Tag: CM

CM

  • Sandeshkhali Case: “মমতা ভোটের রাজনীতি করছেন”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

    Sandeshkhali Case: “মমতা ভোটের রাজনীতি করছেন”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের রাজনীতি করছেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার সঙ্গে বিষয়গুলি দেখা উচিত।” সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এমনই ‘জ্ঞান’ দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই। এক্স হ্যান্ডেলে চিঠিটি শেয়ার করেছেন সাই। সন্দেশখালির বিক্ষোভের কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।

    কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    লিখেছেন, “এই অপরাধে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠাচ্ছি। আশা করি, মমতাজি এই চিঠির বিষয়টি গুরুত্ব দেবেন এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি ন্যায় বিচার করবেন।” চিঠিতে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের প্রতি অবিচারের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি হৃদয় বিদারক এবং গভীরভাবে বিরক্তিকর। উপজাতি সম্প্রদায়ের ৫০ জনেরও বেশি মহিলার ওপর নৃশংসতা, হাজার হাজার আদিবাসীদের জমি দখল, পাশাপাশি আপনার রাজ্যের সন্দেশখালি এলাকায় এমজিএনআরইজিএ মজুরির জন্য নির্ধারিত তহবিলের অপব্যবহারের মতো মমলাগুলি আমাদের মানবতার বোধকে কলঙ্কিত করেছে। জাতীয় তফশিলি উপজাতি কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদনগুলি ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর।”

    ‘সভ্য সমাজের পক্ষে অসহনীয়’

    তিনি লিখেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের আশীর্বাদপ্রাপ্ত বাংলা, যাঁর উত্তরাধিকার বিশ্বকে সমৃদ্ধ করেছে। এই ধরনের সচেতন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক অংশের ওপর যে অত্যাচার করা হচ্ছে, তা সভ্য সমাজের পক্ষে অসহনীয়। আপনার নেতৃত্বে এই ধরনের পরিস্থিতি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তোষণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য আদিবাসীদের জীবনকে শোষণ করা, তাঁদের মর্যাদার সঙ্গে আপোস করা ও তাঁদের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন করা মেনে নেওয়া যায় না।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের কর্মসূচি প্রকাশ কেন্দ্রের, রাত্রিবাস রাজভবনে, করবেন জোড়া সভা

    চিঠিতে লেখা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় এটা আশা করা যায় যে আপনি পরিস্থিতি সামলাতে দৃঢ়ভাবে হস্তক্ষেপ করবেন ও অবিলম্বে শাহজাহান ও সিরাজউদ্দিনের মতো দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবেন, কঠোর শাস্তি দেবেন। দোষীদের রাজনৈতিক রক্ষকরাও অপরাধী, আশা করব, তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আপনি এখন রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার স্বার্থ সম্পর্কিত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Arabul Islam: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    Arabul Islam: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তাঁর দাপটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায় কারও কথা বলার সাহস ছিল না। তৃণমূলের সেই দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam) এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশ-প্রশাসন ও জেলার দলীয় নেতৃত্বকে এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তার আবেদনও করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আরাবুল? (Arabul Islam)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আরাবুলের (Arabul Islam) দাপট কমছে। এর আগে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল। দুদিন আগে ফের নিজের খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকে একটি সভা ছিল। সেখানে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল। তার জেরে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ বিডিও অফিসে আটকে রাখা হয়। এই ঘটনা ভাঙড়ে প্রথম নয়। পঞ্চায়েতে ভোটপর্বেও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন আরাবুল। ফলে, নিজের খাসতালুকে জমি হারাতে শুরু করেছেন আরাবুল। তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। এবার আইএসএফের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পরার পর  থেকেই নিরাপত্তাহীনতা ভুগতে শুরু করেছেন তিনি।

    কী বললেন আরাবুল?

