Tag: CID

CID

  • Egra: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    Egra: এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানুসহ গ্রেফতার ৩, কোথা থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় (Egra) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর সপরিবারে ওড়িশায় দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। ঘটনার পর পরই সিআইডি তদন্তভার গ্রহণ করলেও ভানুর নাগাল পায়নি কেউ। মোবাইল ট্র্যাক করে তাকে ধরার চেষ্টা করে সিআইডি। ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে ভানুসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। কটক থেকে তাদের ধরা হয়। গ্রেফতারের তালিকায় ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপোকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ভানু গ্রেফতার হতেই কী বললেন নিহত পরিবারের লোকজন?

    ভানু একসময় এগরার (Egra) খাদিকুলের বাড়িতে বাজি তৈরি করত। বছর পাঁচেক আগে সেখানে বিস্ফোরণ হয়। তাতে ভানুর ভাই ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। ভানু জেলও খাটে। তবে, জেল থেকে বেরিয়ে কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর সে ফের স্বমহিময় ফেরে। শাসক দলের নেতা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে মাঠের মধ্যে মাটি ভরাট করে বাজি কারখানা গড়ে তোলা হয়। সেখানে যাওয়ার জন্য নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। সেই কারখানায় গড়ে ৩০ জন কাজ করতেন। তবে, ঘটনার দিন সংখ্যাটা কম ছিল। তবে, কতজন কাজ করছিলেন তা কেউ স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। আর বিস্ফোরণের সময় পাশের ঘরেই ভানু ছিলেন। ফলে, বিস্ফোরণে সে গুরুতর চোট পান। তারপরও তিনি বসে না থেকে পরিবারের সকলকে নিয়ে কারখানার পিছনে মাঠ ধরে এলাকা ছেড়ে ছিলেন। তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ভানু গ্রেফতার হওয়ার খবর এদিন খাদিকুল গ্রামে পৌঁছাতেই নিহত পরিবারের লোকজন কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন। এক নিহত পরিবারের সদস্য গৌরাঙ্গ মাইতি বলেন, আমার ১৯ বছরের ছেলে কাজ করত। আমি চাই, ভানুকে গুলি করে মেরে দেওয়া হোক। নাহলে অন্তত তাকে সারা জীবন যেন জেলে রেখে দেওয়া হয়। ও গ্রামে না ফিরলে আর বাজি কারখানা হবে না। এভাবে আমাদের কোল খালি হবে না।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভানু এলাকায় রীতিমতো মাতব্বর ছিল। সে তৃণমূলের নেতাদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার কারও সাহস ছিল না। এর আগেও ওর কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। জেলও খেটেছে সে। তারপরও বাড়ি ফিরে পুলিশ আর তৃণমূল নেতাদের ম্যানেজ করে রমরমিয়ে এই কারবার চালাত। তাই, অভিযুক্ত ভানু বাগের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। ও যাতে গ্রামে আর ফিরতে না পারে তারজন্য প্রশাসনকে সবরকম উদ্যোগ নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egra: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    Egra: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরায় (Egra) বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তভার গ্রহণ করল সিআইডি। সোমবার রাত ৯ টা নাগাদ সিআইডি-র একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। বোম্ব স্কোয়াডের টিমও রাতেই ঘটনাস্থলে যায়। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে একাধিক নমুনা সংগ্রহ করেন। গোটা এলাকা ঘিরে দেওয়া হয়।

    বাজি বিস্ফোরণে মৃতদের বেশিরভাগই মহিলা

    এগরায় (Egra) খাদিকুল গ্রামে বাজি বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃতদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা। প্রত্যেকেই বাজি কারখানার শ্রমিক ছিলেন। ইতিমধ্যে প্রত্যেকের পরিচয় জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা হলেন অম্বিকা মাইতি, মাধবী বাগ, শ্যামাশ্রী মাইতি, কবিতা বাগ, মিনতি মাইতি, শক্তিপদ বাগ, জয়ন্ত জানা, বাপন মাইতি। তবে একজনের নাম এখনও জানা যায়নি। মৃত ও আহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা, আর আহতদের চিকিৎসার জন্য পরিবার পিছু এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ঘটনার পর থেকে বাজির মালিক কৃষ্ণপদ বাগ পলাতক।

    কে এই কৃষ্ণপদ বাগ?

