Tag: China

China

  • Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    Sri Lanka: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা, দাবি সিআইএ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের কাছে ঋণ নিয়ে চরম বোকামির (Dumb Bets) কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। তার জেরেই ভেঙে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতি। দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দেশ। সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করেছেন সিআইএ (CIA) প্রধান বিল বার্নস (Bill Burns)। বিলের মতে, শ্রীলঙ্কার এই ভুল দেখে বিশ্বের অন্য দেশগুলির সচেতন হওয়া উচিত।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নেয় দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। সরকারের এই ভুল সিদ্ধান্তের মাশুল গুণতে হয় দ্বীপবাসীদের। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় আমদানি বন্ধ। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান গোতাবায়া। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতির কারণ যে চিন থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেওয়া, তা জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। বিল বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শ্রীলঙ্কার দিকে তাকানো উচিত। চিনের কাছে ঋণে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র। চিন থেকে ঋণ নিয়ে অবিবেচকের মতো কাজ করেছে শ্রীলঙ্কা। যার জেরে ভেঙে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। দুর্দশার শিকার হয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। বদলে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও। তিনি বলেন, কেবল মধ্য প্রাচ্য কিংবা দক্ষিণ এশিয়া নয়, গোটা বিশ্বকেই এ ব্যাপারে চোখকান খোলা রাখতে হবে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    শ্রীলঙ্কায় পরিকাঠামো সহ নানা খাতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে চিন। বিপুল পরিমাণ সুদ মেটাতে গিয়েই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দেশ। ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপ শ্রীলঙ্কা। জনসংখ্যা ২২ কোটির কাছাকাছি। অবস্থানগতভাবে ভারতের কাছাকাছি হওয়ায় মোদি সরকারের থেকে প্রচুর সাহায্য পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। তার পরেও শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা পাশে থাকার আবেদন জানিয়েছে ভারতকে। যাতে বিপর্যয়ের হাত থেকে টেনে তোলা যায় দ্বীপরাষ্ট্রকে।

     

  • India China: ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি? শুরু তদন্ত

    India China: ভারতীয়দের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি? শুরু তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর ফাঁকি (Tax evasion) ও ভুয়ো বিনিয়োগে অভিযুক্ত চিনা (china) সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে ভারত সরকার (Indian govt)। জানা গিয়েছে, এই সব কোম্পানির প্রকৃত সুবিধাভোগীরা আদতে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির (Communist Party of China) বর্ষীয়ান সদস্য।

    ব্যবসায়িক সূত্রে এদেশে আসা চিনা কোম্পানিগুলি নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করছে ভারত (India) থেকে। চিন সরকারের (Chinese govt) নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কোম্পানির সমস্ত তথ্য সেদেশের সরকারকে জমা দিতে হয়। এই কোম্পানিগুলিও যেসব তথ্য সংগ্রহ করছে, সেগুলি তারা জমা দিচ্ছে চিন সরকারকে। যা জাতীয় নিরাপত্তার (National security) পক্ষে ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    আরও পড়ুন : ফের ভারত-চিন সংঘাত? প্যাংগং হ্রদের ওপর অধিকৃত অঞ্চলে দ্বিতীয় চিনা সেতু ঘিরে বিতর্ক

    জানা গিয়েছে, ভারতে ডিজিটাল সেক্টরের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য সহজ হাতে পেয়েছে চিনা কোম্পানিগুলি। সহজ ঋণের খোঁজ করা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য মোবাইল গেম (Mobile games) ও অ্যাপ (Chinese App) ব্যবহার করা হয়। একবার, ঋণের ফাঁদে পড়লে, আখেরে উচ্চ সুদ চোকাতে হচ্ছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এহেন ৪০টি নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা যাদের সঙ্গে চিনাদের লিঙ্ক রয়েছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হতে বলেও সূত্রের খবর।

    চিনা কোম্পানিগুলি যে তথ্য পাচার করছে, সে খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন চিনা কোম্পানির মালিকরা চিনে ফিরে গিয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে কয়েকটি কোম্পানি হঠাৎই অপারেশন বন্ধ করে দেয়। এমনই একটি চিনা অ্যাপ হল ‘শপ’। গালওয়ানের ঘটনার পর ‘শপ’-এর মূল বিনিয়োগকারীদের আরেকটি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ভারতে কিছু চিনা কোম্পানি ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে লেনদেন করছে বলেও সূত্রের খবর। 

