Tag: Chennai

Chennai

  • Brazil Legends vs India All Stars: কাকা-রোনাল্ডিনহোদের সঙ্গে স্বপ্নের ম্যাচ! ব্রাজিল লিজেন্ড দলের বিরুদ্ধে খেলবে ইন্ডিয়া অল স্টার

    Brazil Legends vs India All Stars: কাকা-রোনাল্ডিনহোদের সঙ্গে স্বপ্নের ম্যাচ! ব্রাজিল লিজেন্ড দলের বিরুদ্ধে খেলবে ইন্ডিয়া অল স্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিল বনাম ভারত আদৌ (Brazil Legends vs India All Stars) কখনও দেখা যাবে কি না সময়ই বলবে। তবে আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই ভারতের বুকে বসতে চলেছে বিশ্ব ফুটবলের কিংবদবন্তীদের নিয়ে আসর। চেন্নাইয়ের জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের মাঠে রবিবার ৩০ মার্চ এক দুরন্ত ফুটবল ম্যাচের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারতীয় ফুটবল প্রেমীরা। যে ম্যাচে মাঠে নামবেন ২০০২ সালে ব্রাজিলকে ফুটবল বিশ্বকাপ জেতানো নাম করা সব তারকারা। দুঙ্গার কোচিংয়ে রিভাল্ডো, রোনাল্ডিনহো, কাকা, কাফু, গিলবার্তো সিলভা-দের বিরুদ্ধে খেলতে দেখা যাবে সুব্রত পাল, মহেশ গাউলিদের মতো সদ্যপ্রাক্তন তারকাদের।

    কাকা-রোনাল্ডিনহোদের সঙ্গে খেলার অপেক্ষা

    ২০০২ সালে কোরিয়া-জাপানের বিশ্বকাপ এখনও ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে রোনাল্ডো, রিভাল্ডোদের জন্য। শেষ আটে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রি-কিকে রোনাল্ডিনহোর সেই বিস্ময় গোল। ফাইনালে দুর্ধর্ষ জার্মানির বিরুদ্ধে রোনাল্ডোর জোড়া গোল। বিশ্বকাপ হাতে রি‌ভাল্ডো ও রোনাল্ডিনহো-র সাম্বা। টেলিভিশনের পর্দায় দেখা স্বপ্নের নায়কদের ভারতের মাটিতে প্রথমবার একসঙ্গে খেলতে দেখবেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। এর আগে বিক্ষিপ্তভাবে রোনাল্ডিনহো, কাফু, রোমারিওরা কলকাতা-তথা ভারতে এসেছেন। লুসিও খেলে গিয়েছেন আইএসএলের ক্লাবে। তবে এভাবে ফুটবল ম্যাচে (Brazil Legends vs India All Stars) সেভাবে খেলতে দেখা যায়নি ব্রাজিলের কিংবদন্তীদের। এবার সেটাই সম্ভব হয়েছে। ৩০ মার্চ ব্রাজিল লিজেন্ড দলের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে ইন্ডিয়া অল স্টার দল। সেই ম্যাচের টিকিট প্রায় নিঃশেষ। খেলা শুরু সন্ধে ৭টায়। ব্রাজিলের হয়ে খেলবেন কাকা-রোনাল্ডিনহোরা। ব্রাজিল শিবিরে যেমন থাকছেন রোনাল্ডিনহো, রিভাল্ডো, কাকা, লুসিওর মতো বিশ্বকাপজয়ী তারকারা। তেমন ভারতীয় ব্রিগেডে থাকছেন মেহতাব হোসেনের মতো ভারতীয় ফুটবলের চেনা মুখ। ইন্ডিয়া অল স্টার দলের কোচ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ব্রাজিল লিজেন্ডস বনাম ইন্ডিয়া অল-স্টার প্রদর্শনী ম্যাচের (Brazil Legends vs India All Stars) টিকিটের দাম ১,০০০, ১,৫০০ এবং ২,৫০০ টাকা।

  • Chennai Vladivostok Maritime Corridor: চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর চালু, আরও মজবুত হবে ভারতীয় অর্থনীতি

