Tag: cbi

cbi

  • Manish Sisodia: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    Manish Sisodia: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানা! স্বাগত ট্যুইট মণীশ, কেজরির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই আধিকারিকরা। শুক্রবার সকালে জানা গিয়েছে, দিল্লির আবগারি নীতি নিয়ে যে দুর্নীতি ও বিতর্কের শুরু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত তদন্তেই শুক্রবার সকালে দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। 

    এদিন সকাল আটটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা মণীশ সিসোদিয়ার  বাড়িতে গেলেই পুলিশি নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় বাড়ি। সূত্রের খবর, দিল্লির আবগারি নীতিতে বেনিয়মের যে অভিযোগ তুলেছিলেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর, সেই তদন্তেই উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। মণীশ সিসোদিয়া নিজেই ট্যুইট করে সিবিআই আসার কথা জানিয়েছেন। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাসও দেন তিনি।

    উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানার নিন্দা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ট্যুইটবার্তায় তিনি বলেন, “যেদিন আমেরিকার সবথেকে বড় সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমসে দিল্লির শিক্ষা মডেলের প্রশংসা করা হয়েছে এবং মণীশ সিসোদিয়ার ছবি প্রথম পাতায় ছাপানো হয়েছে, সেইদিনই মণীশের বাড়িতে কেন্দ্র থেকে সিবিআই পাঠানো হল। সিবিআইকে স্বাগত। আমরা তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করব। এর আগেও অনেক পরীক্ষা, তল্লাশি চালানো হয়েছে, কিন্তু কিছুই পাওয়া যায়নি। এবারও কিছু পাওয়া যাবে না।”

    বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকেরা আসতেই মণীশ সিসোদিয়া পরপর ট্যুইট করে লেখেন, “সিবিআই এসেছে। আমরা সৎ, লক্ষাধিক শিশুর ভবিষ্যৎ তৈরি করছি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই দেশে যারাই ভাল কাজ করেন, তাদের এইভাবে হেনস্থা হতে হয়। দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতির জন্য আমি যে কাজ করছি, তা কোনভাবেই আটকানো যাবে না।”

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    সিবিআইকে স্বাগত জানিয়ে মণীশ  বলেন, তিনি চান সত্যিটা দ্রুত সামনে আসুক। তার জন্য সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তিনি। দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে এদিন সারা দেশের সাতটি রাজ্যের ২০টি জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

     

  • Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari on TMC: তৃণমূল পার্টিটা আর ছ’মাসও টিকবে না, ডেডলাইন শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’ লেখা পোস্টারে ছয়লাপ শহর। সেই প্রেক্ষিতেই একথা বলেন শুভেন্দু। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI) তাদের কাজ করছে। তৃণমূল পার্টিটা আর ছ মাসও টিকবে না। ডিসেম্বরই তাদের ডেডলাইন।

    কলকাতা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে টাঙানো হয়েছে একাধিক হোর্ডিং। যার কোনওটায় লেখা, ‘আগামী ছ মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল’। কোনওটায় আবার লেখা, ‘চলুন লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন’। কোনও কোনওটায় আবার লেখা হয়েছে, ‘ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়’। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই হোর্ডিং টাঙানোর কথা অস্বীকার করেছে। তবে হোর্ডিং নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়েননি শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কয়লা থেকে গরু কোনও কিছু থেকে তোলাবাজি বাদ রাখেনি তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জালে যখন একের পর এক নেতা মন্ত্রী বিভিন্ন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন, তখন তা থেকে দলকে বাঁচাতেই নয়া তৃণমূলের কৌশল নিয়েছে ‘তোলামূল’ পার্টি। এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ইডি যেভাবে তদন্তের গতি বড়িয়েছে, তাতে তৃণমূল দলটাই ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাংলা থেকে মুছে যাবে।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

    এদিন দিঘায় সৈকত নগরে দিঘা তিরঙ্গা যাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেন শুভেন্দু। সেখানেই তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি। এর আগে ১২ অগাস্ট নন্দীগ্রামে হর ঘর তিরঙ্গা বাইক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। পুলিশি বাধায় ওই কর্মসূচি আর পালন করা যায়নি। ওই ঘটনায়ও শুভেন্দু দুষছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেছিলেন, হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি কোনও রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় সমাবেশ কিংবা জন সমাবেশ নয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ওই কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ নির্দেশ দেয় শুভেন্দু অধিকারিকে কোনও প্রচার করতে না দিতে।

