Tag: China

China

  • Arunachal Pradesh: অরুণাচলের জায়গার নাম বদলালেও, সত্যিটা বদলে যাবে না, চিনকে পাল্টা ভারতের

    Arunachal Pradesh: অরুণাচলের জায়গার নাম বদলালেও, সত্যিটা বদলে যাবে না, চিনকে পাল্টা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) ইচ্ছে মতো অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) জায়গার নাম বদলে দিলেও, সত্যিটা কোনওদিন পাল্টে যাবে না। মঙ্গলবার এই ভাষায়ই বেজিংকে জবাব দিল ভারত (India)। এদিন ফের নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ট্যুইট-বার্তায় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, আমরা চিনের রিপোর্ট দেখেছি। চিন প্রথমবার এই চেষ্টা করছে না। আমরা এই নামকরণকে মান্যতা দিতে রাজি নই। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। নাম পরিবর্তন করা হলেও, তাতে বাস্তব পরিবর্তন হবে না।

    অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের…

    প্রসঙ্গত, রাতারাতি অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ১১টি জায়গার নাম বদলে দিয়েছিল চিন (China)। এক বিবৃতিতে চিনের অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, দক্ষিণ তিব্বতের কিছু ভৌগোলিক এলাকার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে চিনের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, রবিবার অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে দুটি বিস্তীর্ণ ভূমি এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, দুটি নদী ও পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ।

    কেবল নাম বদলই নয়, রবিবার চিনের তরফে একটি মানচিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশকে চিনের বলে দাবি করা হয়েছে। রবিবার চিনা ও তিব্বতি সহ মোট তিনটি ভাষায় সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে বেজিংয়ের তরফে।

    আরও পড়ুুন: ছদ্ম-ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির মধ্যে সব চেয়ে বেশি বিপজ্জনক তৃণমূল, বললেন জেঠমালানি

    অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও দুবার অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) বিভিন্ন জায়গার নাম বদলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল চিন। একবার ২০১৭ সালের এপ্রিলে ও অন্যটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের তরফে এও দাবি করা হয়েছিল, ওই এলাকাগুলি চিনের বলে দাবি করার যথেষ্ট ঐতিহাসিক ও প্রশাসনিক ভিত্তি রয়েছে। দুবারই চিনের ওই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিল ভারত। দুবারই ভারতের তরফে বেজিংকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

  • Arunachal Pradesh: ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ১১ জায়গার নাম বদলে দিল চিন!

    Arunachal Pradesh: ভারতের অরুণাচল প্রদেশের ১১ জায়গার নাম বদলে দিল চিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতারাতি অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ১১টি জায়গার নাম বদলে দিল চিন (China)। ভারত (India) বরাবরই জানিয়ে আসছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ। অথচ কয়েক দশক ধরেই অরুণাচল প্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বত বলে দাবি করে আসছে ড্রাগনের দেশ। চিনের এহেন পদক্ষেপের জেরে ভারত-চিন সম্পর্ক আরও তলানিতে ঠেকল বলে দাবি আন্তর্জাতিক মহলের। চিনের এই পদক্ষেপের জেরে অবশ্য মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি ভারত।

    অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) নিয়ে চিনের দাবি…

    এক বিবৃতিতে চিনের অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, দক্ষিণ তিব্বতের কিছু ভৌগোলিক এলাকার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে চিনের সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, রবিবার অসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে দুটি বিস্তীর্ণ ভূমি এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, দুটি নদী ও পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ। কেবল নাম বদলই নয়, রবিবার চিনের তরফে একটি মানচিত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। ওই মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশের কিছু অংশকে চিনের বলে দাবি করা হয়েছে।

