Tag: China

China

  • Antony Blinken: মার্চে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, এই সফর কতটা তাৎপর্যের?

    Antony Blinken: মার্চে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, এই সফর কতটা তাৎপর্যের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken)। মার্চ মাসের ১ তারিখে ভারতে আসবেন তিনি। এবার জি ২০ (G 20) সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। এরই অঙ্গ হিসেবে মার্চে হবে সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। ওই বৈঠকে যোগ দিতেই ভারতে আসছেন ব্লিঙ্কেন। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের তরফেই জানা গিয়েছে এ খবর। এই বৈঠকে মূলত আলোচনা হবে খাদ্য সহযোগিতা, শক্তি, নিরাপত্তা, বহু পাক্ষিকতা এবং  উন্নয়ন নিয়ে।

    অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন…

    ভারত সরকারের বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকও করবেন ব্লিঙ্কেন। এ পর্বের ভারত সফরে তিনি নাগরিক সমাজের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, মার্চের ১ তারিখে ব্লিঙ্কেন নয়াদিল্লি সফরে আসবেন জি ২০ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে। এই বৈঠকে আলোচনা হবে মূলত বহু পাক্ষিকতার ওপর। আলোচনা হবে খাদ্য সহযোগিতা, শক্তি নিরাপত্তা, উন্নয়ন, মাদক বিরোধী, বিশ্ব স্বাস্থ্য, মানবিক সহযোগিতা এবং বিপর্যয় ত্রাণ নিয়েও। লিঙ্গ-সাম্য এবং মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়েও আলোচনা হবে। বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, ব্লিঙ্কেন ভারত সরকারের আধিকারিক এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘শেহবাজ-ইমরান নয়, আমাদের মোদিকে প্রয়োজন’’! দাবি পাক নাগরিকদের, দেখুন ভিডিও

    ভারতে আসার আগে ব্লিঙ্কেন (Antony Blinken) কাজাখাস্তান ও উজবেকিস্তান সফর করবেন। কাজাখাস্তানের আস্তানায় ব্লিঙ্কেন বৈঠক করবেন ওই দেশের প্রবীণ আধিকারিকদের সঙ্গে। সি ফাইভ প্লাস ওয়ানের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও অংশ নেবেন তিনি। রবিবার ব্লিঙ্কেন ও চিনের উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতিজ্ঞ ওয়াং ই মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সের বাইরে বৈঠক করেন। দুই দেশের উত্তেজনা কমাতেই হয়েছে এই বৈঠক। ঘণ্টাখানেকের ওই বৈঠকে হয়েছে অজ্ঞাত এক স্থানে। প্রসঙ্গত, এই মাসের প্রথম দিকে বেলুন ওড়ানো নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় দুই দেশের মধ্যে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করার অভিযোগে বেজিংকে একহাত নেন ব্লিঙ্কেন। এমতাবস্থায় হচ্ছে দুই দেশের বৈঠক।

    দিন কয়েক আগে চিনের বেলুন ঢুকে পড়ে মার্কিন আকাশে। সেই বেলুনটিকে গুলি করে নামায় মার্কিন সেনা। তার পর থেকেই চিন এবং আমেরিকার মধ্যে দেখা গিয়েছে উত্তেজনা। সেই উত্তেজনা প্রশমিত করতেই এদিনের বৈঠক (Antony Blinken) বলে আন্তর্জাতিক মহলের ধারণা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebookবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Pakistan: ভারতকে জব্দ করতে গিয়ে চিনের থেকে অস্ত্র কিনে ডাহা ঠকল পাকিস্তান, জানুন বিশদে

    Pakistan: ভারতকে জব্দ করতে গিয়ে চিনের থেকে অস্ত্র কিনে ডাহা ঠকল পাকিস্তান, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে (India) জব্দ করতে গিয়ে বন্ধু দেশের কাছে ডাহা ঠকল পাকিস্তান। পাকিস্তান (Pakistan) সম্প্রতি বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র কেনে চিনের (China) কাছ থেকে। সেই অস্ত্রেই ধরা পড়ল ত্রুটি। দামে সস্তা হওয়ায় বাজারে চিনা পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। তবে সেগুলির কোনওটিই বেশি দিন টেঁকে না। তবে দামে সস্তা হওয়ায় অনেকেই তা কেনেন। ঠকেনও। এই যেমন পাকিস্তান। সম্প্রতি বেজিং থেকে আননেমড এরিয়াল ভেহিক্যাল কিনেছিল ইসালামাবাদ। চিনের তরফে মানববিহীন এই ড্রোন পাকিস্তানে পাঠানোও হয়েছিল। সেই ড্রোনগুলিতেই মিলেছে মারাত্মক ত্রুটি।

