Tag: congress

congress

  • Madhya Pradesh: ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

    Madhya Pradesh: ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা আসাদ খান জিলানি (Asad Khan Jilani)। তিনি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বিদিশা জেলার সিরোঁজের নেতা।

    কংগ্রেস নেতার আপত্তিকর মন্তব্য (Madhya Pradesh)

    আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করে কেন্দ্র। সেই মুদ্রায় ভারতমাতার প্রতীকী ছবি রয়েছে। ফেসবুকে স্মারকের সেই ছবি দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের ওই কংগ্রেস নেতা। ওই পোস্টে জিলানি লিখেছেন, “এই ডাইনিকে পিশাচরা পূজা করুক। যার হাতে তিরঙ্গা নেই, সে আমাদের ভারতমাতা নয়।” মন্তব্যটি দ্রুত ভাইরাল হয়। দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। অভিযোগ, তিনি জাতীয় প্রতীকের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ একাধিক সংগঠন সিরোঁজ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তারা দেশদ্রোহ-সহ সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানায়। তাদের অভিযোগ, জিলানি আগেও অনলাইনে উত্তেজনামূলক মন্তব্য করেছেন। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন। গ্রেফতার করে জিলানিকে। শুরু হয়েছে তদন্ত। কংগ্রেস এখনও এই ঘটনায় আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেয়নি।

    জিলানির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনরোষ

    জিলানির “ভারতমাতা” সংক্রান্ত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা জিলানির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। তাঁর ছবির ওপর পা দিয়ে স্লোগান দেন, “জয় শ্রী রাম”, “দেশদ্রোহীদের কঠোর শাস্তি চাই” (Madhya Pradesh)। এক্স হ্যান্ডেলে এক ইউজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে জিলানির তথাকথিত “বিরোধী-হিন্দু” পোস্টগুলির ইতিহাস তুলে ধরেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবিও জানানো হয়।

    সিরোঁজ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় জিলানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই ধারা ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার সঙ্গে সম্পর্কিত। বৃহস্পতিবার রাতে জিলানিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ (Asad Khan Jilani)। পরে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই নেতাকে সিরোঁজের রাস্তায় হাঁটানো হয়। জিলানিকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। জিলানিকে বাধ্য করা হয় “ভারতমাতা কি জয়” স্লোগান দিতেও (Madhya Pradesh)।

  • Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু হয়েছে কর্নাটক (Karnataka) কংগ্রেসে। মাত্র চার মাসের মধ্যে মাণ্ড্য জেলার এক প্রাক্তন সাংসদ ও তিনজন বর্তমান বিধায়ক-সহ দলের চার নেতাকে প্রকাশ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    নোটিশে অভিযোগ (Karnataka)

    দলের শৃঙ্খলা কমিটির পাঠানো ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁরা দলকে বিব্রত করেছেন এবং কংগ্রেসের হাইকমান্ডের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস থেকে প্রতি মাসেই অন্তত একজন বা দু’জন কংগ্রেস সাংসদ প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সিদ্দারামাইয়ার বদলে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, অথবা বছরের শেষের আগে তাঁকে সেই পদে উন্নীত করা হবে। এতে দলীয় ঐক্যে ফাটল চওড়া হয়েছে। যদিও সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার নিজেরাই বারবার কোনও ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

    শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যাঁরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়েছেন, তাঁরা হলেন কুনিগালের বিধায়ক এইচডি রঙ্গনাথ এবং মাণ্ড্যর প্রাক্তন সাংসদ এলআর শিবরাম গৌড়া। এর আগেও মাত্র কয়েক মাস আগে চন্নাগিরির বিধায়ক শিবগঙ্গা ভি বাসবরাজ এবং রামনগরার বিধায়ক ইকবাল হুসেনকে একই ধরনের মন্তব্য করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ১ জুলাই শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রামনগরার কংগ্রেস বিধায়ক ইকবাল হুসেন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সিদ্দারামাইয়া ইতিমধ্যেই পাঁচ বছর এবং আরও আড়াই বছর – মোট সাড়ে সাত বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “ডিকে শিবকুমার দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং দলকে ১৪০টি আসন এনে দিয়েছেন। ২০২৮ সালে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আনার জন্য তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।” তিনি কবুল করেন, দলের হাইকমান্ড প্রকাশ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা না করার নির্দেশ দিলেও তিনি এই মতামত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে জানিয়েছেন (Karnataka)।

