Tag: cbi

cbi

  • Anubrata Mondal: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট?

    Anubrata Mondal: একসময় বেচতেন মাগুর, সেখান থেকে কীভাবে তৃণমূলের ‘মুগুর’ হয়ে উঠলেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে গ্রেফতার কেষ্ট। গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বৃহস্পতিবার, সকালে বোলপুরের (Bolpur) নীচুপট্টিতে বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ভাগ্যের উত্থান পতন কাকে বলে তা অনুব্রতকে না দেখলে টের পাওয়া যায় না। এই অনুব্রত মণ্ডল যাঁর নির্দেশে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত, তৃণমূলের সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আজ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার। তবে অনুব্রত মণ্ডল রাতারাতি এইভাবে ‘বেতাজ বাদশা’ হয়ে উঠেছেন এমন নয়। শোনা যায়, একসময় কেষ্ট হাটে মাছ বেচতেন। সেখান থেকে আজ ১০০০ কোটি টাকার মালিক কেষ্ট। 

    কীভাবে এত প্রতিপত্তি হল কেষ্টর?

    বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিচুপট্টির বাসিন্দা হলেও তার আসল বাড়ি বীরভূমের নানুরের হাট সেরান্দি গ্রামে। অনুব্রত মণ্ডলরা তিন ভাই, অনুব্রত হলেন মেজ। শোনা যায়, অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর তিনি মাছ বেচা শুরু করেন। এ-ও শোনা যায়, পাশাপাশি তাঁদের একটি গ্রিলের কারখানা ছিল, সেটিও তিনি সামলাতেন। রাজনীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত থাকলেও ২০০১ সালে নানুরের সুচপুরের ঘটনায় তার একাধিক পদক্ষেপ নজর কাড়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ২০০৩ সালে তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পান কেষ্ট।

    আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল! নিয়ে যাওয়া হতে পারে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে

    অনুব্রত মণ্ডল জেলা সভাপতি দায়িত্ব পাওয়ার পর বামেদের লাল দুর্গ হিসাবে পরিচিত বীরভূমে নিজের দাপট দেখাতে শুরু করেন। ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যের শাসক দল হিসেবে পরিণত হলে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতায় পরিণত হন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এর সঙ্গে সঙ্গেই তার নামের পাশে যুক্ত হতে শুরু করে গরু পাচার, কয়লা পাচার, ভোট পরবর্তী হিংসা সহ বিভিন্ন মামলা। এই সকল মামলায় একাধিকবার তলব পাওয়ার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার করল সিবিআই।

    এদিন সকালেই অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। সার্চ ওয়ারেন্ট সঙ্গে নিয়ে যায়। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। সিবিআই মোট ২ কোম্পানি আধাসেনা জওয়ান নিয়ে যায় বলে সূত্রে খবর। অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পৌঁছনোর পর বাড়ি ঘিরে ফেলেন আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানরা। অনুব্রতর বাড়িতে যাঁরা আছেন, তাঁদের সবার ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। একদিকে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকেন সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে তাঁর বাড়িতে চলতে থাকে তল্লাশি। ঘণ্টা দুয়েক পর, কেষ্টকে গ্রেফতার করে বের করে নিয়ে যায় সিবিআই। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। 

    আরও পড়ুন: পার্থ-অনুব্রত কাণ্ডের জের! “সবাই চোর নয়”, সাফাই আতঙ্কিত তৃণমূলের

    এখন কেষ্ট গ্রেফতার হওয়ায় তৃণমূলের অক্সিজেন যে অনেকটাই কমে গেল, তা বলাই বাহুল্য।

  • Anubrata Mondal: পার্থ এফেক্ট! “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই”, জানাল এসএসকেএম মেডিক্যাল বোর্ড

    Anubrata Mondal: পার্থ এফেক্ট! “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই”, জানাল এসএসকেএম মেডিক্যাল বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেভাগেই প্রস্তুত রাখা ছিল উডবার্ন ওয়ার্ডের (Woodburn ward) ২১৬ নম্বর কেবিন। সেইমতো, সিবিআই হাজিরা (CBI summon) এড়িয়ে এসএসকেএমেই (SSKM) পৌঁছলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু, কেষ্টকে পরীক্ষা করে মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দিল, “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।” 

