Tag: cbi

cbi

  • RG Kar: কোটি কোটি টাকার অঙ্গ পাচার, মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস! অন্য জগৎ আরজি করের মর্গ

    RG Kar: কোটি কোটি টাকার অঙ্গ পাচার, মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস! অন্য জগৎ আরজি করের মর্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের জমানায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের (RG Kar) মর্গে মৃতদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রির কারবার ফুলেফেঁপে উঠেছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। দুর্নীতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকা বলেই প্রাথমিক অনুমান সিবিআইয়ের। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের (CBI) হাতে এসেছে, গভীর রাতে মর্গে চলত মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস, ধৃত সঞ্জয় রায়ের ফোনে সেই ছবিই পেয়েছেন আধিকারিকরা। এতেই দানা বাঁধছে সন্দেহ, আরজি করের (RG Kar) মর্গ কি তবে বিকৃত পর্নোগ্রাফির কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল?

    পড়শি দেশেও পাচার করা মৃতদেহের অঙ্গ (RG Kar)

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, দুর্নীতির তদন্তে নেমে দেখা যাচ্ছে যে আরজি করের পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু সরকারি হাসপাতালের মর্গ দুর্নীতির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে। তবে সরকারি হাসপাতালই নয় বেশ কতগুলো বেসরকারি হাসপাতালও এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সিবিআইয়ের তরফ থেকে যে চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে তাতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে যে, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বের করে নেওয়া হত। একেকটি অঙ্গের দর অন্তত চার থেকে আট লাখ টাকা পর্যন্ত উঠত। তার পরে এই অঙ্গগুলি পাচার করা হত দেশের অন্যান্য রাজ্যে। এর পাশাপাশি, পড়শি দেশেও পাচার করা এই অঙ্গ (RG Kar), এমনটাই জানতে পেরেছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনই মানবদেহের হৃদপিণ্ড, যকৃত, কিডনির চাহিদাও বেড়েছে। এগুলি মূলত শিক্ষাদানের কাজেই ব্যবহার করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রে। জানা গিয়েছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি এই কাজে যুক্ত ছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই দুইজনকে ইতিমধ্যে ৩ দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং অঙ্গ ব্যবসার জোরালো সূত্র মিলেছে তাঁদের কাছ থেকে। সাধারণভাবে যে নিয়ম রয়েছে তাতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ সাধারণত সাত দিন পেরোলে তা পুড়িয়ে দেওয়ার কথা। আইন অনুযায়ী, অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ থেকে অঙ্গ নিতে হলে স্বাস্থ্য ভবনের ছাড়পত্র প্রয়োজন কিন্তু সেসবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ডাক্তারদের সিন্ডিকেটই অঙ্গ ব্যবসা চালিয়ে গিয়েছে বলে খবর।

    মর্গের মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস, তারপর তা ক্যামেরাবন্দি করত ধৃত সিভিক ভলেন্টিয়ার

    সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনে অভিযুক্ত ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ও মর্গে অবাধেই যাতায়াত করত। রাত বাড়লেই শুরু হত আরজি করে কুকীর্তি! তবে শুধু ধৃতই সিভিক ভলান্টিয়ারই নয়, বছরের পর বছর ধরে দুর্নীতির যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিল, সেখানে যাতায়াত ছিল আরও অনেকেরই। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। মেডিক্যাল কলেজের মর্গের ভিতরের একটি ভিডিও উদ্ধার হয়েছে ধৃতের মোবাইল থেকে। সেখানে মরদেহের সঙ্গে সহবাসের ছবি মিলেছে ধৃতের। এখানেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। সাধারণভাবে, মৃতদেহের সঙ্গে সহবাস করা এক ধরনের মানসিক ব্যাধি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘নেক্রোফিলিয়া’। কিন্তু শুধুই কি মানসিক ব্যাধির কারণেই এমনটা করত সঞ্জয়? নাকি আরজি করের (RG Kar) মর্গ হয়ে উঠেছিল বিকৃত পর্নোগ্রাফির কেন্দ্র? এটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। মোটা টাকার বিনিময়ে এই সমস্ত ভিডিও বিদেশে বিক্রি করা হত কিনা তা জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ধৃত সঞ্জয় রায়ের এমন কাণ্ডের ছবি মর্গের ভিতরে কারা তুলত? এবিষয়ে প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু তথ্য এসেছে তদন্তকারীদের কাছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে আরজি করের মধ্যে দাপিয়ে বেড়ানো সিন্ডিকেটের কয়েকজনই সেই ছবি তুলত। পর্নোগ্রাফি চক্রের পাশাপাশি বেওয়ারিশ মৃতদেহের হিসাবেও গরমিল উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে।