    আরও পড়ুন : অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু

     

  • Anubrata Mondal: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে’ স্লোগান। কিন্তু সেই খেলার পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হবে তা হয়ত ভাবতেই পারেননি কেষ্ট। তাই কী এখন চুপ করে গিয়েছেন তিনি। শুধুই সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। তিনি তো বুঝতেই পারেননি, যে বীরভূমে নিজের একছত্র আধিপত্য গড়ে তুলেছিলেন সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করবে সিবিআই। তাঁর গড় থেকেই আটক হবেন তিনি। বৃহস্পতিবার সারাদিন ধকল সামলে রাত ২.৪৫ মিনিটে দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টা যাত্রার পর নিজাম প্যালেসে পৌঁছন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ক্লান্ত কেষ্ট।

    সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাতে নিজাম প্যালেসে ঢুকে ‘ফ্রেশ’ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। ১৫ তলায় অফিসারদের একটি ঘরে রাখা হয়েছে অনুব্রতকে। ঘরে একটি ক্যাম্প খাটে গদি পেতে শুতে দেওয়া হয়। ঘুম ভাঙে সকাল নটার পর। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চা বিস্কুট খান অনুব্রত। একদা সকলকে গুড়-বাতাসা খাওয়ানো বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার এখন দিন শুরু হচ্ছে চা-বিস্কুট দিয়ে। বীরভূমকে বিরোধী-শূন্য করতে গিয়ে আজ তিনি নিজেই সিবিআই হেফাজতে। তিনি তো দূরের কথা তাঁর অনুগামীরাও এই দিন দেখতে হবে ভাবেননি।

    বৃহস্পতিবার গরু-পাচার কাণ্ডে বীরভূমে অনুব্রতের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে হেফাজতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল রাতে নিজাম প্যালেসে আসার পর কিছু হাল্কা খাবার দেওয়া হয় তাঁকে। সময় মেনে ওষুধও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    শুক্রবার সকাল থেকেই জেরা শুরু করা হয়েছে অনুব্রতকে। অভিযোগ, বীরভূমকে পাচারের ট্রানজিট রুট হিসাবে ব্যবহার করেছেন অনুব্রত। সিবিআই জানতে চায়, কীভাবে গরু পাচারে মদত দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল? বিনিময়ে কত টাকা নিয়েছেন? সিবিআই অনুব্রতর কাছে জানতে চাইতে পারে, ইলামবাজারের গরুহাটের কথা। শেখ লতিফের কথা উঠে এসেছে ইতিমধ্যেই। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মোবাইল ফোনে বার বার পাওয়া গিয়েছে এই শেখ লতিফ ও এনামুল হকের ফোন নম্বর। শেখ লতিফ ও এনামুল হকের সঙ্গে সায়গল হোসেনের যোগাযোগ কেমন, সেই বিষয়ে কতটা জানতেন অনুব্রত, তাই নিয়ে আজ অনুব্রতকে জেরা করতে পারে সিবিআই। এছাড়াও, অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি শেখ লতিফ ও এনামুল হকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতেন কি না, কেন গরু পাচারের টাকা তাঁর নাম করে আসত এই সমস্ত বিষয়ে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে অনুব্রত মণ্ডল কি তদন্তে সহযোগিতা করবেন?

    আরও পড়ুন: সকালে গ্রেফতার, সন্ধ্যে হেফাজত, রাতেই নিজাম প্যালেস! বৃহস্পতিবার অনুব্রতর সারা দিন

    অন্যদিকে, জেরার সময় অনুব্রতর মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আলিপুর কমান্ড হাসপাতালকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে । দুপুরে বা বিকেলের পরে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য তাঁকে পাঠানো হতে পারে হাসপাতালে । পাঠানো হয়েছে কোর্টের নির্দেশনামার প্রতিলিপি। সিবিআই সূত্রে খবর, এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর সঙ্গে ৩০ মিনিটের জন্য দেখা করতে দেওয়া হবে।

  • Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    Suvendu on Anubrata: অনুব্রত একজন মাফিয়া, মমতার প্রশ্রয়ে ওর বাড়বাড়ন্ত, বললেন শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তদন্তে অসহযোগীতার অভিযোগ তুলে গরুপাচার মামলায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে আজ সকালে গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। বুধবার সিবিআইয়ের দশম হাজিরা এড়ানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআই। দেড় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি গোটা বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এর পর তাঁকে নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে রওনা দিয়েছে কনভয়। সিবিআইয়ের দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রতর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে চার্জশিটে তাঁর নামের উল্লেখ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সিবিআইয়ে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন তিনি। এমনকী বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা পৌঁছলে তাঁদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন অনুব্রত।

    আরও পড়ুন: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট? 