    এগড়ায় (Egra) দাপটের সঙ্গে বেআইনি বাজি কারখানা চালাত বছর পঞ্চাশের কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু। প্রায় ৩০ বছর ধরে তার এই কারবার। বিভিন্ন জায়গায় বাজি প্রতিযোগিতায় সেরার তালিকায় ভানুর বাজি বিচরণ করত। গোটা বছর এলাকার সব থেকে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলিতে বাজি প্রদর্শনী ছিল ভানুর নেশা। একসময় সে সিপিএম করলেও পরে শাসক দলে সে নাম লেখায়। একসময় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিল সে। স্বাভাবিকভাবে সে স্থানীয় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিল। আর শাসক দলের নেতাদের মাথায় হাত থাকায় তার এই বেআইনি কারবারে পুলিশও তাকে ছুঁতে পারত না। তবে, এভাবে বেআইনি বাজি কারখানা চালাতে গিয়ে আগেও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ভানু। সোমবারও অল্পের জন্য ভানু বেঁচে গিয়েছে বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। ঘটনার সময় বাজি কারখানার পাশের রান্নাঘরে ভানু ছিল। বাজি বিস্ফোরণে তার হাত ঝলসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে দুর্ঘটনার পরেই জমি টপকে স্বপরিবারে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, এটি একটি বেআইনি বাজি কারখানা। আগেও ৩ থেকে ৪টি কেস হয়েছে এই কারখানার বিরুদ্ধে। একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছিল। তারপরেও অভিযুক্ত ব্যক্তি নতুন করে কারখানা তৈরি করেছে। অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগকে গ্রেফতার করার জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়া চলছে। এরপর তদন্ত যত এগোবে সেই অনুযায়ী আমরা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব”।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ওই বাজি কারখানায় বোমা তৈরি হচ্ছিল। বাজি কারখানার মালিক তৃণমূল নেতা। স্বাভাবিকভাবে পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস করতেই বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। এলাকার মানুষদের সচেতন থাকার কথা বলছি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, বাজি কারখানার মালিক আগে সিপিএম করত। তবে, এখন তৃণমূল করলেও আমার মিটিং, মিছিলে তাকে দেখিনি। তাকে আমি চিনি না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে”, কনভয়কাণ্ডে আদালতে সওয়াল শুভেন্দুর আইনজীবীর

    Suvendu Adhikari: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে”, কনভয়কাণ্ডে আদালতে সওয়াল শুভেন্দুর আইনজীবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। প্রথম গাড়িতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা। দুর্ঘটনা ঘটে সাত নম্বর গাড়িতে।” কনভয় বিতর্কে বুধবার এই কথাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। চণ্ডীপুরকাণ্ডে সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcatta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই মামলার শুনানিতে সওয়াল করতে গিয়ে এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার বলেন, রাজ্য কথা দেওয়ার পরেও কনভয়ে সঠিক নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, অভিযোগের মধ্যেই রাজনীতি রয়েছে। তবে শুভেন্দু সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও, মৃতের পরিবারের দাবি সিআইডি তদন্তের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) আইনজীবীর দাবি…

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, চণ্ডীপুরের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কনভয়ের ৭-৮ নম্বর গাড়িতে দুর্ঘটনা। এই ঘটনা ঘটতই না যদি হাইকোর্টের নির্দেশ মতো রাজ্য শুভেন্দু অধিকারীর সুরক্ষা বলয়ের জন্য পদক্ষেপ করত। তাঁর দাবি, তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়া হোক। এফআইআরের ওপরও স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক।