    বাসবরাজের ভবিষ্যদ্বাণী

    বাসবরাজ এবারই প্রথম বিধায়ক হয়েছেন। অগাস্ট মাসে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে এবং শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তাঁর এই মন্তব্য শিবকুমার সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দেন। যাঁরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, রঙ্গনাথ শিবকুমারকে তাঁর রাজনৈতিক গুরু বলে উল্লেখ করেন এবং ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের কৃতিত্ব দেন তাঁকেই। তিনি শিবকুমারকে উদীয়মান তারকা এবং সারা ভারতের নেতা বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, একদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি এই পদে বসার যোগ্য।

    কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার দুজনেই এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে শিবকুমার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং আমি একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে চলছি।” তিনি আরও জানান, তিনি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি জিসি চন্দ্রশেখরকে এই বিষয়ে মন্তব্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বিজেপি যা বলছে, তার প্রতি আমাদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন নেই (Karnataka)।” মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন। মাঝপথে পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই। দশেরা উদ্‌যাপনের সময়ও তিনি ফের বলেছিলেন, “কংগ্রেস সরকার ব্যক্তিগত অনুমানের ভিত্তিতে নয়, বরং দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে।”

    দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    এই প্রথম নয় যে কর্নাটক কংগ্রেসের দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্টকে ঘিরে দলটির মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন তৈরি হয়েছিল। ওই সমীক্ষায় কর্নাটকের জাতি অনুযায়ী প্রকৃত জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ পায়, যা লিঙ্গায়ত, ভোক্কালিগা এবং কিছু মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারা আশঙ্কা করেছিল, এই তথ্য রাজ্যের সংরক্ষণ রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে (Karnataka)।

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্যে এই সমীক্ষার ফল এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে তর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি দেখিয়ে দিয়েছিল যে জাতি, সম্প্রদায় ও নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কংগ্রেস কতটা বিভক্ত। এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সর্বশেষ অভ্যন্তরীণ বিবাদের প্রেক্ষিতে দলটি আবারও ঐক্য ও শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে, যখন দলটি সরকারে একটি স্থিতিশীল ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, সেই সময় (Karnataka)।

  • ECI: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    ECI: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও সাধারণ মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে কোনও ভোট মুছে দিতে পারে না। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাহুল গান্ধীর করা অভিযোগগুলি মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। কোনও সাধারণ নাগরিক অনলাইনের মাধ্যমে কোনও ভোট মুছে দিতে পারে না, যেমনটি রাহুল গান্ধী মনে করছেন। কোনও ভোট মুছে দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারের বক্তব্য না শুনে তা করা সম্ভব নয় (ECI)।”

    ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে (ECI)

    নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলিও ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে ১০ শতাংশ প্রমাণ আছে যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ভোট চোরদের রক্ষা করছেন। তিনি বলেন, “একটি গোষ্ঠী সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রকৃত ভোটারদের ভুয়ো পরিচয়ে বসিয়ে দিচ্ছে এবং ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম মুছে দিচ্ছে।” যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৩ সালে কিছু ভোট মুছে ফেলার জন্য এমন কিছু ‘ব্যর্থ চেষ্টা’ হয়েছিল। কমিশনের নির্দেশে দায়ের করা হয়েছিল অভিযোগও।

    নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “২০২৩ সালে আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে কিছু ভোটারের নাম মুছে ফেলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা হয়েছিল এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ নিজেরাই এফআইআর দায়ের করেছিল।” কমিশন আরও জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতা বিআর পাটিল ২০২৩ সালে আলন্দ থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন (ECI)। ২০১৮ সালে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সুবোধ গুট্টেদার।সম্প্রতি (Rahul Gandhi) এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, কর্নাটকের আলন্দ কেন্দ্র থেকে ছ’হাজারেরও বেশি ভোটারের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি বলেন, “কর্নাটকের আলন্দে ৬০১৮টি ভোট কেউ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ২০২৩ সালের নির্বাচনে মোট কতগুলো ভোট মুছে ফেলা হয়েছে, আমরা জানি না, কিন্তু একজন ধরা পড়েছে। এটি ধরা পড়েছে, যেমন বেশিরভাগ অপরাধ ধরা পড়ে, কাকতালীয়ভাবে। ঘটনাটি ঘটেছিল এভাবে যে বুথ লেভেল অফিসার লক্ষ্য করেছিলেন যে তাঁর কাকার ভোটও মুছে ফেলা হয়েছে।”

    খুলে পড়ল কংগ্রেসের রাজনীতির মুখোশ

    প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক ‘ভুল’ কংগ্রেসের রাজনীতির মুখোশ খুলে দিয়েছে। তিনি ক্যামেরার সামনে ভোট চুরির যে প্রমাণ দিয়েছিলেন, যা তৈরি হয়েছিল মায়ানমারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল গান্ধী যখনই গণতন্ত্রের কথা বলেন, তখনই তার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি বিদেশি ছায়া। রাহুলের (Rahul Gandhi) তথাকথিত ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ যে সর্বৈব মিথ্যে, তা প্রকাশ পেয়েছে মেটাডাটার তদন্তে। তারাই জানিয়েছে, রাহুলের দেওয়া নথিটি ভারতে নয়, তৈরি হয়েছিল মায়ানমারে (ECI)।

  • AI Video of PM and His Mother: ‘মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এআই ভিডিও সব জায়গা থেকে সরান’, কংগ্রেসকে নির্দেশ পাটনা হাইকোর্টের

    AI Video of PM and His Mother: ‘মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এআই ভিডিও সব জায়গা থেকে সরান’, কংগ্রেসকে নির্দেশ পাটনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)-র প্রয়াত মা হীরাবেনকে নিয়ে একটি এআই ভিডিও (AI Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ও রাজনৈতিক বাকবিতণ্ডা হয়। বুধবার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল পাটনা হাইকোর্ট (Patna HC)।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মা হীরাবেন মোদির বিতর্কিত ভিডিও

    কংগ্রেসের বিহার ইউনিট (Bihar Congress) প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মা হীরাবেন মোদির বিতর্কিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাটনা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি পিবি বজন্ত্রি কংগ্রেসের বিহার ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে সোশ্য়াল মিডিয়ার সব প্ল্য়াটফর্ম থেকে ওই বিতর্কিত ভিডিও সরিয়ে ফেলতে। সূত্রের খবর, গত ১০ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের বিহার ইউনিট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় শেয়ার করে। তাতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী তাঁর মাকে স্বপ্নে দেখছেন। তাঁর মা বিহারের ভোট নিয়ে তাঁর রাজনীতির সমালোচনা করছেন। ওই ভিডিও নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ দিয়েছে পাটনা হাইকোর্ট।

    বিজেপি এবং এনডিএ জোটের শরিকদের ক্ষোভ

    ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি এবং এনডিএ জোটের শরিকরা এর তীব্র নিন্দা করে। তারা অভিযোগ করে, কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে এই ধরনের ‘লজ্জাজনক’ কৌশল অবলম্বন করছে। তারা আরও দাবি করে, এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্ররোচনা সৃষ্টির জন্যই এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর প্রয়াত মায়ের প্রতি কোনও অসম্মান দেখানো হয়নি। পাশাপাশি তারা জানায়, কে বা কারা ওই ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে, বিজেপির দিল্লি নির্বাচন সেলের আহ্বায়ক সঙ্কেত গুপ্তার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিশ কংগ্রেস এবং তাদের আইটি সেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় দায়ের করা ওই অভিযোগে বলা হয়, ভিডিওটি মানহানিকর এবং এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির মায়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। পাশাপাশি, এটি সকল মায়েদের প্রতিও অপমানজনক।