    Chennai Vladivostok Maritime Corridor: চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর চালু, আরও মজবুত হবে ভারতীয় অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও মজবুত হল ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের (India Russia Relation) গাঁটছড়া। সমুদ্রপথে এবার নয়া করিডর (Chennai Vladivostok Maritime Corridor) ব্যবহার শুরু করল দুই দেশ। এতদিন রাশিয়া থেকে পণ্য আমদানি করতে বা সেদেশে পণ্য রফতানি করতে হলে ভারতকে পার হতে হত সুয়েজ খাল। এই খাল সদা ব্যস্ত। ‘ট্রাফিক জ্যাম’ এড়াতে নতুন ‘বাইপাস’ ব্যবহার শুরু করেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। এতে লাভ হচ্ছে দু’দিক থেকে। একদিকে, যেমন এড়ানো যাবে জ্যাম, তেমনি অন্যদিকে ফাঁকায় ফাঁকায় অল্প সময়েই পৌছে যাওয়া যাবে পুতিনের দেশে। তাতে কমবে পরিবহণ খরচ। বিশেষজ্ঞদের মতে, নয়া এই বাইপাস চালু হওয়ায় আরও পোক্ত হবে ভারতীয় অর্থনীতির ভিত। ভারতীয় অর্থনীতিতে এটি হয়ে থাকবে একটি মাইলফলক।

    ‘সাগর মন্থন’ (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)

    গত ১৮ নভেম্বর ‘সাগর মন্থন’ সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌ পরিবহণ এবং জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। সেখানেই তিনি জানিয়েছিলেন, চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর পুরোপুরিভাবে চালু হয়েছে। এই বাইপাস ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পণ্য পরিবহণও। সুয়েজ খাল ধরে ইউরোপে বাণিজ্য করতে যেতে জাহাজগুলির সময় লাগে ৪০ দিন। এরই বিকল্প হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল নয়া এই সামুদ্রিক করিডর। এর ফলে রাশিয়া যাতায়াতে কমবে সময়, বাঁচবে খরচ। এতদিন ধরে ভারত ইউরোপের সঙ্গে জলপথে যে বাণিজ্য করত, তা হত সুয়েজ খাল ধরে (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)। এই পথে বাণিজ্য করতে গেলে পাড়ি দিতে হয় ৮ হাজার ৬৭৫ নটিক্যাল মাইল। 

    কমবে সময়, অর্থ খরচ

    সুয়েজ খালের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে মিশরের হাতে। তাই এ পথে বাণিজ্য করতে হলে মোটা টাকা ফি দিতে হয় মিশরকে। এর পরিমাণ নেহাত কম নয়, জাহাজপিছু প্রায় ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। চেন্নাই-ভ্লাদিভস্তক সামুদ্রিক করিডর ব্যবহার করলে আর এই কড়ি গুণতে হবে না। শুধু তাই নয়, নয়া সামুদ্রিক করিডর ধরে যদি কোনও জাহাজ রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তকে পৌঁছতে চায়, তার সময় লাগবে ১৬ থেকে ২০ দিন। চেন্নাই থেকে এই বন্দরের দূরত্ব ৫ হাজার ৬৪৭ নটিক্যাল মাইল। তাই স্বাভাবিকভাবেই সময় লাগবে কম। রাশিয়ার শহর (India Russia Relation) ভ্লাদিভস্তকের কৌশলগত গুরুত্ব বিস্তর। এখানেই রয়েছে রাশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় সবচেয়ে বড় সমুদ্র বন্দর। এই বন্দর থেকে চিনের দূরত্ব খুব বেশি হলে ৫০ কিলোমিটার। এই পথেই যাতায়াতের কালে পার হতে হবে জাপান সাগর, দক্ষিণ চিন সাগর, মলাক্কা প্রণালী, বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান ও নিকোবরের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক এলাকা (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)।

    অনায়াস যোগাযোগ

    ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তার জেরে রাশিয়া থেকে তেল কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশ। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকাও। সেসব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল কিনে চলেছে ভারত। এবং সেই জীবাশ্ম জ্বালানি আসছে নয়া আবিষ্কৃত সামুদ্রিক করিডর বেয়ে। রাশিয়া থেকে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও আসছে এই সমুদ্রপথে। আবার ভারত থেকে রাশিয়ায় চলে যাচ্ছে চা, বস্ত্র, ফার্মা, মেশিনের যন্ত্রপাতি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী। এই সামুদ্রিক করিডর চালু হওয়ার সুবিধা অনেক। ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গেও যোগাযোগ হবে অনায়াস। ফলে এই দুই জায়গা থেকেও সিভিএমসির মাধ্যমে অনায়াসেই রফতানি সামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া যাবে রাশিয়া-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।