    বৃহস্পতিবার রাতে দিঘা নন্দকুমার জাতীয় সড়কের চণ্ডীপুরে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় ভৈরবপুরের ইস্রাফিল খানের। শুভেন্দুর কনভয়ের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ তুলে চণ্ডীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ইস্রাফিলের বাবা সফিরউদ্দিন। ঘটনায় গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিশ। মৃতদেহ নিয়ে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে প্রতিবাদ মিছিলও করে তৃণমূল।

    আদালতে (Calcatta High Court) শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী জানান, আরটি ভেহিক্যালস, ক্যামেরা, রুট লাইনিং এই তিনটি বিষয় জেড সুরক্ষা বলয়ে সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব রাজ্যের। হাইকোর্টের নির্দেশে এই তিনটি বিষয় শুভেন্দুর সুরক্ষা বলয়ে দেওয়ার কথা রাজ্যের। রাজ্য না দেওয়ায় দুবার রাজ্য পুলিশের কাছে আবেদন করেন শুভেন্দু। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন কানে তোলেনি রাজ্য। শুভেন্দুর কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যরত কোনও জওয়ানকে এভাবে গ্রেফতার করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও কর্তব্যরত সিআরপিএফ জওয়ানকে গ্রেফতার ও একদিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। আইনজীবীর দাবি, চণ্ডীপুরের ঘটনায় এফআইআর ও পুলিশের পদক্ষেপ নির্দষ্ট স্বার্থসিদ্ধির জন্য।

     

  • Sukanta Majumdar: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো?’, হাওড়াকাণ্ডে মন্তব্য সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে প্ররোচনা ছড়ায় না তো? রবিবার এই ভাষায়ই তৃণমূলের (TMC) তোলা অভিযোগের জবাব দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা হয় হাওড়ার কাজিপাড়া ও শিবপুরে। এদিন শিবপুরে যাওয়ার পথে প্রথমে সুকান্তের পথ আটকায় পুলিশ। পরে অবশ্য যেতে দেওয়া হয় তাঁকে। রামনবমীর শোভাযাত্রায় হামলা প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলে তৃণমূল। তারই প্রেক্ষিতে সুকান্ত বলেন, মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিষিদ্ধ করে পুলিশ কি কখনও নির্দেশিকা দিয়েছে? একই দেশে দুই ধর্মের মানুষের জন্য আলাদা নির্দেশিকা কেন?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    তাঁর প্রশ্ন, অস্ত্র নিয়ে গেলেই যদি প্ররোচনা দেওয়া হয়, তাহলে মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র থাকলে হিন্দুরা প্ররোচিত হন না কেন? মহরমের শোভাযাত্রায় অস্ত্র নিয়ে যাওয়া যাবে না, এটা কি পুলিশ লিখতে পারে? গতবার লেখা ছিল? বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, একই সঙ্গে দেশে একই সংবিধানে যেখানে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার পাওয়ার কথা, সেখানে দুটো ধর্ম আলাদা অধিকার পাবে কেন? সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পুলিশের উচিত ছিল যেসব বাড়ি থেকে আগে হামলা হয়েছে, সেগুলিতে তল্লাশি চালানো। ওই বাড়িগুলির ছাদে পুলিশ মোতায়েন করা। কিন্তু তা করা হয়নি। পুলিশের কাছে মনে হয় নির্দেশ ছিল, দাঙ্গাটা হতে দাও। তিনি বলেন, হাওড়ায় হিংসার ঘটনায় পুলিশও যুক্ত ছিল। এর পরেই পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, আগামী বছরও হাওড়ার ওই একই রাস্তা দিয়ে রামনবমীর শোভাযাত্রা যাবে।

    আরও পড়ুুন: রিষড়াকাণ্ডে রাজ্যপাল, শাহকে চিঠি জখম বিজেপি বিধায়কের, কড়া বিবৃতি আনন্দ বোসের

    পুলিশকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। তৃণমূলের তরফে অশান্তির কারণ হিসেবে রুট বদলের অভিযোগ খাড়া করা হয়েছে। এদিন সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও রুট বদল হয়নি। প্রত্যেক বছর এই রুটেই শোভাযাত্রা হয়। পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী এভাবে তাঁদের অপদার্থতা ঢাকতে পারবেন না। তিনি বলেন, পরের বছর আবার ওই রাস্তায়ই শোভাযাত্রা হবে। হাওড়াকাণ্ডে তদন্ত করছে সিআইডি। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, শিবপুরকাণ্ডে সিআইডি কেমন তদন্ত করবে, তা জানা আছে। সিআইডি আসলে মুখ্যমন্ত্রীর পোষা কুকুর। তিনি বললে ঘেউ ঘেউ করে, না বললে করে না। বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, শিবপুরকাণ্ডের তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার জন্য, যাতে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করতে ঢুকে না যায়, তাই তড়িঘড়ি সিআইডিকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
     
  • Ram Navami: রাম নবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অগ্নিগর্ভকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিআইডি! ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন আধিকারিকরা?

    Ram Navami: রাম নবমীতে হাওড়ার শিবপুরে অগ্নিগর্ভকাণ্ডের তদন্তভার নিল সিআইডি! ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর। এবার সেই ঘটনার তদন্তভার নিল সিআইডি। ঘটনার পর পরই হাওড়া সিটি পুলিশ সমস্ত ঘটনার তদন্ত করছিল। এবার সিটি পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার বুঝে নিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। কী থেকে অশান্তির সূত্রপাত? কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাম নবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রায় ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতীরা? অন্য রুটে কেন ঢুকেছিল শোভাযাত্রা? কোন কোন পুলিশের ওপর কী কী দায়িত্ব ছিল? এই বিষয়গুলি মূলত সিআইডি খতিয়ে দেখবে।

    সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কী করলেন? Ram Navami

    সিআইডি-র তদন্তের নেতৃত্বে রয়েছেন আইজি সিআইডি (ওয়ান) বিশাল গর্গ ও ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) সুখেন্দু হীরা। শনিবার তাঁরা এলাকা খতিয়ে দেখেন। তাঁরা নিজস্ব ফটোগ্রাফার নিয়ে এলাকায় ঘুরছেন। স্টিল ছবির পাশাপাশি চলছে ভিডিওগ্রাফি। ড্রোন উড়িয়ে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নোট নিচ্ছেন সমস্ত কিছুর। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শন করেন তদন্তকারীরা। হাওড়ায় বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেটও বন্ধ রাখা হয়েছে। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের তরফ থেকে একটি বিশেষ দলও শিবপুর এলাকায় আসার কথা। তারাও সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে। চূড়ান্ত রিপোর্ট যাবে রাজ্য পুলিশের সিআইডি দফতরের হাতে।

    গন্ডগোলের পর কেমন আছে শিবপুর? Ram Navami

    শনিবারও শিবপুরের একাধিক এলাকা থমথমে। পুলিশি টহলদারি এবং ধড়পাকড়ের মাঝেই সাধারণ জীবনে ফেরার চেষ্টায় স্থানীয় কাজিপাড়া। সেখানে বেশ কিছু দোকানপাটও খোলা হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা কয়েকটি জায়গায় কিছুটা স্বাভাবিক। তবে, এখনও এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে।  

    কী বললেন পুলিশ কমিশনার? Ram Navami

    এদিন এলাকা ঘুরে দেখেন হাওড়া সদরের পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, “আশেপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অশান্তির ঘটনায় ৩৮ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় টহল চলছে মানুষের মধ্যে যাতে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে তার চেষ্টা চলছে। সমস্ত মানুষের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি।”

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? Ram Navami

    এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্যপাল কীভাবে তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন, সেটা তাঁর বিষয়। তাঁর সঙ্গে আমারও কথা হয়েছে। সম্ভবত উনি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। আশা করছি সুফল হবে। যারা ঝামেলা করেছে গ্রেপ্তার হবে।”