    কংগ্রেসের বিকৃত মানসিকতা

    এ নিয়ে গত একমাসে দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মাকে নিয়ে বিতর্কিত ঘটনা ঘটল। গত ২৭ অগাস্ট বিহারের দ্বারভাঙায় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’য় একটি সমাবেশ থেকে মোদি ও তাঁর মাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল। যার বিরুদ্ধে একটি সভা থেকে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের মন্তব্য দেশের সব মা, বোন ও কন্যাদের পক্ষে অপমানজনক। তিনি আরও বলেন, তাঁর মা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। বিজেপির বক্তব্য, বারবার এই ধরনের ঘটনা কংগ্রেসের বিকৃত মানসিকতার পরিচয়।

  • Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি মা কামাখ্যার কৃপায় ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর প্রথমবার অসমে এসেছি। অপারেশন সিঁদুর আমাদের একটি বড় সাফল্য।” অসমের (Assam) মংগোলদৈ এলাকায় এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কংগ্রেসকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর (Assam)

    কংগ্রেসের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন বিজেপি ভারতরত্ন দিচ্ছে শুধুমাত্র যাঁরা নাচেন এবং গান গান, তাঁদের। ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় পণ্ডিত নেহরু উত্তর-পূর্বকে বিদায় জানিয়েছিলেন, সেই ক্ষতির বেদনা এখনও ভরেনি এবং কংগ্রেস পার্টির বর্তমান প্রজন্মও তাতে নুন ছিটিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে আমি স্তম্ভিত।” তিনি বলেন, “আপনি আমায় যত অভিশাপ দিন, আমি কেয়ার করি না। আমি ভগবান শিবের ভক্ত, আমি সমস্ত বিষই গ্রহণ করি। কিন্তু যখন কংগ্রেস দেশের সৎ সন্তানদের—যেমন ডঃ ভূপেন হাজারিকাকে—অপমান করে, তখন আমার মনে কষ্ট হয়।”

    জঙ্গি হামলার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ গোটা ভারত উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে চলছে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য এটি তাদের লক্ষ্য এবং স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ছ’দশকেরও বেশি সময়ে কংগ্রেস ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ৩টি সেতু তৈরি করেছে,  আর আমরা এক দশকে এই নদীতেই ৬টি সেতু নির্মাণ করেছি। রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেস সেই সব মানুষ ও ব্যবস্থার পাশে দাঁড়ায়, যারা সব সময় ভারতের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস শাসন কালে ভারতে বহু জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ইউপিএ সরকার চুপচাপ বসে ছিল।”

    তিনি বলেন (Assam), “আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কংগ্রেস আমাদের নিজেদের সেনাবাহিনীর বদলে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারা জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের অ্যাজেন্ডা বহন করার চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তানের মিথ্যা কথা কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের কাছে তাদের ভোটব্যাংকের স্বার্থ সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়। তারা ‘দেশের স্বার্থ’ নিয়ে কখনও ভাবে না।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করে। তারা চায় অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের স্থায়ী নাগরিক হোক এবং এই অনুপ্রবেশকারীরাই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করুক (Assam)।”

  • Bihar Congress: প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে এআই ভিডিও বানিয়ে ফের বিতর্কে কংগ্রেস

    Bihar Congress: প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে এআই ভিডিও বানিয়ে ফের বিতর্কে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালাগালিকাণ্ডের পর এবার এআই ভিডিও! ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদিকে ভোট প্রচারে টেনে এনে বিতর্কে কংগ্রেস (Bihar Congress)। মোদিকে নিয়ে বিহার কংগ্রেসের তৈরি এআই ভিডিও নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, কংগ্রেস গোটা মহিলা সমাজকে অপমান করেছে।

    এআই দ্বারা তৈরি ভিডিও (Bihar Congress)

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন বিহার কংগ্রেস এআই দ্বারা তৈরি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর প্রয়াত মা হীরাবেনের মতো চরিত্র একটি সাজানো, স্বপ্নসদৃশ আলাপচারিতায় উপস্থিত হয়েছে বলে অনুমান। ৩৬ সেকেন্ডের এই ক্লিপটি যার ওপরে লেখা এআই জেনারেটেড, অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। ঘটনাটিকে বিজেপি বিহার নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবেই দেখছে। যদিও কংগ্রেস এই ভিডিওর পক্ষে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এতে কারও প্রতি অবমাননার কোনও ইঙ্গিত নেই।