    রেয়াত করতে হবে না কাউকেই

    এহ বাহ্য। মিশরের সঙ্গে চিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আবার ভারতের সঙ্গে বেজিংয়ের সম্পর্ক অম্লমধুর। তাই অদূর ভবিষ্যতে যদি চিনের কথায় মিশর ভারতের জন্য সুয়েজ খালের পথ বন্ধ করে দেয়, তখন আর বিপাকে পড়তে হবে না ভারতকে। কারণ বিকল্প রুট তার খোলাই রয়েছে। তাই সুয়েজ-নির্ভরতা কমালে আদতে লাভবান হবে ভারত এবং রাশিয়া দুই দেশই। সেক্ষেত্রে আর মিশর কিংবা চিন কাউকেই আর রেয়াত করে চলতে হবে না ভারতকে। নয়া আবিষ্কৃত করিডর দিয়ে ভারত বাণিজ্য করবে নিজের শর্তেই। এসব বিষয় মাথায় রেখেই দীর্ঘদিন ধরে বিকল্প পথের সন্ধান (Chennai Vladivostok Maritime Corridor) করে চলেছিল নয়াদিল্লি। শেষমেশ মিলল বিকল্প রুটের সন্ধান। এই পথে বাণিজ্য করলে আদতে লাভবান হবে ভারত এবং রাশিয়া দুই দেশই। ভারতের পাশাপাশি গতি আসবে রুশ অর্থনীতিতেও।

    আরও পড়ুন: ‘‘এঁরাই সংসদে হাঙ্গামা বাধাচ্ছেন’’, অধিবেশন শুরুর আগে তোপ মোদির, নিশানায় কারা?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোনওয়াল বলেন, “এই সামুদ্রিক করিডরের মাধ্যমে ভারত ও রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন করে সংজ্ঞায়িত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মাধ্যমে (India Russia Relation) পশ্চিমের আধিপত্য এবং ঐতিহ্যগত সাপ্লাই চেইনের ওপর নির্ভরতা কমাতে পেরেছি আমরা (Chennai Vladivostok Maritime Corridor)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • IAF Event: চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    IAF Event: চেন্নাইয়ের মেরিনা বিচে এয়ার শো দেখতে ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত! প্রবল গরমে মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ভিড়কেও ছাপিয়ে গেল বায়ুসেনার শো-এর (IAF Event) ভিড়! মুহূর্তের আনন্দ পরিণত হল বিষাদে। চেন্নাইয়ে বায়ুসেনার মহড়া দেখতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় এবং গরমের চোটে কমপক্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, অসুস্থ ২৩০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের সকলেই তামিলনাড়ুর (Chennai) বাসিন্দা। ভারতীয় বায়ুসেনার ৯২ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল গ্র্যান্ড এয়ার শো-র। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়েছিলেন লক্ষাধিক মানুষ, কিন্তু আনন্দের জায়গায় তাতে বিষাদের সুর ছড়াল। 

    কেন এই দুর্ঘটনা

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছিল বায়ুসেনার (IAF Event) এই অনুষ্ঠান দেখতে। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলে। তবে সাধারণ মানুষ সকাল ৭টা-৮টা থেকেই হাজির হয়েছিলেন ভালো বসার জায়গা পাওয়ার আশায়। একে ভিড়, তার মধ্যে দীর্ঘক্ষণ চড়া রোদে থাকায় ডিহাইড্রেশন হয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন শতাধিক মানুষ।

    প্রশাসনের যুক্তি

    তামিলনাড়ুতে (Chennai) এখন তীব্র গরম। তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বহু মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান সংগঠনে প্রশাসনের কোনও ত্রুটি ছিল না। দাবদাহের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তামিলনাড়ুর দুই বিরোধী দল বিজেপি এবং এডিএমকে সামগ্রিক ‘অব্যবস্থা’ এবং তিন জনের মৃত্যুর জন্য রাজ্যের ডিএমকে সরকারকে দায়ী করেছে।

    আরও পড়ুন: ধর্মতলায় আমরণ অনশন জুনিয়র ডাক্তারদের, এবার যোগ দিলেন আরজি করের অনিকেত