    এবার অনুব্রত কাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বীরভূমের জেলা সভাপতিকে অনুরোধ করেন, “যাদের নির্দেশে এই কাজ করেছেন, সেই নামগুলো দয়া করে বলে দিন।”   

    শুভেন্দু আরও বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল একজন মাফিয়া। হাটে মাগুর মাছ বিক্রি করত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে সে আজকে ১,০০০ কোটি টাকার মালিক। এতো মমতা ব্যানার্জির সৃষ্টি।”   

    অনুব্রতর উদ্দেশ্যে অনুরোধের সুরে শুভেন্দু বলেন, “আমি আশা করব এই অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোকেরা কাদের নির্দেশে গরু, কয়লা, বালি পাচার করেছে এবং বিরোধী দলের লোকেদের বিশেষ করে হিন্দুদের ওপরে পুরো বীরভূম জেলায় যে অত্যাচার করেছেন তাদের নাম বলে দিন।  নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কয়েক হাজার লোককে ঘরছাড়া করা, মানুষকে খুন করা, কার ইন্ধনে হয়েছে? আশা করব, তিনি যার যার নির্দেশে করেছেন, আর মুড়ির টিনে করে যাদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন সেই নামগুলো দয়া করে বলে দেবেন।”

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের দিকেও এদিন আক্রমণ শানান শুভেন্দু। কটাক্ষ করে বলেন, “যাদের শেষ দশ বছরের আইটি রিটার্নের ফাইল ঠিক আছে, তাদের তো ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। দেখবেন তৃণমূল নেতাদের আইটি রিটার্নের ফাইলের সঙ্গে সম্পত্তির কোনও মিল খুঁজে পাবেন না। এই দুর্নীতি শুরু হয়েছে নীচু স্তর থেকে। ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজার থেকে নির্মাণ সহায়ক, সবাই কোটি কোটি টাকার মালিক।”

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম সরাসরি উল্লেখ করে বিজেপি নেতা বলেন,”নোট বন্দীর সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী স্থানীয় ব্যাঙ্ক থেকে ৪ কোটি টাকা বদলেছেন। কোথা থেকে এল এই টাকা? মেদিনীপুরের এক প্রাক্তন বিধায়ক ১৫ কোটি টাকা বদলেছেন। এই টাকার উৎস কী? খোঁজ নিয়ে দেখবেন ২০১৬ সালের পর থেকে হঠাৎ বেড়েছে এই নেতাদের সম্পত্তি।”  

     

     

     

     

        

     

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জল্পনার অবসান। বহু নাটকের পর অবশেষে গরুপাচার (Cow Smuggling Case) মামলায় সিবিআই (CBI) আটক করল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় একাধিকবার তাঁকে নোটিশ পাঠায় সিবিআই। বারবার নানা অজুহাতে তিনি সিবিআইকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এমনকি অসুস্থতার অভিযোগে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন অনুব্রত। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁর সাস্থ্য পরীক্ষা করে জানিয়ে দিয়েছিলেন ভর্তির কোনো প্রয়োজন নেই। তখন তিনি কলকাতা থেকে বীরভূম ফিরে যান। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে বীরভূম মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক অনিয়ে জোর করে অসুস্থতার সার্টিফিকেট লিখিয়েছিলেন অনুব্রত, অভিযোগ এমনটাই। কিন্তু তাতেও রেহাই পেলেন না।

    শেষপর্যন্ত তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আটক করে সিবিআই। বৃহস্পতিবার বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আটক করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বুধবার সিবিআইয়ের দশম তলব এড়িয়ে যান অনুব্রত। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বলেই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালেই বোলপুরে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়েই অনুব্রতর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।  