    আরও পড়ুন : উত্তর ভারতের ৭টি পাওয়ার গ্রিডে সাইবার হানা চিনা হ্যাকারদের, কতটা ক্ষতি? পড়ুন বিস্তারিত রিপোর্ট

    চিনা টেলিকম সংস্থাগুলিতে অভিযান চালিয়ে দেখা গিয়েছে তারা ভারতীয় আইন মেনে চলছে না। ভারতে ব্যবসা করছে এমন কিছু চিনা সংস্থার বিরুদ্ধে এক্সিম (EXIM)-সম্পর্কিত নিয়ম লঙ্ঘন ও জিএসটি (GST)-সম্পর্কিত কারসাজির অভিযোগও আনা হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, জাল ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পাওয়ার জন্য জাল চালান তৈরি করা হত। টেলিকম, উচ্চ শিক্ষা এবং ক্ষুদ্র অর্থ সহ বিভিন্ন সেক্টর জুড়ে সরাসরি বা প্রক্সির মাধ্যমে চিনা ব্যবসায়িক সংস্থাগুলির এহেন বেআইনি কার্যকলাপের বেশ কয়েকটি ঘটনা সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে প্রকাশ্যে চলে আসে। এদেশে নিম্ন আয়ের শ্রেণিভুক্ত মানুষকে টার্গেট করা এক ডজনেরও বেশি চিনা অ্যাপ জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজরদারিতে চলে এসেছে। জানা যায়, চিনা কোম্পানিগুলি শুধু ভারত নয়, বিশ্বজুড়ে অবৈধ আর্থিক কারবার চালাচ্ছে।

     

  • China Bank Crisis: ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন চিনে, উসকে দিল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি

    China Bank Crisis: ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন চিনে, উসকে দিল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাংক (Bank) বাঁচাতে ট্যাংক মোতায়েন করল চিনের (China) কমিউনিস্ট (Communist) শাসক। যা দেখে বিশ্ববাসীর মনে ভেসে উঠছে চিনেরই তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের স্মৃতি। ছাত্র বিক্ষোভ দমন করতে তিয়েনআনমেন স্কোয়ারে নির্বিচারে ট্যাংক (Tank) দেগেছিল সে দেশের কমিউনিস্ট সরকার। প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় দশ হাজার ছাত্র। ব্যাংক বাঁচাতে ট্যাংক মোয়ায়েন করায় ফের উসকে উঠল তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি।

    চিনে ভেঙে পড়ার মুখে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। গ্রামীণ ব্যাংকগুলিতে আমানতকারীদের জমা রাখা অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটেছে মধ্য চিনের হেনান প্রদেশে। ঘটনার প্রতিবাদে সম্প্রতি হাজারেরও বেশি প্রতিবাদী হেনানের রাজধানী ঝেংঝাউতে ব্যাংকে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান।

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    সূত্রের খবর, জনরোষ অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে আঁচ করে শানডং প্রদেশের রিঝাও অঞ্চলের একটি ব্যাংকের সামনে ট্যাংক মোতায়েন করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর সম্প্রতি একটি বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চিনের এই ব্যাংকটির। কষ্টার্জিত আমানত খুইয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ব্যাংকটির গ্রাহকরা। বিক্ষোভ দেখাতে রিঝাও অঞ্চলে ব্যাংকটির স্থানীয় শাখার সামনে জড়োও হন আমানতকারীরা। যদিও তাঁদের ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ব্যাংকের সামনে মোতায়েন করা ছিল বেশ কয়েকটি ট্যাংক ও সেনা জওয়ান। ট্যাংক এবং সেনার সমাবেশ থেকে আর প্রতিবাদ করার সাহস পাননি সর্বস্ব খোয়ানো আমানতকারীরা।  

    আরও পড়ুন : বন্দরের ফাঁদে ফেলেই শ্রীলঙ্কাকে ডোবাল চিন?

