Tag: China

China

  • iPhone 16 Pro: চিনের বাইরে প্রথম! এবার ভারতেও উৎপাদন হবে আইফোনের প্রো মডেল

    iPhone 16 Pro: চিনের বাইরে প্রথম! এবার ভারতেও উৎপাদন হবে আইফোনের প্রো মডেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ (Made in India) প্রকল্পের বড় জয়। শীঘ্রই ভারতে শুরু হতে চলেছে আইফোনের প্রো মডেলের ফোনের উৎপাদন। এই প্রথমবার, আইফোনের যে কোনও প্রো মডেলের উৎপাদন চিনের বাইরে শুরু করতে চলেছে অ্যাপল। আর তা হতে চলেছে ভারতে। জানা গিয়েছে, প্রথমে আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro) সিরিজের ফোনগুলি উৎপাদন হবে। ভবিষ্যতে, আইফোন ১৭ প্রো সিরিজের ফোনগুলি শুধুমাত্র ভারতেই উৎপাদিত হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।এর ফলে, মোবাইল উৎপাদনে ভারত আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন চিনের একাধিপত্যে বিরাট বিরাট ধাক্কা দিল ভারত। সেইসঙ্গে, ভারতীয় বাজারে কোম্পানির প্রভাবকে বিশেষভাবে প্রসারিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

    অ্যাপলের গ্লোবাল প্রোডাকশন ভারতে (iPhone 16 Pro models)

    জিএসএম (GSM) এরিনার একটি রিপোর্ট অনুসারে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী আত্মপ্রকাশের পরপরই ভারতে আইফোন ১৬ প্রো (iPhone 16 Pro models) এবং আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স (iPhone 16 Pro Max) এর উৎপাদন শুরু করতে চলেছে ফক্সকন (Foxconn India)৷ এতদিন পর্যন্ত, শুধুমাত্র চিনেই এই উৎপাদন গত ৭ বছর ধরে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার ভারতে উৎপাদন করে ম্যানুফাকচারিং বেসের গণ্ডি বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে অ্যাপল। চলতি বছরের মার্চ মাসের হিসেব অনুযায়ী, অ্যাপলের মোট আইফোন উৎপাদনের প্রায় ১৪ শতাংশ তৈরি হয়েছিল ভারতে। আগামী বছরের মার্চে এই সংখ্যা বেড়ে বছরে ২৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরসঙ্গে, আইফোন ১৬ প্রো-র (iPhone 16 Pro) সিরিজ যুক্ত হলে, এই পরিসংখ্যান আরও বৃদ্ধিপাবে। 

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যসভা উপনির্বাচন, ৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    বৃহত্তর শিল্প ও কর্মসংস্থান তৈরি হবে

    ভারতে (Made in India) অ্যাপলের (Apple) আইফোন (iPhone 16 Pro models) উৎপাদনের বিষয়টি দেশের বৃহত্তর শিল্প প্রবণতাকে আরও সুনিশ্চিত করবে। আবার একই সঙ্গে ভূ-রাজনীতির অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ কোম্পানিগুলি উৎপাদনের জন্য একক ভাবে কোনও দেশের উপর খুব বেশি নির্ভর করার ঝুঁকি কমিয়ে দেবে। ভারতে উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনায় অ্যাপল দেশের ক্রমবর্ধমান বাজার সম্ভাবনাকে পুঁজি করে আরও শক্তিশালী হতে চাইবে। ফলে ভারতে এই আইফোন উৎপাদন সম্প্রসারণের ফলে শুধু অ্যাপলেরই নয়, দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় অর্থনীতিরও উপকার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Microsoft Outage: মাইক্রোসফটের বিভ্রাটের জেরে বিপর্যস্ত বিশ্ব, আঁচ লাগেনি চিনে!

    Microsoft Outage: মাইক্রোসফটের বিভ্রাটের জেরে বিপর্যস্ত বিশ্ব, আঁচ লাগেনি চিনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাইক্রোসফটের (Microsoft Outage) বিভ্রাটের জেরে বিপর্যস্ত বিশ্ব। শুক্রবার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমস্ত জরুরি পরিষেবা। আইটি, বিমান, ব্যাঙ্ক সর্বত্র সার্ভার ডাউন হয়ে যায়। শনিবার থেকে অবশ্য অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক হয়েছে পরিষেবা। মাইক্রোসফটের বিপর্যয়ের আঁচ গোটা বিশ্বের সর্বত্র লাগলেও, বাদ ছিল চিন (China)। সে দেশের সংবাদপত্র ‘সাউথ চায়না পোস্টে’র দাবি, মাইক্রোসফটের প্রযুক্তিগত এই সমস্যার কোনও প্রভাব পড়েনি চিনের এয়ারলাইন এবং ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে।