    রবিবার চিনা ও তিব্বতি সহ মোট তিনটি ভাষায় সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে বেজিংয়ের তরফে। জানা গিয়েছে, এবার থেকে চিনের মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ওই জায়গাগুলির নাম মান্দারিন হরফে লেখা থাকবে। গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সোশ্যাল সায়েন্সস, ইনস্টিটিউট অফ চাইনিজ বর্ডারল্যান্ড স্টাডিজের ঝ্যাং ইয়ংপ্যান দাবি করেছেন, যে এলাকাগুলির নামকরণ করা হয়েছে, সেগুলি চিনের সার্বভৌমত্বের মধ্যে পড়ে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রিষড়া জ্বলছে, আর রাজ্য প্রশাসন দিঘায় ছুটি কাটাচ্ছে’’! ট্যুইটে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও দুবার অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) বিভিন্ন জায়গার নাম বদলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল চিন। একবার ২০১৭ সালের এপ্রিলে ও অন্যটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। চিনের কমিউনিস্ট সরকারের তরফে এও দাবি করা হয়েছিল, ওই এলাকাগুলি চিনের বলে দাবি করার যথেষ্ট ঐতিহাসিক ও প্রশাসনিক ভিত্তি রয়েছে। দুবারই চিনের ওই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছিল ভারত। দুবারই ভারতের তরফে বেজিংকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অখণ্ড অংশ।

    প্রসঙ্গত, মাস কয়েক আগে গলওয়ানে সংঘর্ষ হয় ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে। ঘটনায় শহিদ হন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। চিনেরও বেশ কয়েকজন সেনার মৃত্যু হয়। পরে দু দেশের কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ের বৈঠকের পর কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেয় চিন। এহেন আবহে ফের অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) ১১টি জায়গার নাম বদল করেছে ড্রাগনের দেশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।     

     
     
  • PM Modi: ‘নয়া হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে’, বললেন মোদি

    PM Modi: ‘নয়া হুমকির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে সশস্ত্র বাহিনীকে’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া হুমকির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত সশস্ত্র বাহিনীর (Armed Forces)। শনিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) অমীমাংসিত সীমানায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর ওই কথাগুলি বলেন তিনি। এদিন মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কম্বাইন্ড কমান্ডারর্স কনফারেন্সে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সমস্যার মোকাবিলায় সরকার সশস্ত্র বাহিনীকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে সুসজ্জিত করেছে। স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার তিনদিনের কম্বাইন্ড কমান্ডারর্স কনফারেন্সে অপারেশনাল তৎপরতা রিভিউ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    শনিবার শেষ হয় ওই অনুষ্ঠান। সেখানেই কথাগুলি বলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) তিন দিনের কনফারেন্সে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সে সম্পর্কে অবগত করেন ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল অনিল চৌহান। জাতি গঠনে সেনার ভূমিকা কী, মানবিক সাহায্য কীভাবে করতে হয়, বন্ধু দেশগুলির কাছ থেকে কীভাবে বিপর্যয়ের সময় ত্রাণ পাওয়া যায়, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে তিন দিনের ওই কনফারেন্সে। জানা গিয়েছে চলতি বছর স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনাকে নিয়ে কয়েকটি মাল্টি লেয়ার কনফারেন্সও হবে। সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও।

    প্রসঙ্গত, গত বছর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙে ভারতের সীমানায় ঢুকে পড়ে চিনা সেনা। তা নিয়ে দু পক্ষে সংঘর্ষ হয়। ভারত চিন সংঘর্ষে চিনের বেশ কয়েকজন জওয়ান নিহত হন। ভারতেরও কয়েকজন জওয়ান শহিদ হন। পরে অবশ্য চিনা সেনাদের মেরে তাড়িয়ে দেন ভারতের সেনা জওয়ানরা। পরে সংসদে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেছিলেন, আমাদের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করা থেকে চিনা সেনাকে আটকে দিয়েছে ভারতীয় সেনা (PM Modi)। ওদের ছাউনি থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে।

    আরও পড়ুুন: প্রভাবশালীর কাছে ২৬ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন অয়ন, আদালতে দাবি ইডির

    সংঘাতে দুই দেশেরই একাধিক জওয়ান জখম হয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, চিনা সেনা এক তরফা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার অবস্থা পাল্টে দিতে চেয়েছিল। ভারতীয় সেনা তা হতে দেয়নি। প্রসঙ্গত, ওই সময় দু তিনবার যুদ্ধ বিমান উড়িয়েছিল ভারত। কারণ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারতীয় সেনা ছাউনির দিকে এগিয়ে আসছিল চিনা ড্রোন। ওই ড্রোন যাতে আকাশসীমা লঙ্ঘন না করে, তাই সুখোই-৩০ এমকেআই নামিয়েছিল ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: চিনে ব্যাপক জনপ্রিয় মোদি, কী নামে ডাকা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে, জানেন?