    দোকানপাট বন্ধ, ব্যাপক যানজট

    শুধু মূল অনুষ্ঠানস্থলই নয়, মেরিনা বিচ (Chennai) সহ শহরের একাধিক জায়গাতেই দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় জমেছিল। এর ফলে ব্যাপক যানজটের (IAF Event) সৃষ্টি হয়। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তবে, অনুষ্ঠানে যাঁরা যোগ দিতে এসেছিলেন, তাঁদের অভিযোগ, এয়ার শো-এর জন্য রাস্তার ধারের সমস্ত দোকানপাট সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে অসুস্থবোধ করলেও, সামান্য জলটুকুও পায়নি মানুষ। অনেকে অনুষ্ঠান শুরুর আগেই জ্ঞান হারান। ব্যাপক যানজটের ফলে হাসপাতালে পৌঁছতেও দেরি হয়। এর ফলেই কয়েকজন প্রাণ হারান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    Air Pollution: ভারতের বড় শহরগুলিতে ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ বায়ুদূষণ! গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গবেষণায় উঠে এল বিরাট তথ্য। দূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতি বছর ভারতে মৃত্যু হচ্ছে ৩৩ হাজার মানুষের। সম্প্রতি ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নাল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দূষণ সংক্রান্ত সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, কলকাতা সহ ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে (Indian Cities) প্রতি বছর বায়ুদূষণের বলি হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তাই দূষিত বায়ুর (Air Pollution) বিপদ থেকে নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য অবশ্যই হু-র দেওয়া নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত ভারতের, এমনটাই জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। গবেষণাটি সাসটেইনেবল ফিউচার কোলাবোরেটিভ, অশোকা ইউনিভার্সিটি, সেন্টার ফর ক্রনিক ডিজিজ কন্ট্রোল, সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট, হার্ভার্ড এবং বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

    ঠিক কী জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনে? 

    সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ভারতের বড় বড় ১০টি শহরে বায়ুদূষণের (Air Pollution) কারণে প্রতিবছর ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। ওই ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে বায়ুদূষণের কারণে দৈনিক মৃত্যুর হার ৭ শতাংশেরও বেশি। এই শহরগুলির (Indian Cities) তালিকায় রয়েছে কলকাতা, আমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বই, পুণে, সিমলা, এবং বারাণসী। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি, যেখানে প্রতি বছর ১২ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এরপর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বই। এখানে মৃত্যু সংখ্যা ৫ হাজার ১০০। আর কলকাতায় সেই সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০। অন্যদিকে,  চেন্নাইয়ে বায়ুদূষণের কারণে বছরে ২ হাজার ৯০০ জন মানুষ মারা যান। বেঙ্গালুরুতে সেই সংখ্যা ২ হাজার ১০০ এবং বারাণসীতে ৮৩০। মৃত্যুর নিরিখে তালিকায় সবচেয়ে নিচে রয়েছে সিমলা, যেখানে বছরে বায়ুদূষণের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে কম, মাত্র ৫৯।  

    আরও পড়ুন: শিবের মাথায় জল দেবেন ভক্তরা, কানওয়ার যাত্রার রাস্তায় মাংস বিক্রি বন্ধ করলেন যোগী

    এর থেকে বাঁচার উপায় কী? (Air Pollution) 

    এ প্রসঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সহ-লেখক জোয়েল শোয়ার্টজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ”এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ভারতের যা পরিস্থিতি সেখানে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণই একমাত্র পথ। একমাত্র বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই প্রতি বছর কয়েক হাজার জীবন বাঁচাতে পারে। অন্যান্য দেশে যেভাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ হয়, সে সব পদ্ধতিগুলি ভারতে জরুরীভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ জানিয়েছে যে, পৃথিবীতে প্রায় সকলেই বায়ুদূষণের (Air Pollution) প্রস্তাবিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে দূষিত বায়ু গ্রহণ করে, যা স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এর ফলেই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুর হার। 
      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian ports: দেশের সাফল্য! বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বন্দরের তালিকায় জায়গা পেল ভারতের ৯টি

    Indian ports: দেশের সাফল্য! বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বন্দরের তালিকায় জায়গা পেল ভারতের ৯টি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের জন্য আরও এক গৌরবময় অধ্যায়। বুধবার এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কনটেইনার পোর্ট পারফরম্যান্স ইনডেক্সের সর্বশেষ সংস্করণে বিশ্বব্যাঙ্কের তালিকায় শীর্ষ ১০০টির মধ্যে ভারতীয় বন্দরের (Indian ports) সংখ্যা ৯টি। বন্দরগুলির দক্ষতা এবং সামগ্রিক কর্মক্ষমতা পরিমাপ করে এই বিশ্বব্যাপী কনটেইনার পোর্ট পারফরম্যান্স ইনডেক্স তৈরি করেছে বিশ্বব্যাঙ্ক এবং এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইন্টেলিজেন্স। এই তালিকায় বিশ্বের সেরা ১০০ বন্দরের তালিকা দেওয়া হয়েছে।

