Tag: China

China

  • Indian Navy Chief: ভারত মহাসাগরে চিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবে আমরাও প্রস্তুত, বললেন নৌসেনা প্রধান

    Indian Navy Chief: ভারত মহাসাগরে চিন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, তবে আমরাও প্রস্তুত, বললেন নৌসেনা প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত মহাসাগরে (Indian Ocean) চিন (China) শক্তিশালী প্রতিপক্ষ (Formidable Challenge), তবে আমরাও প্রস্তুত। মঙ্গলবার একথা বললেন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল (Navy Chief Admiral) আর হরি কুমার। তিনি জানান, সীমান্তে ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জ চিন। কেবল স্থলপথ নয়, জলপথেও তারা ক্রমেই ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বাড়বাড়ন্তও দেশের নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি স্বরূপ বলেও জানান নৌসেনা প্রধান।

    এদিন নৌসেনা প্রধান বলেন, চিন কেবল যে স্থলপথেই আমাদের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাই নয়, জলসীমায়ও তারা ক্রমেই শক্তি বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে তারাও আমাদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ভারতের নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, সীমান্তে প্রতিদিনই প্রতিযোগিতা বাড়ছে। কখনও কখনও তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে টেস্টিং লিমিটও। তিনি বলেন, সম্মুখসমর না হলেও, সম্ভাব্য প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে একটা যুদ্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

    কেবল চিন নয়, ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও যে ক্রমেই সামরিক সক্ষমতা বাড়িয়ে চলেছে, সেদিকেও নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নৌসেনা প্রধান। তিনি জানান, অর্থনৈতিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান তার সেনা বাহিনীতে আধুনিকীকরণ করে চলেছে। অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার বলেন, আমাদের পশ্চিম দিকে রয়েছে পাকিস্তান। অর্থনৈতিক নানা বাধা থাকা সত্ত্বেও তারা ক্রমেই সেনাবাহিনীতে আধুনিকীকরণ করে চলেছে। বিশেষত নৌসেনায়। এই সব সামরিক চ্যালেঞ্জ ছাড়াও রয়েছে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের বিপদ। তিনি জানান, সন্ত্রাসবাদ এখনও দেশের নিরাপত্তার পক্ষে সব চেয়ে বড় হুমকি। নৌসেনা প্রধান বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের আকার, আকৃতি-প্রকৃতি। এই সমস্ত অদৃশ্য শত্রু এক ধাপ করে এগিয়ে রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে সন্ত্রাসবাদের ধরণ, হাতিয়ার করছে প্রযুক্তিগত কৌশলকে। এগুলোর মোকাবিলা করতে হবে আমাদের।

    আরও পড়ুন : পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রবল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান। মৃতের সংখ্যা পার হয়ে গিয়েছে হাজার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। ভয়াল এই বন্যার আগেই দেউলিয়া হওয়ার জোগাড় হয়েছিল সে দেশের অর্থনীতির। সেই আবহেও সেনায় আধুনিকীকরণ হবে বলে নানা সময় জানিয়েছিলেন সে দেশের সেনা কর্তারা। আমেরিকা থেকে কয়েকশো কোটি টাকার এফ ১৬ বিমানের যন্ত্রাংশও কিনেছে। এদিন কৌশলে নৌসেনা প্রধান সেই বিষয়টিরই উল্লেখ করলেন বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Joe Biden on Taiwan: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভ্রুকুটি! চিন হামলা করলে তাইওয়ানের হয়ে লড়বে মার্কিন ফৌজ, হুঁশিয়ারি বাইডেনের