    বিপর্যয়ের আঁচ লাগেনি চিনে (Microsoft Outage)

    কী কারণে বৈশ্বিক বিপর্যয়ের পরেও সচল রইল চিনের পরিষেবা? চিনা সংবাদপত্রের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজ পরিচালনার জন্য বহির্বিশ্বের পরিকাঠামোর ওপর নির্ভর করে না চিন। সংবাদ সংস্থার দাবি, বেজিং বিমানবন্দরে মাইক্রোসফটের এই বিপর্যয়ের কোনও প্রভাব পড়েনি। সাংহাইয়ে একটি বিদেশি কোম্পানিতে চাকরি করেন এক মহিলা। তিনি বলেন, “আমাদের অফিসের লোকজন ব্লু-স্ক্রিন এরর নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছিল। আমার স্ক্রিনেও মেসেজ দিচ্ছিল। লেখা হয়েছিল, রিকভারি। ইট লুকস লাইক উইন্ডোজ ডিডন’ট লোড কারেক্টলি।”

    কী বলছেন চিনের সাধারণ মানুষ?

    চিনের সাধারণ মানুষও বলছেন, ইন্টারন্যাশনাল হোটেলগুলিতেও প্রভাব পড়েছিল মাইক্রোসফটের বিপর্যয়ের (Microsoft Outage)। চিনের সোশ্যাল মিডিয়ায় জমা হচ্ছিল একের পর এক অভিযোগের পাহাড়। প্রসঙ্গত, মাইক্রোসফটের এই বিপর্যয়ের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ভারতে। বিমানমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বাতিল হওয়া উড়ান ও চেক ইন কাউন্টারগুলিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। তবে ভোর তিনটে থেকে মানবন্দরজুড়ে এয়ারলাইন সিস্টেমগুলি স্বাভাবিকভাবে কাজ শুরু করেছে। শুক্রবার পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে একটি ব্যাকলগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: “রামদেবের সমস্যা না থাকলে, রহমানের কেন?”, কানওয়ার বিতর্কে প্রশ্ন যোগগুরুর

    কী কারণে এই বিপর্যয়? জানা গিয়েছে, ক্রাউডস্ট্রাইক নামে ইউএস ভিত্তিক একটি সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম মাইক্রোসফটের একটি সফটওয়্যার আপডেট করেছিল। তার জেরেই নামে বিপর্যয়। ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় দৈনন্দিন কাজকর্মে। জানা গিয়েছে, এই আপডেট হওয়ায় ক্রাউডস্ট্রাইকের ক্লায়েন্টস সিস্টেম অনেক বেশি সুরক্ষিত হল। হ্যাক করা আরও কঠিন হয়ে গেল। এই আপডেট করতে গিয়েই নামে বিপর্যয়। আইটি সিস্টেম সম্মুখীন হয় ‘ব্লু স্ক্রিন অফ ডেথ এররে’র। যার জেরে আচমাকাই সিস্টেম (China) শাটডাউন হয়ে যায়। কাউকে কাউকে আবার রিস্টার্টও করতে হয় (Microsoft Outage)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Military: চিনের ওপর গোঁসা, তাই কি ভারতকে তিস্তা প্রকল্পের ভার দিলেন হাসিনা?

    Bangladesh Military: চিনের ওপর গোঁসা, তাই কি ভারতকে তিস্তা প্রকল্পের ভার দিলেন হাসিনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার চিন-প্রীতির খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সেনাকে! অভিযোগ, চিন (China) থেকে বাংলাদেশ (Bangladesh Military) যেসব অস্ত্র আমদানি করেছে, তার সিংহভাগই নিম্নমানের। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণে চিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার। জানিয়েছেন, তিস্তা প্রকল্পের কাজ করুক ভারতই।

    চিন সফরে হাসিনা (Bangladesh Military)

    সম্প্রতি চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই মাখো মাখো সম্পর্কটা ভালো চোখে দেখেনি ভারত। প্রকাশ্যে অবশ্য এনিয়ে কোনও অভিমতও ব্যক্ত করেনি নয়াদিল্লি। চিন থেকে ফিরেই হাসিনা জানিয়েছেন, তিস্তা প্রকল্প করুক ভারত। যদিও এই প্রকল্প গড়তে দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ দেখাচ্ছে ড্রাগনের দেশ। তিস্তার উৎপত্তি ভারতে হলেও, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে গিয়েছে সেটি। এই নদীর জল ভারত এবং বাংলাদেশ – দুই দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তায় জলাধার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Military)। সেই প্রকল্পই গড়তে দড়ি টানাটানি চলছিল চিন ও ভারতের মধ্যে। শেষমেশ প্রকল্পটি গড়তে ভারতের ওপরই ভরসা করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    নিম্নমানের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ!