    ২০২১ সাল থেকে বছরে ৬০-৭০টি করে মৃতদেহ পাচার করা হত 

    তদন্তকারীরা (CBI) জানাচ্ছেন, ২০২১ সাল থেকে বিগত কয়েক বছরে অন্তত ৬০ থেকে ৭০টি করে দেহের হিসাব পাওয়া যায়নি। তদন্তকারীরা এক্ষেত্রে জানতে পেরেছেন সন্দীপ ঘোষ তাঁর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে আনেন এবং তাঁকেই ‘হেড ডোম’ করা হয় মর্গের। অন্যদিকে, মর্গ তৈরির সময় থেকে যিনি ‘হেড ডোম’ ছিলেন তাঁকে সিন্ডিকেটের প্রভাবে অন্য বিভাগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

    রাত হলেই মর্গে আনাগোনা করতেন সিন্ডিকেটের নেতারা

    প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে রাত আটটার মধ্যে মর্গ বন্ধ করে দেওয়ার নিয়ম থাকলেও গভীর রাত পর্যন্ত মর্গে আলো জ্বলত বলে জানা গিয়েছে। আরজি করে বর্তমানে ৪০টিরও বেশি কোল্ড চেম্বার রয়েছে। রাতে সেই চেম্বার খোলা হত বলেও অভিযোগ। সিবিআইয়ের সন্দেহ, সেই সময়েই বের করা হত মৃতদেহ। তার পরে চলত সহবাস, যা মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করা হত। দুর্নীতির সেই শিকড় খুঁজছে সিবিআই। মর্গের এক কর্মী নিজের নাম গোপন রাখার অনুরোধ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘সন্ধ্যা হলেই মর্গে নিয়ে আসা হত মদের বোতল। সেখানে আমাদের মতো ছোটখাটো কর্মীদের কারও কিছু বলার সাহস ছিল না। বললেই হয় বদলি, নয় চাকরি যাওয়ার হুমকি দেওয়া হত।’’ অভিযোগ, রাত বাড়লেই মর্গে এসে ঢুকতেন সিন্ডিকেটের দাপুটে নেতাদের অনেকেই। ওই কর্মীর কথায়, ‘‘অন্যায় দেখেও চুপ করে থাকাটাই তো অলিখিত নিয়ম হয়ে গিয়েছিল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: নির্যাতিতার চোয়ালে কামড়ের দাগ কি ধৃত সিভিকের? দিল্লিতে নমুনা পাঠাল সিবিআই

    CBI: নির্যাতিতার চোয়ালে কামড়ের দাগ কি ধৃত সিভিকের? দিল্লিতে নমুনা পাঠাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার চোয়ালের ডান দিকে কামড়ের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। ওই চিহ্ন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের কি না, তা জানতে চায় সিবিআই। এর আগে সিএফএসএল বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, কামড়ের দাগ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের। সূত্রের খবর, তবে সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট ছিলেন না সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। নিশ্চিত হতে এ বার সঞ্জয়ের দাঁতের ফরেন্সিক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত সিবিআইয়ের। দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবে নমুনা পাঠানো হল।  

    জেলে গিয়ে অভিযুক্ত সিভিকের নমুনা সংগ্রহ (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সঞ্জয়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য আলিপুরের বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারীরা। আদালত সেই অনুমতি দেওয়ার পরই বুধবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির আধিকারিকরা পৌঁছন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। প্রায় ঘণ্টা দু’য়েক সেখানে কাটান। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি তাঁর দাঁতের গঠনের ছবি করেন। সঞ্জয়ের কামড়ের নমুনা বা টিথ ইমপ্রেশন সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার শরীরে যে কামড়ে চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, এই নমুনার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, যেদিন সেমিনার হল থেকে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই দিন তাঁর ডানদিকের চোয়ালে কালশিটে দাগ পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে বিষয়টিকে ‘বাইট মার্ক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। এবার নির্যাতিতার শীরের দাগটি সঞ্জয়ের থেকেই তৈরি হওয়া কি না তা নিশ্চিত হতেই দিল্লিতে সিএফএসএল দিল্লিতে এই নমুনা পাঠাল সিবিআই। অপরদিকে, প্রাথমিকভাবে যাচ্ছে, এইমসে যে ডিএনএ নমুনা পাঠানো হয়েছিল তাতে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র ছাড়া দ্বিতীয় ব্যক্তির অস্তিত্বের জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    সিবিআইয়ের অনুমান

    আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে গত ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল বলে উল্লেখ রয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। যদি সঞ্জয়ের দাঁতের থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে নির্যাতিতার শরীরের কামড়ের চিহ্ন না মেলে তাহলে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আরও কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা থাকবে বলে অনুমান সিবিআইয়ে (CBI)। উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার গিয়েছিল সিবিআই-এর হাতে। আপাতত আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন সঞ্জয়। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র অভিযুক্ত তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, নার্সিংহোমে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    RG Kar Incident: আরজি করকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি, নার্সিংহোমে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে এবার সিবিআই-এর নজরে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ সিবিআইয়ের অপরাধদমন শাখার আধিকারিকরা সুদীপ্তের সিঁথির মোড় সংলগ্ন বিটি রোডের বাড়িতে পৌঁছন। বিধায়কের মালিকানাধীন বাড়ি লাগোয়া নার্সিংহোমেও যান অফিসাররা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি এবং ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে সুদীপ্তের বাড়ি এবং নার্সিংহোমে।

    দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি 

    প্রসঙ্গত, শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তিনি রাজ্যের হেল্‌থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ যখন সিবিআই আধিকারিকরা সুদীপ্তের বাড়িতে হানা দেন, তখন নীচের তলার অফিস ঘরেই ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। তদন্তকারীদের একটি দল নার্সিংহোমটিতেও তল্লাশি অভিযান চালায়। তিন জন সিবিআই আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন সুদীপ্তকে। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর সুদীপ্তের বাড়ি থেকে বেরোয় সিবিআই। 

    সুদীপ্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুদীপ্ত রায়। ঘটনার দিন সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা হয় সুদীপ্ত রায়ের। সকালে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছিলেন সন্দীপ। কল ডিটেলস রেকর্ডের সূত্র ধরে জানতে পেরেছে সিবিআই।  সেই সূত্র ধরেই তদন্তে সুদীপ্ত রায়ের বাড়ি ও নার্সিংহোমে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সুদীপ্ত রায়কে নিয়ে প্রথম অভিযোগ করেছিলেন, আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার নন-মেডিক্যাল আখতার আলি। তিলোত্তমা পর্বে তা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আখতার আলি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছিলেন, এক প্রভাবশালীর নার্সিংহোমে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার সরঞ্জাম সরবরাহ করা হত। হাসপাতালের যাঁরা ভেন্ডার, তাঁদের দিয়ে সেই নার্সিংহোমের কাজ করানো হত। জানা যাচ্ছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এবার সুদীপ্তের নার্সিংহোমে তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।

    আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের হস্টেলে গড়ে উঠেছে ‘মসজিদ’! প্রতিবাদ করলেই হুমকি

    নানা প্রান্তে ইডির তল্লাশি

    এদিন আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে ইডির একটি দল চিনার পার্কের ঘোষ ভিলা-তে যায়। এই বাড়িতে সন্দীপ ঘোষের বাবা মা থাকতেন। বর্তমানে বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল। আজ সকালে ইডির টিম সেখানে যায়। এরপর ঘোষ পরিবারের স্থানীয় এক পরিচিত এসে মূল দরজার তালা খুলে দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, কলকাতায় ৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এর মধ্যে আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দুটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এছাড়া বাকি দুটি ঠিকানা হল, লেকটাউনে একটি মেডিক্যাল সাপ্লায়ারের অফিস ও টালা এলাকায় এক মেডিক্যাল ভেন্ডরের বাড়ি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar: আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি! সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা ইডির

    RG Kar: আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি! সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় হানা ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ফের তেড়েফুঁড়ে নেমেছে ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতার তিন জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। এদিনে সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ টালা এলাকার একটি বহুতল আবাসনে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা (ED Raids)। সূত্রের খবর, ওই আবাসনেরই পাঁচ তলায় থাকেন সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী চন্দন লৌহ। সেখানেই চলছে তল্লাশি অভিযান। এছাড়া, কালিন্দীর একটি ঠিকানাতেও পৌঁছে গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। সেখানে দেবদত্ত চট্টোপাধ্যায়ের নামে এক ব্যক্তির অফিসে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।

    কে এই চন্দন লৌহ?