    আরাবুল বলেন, আমরা বারবার প্রশাসনকে জানাচ্ছি। প্রশাসন কতটা নিরাপত্তা আমাদের দিতে পারে সেটা প্রশাসন জানে। সেটা নিয়ে আর কিছু বলব না। আমি রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আমাদের জেলা নেতৃত্বকে বারবার বলেছি। আমাদের যে কোনও সময় প্রাণহানির আশঙ্কা আছে। আচমকা আমার তিনজন সিকিউরিটিকে তুলে নেওয়া হল। কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখুন।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার বলেন, আরাবুলের (Arabul Islam) ভয়ে এলাকায় মানুষ কথা বলতে পারতেন না। তিনি এখন ভয় পাচ্ছেন। এটা ভাবতেও অবাক লাগছে। তৃণমূলের জমি যে আলগা হচ্ছে এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “সিএএ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে ভালো পদক্ষেপ”, বললেন রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: “সিএএ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে ভালো পদক্ষেপ”, বললেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিএএ দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে ভালো পদক্ষেপ।” সোমবার দেশজুড়ে সিএএ (CAA) চালু হওয়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি বলেন, “সংসদে পাশ হয়ে গিয়েছিল। বিধি তৈরির পর এখন কার্যকর হচ্ছে। এটা স্বাভাবিক প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। সরকারের খুব ভালো পদক্ষেপ। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও আইন-শৃঙ্খলার জন্য খুবই জরুরি।”

    কী বললেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)?

    রাজ্যপাল বলেন, “আইন পাশ হয়েছে। বিধিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেক সরকারের আইন মেনে কাজ করা উচিত। সিএএ (CAA) কী তা না জেনেই অনেক মন্তব্য করা হচ্ছে। আমার মনে হয়, আগে সিএএ কী তা পড়ুন, ভালো করে বুঝুন, তারপর কথা বলুন। আগে বুঝুন, তারপর বলুন। রাজ্যপালের নিশানায় যে তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বুঝতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। কারণ সিএএ নিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে (CV Ananda Bose) তিনিই সব চেয়ে বেশি সুর চড়িয়েছিলেন।

    ‘আইনের শাসন বনাম শাসকের আইন’

    এদিনও সিএএ (CAA) নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ক্যা (সিএএ) দেখিয়ে এনআরসি নিয়ে এসে এখানকার কারও নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে আমরা চুপ করে বসে থাকব না। নো এনআরসি। এনআরসি মানতেই পারি না। আর ক্যা-এর নাম করে কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে, এই চালাকিও আমরা করতে দেব না।” রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, “সিএএ বিধি এখন তৈরি করা হয়েছে। তাতে প্রমাণ হয়, কেন্দ্রে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। আইনের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করা উচিত নয়।” এর পরেই তিনি বলেন, “এটা শাসকের আইনের বদলে আইনের শাসন।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘পাক হিন্দুরা খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পারবে’’, পাক হিন্দু ক্রিকেটারের মুখে সিএএ বন্দনা

    সিএএ (CAA) কী?

    ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দিতে এই আইন চালু করেছে ভারত সরকার। এই আইনের বলে হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী যাঁরা ধর্মীয় অত্যাচারের কারণে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দিতেই এই নয়া আইন।

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই আইন লাগু হওয়ায় সব চেয়ে বেশি উপকৃত হবেন মতুয়ারা। বাংলায় প্রায় ৭০টি আসনে মতুয়া ভোটই জয় পরাজয় নির্ণায়ক শক্তি। গোটা দেশে মতুয়ারা ফ্যাক্টর প্রায় ১৭০টি আসনে। সিএএ (CAA) লাগু হওয়ায় এই আসনের সিংহভাগই যে এবার গেরুয়া ঝুলিতে যাবে, তা বলাই বাহুল্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukhwinder Singh Sukhu: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার জল্পনা ওড়ালেন সুখবিন্দর, কী বললেন জানেন?