    আজই গরু পাচার মামলায় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের। কিন্তু, আইনজীবী মারফৎ কেষ্ট তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, ফিসচুলার পুরনো সমস্যা নাকি ফের মাথাচাড়া দিয়েছে।  সঙ্গে নাকি কাশি হচ্ছে, ঘাড়ের পিছনে প্রবল ব্যথা-ও নাকি রয়েছে কেষ্টর। কাধিক শারীরিক জটিলতা থাকার জন্য মেডিক্যাল চেক আপের প্রয়োজন রয়েছে তৃণমূল নেতার। এমনটাই জানিয়েছেন আইনজীবী। এমতাবস্থায় অনুব্রতর পক্ষে সম্ভব নয়, হাজিরা দেওয়ার। তাঁকে পরে কোনও একটা সময় দেওয়া হোক। 

    এদিকে, অনুব্রতর ভর্তি হওয়া নিয়ে এসএসকেএমে-র অন্দরেই দেখা দেয় বিতর্ক। অনুব্রতর চিকিৎসা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল মেডিক্যাল বোর্ড। একদল চাইছিলেন, তাঁকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করতে। আরেকদল অনুব্রতকে পরীক্ষা না করে ভর্তি করতে নারাজ ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক হয় মেডিক্যাল বোর্ডের। শেষমেশ, কেষ্টকে এদিন পরীক্ষা করে মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়ে দিল, “অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।”

    আরও পড়ুন: ‘দিদি’ ফোন ধরছেন না, সিবিআই ডাকে বিচলিত কেষ্টর চোখে ঘুম নেই

    হাসপাতালের এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে অনেকেই একে “পার্থ-এফেক্ট” বলে অভিহিত করছেন। সম্প্রতি, এসএসসি কাণ্ডে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিবও অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করার নির্দেশ দেয় নিম্ন আদালত। এসএসকেএমে-র চিকিৎসকরা পার্থকে আইসিইউ-তে রাখার সুপারিশ করে। এদিকে, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, এসএসকেমে পার্থ ‘ডন’-এর মতো আচরণ করছেন। তাঁকে এইমসে স্থানান্তর করে সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হোক। ইডি-র আবেদনকে মান্যতা দিয়ে হাইকোর্ট ভুূবনেশ্বর এইমসে পার্থর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয়।

    সেখানে পরীক্ষা করে ভুবনেশ্বর এইমসের মেডিক্যাল বোর্ড সাফ জানিয়ে দেয়, হাসপাতালে পার্থকে ভর্তি করার কোনও প্রয়োজন নেই। তাঁর  যা যা সমস্যা রয়েছে সবই ক্রনিক। বাড়িতে থেকে নিয়মিত ওষুধ খেলেই হবে। এই ঘটনায় এসএসকেএমের মুখ যে পোড়ে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। পার্থ-এপিসোডে মুখে কিছু না বললেও, ভেতর ভেতর শাসক দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্ট চিকিৎসকদের একাংশ।

    এর আগেও, সিবিআই-ইডির তলব পেয়ে বিভিন্ন দুর্নীতিতে নাম উঠে আসা শাসক দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতাদের এসএসকেএমে ভর্তি হওয়া ঘিরে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। বিরোধী দল বারবার এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এমনকী, মহামান্য হাইকোর্টেও তীব্র সমালোচিত হতে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। আদালতের পর্যবেক্ষণে মুখ পুড়েছে রাজ্যের এই প্রথম সারির হাসপাতালের।

    আরও পড়ুন: কোথায় কেষ্ট? পার্থর পর এবার কি অনুব্রতর পালা? জোর জল্পনা! 

    পার্থকাণ্ডের জেরে যেভাবে এই সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে যেভাবে একাধিক অভিযোগের তির ধেয়ে এসেছে, অনেকেই মনে করছেন, নতুন করে আর বিতর্ক ঘৃতাহুতি দিতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিরোধীদের কটাক্ষ, এসএসকেএম তো উপলক্ষ্য। আসলে সরকারের মনোভাবই ফুটে উঠেছে। তৃণমূল সূত্রে খবর,  অনুব্রতর বিষয়ে “উদাসীন” মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে তৃণমূল। ঠিক যেমনটা পার্থর ক্ষেত্রে হয়েছিল। তৃণমূল সূত্রে খবর, বহু চেষ্টা করেও, ‘দিদি’-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি কেষ্ট। আর এখন, হাসপাতাল ভর্তিতে ‘না’ শুনতে হল। 

    সবমিলিয়ে সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না কেষ্ট মণ্ডলের!

