Tag: cbi

cbi

  • Coal Smuggling: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক-পত্নীকে তলব সিবিআইয়ের, আগামীকাল জেরা কলকাতাতেই?

    Coal Smuggling: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক-পত্নীকে তলব সিবিআইয়ের, আগামীকাল জেরা কলকাতাতেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির (ED) পর এবার সিবিআই (CBI)। দিল্লির পর এবার কলকাতা।

    কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal smuggling scam) তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishekl Banerjee) স্ত্রী রুজিরা (Rujira) বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার জন্য নোটিস দিল সিবিআই। মঙ্গলবারই, অর্থাৎ ১৪ জুন তাঁকে কলকাতাতেই জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। আগে কয়লা পাচারের বেআইনি অর্থের উপভোক্তা হিসাবে তাঁকে দিল্লিতে কয়েকবার তলব করেছে ইডি। কিন্তু অভিষেক-পত্নী জেরার মুখোমুখি হননি। আদালতে গিয়ে কলকাতার বদলে কেন তাঁকে দিল্লি ডাকা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলে বিহিত চেয়েছিলেন। এখন কলকাতায় সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি তদন্তে যোগ দেবেন নাকি ফের আদালতের দ্বারস্থ হবেন তা কিছু সময়ের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, কয়লা পাচারের বেআইনি অর্থ অনেকের কাছেই নিয়মিত পৌঁছেছে। এমনকি বিদেশেও গিয়েছে সেই টাকা। অভিযোগ, ব্যাংককের কোনও একটি অ্যাকাউন্টে মোটা টাকা জমা হয়েছে। সেই টাকা ব্যবহার করে কেনা হয়েছে সোনাও। এসবের সঙ্গে রুজিরার কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, সিবিআই তা জানতে চায়।

    আরও পড়ুন: চেকপোস্টে আটকে কয়লা, “ভাইপো ভ্যাটে”র অপেক্ষায়? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    তদন্তের মধ্যেই দেশ ছেড়ে যাতে কেউ চলে যেতে না পারেন, সে জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) বা ইডি আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর বোন মেনকা গম্ভীরের নামে লুক আউট সার্কুলার (Lookout circular) জারি করেছিল। এরপরই চিকিৎসার জন্য দুবাই যেতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন অভিষেক। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সস্ত্রীক দুবাই গিয়ে অন্য একটি দেশেও গিয়ে থাকতে পারেন তাঁরা। তবে ইতিমধ্যেই আদালতের নির্দেশ মেনে কলকাতা ফিরে এসেছেন অভিষেক ও রুজিরা। তারপরই রুজিরাকে ১৪ জুন হাজিরা দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে সিবিআই। 

    কেন সিবিআই রুজিরাকে জেরা করতে চায়?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাংশ জানাচ্ছে, অনুপ মাজি (Anup Mahji) ওরফে লালার বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে এমন কিছু নথি পাওয়া গিয়েছে যাতে কয়লা পাচারের বেআইনি টাকা কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে বলে সিবিআইয়ের কাছে প্রমাণ এসেছে। তদন্তে গ্রেফতার হওয়া অনেকেই নিজেদের বয়ানেও প্রভাবশালীদের নাম বলেছেন। সেই সূত্রেই রুজিরাকে তলব করা হয়েছে। 

    সিবিআই জেনেছে, রুজিরা নারুলা (বন্দ্যোপাধ্যায়) তাইল্যান্ডের নাগরিক। তবে তাঁর ওভারসিজ সিটিজেন অব ইন্ডিয়া বা ওসিআই (OCI) কার্ড রয়েছে। তিনি কলকাতায় ভোট দেওয়ার অধিকারী নন। তবে কোনও সংস্থা খুলে ব্যবসা করতে পারেন। সে সব তথ্য সত্যি নাকি তিনি ভোটাধিকার থাকা ভারতীয় নাগরিক ইত্যাদি যাচাই করার জন্যই রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ব্যাংককের যে অ্যাকাউন্টগুলিতে লালার হিসাবরক্ষক টাকা পাঠাতেন তার সঙ্গে রুজিরার কোনও যোগ আছে কি, তাও জানা প্রয়োজন সিবিআইয়ের।
     
    তবে দিল্লির বদলে কলকাতায় আদৌ রুজিরা সিবিআইয়ের সামনে বসতে রাজি হবেন কিনা সেটাই এখন দেখার। না হলে ফের কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata Highcourt) এক দফা আইনি লড়াই চলতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: অভিষেক-জায়া রুজিরার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি দিল্লির আদালতের

  • SSC Scam: এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগ কত? ১৩ হাজারের নামের তালিকা পর্ষদের!  