    ত্রুটির পর ত্রুটি…

    কেবল ওই ড্রোনগুলিই নয়, আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রের বরাতও চিনকে দিয়েছিল পাকিস্তানের সরকার। সেই ক্ষেপণাস্ত্র এসেও গিয়েছে পাকিস্তানে। ত্রুটি মিলেছে তাতেও। জানা গিয়েছে, সিএইচ ৪ মানববিহীন ড্রোন তৈরি করে চিনা সংস্থা এলিট। সেই সংস্থাই পাঠিয়েছিল ড্রোনগুলি। কিন্তু সেগুলির অবস্থা দেখে মাথায় হাত পাকিস্তানের সামরিক কর্তাদের। তাঁরা দেখেছেন, চিন থেকে আমদানি করা ওই ড্রোনগুলির কোনওটির ডানা ভাঙা, তো কোনওটায় রয়েছে বড় মাপের যান্ত্রিক ত্রুটি। একটি ড্রোনের তো আবার এক্সস্ট ম্যানিফোল্ড ভাঙা। ড্রোনের ভেতরে থাকা গ্যাস নির্গমণে সাহায্য করে এই এক্সস্ট ম্যানিফোল্ড। অন্য একটি ড্রোনের টার্বোচার্জারেই রয়েছে একটি বড়সড় ফাটল। সমস্যা রয়েছে ইঞ্জিনেও। চিন থেকে আমদানি করা আকাশ থেকে ভূমিতে থাকা শত্রু সেনা ঘাঁটি ধ্বংস করতে ব্যবহৃত এআর ২ ক্ষেপণাস্ত্রেও ত্রুটি রয়েছে (Pakistan)।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    একটি ক্ষেপণাস্ত্রে আবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গিয়েছে। সেই কারণে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যবস্তু খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে। চিন থেকে কেনা ওই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলি মেরামত করতে ফের চিনে পাঠিয়েছে পাকিস্তান। তবে সেগুলি আদৌ মেরামত করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান পাক সেনার শীর্ষ কর্তাদের একাংশ। বন্ধু দেশ চিনের কাছে ঠকে গিয়ে হতাশ পাকিস্তান। সেই কারণে চিন নয়, পশ্চিমের দেশগুলি থেকে ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র কিনতে চাইছে শাহবাজ শরিফের দেশ। শোনা যাচ্ছে, এস ১০০ ইউএভি ড্রোন কিনতে অস্ট্রিয়ার অস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থা স্কিবেলের দ্বারস্থ হয়েছে ইসলামাবাদ। এজন্য ওই ড্রোনের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে পাক সরকার। দেশের (Pakistan) অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। এমতাবস্থায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনতে গিয়ে ডাহা ঠকেছে পাকিস্তান। এখন দেখার, এই ঘটনা পাক-চিন সম্পর্কে ছাপ ফেলে কিনা!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    India China: সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই স্বাভাবিক হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক! চিনকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের আবহেই বেজিংয়ে বৈঠকে বসলেন ভারত এবং চিনের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শেষ এ ধরনের বৈঠক হয়েছিল। মাঝে কোভিড এর কারণে এই বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল। এই বৈঠকে দু’পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্যসংখ্যা কমিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উপর জোর দেয়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-চিন সীমান্তের ফরোয়ার্ড পোস্ট থেকে সেনা প্রত্যাহার করলে তবেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে ভারত। বেজিং থেকেই চিনকে সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

    সেনা সরানোর দাবি

    বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যদিও পূর্বাঞ্চলে সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কার্যকরী কোনও আলোচনা এই বৈঠকে হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে দুই দেশের আলোচনার পর যে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, “কোনও বিবাদ কিংবা সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে দুই দেশের সেনাবাহিনী আলোচনার ভিত্তিতে কিংবা কূটনীতির মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজবে।”  প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘাত নিয়ে বুধবার বেজিংয়ে ভারতের তরফে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব (পূর্ব এশিয়া)। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের সীমান্ত এবং সমুদ্র বিষয়ক বিভাগের সচিব।