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ চন্দনের ফ্ল্যাটে পৌঁছান ইডি আধিকারিকরা (RG Kar)। সে সময় ফ্ল্যাটেই ছিলেন চন্দন। তিনি দরজা খুলে দেন। তবে আজ বুধবারই প্রথম নয় এর আগে ২৫ অগাস্ট ওই একই ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল সিবিআই। আজ, বৃহস্পতিবার গেল ইডি। জানা যায়, আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার আখতার আলির অভিযোগপত্রে নাম ছিল চন্দনের স্ত্রী ক্ষমা লৌহের। অভিযোগ ওঠে আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে ক্যাফেটেরিয়া খোলার জন্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল চন্দনের স্ত্রীকে। চন্দন লৌহ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। আরজি কর হাসপাতালের একাধিক আর্থিক দুর্নীতিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে চন্দন লৌহর বিরুদ্ধে।

    কালিন্দীতে রয়েছে অকটেন মেডিক্যালের অফিস (RG Kar)

    অন্যদিকে, কালিন্দী হাউসিং এস্টেটে ইডি পৌঁছেছে অকটেন মেডিক্যালের অফিসে (ED Raids)। জানা গিয়েছে, দুই বছর আগেই অফিস শুরু হয়। দেবদত্ত চট্টোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তি এই অফিসের মালিক। সার্জিক্যাল মেশিন সাপ্লাইয়ের কাজ করে দেবদত্ত চট্টোপাধ্যায়ের অফিস। আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে এই কোম্পানি থেকে কিছু মেশিন কেনা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, মেশিনের যা বাজার দর তার থেকে বেশি দামে কেনা হয়েছিল। নথি খতিয়ে দেখতে সেখানে তল্লাশি চলছে। এছাড়াও চিনার পার্কে সন্দীপ ঘোষের পৈতৃক বাড়িতেও ইডির দল পৌঁছেছে বলে খবর। এই বাড়িতেই সন্দীপ ঘোষের বাবা থাকতেন বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার অফার? ডিসি নর্থকে ডেকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের

    RG Kar: নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার অফার? ডিসি নর্থকে ডেকে প্রশ্ন সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ হয়ে সরবও হয়েছে বিভিন্ন মহল। বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলও। এবার আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা। বুধবারই তাঁকে তলব করা হয়েছিল সিবিআই দফতরে। সেইমতো বুধবার সন্ধ্যায় অভিষেক গুপ্তা হাজির হন সিবিআই দফতরে। নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা অফার করার অভিযোগ উঠেছে অভিষেক গুপ্তার বিরুদ্ধে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন ‘অভয়া’র বাবা থেকে কাকিমা সকলেই। অন্যদিকে, বুধবারই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন আরজি করের ৪ জুনিয়র চিকিৎসকও। এদিন দুপুর নাগাদ তাঁদের সিবিআই (CBI) দফতরে ঢুকতে দেখা যায়। আরজি করের খুন-ধর্ষণ মামলাতেই তথ্য জানতে চেয়ে ওই জুনিয়র ডাক্তারদের তলব করা হয়েছিল বলে খবর। 

    ঘটনার দিন নির্যাতিতার বাবাকে টাকা অফার!

    প্রসঙ্গত, অভিষেক গুপ্তার ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররাও। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ ছিল মেয়ের মৃত্যুর পরেই ডিসি নর্থ তাঁদের টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এ ধরনের অভিযোগ ওঠার আবহেই তাঁকে তলব করা হল। প্রসঙ্গত, গত ৮ সেপ্টেম্বরে আরজিকরের আন্দোলনে যোগ দিয়ে ‘অভয়া’র বাবা জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন রাতেই ময়নাতদন্তের পর তাঁর মেয়ের দেহ যখন বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়, তখনই সেখানে ছিল কয়েকশো পুলিশ, দেহ যখন ঘরে শায়িত ছিল, তখনই পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে ডিসি নর্থ তাঁকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

    কেন সিজিওতে তলব চার জুনিরকে?

    সন্ধ্যায় ডিসি নর্থের আগে, দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন আরজি করের চার জুনিয়র ডাক্তার। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে প্রবেশ করেন চারজন। সূত্রের খবর, আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে সিবিআই। এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে হাসপাতালের অন্দরের তথ্য তাঁদের কাছে রয়েছে কি না, তা জানার জন্যই সিবিআই দফতরে ডাকা হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। 

    একাধিক প্রশ্ন আরজি কর (RG Kar) নিয়ে

    প্রসঙ্গত, গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি চলাকালীন ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক সংশয়ের কথা বলেন জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও ময়নাতদন্ত নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছেন। ময়নাতদন্তের চালান কোথায়, তা-ও রাজ্যের থেকে জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সিবিআইয়ের (CBI) তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার (আরজি কর খুন-ধর্ষণ) ক্ষেত্রে (RG Kar) প্রথম পাঁচ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে সিবিআই তদন্তভার নিয়েছে পাঁচ দিন পর। এর ফলে বিষয়টি বেশ চ্যালেঞ্জিং বলেই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: ‘ধর্ষক’ সন্দীপ! ফাঁসির দাবিতে স্লোগান আদালতে, গাড়ি লক্ষ্য করে এল জুতো