    কারণ কী? জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই চিন থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনে আসছে বাংলাদেশ। অভিযোগ, সেই সব সরঞ্জামেই রয়েছে ‘গলতি’। বিষয়টি বেজিংকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের তরফেও। কেবল বাংলাদেশ নয়, চিনা সামরিক হার্ডওয়্যার কেনে মায়ানমারও। তারাও সম্মুখীন হয়েছে সামরিক সরঞ্জামের গলতির। চিনা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম যারা তৈরি করে, তাদের বক্তব্য, হাইলি সোফিসটিকেটেড মিলিটারি হার্ডওয়্যার তৈরি করার মতো দক্ষতা বেজিংয়ের নেই। তাই বেচতে হচ্ছে গলতি সামরিক সরঞ্জামই। অভিজ্ঞ মহলের মতে, চিনের এই ‘প্রতারণা’টাই মেনে নিতে পারছে না বাংলাদেশ। তাই বেজিংয়ের ওপর বেজায় খাপ্পা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নিম্নমানের সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে কমিউনিস্ট-শাসিত দেশটি তাঁদের ঠকিয়েছে বলে মনে করেন হাসিনা। সেই কারণেই তিস্তা প্রকল্পের ভার চিনকে না দিয়ে ভারতকে দিতে চেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: “অসমে দ্রুত বাড়ছে মুসলমান, জীবন-মরণের সমস্যা”, বললেন হিমন্ত

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় সস্তায় মেলে চিনা সামরিক সরঞ্জাম। তাই উন্নয়নশীল দেশগুলির অনেকেই কেনে সস্তার চিনা সরঞ্জাম। তবে সেই সস্তার জিনিসেই যে এত গলদ থাকবে, তা বোধহয় প্রথমে বুঝতে পারেনি হাসিনা সরকার। যখন বুঝল, তখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাসিনা বেশ (China) বুঝেছেন নরেন্দ্র মোদির ভারতই বাংলাদেশের (Bangladesh Military) সব চেয়ে বেশি ভরসার জায়গা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • China: শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভাঙছে চিন, নিশ্চিহ্ন করছে উইঘুরদের, নীরব মুসলিম দুনিয়া

    China: শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভাঙছে চিন, নিশ্চিহ্ন করছে উইঘুরদের, নীরব মুসলিম দুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) কি দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে মসজিদ? উৎখাত করবে উইঘুরদের (চিনা মুসলমান) (Uyghur)? তাঁদের মিশিয়ে দেবে চিনা সংস্কৃতির সঙ্গে? অন্তত সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই মিলেছে এহেন তথ্য। জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভেঙে দিয়েছে, মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে মাজার-সহ অন্যান্য ইসলামিক শ্রাইন।

    ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলার উদ্যোগ! (China)

    শিনজিং প্রদেশ থেকে তারা ইসলামিক সংস্কৃতি মুছে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ। উইঘুরদের আত্তীকরণ করতে বাধ্য করছে হান চাইনিজ সংস্কৃতি। এই তথ্য যে অতিরঞ্জিত নয়, তা জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসও। এক্স হ্যান্ডেলে তারা জানিয়েছে, ‘সেই ষোড়শ শতাব্দী থেকে অধিকাংশ উইঘুর ইসলাম ধর্মাচরণ করছেন। কিন্তু চিনের এতে আগ্রহ নেই। তার বদলে চিন থেকে তারা উইঘুরদের মুছে ফেলতে চাইছে। গত কয়েক বছরে তারা শ’য়ে শ’য়ে মসজিদ ভেঙে দিয়েছে, গুঁড়িয়ে দিয়েছে মুসলিম শ্রাইনগুলিও’। প্রকাশিত এই রিপোর্টের শিরোনাম, ‘চায়না ইজ ইউজিং আর্কিওলজি অ্যাজ ওয়েপন’। এই রিপোর্টেই বিশদে বলা হয়েছে, কীভাবে ইসলামি ঐতিহাসিক নিদর্শন মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে চিন। শি জিনপিংয়ের রাজত্বকালেই যে এটা হচ্ছে, তারও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। কাশগড়ে যে মিউজিয়াম রয়েছে, সেখানে ইসলামের উল্লেখ নগন্য। সেখানে এ-ও উল্লেখ করা হয়েছে, উইঘুররা প্রকৃতিগতভাবে মুসলমান নন।

    উইঘুর মুসলমানদের ধর্মত্যাগ করানো হচ্ছে!