    শীর্ষ তালিকায় ভারতের কোন কোন বন্দর? (Indian ports) 

    জানা গিয়েছে, ভারতের এই ৯টি বন্দরের মধ্যে বিশাখাপত্তনম বন্দর বিশ্বের শীর্ষ ২০টি বন্দরের মধ্যে ১৯তম স্থান দখল নিয়েছে। মুন্দ্রা বন্দর বর্তমান র‍্যাঙ্কিয়ে ২৭ নম্বরে উঠে এসেছে। এই দুটি বন্দর ছাড়াও আরও সাতটি ভারতীয় বন্দর, যারা শীর্ষ ১০০-র মধ্যে স্থান অর্জন করেছে। সেগুলি হল— পিপাভাভ (৪১ তম স্থান), কামারাজার (৪৭ তম স্থান), কোচিন (৬৩ তম স্থান), হাজিরা (৬৮ তম স্থান), কৃষ্ণপত্তনম (৭১ তম স্থান), চেন্নাই (৮০ তম স্থান) এবং জওহরলাল নেহরু বন্দর (৯৬ তম স্থান)। 

    আরও পড়ুন: প্রত্যেক হিন্দুর উচিৎ ২০ জুন ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করা! জানুন এই দিনের ঐতিহাসিক তাৎপর্য

    সর্বানন্দ সোনোয়ালের মন্তব্য   

    এই উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় জাহাজ পরিবহণ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, ভারতীয় বন্দরগুলির (Indian ports) জন্য এটি একটি গৌরবের বিষয়।” তাঁর মতে, জাহাজের দক্ষ পরিচালনায় ও পণ্যের সরবরাহের মাধ্যমে ভারতীয় বন্দরগুলির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি ভারতীয় বন্দরগুলির জন্য একটি অসাধারণ অর্জন। এটি নরেন্দ্র মোদি সরকারের আধুনিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণের উল্লেখ্যযোগ্য উদাহরণ। ভারতীয় বন্দরগুলির এই সাফল্য পরবর্তীতে তাদের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে এবং দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রযুক্তিগতভাবে সচেতন করতে যথেষ্ট সহায়তা করবে। জাহাজ ও পণ্যসম্ভারের দক্ষ পরিচালনায় বিভিন্ন অপারেশনাল দক্ষতা এবং পরিষেবা সরবরাহের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ, আমরা সাগরমালার মতো উচ্চাভিলাষী উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের বন্দরগুলির দক্ষতা উন্নত করার কাজ করতে সক্ষম হয়েছি। এটি আমাদের বিশ্ব-বাজারের স্থিতিশীলতা এবং ভারতের সামুদ্রিক শিল্পের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। অন্যদিকে, নতুন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে এবং সবুজ পরিকাঠামো তৈরি করতে সাহায্য করেবে। এই বিষয়ে নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে, আমরা নিশ্চিত যে ভবিষ্যতে ভারতীয় সামুদ্রিক রুট তথা মেরিটাইম গেটওয়েগুলির স্থিতিস্থাপকতা এবং দক্ষতাকে আরও উন্নত করবে এবং বন্দরের নেতৃত্বাধীন অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাড়িয়ে তুলবে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুনের হুমকি-ফোন! চেন্নাইয়ে সতর্ক এনআইএ আধিকারিকরা

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে খুনের হুমকি-ফোন! চেন্নাইয়ে সতর্ক এনআইএ আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির নর্থ ব্লকে বিস্ফোরণের হুমকির পর এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) মেরে ফেলার হুমকি ফোন পেল এনআইএ ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের (Chennai) পুরশৈবকমে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-র কার্যালয়ে এই ফোন আসে ৷ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি এনআইএ-র কন্ট্রোল রুমে ফোন করে হিন্দি ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে খুন করার হুমকি দেয় ৷

    প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি ফোন

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) মেরে ফেলার হুমকি শুনেই সতর্ক হয়ে যায় এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে চেন্নাই পুলিশে খবর দেয় ৷ যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, সেই নম্বরটিও পুলিশকে দেওয়া হয়েছে ৷ চেন্নাইয়ের সাইবার ক্রাইম পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে ৷ কোথা থেকে এই ফোন এসেছিল ? ফোন করতে কোন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে ? সাইবার ক্রাইম পুলিশ এই তথ্যগুলির সন্ধান করছে ৷ তবে মনে করা হচ্ছে বিষয়টি পুরোপুরি ভুয়ো। ভয় দেখানোর জন্য এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবুও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন তুলতে চায় না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই সব দিক খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শ্বাসরোধ করেই খুন বাংলাদেশি সাংসদকে, টুকরো করে লোপাট করা হয় দেহাংশ!