    আরও পড়ুন: এবার পাইলট নিয়োগে জোর এয়ার ইন্ডিয়ার, বেতন শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

    ২০২০ সালের মে’তে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে সংঘাত শুরুর পর ভারত-চিন সীমান্ত বিষয়ক ‘ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসাল্টেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন’ সক্রিয় করা হয়। একাধিকবার দু’দেশের মধ্যে সামরিক এবং কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে। তাতে কিছুটা বরফ গললেও স্থায়ী সমাধানসূত্র এখনও মেলেনি। ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে, সীমান্তে সংঘাতের সমাধান না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে স্বাভাবিকত্ব ফিরবে না। যদিও চিনের বরাবরের দাবি, সীমান্ত সংঘাতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনও যোগ নেই। অবশেষে বহুবার আলোচনার পর লাদাখের প্যাংগঙ হ্রদ, গোগরা এবং হট স্প্রিং অ়ঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেয় দু’পক্ষ। তবে দেপসাং এবং ডেমচক এলাকা নিয়ে এখনও ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারেনি দুই দেশ। বিতর্কিত দুই অঞ্চলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের সেনা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sanghai Cooperation Organization: গোয়া এসসিও সামিটের চিঠি গেল চিন এবং পাকিস্তানেও, কেন জানেন?  

    Sanghai Cooperation Organization: গোয়া এসসিও সামিটের চিঠি গেল চিন এবং পাকিস্তানেও, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর মাঝ সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে হয়েছিল সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (Sanghai Cooperation Organization) ২২তম সামিট। চলতি বছর আয়োজক দেশ ভারত। এবার সামিট হবে গোয়ায়। চিন (China), পাকিস্তান (Pakistan), রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। পরে এই সংগঠনে যোগ দিয়েছে ইরান। মে মাসে গোয়ায় হবে এবারের সামিট। এর আগে ২০১৯ সালে শেষবার কিরগিজস্তানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এসসিও। অতিমারির কারণে এর পরের দুবার এসসিও সামিট হয়েছিল ভার্চুয়ালি। সমরখন্দে এসসিও সামিটে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এসসিও হল ৮টি এশিয় রাষ্ট্রের সম্মিলিত জোট, যা মূলত আঞ্চলিক উন্নয়ন ও সহযোগিতার লক্ষ্যে গঠিত।

    এসসিও সামিট…

    গোয়ার এসসিও সামিটে ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীকে। সামিটে (Sanghai Cooperation Organization) মুখোমুখি হবেন ভারত ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রীরা। সম্মেলন চিন সহ নটি দেশেরই প্রতিনিধি থাকার কথা। তবে চিনের বিদেশমন্ত্রী কুইন গ্যাং এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেও। যদিও এঁদের দুজনের কেউ একজন সামিটে উপস্থিত হন তাহলে সেটা হবে এক দশক পরে পাকিস্তানের কোনও নেতার ভারতে আগমন। তবে ভুট্টো সামিটে যোগ দেবেন কিনা, তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি পাকিস্তানের তরফে।

    আরও পড়ুুন: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    প্রসঙ্গত, ভারতের তরফে যেদিন পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তার ঠিক একদিন আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভুট্টোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভারত পরিচয় দিল উদারতার। কারণ কিছুদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অসভ্য বলে আখ্যা দিয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। গত মাসেই মুম্বইয়ে হয়েছিল এসসিও (Sanghai Cooperation Organization) ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি পাকিস্তান। এসসিওর সব দেশ এন্ট্রি পাঠালেও, পাকিস্তান তা করেনি। তাই গোয়া সামিটে তারা যোগ দেবে কিনা, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় ওয়াকিবহাল মহল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • US China Conflict: আমেরিকার সঙ্গে চিনের যুদ্ধ বাঁধতে পারে  ২০২৫ সালেই, কেন জানেন?