    বিজেপির তোপ

    বিজেপি (BJP) সাংসদ রাধামোহন দাস আগরওয়াল ভিডিওটির কড়া নিন্দে করেছেন। তিনি একে রাজনীতিতে নতুন এক নিম্নস্তরের ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি সব সময় রাজনীতিকে পারিবারিক জীবনের থেকে আলাদা রেখেছেন। কষ্টের বিষয় যে কংগ্রেস প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর মাকে গালিগালাজ করেছে এবং এখন ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে বিভ্রান্ত করছে ও সব মায়ের প্রতি অবমাননা করছে।” তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে (Bihar Congress)।

    বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক্স হ্যান্ডেলে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস সব সীমা লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর মাকে গালিগালাজ করার জন্য কোনও অনুশোচনার বদলে কংগ্রেস মিথ্যা বলে অভিযুক্তকে যথার্থ ও নির্দোষ বলে সমর্থন করছে। এই দল ‘গান্ধীবাদী’ না হয়ে এখন ‘গালিবাদী’ হয়ে গিয়েছে।” তিনি ওই ভিডিও ক্লিপটিকে ‘ঘৃণ্য’ ও ‘লজ্জাজনক’ বলেও অভিহিত করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মায়ের নাম রাজনীতির বিতর্কে টেনে আনার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২৭ অগাস্ট বিহারেরই দ্বারভাঙায় কংগ্রেস ও আরজেডি পরিচালিত ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-র সময়, মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (BJP) ও তাঁর প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ (Bihar Congress)।

  • Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এখানে মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) মতো একটি সরকার দরকার। এখন বলেন্দ্র শাহ আসবেন এবং সব ঠিক হয়ে যাবে।” অশান্তির আগুনে জ্বলতে থাকা নেপালে (Nepal Unrest) দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন স্থানীয় এক তরুণ। তিনি বলেন, “যদি আমাদের এখানে মোদির (PM Modi) মতো একজন নেতা থাকতেন, তবে নেপাল এই অবস্থায় থাকত না। এটি বিশ্বের শীর্ষ দেশ হতো।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নেপালের জেন জেড-এর এহেন ‘জ্বরে’ যারপরনাই খুশি বিজেপি। ভারতীয় এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেপালি তরুণের ওই কথাগুলি ভাইরাল হয়েছে। সেটাকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির।

    দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল (Nepal Unrest)

    ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের পড়শি দেশ নেপাল। জেন জেড-এর আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং পদ্ধতিগত ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন নেপালবাসী। তার জেরেই শুরু হয় আন্দোলন। যুব-নেতৃত্বাধীন সেই বিক্ষোভে সোমবার নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তার পরেই মারাত্মক আকার ধারণ করে নেপালের পরিস্থিতি। অশান্তির জেরে ভারতের এই পড়শি দেশে নিহত হন কমপক্ষে ১৯ জন। জখম হন ৪০০ জনেরও বেশি। অস্থিরতার মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও। এহেন অগ্নগর্ভ পরিস্থিতিতেও নেপালবাসীর মুখে শোনা যায় মোদি-প্রশস্তি।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    বুধবার সেই ভিডিওই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে শেয়ার করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ওই ভিডিওতেই এক নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, দেশে এমন একজন নেতার প্রয়োজন, যিনি দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, ঠিক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন (Nepal Unrest)। সাম্প্রতিক অতীতে বিরোধী দলনেতার বেশ কয়েকটি ভিডিওর জন্য মালব্য বলেন, “কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে জেনারেল জেড “যৌন প্রতীক” হিসেবে উপস্থাপনের জন্য অশ্লীল অর্থ ব্যয় করছে, যেখানে তাঁকে তাঁর পেটের পেশি প্রদর্শন, বাইক চালানো, পুশ-আপ করা বা ঘুরে বেড়ানোর (PM Modi) মতো বোকা বোকা রিল দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “কিন্তু বাস্তব ছবিটা হল, ভারতের মতো নেপালেও জেনারেল জেড প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো একজন নেতাকে চান, যাঁর দূরদৃষ্টি, দৃঢ়তা এবং কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।”  মালব্যর করা (Nepal Unrest) পোস্টে সংবাদমাধ্যম থেকে একটি ভিডিওও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, তাঁদের দেশে মোদির মতো একজন নেতার প্রয়োজন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে যদি এমন সরকার থাকত, তাহলে নেপাল বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে থাকত না। নেপাল সামনের সারিতে থাকত।”

    মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন

    বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশের সহ-সভাপতি বিষ্ণু বরাধন রেড্ডিও একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “নেপাল থেকে উঠে আসা যুব সমাজের আওয়াজ একটাই স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে – ‘আমাদের মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন।’” তিনি আরও বলেন, “এটাই হচ্ছে ১১ বছর ধরে নিবেদিত শাসন ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বৈশ্বিক প্রভাব। সবাই চায় এমন একজন নেতা যিনি প্রধানমন্ত্রী শ্রী অ্যাট দ্য রেট নরেন্দ্র মোদিজির মতো (Nepal Unrest)।”

    ভারতের উদ্বেগ

    এদিকে, নেপালে হিংসার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, নেপালের কাঠমাণ্ডু-সহ একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যে সব ভারতীয় রয়েছেন (PM Modi), তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের। ভারতীয়দের নেপাল যাত্রা আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। ভারত-নেপাল সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ভারতীয়রা যাতে সে দেশে থেকেও কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি।

    ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে দেশ-বিরোধীরা, আশঙ্কা

    নেপালে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দেশে অশান্তি ছড়ানোর কৌশল নিতে পারে ভারত বিরোধীরা। সেই বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর। তবে নয়াদিল্লি শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও, ভারত যে নেপাল ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না, সেটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায়ই। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের হিংসার ঘটনা হৃদয়বিদারক (Nepal Unrest)।” প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের স্থিতিশীলতা, উন্নতি এবং শান্তিরক্ষা ভারতের প্রাথমিক গুরুত্ব। আমার নেপালি ভাই-বোনেদের কাছে আবেদন (PM Modi), আপনারা শান্তির পক্ষে থাকুন।” নেপালে যেভাবে একগুচ্ছ তরুণের প্রাণ চলে গিয়েছে, তাতে শোকপ্রকাশও করেন প্রধানমন্ত্রী (Nepal Unrest)।

  • BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭২ হাজার কোটি টাকার গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসের করা সমালোচনার জবাব দিল বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ করেছেন। অনিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে। এক্স হ্যান্ডেলে অনিল বলেন (Great Nicobar Project), “এই দ্বীপগুলি ইন্দোনেশিয়ার মাত্র ১৫০ মাইল দূরে অবস্থিত, মালাক্কা প্রণালীর পশ্চিম প্রবেশদ্বারের কাছে, যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ।”

    বিজেপির বক্তব্য (BJP)

    তিনি বলেন, “ক্যাম্পবেল বে-তে অবস্থিত নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটি আইএনএস বাজ ২০১২ সালে কমিশন করা হয়েছিল। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ছিলেন ইউপিএর চেয়ারপার্সন।” বিজেপির এই নেতার প্রশ্ন, “কোন ভিত্তিতে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস পার্টি এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।” তিনি বলেন, “দশ বছরেরও বেশি সময় পরে কোন ভিত্তিতে এবং কার পক্ষে আপনি, আপনার পরিবার এবং আপনার দল এখন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্পকে ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন (BJP)?”