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    এদিন সকালে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেই ভিতর থেকে তাঁর বাড়ির সমস্ত গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আধিকারিকরা। বাইরে রাখা থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের। বাড়ির প্রত্যেকের এবং অনুব্রতর দেহরক্ষীদের ফোন কেড়ে নিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) পর তৃণমূলের (TMC) আরও এক হেভিওয়েট নেতা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে। আজ সকালে আদালতের নির্দেশনামা ও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে বোলপুরের নীচুপট্টিতে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। ঘণ্টাখানেক পর অনুব্রতকে বাড়ি থেকে বার করা হয়। বসানো হয় সিবিআইয়ের গাড়িতে।জানা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের ক্যাম্প অফিসে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দফায় দফায় তাঁকে জেরা করবেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। 

     

  • Cattle  Smuggling Case: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও

    Cattle Smuggling Case: অনুব্রত মামলায় বিচারককে হুমকি চিঠি-কাণ্ডে ধৃত আইনজীবী! আটক তাঁর সহকারীও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জামিন দেওয়া নিয়ে বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সোমবার আসানসোল আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার হন আইনজীবী সুদীপ্ত রায়। মোবাইল ফোনের নম্বর ট্র্যাক করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ (Asansol South Police Station) তাঁকে গ্রেফতার করে। গত রাতেই সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুদীপ্তের মা। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় তাঁর ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে। 

    গত ২৪ অগাস্ট গরুপাচার মামলায় আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতর শুনানি ছিল। তার ঠিক আগের দিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী একটি হুমকির চিঠি পান বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷ তাতে লেখা হয়, বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতাকে জামিন না দিলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের এনডিপিএস (NDPS) অর্থাৎ মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হতে পারে। চিঠিতে প্রেরকের নাম ছিল ‘বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়’ এবং তাঁর স্বাক্ষর, সরকারি সিলমোহরও ছিল। পরে জানা যায়, তিনি বর্ধমান এগজিকিউটিভ কোর্টে কর্মরত। 

    বাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, সুদীপ্ত রায় নামে বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবী দিন দুয়েক আগে তাঁকে আদালত চত্বরে হুমকি দিয়েছিলেন। হুমকি চিঠির পিছনে সুদীপ্তর হাত রয়েছে বলে দাবি করেন বাপ্পা। শুক্রবার বাপ্পার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়। এরপরই সোমবার আসানসোল আদালত চত্বর থেকেই গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্তকে।

    আরও পড়ুন: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের ইডির তলব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    আজ, মঙ্গলবার তাঁকে আসানসোল আদালতে পেশ করার কথা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে আসানসোল পুলিশ। এদিকে সুদীপ্তকে গ্রেফতার করার পর সোমবার রাতের দিকে তাঁর বর্ধমানের বড়নীলপুর মোড়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গভীর রাতে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছিল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। অভিযানে রয়েছে বর্ধমান থানার পুলিশও। এরপর তদন্তে নেমে মেমারির রসুলপুর থেকে আরও এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এমনকী, সুদীপ্ত রায়ের কাছ থেকে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নকল আধার কার্ড পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Anubrata Mondal: আরও ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট মণ্ডল, আবার শুনতে হল ‘গরু চোর’ স্লোগানও!

    Anubrata Mondal: আরও ৪ দিন সিবিআই হেফাজতে কেষ্ট মণ্ডল, আবার শুনতে হল ‘গরু চোর’ স্লোগানও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিলল না জামিন। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling case) কেষ্ট মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) আরও চারদিন সিবিআই (CBI) হেফাজতে পাঠাল আদালত। এদিন অনুব্রতর আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়ে তাঁকে ফের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। অর্থাৎ, ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁর ঠিকানা নিজাম প্যালেসই (Nizam Palace)। 

    গরু পাচার মামলায় গত ১১ অগাস্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Birbhum TMC President Anubrata)। সেইদিন থেকেই সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তিনি। শনিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রতকে। বিচারক কেষ্টকে প্রশ্ন করেন, ‘‘শরীর কেমন আছে?’’ শুনে অনুব্রত বলেন, ‘‘সারাক্ষণ অসুস্থ। ওষুধ খাচ্ছি।’’ শুনে বিচারক বলেন, ‘‘অসুবিধে হলে চিকিৎসককে জানাবেন।’’

    আরও পড়ুন: অনুব্রতের চালকলে সিবিআই হানা! মিলল রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ৫টি গাড়ি