    Joe Biden on Taiwan: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভ্রুকুটি! চিন হামলা করলে তাইওয়ানের হয়ে লড়বে মার্কিন ফৌজ, হুঁশিয়ারি বাইডেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন দিন সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ চিন (China) এবং আমেরিকার (USA)। আর এর মাঝেই চিনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (US President Joe Biden)। বাইডেন বলেন, “চিন তাইওয়ান আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে (Taiwan) রক্ষা করবে।” চিন বহুদিন ধরেই তাইওয়ানের ওপর নিজের অধিকার দাবি করে আসছে। এই বিষয়ে রবিবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, “যদি তাইওয়ানের ওপর অপ্রত্যাশিত কোনো হামলা আসে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকবে।” সত্যিই কী বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশ এবার সম্মুখ সমরে? এটাই কী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বাভাস? এখন এই চিন্তাই ভাবাচ্ছে রাজনৈতিক মহলকে। যদিও এই সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার পরই হোয়াইট হাউজ জানায়, তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন: এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    চিনের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান। বহুদিন ধরেই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজের অংশ বলে দাবি করে আসছে জিংপিং- এর দেশ। ওয়াশিংটন এই ইস্যুতে বরাবরই কূটনৈতিক অবস্থান নিয়েছে। এ বিষয়ে এর আগে সরাসরি ঢুকতে চায়নি যুক্তরাষ্ট্র। দ্বীপদেশটির সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তবে তাইওয়ানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাইওয়ান রিলেশনস অ্যাক্ট অনুসারে ওয়াশিংটন তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রি করে। এ মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা খাতে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করতে সম্মত হয়েছে। আমেরিকা চায় তাইওয়ানের সমস্যাটির শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক।  

    সম্প্রতি, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক তাইওয়ান সফর করেন। এর পরেই মার্কিন-চিন সম্পর্কে আরও অবনতি হয়েছে। মার্কিন প্রতিনিধিদের তাইওয়ান থেকে ফিরে যাওয়ার পরেই সামরিক অনুশীলন শুরু করে চিন।

    আরও পড়ুন: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য  

    সম্প্রতি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি বিল মার্কিন সেনেটে পাশ হয়েছে। এই বিল অনুমোদন পাওয়ার পরেই চিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রক আমেরিকার বিরুদ্ধে বিবৃতি জারি করে বলে, ‘এক চিন নীতি’- র অবমাননা করেছে আমেরিকা। চিনের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমেরিকার হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। 

    এই মুহূর্তে চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং আশেপাশের এলাকায় ফাইটার প্লেন উড়িয়ে তাইওয়ানকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আর এর মাঝেই তাইওয়ানের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন বাইডেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরিফ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, জানুন কে কি বললেন

    SCO Summit: এসসিও সম্মেলনে মোদি-শরিফ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়, জানুন কে কি বললেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আঞ্চলিক শক্তিগুলির যোগাযোগ আরও মজবুত হবে যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে পূর্ণ পরিবহণের অধিকার (Transit Trade Access) থাকে। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের, সংক্ষেপে এসসিও (SCO) সম্মেলনে যোগ দিয়ে একথা বললেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। পাকিস্তান (Pakistan) ভারতকে স্থলপথে পরিবহণ করতে বাধা দিচ্ছে। তার জেরে ভারত স্থলপথে আফগানিস্তান ও সেন্ট্রাল এশিয়ায় ব্যবসা করতে পারছে না বলেও অভিযোগ করেন মোদি।

    এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে মোদি ইউরেশিয়ান অঞ্চলে বিভিন্ন দেশগুলির মধ্যে আরও সহযোগিতা গড়ে তোলার আহ্বান জানান। বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গোটা বিশ্বে যে জ্বালানি এবং খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে এদিন তাও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় ভারতে হবে এসসিও সম্মেলন। তার আগেই উৎপাদনের ওপর ভারত যে জোর দিচ্ছে, তারও উল্লেখ করেন মোদি। ভারত যে একটা ম্যানুফ্যাকচারিং হাব এবং দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ, এদিন বিশ্বনেতাদের সেটাও জানিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এর পরেই মোদি বলেন, সদস্য দেশগুলির মধ্যে বিশ্বাস গড়ে তুলতে এবং প্রাণবন্ত, বৈচিত্রপূর্ণ সাপ্লাই চেন সচল রাখতে এসসিওর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, এজন্য পারস্পরিক সংযোগ রক্ষা জরুরি। সেজন্য আমাদের প্রত্যেককে দিতে হবে পরিবহণের পূর্ণ অধিকার।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    এদিন সম্মেলনের বাইরে মোদির সঙ্গে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের কোনও বাক্য বিনিময় হয়নি। যদিও মোদি দাঁড়িয়েছিলেন শি জিনপিংয়ের ঠিক পাশেই।এসসিও সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রথমেই ভারতেক ধন্যবাদ জানান চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর যেহেতু ভারত হবে আয়োজক দেশ, তাই ভারতের প্রতি চিনের পূর্ণ সমর্থনের প্রতিশ্রুতিও দেন শি জিনপিং। এদিন বক্তৃতা দিয়ে গিয়ে জিনপিং এবং শরিফ দুজনেই সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে সুর চড়ান। সন্ত্রাসবাদ দমনে যে যৌথভাবে লড়াই করতে হবে, তাও জানিয়ে দেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানই। ভাষণে শরিফ মোদির পরিবহণের পূর্ণ অধিকার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যদি আঞ্চলিক শক্তিগুলির সংযোগ থাকে, তাহলে পরিবহণের পূর্ণ অধিকার চলে আসবে আপনা থেকেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    SCO Summit 2022: মোদির মুখোমুখি শি, শেহবাজ! এবারের এসসিও সম্মেলনে ভারতের গুরুত্ব কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হল ২২তম সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সামিট, সংক্ষেপে এসসিও (SCO)। দু দিনের এই সম্মেলন শুরু হয়েছে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping), রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। এই প্রথম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা মুখোমুখি হবে এই সম্মেলনে। কারণ অতিমারির কারণে এর আগে দুবার এসসিও সামিট হয়েছিল ভার্চুয়ালি।এক মঞ্চে জিনপিং এবং পুতিনের আগমনে যেমন নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল, তেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিও নজর কাড়ছে বিশ্ববাসীর।

    আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, মাদক পাচার, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ইস্যু সহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা কামনা করে ভারত। এসসিও ভারতকে বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে। যদিও ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি ভারতে সামাজিক ক্ষত তৈরি করতে যুবসমাজকে টার্গেট করছে বলে অভিযোগ। ভারত যখন থেকে এসসিওর সদস্য হয়েছে, তখন থেকেই শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ইউরেশিয়ান অঞ্চলে স্থায়িত্বের ওপর জোর দিচ্ছে। এসসিও নয়াদিল্লির কাছে একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও কাজ করছে। যার মাধ্যমে পাকিস্তানকে সেন্ট্রাল এশিয়া এবং সাউথ এশিয়া সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য করে। ভারত এই সম্মেলনে ছাবাহার বন্দর প্রোজেক্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর নিয়েও আলোচনা করতে পারে। ভারত, ইরান এবং উজবেকিস্তান এই তিন দেশ ছাবাহার বন্দর ও অন্যান্য কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা করেছিল ২০২০ সালে।এই সামিটের মাধ্যমে ভারত রাশিয়া, ইরান এবং সেন্ট্রাল এশিয়ান রিপাবলিক্সের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার একটা সুযোগ পেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    এদিকে, এই সম্মলেনর ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির আলাদা করে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনেছে। তাই এই বৈঠকের দিকে শ্যেনদৃষ্টি রয়েছে আমেরিকারও। এদিকে, এবারের সমরখন্দ সামিটে যোগ দেওয়ার কথা শি জিনপিংয়ের। ২০২০ সালের পর অতিমারির কারণে তিনি দেশের বাইরে পা রাখেননি। তাই তিনি এই সামিটে যোগ দেওয়ায় শুরু হয়েছে নয়া গুঞ্জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gogra-Hotsprings: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    Gogra-Hotsprings: সীমান্তে শান্তি কাম্য! আজ লাদাখে সেনাপ্রধান, গোগরা-হটস্প্রিং থেকে সরছে ভারত ও চিনের সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বরফ গলেছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (LAC) উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও চিন।  আগামী সোমবার ১২ অগাস্টের মধ্যে লাদাখ (Ladakh) সীমান্তের গোগরা হটস্প্রিং (Gogra-Hot Springs) থেকে সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত ও চিন (China) সরকার। দুই দেশের তরফে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়ছে যে ১৬ তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে গোগরা হট স্প্রিং এলাকা থেকে দুই দেশে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। সেনা প্রত্যাহারের ফলে সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় থাকবে বলেও আশাপ্রকাশ করা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী শুক্রবার বলেন, “আগামী ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই এলাকায় সেনা প্রত্যাহারের পর্ব শেষ হবে।” এরপরই ঠিক হয় সেনা প্রত্যাহার পর্ব ঠিকঠাক চলছে কি না তা খতিয়ে দেখতে আজ, শনিবার লাদাখে যাবেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে।