    PM Modi: চিনে ব্যাপক জনপ্রিয় মোদি, কী নামে ডাকা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিশ্বেই দারুণ জনপ্রিয়তা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi)। পড়শি দেশ চিনের (China) সঙ্গে ভারতের (India) শত্রুতা রয়েছে। তবে সেজন্য ড্রাগনের দেশে একটুও কমেনি মোদির জনপ্রিয়তা। আমেরিকার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘দ্য ডিপ্লোম্যাটে’র প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে এই তথ্য। চিনে মোদিকে ডাকা হয় মোদি লাওক্সিয়ান নামে। বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় মোদি অমর (Modi the Immortal)। মোদির পোশাক, বাহ্যিক ভাবমূর্তিতে লাওক্সিয়ানের সঙ্গে সাযুজ্য খুঁজে পান চিনারা। তাঁরা এও দেখেছেন, মোদির কিছু কিছু নীতি ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানদের চেয়ে অনেক আলাদা। রাশিয়া, আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভারতের যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ইদানিং গড়ে উঠেছে, সেটাও মোদির অন্যতম জনপ্রিয়তার কারণ বলে মনে করেন চিনারা।

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    মার্কিন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত মোদি সংক্রান্ত প্রতিবেদনটির শিরোনাম ‘হাউ ইন্ডিয়া ইজ ভিউড ইন চায়না?’ ( ‘ভারত সম্পর্কে চিনের কী মনোভাব?’)। চিনা সাংবাদিক মু চুনশান ওই প্রতিবেদনে লিখেছেন, চিনের সমাজমাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) সুন্দর একটি ডাকনাম রয়েছে। তা হল, মোদি লাওক্সিয়ান। লাওক্সিয়ান কথার অর্থ, এক প্রবীণ ব্যক্তি যিনি অমর। তাঁর বেশ কিছু অলৌকিক ক্ষমতাও রয়েছে। মোদিকে এই নাম দেওয়ার অর্থ, চিনের নেট নাগরিকরা মনে করেন, মোদি আর পাঁচজন রাষ্ট্রনেতার চেয়ে আলাদা। চিনের ওই সাংবাদিক বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে কাজ করছি। চিনারা কোনও বিদেশি নেতৃত্বকে বিশেষ নামে ডাকছেন, এমনটা চট করে দেখা যায় না। এ থেকে বোঝা যায়, চিনা জনগণের কাছে মোদি নিজের ছাপ ফেলতে পেরেছেন।

    আরও পড়ুুন: গুরুদ্বারে অস্ত্র মজুত, রিহ্যাব সেন্টারের আড়ালে ‘খাডকু’ তৈরি করতেন অমৃতপাল?

    মোদি (PM Modi) জমানায়ই ঘটেছিল গলওয়ানের ঘটনা। ২০২০ সালে গলওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা চালায় চিনা জওয়ানরা। চিন ও ভারতের সেই সংঘর্ষে শহিদ হন ভারতের ২০ জন জওয়ান। মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জন চিনা সেনারও। তবে সীমান্তের সেই তিক্ততা যে চিনা নাগরিকদের মনে বিশেষ ছাপ ফেলেনি, ড্রাগনের দেশে মোদির তুঙ্গ জনপ্রিয়তাই তার প্রমাণ।