    তবে, এদিন মূল আকর্ষণ ছিল অনুব্রতর শুনানি-পর্ব। শুরুতেই কেষ্টর আইনজীবী তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরে জামিনের আবেদন জানান। অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করে তদন্তকারী সংস্থা পাল্টা যুক্তি দেখায়, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন অনুব্রত। আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন, সীমান্তে বাজেয়াপ্ত করা গরুর নিলামের টাকা যেত অনুব্রতর কাছে। অনুব্রতকে জামিন দিলে তদন্ত ধাক্কা খাবে। কারণ, এর আগে অনুব্রতকে বারবার ডাকা হলেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। তুলে ধরা হয় প্রভাবশালী তত্ত্বও। সবপক্ষের সওয়াল শুনে অনুব্রতকে পুনরায় সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেয় আদালত।

    যেখানে কেষ্টর আইনজীবী যে যুক্তিগুলো দেখিয়েছেন, তা রীতিমতো তাজ্জব করে দেওয়ার মতো। শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের ভোলে ব্যোম রাইসমিলে হানা দিয়েছিল সিবিআই টিম। তার দু’দিন আগে কেষ্ট মণ্ডলের ব্যাঙ্কে থাকা ১৭ কোটি টাকা ‘ফ্রিজ়’ করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন আদালতে অনুব্রতর আইনজীবীরা দাবি করেন, ওই চালকল নাকি অনুব্রতকে দিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরমশাই। আর ১৭ কোটি টাকা। সেটা নাকি কেষ্টর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের জীবন বিমা টাকা, যা তিনি স্থায়ী আমানত করে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রেখেছিলেন। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’! তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি?

    এদিকে, এদিন কেষ্টকে দেখেই আদালত চত্বরে ওঠে ‘গরু চোর’ স্লোগান। শনিবার অনুব্রতকে কটাক্ষ করে, গরু চোর লেখা প্ল্যাকার্ড ও দাঁড়িপাল্লায় মাগুর মাছ নিয়ে আসানসোল ঘড়ির মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন একদল মানুষ। সেইসময় তৃণমূল কর্মীরা সেখানে হাজির হওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

  • ED summons 8 IPS Officers: এবার কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে 

    ED summons 8 IPS Officers: এবার কয়লা কাণ্ডেও সক্রিয় ইডি, তলব ৮ আইপিএস অফিসারকে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার কাণ্ডে আজই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। এবার কয়লাপাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) ৮ জন আইপিএসকে (8 IPS) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সূত্রের খবর রাজ্য পুলিশের এই ৮ আধিকারিককে ১৫ অগাস্টের পর তলব করেছে ইডি।

    আরও পড়ুন: বালি-পাথরের ‘নবগ্রহ’ ইডি-সিবিআইয়ের নজরে, কেষ্টর পর কে কে? 

    তালিকায় রয়েছেন, রাজীব মিশ্র ,সুকেশ জৈন, জ্ঞানবন্ত সিং,শ্যাম সিং, কোটেশ্বর রাও ,এস সেলভামুরগান, তথাগত বসু, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। জ্ঞানবন্ত সিংকে ডাকা হয়েছে ২২ অগাস্ট, কোটেশ্বর রাওকে ডাকা হয়েছে ২৩ অগাস্ট, শ্যাম সিংকে ডাকা হয়েছে ২৪ অগাস্ট। এছাড়াও এস সেলভামুরগান, রাজীব মিশ্র, সুকেশ জৈন, তথাগত বসু এবং ভাস্কর মুখোপাধ্যায়কে যথাক্রমে ২৫, ২৬, ২৯, ৩০, ৩১ অগাস্ট তলব করেছে ইডি। 

    দিল্লির ইডি দফতরে তলব করা হয়েছে তাঁদের ৷ কয়লাপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিংকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ইডি আধিকারিকরা ৷ দিল্লিতে দুবার ও কলকাতায় একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে ৷ রেকর্ড করা হয়েছে তাঁর বয়ানও৷ এস সিলভা মুরগানকেও এর আগে একবার তলব করেছে কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা।

    আরও পড়ুন: জুলাই মাসে রাশিয়া ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী, বলছে রিপোর্ট 