    SSC Scam: এসএসসিতে ভুয়ো নিয়োগ কত? ১৩ হাজারের নামের তালিকা পর্ষদের!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) মাধ্যমে ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে সেই সংখ্যাটা কত, তা জানতে চায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta Highcourt)। হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার হয়ে গেল ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও মামলাকারীদের আইনজীবীরা। এদিন ঘণ্টাখানেক ধরে চলে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। সূত্রের খবর, ১২ হাজার ৯৬৪ জনের নামের তালিকার প্রতিলিপি তুলে দেওয়া বৈঠকে উপস্থিত তিন পক্ষের প্রতিনিধিদের হাতে।

    বুধবার এসএসসির নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে যতগুলি নিয়োগ হয়েছে, ধরা পড়লে প্রত্যেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। অযোগ্য প্রার্থীদের সরিয়ে নিয়োগপত্র দেওয়া হবে যোগ্য প্রার্থীদের। কতজনকে এভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তার তালিকা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতের এই নির্দেশের পরেই এসএসসির আইনজীবী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী ও মামলাকারীর আইনজীবীরা এক সঙ্গে বসে পুরো তালিকা যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার বসে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। বৈঠক হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কার্যালয়ে। উপস্থিত ছিলেন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারও। তিন পক্ষের হাতেই ২০১৬ সালে নবম-দশমে নিয়োগের তালিকার প্রতিলিপি তুলে দেওয়া হয়। সেই তালিকায় রয়েছে ১২ হাজার ৯৬৪ জনের নাম। এসএসসি নিজের তালিকার সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তালিকা মিলিয়ে দেখে তৈরি করবে নয়া একটি তালিকা। ২৮ সেপ্টেম্বর সেটিই আদালতে জমা দেবে এসএসসি কর্তৃপক্ষ। সেদিন রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা সিবিআইয়েরও।

    আরও পড়ুন : পার্থ-অর্পিতার ১০৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত! এসএসসি মামলায় চার্জশিট পেশ ইডি-র

    এসএসসির চেয়ারম্যান বলেন, বোর্ড অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেয়। বোর্ড সম্পূর্ণ তালিকাটা দিয়েছে। আমাদেরও রেকমেনডেশনের লিস্ট সম্পূর্ণ থাকবে। দুটো মিলিয়ে দেখা হবে। ওদের কাছে যেমন ১৭ জনের একটা লিস্ট ছিল। যা নিয়ে ওরা মামলা করে। তার অতিরিক্ত আরও হয়তো পেয়েছে। আমরা আমাদের রেকর্ড থেকে আরও কিছু পাব। এগুলোকে ম্যাচ করে কোর্টের কাছে আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু করা সম্ভব করব। তারপর সিবিআইও (CBI) রিপোর্ট দেবে ২৮ তারিখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP: বিজেপির নবান্ন অভিযানে ‘অশান্তি’, সিবিআই তদন্তের দাবি অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে

    BJP: বিজেপির নবান্ন অভিযানে ‘অশান্তি’, সিবিআই তদন্তের দাবি অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানে পুলিশ তৃণমূলের (TMC) হয়ে কাজ করেছে। ঘটনায় সিবিআই (CBI) এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) তদন্ত চাইল বিজেপির পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি। শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার নির্দেশে গঠিত ওই কমিটি ২৫ পাতার রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে রাজ্যের তৃণমূল পরিচালিত সরকারকে। ঘটনাটিকে শত্রুতাপূর্ণ প্রচার বলে কটাক্ষ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযান কর্মসূচি পালন করে বিজেপি। ওই কর্মসূচিকে ঘিরে তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা ও হাওড়া। হাওড়ার সাঁতরাগাছি, ময়দান থেকে আসা নবান্নমুখী মিছিল আটকালে আন্দোলনকারী-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জখম হন বিজেপির কাউন্সিলর সহ কয়েকজন নেতা এবং কর্মী। জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও। পরে আন্দোলনকারীদের দমন করতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ব্যবহার করা হয় জলকামানও। নির্বিচারে চালানো হয় লাঠি। অভিযান শুরুর সময়ই আটকে দেওয়া হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারে নেতৃত্ব হওয়া দুই মিছিলকে। তার পরেই শুরু হয় পুলিশের তাণ্ডব।

    রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে জোড়া শহর। বিজেপির দাবি, ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১২৩৫ জনকে। তাঁদের নামে করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পদ্ম-নেতৃত্ব। বিজেপির তরফে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি। এদিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট দেয় ওই কমিটি। কমিটির অভিযোগ, বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে। পুলিশি তাণ্ডবে সেদিন জখম হয়েছেন ৭৫০ জন। কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্য পুলিশের পক্ষে স্বচ্ছ তদন্ত করা সম্ভব নয়। তারা শাসক দল তৃণমূলের অনুগত। তাই কমিটি সিবিআই তদন্ত দাবি করছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনেরও কলকাতায় গিয়ে দেখা উচিত কীভাবে পুলিশ ও তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে।

    আরও পড়ুন : নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘মিথ্যা’ মামলায় গ্রেফতার, হাইকোর্টের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি

    অভিযানের দিন জখম হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে দেন হুঙ্কার। সেই প্রসঙ্গ টেনে অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যেই স্পষ্ট বিজেপি কর্মীদের ওপর নৃশংস পুলিশি অত্যাচারে সায় ছিল তৃণমূল নেতৃত্বেরও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share