     

     

     

     

     

     

  • CBI Summons Anubrata Mondal: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    CBI Summons Anubrata Mondal: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ফের তলব (Summon) করল সিবিআই (CBI)। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবারই দিতে হবে হাজিরা। এবার কী করবেন অনুব্রত? প্রতিবারের মত এবারেও কী সিবিআই জেরা এড়িয়ে যাওয়ার অজুহাত প্রস্তুত রেখেছেন গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত এই নেতা? নাকি এবার আর শেষ রক্ষা হবে না? 

    আরও পড়ুন: বালি-পাথরের ‘নবগ্রহ’ ইডি-সিবিআইয়ের নজরে, কেষ্টর পর কে কে?

    অনুব্রত-সিবিআই লুকোচুরি চলছে বেশ কয়েক মাস ধরে। সিবিআই তলব প্রতিবারই কোনও না কোনও ভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন কেষ্ট। আর প্রতিবারই বাহানা শরীর খারাপের। গতকালও সিবিআই জেরা থেকে বাঁচতে এসেছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) ভর্তি হতে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, সুস্থ আছে কেষ্টা। এবার অসুস্থতার অজুহাতও কাজ করবে না। তাহলে কী এবার পার্থর মত অনুব্রতরও ঠাই হবে শ্রীঘরে? নাকি এক রাতেই নতুন কোনও ফন্দি এঁটে ফেলবেন অনুব্রত? 

    আরও পড়ুন: অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ কেরিম খান, টুলু মণ্ডলের বাড়িতে যৌথ অভিযানে ইডি-সিবিআই

    বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে আগামীকাল সকাল ১১টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে ( Nizam Palace ) হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার আগে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে দিল্লি থেকে এলেন সিবিআইয়ের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। বৈঠক করবেন দুর্নীতিদমন শাখার জয়েন্ট ডিরেক্টর, এসপি পদমর্যাদার অফিসার ও গরুপাচার মামলার তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে। তলব সত্ত্বেও গতকাল সিবিআই দফতরে হাজিরা দেননি অনুব্রত মণ্ডল। 

    সোমবার নিজাম প্যলেসে অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু সেদিন নিজাম প্যালেসের পরিবর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন তিনি। হাসপাতাল থেকে তাঁকে পরিষ্কার জানানো হয়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো ততটাও অসুস্থ নন তিনি। তারপরেই সিবিআই নির্দেশ দিয়েছিল হাসপাতাল থেকেই সোজা নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। কিন্তু সেই কথায় পাত্তা না দিয়েই অনুব্রত মণ্ডল চলে গিয়েছিলেন তাঁর কলকাতার চিনার পার্কের বাড়িতে। সেখান থেকে যান বোলপুরের বাড়িতে।  এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতা জানিয়েছিলেন আবার সিবিআই তলব করলে তিনি যাবেন কিনা সেটা পরে জানিয়ে দেবেন। এবার বীরভূমে যেতে না যেতেই ফের তলব করা হয়েছে। 

    গতকাল অনুব্রতর চিনার পার্কের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই গোয়েন্দারা। কিন্তু সেখানে কেউ ছিলেন না। তার আগেই, অনুব্রত বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছিলেন। সিবিআই যখন পৌঁছয়, ফ্ল্যাটটি সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলেই চলে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ফলে নোটিস দেওয়া ‌যায়নি তাকে। পরে অনুব্রতকে তলবের চিঠি ই-মেল করে পাঠিয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, আজই বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে গিয়ে নোটিস দিয়ে আসবেন সিবিআই অফিসাররা। এর পাল্টা কী কৌশল নেন অনুব্রত তাই দেখার।  

    মূলত রাজ্যের শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতা গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত। এখন অবধি অসংখ্য বার তিনি ইডি-সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় তলব এড়িয়ে কিছুতেই যাতে এসএসকেমে না যেতে পারেন অভিযুক্ত নেতারা, তার জন্য পার্থ ইস্যুতে আগেই প্রস্তুতি নিয়েছিল সিবিআই। তারপরেই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, এখন আর চাইলেই এসএসকেএমের উডবার্ন বিভাগে ভর্তি হওয়া যাবে না। আর এবার তাই আর এসএসকেএমে ভর্তি হতে পারেননি অনুব্রত। 

  • Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    Cattle Smuggling Case: অনুব্রত, তাঁর ঘনিষ্ঠদের নথিভুক্ত সম্পত্তি ঠিক কত? জানলে চোখ কপালে উঠবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় (Cattle smuggling Case) সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandol)। তাঁর নামে বেনামে থাকা প্রচুর সম্পত্তির হদিশও পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। এবার পেল রেজিস্টার্ড সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রত তো বটেই, তাঁর কন্যা এবং প্রয়াত স্ত্রী ছাড়াও অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

    গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ সায়গল হোসেনকেও। এঁদের নামেই মিলেছে বিপুল পরিমাণ নথিভুক্ত সম্পত্তির হদিশ। অনুব্রতের পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সব মিলিয়ে ওই সম্পত্তির পরিমাণ ১৬২টি। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রতর একার নামেই রয়েছে ২৪টি সম্পত্তি। তাঁর মেয়ের সম্পত্তির পরিমাণ তাঁর চেয়েও বেশি, ২৬টি। অনুব্রতর প্রয়াত স্ত্রী ছবির নামে রয়েছে ১২টি সম্পত্তি। সব মিলিয়ে মণ্ডল পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৬২টি।

    অনুব্রতর দেহরক্ষী ছিলেন সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেখলেও চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। সায়গলের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭টি। নথিভুক্ত সম্পত্তির বিচারে কম যান না বোলপুর পুরসভার কর্মী অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎবরণ গায়েনও (Bidyut Baran Gayen)। তাঁর নামে রয়েছে ৩২টি সম্পত্তি। তাঁর স্ত্রী মহুয়ার নামেও রয়েছে ২টি। অর্থাৎ এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গায়েন পরিবারের নথিভুক্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪টি। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কমলকান্তি ঘোষের সম্পত্তির পরিমাণও নেহাত কম নয়। কমল এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামেও রয়েছে ১৮টি নথিভুক্ত সম্পত্তি।

    আরও পড়ুন : বীরভূমে ১৭টি চালকলে ঢুকেছে গরু পাচারের টাকা? কেষ্টর যোগসূত্রে তদন্তে ইডি-সিবিআই

    বুধবারই রাজ্যের চার জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। গরু পাচার মামলায় এদিনও গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রতর এক ঘনিষ্ঠকে। তিনি বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলর তৃণমূলের বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মনু। জেলায় তিনি অনুব্রতর ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পরিচিত। আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথি যাচাই করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অসঙ্গতি মেলায় প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিশ্বজ্যোতিকে। এদিন অনুব্রতর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Anubrata Mondal: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই? 

    Anubrata Mondal: ফের তলব এড়ালেন অনুব্রত, এবার কোন পথে হাঁটবে সিবিআই? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সিবিআই তলব (CBI Summon) এড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এখনও পর্যন্ত গরুপাচার মামলায় ১০ বার কেষ্টকে তলব করেছে সিবিআই। এর মধ্যে মাত্র একবার তিনি নিজাম প্যালেসে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন। এবার নিজের আইনজীবীকে দিয়ে চিঠি পাঠিয়ে সিবিআইকে নিজাম প্যালেজে উপস্থিত না হওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। ফের ঢাল করলেন শারীরিক অসুস্থতাকেই। চিঠির সঙ্গে চিকিৎসা সম্পর্কিত নথিও জমা দিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: বুধবার ফের সিবিআইয়ের তলব, এবার কী করবেন কেষ্ট?

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, অনুব্রত চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি অসুস্থ এবং বেড রেস্টে রয়েছেন। প্রমাণস্বরূপ তিনি, বোলপুরের চিকিৎসকের এবং এসএসকেএমের প্রেসক্রিপশন পেশ করেছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, সিবিআই হাজিরা এড়াতে নিজের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে জোর করেই কি এই ‘বেড রেস্ট’- লিখিয়ে নিয়েছেন কেষ্ট? প্রশ্ন যে অমূলক নয়, তা কেষ্টর বাড়িতে যাওয়া চিকিৎসকের দাবি থেকেই প্রকট। 

    গতকাল অনুব্রত সম্পর্কে বিস্ফোরক দাবি করেছেন, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। একটি সংবাদমাধ্যমে ওই চিকিৎসক দাবি করেন, বেড রেস্ট লিখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন খোদ কেষ্ট মণ্ডলই। তৃণমূলের এই নেতার কথাতেই তিনি ১৪ দিনের বেড রেস্টের কথা লিখে দেন। চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর জানান, বাড়িতে গেলে ১৪ দিনের বেড রেস্ট লিখে দিতে বলেন অনুব্রত মণ্ডল।