    US China Conflict: আমেরিকার সঙ্গে চিনের যুদ্ধ বাঁধতে পারে  ২০২৫ সালেই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের যুদ্ধের ভ্রুকুটি! এবার যুদ্ধের সম্ভাবনা ঘনাচ্ছে আমেরিকার (US) সঙ্গে চিনের (China)। যুদ্ধ হতে পারে ২০২৫ সালেই। সম্প্রতি মার্কিন বায়ুসেনার এয়ার মবিলিটি কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইক মিনিহান তাঁর শীর্ষ নেতৃত্বকে একটি মেমো পাঠিয়েছেন। তাতেই আঁচ দিয়েছেন আগাম যুদ্ধের। মেমোয় ১ ফেব্রুয়ারির তারিখ দেওয়া থাকলেও, পাঠানো হয়েছে শুক্রবারই। যদিও পেন্টাগনের তরফে এমন ‘জল্পনা’র কথা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে চার তারকা সম্পন্ন জেনারেল মাইকের মেমোর কথা প্রকাশ্যে আসতেই হুলুস্থুল তামাম বিশ্বে। আমেরিকার (US) সামরিক বিশেষজ্ঞদের একটি অংশ বলছেন, মাইকের ‘আশঙ্কা’ মার্কিন ভাবনার পরিপন্থী। এদিন মাইক অবশ্য বলেন, আশা করছি, আমার এই ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হবে। কিন্তু আমার মস্তিষ্ক বলছে, ২০২৫ সালে আমাদের যুদ্ধে নামতে হবে।

    মার্কিন বায়ুসেনা অফিসারের যুক্তি…

    নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন ওই মার্কিন বায়ুসেনা অফিসার। তাঁর যুক্তি, ২০২৪ সালে সাধারণ নির্বাচন রয়েছে তাইওয়ানে। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রাণপণ চেষ্টা করবেন নিজের পছন্দের সরকার গড়তে। সেই লক্ষ্যে সাফল্য এলে তাইওয়ানকে একটি চুক্তির মাধ্যমে চিনের সঙ্গে সংযুক্ত করবেন তিনি। তার পরেই চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবেন তাইওয়ানবাসী। অবশ্য দ্বিতীয় একটি সম্ভাবনার কথাও বলেছেন মাইক। তিনি বলেন, তাইওয়ানে যদি ফের ক্ষমতায় ফেরেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন, তাহলে দ্বীপরাষ্ট্রে হামলা চালাবে চিন। তখনই বাঁধবে যুদ্ধ। এই যুদ্ধে আমেরিকা (US) কীভাবে জড়াবে? জানা গিয়েছে,  ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের অন্যতম উপাদান সেমি কান্ডাক্টর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমেরিকা তাওয়ানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছুটছে। তাই তাইওয়ানে চিনের আগ্রাসন আমেরিকার কাছেও বিপদ সংকেত স্বরূপ।  

    আরও পড়ুুন: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    প্রসঙ্গত, চিনের এই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে মার্কিন প্রশাসনকে একাধিকবার সতর্ক করেছেন সে দেশের বায়ুসেনার শীর্ষকর্তা। তিনি বলেন, তাইওয়ান দখলের সময় আমেরিকা যাতে কোনওভাবেই দ্বীপরাষ্ট্রের সাহায্যে আসতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে চিন। আগ্রাসী চিনকে রুখতে কী করণীয়, তাও বলেছেন ওই বায়ুসেনা অফিসার। মেমোয় তিনি লিখেছেন, আমাদের লক্ষ্য হবে মাথায় আঘাত। তাই সবার আগে বেজিংকেই টার্গেট করতে হবে আমাদের। তবে মেমোয় পাঠানো মাইকের মন্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আমেরিকার এক প্রতিরক্ষা আধিকারিক বলেন, এই ধরনের মন্তব্য চিন নিয়ে বিভাগের মনোভাব প্রদর্শন করে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • S  Jaishankar: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    S  Jaishankar: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে অংশটি চিন (China) দখল করেছে বলে অভিযোগ করছেন বিরোধীরা, সেটি আসলে চিনের দখলে চলে গিয়েছে ১৯৬২ সালেই। নাম না করে কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এই ভাষায়ই জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S  Jaishankar)। ভারত-চিন সংঘাতের আবহেই কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস সহ দেশের বিভিন্ন বিরোধী দল। তারই জবাব দিতে গিয়ে নেহরু জমানার প্রসঙ্গ তোলেন বিদেশমন্ত্রী।