    বছর চারেক আগেও চিনের (China) এই উইঘুর-ধ্বংসযজ্ঞের খবর শিরোনাম হয়েছিল সংবাদমাধ্যমের। সেবার জানা গিয়েছিল, শিনজিয়াং প্রদেশের ১৬ হাজার মসজিদ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে চিন। ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে ধর্মত্যাগ করানো হয়েছে। সেবার এ খবর জানিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিশি ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্ট। এই রিপোর্ট সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে এ-ও বলা হয়েছিল, তুর্কিভাষী ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। আধুনিক শিক্ষা দেওয়ার নামে সেখানে মুসলমানদের অন্য ধর্মের আচার-আচরণ পালন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। ইসলামিক সংস্কৃতির সঙ্গে কোনও সম্পর্কই রাখতে দেওয়া হচ্ছে না।

    আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    তসলিমার কটাক্ষ

    চিন উইঘুরদের ওপর নির্যাতন চালালেও, অদ্ভুতভাবে নীরব বিশ্বের মুসলিম দেশগুলি। এনিয়ে ওই দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কদের কটাক্ষ করেছিলেন বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন। শিনজিয়াং প্রদেশে প্রচুর মসজিদ ভেঙে সুলভ শৌচালয় বানানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সেই প্রেক্ষিতেই ট্যুইট-বাণ হেনেছিলেন তসলিমা। লিখেছিলেন, “চিন উইঘুর মুসলমানদের ওপর অত্যাচার করছে। কিন্তু ক’টা মুসলিম দেশ এর বিরোধিতা করছে? আসলে চিন মুসলিম দেশগুলিতে বিপুল পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করে। তারা ভালো করেই জানে, ধর্মের চেয়ে অর্থ অনেক বেশি প্রয়োজন।”

    চিনা প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি

    কেবল মসজিদ নয়, বৌদ্ধস্তূপ এবং মন্দির ধ্বংসেও মেতেছে ড্রাগনের দেশ। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, শিনজিয়াংয়ের পশ্চিমাঞ্চলের শহর কাশগড়ের একটি বৌদ্ধ স্তূপ ও তার পাশের একটি মন্দির নির্মিত হয়েছিল প্রায় ১৭০০ বছর আগে। পরে সেগুলি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। ২০১৯ সালে ওই জায়গায় খননকার্য চালান চিনা প্রত্নতাত্ত্বিকরা। পাথরের হাতিয়ার, তামার মুদ্রা ও একটি বুদ্ধ মূর্তির অংশ বিশেষ উদ্ধার করেন তাঁরা। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দাবি, এসব নিদর্শন প্রাচীন চিনা ঐতিহ্যের নিদর্শন। তাঁদের বিবৃতির উল্লেখ করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোয়ের মন্দিরে যেসব প্রত্ন-নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে, সেগুলির সঙ্গে মিল রয়েছে হাজার হাজার মাইল দূরের হান সংস্কৃতির নিদর্শন স্বরূপ পাওয়া প্রত্নরত্নের। চিনের প্রধান এথনিক গ্রুপ হল হানেরা। মন্দিরের কিছু অংশ হান বৌদ্ধদের স্টাইলে বানানো হয়েছিল। সপ্তম শতকে সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে এই মন্দির দর্শনে এসেছিলেন সুয়াঝাং। বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারের জন্য বিখ্যাত ছিলেন তিনি। চিনের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জেনোসাইডের অভিযোগ তুলেছেন সমালোচকরা। আধিকারিকদের মতে, ধর্মীয় উগ্রবাদকে দূর করার চেষ্টা চলছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শিনজিংয়ের বাসিন্দারা যদি চিনাই হন, তবে তাঁদের আত্তীকরণের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।

    কী বলছে ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যম?