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দেশের একাধিক ব্যাংক দুর্নীতির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রভাবশালীদের। তবে এ খবর চাপা ছিল দীর্ঘদিন। খবরটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে এপ্রিল মাসে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হেনান ও আনহুই প্রদেশের কয়েকটি ব্যাংকে আমানতকারীদের লেনদেন করতে দেওয়া হচ্ছে না। পরে বেশ কয়েকটি ব্যাংকেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। সেই সব অভিযোগ যাতে ‘বিপ্লবে’র আকার ধারণ করতে না পারে, তাই কি ট্যাংক এবং সেনা মোতায়েন কমিউনিস্ট শাসকের? উঠছে প্রশ্ন।

     

  • India-China Border: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    India-China Border: শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-চিন সীমান্তে (India-China Border) উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। ডোকলাম (Doklam) থেকে ৯ কিলোমিটার পূর্বে গ্রাম নির্মাণ করেছে চিন। স্যাটেলাইট চিত্রে (Satellite images) এই ছবি ধরা পড়েছে। ২০১৭ সালে ওই এলাকাতেই বিবাদে জড়িয়েছিল ভারত ও চিন। এখন সেখানেই আস্ত একটা গ্রাম গড়ে উঠেছে৷ বেজিংয়ের তরফে গ্রামটির নাম দেওয়া হয়েছে পাংডা (Pangda)। এটি ভুটান সীমান্তের (Bhutanese territory) কাছাকাছি। 

    সূত্রের খবর, এই গ্রাম ভুটানের আমো চু নদীর (Amo Chu river) তীরেই অবস্থিত৷ এমনকি ওই গ্রামের কিছু অংশ ভুটানের বলেই জানা যাচ্ছে৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ওই জায়গায় চিনা ফৌজ (PLA) গ্রাম নির্মাণ করে সহজে ডোকলাম এলাকায় আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে৷ একবার ওই এলাকা দখল করে ফেলতে পারলে শিলিগুড়ি করিডরের (Siliguri Corridor) অনেক কাছে চলে আসবে চিন। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, শিলিগুড়ি করিডর দখল করে ধীরে ধীরে উত্তর-পূর্ব দখলের পরিকল্পনা রয়েছে চিনা ফৌজের। 

    আরও পড়ুন: তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    ২০১৭ সালের ২৭ জুন একটি বিতর্কিত অঞ্চলে চিন রাস্তা নির্মাণ করতে গেলে প্রতিবাদ জানায় ভুটান৷ জানা যায়, চীন জুফেরি পাহাড়ের কাছে ভুটানের সেনা ক্যাম্পের সামনে ডোকলামে রাস্তা সম্প্রসারণের চেষ্টা করছিল। টানা ৭৩ দিন মুখোমুখি অবস্থান ছিল ভারত ও চিনের৷ সেসময় চিনা ফৌজ জোমপেলরি গিরিশিরা পর্যন্ত এগিয়ে আসার চেষ্টা করলেও ভারতীয় সেনার (Indian Army) বাধায় তা সম্ভব হয়নি।

    আরও পড়ুন: কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়

    প্রাক্তন এক সেনাকর্তা জানিয়েছেন, পাংডা গ্রাম ও তার উত্তর ও দক্ষিণের গ্রামগুলি থেকেই বোঝা যাচ্ছে চিনারা ডোকলাম মালভূমির (Doklam Valley) জোমপেলরি গিরিশিরার উপরে বৈধ অধিকার কায়েম করতে চাইছে। এবিষয়ে এখনও অবধি ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বিদেশমন্ত্রকের তরফে কোনও বার্তা মেলেনি। যদিও সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় সেনা চিনা ফৌজের গতিবিধির ওপর নজর রেখেছে৷ যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য ভারতীয় সেনা সর্বদা প্রস্তুত। 

  • India China Border Talks: পূর্ব লাদাখ নিয়ে ফের বৈঠকে ভারত-চিন, মিলবে কি সমাধানসূত্র?

