। কিন্তু চুপ থাকতে দেবে না।

    আরও পড়ুুন: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    নিয়োগ দুর্নীতির কেলেঙ্কারির দায় এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) চাপাতে চেয়েছেন বিরোধীদের ঘাড়ে। উপস্থিত জনতার মুখে চোর স্লোগান শুনে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা বলেন, আমি দুর্নীতি করতে চাইনি। শুভেন্দু, দিলীপ, সুজন উত্তরবঙ্গে অনেক তদ্বির করেছিলেন। আমি বরং বলেছিলাম, আমি নিয়োগকর্তা নই, কিছু করতে পারব না। এদিন পার্থর সঙ্গেই আদালতে পেশ করা হয় বারাসতের শিক্ষক তথা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অন্যতম চাঁই তাপস মণ্ডলকে। অয়ন শীলকে নিয়ে প্রশ্ন করায় তনি বলেন, ম্যাজিশিয়ান কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞেস করুন।ও সব জানে। সুবীরেশ সহ বাকিদেরও এদিন আদালতে তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগা-পাতলা চেহারা। দেখতে সুন্দর। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। চাকরি করতেন কামারহাটি পুরসভায়। সঙ্গে ছিল মডেলিংয়ের নেশা। ধীর গতিতে চলছিল জীবন। কিন্তু হঠাতই ছক ভাঙা জীবনের বাইরে গিয়ে তরতরিয়ে উঠতে শুরু করে নৈহাটির সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে শ্বেতা চক্রবর্তীর কেরিয়ার গ্রাফ। কিন্তু কী করে? প্রশ্ন উঠছিল শ্বেতার চেনা-বৃত্তে। কিন্তু কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বেন শ্বেতা তা ভাবতে পারেনি নৈহাটির ৭/ডি বিজয়নগর জেলেপাড়ার বাসিন্দারা। 

    অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা শ্বেতার

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অয়ন শীলের (Ayan Shil) গ্রেফতারির পরই উঠে এসেছে শ্বেতার নাম, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে যাঁর অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। ধৃত অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। ২০১৫ সালের আগে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন শ্বেতা। ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত কারণে ট্রান্সফার নিয়ে বলাগড়ের নিত্যানন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে যোগ দেন তিনি। অন্যদিকে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতেরই কার্যনির্বাহী সহায়ক ছিলেন অয়ন শীল। সূত্রের খবর, সেই সময় থেকেই অয়ন-শ্বেতার পরিচয়। কিন্তু,পরবর্তীকালে দুজনেই চাকরি ছেড়ে দেন। 

    গাড়ি কিনতেও অয়নের সাহায্য 

    ইডি সূত্রের খবর, নৈহাটির বাড়ি ছেড়ে ২ বছর ধরে অয়নের ভাগ্নির পরিচয়ে কামারহাটির রথতলায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতেন শ্বেতা। তাঁকে গাড়ি কিনতেও সাহায্য করেছিলেন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের ঠিকানা থেকে পাওয়া একটা নথিতে শ্বেতাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানোর উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে কামারহাটি পুরসভায় সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করেন শ্বেতা। নিয়মিত অফিসও করতেন তিনি কিন্তু নিয়োগ তদন্তে অয়নের নাম উঠে আসার পর গত কয়েকদিন ধরে তিনি পুরসভায় আসছিলেন না। একাধিক সূত্রের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার প্রভাবশালী এক প্রবীণ বিধায়কের সঙ্গে অয়নের মধুর সম্পর্ক থাকার সুবাদেই কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান শ্বেতা।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    টলিউডে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও ঢেলেছিলেন অয়ন শীল। বান্ধবী শ্বেতাকে সিনেমায় নামাতে নিজের প্রোডাকশন হাউসও খোলেন তিনি। শ্বেতা একাধারে কামারহাটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন আবার পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। সূত্রের খবর ২০১৭ সালে অয়নের স্ত্রীর মাধ্যমেই শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অয়নের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করতেন শ্বেতা। অয়নের প্রোডাকশন হাউসের প্রোযোজনায় নির্মিত ছবি ‘কবাডি কবাডি’তেই ডেবিউ করেছিলেন তিনি। ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা। ছবির পরিচালনায় ছিলেন কৌশিক গাঙ্গুলী। যদিও ছবির কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। বড় পর্দায় দেখা না গেলেও বহু শর্ট ফিল্ম ও মডেলিং প্রজেক্টে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: খেলেন না রুটি, সমস্যা হল ঘুমে! তিহাড় জেলে প্রথম রাত কেমন কাটল অনুব্রতর?