    এপ্রসঙ্গে, অনুব্রতকে প্রভাবশালী উল্লেখ করে চন্দ্রনাথ জানান, তাঁকে ওই জেলায় থাকতে হবে। এর থেকেই স্পষ্ট, বীরভূমে কতটা প্রভাব রয়েছে এই তৃণমূল নেতার। জানান, তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেছিলেন, তাই ফেলতে পারেননি, সাদা কাগজে অ্যাডভাইস লিখে দিয়েছেন।

    ওই চিকিৎসকের আরও দাবি, সাদা কাগজে লিখে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার। আর এখানেই দানা বেঁধেছে আরেক বিতর্ক। জানা গিয়েছে, যখন সুপার এই নির্দেশ দিয়েছিলেন, তখন তিনি ছুটিতে ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে ছুটিতে থাকাকালীন কী কোনও সুপার কী এই রকম নির্দেশ দিতে পারেন! যেখানে এই মুহূর্তে হাসপাতালে অ্যাক্টিং সুপার রয়েছেন।

    এদিকে, কেষ্ট বারবার শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে হাজিরা এড়ানোয় তাহলে কি ফের তলব করা হবে অনুব্রতকে? নাকি আদালতের দ্বারস্থ হবে সিবিআই? নাকি বাড়ি গিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন গোয়েন্দারা? সিবিআইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকেই এখন নজর সকলের।

     

     

     

  • Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    Anubrata Mondal: সিবিআই অনুব্রতকে নিয়ে যেতেই একে একে মুখ খুলছেন স্থানীয়রা, কী বলছেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। বোলপুরে (Bolpur) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়ি ছিল বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতির ‘নিউক্লিয়াস’। নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই পরিচালিত হত জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ড, তা সে রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক। কিন্তু, গত ৩৬-ঘণ্টায় বিস্তর পট-পরিবর্তন ঘটে গেছে। বৃহস্পতিবার, গরুপাচার মামলায় (Cattle smuggling) অনুব্রতকে ১০ দিন সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    স্থানীয়দের মতে, বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ ছিলেন কেষ্ট। তাঁর প্রভাব ও প্রতাপ এতটাই ছিল যে, স্থানীয় প্রশাসন তাঁর নির্দেশেই চলত। এমনকী, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকেও কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাতেন। এতটাই ছিল তাঁর দাপট। স্থানীয়রা জানালেন, তিনি (অনুব্রত) ছিলেন বীরভূমের অঘোষিত রাজা। গোটা জেলা ছিল তাঁর সাম্রাজ্য। আর সেই সাম্রাজ্য চালাতেন নিচুপট্টির এই বাড়ি থেকেই।

    আরও পড়ুন: অন্যদের গুড়-বাতাসা খাওয়াতেন! সিবিআই হেফাজতে কী খেলেন কেষ্ট?

    অনুব্রত মণ্ডল বাড়িতে থাকলে রাস্তায় গাড়ি, মোটরবাইকের ভিড় লেগে থাকত। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাক্ষাত্‍প্রার্থীরাও আসতেন। গমগম করত গাড়ি আর মানুষের ভিড়ে। আজ বাড়ির মালিক সিবিআই হেফাজতে। রয়েছেন নিজাম প্যালেসে। ফলে, শুনশান বোলপুরের নিচুপট্টিতে কেষ্টর বাড়ির চত্বর পুরোপুরি ফাঁকা। এক প্রতিবেশী জানালেন, আজ বাড়িতে কেউ নেই। শুধু কয়েকজন পুলিশ কর্মী রয়েছেন পাহারায়।

    স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ ও প্রশাসনের যে সকল উচ্চপদস্থ আধিকারিক বীরভূমে দীর্ঘদিন ধরে পোস্টেড ছিলেন, তাঁদের সকলের সঙ্গেই কেষ্টর সুসম্পর্ক ছিল। বা বলা ভাল, সকলেই কেষ্ট-দার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলতেন। তাঁদের কথায়, কে-ই বা জলে কুমীর এবং ডাঙায় বাঘের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক রাখতে চায়? ফলে, অনুব্রত যা চাইতেন, জেলায় তাই হতো। রাজনৈতিক হোক বা প্রশাসনিক— সব সিদ্ধান্ত নিতেন অনুব্রতই। 

    আরও পড়ুন: দুর্দিনে পাশে নেই দল, তাই কি কেষ্টর চোখে জল?