    ইডি আধিকারিকদের দাবি, কয়লাপাচার কাণ্ডে অন্যান্যদের জেরা করে এই ৮ আইপিএস অফিসারদের নাম উঠে এসেছে ৷ আসানসোল-রানিগঞ্জ, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াসহ একাধিক জায়গায় কর্মরত থাকা কালীন এই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে কয়লাপাচার সংক্রান্ত কোনও তথ্য ছিল কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাইবেন ইডি আধিকারিকরা। যদি জানা থাকে তাহলে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল ? কোনও প্রভাবশালীর নাম তাঁরা জানতেন কি না? ইডির আরও প্রশ্ন থাকবে, জানা থাকলে এবিষয়ে তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নিয়েছিলেন কি না? এবিষয়ে কোনও ব্যক্তিকে আজ অবধি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না সে বিষয়েও এই আট আধিকারিকের কাছে জানতে চাইবে ইডি। 

    আগেও এই পুলিশ কর্তাদের তলব করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে যে শুধু নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ রয়েছে তাই নয়, সরাসরি পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ, পুলিশের চোখের সামনে দিয়ে লরি করে কয়লা পাচার করা হত। তারপরও পুলিশের মুখ বন্ধ ছিল। মূলত আসানসোল, পুরুলিয়া এলাকাতেই চলত পাচার। 

    এঁদের মধ্যে কেউ তখন ছিলেন জেলার পুলিশ সুপার, কেউ ছিলেন আইসি। তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, এই পুলিশ কর্তারা ইচ্ছে করেই আটকাননি পাচার। ইডি সূত্রের খবর, ওই পুলিশ আধিকারিকদের কাছে থাকত বিশেষ টোকেন নম্বর, যা দেখে কয়লার গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হত। কার্যত পাচারে সুবিধা করে দেওয়া হত। এমনকি আর্থিক দিক থেকে লাভবানও হতেন এই পুলিশকর্তারা বলে অভিযোগ করেছে ইডি। আগেও একাধিক অফিসারকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    উল্লেখ্য, কয়লাপাচার কাণ্ডে এর আগে দিল্লিতে তলব করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। 

    এসএসসি দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। পার্থ ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই টাকা এল কোথা থেকে তার তদন্তে নেমেছে ইডি। দশ বার নোটিস এড়ানোর পর আজ গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তার বোলপুরের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার ইডির নজরে রাজ্যের ৮ আইপিএস অফিসার। ফলে রাজ্য সরকার যে যথেষ্ট বিপাকে রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। 
        
     

  • CBI on TET Scam: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান 

    CBI on TET Scam: সিবিআই হেফাজতে আসতে পারেন পার্থ! ১৩১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) ইতিমধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (TET Scam) মামলায় গ্রেফতার করেছে সিবিআই (CBI)। তাঁরই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। গতকাল একই মামলায় সিবিআই আটক করেছে ব্যবসায়ী প্রদীপ সিং- কে। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-কাণ্ডে এবার উঠে এল এক ব্যাঙ্ক দম্পতির নাম! কালো টাকা সাদা করতে এরাই কি সাহায্য করত ?

    ব্যবসায়ীকে তাঁর নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করার পর তাকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আজ প্রদীপকে আলিপুর সিবিআই আদালতে তোলা হলে তাঁকে সাত দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতে সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রদীপ সিং এর নাম শান্তি প্রসাদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে।    
     
    শান্তি প্রসাদ সিনহা গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, যারা শিক্ষকের নিয়োগের চাকরির পরীক্ষায় অকৃতকার্য হত বা অনেক পেছনের দিকে নাম থাকত, তাদের নামের তালিকা বানিয়ে দিতেন প্রদীপ। প্রদীপ সরাসরি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে যোগাযোগ করতেন। গোয়েন্দাদের ধারণা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভালো পরিচয় রয়েছে এই প্রদীপ সিং- এর। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গোপন জবানবন্দি দিচ্ছেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা?

    সিবিআই এর পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, “এটি একটি বড় ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ছোট দালাল থেকে বড় মাথা সবাই যুক্ত। কেউ নিস্তার পাবে না।” তাহলে কী এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও হেফাজতে (Custody) নেবে সিবিআই? ইডির থেকে হাত বদলি হয়ে পার্থ যাবেন সিবিআই- এর ডেরায়? এখন এই নিয়েই রাজ্যজুড়ে জল্পনা তুঙ্গে। 