    Anubrata Mondal: খেলেন না রুটি, সমস্যা হল ঘুমে! তিহাড় জেলে প্রথম রাত কেমন কাটল অনুব্রতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে তিহাড় জেলেই রাত কাটাতে হল একদা ‘বীরভূমের বাঘ’ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। তিহাড় যাওয়া ঠেকাতে গত চার-পাঁচ মাস ধরে অনুব্রতর পক্ষ থেকে  আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছিল। দিল্লি-যাত্রা ঠেকানো যায়নি। রোখা যায়নি তিহাড়ে হাজতবাসও। মঙ্গলবার রাতই ছিল তিহাড়ে তাঁর প্রথম রাত্রিযাপন।

    আলাদা ঘরে প্রথম রাত

    জেল সূত্রে খবর, প্রথম রাতে আলাদা ঘরে রাখা হয় অনুব্রতকে। আজ, বুধবার তাঁকে কোনও সেলে দেওয়া হতে পারে। রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পর জেলের ক্লিনিকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেইসময় তাঁর কাছে ছিল মাত্র ২টি কাগজ। একট হল তাঁর প্রেসক্রিপশন এবং অন্যটি হলে কোর্টের কাগজ। অনুব্রত মণ্ডলকে জেলে দড়ি দেওয়া পাজামা পরতে দেওয়া হয়নি। এর নেপথ্যে একটা অনিবার্য কারণ রয়েছে। তাঁকে বলা হয়েছে, ইলাস্টিক দেওয়া পাজামা পরতে। অনুব্রতর দেশি টয়লেটে বসতে অসুবিধা হয়।  তাঁকে ওয়েস্টার্ন টয়লেট তথা কমোড ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

    ওষুধ নিয়ে সমস্যা

    অনুব্রত মণ্ডলকে কোনও ওষুধ নিয়ে জেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অনুব্রত শুধু প্রেসক্রিপশন নিয়ে জেলে ঢুকেছেন। তাঁকে জেল অথরিটি জানিয়েছে, জেলের মধ্যে ডিসপেনসারিতে গিয়ে তাঁর প্রেসক্রিপশন দেখাতে। ডাক্তারবাবু পরামর্শ দিলে জেলের ফার্মেসি থেকে ওষুধ পাবেন। কিন্তু প্রেসক্রিপশন দেওয়া হলেও তাঁর পরিচিত ব্র্যান্ডের ওষুধ তিনি পাননি। এনিয়ে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ একই কম্পোজিশনের ওষুধ দেওয়া হলেও অনুব্রত সেই পাতা চিনতে পারছিলেন না।

    রুটি খেলেন না কেষ্ট

    অনুব্রত মণ্ডল বাংলা ছাড়া কোনও ভাষা বলতে বা বুঝতে পারেন না। এই অবস্থায় জেল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের জন্য দোভাষীর ব্যবস্থা করতে। অনুব্রত মণ্ডলের যদি খুব শরীর খারাপ লাগে বা কোনও বিশেষ দরকার হয়, তা হলে দোভাষীর সাহায্য নিতে পারেন। তা ছাড়া খুব দরকার হলে তাঁর আইনজীবীকে ফোন করার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।  রাতে তিহাড় জেলের অধিকাংশ বন্দি রুটি ও সবজি খান। অনুব্রতকে সেই রুটি সবজি দেওয়া হয়। কিন্তু অনুব্রত রুটি খেতে পারেন না। তাই তিনি ভাত, ডাল ও সবজি খান। রাতে তাঁর ঘুমের সমস্যা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আদালত থেকে বলা হয়েছে রাতে শ্বাসকষ্ট বাড়লে তাঁকে যেন অক্সিজেন দেওয়া হয়। এদিন রাতে তাঁর অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়েনি। তবে ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ তাঁর সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়। 

    আরও পড়ুন: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    সাত নম্বর সেলেই  থাকতে পারেন

    গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে ১৩ দিনের জন্য তিহাড়ে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। তাঁকে ফের ৩ এপ্রিল আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  গরু পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই  অভিযুক্ত এনামুল হক, অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, বিএসএফের অফিসার সতীশ কুমার তিহাড় জেলে রয়েছেন। সোমবারই অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও তিহাড়ে পাঠানো হয়েছে। জেল সূত্রের খবর, বাকিদের সঙ্গেই অনুব্রত সাত নম্বর সেলেই  থাকবেন। তবে গতকাল রাত পর্যন্ত কোনও পরিচিত সঙ্গীর  সঙ্গে দেখা হয়নি অনুব্রতর। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, আপাতত একজন জেল আধিকারিকের নজরদারিতেই আছেন কেষ্ট। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সঙ্গী সায়গল-মণীশ-এনামুল! জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, তিহাড় যাচ্ছেন কেষ্ট