    Sandip Ghosh: ‘ধর্ষক’ সন্দীপ! ফাঁসির দাবিতে স্লোগান আদালতে, গাড়ি লক্ষ্য করে এল জুতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুনানি শেষ হতেই একেবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল আলিপুর কোর্টে। এজলাস থেকে বের হতে গিয়ে মহিলা আইনজীবীদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে দেখা যায় সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh)। শুনানি শেষে আদালত কক্ষের ভিতরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে লাগাতার স্লোগান দিতে দেখা যায় আইনজীবীদের। এভাবে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়বে তা কেউ ভাবতে পারেনি।

    বিচারক কী নির্দেশ দিলেন? (Sandip Ghosh)

    মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে সশরীরে হাজির করানো হয় সন্দীপ-সহ চার জনকে। এদিন শুনানিতে সন্দীপকে (Sandip Ghosh) নিজেদের হেফাজতে চায়নি সিবিআই। কারণ, হিসেবে বলা হয়, ইতিমধ্যেই এই ডিজিটাল এভিডেন্স ক্লোনিং করার আবেদন করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয় সিবিআইয়ের (CBI) তরফে। আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সন্দীপ, সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং এবং আফসর আলিকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    আদালতে ঠিক কী ঘটেছে?

    জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে আদালত কক্ষ থেকে সবে বেরিয়েছেন বিচারক। তখনও এজলাসেই বসে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ (Sandip Ghosh) এবং আরও তিন অভিযুক্ত। তাঁদের ঘিরে তৈরি রাখা কড়া নিরাপত্তার বলয়। রয়েছেন পুলিশ কর্মী। রয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। এর মাঝেই সন্দীপকে ‘ধিক্কার’ জানাতে থাকেন এক মহিলা। ক্রমে স্লোগান উঠতে শুরু করে, ‘চোর চোর’, ‘ফাঁসি চাই’। উড়ে আসতে তাকে নানাবিধ হুমকি। সেই সময়েই আদালত কক্ষে ফিরে আসেন বিচারক। হাত জোড় করে বাকিদের চুপ করার অনুরোধ জানান। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইরে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। শেষ পর্যন্ত কড়া প্রহরায় আদালত থেকে বার করিয়ে গাড়িতে চাপানো হয় সন্দীপদের।

    ‘‘তোর বডিগার্ড কোথায়?”

    তবে সেখানেও বাধে গোল। সন্দীপকে পুলিশের যে গাড়িতে তোলা হয়, এ বার সেটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় জুতো। কেউ বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত মহিলা আইনজীবীরা সন্দীপের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। সন্দীপকে ‘ধর্ষক’ সম্বোধন করেও চিৎকার করতে থাকেন কেউ কেউ। তাঁর ফাঁসির দাবিও ওঠে আদালত কক্ষে। এখানেই শেষ নয়। সন্দীপের দাঁত ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন এক জন। তিনি বলেন, “অপরাধী হাসতে পারে না। দাঁত ভেঙে দেব।” এক জন বলেন, “জেলের ভাত কেন খাবে? সরকারের খরচ হবে।” এ ভাবে সন্দীপের উদ্দেশে একের পর এক স্লোগান উঠতে থাকে আদালতকক্ষে। জনৈক এক মহিলা চিৎকার করে বলেন, ‘‘তোর বডিগার্ড কোথায়?”  ‘We Want Justice’ ‘কালপ্রিট সন্দীপ ঘোষ নিপাত যাক’ লাগাতার এই সব স্লোগান উঠতে থাকে সন্দীপের সামনে। সূত্রের খবর, অবস্থা দেখে কার্যত মুখ ঘুরিয়ে নেন সন্দীপ। ততক্ষণে ‘সন্দীপ ঘোষ ধর্ষক। You are a Rapist।’ স্লোগান উঠতে শুরু করেছে।

    আইনজীবীরা কী বললেন?

    সিমন দাস নামে এক আইনজীবী বলেন, “কেন ধর্ষকের (Sandip Ghosh) জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে? আমর প্রতিবাদ করেছি বলে আমাদের আদালত কক্ষ থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে।” অন্য এক আইনজীবী ইশা পাল বলেন, “আদালতের যে দরজা নিয়ে বিচারকেরা যাতায়াত করেন, সেখান দিয়ে সন্দীপকে বার করে নিয়ে আসা হয়েছে। কেন এই বিশেষ ব্যবস্থা?”

    সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, গত ৩ সেপ্টেম্বর যখন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে আদালতে হাজির করেছিল সিবিআই। তখনও আদালতের সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সন্দীপকে আদালত থেকে বার করার সময়েই শুরু হয়েছিল গোলমাল। ‘চোর চোর’ চিৎকার করে একদল মানুষ সন্দীপের দিকে এগিয়ে যায়। সেই সময়েই কোনও এক জন সন্দীপের মাথ পিছন থেকে চাঁটি মারেন বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই পরিস্থিতি থেকে কোনও রকমে সন্দীপকে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে গাড়িতে তুলেছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সে দিনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই মঙ্গলবার সন্দীপদের ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আলিপুর আদালত। মঙ্গলবার সশরীরে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

    RG Kar: অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল নির্যাতিতার গবেষণাপত্র। এই গবেষণার বিষয়ে জানতে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা মৃতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতার ওই গবেষণাপত্র জোর করে অন্যজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই খবর। তদন্তকারীরা জানতে চেষ্টা করছেন সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত! প্রসঙ্গত নির্যাতিতার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তর স্তরে একটি থিসিস পেপার তাঁদের জমা (RG Kar) দিতে হয়। ওই পেপারটি জমা দেওয়ার নিয়ম থার্ড ইয়ারে। কিন্তু প্রথম বছর থেকেই সেই কাজ শুরু করে দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সহকারী অধ্যাপককে জানাতে হয় থিসিস লেখার বিষয়টি এবং লিখিত আকারে তা এথিক্স কমিটিতে পাঠানো হয়। এথিক্স কমিটি পাশ করলে গবেষণার সারমর্ম পাঠানো হয় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই শুরু করা যায় মূল গবেষণা। নির্যাতিতার এক বন্ধু ইতিমধ্যে দাবি করেছেন, দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি হয়ে যাওয়ার পরে নির্যাতিতার থিসিস পেপারের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে তা হাত বদল করে দেওয়া হয় এবং জোর করে অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়। 

    ওই অধ্যাপক ও জুনিয়র ডাক্তার সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায়

    ওই থিসিস পেপার অন্য একজনকে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এক অধ্যাপক। যাঁকে ওই থিসিস পেপার দেওয়া হয়েছিল এবং ওই অধ্যাপক- দুজনেই এখন সিবিআই-এর আতসকাচের তলায় (CBI)। জানা গিয়েছে, প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ছেলেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এখানেই বারবার সন্দেহ দানা বাঁধছে যে জোর করে থিসিস পেপার অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার হল সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত? মৃতার এক বিশেষ বন্ধুর বলছেন, ‘‘প্রভাবশালী এক জনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একটি ছেলে নানা কলকাঠি নেড়েছে। নানা দিক দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে। এর প্রতিবাদ করার খেসারত দিতে হল কি না, সেটা তদন্ত করে বার করা হোক।’’

    কী বলছেন মৃতার বাবা

    মৃতার বাবা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন, সন্দেহজনক কিছু দেখেছি কি না। মেয়ে কিছু বলত কি না। একটাই বিষয় আমাদের ভাবাচ্ছে। মেয়ে বলেছিল, ওর লেখা থিসিস পেপার (RG Kar) অন্য এক জনকে দিয়ে দেন ভিপি (ভিজিটিং প্রফেসর)। মেয়েকে তিনি হঠাৎ করে বলেন, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। প্রথমে কিছু মনে হয়নি। আমার মেয়ে পড়াশোনায় যেমন ভালো ছিল, তাতে নতুন পেপার করা ওর জন্য কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে এটা করা হতে পারে? তবে কি কারও নিশানায় পড়ে গিয়েছিল মেয়ে?’’

    ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা (RG Kar)

    নির্যাতিতার অন্য এক বন্ধুর দাবি, ‘‘দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি সময় হয়ে গিয়েছে বলে কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল ওর গবেষণাপত্রের। এর মধ্যে হঠাৎ ওকে (মৃতাকে) ডেকে বলা হয়, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। এই বিষয়টা ভালো, ওকে (মৃতা যে বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন, সেই বর্ষেরই আর এক জনের নাম করে) দিয়ে দিচ্ছি। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিল ও (মৃতা)।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘সিনিয়রদের অনেক গবেষণাপত্র নিয়ে একটু অদলবদল করে কাজ চালিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এক জনের নিজস্ব ভাবনা অন্য এক জনকে দিয়ে দেওয়ার এই ব্যাপার আগে দেখিনি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: পরের শুনানি ১৭ই, আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের সুপ্রিম-নির্দেশ

    Supreme Court: পরের শুনানি ১৭ই, আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের সুপ্রিম-নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করকাণ্ডে সিবিআইকে (CBI) দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করার নির্দশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। সোমবার মামলাটির শুনানি হয় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থাকে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

    দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশের নির্দেশ (Supreme Court)

    সিবিআই অবশ্য এদিন একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট খুঁটিয়েও পড়ে ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, “সিবিআই তদন্ত যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তা চলুক। তার পর আরও একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করুক সিবিআই।” সে ক্ষেত্রে পরের মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানি হতে পারে এই মামলার। তিনি বলেন, “তদন্তে যাতে প্রভাব না পড়ে, তাই ওপেন কোর্টে কিছু মন্তব্য করতে চাই না। আগামী সোমবার তদন্তের আবার একটা স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিন। তদন্তে নতুন কী তথ্য উঠে এল, তা নিয়ে আগামী সোমবার স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই।” আইনজীবীদের একাংশের মতে, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশেই পরিষ্কার যে তদন্তের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সিবিআইয়ের ওপর চাপ রাখছে শীর্ষ আদালত। সেই কারণেই দ্রুত দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে (Supreme Court)। 

    সিব্বলকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির

    এই মামলায় রাজ্যের হয়ে আদালতে সওয়াল করছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। প্রধান বিচারপতি তাঁকে বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযুক্ত কখন ঢুকছে বা কখন বের হচ্ছে। ভোর সাড়ে ৪টের পরের সিসিটিভি ফুটেজও কি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে?” সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, ২৭ মিনিটের মোট চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। তিনি বলেন, “ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম পাঁচ ঘণ্টা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সময় অসংখ্য লোককে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। পাঁচ দিন পর যখন আমরা তদন্ত শুরু করেছি, তখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।”

    এদিকে, এদিনই দুপুর তিনটের মধ্যে সিআইএসএফের থাকার বন্দোবস্তের সমস্যা মেটাতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। স্বরাষ্ট্র দফতরের সিনিয়র অফিসার এবং সিআইএসএফের সিনিয়র অফিসাররা আলোচনা (CBI) করে পুরো বন্দোবস্ত করবেন (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Rape-Murder: অভয়ার খুনের দিন রক্ত ধুতে হাসপাতালের রুমে স্নান করেন জুনিয়র ডাক্তার! বিস্ফোরক তথ্য

    RG Kar Rape-Murder: অভয়ার খুনের দিন রক্ত ধুতে হাসপাতালের রুমে স্নান করেন জুনিয়র ডাক্তার! বিস্ফোরক তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder) চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় এবার আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে উঠে এসেছে। এবার সিবিআই-এর রেডারে এক জুনিয়র ডাক্তার। ৯ অগাস্ট ঘটনার দিন চেস্ট মেডিসিন বিভাগের ভেঙে ফেলা বাথরুমে স্নান করেছিলেন ওই জুনিয়র ডাক্তার। নার্সকে তিনি নাকি বলেছিলেন, গায়ে রক্তের দাগ লেগে আছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (CBI) তদন্তে অভয়ার মামলায় উঠে আসা এই তথ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    জামায় রক্তের দাগ লেগে গিয়েছে (RG Kar Rape-Murder)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্তব্যরত নার্স বলেন, “ওই জুনিয়র ডাক্তার আমাকে বলেছিলেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স ওয়ার্ডের ৪ নম্বর বেডে (RG Kar Rape-Murder) একজন মহিলা রোগী ছিলেন। তাঁকে পিআরবিসি দেওয়ার সময় জামায় রক্তের দাগ লেগে গিয়েছে।” এখন প্রশ্ন উঠেছে, পিআরবিসি দেওয়ার সময় কি কোনও কর্তব্যরত নার্স এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন? প্রশ্নের জবাব খুঁজতে এবার নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। একই নার্সকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, ওই জুনিয়র ডাক্তারকে আগে কোনও সময় তিনি দেখেননি। তাছাড়া নাম জানতে চাইলেও জানাননি।

    আরও পড়ুনঃ জনতার রায় জানতে রাস্তাতেই ‘আদালত’ জুনিয়র ডাক্তারদের, চলছে ‘অভয়া ক্লিনিক’