     

    শিবপুরের অশান্তিকে ঘিরে শাসক-বিরোধী তরজা যখন তুঙ্গে, তখন বিশেষ সেল খুলেছেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, শিবপুরের পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কথা হয়। রাজ্যপাল বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। রাজভবন রিয়েল টাইম মনিটরিংয়ের জন্য স্পেশাল সেল খুলেছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপই করা হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Civic Volunteer: সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Civic Volunteer: সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খরচ বাঁচাতে এবং দলীয় কর্মীদের খুশি করতে স্থায়ী পুলিশ কর্মী নিয়োগ না করে অস্থায়ী সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer) নিয়োগ করেছিল তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগে জেরবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়। তার পরেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। এবার মুখ পুড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। কল্যাণীর ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে গাড়ি থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে।

    সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)…

    কল্যাণী পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের দায়ের করা পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। শুক্রবার ওই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি মান্থা বলেন, যেহেতু এ ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে, তাই নিরপেক্ষ সংস্থা হিসেবে সিআইডি তদন্ত করবে। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) বিষয়ে নির্দেশিকা তৈরি করতে রাজ্য পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। মামলাকারীর আবেদনের ভিত্তিতে এই মামলায় অংশ নেয় সিবিআইও। বিচারপতি মান্থা জানান, আগামী ১৩ এপ্রিল সিআইডি রিপোর্ট দেবে। সেদিনই হবে পরবর্তী শুনানি।

    ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে বালির ট্রাক আটকে ২ সিভিক ভলান্টিয়ার তোলাবাজি করছিলেন বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। তোলাবাজির পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। তার ভিত্তিতেই রাজকুমার মান্না ও আশিকুল রহমান নামে অভিযুক্ত দুজনক গ্রেফতার করা হয়। তোলা চেয়ে হুমকি, তোলা না দেওয়ায় টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিগ্রি দেখানোর প্রয়োজন নেই মোদির’, জানিয়ে দিল গুজরাট হাইকোর্ট

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে রাজ্য পুলিশ রীতিমতো সার্কুলার দিয়ে জানায়, আইন-শৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) দিয়ে করানো যাবে না। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জারি করা হয়েছিল ওই সার্কুলার। সার্কুলারে এও বলা হয়েছিল, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে, মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশের সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এই প্রথম নয়, এর আগেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পর জারি করা হয় সার্কুলার। রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, সদ্য জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা। এর পরেও অভিযোগ আসে কি না, দেখা প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডির (CID) ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোথা এআর হাইস্কুলে চাকরি করছিলেন জনৈক অনিমেষ তিওয়ারি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি। আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুতির স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

    অনিমেষ অধরা…

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার তদন্তে সিবিআই নয়, সিআইডির ওপর ভরসা রেখেছিল আদালত। সেই মতো তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৭ ফেব্রুয়ারি ভবানী ভবনে টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আশিসকে (Murshidabad) গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। যদিও আশিসের ছেলে অনিমেষ এখনও অধরা। এদিন সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বসু বলেন, সিআইডির ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। এভাবে তদন্ত চললে সিআইডির ডিআইজিকে ডেকে পাঠাব। প্রয়োজনে আদালতের পর্যবেক্ষণ সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেব। সেটা কিন্তু ভাল হবে না। বিচারপতি বলেন, মামলাকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। আমি সিআইডির ওপর ভরসা করেছিলাম। তার এই পরিণাম।

    আরও পড়ুুন: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    তিনি বলেন, এমন কড়া মন্তব্য করতে বাধ্য করবেন না যাতে সিআইডির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাঁর প্রশ্ন, কেন অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারিকে এখনও গ্রেফতার করা গেল না? কীভাবে এতদিন তিনি বেতন পেতেন? কার বদান্যতায় সেটা হল? কেন এখনও তার সন্ধান পেল না সিআইডি? এদিন আদালতে সিআইডি জানায়, অনিমেষ এ রাজ্যে নেই। তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন কখনও উত্তর প্রদেশ কখনওবা বিহার দেখাচ্ছে। ৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ফের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