    Anubrata Mondal: সঙ্গী সায়গল-মণীশ-এনামুল! জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, তিহাড় যাচ্ছেন কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জারিজুরি সার। অবশেষে তিহাড় যাচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রতকে মঙ্গলবার তিহার জেলেই পাঠানোর নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যভিনিউ আদালত। এদিন ইডি হেফাজত শেষে আদালতে পেশ করা হলে বীরভূমের দাপুটে নেতা কেষ্টকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় কোর্ট। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। 

    ১৩ দিনের জেল হেফাজত

    অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির পর এবার গরু পাচারকাণ্ডে (cattle smuggling case) অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) তিহারে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ৭ মার্চ থেকে ইডি হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত। দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইডির সদর দফতরে অনুব্রতকে লাগাতার জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন আদালতে অনুব্রতকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু আদালত ১৩ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করে অনুব্রতকে ৩ মার্চ ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে। ওই দিন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সঙ্গে হাজির করানো হবে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও।

    জেলে দোভাষীর ব্যবস্থা

    এদিন আদালতে নিজের ওষুধপত্র সঙ্গে রাখার আবেদন জানান অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত জানিয়েছে, প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধগুলির উল্লেখ রয়েছে শুধুমাত্র সেগুলিই সঙ্গে রাখতে পারবেন অনুব্রত। চিকিৎসা করাতে পারবেন জেল হাসপাতালে। অনুব্রতকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এদিন আদালতে অনুব্রত বলেন, তিনি বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বলতে পারেন না। বিচারক তখন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জন্য জেলে দোভাষীর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দোভাষীর সঙ্গে কথা বলবেন কেষ্ট।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ জন তিহাড় জেলে গেলেন। এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে। তারপর একে একে এই মামলায় এনামুল হক, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলকেই তিহাড় জেলে পাঠানো হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আপাতত তিহাড় জেলই ঠিকানা তাঁর। গ্রেফতার হওয়ার পর ৫ দিন পর ইডি হেফাজত শেষে সোমবার আদালতে তোলা হয়েছিল মণীশ কোঠারিকে। এদিন মণীশকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি ইডি। তাদের দাবি, মণীশ কোঠারির থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে গিয়েছে। তবে ইডির যুক্তি ছিল,জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন মণীশ কোঠারি।

    মণীশের নামে বিপুল সম্পত্তি

    ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছিল। মণীশকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রতর কালো টাকা ঢালা হয়েছিল আইপিএলেও। মণীশ কোঠারির ‘পরামর্শেই’ নাকি এই কাজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বোলপুরের আশপাশেও মণীশের নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলেছে। তাঁর নামে সমস্ত জমির বাজারমূল্য ১৭-১৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, মণীশকে জেরা করেই সুকন্যার নামে বোলপুর ও সল্টলেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মেয়াদি আমানতের সন্ধান মিলেছে। এদিন শুরু থেকেই জামিনের আবেদন জানান মণীশের আইনজীবী। কিন্তু ইডির যুক্তি মেনে মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মণীশের স্ত্রী এদিন দাবি করেন তাঁর স্বামী নির্দোষ।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    ইডির তরফে জানানো হয়, জেরায় মণীশ জানিয়েছেন এনএম অ্যাগ্রোকেম সংস্থাটি আসলে তাঁর ছিল। তবে ২০১৮ সালে সেই সংস্থা তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে লিখে দিতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিক্রি করার সময় সংস্থার বাজারদর ছিল ১৫ কোটি। তার বদলে মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মণীশকে দিয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) । প্রসঙ্গত, গরুপাচারকাণ্ডের চার্জশিটে অনুব্রতর মেয়েকে একটি সংস্থা হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করেছিল ইডি। মণীশ কোঠারির দাবি যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে মণীশকে। যেখানে রয়েছেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকেও (Anubrata Mondal) । তাঁর কী পরিণতি হয়? এখন সেদিকেই নজর সকলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নতুন করে এফআইআর করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওই বছর প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) প্রমাণ পাওয়ায় এ নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য গত ২ মার্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক এফআইআর করারও অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালত সেই নির্দেশ দেওয়ার পরে শনিবার, ১৮ তারিখ এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।