    Sukhwinder Singh Sukhu: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার জল্পনা ওড়ালেন সুখবিন্দর, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে বিপদ আঁচ করে মঙ্গলবার রাতেই পদত্যাগ করেছিলেন কংগ্রেস মন্ত্রিসভার সদস্য বিক্রমাদিত্য সিংহ। বুধবার সকালে রটে যায় পদত্যাগ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। (Sukhwinder Singh Sukhu)।  তার পরেই তোলপাড় হয় রাজনৈতিক মহলে। সুখবিন্দর কার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠালেন, কখনই বা পাঠালেন, তা জানা যায়নি। সুখবিন্দরের পদত্যাগের গুজবের জেরে যখন সরগরম হিমাচলের রাজনীতি, তখন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বলেন, “পদত্যাগ করিনি। হাল ছাড়ব না। আমি যোদ্ধা। আমার সম্পূর্ণ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া পর্যন্ত পদেই থাকব।”   

    হার কংগ্রেস প্রার্থীর 

    হিমাচল প্রদেশ বিজেপির হাতছাড়া হয় বছর দেড়েক আগে, বিধানসভা নির্বাচনে। ৬৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছিল ৪০টিতে। তাদের সঙ্গে ছিল তিন নির্দল প্রার্থীর সমর্থনও। বিজেপির বিধায়ক ছিলেন ২৫জন। এ রাজ্যে রাজ্যসভার একটি মাত্র আসন। কংগ্রেসের প্রার্থী হন আইনজীবী নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে এই আসনে জেতার কথা ছিল কংগ্রেস প্রার্থীরই। সিংভির প্রতিপক্ষ ছিলেন (Sukhwinder Singh Sukhu) বিজেপির হর্ষ মহাজন। তিনি জিতবেন, এমন আসা অনেকেই করেননি। যদিও ক্রসভোটিংয়ের জেরে হইহই করে জিতে যান হর্ষ। এর পরেই প্রমাদ গোণে কংগ্রেস। খেলা যে ঘুরতে চলেছে তা আঁচ করে ফেলেন কংগ্রেসের থিঙ্কট্যাঙ্করা।

    পদত্যাগ মন্ত্রীর

    পরিস্থিতি আরও ঘোরলো হয় যখন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন মন্ত্রী বিক্রমাদিত্য সিংহ। বিক্রমাদিত্যের আরও একটি পরিচয় হল তিনি হিমাচলের প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী তথা লোকসভার সাংসদ প্রতিভা সিংহের ছেলে। দলে বিধায়কদের সঠিক মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বিক্রমাদিত্য। হিমাচলের রাজনীতির আকাশে যখন অশনি সঙ্কেত, ঠিক তখনই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন পদ্ম নেতারা। তাঁরা আস্থাভোটের দাবি জানান। গুজব ছড়ায়, মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন সুখবিন্দর। যদি তিনি বলেন, “আমায় কেউ পদত্যাগ করতে বলেননি। আমিও পদত্যাগ করিনি। আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেব। আমরা জিতবও। হিমাচলের মানুষ জিতবেন।”

    আরও পড়ুুন: ১০০ টাকায় ক্যান্সারের ওষুধ! গবেষণায় নয়া দিশা দেখাল মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল

    সুখবিন্দরের বিরুদ্ধে ইদানিং যাঁরা সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন ধর্মশালার বিধায়ক সুধীর শর্মা, সুজনপুরের বিধায়ক রাজেন্দ্র রানা। জানা গিয়েছে, এঁরা ছাড়াও ক্রসভোটিং করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক ইন্দ্রদত্ত লখনপাল, দেবেন্দ্রকুমার ভুট্টো, রবি ঠাকুর এবং চৈতন্য শর্মা। বিজেপি প্রার্থী হর্ষকে ভোট দিয়েছেন নির্দল তিন বিধায়কও।

    হিমাচলে সরকার বাঁচাতে মরিয়া কংগ্রেস হাইকমান্ড। মুখ্যমন্ত্রী বদল করে হলেও গদি ধরে রাখতে চাইছেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। এহেন আবহে সুখবিন্দরের পদত্যাগের গুজব ছড়ায়। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, মুকেশ অগ্নিহোত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে কংগ্রেস। তবে কংগ্রেস ও নির্দলের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়করা তাতে রাজি হবেন কিনা, তা বলবে সময়। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Hemant Soren: বিদ্রোহ হেমন্তের পরিবারে, কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী চান না জেএমএমের সিংহভাগ বিধায়ক!