    জয়শঙ্কর…

    রাহুল গান্ধীর নাম না করেই জয়শঙ্কর বলেন, কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে চিন ইস্যু নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, যে অঞ্চলটি চিনের দখলে চলে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি ১৯৬২ সালে জওহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ভারত-চিন যুদ্ধে চিন দখল করে নিয়েছে। পুরনো ইতিহাস তুলে ধরে কেউ কেউ বলছেন, এটি সম্প্রতি ঘটেছে। গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে পূর্ব লাদাখে ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টিতেই অস্তিত্ব নেই ভারতের। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের এহেন দবি প্রকাশ্যে আসতেই শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে। ঘটনাটি নিয়ে সরকারকে নিশানা করেছেন বিরোধীরা।

    আরও পড়ুুন: “বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে সমস্ত ব্রিটিশ এবং মুঘল নাম মুছে দেব”, বললেন শুভেন্দু

    এঁদেরই একহাত নিয়ে জয়শঙ্কর (S  Jaishankar) বলেন, বিরোধীদের মধ্যে কিছু লোক রয়েছেন, যাঁদের বোঝা খুব কঠিন। কখনও কখনও এঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে চিন সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়ান, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফয়দা তোলার জন্য। তিনি বলেন, তাঁরা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন, চিন সম্পর্কে ভুল খবর ছড়াচ্ছেন। আমি জানি, তাঁরাও রাজনীতি করছেন। বিদেশমন্ত্রী বলেন, কখনও কখনও তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের খবর ছড়াচ্ছেন, যদিও তাঁরা জানেন যে এটা সত্য নয়। এর পরেই জয়শঙ্কর বলেন, কখনও কখনও বিরোধী দলের কিছু নেতা এমন কিছু অঞ্চলের কথা সামনে তুলে ধরছেন, যেটি ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চিন দখল করেছিল। তারা এমনভাবেই বিষয়টি আপনার সামনে তুলে ধরবে যে আপনি মনে করবেন, ঘটনাটি গতকালই ঘটেছে।

    সম্প্রতি রাহুল বলেছিলেন, ক্রিটিক্যাল ইস্যুগুলি জানতে আমি ভারতে নিযুক্ত চিনা ও ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং উত্তর পূর্বের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে প্রসঙ্গ টেনে বিদেশমন্ত্রী (S  Jaishankar) বলেন, যদি আমাকে কিছু জানতে হয় (চিন প্রসঙ্গে) তাহলে আমি চিনা রাষ্ট্রদূতের কাছে তথ্য সংগ্রহের জন্য যাব না। আমি যাব আমাদের সেনা কর্তাদের কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন। বিশ্ব অর্থনীতিতে বালুচের সম্পদ বিক্রি করে মুনাফা লুঠছে শি জিনপিং সরকার। আর বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে বালুচ জনজাতি। সম্পদের প্রকৃত অধিকারীরা বঞ্চিত হচ্ছে।  সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।

    চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর

    সম্প্রতি বালুচিস্তানের ওপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর। বালুচদের এক বড় অংশের ধারণা, এর ফলে তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করতে চিনের সুবিধা হবে। এই ধারণা থেকে বেড়েছে তিক্ততা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বালুচিস্তান স্থির করে, তারা পাকিস্তানে যোগ দেবে। কিন্তু বালুচদের এক বড় অংশ ছিলেন ওই সিদ্ধান্তের বিরোধী। ২০১৩ সালে চায়না পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর তৈরি শুরু হয়। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে ওই পথ যাবে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া, গিলগিট-বালটিস্তান, পাঞ্জাব, বালুচিস্তান, সিন্ধু ও অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। ওই পথ দিয়ে চিনের পণ্য খুব দ্রুত পৌঁছে যাবে পাকিস্তানে গাওয়াদার বন্দরে। সেই পণ্য নিয়ে বড় বড় জাহাজ পাড়ি দেবে আফ্রিকা আর পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে। এই প্রকল্প একেবারেই বালুচদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে ওই রাস্তা নির্মিত হবে, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ওই প্রকল্পে স্থানীয় বালুচরা কাজও পাননি। বালুচরা মনে করে, ওই প্রকল্পে মূলত পাঞ্জাব লাভবান হবে। বালুচিস্তান বরাবরের মতোই বঞ্চিত হবে।

    আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে রাজ্যের দিকে দিকে উদ্ধার বিপুল নগদ, দেখুন কবে, কোথায়

    সোনার খনি-মাছ ধরার ব্যবসা

    কোভিডের সময় সাময়িক ক্ষতি হলেও, বালুচিস্তানের সোনা, রুপো ও তামার খনি থেকে চিনের বিভিন্ন সংস্থা ২০২১-২২ সালে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করে। যদিও এই লাভের সিংহভাগই চলে যায় চিনে। স্থানীয়রা কিছুই পায় না। সম্প্রতি মাছ ধরা নিয়ে বালুচদের সঙ্গে চিনাদের শুরু হয়েছে বিরোধ। আগে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে আরব সাগরে মাছ ধরতেন বালুচ মৎস্যজীবীরা। তাঁরা গরিব মানুষ। নৌকা চড়ে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এখন চিনা ট্রলারগুলোকে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে। ট্রলার খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরতে পারে। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে বালুচদের জেলে নৌকা। চিনা ট্রলারগুলিকে মাছ ধরার অধিকার বাতিলের দাবিতে ধরনায়ও বসেছিলেন বালুচ মৎস্যজীবীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Economy: মজুরি বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই, করোনা পরিস্থিতিতে চাপে চিনা অর্থনীতি

    China Economy: মজুরি বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই, করোনা পরিস্থিতিতে চাপে চিনা অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত নভেম্বর থেকে মজুরি দেওয়া হয়নি। ছাঁটাই করা হয়েছে বহু কর্মীকে। এসবই করা হয়েছে করোনা (Covid 19) অতিমারি পরিস্থিতিতে। যার জেরে সমস্যার মুখে পড়তে পারে চিনা অর্থনীতি (China Economy)। ঋণের জালে জড়িয়ে একের পর এক দেশের অর্থনীতিকে সমস্যার মুখে ঠেলে দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এশিয়া মহাদেশের এই তালিকায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। চিনা অর্থনীতির ফাঁসে আটকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। চিনা ঋণের জালে জড়িয়ে গিয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও। এহেন চিনের অর্থনীতিই ভয়ঙ্কর কোভিড পরিস্থিতিতে পড়তে চলেছে সমস্যার মুখে।

    মারণ ভাইরাস…

    চিনের উহান প্রদেশেই প্রথম খোঁজ মেলে মারণ ভাইরাস  করোনার। পরে সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। করোনার থাবায় মৃত্যু হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের। তার পরে জরুরি ভিত্তিতে টিকা আবিষ্কার করে রোগ প্রতিরোধে টিকাকরণে জোর দেয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার জেরে রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে পৃথিবীর অনেক দেশেই। যদিও চিনে রোগের প্রকোপ কমেনি। সম্প্রতি চিনে ফের দাপট বাড়তে থেকে করোনার। প্রতিদিনই দীর্ঘ হতে থাকে মৃতের তালিকা। হাসপাতালে হাসপাতালে করোনা রোগীর দীর্ঘ লাইন। শেষকৃত্যস্থলে লাশের পাহাড়। যদিও সরকারিভাবে করোনায় মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়নি বললেই চলে।

    আরও পড়ুুন: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    করোনা রুখতে জিরো কোভিড টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছিল সে দেশের সরকার। তার কার্যত গৃহবন্দি দশা কাটাতে বাধ্য হন চিনা নাগরিকরা। গত নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় মজুরি (China Economy)। বেসরকারি কোম্পানিগুলি নির্বিচারে ছাঁটাই করে। সম্প্রতি জনতার চাপে পড়ে লকডাউন শিথিল করে চিনা সরকার। এর পরেই বকেয়া মাইনে এবং চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। যাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। তার জেরে ক্রমেই বাড়ছে জনরোষ। যা বিস্ফোরণ ঘটলে চাপ পড়তে পারে অর্থনীতিতে।

    চিনের চংকুইংয়ের সাউথ ওয়েস্টার্ন শহরে চাকরি খোয়ানো শতাধিক মানুষ বকেয়া মজুরি ও কাজের দাবিতে (China Economy) বিক্ষোভ দেখান। ভাঙচুর করেন মেশিনপত্র। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে। দিন দিন এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে। জানা গিয়েছে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ২০২২ সালে চিনা অর্থনীতির বৃদ্ধির হার মাত্র ৩ শতাংশ। অর্ধ শতাব্দীতে যা এদেশে প্রথম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Economy: অবিলম্বে বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য না পেলে ভেঙে পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি?