    নয়া অভিযোগ

    নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) নেপথ্যে থাকা অনেক মাথাই এখনও আড়ালে রয়ে গিয়েছে আশঙ্কা করে সিবিআইকে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২ মার্চ ওই শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, সিবিআইয়ের সঙ্গে ইডিও এই মামলার তদন্ত করবে। তাদের ২০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার ১৮ মার্চ এই সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এফআইআরে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাত পরিচয় কিছু কর্মী এবং কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    সিবিআই-এর এফআইআর-এ নামোল্লেখ না করে নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, তথ্য-বিকৃতি, অপরাধের জন্য সরকারি নথি জাল-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২০২০-র বেআইনি নিয়োগের নেপথ্যে অন্যতম প্রধান চক্রী হিসেবে আদালত চিহ্নিত করেছে এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে। ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল ওই কোম্পানি। তাঁদের দেখা উত্তরপত্রে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি সিবিআইকে বলেছিলেন, কী ভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এই সংস্থাকে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সমস্ত বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় আদলত। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব ‘কালীঘাটের কাকু’-কে! কী জানতে চায় সিবিআই?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব ‘কালীঘাটের কাকু’-কে! কী জানতে চায় সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighat r Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আবার তলব করল সিবিআই (CBI)। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) সুজয়কৃষ্ণকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছে, বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

    কুন্তল ও শান্তনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা 

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুজয়ের ‘ঘনিষ্টতা’র প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সোমবার সুজয়কে তাঁর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। সুজয়ের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখতে চান বলে সিবিআই সূত্রে খবর। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গত বুধবার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার শুধু সুজয় নন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত নথিও আনতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর একাধিক কোম্পানি

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল প্রথম সুজয়ের নাম প্রকাশ্যে আনেন। পরে তাঁর নাম উঠে এসেছিল গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তেও বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই সুজয়কে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সুজয় জানিয়েছিলেন তিনি তাপস মণ্ডল এবং গোপাল দলপতিকে চেনেন না। কিন্তু কুন্তলকে চেনেন। সিবিআই-এর দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর একাধিক কোম্পানি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬টি কোম্পানির তথ্য পাওয়া গেছে। এই কোম্পানিগুলি বিভিন্ন নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। এই কোম্পানিগুলির লেনদেন, কারা ডিরেক্টর রয়েছেন এবং এই কোম্পানিগুলো কী কাজ করত, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে সিবিআই-এর দাবি। তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং গোপাল দলপতির বক্তব্যের সঙ্গে সুজয়ের বয়ানের ক্রস ভেরিফিকেশন করা হয়েছে। এরপরই ফের কালীঘাটের কাকুকে ডেকে পাঠাল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    SSC Scam: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ফের একবার আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Scam) মামলায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে সিবিআই (CBI)। তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন আলিপুর বিশেষ আদালতের (Court)। বৃহস্পতিবার আদালতের ধমক খেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার প্রদীপ ত্রিপাঠী। সিবিআই আদৌ তদন্ত করতে জানে কি না, সে প্রশ্ন তোলে আদালত। সিবিআইয়ের আবেদনকে দেওয়া হল বেআইনি আখ্যাও। আবদুল খালেক নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ক্লার্ক গ্রেফতার হওয়ার পর নতুন করে অভিযোগ ওঠে শান্তিপ্রসাদ সিনহার বিরুদ্ধে। তারপরেও ওই মামলায় শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি, উল্টে শান্তিপ্রসাদের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহের আর্জি জানানো হয় আদালতে। তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ মুখোপাধ্যায়।

    বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো?…

    তিনি বলেন, আপনারা কি তদন্ত করতে জানেন না? যে আবেদন করেছেন, তা পুরোপুরি বেআইনি। আপনারা যা করছেন, তা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য হব। না জানালে আমি বিপদে পড়ব। বিচারকের প্রশ্ন, বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হলে আপনাদের নথি টিকবে তো? আদালত সূত্রে খবর, এদিন শুনানি চলাকালীন তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন প্রদীপ। যাঁর নামে চার্জশিট জমা পড়ে গিয়েছে, তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না, কেন কেস স্টাডিতে তাঁর নামের উল্লেখ নেই, তা জানতে চান বিচারক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC Scam) বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় সহ ১৩জনকে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়। ধৃত সুব্রত সামন্ত রায়ের আইনজীবী বলেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু ৩ মার্চ সিবিআই চার্জশিটে যে ১৫ জনের নাম রাখা হয়, তাতে সুব্রতর নাম ছিল না। এতেই বিরক্ত হন বিচারক।

    আরও পড়ুুন: নোবেল শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি? কমিটির সদস্যের মন্তব্যে জল্পনা!