    প্রসঙ্গত, চিনে মোদির জনপ্রিয়তার আরও একটি কারণ হল ২০১৫ সালে সিনা উইবো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চিনা নাগরিকদের সঙ্গে কথোপকথন চালিয়েছিলেন মোদি। এর ফলোয়ার্স ছিল ২.৪৪ লক্ষ। ২০২০ সালে মোদি উইবো ছেড়ে দেন। কারণ ওই বছর ভারত সরকার ৫৯ চিনা অ্যাপকে এ দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pinarayi Vijayan: বিজয়নের মুখে চিনা প্রেসিডেন্ট-প্রশস্তি, কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    Pinarayi Vijayan: বিজয়নের মুখে চিনা প্রেসিডেন্ট-প্রশস্তি, কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বিপ্লবী অভিনন্দন জানিয়েছেন বাম নেতা তথা কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি (BJP)। চিনা প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানানো সংক্রান্ত বিজয়নের মন্তব্য দেশের সশস্ত্রবাহিনীর জন্যও লজ্জাজনক বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। গত শুক্রবার চিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং। ড্রাগনের দেশের পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে তৃতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্টের পদে বসিয়েছে। যার জেরে আরও পাঁচ বছর ওই পদে থাকবেন শি জিনপিং। সেই কারণেই তাঁকে ট্যুইট-বার্তা প্রেরণ করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। তার জেরেই দেশজুড়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

    পিনরাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) ট্যুইট-বার্তা…

    প্রসঙ্গত, ওই ট্যুইট-বার্তায় কেরলের মুখ্যমন্ত্রী (Pinarayi Vijayan) লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য বিপ্লবী অভিনন্দন জানাই। এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। চিন বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের কণ্ঠ অনেক মজবুত। চিন যাতে আরও সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে তার জন্য শুভকামনা।

    দেশের এক মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে যারপরনাই ক্ষুব্ধ গেরুয়া শিবির। বিজেপির মুখপাত্র পি কে কৃষ্ণদাস বলেন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী কোচির ব্রহ্মপুরম বর্জ্য শোধনাগারে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে কথা বলেননি। তিনি গলওয়ানের কথাও ভুলে গিয়েছেন, যেখানে চিনা সেনার হাতে নিহত হয়েছিলেন ২০ ভারতীয় জওয়ান। তিনি বলেন, বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) মন্তব্য সশস্ত্রবাহিনীর জন্য অবমাননাকর। ওঁকে অবশ্যই নিহত জওয়ানদের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে।

    আরও পড়ুুন: অযোগ্যদের চাকরির পক্ষে সওয়াল, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে গলওয়ানে মুখোমুখি হয়েছিলেন চিন ও ভারতীয় সেনারা। সম্প্রতি সেখানেই ক্রিকেট খেললেন ভারতীয় জওয়ানরা। ত্রিশূল ডিভিশনের পাতিয়ালা ব্রিগেড এই খেলার আয়োজন করেছিল। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় ভারতীয় সেনার তরফে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি পিচে ব্যাট করছেন ভারতীয় সেনারা। ছক্কাও হাঁকাচ্ছেন কেউ কেউ। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, গলওয়ান ভ্যালিতে ক্রিকেট খেলে চিনকে ব্যাটে- বলে বার্তা দিলেন ভারতীয় সেনা জওয়ানরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-China: আকসাই অঞ্চলে নয়া রেলপথ চিনের! নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে এই প্রকল্প নিয়ে কী ভাবছে ভারত?

    India-China: আকসাই অঞ্চলে নয়া রেলপথ চিনের! নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে এই প্রকল্প নিয়ে কী ভাবছে ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনিভাবে দখল করে রাখা অঞ্চলে রেললাইন বানাচ্ছে চিন (India-China)। সূত্রের খবর,প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার খুব কাছ দিয়ে আকসাই চিন (Aksai Chin) এলাকায় ওই রেললাইনটি তৈরি করতে চলেছে চিন সরকার। যা আগামীদিনে চিনের বৃহত্তর যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ হতে পারে, বলে অনুমান কূটনৈতিক মহলের।

    কোন জায়গা দিয়ে যাবে এই লাইন

    তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল (TAR) সরকারের জারি করা একটি নতুন রেলওয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে নতুন করে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার লাইন তৈরি করতে চাইছে তিব্বত প্রশাসন। এর একটা বড় অংশ আকসাই চিনের উপর দিয়ে যাবে। এই প্রকল্প অনুযায়ী, নয়া লাইন ভারত ও নেপাল থেকে চিনের (India-China) সীমান্তে নতুন রুট কভার করবে। এই নতুন রেললাইনটি তিব্বতের শিগাৎসে থেকে শুরু হয়ে উত্তর-পশ্চিমে নেপাল সীমান্তের কাছে যাবে। এর পরে, এটি আকসাই চিনের উত্তর হয়ে জিনজিয়াংয়ের হোতানে শেষ হবে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই প্রস্তাবিত রেললাইনটি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের দখলকৃত রুটোগ এবং প্যাংগং লেকের মধ্য দিয়েও যাবে। শিগাতসে থেকে পাখুকতসো পর্যন্ত প্রথম বিভাগটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, বাকিটি হোতান পর্যন্ত শেষ হতে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। 

    আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক উদ্দেশে ২৯টি কয়লা খনির নিলাম করছে কেন্দ্র, খুশি শিল্পমহল

    সেনা টহলদারি বাড়িয়েছে চিন

    এই রেললাইন নির্মাণের আগে লাদাখ সীমান্তে সেনা টহলদারিও বাড়িয়েছে চিনারা। কিছুদিন আগেই ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে সেকথা স্বীকার করেছেন। এই নতুন রেল লাইন তৈরি হলে খুব সহজেই ভারতের সীমান্তের কাছে চলে আসতে পারবে চিন সেনা। প্রসঙ্গত, আকসাই চিন (Aksai Chin) ইস্যুতে শুরু থেকেই ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট। ওই ভূখণ্ড ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই মনে করে নয়াদিল্লি। সেই আকসাই চিনের উপর দিয়েই রেললাইন বানাচ্ছে চিন সরকার। স্বাভাবিকভাবেই নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন। যদিও প্রকাশ্যে এই ইস্যুতে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Li Qiang: জিনপিংয়ের একান্ত ঘনিষ্ঠ লি কিয়াংই হচ্ছেন চিনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী

    Li Qiang: জিনপিংয়ের একান্ত ঘনিষ্ঠ লি কিয়াংই হচ্ছেন চিনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কমিউনিস্ট চিনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন শুরু হয়েছে রবিবার। ভারতের প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে এই অধিবেশনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অধিবেশনে মন্ত্রিপরিষদে বড় ধরনের রদবদল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সাংহাইয়ে দলীয় প্রধান লি কিয়াং (Li Qiang) হতে চলেছেন চিনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

    সাংহাইয়ে কোভিড সংক্রমণ বাড়বাড়ন্তের সময় ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু করেছিল চিনের প্রশাসন। কঠোর নীতি প্রণয়নের নেপথ্যে ছিলেন ছিলেন লি কিয়াং (Li Qiang)। এবার তিনিই চিনের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসতে চলেছেন। শি জিনপিং- এর অত্যন্ত ঘনিষ্ট এই নেতা। যদিও এই নেতাকে নিয়ে অসন্তুষ্ট চিনা নাগরিকদের একাংশ। কারণ সাংহাইয়ের আর্থিক অবস্থার অবনতির নেপথ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল লির।     

    চিনের বার্ষিক এই অধিবেশনে প্রায় তিন হাজার প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। এতে ঘোষিত হওয়া নতুন প্রধানমন্ত্রীকে (Li Qiang) বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির হাল ধরতে হবে। জিনপিংয়ের পরে তিনিই হবেন দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় গত বছর দেশটির বাণিজ্যিক কেন্দ্র সাংহাইয়ে লকডাউন তদারকির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। লকডাউনের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ধসে সমালোচিতও হয়েছিলেন লি। তারপরও তাঁর কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে যাওয়ার খবরে অনেকেই বিস্মিত।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডল কেমন থাকবেন জানালেন দিলীপ ঘোষ

    লি কিয়াংয়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, চিনের নিয়মকে পাশ কাটিয়ে অনৈতিক ভাবে প্রিমিয়ার পদে বসতে চলেছেন তিনি। শুধুমাত্র জিনপিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্টতার সুবাদেই দেশের অন্যতম শীর্ষ পদে বসছেন, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাঙ্কার বলেছেন, এই নিয়োগ ঘিরে একেবারেই অখুশি চিনের ব্যবসায়ী মহল। যদিও কোনও সংস্থার তরফে নয়া প্রিমিয়ারের বিরুদ্ধে সরকারি ভাবে কিছু বলা হয়নি। 