    অপরদিকে ইডি (ED) যত পার্থ মামলার গভীরে ঢুকছে ততই নতুন নতুন দুর্নীতির খবর সামনে আসছে। আর  সন্ধান মিলছে পার্থ-অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া নগদ টাকা, সোনা-গয়না এবং দুটি সংস্থার নামে সম্পত্তি ও  ১৩১টি অ্যাকাউন্টে লেনদেনের ভিত্তিতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সম্পত্তি এখানেই শেষ একথা মানতে নারাজ গোয়েন্দারা।  তদন্তকারীদের দাবি, দুর্নীতির শিকড় আরও অনেক গভীরে। সেখানে পৌঁছলে, এই সম্পত্তি ও টাকার অঙ্ক ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গোয়েন্দাদের আরও দাবি, শুধু পার্থ-অর্পিতাই নন, চাকরি দুর্নীতির টাকার ভাগ পেয়েছেন রাজ্যের আরও বেশ কিছু প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • CBI Raids Rice Mill: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    CBI Raids Rice Mill: কেষ্ট যোগ! ভোলে ব্যোমের পর শিবশম্ভু রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ‘ভোলে ব্যোম’ রাইস মিলে (Rice Mill) হানা (Raid) দিয়েছিল সিবিআই (CBI)। হাতে এসেছিল বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। সেখান থেকেই মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল এবং প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডলের নামে থাকা একাধিক সম্পত্তির নথি, দামী ৫ গাড়ি এবং একাধিক ডাম্পারের খোঁজ পেয়েছিল সিবিআই। এবার সোমবার সকালে অনুব্রতর ঘনিষ্ঠের রাইসমিল ‘শিব শম্ভুতে’ (Shiv Shambhu) পৌঁছে যান সিবিআই আধিকারিকরা। বোলপুরের শিব শম্ভু রাইসমিল প্রথম থেকেই সিবিআইয়ের স্ক্যানারে ছিল। আজ সেখানে দ্বিতীয়বারের জন্য হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর দলের সঙ্গে রয়েছেন এফসিআই (FCI)-এর দুই আধিকারিক।  রাইস মিলে ঘুরপথে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের টাকা খাটানো হত কি না, সেটাই খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। 

    আরও পড়ুন: বোলপুরে ফের সিবিআই হানা, এবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীর বাড়িতে তদন্তকারীরা

    জানা গিয়েছে, সিবিআই- এর হাতে তথ্য রয়েছে, এই সব রাইস মিল সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের নামে না থাকলেও অংশিদারিত্ব রয়েছে তাঁর। তার ভিত্তিতেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। শিব শম্ভু রাইস মিলে গিয়ে এ দিন নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলছেন সিবিআই আধিকারিকরা।  

    বোলপুরের এই রাইস মিলটির দরজায় লেখা রয়েছে, ‘কেয়ার অব জে বি পাল অ্যান্ড ডি ডি পাল রাইস মিল’। কিন্তু বীরভূম রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের নথিতে এই মিলের মালিক হিসেবে নাম রয়েছে কমল কান্তি ঘোষের। নথি অনুযায়ী ২০১২ সালে লিজ নেওয়া হয়েছিল এই মিল। এই কমল কান্তি ঘোষ হলেন অনুব্রত মণ্ডলের ভগ্নিপতি অর্থাৎ অনুব্রতর বোন শিবানি ঘোষের স্বামী। এদিকে কিছুদিন আগেই কমল কান্তি নিজে জানিয়েছিলেন, তাঁর কোনও রাইস মিল নেই। তাহলে এই মিলের আসল মালিক কে? তা নিয়ে এখন উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন: ‘‘অনুব্রত ওয়েব সিরিজের সবে প্রথম ও দ্বিতীয় এপিসোড বেরিয়েছে…’’, খোঁচা সুকান্তর

    এই প্রসঙ্গে কমল কান্তির ছেলে রাজা ঘোষ বলেন, “আমার বাবার নামে ওই রাইস মিল, আমি এই প্রথম শুনলাম। আমার সঙ্গে বাবার দুবছর কোনও সম্পর্ক নেই। আমি কিছু জানিনা। বাবাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন।”     

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এই রাইস মিল। অনেকেই মনে করছেন ইতিমধ্যেই মিলের মালিকানা বদল হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই রাইস মিলের গ্যারাজে দেখা যায় একাধিক বহুমূল্য গাড়ি। গাড়িগুলির মালিক কে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এ ছাড়া ওই মিলের নামে কোটি টাকার গাড়ির ডিল হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।   

    সূত্রের খবর, বীরভূমের আরও ১০টি রাইস মিলের দিকে নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। সেই মিল গুলিতেও প্রয়োজনে তল্লাশি চালানো হতে পারে।  

LinkedIn
Share