    আরও পড়ুন: পরীক্ষা সফল! সেনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য তৈরি কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল

    সেনা সূত্রের খবর, পরবর্তী পর্যায়ে ডেমচক এবং প্যাংগং হ্রদের উত্তরের ফিঙ্গার এরিয়ার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ভাবা হচ্ছে। প্রায় ২৮ মাস ধরে ভারত ও চিনের সেনা মোতায়েন ছিল হটস্প্রিং এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই দিকেই। দুই দেশের সেনা পর্যায়ে ১৬ রাউন্ড আলোচনার শেষে দুপক্ষই উত্তেজনা অনেকটা কমিয়ে আনে। এরপরই সেনা প্রত্যাহারে উদ্যোগী হয় দুই দেশ। ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চল থকে সেনা সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: অরুণাচলে চিনকে টক্কর দিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা! জানেন সেনার কী পরিকল্পনা?

     আগামী সপ্তাহে উজবেকিস্তানের সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের প্রসিডেন্ট  শি জিনপিং যোগ দেবেন। সীমান্তে পরিস্থিতি শান্ত হলে ওই সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাস থেকে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। গালওয়ান উপত্যকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে শহিদ হয়েছিলেন ভারতের ২০ জন সেনা কর্মী। চিনেরও বহু জওয়ান নিহত হয়েছিল। যদিও তবু শান্তির পথ ছাড়েনি ভারত। চিনের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিকস্তরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হয়। এই আবহে গোগরা হটস্প্রিং থেকে দুই দেশের সেনা প্রত্যাহারে শান্তি ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • UN targets China: চিনের অমানবিকতা! উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    UN targets China: চিনের অমানবিকতা! উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদে (UNHRC) কাঠগড়ায় চিন। সে দেশের শিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশে মুসলিম নিপীড়নের অভিযোগ উঠল। ঘটনাচক্রে, রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য চিনও। সেখানেই অভিযোগ উঠল বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। রিপোর্ট বলা হয়েছে, ‘শিনজিয়াংয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধে।’ রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পরিষদের হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশলেট তাঁর মেয়াদ শেষের আগে এই রিপোর্ট পেশ করেছেন। এতে স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের ‘স্বশাসিত’ শিনজিয়াং প্রদেশে চিন সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চালাচ্ছে। 

    রিপোর্ট পেশ করে চিলির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মিশেল বলেন, ‘‘আমি বলেছিলাম কার্যকালের মেয়াদ শেষের আগেই আমি এটি পেশ করব। আমি কথা রাখতে পেরেছি।’’ উল্লেখ্য, চল্লিশের দশকে স্বাধীন রাষ্ট্র পূর্ব তুর্কিস্তান দখল করে শিনজিয়াং প্রদেশ নামকরণ করেছিলেন চিনের প্রয়াত চেয়ারম্যান মাও জে দং। 

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    গত কয়েক বছর ধরেই বারে বারে ওই অঞ্চলে নীপিড়নের অভিযোগ উঠেছে শি জিনপিং (Xi Jinping) সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ বন্দি করে রাখা হয়েছে। জোর করে তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বন্যায় ভাসছে দেশ, মোদির সমবেদনার পরেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কাশ্মীর!

    সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে বিক্রি হওয়া কিডনি, লিভার-সহ বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বড় অংশের মালিক চিনের বন্দিশিবিরে আটক উইঘুর মুসলিমরা! অভিযোগ, জোর করে তাদের অঙ্গ কেটে বিক্রি করছে বেজিং! অভিযোগ, শিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১৬ হাজার মসজিদ ধ্বংস করেছে চিন সরকার। গত চার বছরেই অধিকাংশ মসজিদ ভাঙা হয়েছে, বলে দাবি। নষ্ট করা হয়েছে, মাজার, কবরস্থান। শিনজিংয়া প্রদেশের রাজধানী উরুমকি এবং বাণিজ্য শহর কাশগড়ে প্রকাশ্যে নমাজ পাঠ, রোজা পালনের মতো ধর্মীয় কর্মসূচিতেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    GDP: বাড়ল ভারতের জিডিপি, প্রথম ত্রৈমাসিকে কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  চলতি আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে বাড়ল ভারতের (India) গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট, সংক্ষেপে জিডিপি (GDP)। গত বছর এই সময়সীমার মধ্যে এই বৃদ্ধির হার ছিল ২০.১ শতাংশ। এবার তা দাঁড়িয়েছে ১৩.৫ শতাংশে। জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (National Statistical Office) থেকে যে ডেটা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। বুধবার ওই ডেটা প্রকাশ করা হয়।

    কোনও একটি দেশের অভ্যন্তরে এক বছরে চূড়ান্তভাবে উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার বাজারে সামগ্রিক মূল্যই হচ্ছে গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি। আগের বছরের তুলনায় পরের বছরে এই উৎপাদন যে হারে বাড়ে সেটি হল জিডিপির প্রবৃদ্ধি। এই জিডিপি একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান সূচক। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ভারতে জিডিপি পৌঁছেছে ১৩.৫ শতাংশে।

    রেটিং এজেন্সি আইসিরএ-র মতে, জিডিপি ১৩ শতাংশে পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন এই ত্রৈমাসিকে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া তার রিপোর্টে বলেছিল, জিডিপি দাঁড়াতে পারে ১৫.৭ শতাংশে গিয়ে। এই মাসের শুরুর দিকে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছিল প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি রেট দাঁড়াতে পারে ১৬.২ শতাংশে। প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবর্ষে এই সময় সীমায় ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ০.৪ শতাংশ।

    আরও পড়ুন : দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্ব মন্দার ভয় এবং সুদ বাবদ খরচ বৃদ্ধির জেরেই এই বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। রিজার্ভ ব্যাংক বেঞ্চমার্ক পলিশি রেট বাড়িয়ে করেছে ১৪০ পয়েন্ট। মে মাস থেকে তিন কিস্তিতে ওই বৃদ্ধি হয়েছে। দেশের শীর্ষ ব্যাংক এও জানিয়েছিল, দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নীচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কেবল জিডিপি বাড়েনি, বেড়েছে বেসরকারি বিনিয়োগও। প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি আর্থিক বর্ষের এপ্রিল থেকে জুন এই তিন মাসে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ ২০.১ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। আরও জানা যাচ্ছে, সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে ১.৩ শতাংশ, বেসরকারি ক্ষেত্রে খরচের হার বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • China: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    China: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ১৯ ভাইরাসের বিস্তার রোধে চিন সরকারের কঠোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, ব্যাপক সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে শি জিনপিংয়ের (Xi Jinping) ‘জিরো কোভিড নীতি’-র (Zero Covid Policy) ব্যর্থতার ছবি স্পষ্ট। ফের বিপর্যস্ত চিনা (China) জনজীবন।  

    চিনের কিছু অঞ্চলে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে করোনা সংক্রমণ। ফের করোনা বিধি নিষেধের আওতায় চিন।  

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?

    সোমবার শেনজেন শহরের বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে চিন সরকার। আশেপাশের অঞ্চলে বন্ধ করা হয়েছে যানবাহনের চলাচল। পঞ্চম ঢেউয়ের আশঙ্কা থেকেই এই সিদ্ধন্ত। 

    হুয়াকিয়াংবেই-এ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোনের যন্ত্রাংশ এবং মাইক্রোচিপ বিক্রির হাজার হাজার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফুতিয়ান জেলায় তিনটি এলাকায় চারদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তের কাছে ভারত-মার্কিন সেনা মহড়া! বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে দিল দিল্লি 