    আজ বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং মঞ্চের কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। এরপর নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং সেই জায়গা দখল করবেন। চিনের প্রিমিয়ার হিসাবে দেশের আর্থিক নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছেন লি (Li Qiang)। বিশেষজ্ঞদের মতে, শি-লির সুসম্পর্কের চিনা প্রশাসনে একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দুই নেতার মধ্যে বোঝাপড়ার কারণে উন্নতি হতে পারে চি্নের। কিন্তু অপর একাংশের দাবি, নয়া প্রিমিয়ারের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল জিনপিং। তাঁকে খুশি রাখতে ভুল নীতি প্রণয়ন করার সম্ভাবনা রয়েছে চিনা রাষ্ট্রপতির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই…শান্তিই মূল লক্ষ্য’, চিনা বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সম্পর্ক এখনও স্বাভাবিক নয়। ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যাতে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে, সেজন্য দুই দেশকে ‘প্রকৃত সমস্যা’-র সমাধান করতে হবে। নয়াদিল্লিতে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংকে এমনটাই বার্তা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। জি-২০ বৈঠকের ব্যস্ত সূচির মধ্যেই চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গাংয়ের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে আলোচনা করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলএসি নিয়ে আলোচনা করেন। ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা মূলত জি-২০ বৈঠকের ফাঁকেই হয়েছে। ২০১৯ সালের পরে ফের কোনও চিনা বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে এলেন। উল্লেখ্য, ভারত সফরের আগে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন গ্যাং।

    কী বললেন বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar)?

    গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এস জয়শঙ্কর ট্যুইট করে জানান “আজ বিকেলে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে চিনের বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাং-এর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সীমান্ত এলাকায় শান্তি প্রশান্তির পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়েও কথা হয়েছে।” এদিন সাংবাদিক বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, “চিনা মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরে এটাই ছিল তাঁর সঙ্গে আমার প্রথম বৈঠক। আমরা সম্ভবত প্রায় ৪৫ মিনিট একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান পরিস্থিতিই ছিল আজকের বৈঠকের প্রধান অংশ। জানানো হয়েছে, দু’দেশের মধ্যে আসল সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি ভাবে, কোনও জড়তা ছাড়াই আলোচনা করতে হবে। তা না-হলে সম্পর্কে স্বাভাবিকতা ফিরবে না। আমাদের কথাবার্তার মূল লক্ষ্য সীমান্তে শান্তি ফেরানো।” উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন কিন গ্যাং। তারপর এটাই জয়শঙ্করের (S Jaishankar) সঙ্গে তাঁর প্রথম বৈঠক।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    ভারত ও চিন সম্পর্ক

    বার বার শান্তির কথা বলা হলেও ভারত এবং চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে গেড়ে বসেছে চিনা ফৌজ। গত আড়াই বছর ধরে ভারতের টহলদারির এলাকাও তারা দখল করে রেখেছে বলে অভিযোগ। ফলে এবারে সীমান্তে শান্তি ফেরানো নিয়ে তিনি গ্যাংয়ের উপরে চাপ তৈরি করেছেন বলে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সাল থেকেই ভারত ও চিন সীমান্তে অস্থিরতা দেখা গেছে। চিনা সেনার লাদাখ ও অরুণাচপ্রদেশ সীমান্ত এলাকায় আগ্রাসনের কারণে গালওয়ানের সংঘর্ষও ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছিল ভারতীয় সেনার ২০ জন জওয়ানের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই দেশই একাধিক বৈঠক করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র অধরাই রয়ে গেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি বছরে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং অঞ্চলে ফের চিনা আগ্রাসনের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে চিনের কড়া সমালোচনা করেছিল নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    ২০২০ সালের পর অরুণাচল প্রদেশে চিনা আগ্রাসনে পর ভারত-চিন সম্পর্কের অবস্থা স্বাভাবিক নেই, ফলে এবারে বৈঠকে চিনের বিদেশমন্ত্রীকে কড়া বার্তা দিয়ে জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়ে দিয়েছেন যে, সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • G 20 Meet: জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে আসছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গাং