    Hemant Soren: বিদ্রোহ হেমন্তের পরিবারে, কল্পনাকে মুখ্যমন্ত্রী চান না জেএমএমের সিংহভাগ বিধায়ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির প্রশ্নবাণের মুখে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। রাঁচিতে জমি কেনাবেচায় আর্থিক অনিয়ম ও নথি জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সপ্তমবারের জন্য তলব করা হয়েছিল হেমন্তকে। এর আগে ছ’ বার সমন পেয়েও হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। বুধবার দিলেন হাজিরা।

    সাদা কাগজে সই!

    ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়করা। যদি হেমন্তকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে তাঁর স্ত্রীকে যাতে বিদ্রোহের মুখে পড়তে না হয়, সেজন্য দলীয় বিধায়কদের সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, স্ত্রী কল্পনা এবং মন্ত্রী চম্পাই সোরেনের মধ্যে কোনও একজন যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে পারেন, তাই এই ব্যবস্থা।

    বিজেপি সাংসদের দাবি

    তবে হেমন্তের (Hemant Soren) পরে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কল্পনার বসাটা নিছক কেক ওয়াক হবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবের দাবি, কল্পনা মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে হেমন্তের দলের অন্দরে। তিনি জানান, ২৯ জন বিধায়কের মধ্যে ১৮ জনই চান না মুখ্যমন্ত্রীর তখতে বসুন কল্পনা। তিনি বলেন, “জেএমএমের ১৮ জন বিধায়ক বসন্ত সোরেনকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে দেখতে চান।” দুমকার বিধায়ক বসন্ত হেমন্তের ভাই। ঝাড়খণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার আরও একজন। তিনি হলেন হেমন্তের বড় দাদা প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী সীতা।

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্ট চত্বরে হিন্দুদের পুজোর অনুমতি এলাহাবাদ হাইকোর্টের

    ঝাড়খণ্ড বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ৮১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৯ জন। এর মধ্যে হেমন্তের দলের বিধায়কের সংখ্যা ২৯। বাকি কুড়িজনের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, বাম এবং আরজেডির বিধায়ক। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হেমন্তের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ৩৫ জন। বাকিরা সীতার পাশে রয়েছেন বলে খবর। সীতা বলেন, “আমি সোরেন পরিবারের বড় বউমা। আমার প্রয়াত স্বামী দীর্ঘদিন ধরে ঝাড়খণ্ডকে পৃথক রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। আমি হেমন্তকে তাঁর উত্তরাধিকার বলে মনে করি, অন্য কিছু নয়।” তিনি বলেন, “গুরুজি (শিবু সোরেন) এবং আমার স্বামীর জল-জঙ্গল-জমিনের স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।”

    সীতার বক্তব্যের নির্যাস, মুখ্যমন্ত্রীর (Hemant Soren) পদের দাবিদার তিনিই। আর যদি তা হয়, তাহলে বনবাসে যেতে হবে সীতাকে নয়, কল্পনাকে! এদিকে, বাংলার মতো ঝাড়খণ্ডেও ইডির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সে রাজ্যের পুলিশ। রাঁচির পুলিশ সুপার চন্দন সিনহা বলেন, ইডি আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। তাই দায়ের হয়েছে এফআইআর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mamata Banerjee: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ আছেন’’, মমতার কপ্টার-বিভ্রাটের পর ট্যুইট রাজ্যপালের

    Mamata Banerjee: ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ আছেন’’, মমতার কপ্টার-বিভ্রাটের পর ট্যুইট রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়ে জরুরি অবতরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হেলিকপ্টারের। তড়িঘড়ি হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। বিমানবন্দরে নামার পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন জেনে স্বস্তিতে রাজ্যপাল। ট্যুইটারে জানালেন সে কথাও।