    India China Border Talks: পূর্ব লাদাখ নিয়ে ফের বৈঠকে ভারত-চিন, মিলবে কি সমাধানসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) ২০ মাসের জটিলতা কাটাতে আবার কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসছে ভারত-চিন (China)। সূত্রের খবর, এই নিয়ে ১৬ বার এ প্রসঙ্গে  বৈঠকে বসতে চলেছে দু’দেশ। তবে এবারও এই বৈঠকের আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান কূটনৈতিক মহল।

    ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) সম্প্রতি জানিয়েছে, উভয় পক্ষ পূর্ব লাদাখের পশ্চিম সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Actual Control) বরাবর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় করছে। বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে যে উভয় পক্ষ ভারত-চিন সীমান্ত এলাকার পশ্চিমাঞ্চলে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ সিনিয়র কমান্ডারদের বৈঠকের পরবর্তী রাউন্ড আয়োজন করতে সম্মত হয়েছে। সামরিক পর্যায়ের সর্বশেষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১১ মার্চ। তবে তা থেকে কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।

    এর আগের বৈঠকে একাধিক ‘গঠনমূলক’ প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত (India)। কিন্তু চিনের দিক থেকে সে ভাবে কোনও প্রস্তাব আসেনি। সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে দাবি করেন, চিন সীমান্তে সমস্যা জিইয়ে রাখতে চায়। তাই কোনও সদর্থক ভূমিকা নেয় না। তবে ভারত কোনওরকম অনধিকার প্রবেশ বরদাস্ত করবে না।

    আরও পড়ুন: ফের ভারত-চিন সংঘাত? প্যাংগং হ্রদের ওপর অধিকৃত অঞ্চলে দ্বিতীয় চিনা সেতু ঘিরে বিতর্ক

    ভারত-চিন দু’দেশই নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ জারি রেখেছে। সড়ক নির্মাণ, বিমান ওঠানামার জন্য রানওয়ে তৈরির কাজ করছে চিন। সূত্রের খবর, এই অস্থির পরিস্থিতির জন্য পূর্ব লাদাখে অত উচ্চতায় দু’দেশেরই প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার অস্ত্র সুসজ্জিত সৈনিক মজুত রয়েছে। 

    সম্প্রতি একটি খবর প্রকাশ্যে আসে যে প্যাংগং হ্রদ (Pangong Tso) সংলগ্ন ফিঙ্গার ৮-এর থেকে মাত্র ১৬ কিলোমিটার দূরে একটি বড় সেতু বানাচ্ছে চিন। এই আবহে ভারত নিজেদের অবস্থান আরও পোক্ত করতে লাদাখ সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েন করেছে। লাদাখে (Ladakh) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) দুই দিকেই এখন দুই দেশের সমসংখ্যক সেনা মোতায়েন রয়েছে। চিনের আর্মার্ড এবং রকেট রেজিমেন্টগুলি মোতায়েন রয়েছে রুডগ ঘাঁটিতে, প্যাংগং সো-র দক্ষিণে এবং অশান্ত জিনজিয়াং সামরিক অঞ্চলের জিয়াদুল্লাহতে। পিএলএ এয়ার ফোর্স (PLAAF) ডেমচক (Demchak) এবং জিনজিয়াংয়ের (Xinjiang) হোতান এয়ারবেসে তাদের যুদ্ধবিমান এবং বোমারু বিমান মোতায়েন করে রেখেছে। এই আবহে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি উন্নতির আশা করছেন অনেকে।

  • Dalai Lama: স্বাধীনতা নয়, অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছি, বললেন দলাই লামা  

    Dalai Lama: স্বাধীনতা নয়, অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছি, বললেন দলাই লামা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনারা (Chinese) এখন বুঝতে পারছেন আমি স্বাধীনতা (Independence) চাইছি না বরং অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন (Meaningful Autonomy) এবং তিব্বতি বৌদ্ধ সংস্কৃতির সংরক্ষণ চাইছি। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে একথাই বললেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা (Dalai Lama)।

    শুক্রবার লেহ যাওয়ার কথা দলাইয়ের। বৃহস্পতিবার ভোরে হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালা ছাড়েন তিনি। পরে সেখান থেকে চলে যান জম্মু। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও বহু মানুষ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন সেখানে। এই জম্মু থেকেই তাঁর লেহ যাওয়ার কথা। তার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এই তিব্বতি ধর্মগুরু। তিনি বলেন, কিছু চিনা কট্টরপন্থী আমাকে একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী বলে মনে করেন। তাঁরা সব সময় আমার সমালোচনা করেন। কিন্তু এখন চিনারা বুঝতে পারছেন আমি স্বাধীনতা চাইছি না। বরং অর্থপূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চাইছি। তিনি বলেন, তিব্বতি বৌদ্ধ সংস্কৃতিরও সংরক্ষণ চাইছি আমি। তাঁর সফরে চিনের আপত্তির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দলাই বলেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে চিনা জনগণ আপত্তি করছেন না। চিনারা বেশি করে তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্মে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তিনি বলেন, কিছু চিনা পণ্ডিত বুঝতে পারছেন তিব্বতীয় বৌদ্ধধর্ম খুবই বৈজ্ঞানিক। পরিস্থিতি বদলাচ্ছে।