    G 20 Meet: জি-২০ বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে আসছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গাং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে আসছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গাং। ২ মার্চ দিল্লিতে জি-২০ বৈঠকে (G 20 Meet) যোগ দেবেন তিনি। মঙ্গলবার চিনা বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে গাং-এর ভারত সফর নিশ্চিত করা হয়েছে।  

    শেষবার ২০১৯ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন তৎকালীন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়র। ভারতীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি সেই সময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। মাঝে পূর্ব লাদাখে দুই দেশের মধ্যে সেনা উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় সম্পর্কে অবনতি হয়। সেই তিক্ততাকে কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দুই দেশই। তারই মাঝে সে দেশের বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরকে (G-20 Meet) নেক নজরেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে মে মাসে পূর্ব লাদাখে চিনা আগ্রাসনের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বেশ খারাপ হয়। সীমান্ত বরাবর সেনা সরাতে দুই দেশের সামরিক পর্যায়ে একাধিক বৈঠকও (G 20 Meet) হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও চিনে আগ্রাসন থামেনি। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে ফের একবার লাল ফৌজের আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ বাড়ে।

    আরও পড়ুন: আশ্রম উদ্বোধনে এসেছিলেন পার্থ! টানা পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি-জেরার পর মুখ খুললেন বিভাস

    সীমান্তে উত্তেজনা তৈরির জন্যে আন্তর্জাতিক মহলে বার বার ভারত দুষে এসেছে চিনকে। জি-২০ (G 20 Meet) ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক শুরুর আগে সীমান্ত ইস্যুতে ফের চিনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গত লকডাউনের সময় শুরু হওয়া সীমান্ত সংঘাতের অবসান না হলে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক (G-20 Meet)?

    এরপরেই চিনা বিদেশমন্ত্রীর ভারত সফরের ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ভারত সফরকালে চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক হতে পারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (G-20 Meet) সঙ্গেও। 

    আগামী ২ মার্চ জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ইতিমধ্যে রুশ ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন জানিয়েছে আমেরিকা। অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে যুদ্ধ থামাতে চিনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। এমন পরিস্থিতিতে এই  বৈঠকে যুদ্ধ থামানোর কৌশল নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং চিন বাধা না দিলে হয়ত এতদিনে ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্ষপূর্তি হয়েছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের। এখনও যুদ্ধের বিরাম নেই। এমতাবস্থায় ইউক্রেনে ফের পরমাণু অস্ত্র হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব। জি ২০- সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তার আগে তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, বিশ্বে শান্তি ফেরাতে ভারতের গুরুত্ব কতটা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)…

    ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার মতো দেশের ওপর চিনের মতো দেশের প্রভাব সামান্যই। কিন্তু ভারতের মতো দেশ তাঁকে (পুতিনকে) শান্তি ফেরাতে অনুরোধ করেছে। সে বার্তা সে দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কানে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এর কিছু প্রভাব পড়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, দশকের পর দশক ধরে ভারত রাশিয়ার (Ukraine Russia War) ওপর নির্ভর করত। রাশিয়া ভারতকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করত। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে ভারত আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ছাড়াও তারা আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এদের মধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কৃষকদের জন্য সুখবর! কিষাণ যোজনার টাকা দিল মোদি সরকার

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের এই আবহে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্য। চলতি সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, রোসাতম ও তাঁর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমাদের দেশ প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করবে।

    গত বছর কাজাখাস্তানের সমরখণ্দে মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই মোদি পুতিনকে পইপই করে বুঝিয়েছিলেন, এটা যুদ্ধের (Ukraine Russia War) যুগ নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরেও হয়ত রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে ইতি পড়েনি, তবে মোদির ওই বার্তায় যে বিশ্বশান্তির বার্তা স্পষ্ট, তা মেনে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জো বাইডেন প্রশাসনও আগে একবার স্বীকার করেছে একথা। ফের একবার ভারতের ‘প্রভাব’ মনে করিয়ে দিলেন বাইডেন প্রশাসনেরই বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

LinkedIn
Share