    ফেরার পথেই বিপত্তি

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফেরার পথেই বিপত্তি। কপ্টার যখন মাঝ আকাশে, তখনই শুরু হয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। বাধ্য হয়ে সেবকের এয়ারবেসে জরুরি অবতরণ করেন পাইলট। জরুরি অবতরণের কারণে সেখানে কোনও সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল না। কপ্টার থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ রয়েছেন জেনে স্বস্তির শ্বাস ফেলেন রাজ্যপাল।

    বিশেষ বিমানে কলকাতায়

    কপ্টার থেকে নেমে সেবক থেকে সড়কপথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে বিশেষ বিমানে তাঁকে নিয়ে আসা হয় দমদম বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের বাইরে তৈরি রাখা হয়েছিল অ্যাম্বুলেন্স। তবে মুখ্যমন্ত্রী অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেননি। নিজের গাড়িতেই পৌঁছন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে তাঁর জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে হুইল চেয়ার না নিয়ে এক নার্সের হাত ধরে খুঁড়িয়েই হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর চোটের খবর পেয়েই তৈরি রাখা হয়েছিল উডবার্ন ব্লকের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিন। সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।

    আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিউরো থেকে অর্থোপেডিক, জেনারেল মেডিসিন সহ বিভিন্ন বিভাগের মুখ্য চিকিৎসকরা। চোট পরীক্ষা করে  দেখতে সেখানে একটি পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনও নিয়ে আসা হয়। প্রয়োজনে তাঁর এমআরআই এবং সিটি স্ক্যানও করা হবে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) চোট ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukhvinder Singh Sukhu: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে সুখবিন্দর সিং সুখুর নাম চূড়ান্ত, তিনি কে জানেন?

    Sukhvinder Singh Sukhu: হিমাচলে মুখ্যমন্ত্রী পদে সুখবিন্দর সিং সুখুর নাম চূড়ান্ত, তিনি কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। ৬৮ আসন বিশিষ্ট এই বিধানসভায় ৪০টি আসনে জয়ী হয়েছেন ‘হাত’-প্রার্থীরা। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসে কংগ্রেস (Congress)। ওই পদের জন্য একাধিক দাবিদার থাকলেও, শেষমেশ সিলমোহর পড়ে সুখবিন্দর সিং সুখুর (Sukhvinder Singh Sukhu) নামে। তাই তিনিই হচ্ছেন হিমাচল প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী (CM)।

    সুখবিন্দর…

    গ্রামের এক সম্মানীয় পরিবারে জন্ম সুখবিন্দরের। বাবা ছিলেন বাসচালক। ছোটবেলায় সুখবিন্দর দুধের কাউন্টার চালাতেন। এর মধ্যেই পড়াশোনাও করতেন। এভাবে হন ল’ গ্র্যাজুয়েট। হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন তিনি। যোগ দেন কংগ্রেস অনুমোদিত ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ায়। পরে স্টুডেন্ট-বডির সভাপতিও হন। এক দশক ধরে তিনি হিমাচল প্রদেশ যুব কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন। পরে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান হন। ২০১৩ সাল থেকে টানা ছ বছর ওই পদে ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে সুখবিন্দর প্রথম নাদৌন কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। ২০১২ সালে ওই কেন্দ্রেই হেরে যান তিনি। ফের জেতেন ২০১৭ সালে। চলতি বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছেন তিনি।

    চারবারের বিধায়ক সুখবিন্দর (Sukhvinder Singh Sukhu)। দু বার তিনি জয়ী হয়েছিলেন শিমলা মিউনিসিপ্যাল ইলেকশনে। চল্লিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে সুখবিন্দর একাধিকবার ছ বারের মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বীরভদ্র সিংয়ের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েছেন। তবে গান্ধী পরিবারের বদান্যতায় প্রতিবারই বেরিয়ে এসেছেন সমস্যা থেকে। সুখবিন্দর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ। তিনিই প্রথম রাজনীতিবিদ যিনি নামনি হিমাচল প্রদেশ থেকে সোজা গিয়ে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর তখতে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত জোড় যাত্রা’য় বেরিয়ে চায়ে মজে রাহুল, বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে ফার্ম হাউসের মালকিন