    আরও পড়ুন : চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

    দেশে দেশে যুদ্ধের তিনি যে ঘোরতর বিরোধী, এদিন তা ফের উঠে এসেছে দলাইয়ের কথায়। তিব্বতি এই ধর্মগুরু বলেন, মানুষের কাছে আমার বার্তা, আমরা সকলে ভাইবোন। লড়াই করে কোনও লাভ নেই। আমার জাতি, আমার আদর্শের মতো সংকীর্ণ মানসিকতা থেকে লড়াই শুরু হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব বিবাদের সমাধানের ওপর আরও একবার জোর দিয়েছেন তিব্বতি এই ধর্মগুরু। চলতি মাসের শুরুর দিকে জন্মদিন ছিল দলাইয়ের। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি। তা নিয়ে মোদির সমালোচনা করে শি জিনপিংয়ের সরকার। যদি তাকে পাত্তাই দেয়নি নয়াদিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দালাই লামা দেশের একজন সম্মানীয় অতিথি। তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।

    আরও পড়ুন : বুমেরাং হচ্ছে চিনা ঋণের ফাঁদ?

     

  • Giant Panda Fossil: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম

    Giant Panda Fossil: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডাইনোসরের জীবাশ্মের খোঁজ, এসব এখন অতীত। সম্প্রতি ৬ মিলিয়ন অর্থাৎ ৬০ লক্ষ বছর পুরনো জায়েন্ট পান্ডার (Giant Panda) জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে চিন (China) থেকে। আর এই নিয়েই আবারও চর্চা শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই পান্ডার উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে এই নিয়ে অনেক আলোচনা চলছিল। জানা গিয়েছিল, জায়েন্ট পান্ডার হদিশ নাকি চিন থেকেই পাওয়া যায়। কিন্তু এবারে এত বছরের পুরনো বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া পান্ডার জীবাশ্ম উদ্ধার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সাধারণ মানুষের।

    ওই দুই মহিলার মধ্যে একজন অস্ট্রিয়ান ও অন্যজন রোমানিয়ান ছিলেন।

    বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে প্রজাতির পান্ডার হাড়ের জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়েছে তার নাম Ailurarctos। জীবাশ্মটি চিনের ইউনানের (Yunnan) জাওটং (Zhaotong) শহরের থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এটি ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জীবাশ্ম ও এই প্রজন্মের পান্ডাদের থেকেই বর্তমান প্রজন্মের পান্ডারা এসেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই হাড়গুলো থেকে বর্তমান প্রজন্মের পান্ডাদের হাড়ের পরিবর্তনের কথা জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। ‘ফলস থাম্প’ নামক হাড়ের গঠনে কী কী পরিবর্তন এসেছে এই নিয়ে বিস্তারিত জানতে এই জীবাশ্ম অনেক সাহায্য করে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই ফলস থাম্পের সাহায্যেই পান্ডারা হাতে কোনও খাবার বা বাঁশ নিয়ে খেতে পারে। বর্তমান প্রজন্মের পান্ডাদের ফলস থাম্পের সঙ্গে এর মিলও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। শুধুমাত্র এটি আকারে বড় ধরণের ছিল ও এতে হুক নেই যা বর্তমান প্রজন্মের পান্ডাদের আছে।

    আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড! ৫ লাখ টাকার গয়না চুরি করল ইঁদুর!