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে বীরভূমে কেষ্ট এমন একটা ‘সিস্টেম’ চালু করেছিলেন, যাতে করে ওই জেলার যাবতীয় প্রধান সিদ্ধান্তগুলি তিনিই নিতেন। মাঝে কেষ্টর একটা বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল বটে। তাঁদের দাবি, একটা গোষ্ঠী সেই সময় মুকুল রায়ের দিকে ঝুঁকেছিল। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব উধাও হয়ে যায়। আর অনুব্রত হয়ে ওঠেন বীরভূম জেলার ‘শেষ কথা’।

    স্থানীয়দের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই গরু, কয়লা ও বালি পাচারের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে বীরভূম। তাঁরা জানান, বীরভূমের বাতাসে টাকা নাকি ভেসে বেড়ায়। আর সবকিছুর হিস্-সা আসত কেষ্টর কাছে। সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম থাকা আব্দুল লতিফ হল গরু হাটের মালিক। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আব্দুল লতিফের সঙ্গে অনুব্রতর দেহরক্ষক বর্তমানে জেল হেফাজতে থাকা সায়গল হোসেনের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

  • Anubrata FD Accounts: অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’! তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি?

    Anubrata FD Accounts: অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’! তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুপাচার কাণ্ডের (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নেমে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে কোটি কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই (CBI)। বুধবার এই প্রেক্ষিতে অনুব্রতর নামে একাধিক ব্যাংকে ছড়িয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিটে রাখা প্রায় ১৭ কোটি ফ্রিজ করেছে সিবিআই। এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে কেষ্টর ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি।

    বুধবার দুপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে কথা বলতে চাননি অনুব্রত-কন্যা। তারপর অনুব্রতর বাড়ির কাছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যান গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এসবিআই, ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া এবং অ্যাক্সিস ব্যাংকের একাধিক অ্যাকাউন্টে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বা FD ফ্রিজ করে সিবিআই। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে ও ঘনিষ্ঠদের একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একাধিক সংস্থার খোঁজও পেয়েছেন। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ১০-১২ জনের নাম উল্লেখ করে ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেকে পাঠানো হয়েছে চিঠি।

    আরও পড়ুন: টেট মামলায় আদালতে হাজিরা কেষ্ট কন্যার, উঠল ‘গরু চোর’ স্লোগান

    সিবিআই একদিকে যেমন কয়লা ও গরুপাচার নিয়ে আদাজল খেয়ে লেগে রয়েছে, ঠিক তেমনভাবেই এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডর শিকড়ের খোঁজে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছে আরেক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি (ED)। তবে, হালে প্রকাশ্যে আসা কিছু তথ্য ও ঘটনাপ্রবাহের দৌলতে নতুন করে ভাবতে লেগেছে সিবিআই ও ইডি। কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) বিপুল সম্পত্তির খোঁজ মেলার পাশাপাশি, টেট পাশ না করেই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পাওয়ার ঘটনা গোটা বিষয়টিকে অন্য আঙ্গিক এনে দিয়েছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখন খতিয়ে দেখছে, গরুপাচারের পাশাপাশি এসএসসি-টেট কেলেঙ্কারির সঙ্গেও অনুব্রত যোগ রয়েছে কিনা।

    ইতিমধ্যেই, গত ২৩ জুলাই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) জোড়া ফ্ল্যাট থেকে নগদ ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে, সেখানেই থেমে থাকতে চাইছেন না ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের নজরে রয়েছে তৃণমূলের আরও ১৯ জন হেভিওয়েট। আবার গরুপাচার মামলায় গত ১১ অগাস্ট সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন কেষ্ট মণ্ডল। সিবিআই সূত্রে দাবি, প্রভাবশালীদের কাছে গরু পাচারের টাকা নগদে পৌঁছনোর পাশাপাশি, প্রভাবশালীদের সংস্থায় ঋণ হিসেবে বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

    এখানে বলে রাখা দরকার, ২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১ – পরপর তিনটি বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচনী হলফনামা দিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা। কিন্তু বেশ কয়েকজনের সম্পত্তি আচমকা বহুগুণ ফুলে ফেঁপে যাওয়ার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলায় সম্প্রতি ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তালিকায় ১৯ জন তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীর নাম রয়েছে। তালিকায় রয়েছেন – ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো নেতারা।

    আরও পড়ুন: বিনা টেটে সুকন্যার মাস্টারি কাঠগড়ায় তুলল ব্রাত্যকে!