    বোমা হামলার হুমকি

    এর আগে বধুবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দিল্লির নর্থ ব্লকে বোমা হুমকির মেল আসে ৷ সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কার্যালয় রয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, কুকুরের স্কোয়াড, বম্ব স্কোয়াড ৷ তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও কিছু পাওয়া যায়নি ৷ পরে এই মেলকে ভুয়ো মেল বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ৷ দেশ এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এসময় এরকম অনেক হুমকি আসে।  এর আগে দিল্লির কিছু হাসপাতালে ও ৭০ এর বেশি দিল্লি ও নয়ডার স্কুলে বোমা হামলার হুমকি এসেছিল। কলকাতাতেও কিছুদিন আগে এরকম এক উড়ো মেলের খবর রটেছিল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: বানভাসি চেন্নাইয়ের রাস্তায় কুমির! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু

    Cyclone Michaung: বানভাসি চেন্নাইয়ের রাস্তায় কুমির! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’-এর (Cyclone Michaung) প্রভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে অন্ধ্র এবং তামিলনাড়ুর উপকূলবর্তী এলাকাগুলি। ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির তাণ্ডবে গাছগাছালি উপড়ে সমগ্র উপকূলীয় এলাকাগুলি এখন প্রায় বিদ্যুৎবিহীন। ইতিমধ্যেই ভারী বৃষ্টির জেরে বানভাসি চেন্নাইয়ে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। চেন্নাইয়ের নিচু এলাকাগুলোতে জল ঢুকছে। এর মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চেন্নাইয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় বহাল তবিয়তে হেঁটে-চলে যেতে দেখা গেল একটি কুমিরকে। রাস্তা না নদী বোঝা দায়।

    অন্ধকার রাস্তায় কুমির 

    ভাইরাল ভিডিও-য় দেখা গিয়েছে, চেন্নাইয়ের পেরুনগালাতুর এলাকায় রাস্তার উপরেই একটি কুমির ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাতের অন্ধকারে রাস্তার ওপর দিয়েই হেঁটে যাচ্ছে কুমির। গাড়ির আলোয় সেটি চোখে পড়তেই গাড়ি থামিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করতে শুরু করেন চালক। সোশ্যাল মিডিয়ায় শহরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন চেন্নাই শহরের বাসিন্দারা। অনেকে ভিডিওর নীচে কমেন্ট করেছেন, “আগে ছিল সাপ, মাছ। এখন এসে গেছে কুমিরও। চেন্নাই শহর এখন পুরোপুরি একটা অ্যাকোয়ারিয়াম।” তবে, ভিডিওতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তামিলনাড়ুর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং বন বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুপ্রিয়া সাহু মানুষজনকে অনুরোধ করেছেন যে, সরীসৃপটিকে দেখতে পেলে কেউ যেন তার কাছে না যান। 

    বিপর্যস্ত চেন্নাই

    ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টিপাতের জেরে সোমবার থেকেই চেন্নাই (Chennai) এবং সংলগ্ন জেলাগুলোতে সরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী দুদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বেসরকারি অফিসগুলোও কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। বিধ্বস্ত চেন্নাই বিমানবন্দরও। জলের তলায় চলে গিয়েছে রানওয়ে। রাত ১১টা পর্যন্ত বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ১২টি অভ্যন্তরীণ বিমান এবং ৪টি আন্তর্জাতিক বিমান বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি বিমান বেঙ্গালুরুতে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাতিল হয়েছে বহু ট্রেনও।

    রাতভর ভারী বৃষ্টির দাপটে ব্যাহত হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবাও। চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকটা এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বিঘ্নিত হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। ঝুঁকি এড়াতে শহরের অন্যতম বাসিন ব্রিজে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। চেন্নাইয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনার মাদ্রাজ ইউনিট। মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও (এনডিআরএফ)। নদীতে পরিণত হয়েছে শহরের বিভিন্ন রাস্তা। কোথাও জল দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও আবার জলের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। না বলে দিলে মনে হবে যেন বয়ে যাচ্ছে কোনও নদী। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে উপড়ে গিয়েছে গাছ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: মোদি-বৈজয়ন্তীমালা সাক্ষাৎ, রাজনীতিতে ফিরছেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী?