    এর আগে ২০১০ সালে প্রথম Ailurarctos প্রজাতির পান্ডার হাতের হাড় পাওয়া গিয়েছিল ও ২০১৫ সালে দাঁত ও ফলস থাম্প উদ্ধার করেছিল বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই জীবাশ্মের সাহায্যেই বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে,  Ailurarctos প্রজাতির পান্ডার ফলস থাম্পের থেকে বর্তমান প্রজন্মের পান্ডাদের ফলস থাম্পের গঠন বেশি ভালো। এদের থাম্পে হুক থাকায় কোনও জিনিসকে বা কোনও খাবারকে এরা ভালোভাবে ধরতে পারে। ফলে এই জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়ার পরে বিজ্ঞানীরা জায়েন্ট পান্ডাদের সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে পারেন ও এখনকার পান্ডাদের সঙ্গে আগের প্রজন্মের পান্ডাদের কী কী মিল ও অমিল রয়েছে তাও জানতে পারেন। বিজ্ঞানীরা এই জীবাশ্ম নিয়ে এখনও গবেষণা করে চলেছে, তাই ভবিষ্যতে আর কী কী নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে এটিই এখন দেখার।

  • Asian Games 2022: চিনে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা, স্থগিত হয়ে গেল ১৯তম এশিয়ান গেমস

    Asian Games 2022: চিনে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা, স্থগিত হয়ে গেল ১৯তম এশিয়ান গেমস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China) করোনার (Covid-19) বাড়বাড়ন্তে স্থগিত হয়ে গেল এশিয়ান গেমস (2022 Asian Games)। চলতি বছরেই ১০ ​​থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯তম এশিয়ান গেমসের আসর বসার কথা ছিল চিনের হাংজুতে (Hangzhou)। এএফপি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনার প্রকোপে সে প্রতিযোগিতায় স্থগিতাদেশ দিল অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া (Olympic Council of Asia)।    
     
    [tw]


    [/tw]

    চিনের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত । তাসখন্দে সংস্থার এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গেমসের আয়োজন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে হাংজু প্রশাসনের তরফেও।

    [tw]


    [/tw]

    একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুসারে, অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া শুক্রবার জানিয়েছে, চিনের হাংজুতে ১৯তম এশিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিত করা হবে। কতদিনের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে প্রতিযোগিতাটি সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।  

    করোনার প্রকোপে এশিয়ান গেমস বাতিল হতে পারে এমন জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। চিনে করোনা সংক্রমণ ফের ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কিছু মানুষের। পরিস্থিতি সামাল দিতে সে দেশের একাধিক শহরে লকডাউন করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিনে গিয়ে এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করা নিয়ে কিছু দেশ আপত্তি জানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য গেমস স্থগিত হওয়ায় স্বস্তি পেলেন অনেকেই।
      

  • Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    Quad summit: চিন নিয়ে সহমত, রাশিয়া প্রসঙ্গে বিভেদ কোয়াডে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল চতুর্থ কোয়াড সম্মেলন (Quad Summit)। জাপানের রাজধানী টোকিওতে (Tokyo) এক মঞ্চে দেখা গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi), জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (Joe Biden)।

    বৈঠকে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে প্রধান ছিল করোনা (Covid-19) সংক্রমণ প্রতিরোধ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine war) এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (Indo-Pacific Ocean Region) চিনের মোকাবিলা। বৈঠকের শেষে চিনের (China) বিরুদ্ধে একজোট হলেও রাশিয়ার (Russia) ক্ষেত্রে দ্বিধাবিভক্ত কোয়াড। পুতিন সরকারের বিরুদ্ধে আমেরিকা ও জাপান সরব হলেও, চুপ ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত (India)।

    বৈঠকের শুরুতেই বাইডেন জানান, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় যাতে বিভিন্ন দেশ অবাধে যাতায়াত করতে পারে, সেজন্য চেষ্টা করবে কোয়াড। তাঁর কথায়, “ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়ার হামলা দেখিয়ে দেয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা রক্ষা করা কত জরুরি।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ইউক্রেনের সংস্কৃতিকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করছেন। এমনটা নয় যে রাশিয়া, ইউক্রেনে শুধু সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলিতে আঘাত করছে! তারা (রাশিয়া) ইউক্রেনের প্রতিটি স্কুল, প্রতিটি গির্জাকে ধ্বংস করছে। বিশ্বের সমস্ত শান্তিকামী দেশকে এর বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্ব-বাজারের পণ্য তৈরির ভিত্তিভূমি হোক ভারত, আহ্বান মোদির

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদার মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। তাঁর কথায়, “ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কখনও ইউক্রেনের মতো ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।”