    জানা গিয়েছে, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সুখবিন্দরের নাম চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরেই কংগ্রেসের অন্দরে শুরু হয়েছে অশান্তি। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রতিভার অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখাতে নেমে পড়েছেন। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দৌড়ে ছিলেন তিনিও। তাঁর জায়গায় সিলমোহর দেওয়া হয় সুখবিন্দরের নামে। মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার ছিলেন বীরভদ্রের ছেলে বিক্রমাদিত্য।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: ‘বাংলায় আল্ট্রা ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি’, রাজ্য সরকারকে ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়। এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    Sukanta Majumdar: ‘মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন’, বললেন সুকান্তও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী (CM) বিজেপির (BJP) কাছে সারেন্ডার করেছেন। রবিবার এ কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বোলপুরের কাছারিপট্টিতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। ওই অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা ছিল বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীরও। তবে অসুবিধা থাকায় মিঠুন হাজির হতে পারেননি। যোগ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সংবিধান দিবস…

    শনিবার দেশজুড়ে পালিত হয় সংবিধান দিবস। তার আগের দিন বিধানসভায় এই উপলক্ষে হয় অনুষ্ঠান। বক্তৃতা দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চায়ের নেমতন্ন করেন। তিন বিধায়ককে নিয়ে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান। মমতা-শুভেন্দুর এই সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির কাছে সারেন্ডার করেছেন। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলেছিলেন মমতা। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কদের ডাকা হয় না। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাব। সুকান্ত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকে খত দিয়েছেন!

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা নিয়ে রাজ্যে শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। এদিন সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তাঁর দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। সুকান্ত বলেন, আমরা থার্ড পার্টি। আমরা কী বলব এতে? তিনি বলেন, এটা দলের বিষয় নয়।

    এদিন পৌষমেলা নিয়েও দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, দু বছর পৌষমেলা বন্ধ ছিল। বিজেপির ঘোষিত স্ট্যান্ড পৌষমেলা আগের মতোই হোক। আমরা বোলপুরের মানুষের সঙ্গে আছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে রাস্তায় নেমে লড়াই করব।

    রবিবার সুকান্ত (Sukanta Majumdar) যা বললেন, শনিবার তার নান্দীমুখের কাজটি করে রেখেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যের রাজনীতি এক পাশে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়ির জনসভায় শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রামে ওঁকে হারিয়েছি। গণতান্ত্রিক উপায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানাব। রবিবার মন কি বাতের সময় শুভেন্দু উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রামে। ওই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু বলেন, রাজ্যে উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে। প্রসঙ্গত, এর আগে তৃণমূল নেত্রীকে ‘লেডি কিম’ বলে উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। সেগুলি তিনি পুস্তিকাকারে প্রকাশ করবেন বলেও জানান বিরোধী দলনেতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     

     

     

  • Mental Hospital: কেন্দ্রের বরাদ্দ পেলেও জুটছে না খাবার, মানসিক রোগীদের পরিষেবার উন্নতি নেই রাজ্যে

    Mental Hospital: কেন্দ্রের বরাদ্দ পেলেও জুটছে না খাবার, মানসিক রোগীদের পরিষেবার উন্নতি নেই রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ মাস খানেকের বাসিন্দা। আবার কেউ বছরের পর বছর পার হলেও থেকে গিয়েছেন। তবে, দিন কয়েকের মধ্যেই তাঁরা বুঝতে পারেন, ওষুধ পেলেও পথ্য তথৈবচ! দু’বেলা পেট ভরে খাবারও জোটে না। এদিকে একাধিক স্নায়ুর সমস্যার ওষুধ (Medicine) খাওয়ার জন্য দেহের ওজনও কমছে। শরীর সুস্থ রাখতে দরকার পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু ভাতের সঙ্গে নিয়মিত ডিম আর ডালও দেওয়া হচ্ছে না।