    Pakistan Economy: অবিলম্বে বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য না পেলে ভেঙে পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবার প্রায় একই হাল হতে চলেছে ভারতের (India) আর এক প্রতিবেশী দেশেরও। সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে এবার পাকিস্তানও (Pakistan)। দেশের হাঁড়ির হাল হয়ে যাওয়া অর্থনীতির (Pakistan Economy) হাল ফেরাতে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে দরবার করেছে শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেও  মেলেনি কাঙ্খিত সাহায্য। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওই সাহায্য না মিললে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি আরও করুণ হবে। অন্তত আল আরবিয়া পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা যাচ্ছে। পাকিস্তানকে ২৪তম লোন দিতে দেরি করছে বিশ্বব্যাঙ্ক। সৌদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও পাকিস্তানকে সাহায্য করবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে।

    বন্ধু দেশগুলিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে…

    আল আরবিয়া পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গলফ বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও নয়া সেনা প্রধান জেনারেল আসীম মুনির। পাকিস্তানের ওই বন্ধু দেশগুলিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনীতিকে (Pakistan Economy) চাঙা করতে অবিলম্বে সংস্কারমূলক ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করুক সে দেশের সরকার। পাক প্রধানমন্ত্রী এবং নয়া সেনা প্রধানকে তারা এও জিজ্ঞাসা করছে, দেশের অর্থনীতির এহেন করুণ দশার জন্য কি নোংরা রাজনীতি দায়ি?

    আরও পড়ুুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    শাহবাজ শরিফের আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তারকা ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক ইমরান খান। পরে সেনা প্রধানের সঙ্গে দূরত্বের কারণে পদত্যাগ করতে হয় ইমরানকে। এর পরেই পাকিস্তানের কুর্সিতে বসেন শাহবাজ শরিফ। ইমরানের দাবি, পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের জন্য দায়ী শাহবাজ শরিফ। ঠিক একই অভিযোগ করেছেন শাহবাজ শরিফও। তাঁর দাবি, ইমরানের ভুল নীতির জন্যই দেশের অর্থনীতির (Pakistan Economy) এই হাল। অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, দেশের দুর্বল অর্থনীতির স্বাস্থ্য ফেরাতে এখনই জরুরি ছিল সংস্কারমূলক নানা পন্থা অবলম্বন করা। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি শাহবাজ শরিফ কিংবা তার পূর্বসূরি ইমরান খানের সরকার। পাকিস্তানের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে যেমন রয়েছে ইসলামাবাদের বন্ধুদেশ, তেমনি রয়েছে আমেরিকার মতো দেশও। এখন দেখার, দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরাতে কী করে শাহবাজ শরিফের দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Uyghur: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    Uyghur: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর নিপীড়ন প্রতিদিন বাড়ছে। চিনের জ্বলন্ত সমস্যা শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নিয়ে বারবার আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছে বেজিং। তবু নিজেদের পথ থেকে সরেনি বেজিং। চিনের ওই অঞ্চলে বসবাসকারী উইঘুরদের জীবন জেলখানায় বন্দিদের মতো হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি আশ্রয় শিবির যেন কারাগার। 

    ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শিনজিয়াং প্রদেশে চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসদমনের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাদের। 

    শিনজিয়াং-এ প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ উইঘুর মুসলমান বাস করে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টেই উঠে এসেছে সেখানকার মানুষদের দুর্দশার কথা। রিপোর্টে,‘শিনজিয়াংয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের ‘স্বশাসিত’ শিনজিয়াং প্রদেশে চিন সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    অভিযোগ, উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ বন্দি করে রাখা হয়েছে। বলপূর্বক তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেও উইঘুরদের বন্দি করার অভিযোগে নিশানা করা হয়েছে শি জিনপিং সরকারকে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে বিক্রি হওয়া কিডনি, লিভার-সহ বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বড় অংশের মালিক চিনের বন্দিশিবিরে আটক হতভাগ্য উইঘুর মুসলিমরা! জোর করে তাদের অঙ্গ কেটে বিক্রি করছে বেজিং!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share