    PM Modi: মোদি-বৈজয়ন্তীমালা সাক্ষাৎ, রাজনীতিতে ফিরছেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিংবদন্তী অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সোমবার চেন্নাই পৌঁছে বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কিংবদন্তী অভিনেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি যে আপ্লুত, তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদি-বৈজয়ন্তীমালা সাক্ষাৎ

    সাক্ষাতের ছবি শেয়ার করেছেন এক্স হ্যান্ডেলে। লিখেছেন, “চেন্নাইয়ে বৈজয়ন্তীমালাজির সঙ্গে দেখা করে দারুণ আনন্দ পেলাম। তিনি সদ্য পদ্মবিভূষণে ভূষিত হয়েছেন এবং ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অনুকরণীয় অবদানের জন্য গোটা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত।” সম্প্রতি প্রবীণ অভিনেত্রী হেমা মালিনীও বৈজয়ন্তীমালার বাড়িতে গিয়ে দেখা করে এসেছেন। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি শেয়ারও করেছেন হেমা। সাক্ষাতের সময় হেমার পরনে ছিল সবুজ স্যুট। আর বৈজয়ন্তীমালা পরেছিলেন হলুদ শাড়ি।

    বৈজয়ন্তীমালা সকাশে হেমা 

    পোস্টের নীচে হেমা লিখেছেন (PM Modi), “আমার জীবনের সব চেয়ে স্মরণীয় দিন। আমি আমার রোল মডেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। গতকাল চেন্নাইয়ে বৈজয়ন্তীমালার পরিবারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছি। তিনি এখনও প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর, তাঁর মধ্যে রয়েছে নাচের ছন্দও। তিনি নৃত্য নিয়ে কথা বলেন, নাচ নিয়েই বেঁচে থাকেন। তাঁর একটি দীপ্তি রয়েছে। অনেক বছর আগেও আমি যেমন তাঁকে শ্রদ্ধা করতাম, এখনও তা-ই করি। চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় নিয়ে একটা নস্ট্যালজিক আলোচনাও হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। এই সুন্দরী মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ একটা বিরাট মুহূর্ত। তিনি ভেতরে ও বাইরে সমানভাবে সুন্দরী।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীকে ফের খুনের হুমকি! কী বলল দুর্বৃত্ত?

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বৈজয়ন্তীমালাকে পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়। এটি হল ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। এদিকে, বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষতকে নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ বলতে রাজি নন রাজনীতির কারবারিরা। তাঁদের বক্তব্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বৈজয়ন্তীমালাকে দক্ষিণের কোনও রাজ্যে পদ্ম-প্রার্থী করা হতে পারে। বৈজয়ন্তীমালা আদতে রাজনীতির লোক না হলেও, ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জনতা পার্টির নেতা ইরা সেঝিয়ান। ইরাকে ধরাশায়ী করে সেবার বিজয়মাল্য গলায় উঠেছিল (PM Modi) বৈজয়ন্তীমালার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! ৫ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    Cyclone Michaung: গভীর নিম্নচাপে পরিণত ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! ৫ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর শক্তি খুইয়েছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Michaung)। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) তরফ থেকে বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে নিম্নচাপটি বাপটলা থেকে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে ১০০ কিমি ও খাম্মার থেকে ৫০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে। পরবর্তী ৬ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি শক্তি হারিয়ে আরও দুর্বল হবে।

    দুর্যোগের সম্ভাবনা

    শক্তি কমলেও ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে বুধবারেও দেশের কিছু অংশে দুর্যোগের সম্ভাবনা থাকছে। ঘূর্ণিঝড় হিসাবে দক্ষিণ ভারতের একটি বড় অংশকে ভাসিয়েছে মিগজাউম। গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি উত্তরের দিকে এগোতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর উপকূলবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে ওড়িশা, দক্ষিণ ছত্তিসগড়, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকায়। মঙ্গলবারই ওড়িশা প্রশাসনের তরফে দক্ষিণের জেলাগুলিকে ভারী বর্ষণের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