    সরকারি মানসিক হাসপাতালের অবস্থা…

    রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি মানসিক হাসপাতালের (Mental Hospital) অবস্থা এই একরকম। প্রথমে কলকাতার পাভলভ মানসিক হাসপাতালে অভিযোগ উঠেছিল। অধিকাংশ রোগীর পরিজনের অভিযোগ ছিল, রোগীদের ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না (State Deprives Mental Patients)। মানসিক সমস্যার জন্য স্নায়ুর একাধিক ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় না। ফলে, রোগীরা শারীরিকভাবে খুব দুর্বল হয়ে পড়েন। এক রোগীর পরিজনের কথায়, “ছেলেকে যখন ভর্তি করেছিলাম ৭২ কেজি ওজন ছিল। কয়েক মাস হাসপাতালে থেকে যখন বাড়ি যাচ্ছে, তখন ৪২ কেজি ওজন হয়েছে। কিছুই খেতে দেয় না।”

    আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর, হাইকোর্টে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

    পাভলভ কর্তৃপক্ষের একাধিক কাজে নানান অভিযোগ ওঠায় সম্প্রতি বদলি করা হয় পাভলভের সুপারকে। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের সুপার বদলের নিদানেও পরিবর্তন হয়নি পরিস্থিতি। অন্তত রোগীর পরিজনদের এমনি অভিযোগ। পাভলভ মানসিক হাসপাতাল কোনও ব্যতিক্রম নয় বলেই জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তাঁরা জানান, রাজ্যের অন্যান্য মানসিক হাসপাতালেও পরিষেবা অত্যন্ত নিম্নমানের (State Deprives Mental Patients)। শুধু খাবারের নয়। অনেক সময়ই মানসিক রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীরা। পর্যাপ্ত পরিষেবা তাঁরা পান না। আবার স্বাস্থ্যকর্মীদের দাবি, মানসিক হাসপাতালগুলোতে মারাত্মক কর্মীসঙ্কট। তাই অনেক রোগীকে একসঙ্গে দেখভাল করতে গিয়ে নানান সমস্যা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ভবন অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, “পাভলভ নিয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরে সুপার বদল হয়েছে। তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। অন্য কোনও হাসপাতালেও কোনও নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দফতর বিষয়টি দেখবে। “

    দেশ জুড়ে মানসিক রোগীদের সুচিকিৎসার জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু হাসপাতালে ভর্তি মানসিক রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি করাই নয়, মানসিক রোগ নিয়ে চর্চার ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার এজন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করেছে। এমবিবিএস কোর্স থেকেই যাতে চিকিৎসকেরা অবসাদ, মানসিক চাপ, বিষন্নতার মতো বিষয়গুলোর চিকিৎসায় বিশেষ পারদর্শী হয়ে, তার জন্য আলাদা ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তাছাড়া, মানসিক রোগীদের চিকিৎসায় যাতে আর্থিক সমস্যা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, তার জন্যও একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালে মানসিক রোগীদের ওষুধ ও খাবারের জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। পাশপাশি মানসিক রোগীদের দ্রুত সুস্থ করে তুলতে নানান সৃজনশীল প্রকল্পের পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র আর্থিক বঞ্চনা করেছে। রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ পাঠাচ্ছে না। তাই রাজ্যের একাধিক কাজ আটকে থাকছে। রাজ্যের উন্নতিতেও সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যবাসীর একাংশের প্রশ্ন, কেন্দ্র যে অর্থ পাঠাচ্ছে, তা ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে তো? যে অর্থ আছে, তা ঠিক খাতে দেওয়া হচ্ছে? অন্তত মানসিক হাসপাতালের (Mental Hospital) ক্ষেত্রে তার সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share