    অন্যদিকে রাশিয়া প্রসঙ্গে চুপ থেকে কোয়াড বৈঠকে মোদি বলেন, “অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে কোয়াড। ভারতীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে গঠনমূলক কর্মসূচি নিয়ে এগোতে চায় এই গোষ্ঠী এর ফলে সকলেই বুঝতে পারবে, কোয়াড (QUAD) মানুষের কল্যাণ চায়।” পরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি কয়েকটি ক্ষেত্রে পরস্পরের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করছে। তাদের মধ্যে আছে পরিবেশ দূষণ রোধ, বিপর্যয় মোকাবিলা, ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং অর্থনীতি। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করেছে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে সরাসরি কোনও কথা বলেননি অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। তিনি বলেন, “আগামী দিনে অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলিকে আরও সাহায্য করবে। তার ফলে সমুদ্রপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে।” 

    তবে, বৈঠকের শেষে রাশিয়া-প্রসঙ্গে চার দেশের তরফে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, সব দেশেরই উচিত আন্তর্জাতিক আইনগুলি মেনে চলা। কখনওই তা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। যাবতীয় বিভেদ মেটাতে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথই শ্রেয়, বলে মনে করে কোয়াড।

    রাশিয়া নিয়ে একমত হতে না পারলেও একজোট হয়ে চিনের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি নেওয়ার কথা জানায় চার দেশের রাষ্ট্রনেতারা। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন যেভাবে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়। এই অঞ্চলে শান্তি বিঘ্নিত করার বা অবস্থান বদলের কোনওরকম চেষ্টা যদি চিন করে তাহলে তার কড়া জবাব দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় কোয়াড সম্মেলনে। করোনা মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ প্রসঙ্গেও চিনের সমালোচনা করেন তিনি।

  • China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    China Pakistan Economic corridor: ঢিমেতালে চলছে চিন-পাক অর্থনৈতিক করিডরের কাজ, ক্ষুব্ধ শেহবাজ প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা ছিল প্রজেক্ট হবে ১৫টি। খরচ হবে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে (China Pakistan Economic corridor) মোট ১৫টি প্রজেক্টের মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ৩টি। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রত্যাশিতভাবেই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার।

    ২০১৩ সালে চিন (China) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর সংক্রান্ত চুক্তি হয়। ৪৬ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করে পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে চিন এই করিডর তৈরির চুক্তি চূড়ান্ত করে। পরে বিনিয়োগ আরও বাড়ে। শেষ হয় চিনের কাশগড় থেকে কারাকোরাম হাইওয়ে হয়ে পাকিস্তানের গ্বাদর (Gwadar) পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ। করিডর বরাবর পরিকাঠামোও তৈরি হয়েছে। শেষ হয়েছে আরও দুটি প্রকল্প। তবে বাকি ১২টি প্রকল্পের কাজ বিশ বাঁও জলে। এর মধ্যে রয়েছে জল সরবরাহ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টও। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের নয়া সরকার। তবে কাজ ঠিকঠাক গতিতেই এগোচ্ছে বলে দাবি চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা কর্তাদের।

    কথা ছিল, প্রজেক্টের ৯০ শতাংশ টাকাই খরচ করবে ড্রাগনের দেশ। বাকি টাকা দেবে পাক সরকার। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, চিনের আগ্রহের তালিকায় থাকা ৩টি প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকিগুলির কাজ কবে শেষ হবে, তা কেউ জানে না। এই অর্থনৈতিক করিডরের একাংশ গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ভিতর দিয়ে। যার প্রতিবাদও জানিয়েছে ভারত। তবে ভারতের ওই প্রতিবাদ কানে তোলেনি পাক সরকার।

    প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পাক ব্যবসায়ীদের তরফেও। জানা গিয়েছে, করিডর বেয়ে হু হু করে পাকিস্তানে ঢুকছে সস্তার চিনা পণ্য। আর পাকিস্তানের পণ্য চিনে ঢুকছে অত্যন্ত কম। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ পাক ব্যবসায়ীরা। করিডর অথরিটিকে বাতিল করার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি বলেন, এটি একটি অপ্রয়োজনীয় সংস্থা। যে কেবল দেশের সম্পদ নষ্ট করেছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি।

     

LinkedIn
Share