    এখন ইডি-সিবিআই খতিয়ে দেখতে চাইছে, অনুব্রতর ফ্রিজ করা ফিক্সড ডিপোজিটগুলোয় তৃণমূলের এই ১৯ জনের মধ্যে কারও ‘বিনিয়োগ’ বা ‘ভাগ’ অথবা ‘হিস্‌সা’ লুকিয়ে আছে কিনা। কেন এমন আশঙ্কা করছেন তদন্তকারীরা? সূত্রের খবর, এর নেপথ্যে রয়েছে অনুব্রত ইস্যুতে এই হেভিওয়েটরা ‘ভোকাল’ হয়ে উঠেছেন, তাতে জোরালো হচ্ছে সন্দেহ। কারণ, পার্থর বেলায় কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। উল্টে দলের তরফে ‘লজ্জা’ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু, কেষ্টর বেলায় পুরো ভিন্ন চিত্র। সমস্বরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে সরব হয় শাসক শিবির। বাদ যাননি দলের সর্বেসর্বাও। এর থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ, ক্ষমতায় আসা ইস্তক তৃণমূলের হেভিওয়েটদের সম্পত্তির ওজন লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে পাচার-যোগ থাকাটাই স্বাভাবিক।

    এখান থেকেই তদন্তকারীদের মনে প্রশ্ন জাগছে— অনুব্রতর ১৭ কোটির FD-তেই লুকিয়ে আরও ১৯ জনের ‘প্রাণভোমরা’? তাই কি ইডি-সিবিআইতে আপত্তি? 

  • CBI:  ১০০ কোটি টাকায় রাজ্যসভার আসন? চক্রের পর্দা ফাঁস সিবিআইয়ের 

    CBI:  ১০০ কোটি টাকায় রাজ্যসভার আসন? চক্রের পর্দা ফাঁস সিবিআইয়ের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা টাকায় বিকিয়েছে সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষা নীটে(NEET)-র আসন। অন্তত এমনই অভিযোগ উঠেছে। এবার একই অভিযোগ উঠল রাজ্যসভার (Rajya Sabha) আসন এবং রাজ্যপালের (Governorship) পদের ক্ষেত্রেও। ১০০ কোটি টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার টিকিট মিলবে। দীর্ঘদিন ধরেই এমন মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে কারবার চালাচ্ছিল একটি চক্র। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) সূত্রেই জানা গিয়েছে এমন তথ্য। চক্রের কয়েকজন পান্ডাকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিযোগ পাওয়ার পর গত সপ্তাহে একটি ফোনে দুই ব্যক্তির কথোপকথনকে ঘিরে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের কয়েকজনের। সেই সময় অর্থের বিনিময়ে রাজ্যসভার আসন নিশ্চিত করার কথা বলতে শোনা যায় ফোনের দু প্রান্তে থাকা মানুষদের। ফাঁদ পাতে সিবিআই। ছদ্মবেশে চক্রের কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করেন সিবিআইয়ের এক আধিকারিক। টাকা হাত বদলের সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।  ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে চারজনকে। সিবিআইয়ের তরফে এদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর-ও।

    আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে ইডি-সিবিআই কী করছে, জানেন কি?

    ১০ জুন দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে রাজ্যসভার নির্বাচন হয়। তার আগে থেকেই ওই চক্র সক্রিয় ছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। অভিযোগের ভিত্তিতে ফোনে নজরদারি চালান গোয়েন্দারা। গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। সিবিআই জানিয়েছে, এরা হল মহারাষ্ট্রের করমলকর প্রেমকুমার, কর্নাটকের রবীন্দ্র বিঠঠল নায়েক, দিল্লির মহেন্দ্র পাল অরোরা ও আসামের অভিষেক বরা। এফআইআরে নাম রয়েছে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত মহম্মদ আজিজ খান নামে এক ব্যক্তিরও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অভিষেক ও প্রেমকুমারের কাজ ছিল পদস্থ সরকারি কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা। বাকিরা চাইত টাকা। এ ব্যাপারে যাতে কোনও রাজনৈতিক নেতা বা আমলার সঙ্গে যোগাযোগ না করা হয়, সে ব্যাপারেও হুঁশিয়ারি দিত অভিযুক্তরা।

    আরও পড়ুন : কোটি কোটি টাকার লেনদেন! ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতে ৭ ইসিএল আধিকারিক

    প্রসঙ্গত, শিবসেনার বিদ্রোহী নেতা একনাথ শিন্ডের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেওয়া আশ্বাস দিয়ে মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি বিধায়কের কাছে চাওয়া হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়াজ শেখ নামে একজনকে। এবার মোটা টাকার বিনিময়ে রাজ্যসভার টিকিট পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সিবিআইয়ের জালে চার। এই চক্রের জল কতদূর বিস্তৃত, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।  