    মিগজাউমের প্রভাবে ক্ষতি

    মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাব অন্ধ্রপ্রদেশের তুলনায় তামিলনাড়ুতেই বেশি পড়েছে। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে মারা গিয়েছেন সতেরো জন। সোমবারের পর বৃষ্টি খানিক কমলেও জলমগ্ন শহরের বহু এলাকা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছ চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে। মঙ্গলবার চেন্নাই পুলিশ একটি বিবৃতিতে ঘোষণা করেছে, শহরে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বন্যার ফলে এখনও পর্যন্ত ১৭ জন ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত অন্ধ্রপ্রদেশও। ৭৭০ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১৯৪টি গ্রামের ৪০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্লাবিত ২৫টি গ্রাম।

    আরও পড়ুন: ভয় পাচ্ছে চিন! ২০৩০ সালেই বিশ্ব অর্থনীতিতে তৃতীয় স্থান পেতে চলেছে ভারত?

    দুর্যোগের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে

    ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। মঙ্গলবারের মতোই বুধবারও শহরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বুধবার সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হবে না। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। জারি করা হয়েছে সতর্কতাও। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া এবং কলকাতায়। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শুকনো আবহাওয়া থাকবে আরও ৪-৫ দিন। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রির মতো হবে। যা স্বাভাবিকের থেকে প্রায় চার ডিগ্রি বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Cyclone Michaung: নেল্লোরের কাছে ল্যান্ডফল! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে লন্ডভন্ড চেন্নাই, মৃত ৫

    Cyclone Michaung: নেল্লোরের কাছে ল্যান্ডফল! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে লন্ডভন্ড চেন্নাই, মৃত ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোরেই অন্ধকার। সকাল থেকে আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার দাপট। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাব শহর কলকাতাতেও। মঙ্গলবার অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরের কাছে ল্যান্ডফল করার কথা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের।  ইতিমধ্যেই মিগজাউম পেরিয়ে গিয়েছে অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল এলাকা। নেল্লোর এবং মছলিপট্টনমের মধ্যবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ল্যান্ডফলের সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।

    অন্ধ্র প্রদেশে জারি সতর্কতা

    মঙ্গলবার সকাল থেকেই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্ক করে একের পর এক পোস্ট করেছে আবহাওয়া দফতর (IMD)। পূর্বাভাস রয়েছে, দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের সমান্তরাল ভাবে উত্তর দিকে এই ঘূর্ণিঝড় এগোবে। ইতিমধ্যেই সমুদ্র উথাল-পাতাল শুরু হয়েছে। বেড়ে গিয়েছে জলস্তর। ল্যান্ডফলের সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে অন্ধ্রের একাধিক এলাকায় ৮৫ থেকে ৯৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত। উপকূলবর্তী এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

    তাণ্ডব চেন্নাইয়ে

    ল্যান্ডফলের আগে সোমবার এই ঝড় তাণ্ডব চলল চেন্নাই-সহ আশপাশের এলাকায়। বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে বিমানবন্দর। ভারী বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ের বহু এলাকা জলমগ্ন। চেন্নাই পুলিশ জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিতে শহরে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছে তারা। বৈদ্যনাথন উড়ালপুলের কাছে ৭০ বছরের এক প্রবীণের দেহ মিলেছে। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। ফোরশোর এস্টেট বাস ডিপোর কাছে ৬০ বছরের এক মহিলার দেহ মিলেছে। তাঁরও পরিচয় জানা যায়নি। দিণ্ডিগুল জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন ৫০ বছরের এক ব্যক্তি। তাঁর নাম পদ্মনাভন। পাণ্ডিয়ান নগরেও নিজের বাড়ির কাছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। মৃতের নাম গণেশন (৭০)। বেসান্ত নগরে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ বছরের এক যুবকের। নাম মুরুগান।

    আরও পড়ুন: মোদি ঝড়ের প্রভাব পড়ল দালাল স্ট্রিটেও! সর্বকালীন রেকর্ড উচ্চতায় বন্ধ হল বাজার

    কলকাতার আবহাওয়া

    আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। নিম্নচাপের প্রভাবে চলছে ঝড়ো হাওয়া। পারদ আপাতত না নামলেও মেঘলা থাকায় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া। শীতের মিঠে-কড়া রোদ উধাও। অকাল বর্ষণের পূর্বাভাস শহরে। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। শুক্রবারের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। সপ্তাহান্তে পারদ নামার ইঙ্গিত রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share