    উইঘুরদের ওপর চিন প্রশাসনের অত্যাচার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ। কালচারাল জেনোসাইডের অভিযোগও উঠেছে। সম্প্রতি বিষয়টিতে আলোকপাত করেছে ব্রিটেনের স্কাই নিউজও। এই রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, কী কঠোর বিধিনিষেধ এবং নজরদারির মধ্যে থাকতে হচ্ছে উইঘুরদের (China)। বিশেষ করে মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চলে এসব ঘটছে। রিপোর্টের এক জায়গায় বলা হয়েছে, সেন্ট্রাল চিনের একটি ধুলোময় ঠান্ডা জায়গায় একটি ছোট্ট মসজিদের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন একজন মুসলমান নেতা। ‘ধর্ম মৃতপ্রায়’ বলে বিলাপ করছেন তিনি। এই রিপোর্টেও বলা হয়েছে, চিনে মসজিদ ধ্বংসের কথা। কীভাবে ধর্মীয় আচার পালানে জারি করা হচ্ছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা, কীভাবে ধর্মীয় পোশাক পরায় জারি করা হচ্ছে (Uyghur) নিষেধাজ্ঞা, সেনসর করা হচ্ছে ইসলামিক টেক্সট (China)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    Sheikh Hasina: তিস্তা প্রকল্প রূপায়ণ করুক ভারত, চাইছেন হাসিনা, জানালেন কারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা প্রজেক্ট (Teesta Project) করুক ভারত। চান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এই প্রকল্পটি করতে চেয়েছিল চিনও। এগিয়েছিল ভারতও। এহেন আবহে দিন কয়েক আগে চিন সফরে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তার আগেই ভারত সফর সেরে গিয়েছেন তিনি।

    কী বলছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী? (Sheikh Hasina)

    কমিউনিস্ট শাসিত শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ফিরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, তিনি চান তিস্তা প্রকল্পটি করুক ভারত। কী জন্য এই প্রকল্প রূপায়ণে তিনি ভারতকে চান, তাও ব্যাখ্যা করেছেন আওয়ামি লিগের সর্বময় কর্ত্রী। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে হাসিনা বলেন, “ভারতের পাশাপাশি এই প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চিন-ও। তবে সব দিক বিবেচনা করে আমি চাই তিস্তা প্রকল্পটি রূপায়ণ করুক ভারত।” তিনি বলেন, “তিস্তার জল ভারতের নিয়ন্ত্রণে। তাই তারা এই প্রজেক্ট করুক। তারা যদি এই প্রকল্পটি রূপায়ণ করতে চায়, তাহলে সর্বোতভাবে সাহায্য করা হবে।”

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি

    তিস্তার জলবণ্টন চুক্তিকে ঘিরে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ভারত থেকে নদীটি গিয়ে ঢুকেছে বাংলাদেশে। তাই তিস্তার জলের ন্যায্য দাবিদার বাংলাদেশও। তবে বাংলাদেশকে দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ জল নেই বলে তিস্তা চুক্তিতে সায় দেননি পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন (Sheikh Hasina) তিনি। বলেছিলেন, “ওরা কীভাবে তিস্তার জল দিতে পারে? সিকিম ১৪টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি করেছে। সিকিমের প্রজেক্ট তৈরির সময় খেয়াল রাখা উচিত ছিল কেন্দ্রের। সব জল সিকিম নিয়ে যাচ্ছে…।” মমতার দাবি, বাংলাদেশকে তিস্তার জল দিলে সমস্যায় পড়বেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের বাসিন্দারা।

    আরও পড়ুন: নিশানায় ছিল অমরনাথ! সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশ রুখল সেনা, খতম তিন জঙ্গি

    প্রসঙ্গত, তিস্তার অববাহিকায় বিরাট জলাধার নির্মাণ করে বৃষ্টির জল ধরে রাখার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। এই প্রকল্পই রূপায়ণ করতে চায় শি জিনপিংয়ের দেশ। আগ্রহী নরেন্দ্র মোদির ভারতও। টানটান করা (Teesta Project) স্নায়ুর লড়াইয়ে যে শেষ হাসি হাসল ভারতই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর (Sheikh Hasina) কথায়ই তা স্পষ্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India’s Population: ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের

    India’s Population: ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি, রিপোর্ট রাষ্ট্রপুঞ্জের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের জনসংখ্যা (India’s Population) পেরোবে ১৫০ কোটি। ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে সবচেয়ে বেশি ১৭০ কোটি। তারপর ধীরে ধীরে ভারতের জনসংখ্যা ১২ শতাংশ কমবে। একবিংশ শতাব্দীর শেষে জনসংখ্যা অনেকটা কমলেও ভারতই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation)। তখন চিন থাকবে ভারতের থেকে অনেক পিছনে, এমনই বলছে সমীক্ষা। এদেশের জনসংখ্যা থাকবে চিনের প্রায় আড়াই গুণ। 

    কী বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জ (India’s Population) 

    রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪’ নামাঙ্কিত রিপোর্ট বলছে, ২০২৪ সালের শেষে ভারতের সম্ভাব্য জনসংখ্যা (India’s Population) হতে পারে ১৪৫ কোটি। চিনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি। ২০৬০ সালে ভারতের জনসংখ্যা বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থানে পৌঁছতে পারে। জনসংখ্যা হতে পারে ১৭০ কোটি। তবে এই সময়ের মধ্যে চিনের জনসংখ্যা ১২০ কোটির কাছাকাছি থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টে। শতাব্দী শেষে ২১০০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হতে পারে ১৫০ কোটি। চিনের জনসংখ্যা অনেকটাই কমে হতে পারে ৬৩ কোটি। জনসংখ্যার নিরিখে ভারত এবং চিনের পরে থাকতে পারে আমেরিকা। সে দেশে এখন জনসংখ্যা ৩৪ কোটি। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ‘ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স’ (দেসা)-এর জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভাগ।

    আরও পড়ুন: সবজি থেকে জামা-কাপড়, টিভি-ফ্রিজ, ডিজিটাল লেনদেনেই জোর তরুণ প্রজন্মের

    সারা বিশ্বে কী প্রভাব (United Nation)

    রাষ্ট্রপুঞ্জের (United Nation) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০৮০ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের জনসংখ্যা ১০.৩ বিলিয়ন তথা ১০০০ কোটি ছাপিয়ে যাবে। তবে এর পরই তা কমতে থাকবে। শতাব্দী শেষ হতেই সব মিলিয়ে ১০ কোটি জনসংখ্যা হ্রাস পাবে গোটা পৃথিবী মিলিয়ে। ১৯৫০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনসংখ্যা সমীক্ষা শুরু হয়েছে। গত বাহাত্তর বছরে প্রথমবার বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা পেয়েছে ভারত। যা দীর্ঘদিন যাবৎ ছিল চিনের দখলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Huaxi Village: গোটা বিশ্বে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, এই গ্রামে সবার ব্যাঙ্কেই কোটি কোটি টাকা!

    Huaxi Village: গোটা বিশ্বে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু, এই গ্রামে সবার ব্যাঙ্কেই কোটি কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে পৃথিবীর জনবহুল রাষ্ট্রের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চিন (China)। কিন্তু জানেন কি, এই চিনেই এমন একটি গ্রাম আছে, যা বর্তমানে গোটা পৃথিবীর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে? চিনের বিভিন্ন প্রদেশে অবস্থিত গ্রামগুলির মধ্যে সবচেয়ে ধনী গ্রামের তালিকায় নাম লিখিয়েছে হুয়াক্সি (Huaxi Village)। সারা বিশ্ব জুড়েই এই গ্রাম ‘সুপার ভিলেজ’ নামে পরিচিত। গ্রামটি জিয়াংসু প্রদেশে অবস্থিত। জানা গিয়েছে, এই গ্রামে মাত্র দুই হাজার মানুষ বসবাস করেন। কিন্তু প্রতিটি বাসিন্দার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে কোটি কোটি টাকা।

    স্বাস্থ্য, শিক্ষা সব বিনামূল্যে (Huaxi Village)

    জানা যায়, গ্রামটির সমস্ত বাসিন্দা স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে শুরু করে সব কিছুই পান বিনামূল্যে। এখানকার লোকেদের কাছে রয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধাযুক্ত বিলাসবহুল বাড়ি আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিশ্বমানের ব্র্যান্ডেড গাড়ি, যা সাধারণত খুব কম মানুষের কাছে চোখে পড়ে। এমনকী গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী কম করে হলেও দুটি করে গাড়ি আছেই, যা আবার খুবই সাধারণ ব্যাপার। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে এখানকার মানুষ খুবই সাধারণভাবে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে থাকেন।

    গ্রামেই ৭টি বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান

    গ্রামটিতে (Huaxi Village) রয়েছে মোট সাতটি বহুজাতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার শেয়ার হোল্ডার বা অংশীদার এই গ্রামের বাসিন্দারাই, যা বোধহয় গোটা পৃথিবীতে শুধুমাত্র এখানেই দেখতে পাওয়া যায়। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে তাঁরা বছরে প্রায় ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার বা তারও বেশি টাকা উপার্জন করেন।

    নেই ক্লাব, মদের দোকান, নাইট ক্লাব (Huaxi Village)

    আধুনিক সভ্য সমাজের মতো সুযোগসুবিধা থাকলেও এই গ্রামে কোনও ক্লাব, মদের দোকান, নাইট ক্লাব বা পার্টি করার জন্য রেস্তোরাঁও নেই। আইফেল টাওয়ারের থেকেও উচ্চ একটি হোটেল নির্মাণ করা হয় এই গ্রামে। ২০১১ সালে এই গ্রামটির ৫০ বছর পূর্তি ছিল। সেই উপলক্ষে এখানে ৩২৮ মিটার লম্বা একটি হোটেল তৈরি করা হয়। যা আইফেল টাওয়ারের থেকেও বড়। এই হোটেলের চূড়ায় সোনা দিয়ে তৈরি একটি ষাঁড়ের ভাস্কর্য রয়েছে, যার বর্তমানে মূল্য ৪৩  মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই গ্রামে আগত পর্যটকদের কাছে এই হোটেলটিকে বলা হয় হুয়াক্সির ঝুলন্ত গ্রাম।

    কীভাবে এমনটা সম্ভব হল?