    বিচারপতি বসু বলেন, আমি কিছু শুনতে চাই না। যেখান থেকে হোক অভিযুক্ত বহিষ্কৃত শিক্ষককে (Murshidabad) খুঁজে বের করুন। তিনি বলেন, তদন্তে যে গাফিলতি হয়েছে, সেটা স্পষ্ট। ৬ এপ্রিলের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা না হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি বসু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Murshidabad: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের সেই প্রধান শিক্ষক, ছেলে অধরা

    Murshidabad: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মুর্শিদাবাদের সেই প্রধান শিক্ষক, ছেলে অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Teacher Recruitment Scam) গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির গোঠা এ আর হাইস্কুলের ঘটনায় চাঞ্চল্য। সোমবার ভবানী ভবনে আশিস তিওয়ারি নামে ওই প্রধান শিক্ষককে টানা সাত ঘণ্টা জেরা করা হয়। টানা জেরায় বেআইনিভাবে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে কবুল করেন ওই প্রধান শিক্ষক। এদিন বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করে সিআইডি। আশিষের ছেলে অনিমেষ অবশ্য এখনও পলাতক।

    সিআইডি…

    জানা গিয়েছে, আশিসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে চিঠির কোনও জবাব দিচ্ছিলেন না তিনি। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ তাঁর বাহাদুরপুর এলাকার বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সিআইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল। বাড়িতে তখন তালা ঝোলানো ছিল। আশিসকে না পেয়ে হাজিরার নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়ে আসেন তদন্তকারীরা। তার পরেই সোমবার সকালে ভবানী ভবনে হাজির হন ওই প্রধান শিক্ষক। সিআইডি সূত্রে খবর, এদিন জিজ্ঞাসাবাদে ওই প্রধান শিক্ষক স্বীকার করেছেন অনিয়ম করে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘বিজেপির কিছু লুকোনোর নেই, ভয় পাওয়ারও নেই’, আদানিকাণ্ডে বললেন শাহ

    প্রসঙ্গত, সুতির (Murshidabad)  স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে আশিসের ছেলে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন, এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় কীভাবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেলেন অনিমেষ? উত্তরে নানা অসঙ্গতি ছিল আশিসের। কীভাবে বেতন পেতেন ছেলে? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর প্রথমে এড়িয়ে যান ওই প্রধান শিক্ষক। টানা জেরায় অবশ্য শেষমেশ স্বীকার করেন অনিয়ম করে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন ছেলেকে।

    সিআইডি সূত্রে খবর, এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে অনেক অসঙ্গতি ছিল। তদন্তেও অসহযোগিতা করছিলেন। সেই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। জানুয়ারি মাসে এই মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তার আগে অনিমেষের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অনিমেষ স্কুলে প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Calcutta High Court: প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে বেআইনিভাবে চাকরি ছেলের! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে বেআইনিভাবে চাকরি ছেলের! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই স্কুলে চাকরি করেন বাবা-ছেলে! অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক বাবা, আর তাঁরই স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন ছেলে। শুধু তাই নয়, তিন বছর ধরে বেতনও পেয়েছেন। অথচ তাঁর নিয়োগপত্রও নেই, আর এই অবাক করা ঘটনা জানা নেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের! এই ঘটনা সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। তাই এবারে এই মামলায় সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই মামলায় সিআইডি ডিআইজিকে তলব করে মামলার তদন্তের রিপোর্ট ২ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের স্কুলে প্রবেশ ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

     মামলাটি ঠিক কী?

    মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। অভিযোগ, তাঁরই স্কুলে চাকরি করেন তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। এক আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছেন হাইকোর্টে। মুর্শিদাবাদের ওই ‘ভুয়ো’ ভূগোল শিক্ষক অন্য এক প্রার্থী অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর নকল করেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে মামলাকারী সোমা রায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম। এর পরেই আদালত অনিমেষের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এমনকী, ওই শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে ডিআইরা

    এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ মামলায় স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর কথায়, “ডিআইয়ের (জেলা স্কুল পরিদর্শক) কাছে এই নিয়োগের তথ্য নেই। মানে ডিআই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। নিয়োগে দুর্নীতি মানা যাবে না। এর পর এমন তথ্য সামনে এলে রাজ্যের বিপক্ষে যাবে।” তিনি প্রশ্ন করেন, “আমি দেখে অবাক হচ্ছি যে, জেলা স্কুল পরিদর্শক এই নিয়োগ নিয়ে কিছু জানেন না। অথচ ওই শিক্ষক গত ৩ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন। কী করে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না!”

    আরও পড়ুন: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    সিআইডি ডিআইজিকে তলব

    আজ সকাল সাড়ে দশটায় সিআইডি ডিআইজিকে তলব করেছিলেন তিনি। নির্দেশ মত হাজিরা দেন ডিআইজি-সিআইডি। এরপরই বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুল পরিদর্শক স্বতঃপ্রাণোদিত এফআইআর দায়ের করবে। এরপরই তাঁর নির্দেশ, ২০১৬ সালের পর থেকে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, সব জেলার স্কুল পরিদর্শকরা তাঁদের ডেটা তৈরি করবেন। ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি মামলাটি আবার শুনবে আদালত।

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডির তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ কলকাতা হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    Lalan Sheikh: লালন শেখের মৃত্যু মামলায় সিআইডির তদন্তে ‘অসন্তুষ্ট’ কলকাতা হাইকোর্ট, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (CBI) হেফাজতে রহস্যমৃত্যু হয়েছে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Sheikh)। ওই ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি (CID)। সিআইডির তদন্তে অসন্তুষ্ট কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই মামলার তদন্তভার সিআইডির ডিজির হাতে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে শুনানি ছিল লালন শেখের মৃত্যু মামলার। সেই শুনানিতে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি।

    বিচারপতি জানতে চান…

    এদিন বিচারপতি জানতে চান, লালনের স্ত্রী, যিনি গুরুতর অভিযোগ করেছেন, তাঁর বয়ান নেওয়া হয়েছে কি? রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওঁর মানসিক অবস্থা ভাল নেই, তাই জবানবন্দি নেওয়া হয়নি। এ কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। গত দু দিন ধরে হাইকোর্টে যাচ্ছেন লালনের স্ত্রী। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, মানসিক অবস্থা খারাপ হলে আদালতে আসছেন কীভাবে?  লালনের রহস্য মৃত্যুর পর এফআইআর দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। এফআইআরে সিবিআই আধিকারিকদের ফোন নম্বরেরও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। কীভাবে সিবিআই আধিকারিকদের ফোন নম্বর পাওয়া গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। তিনি বলেন, এই বিষয়েও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। লালনের স্ত্রী দাবি করেছিলেন তিনি ফোনে হুমকি পেয়েছিলেন। এদিন বিচারপতি জানতে চান, সেই কল রেকর্ড গোয়েন্দারা চেয়েছেন কি না। সেই রেকর্ড চাওয়া হয়নি শুনে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে, মাথা ফাটল ভোটারের

    রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় লালন শেখের। তার পরেই সিবিআইয়ের সাত আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। সেই মামলারই শুনানি হচ্ছিল এদিন। সিবিআইয়ের আইনজীবী ডি পি সিং বলেন, এফআইআর দেখে স্পষ্ট যে এটা রাজ্য করিয়েছে। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে লালন শেখ আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা অফিসাররা করেছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, যাঁরা ওই সিবিআই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। সিআইডির বড় আধিকারিককে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। রাজ্য সেই সময় জানায়, দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে ডিআইজি সিআইডিকে। তার পরেই আদালতের নির্দেশে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ডিআইজির হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share