    এর আগেও খালেকের মামলায় আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সিবিআই। তাদের অভিযোগ ছিল, অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলে খালেক দিয়েছেন শান্তিপ্রসাদকে। দুজনের যোগাযোগও ছিল। তার পরেও কেন শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে নেয়নি সিবিআই, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারক। তিনি বলেছিলেন, এসপি সিনহাকে টাকা দেওয়ার কথা (SSC Scam) বলছেন, কিন্তু তাঁকেই তো এই মামলায় আপনারা হেফাজতে নেননি। বিচারক বলেছিলেন, পনির বাটার মসালা বানাবেন ভাবছেন, পনিরই তো নেই আপনার কাছে…! এবার ফের খালেক মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করল আদালত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • SSC Scam: ‘‘তদন্তকারীদের যা বলার বলেছি, আপনাদের কিছু বলব না’’! মেজাজ হারালেন ‘কালীঘাটের কাকু’

    SSC Scam: ‘‘তদন্তকারীদের যা বলার বলেছি, আপনাদের কিছু বলব না’’! মেজাজ হারালেন ‘কালীঘাটের কাকু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কখনও কুন্তল তো কখনও তাপস, নিয়োগ দুর্নীতিতে দীর্ঘদিন ধরেই এর ওর মুখে উঠে আসছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। বুধবার অবশেষে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। এদিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। সূত্রের দাবি, গোটা ছয়েক কোম্পানি রয়েছে তাঁর নামে। আরও নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরোন ‘কালীঘাটের কাকু’।

    টানা ৩ ঘন্টা জেরা

    এদিন সকাল ১১ টায়  সিবিআই দফতরে হাজির হন সুজয়কৃষ্ণ।  টানা ৩ ঘন্টা জেরা চলার পর তিনি বাইরে বেরিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি পড়েন এবং তাঁদের প্রশ্নের উত্তরে মেজাজ হারান সুজয়কৃষ্ণ। সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে তিনি দাবি করেন যে, তাঁর কাছে সিবিআইয়ের তরফে কোনও নোটিস যায়নি। তাঁকে আবার তদন্তকারীরা ডেকে পাঠিয়েছেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমাকে আবার ডাকা হয়নি।”  তিনি কয়লা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন কিনা? প্রোমোটিংয়ের টাকা কোথা থেকে আসে? এইসব প্রশ্ন শুনে বিরক্ত হন সুজয়। তিনি বলেন,“হ্যাঁ, আমি সবকিছুর সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারীদের যা বলার বলেছি। আপনাদের কিছু বলব না।”

    কুন্তল, শান্তনুকে চিনি

    উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অনেকেই দাবি করেন, কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগ ছিল। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। সেই কুন্তল এবং বলাগড়ের আর এক যুবনেতা শান্তনুকে তিনি চেনেন বলে জানান সুজয়।  তাঁর কথায়, “আমি অন্তত ৪০ বার বলেছি কুন্তল, শান্তনুকে চিনি। রাজনৈতিক যোগসূত্রে চিনি।” নিয়োগ দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছে গিয়েছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে সুজয় বলেন, ‘‘টাকা নিয়েছি কি না ওঁরা (তদন্তকারী) আমায় জিজ্ঞাসা করেছে। নিলে ওঁদের বলতাম।”

    আরও পড়ুন: ইডি-র ডাকে সিজিও-তে কুন্তল-পত্নী, নিজামে সিবিআইয়ের জেরা ‘কালীঘাটের কাকু’-কে

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে নোটিস পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ‘‘কাল সন্ধ্যাবেলা নোটিস পেয়েছি। বাড়িতে স্ত্রী অসুস্থ। তা-ও এসেছি। তার পরেও বলবে সহযোগিতা করছি না, আর কী বলব!’’ প্রথম বার গোপাল দলপতি সুজয়ের নাম করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, কুন্তল ঘোষ বার বার কালীঘাটের কাকুর কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলেছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তাই শেষ পর্যন্ত তাঁকে তলব করা হল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share