     

  • Partha Chatterjee: ফের মুখ ফেরাল এসএসকেএম? অসুস্থ বোধ করায় পার্থকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে, তারপর…

    Partha Chatterjee: ফের মুখ ফেরাল এসএসকেএম? অসুস্থ বোধ করায় পার্থকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে, তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ বোধ করায় শনিবার বিকেলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে নিয়ে গেল জেল কর্তৃপক্ষ। এদিন চিকিৎসা শেষে এসএসকেএম থেকে ফের প্রেসিডেন্সি জেলেই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর এসএসকেএম থেকে বেরনোর সময় প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, ‘দলের সাথে আছি, দলের সাথেই ছিলাম’! 

    আরও পড়ুন: হাজারিবাগের হোটেলে পার্থ-ঘনিষ্ঠের খোঁজে তল্লাশি আয়কর দফতরের, কী মিলল জানেন?

    জেল সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে শারীরিক অসুস্থতার কথা জেল কর্তৃপক্ষকে জানান পার্থবাবু। এর পর ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ পার্থবাবুকে নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে রওনা হয় ৩টি গাড়ির কনভয়। চারটে নাগাদ কনভয় পৌঁছয় SSKM হাসপাতালে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পিছনে সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরির সামনে গাড়ি থেকে নামানো হয় তাঁকে। গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। জানতে চান শরীর কেমন? জবাবে ক্লান্ত, বিমর্ষ পার্থ বলেন, ‘শরীর ভালো নেই।’ এর পর হুইল চেয়ারে করে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে যান তিনি। হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। কিছু ক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে বার করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে।

    আরও পড়ুন: ১৪ দিনের জেল হেফাজত পার্থ-অর্পিতার! কেউ ছাড় পাবে না, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর নিশানায় কারা?

    প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিবের শরীরের ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম। পা ফুলেছে তাঁর। শরীরে অস্বস্তি রয়েছে। তাই তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা ভাবা হয়। এসএসকেএমে তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতাল জুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা। শনিবার বলে অন্যদিনের তুলনায় হাসপাতালে ভিড় কম ছিল। তবুও নিরাপত্তায় ফাঁক রাখা হয়নি। নিরাপত্তার খাতিরে জরুরি বিভাগের পিছনের গেট দিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ঢোকানো হয়। মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ।

  • ED_CBI: পশ্চিমবঙ্গে ইডি-সিবিআই কী করছে, জানেন কি?

    ED_CBI: পশ্চিমবঙ্গে ইডি-সিবিআই কী করছে, জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। কখনও কয়লা কেলেঙ্কারি, কখনও বা গরু পাচার মামলা (Cattle Smuggling Case)। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (ssc scam) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগেও। আদালতের নির্দেশে বাংলার এই সব মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI), ইডি (ED)।

    একনজরে দেখে নেওয়া যাক কেঁচো খুঁড়তে ইডি-সিবিআই এ রাজ্যে কোন কোন কেউটের সন্ধান করছে।

    ১) কয়লা কেলেঙ্কারিতে ৪ জন ব্যবসায়ীকে তলব করা হয়েছে।

    ২) অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের নামে মিলেছে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ।

    ৩) অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীরও ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে।

    আরও পড়ুন : এসএসসি কাণ্ডে গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আজই তোলা হবে আদালতে

    ৪) অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করা হয়েছে।   

    ৫) কয়লা কেলেঙ্কারিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে জেরা করা হয়েছে।  

    ৬) প্রাক্তন যুব তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে লুকআউট নোটিশ।

    ৭) কয়লাকাণ্ডে পূর্বতন ও বর্তমান মিলিয়ে ইস্টার্ন কোলফিল্ডসের চার ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।   

    ৮) বীরভূমকাণ্ডে তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট আনারুল হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে।

    ৯) কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে জনৈক গুরুপদ মাজিকে।  

    ১০) গরু পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামূল হককে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লি থেকে।

    ১১) ১৮৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে।

    ১২) কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সাতটি মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এগুলি হল, বীরভূম হিংসা, ভাদু শেখে হত্যা, এসএসসি দুর্নীতি, তপন কান্দু হত্যাকাণ্ড এবং হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড।

    ১৩) নির্বাচনোত্তর হিংসায় তারক সাহু হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে।

    ১৪) নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূলের ৪ হেভিওয়েটকে।

    ১৫) মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এক ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২০ কোটি টাকা।

     

     

LinkedIn
Share