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প একটি সরকারি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দ্বীপটিতে একটি ট্রানশিপমেন্ট পোর্ট, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি আধুনিক টাউনশিপ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে উন্নয়নকে কৌশলগত অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই প্রকল্প বিস্তৃত। এর মধ্যে ১৩০ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চলে নিকোবরিজ ও শোম্পেন সম্প্রদায় বসবাস করে। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, “গ্রেট নিকোবার দ্বীপ প্রকল্প একটি মিসঅ্যাডভেঞ্চার, যা উপজাতির অধিকারকে পা দিয়ে দখল করছে এবং আইনি ও বিবেচনামূলক প্রক্রিয়ার অমর্যাদা করছে। এই প্রবন্ধে কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী নিকোবারের (Great Nicobar Project) মানুষ এবং তাদের সংবেদনশীল পরিবেশে এই প্রকল্পের দ্বারা যে অন্যায় সংঘটিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছেন।” এরই উত্তর দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

     

  • PM Modi Hails GST 2.0: ‘শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস’, জিএসটি ২.০-এর প্রশংসা করে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi Hails GST 2.0: ‘শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস’, জিএসটি ২.০-এর প্রশংসা করে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সাধারণ পরিবারগুলির উপর মারাত্মক করের বোঝা চাপিয়েছিল কংগ্রেস। এমনকী শিশুদের টফি-লজেন্সের উপরেও কর চাপানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার’ প্রাপ্তদের সভায় নতুন জিএসটি হার নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করার পাশাপাশি, বিরোধী কংগ্রেসকে নিশানা করে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Hails GST 2.0)। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, কংগ্রেস সরকার সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কৃষিকাজ, এমনকী ওষুধের উপরেও উচ্চহারে কর চাপিয়েছিল। জিএসটি ২.০-এক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, যা দেশের মানুষের স্বার্থে গৃহীত, দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদির

    জিএসটি কাঠামোয় বড়সড় রদবদল ঘোষিত হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেই ইস্যুতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Hails GST 2.0)। তিনি বলেন, ‘‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্য এবং ওষুধ – যে কোনও কিছুর উপর কর আরোপ করেছে। এমনকি শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস। মোদি যদি এটা করতেন, তাহলে তাঁরা আমার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলত।’’ কংগ্রেসের তীব্র সমালচনা করে মোদি অভিযোগ করেন, “যদি সেই শাসনব্যবস্থা অব্যাহত থাকত, তাহলে ১০০ টাকার জিনিস কিনতে আপনাকে ২০-২৫ টাকা কর দিতে হত। কংগ্রেস জমানায় হোটেল বুকিংয়েও একাধিক কর নেওয়া হত। ভারতে চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল ছিল। কংগ্রেস সরকার ডায়াগনস্টিক কিটের উপর ১৪% কর নিত। কংগ্রেস সরকার আলো, পাখা, টিভি, এসির ওপর ৩১% কর নিত। কিন্তু আমাদের সরকারের লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের জীবনে সর্বাধিক সঞ্চয় নিশ্চিত করা এবং তাঁদের জীবন উন্নত করা।”

    জিএসটি ২.০ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

    নয়া জিএসটি কাঠামোর প্রশংসা করে মোদির (PM Modi Hails GST 2.0) দাবি, দেশের উন্নতিতে জিএসটি ২.০ দ্বিগুণ সাহায্য করবে। তাঁর মতে, ভারতকে আত্মনির্ভর করার জন্য এই সংস্কার ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, জিএসটি ২.০ জাতির প্রতি সহায়তা এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ‘ডবল ডোজ’ হবে। সেই সঙ্গে জিএসটি হারের পরিবর্তন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দেশের স্বাধীনতার পরে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’’ বুধবার পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় বুধবার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন নির্মলা সীতারামন। জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠকের প্রথম দিনের শেষে জানিয়েছিলেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে মূলত দু’টি হারে (৫, ১৮) জিএসটি কার্যকর হবে (এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে থাকবে ৪০ শতাংশ কর)। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পর থেকে তাতে পাঁচটি (৫, ১২, ১৮, ২৮ এবং কিছু পণ্যে শূন্য) হার ছিল এতদিন পর্যন্ত। এ বার ১২ এবং ১৮ শতাংশ জিএসটি উঠে গেল। এই নয়া হারকে জিএসটি ২.০ বলেছেন মোদি।

    দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Hails GST 2.0) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সময়োপযোগী পরিবর্তন না হলে আজকের বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের দেশকে তার যথাযথ স্থান দিতে পারব না। আমি ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম যে, ভারতকে স্বাবলম্বী করার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, এই দীপাবলি এবং ছট পুজোর আগে দ্বিগুণ আনন্দের ঝলক দেখা যাবে।’’ সেই প্রতিশ্রুতি তাঁর সরকার রক্ষা করেছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, ‘‘এই সিদ্ধান্তে একুশ শতকে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন অগ্রগতি হবে। জিএসটি সংস্কারের মাধ্যমে ভারতের প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে পাঁচটি নতুন রত্ন (পঞ্চরত্ন) যুক্ত হয়েছে।’’

    যুবকদের আয় বাড়বে

    বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের অনুমোদিত সংস্কারে, রুটি থেকে শুরু করে চুলের তেল, আইসক্রিম এবং টিভি পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ব্যবহারের সব জিনিসের দাম কমবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার উপর করের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনা হবে বলেও জানা গিয়েছে। ফিটনেস সামগ্রীতেও কর কমানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ব্যয় বৃদ্ধি এবং মার্কিন শুল্কের ধাক্কা কমাতে সমস্ত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস এবং মধ্যবিত্তদের ব্যবহারের অন্যান্য পণ্যের দাম কমবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Hails GST 2.0) বলেন, ‘‘এখন জিএসটি আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। মাত্র দু’টি স্ল্যাব রয়েছে এখন, ৫% এবং ১৮% – যা প্রতিটি নাগরিক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য আরও সহজ হয়ে গেল। জিএসটি ২.০ বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘জিএসটি ২.০ দরিদ্র, নব্য মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, কৃষক, মহিলা, ছাত্র, যুবক-যুবতী সকলের জন্যই উপকারী। পনির থেকে শ্যাম্পু-সাবান সবকিছুই হবে সস্তা।’’ ১৭৫টি জিনিসের দাম কমার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, জিএসটি শুধু কমেনি, জিএসটি সরলীকরণও করা হয়েছে। এতে যুবকদের আয় বাড়বে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্কের আবহে ভারতের রফতানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, সেই আবহেই এসেছে জিএসটি সরলীকরণের সিদ্ধান্ত। যা একেবারেই সময়ের দাবি বলে মত প্রধানমন্ত্রীর।

  • Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রয়াত মায়ের উদ্দেশে কুকথা বলা হয়েছিল কংগ্রেস-আরজেডির মঞ্চ থেকে। তার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “এটা গোটা দেশের মা-বোন এবং কন্যাদের অপমান।” দেশের মহিলাদের অপমান করায় বিহার বনধের (Bihar Bandh) ডাক দিল এনডিএ। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাকে।

    প্রধানমন্ত্রীর মাকে কটু কথা (Bihar Bandh)

    প্রধানমন্ত্রী যখন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁর মায়ের উদ্দেশে কটু কথা বলা হয়। চিন থেকে ফিরেই এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিহারের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও, কেন তাঁর মাকে টেনে আনলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং হাত শিবিরের লেজুড় আরজেডি নেতা? বিষয়টিকে দেশজুড়ে মহিলাদের প্রতি অপমান হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তাঁর মৃত মায়ের উদ্দেশে এভাবে অপমানসূচক মন্তব্য অকল্পনীয়।”

    রাহুল-তেজস্বীকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

    রাহুল এবং তেজস্বীকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী (Bihar Bandh) বলেন, “একজন দরিদ্র মায়ের সংগ্রাম, তাঁর ছেলের কষ্ট – রাজপরিবারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ রাজকুমাররা বুঝতে পারেন না। এই নামদার লোকেরা মুখে রূপার চামচ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। দেশ ও বিহারের ক্ষমতা তাঁদের কাছে পরিবারের উত্তরাধিকারের মতো মনে হয়।” তিনি বলেন, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিহার সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিহারের সব মহিলা আরজেডিকে সরিয়ে বারবার পরাজিত করার ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই আরজেডি হোক বা কংগ্রেস আজ এই (PM Modi) লোকেরা মহিলাদের ওপর সব চেয়ে বেশি বিরক্ত। এই লোকেরা আপনাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়, তারা সুযোগ খুঁজছে যাতে তারা আপনাদের শাস্তি দিতে পারে (Bihar Bandh)।”

LinkedIn
Share