    রেনবাও ১৯৯০ সালের শেষের দিকে গ্রামটিতে (Huaxi Village) বারোটি কর্পোরেশন এবং একটি শেয়ারবাজারের কার্যক্রম শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি পোশাক এবং বিভিন্ন ধাতুর কারখানাও তৈরি করেন। তারপর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রাতারাতি গ্রামের ভাগ্য বদলে যায় এবং হুয়াক্সি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গ্রামে (China) পরিণত হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার ডাক ভারত-অস্ট্রেলিয়ার

    Rajnath Singh: দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার ডাক ভারত-অস্ট্রেলিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ৪ জুলাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বৈঠক করেন অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মারলেসের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা বিষয়ক নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে। প্রতিরক্ষার বিষয়ে দুই দেশ কীভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করতে পারে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে, সে নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।  নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) লেখেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মারলেসের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা প্রতিরক্ষা বিষয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করার বিষয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা সমেত সব ক্ষেত্রেই পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’’

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি কমবে

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের দাদাগির কমাতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া পারস্পরিক বোঝাপড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ এর আগে গত বছরেই ভারতে এসে চিনকে তোপ দেগেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার উপ- প্রধানমন্ত্রী (Australian Deputy PM)। গত নভেম্বর মাসেই অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। সেসময় ‘টু প্লাস টু’ কাঠামোয় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস সেসময় বলেছিলেন, ‘‘আমাদের দুই দেশেরই সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার চিন। আবার নিরাপত্তা ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ চিন।’’

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অভিনন্দনও জানান অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী (Australian Deputy PM) 

    গত নভেম্বরে মারলেস আরও বলেছিলেন, ‘‘আমাদের দু’দেশেরই (ভারত ও অস্ট্রেলিয়া) কাছে একটি মহাসাগর। সে অর্থে আমরা প্রতিবেশী। এখন দুই দেশের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।’’ প্রসঙ্গত, এর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রিচার্ড মারলেস রাজনাথ সিংকে (Rajnath Singh) অভিনন্দন জানান দ্বিতীয়বারের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার জন্য। টিম ইন্ডিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যও অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    India-China Relation: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে কড়া বার্তা ভারতের, সীমান্ত সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন (India-China Relation) সুস্থ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দু’দেশকেই মেনে চলতে হবে।  চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই কে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিদশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার কাজাখস্তানের রাজধানী অস্তানায় আয়োজিত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর এক সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই (Wang Yi)। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দেশের বিদেশমন্ত্রীর এই আলোচনায় সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে।

    সীমান্ত সমস্যার দ্রুত সমাধান (India-China Relation)

    বৈঠকের পরে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘তিনটি নীতি ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই তিন নীতি হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংবেদনশীলতা এবং স্বার্থ বজায় রাখা।’’ চিনা (India-China Relation) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের বিদেশমন্ত্রী তথা একদলীয় চিনের শাসকদল কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ওয়াংয়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সীমান্তের বকেয়া সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। গালওয়ান পরবর্তী পর্বে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোয় এসসিও বৈঠকের সময়েই এলএসি-তে উত্তেজনা কমাতে আলোচনায় বসেছিলেন দুই বিদেশমন্ত্রী। সেই সময়ে পাঁচ দফা পরিকল্পনা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই পদক্ষেপগুলি সম্পর্কে পর্যালোচনাও করেন জয়শঙ্কর-ওয়াং।

    জয়শঙ্কর যা বললেন (India-China Relation)

    জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এক্সে লিখেছেন, “আস্তানায় সিপিসি পলিটব্যুরো সদস্য এবং বিদেশমন্ত্রী ওয়াংয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় অবশিষ্ট সমস্যাগুলির দ্রুত সমাধান নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতেও দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে৷” ভারত বরাবরই বলে আসছে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি না-থাকলে চিনের (India-China Relation) সঙ্গে তাদের সম্পর্ক কোনওভাবেই স্বাভাবিক হতে পারে না। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, “দুই মন্ত্রী উভয় পক্ষের কূটনৈতিক এবং সামরিক আধিকারিকদের বৈঠক চালিয়ে যেতে এবং দ্রুত সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য তাদের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক পরামর্শ ও সমন্বয়ের জন্য ওয়ার্কিং মেকানিজমের (ডব্লিউএমসিসি) একটি প্রাথমিক বৈঠক করা উচিত বলেও তারা সম্মত হয়েছে ৷”বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, দুই মন্ত্রী একমত হয়েছেন যে, সীমান্ত এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত করা দুই দেশের জন্যই ভালো নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Smartphone Exports: পিছিয়ে পড়ছে চিন-ভিয়েতনাম! মোবাইল রফতানির ক্ষেত্রে এগোচ্ছে ভারত

    Smartphone Exports: পিছিয়ে পড়ছে চিন-ভিয়েতনাম! মোবাইল রফতানির ক্ষেত্রে এগোচ্ছে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ভারত (India)। বিশ্বের একাধিক দেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যও ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে আইএমএফ-ও ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির প্রতি আস্থাশীল। অন্যদিকে চিনের আর্থিক বৃদ্ধির গতি নিয়ে শঙ্কার কথা শুনিয়েছে সংস্থাগুলো। এই আবহে চিনকে স্মার্টফোন রফতানির ক্ষেত্রেও মাত দিতে উদ্যোগী ভারত। দেশে স্মার্টফোন (Smartphone Exports) রফতানির পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে। অন্যদিকে, চিন (China) এবং ভিয়েতনাম (Vietnam) থেকে স্মার্টফোন রফতানি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে বলে খবর।

    স্মার্টফোন রফতানির ক্ষেত্রে ভারত (Smartphone Exports)

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-এর অর্থবর্ষে চিনে মোবাইল রফতানির (Smartphone Exports)পরিমাণ ২.৭৮ শতাংশ কমেছে। ভিয়েতনামেও মোবাইল রফতানিতে ১৭.৬ শতাংশের পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদিকে, ভারত মোবাইল রফতানিতে ৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। একটা সময়ে সমগ্র বিশ্বে চিন এবং ভিয়েতনাম থেকে সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন রফতানি করা হত। বর্তমান সময়ে ওই দেশগুলি মোবাইল রফতানির নিরিখে ভারতের কাছ থেকে জোরদার প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে। স্মার্টফোনের বাজারে চিনের একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙতেই এখন সক্রিয় হয়েছে ভারত। 

    ভারতের উত্থানে শঙ্কিত চিন (Smartphone Exports)

    ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (ITC) রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ অর্থবর্ষে চিন থেকে স্মার্টফোন রফতানি (Smartphone Exports) হয়েছে ১৩৬.৩ বিলিয়ন ডলারের। যা ২০২৪-এর অর্থবর্ষে কমে হয়েছে ১৩২.৫ শতাংশ। অপরদিকে ভিয়েতনামে, ২০২৩ অর্থবর্ষে স্মার্টফোন রফতানি হয়েছে ৩১.৯ শতাংশ। যেখানে ২০২৪ অর্থবর্ষে, স্মার্টফোন রফতানি ২৬.২৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অন্যদিকে ভারতে ২০২৩ অর্থবর্ষে স্মার্টফোন রফতানি হয়েছে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের। যেখানে ২০২৪-এর অর্থবর্ষে এটি বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ১৫.৬ বিলিয়ন ডলারে। ভারতের (India) এই উত্থানে চিন ও ভিয়েতনাম ছাড়াও হংকং ও দক্ষিণ কোরিয়ার মোবাইল রফতানিও বেশ কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ঝুলনের রেকর্ডে ভাগ বসালেন স্নেহ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ী ভারতের মেয়েরাও

    কীভাবে ভারতের অগ্রগতি

    গত কয়েক বছরে আমেরিকান কোম্পানিগুলো চিন থেকে নিজেদের কোম্পানি ভারতে (India) নিয়ে এসেছে। আর এই বদলেই ভারত স্মার্টফোন রফতানিতে (Smartphone Exports) হু হু করে এগিয়ে চলেছে। যেখানে আটকে যাচ্ছে চিনা মোবাইলের রফতানি।বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে মোবাইল উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই মোবাইল রফতানিতে গতি এসেছে। উৎপাদন বৃদ্ধির কারণ হল পিএলআই স্কিম ও আমেরিকান আইফোন উৎপাদনকারী সংস্থা অ্যাপল-এর ভারতে আগমন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share