    সিবিআই সূত্রে বক্তব্য

    অপর দিকে সিবিআইকে (CBI), নার্স যে বয়ান দিয়েছেন, সেই সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৯টা নাগাদ তাড়াহুড়ো করে রেজিস্ট্যান্স ওয়ার্ডে ঢোকেন জুনিয়র ডাক্তার। ফ্রিজ খুলে কিছু একটা খোঁজ করছিলেন তিনি। নার্স জানতে চাইলে জুনিয়র ডাক্তার বলেন, পিআরবিসি খুঁজছেন। এক রোগীকে দেবেন। যেহেতু শীতল পিআরবিসি চালানো যায় না, তাই রাত সড়ে ১০টা নাগাদ এসে পিআরবিসি চালান। রাত আড়াইটে পর্যন্ত চলে। এই সময়ের মধ্যে দু’বার রোগীর কাছে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর হাতে গ্লাভস ঠিকমতো পরা রয়েছে কিনা, তা জানতে চাইলে, নার্সকে জুনিয়র ডাক্তার বলেন, গায়ে রক্ত লেগে আছে, তাই স্নান করব। যদিও মাত্র আড়াই হাত দূরে থাকলেও নার্সের নজরে রক্ত আসেনি। তবে ওই ডাক্তার ট্রান্সফিউশন নোট দিয়েছিলেন (RG Kar Rape-Murder)। উল্লেখ্য ঠিক ওই সময়ের মধ্যে আরও এক জুনিয়র ডাক্তার ওই ওয়ার্ডে এসেছিলেন। তবে তা সাড়ে ১০টার আগের ঘটনা। নার্স জানতে চেয়েছিলেন, কে পিআরবিসি চালাবেন? কিন্তু জুনিয়র বলেন, আগেরজনই অর্থাৎ যাকে নার্স আগে কোনওদিন দেখেননি, তিনিই চালাবেন। বর্তমানে সেই জুনিয়র ডাক্তারের খোঁজ করছে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ফের নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই, দীর্ঘক্ষণ কথা, পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বাবা-মা?

    RG Kar Incident: ফের নির্যাতিতার বাড়িতে সিবিআই, দীর্ঘক্ষণ কথা, পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বাবা-মা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটনার পর প্রায় এক মাস অতিক্রান্ত। তদন্তের দাবিতে আন্দোলন চলছে। বিচারের আশায় দিন গুনছেন আরজি করের (RG Kar Incident) নির্যাতিতার বাবা-মা-পরিবার-পরিজন থেকে সবাই। তারই মধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের কথা শুনতেই ২৮ অগাস্টের পর ৬ সেপ্টেম্বর, ফের একবার নির্যাতিতার বাড়িতে গেলেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। যদিও কী কথা হয়েছে, সে নিয়ে মুখ খোলেননি কেউই। 

    কী কী নিয়ে আলোচনা

    সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি, আরজি কর-কাণ্ড (RG Kar Incident) নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে যে সব সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে তাঁদের। এর আগে ২৮ অগাস্ট নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের (CBI) দুই আধিকারিক। সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, কিছু তথ্য সংগ্রহ করে চলে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বাবা-মা দাবি করেছেন, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তদন্তকারীরা। তদন্তকারীরা নিজেদের সেরাটা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানান তাঁরা। তদন্তকারীদের সঙ্গে আর কী কথা হয়েছে, তা বিশদে জানাতে চাননি নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে তদন্তের যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, সেই দাবি তোলেন তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: ১৪ অগাস্টের পর ৮ সেপ্টেম্বর, সেই রিমঝিমরা আবার ডাক দিলেন ‘মেয়েদের রাত দখল’-এর

    বিরোধীদের দাবি

    বুধবার রাতে আরজি করের (RG Kar Incident) আন্দোলনকারীদের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করার গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন তাঁরা। সেই সূত্রে ঘটনার তদন্তের দাবি উঠেছিল। সূত্রের দাবি, এ ব্যাপারেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে শুক্রবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। বুধবার আরজি করে দাঁড়িয়ে নির্যাতিতার বাবার স্পষ্ট কথা ছিল, মেয়ের দেহ যখন দাহ করা হয়নি তখন বাড়িতেই ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা তাঁকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন! কিন্তু তিনি সেই টাকা নেননি। যদিও এই টাকা রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণের টাকা কিনা তা স্পষ্ট করে বলেননি নির্যাতিতার বাবা-মা। এরপরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, অবিলম্বে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক। তারপরই নির্যাতিতার বাড়িতে ফের তদন্তকারীদের (CBI) উপস্থিতি ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share