    বাসিন্দাদের কোভিড পরীক্ষা ব্যতীত তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে এই পরিস্থিতি। 

    অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন ছাড়া অর্থাৎ সুপারমার্কেট, ওষুধের দোকান এবং হাসপাতাল ব্যতীত ওইসব এলাকায় সমস্ত ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রেস্তোরাঁয় খাওয়া দাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র টেকওয়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।     

    লুওহু এবং লংগ্যাং জেলাগুলিতেও সমস্ত বিনোদনের জায়গা এবং পাবলিক পার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে, শেনজেনের এক আধিকারিক বলেন, মূলত করোনার নতুন সাবভেরিয়েন্ট Omicron BF.15 দ্বারাই নতুন করে ছড়াচ্ছে এই রোগ। এটি আরও বেশি সংক্রামক। তিনি আরও বলেন, “আসন্ন সময়ে এই মহামারী প্রতিরোধ করা আরও কঠিন হবে।” 

    ফের চিনে নতুন করে ছড়াচ্ছে করোনা। অনেকেই মনে করছে পঞ্চম ঢেউ এসে গিয়েছে। 

    রবিবার সারা দেশে ১৯ টি প্রদেশ এবং পৌরসভায় মোট ৩০১ জন আক্রান্তের খবর মিলেছে। এছাড়াও, সোমবার চিনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দেশব্যাপী ১২৫৫ টি উপসর্গবিহীন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। 

    রবিবার সারা দেশে রিপোর্ট হওয়া ৩০১ টি স্থানীয় মামলার মধ্যে, ১৬১ টি সিচুয়ান প্রদেশের। যা এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ। 

    হংকং- এ স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশের সরকার। সেখানেও করোনা সংক্রণের হার ১০,০০০ ছাড়িয়েছে। 

    চিন সেই দেশগুলির মধ্যে অন্যতম, যারা কঠোরভাবে ‘জিরো কোভিড নীতি’ অনুসরণ করছে। 

    ভাইরাস মোকাবিলায় ফের আক্রমনাত্মক ভূমিকায় চিন। এর মধ্যে রয়েছে ‘ফ্ল্যাশ লকডাউন’, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, গণ হারে পরীক্ষা, সামাজিক দূরত্ব এবং প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • German ambassador on China: অরুণাচল প্রদেশে চিনের দাবি ঔদ্ধত্যের পরিচয়, মত জার্মান রাষ্ট্রদূতের

    German ambassador on China: অরুণাচল প্রদেশে চিনের দাবি ঔদ্ধত্যের পরিচয়, মত জার্মান রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মান রাষ্ট্রদূত (German ambassador) ফিলিপ অ্যাকারম্যান (Philipp Ackermann) মঙ্গলবার বলেন, অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) উপর চিনের (China) দাবি ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং চিনের ভারতের উত্তর সীমান্ত লঙ্ঘন গ্রহণযোগ্য নয়। এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।    

    এই মাসের শুরুতে নয়াদিল্লিতে কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাকারম্যান। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। ২৪ অগাস্ট রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেয় ভারত। ভারতের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করে অ্যাকারম্যান বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine) ইস্যুতে ভারত এবং ইউরোপ সবসময় একমত না হলেও, এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।”

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    তিনি আরও বলেন, “আমরা ভারতের উত্তরের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ওয়াকি বহাল। চিন দাবি করছে অরুণাচল প্রদেশ চিনের অবিচ্ছেদ্দ অংশ। এটা ঔদ্ধত্য। আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারছি সীমান্ত পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং এসব মেনে নেওয়া যায় না।”  

    রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণকে, ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির পোল্যান্ড আক্রমণের সঙ্গে তুলনা করেছেন অ্যাকারম্যান। 

    তিনি বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যেই ব্যবহার করছে, সেই একই রকম ব্যবহার চিন ভারতের সঙ্গে করছে। এটা আশা করি ভারতও স্বীকার করবে।”

    আরও পড়ুন: চিন সীমান্তে নিখোঁজ ভারতীয় পর্বতারোহী! নিছকই কি দুর্ঘটনা?

    তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্লিন সফরেও সময়ও আমরা বলেছিলাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েই নিজেদের মতামত রেখেছে ভারত। আমরা বিশ্বাস করি ভারত আন্তর্জাতিক আইন এবং তার সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা বোঝে। তবে সব ক্ষেত্রে আমরা এক মত হতে পারি না একথাও সত্যি।”

    তিনি বলেন, “একে অপরের সীমান্ত রেখাকে সম্মান করবে সেটাই আন্তর্জাতিক আইনের দস্তুর।”  

    অ্যাকারম্যান তাইওয়ানের পরিস্থিতিসহ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতি জার্মানির ক্রমবর্ধমান আগ্রহের বিষয়েও এদিন কথা বলেন। মোদির দুবারে জার্মানি সফরে ভারত-জার্মান সম্পর্কের যে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে এদিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। ভারতকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি খেলা। পৃথিবীর সব শক্তিধর দেশই নিজের দলে রাখতে চাইছে ভারতকে। তাই রাশিয়ায় চিনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের ভারতের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। 

    বৃহস্পতিবার থেকে পূর্বাঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়ার (War Games) আয়োজন করেছে রাশিয়া (Russia)৷ চিন (China), ভারতসহ সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ অংশ নিচ্ছে এই সামরিক মহড়ায়৷ 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    ভস্তক ২০২২ নামের এই সামরিক মহড়ায় ৫০ হাজারের বেশি সৈন্য অংশ নেবেন৷ ১৪০টি যুদ্ধ বিমান এবং ৬০ টি যুদ্ধ জাহাজ ব্যবহার করা হবে এই মহড়ায়৷ তবে ২০১৮  সালে শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মহড়া। প্রায় তিন লক্ষ সেনা অংশ নিয়েছিলেন৷ সেই সময় প্রায় ১ হাজার যুদ্ধ বিমান এবং ৩৬ হাজার ট্যাঙ্ক ছিল৷   

    ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। বার বার আলোচনায় বসেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এই অবস্থায় কী করে এই দুই দেশকে একসঙ্গে মহড়ায় রাজী করাল রাশিয়া, তা নিয়ে অবাক হয়েছেন অনেকেই। 

    আরও পড়ুন: চিনের অমানবিকতা! উইঘোর বাসিন্দাদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, কোণঠাসা অবস্থায় দুই পুরোনো বন্ধুকে পাশে পেতে চাইছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে অধিকাংশ দেশগুলি রাশিয়ার নিন্দা করলেও, প্রকাশ্যে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। প্রবল চাপ সত্বেও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। আর সে কারণেই ভারত এবং চিনের মধ্যে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাইছেন পুতিন, যেন প্রয়োজন পড়লে দুই দেশই রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে পারে। 

    অন্যদিকে ভারতকে নিজেদের প্রতিরক্ষা অংশীদার করতে চাইছে আমেরিকা। ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো যাতে খর্ব না হয় তার জন্যে দিল্লিকে অনুরোধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন-রাশিয়া অশান্তির মধ্যে ভারতীয়  সেনার এই রাশিয়া সফরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই মহড়া আয়োজন। ভারত-চীনের অংশগ্রহণ এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টিকে বাইডেন প্রশাসন গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

    তবে মহড়ার জন্যে সেনার ছোট দল রাশিয়ায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সেনার তিন বিভাগেই মহড়া চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের তরফ থেকে সামরিক বিমান বা যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হবে না। সেনার তিন বিভাগ থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। স্থলসেনার তরফে গোর্খা রেজিমেন্টকে পাঠানো হচ্ছে সামরিক মহড়ায়। সবমিলিয়ে ভারতের তরফ থেকে ৭৫ জনের একটি দল রাশিয়ায় যাবে।  

    কূটনৈতিক দিক দিয়ে বরাবরই নিরপেক্ষ থেকেছে ভারত। কিছুদিন পরেই আরণাচলপ্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। চিনের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই হবে এই মহড়া।

    সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বেশি দর ভারতের। সব দেশই চাইছে ভারতের বন্ধুত্বের হাত। শেষ হাসি কে হাসবে তা সময় বলবে। কিন্তু এই অবধি সব দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share