Tag: congress

congress

  • Waqf Act: “ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হলে দেশ ভাগ হবে”, হুমকি রাশিদির

    Waqf Act: “ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হলে দেশ ভাগ হবে”, হুমকি রাশিদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরুর রেখে যাওয়া ‘গ্যাঁজ’ উপড়ে ফেলতে সচেষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াকফ আইন (Waqf Act) ১৯৯৫ সংশোধন করার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। আর তার পরেই হুমকি ধেয়ে এল মওলানা সাজিদ রশিদির দিক থেকে (Maulana Sajid Rashidi)। তিনি বলেন, “ওয়াকফ আইন সংশোধন করা হলে ভারতকে আর একটি বিভাজনের সম্মুখীন হতে হবে।” অবশ্য এই প্রথম নয়, রাশিদি মাঝেমধ্যেই হুমকি দেন ভারত ও হিন্দুদের।

    ওয়াকফ অ্যাক্ট প্রণয়ন (Waqf Act)

    ১৯৫৪ সালে ওয়াকফ অ্যাক্ট প্রণয়ন করে নেহরু সরকার। পরে সেই আইন বার দুয়েক সংশোধন করা হয়। শেষবার সংশোধনী আনা হয় ১৯৯৫ সালে। সেটাই ফের সংশোধন করতে সোমবারই লোকসভায় পেশ হয়েছে বিল। এই বিলে চল্লিশটিরও বেশি বদল আনা হয়েছে। ২ অগাস্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেওয়ার পরে বিলটি পেশ হয় লোকসভায়। এতদিন যে কোনও জমিকে ওয়াকফ বোর্ড তাদের সম্পত্তি বলে ঘোষণা করতে পারত। নয়া বিলে ওয়াকফ বোর্ডের এই ক্ষমতাই সীমিত করার কথা বলা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এটাই গাত্রদাহের কারণ মওলানা সাহেবের। সেই কারণেই দেশে যাতে অশান্তির আগুন জ্বলে, তাতে ইন্ধন জোগাতে শুরু করেছেন তিনি।

    মওলানার হুমকি

    চাকরিতে সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ভারতের জনসংখ্যারও একটা বড় অংশ মুসলমান। অভিজ্ঞ মহলের মতে, সেই কারণেই হুমকি দেওয়ার জন্য এই ‘সন্ধিক্ষণ’-টিকেই বেছে নিয়েছেন রাশিদি। রাশিদি অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। বিলের বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “এবার মুসলমানরা রাস্তায় নামবে। তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করবে।” বিল সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে রাশিদি আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপিকেও। তিনি বলেন, “একের পর এক বিভাজনমূলক ইস্যু এনে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে চাইছে বিজেপি। রাম মন্দিরের পর তারা কাশী বিশ্বনাথ মন্দির বনাম জ্ঞানব্যাপী মসজিদ ও শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ভার্সেস মথুরার ইদগাহের মতো নয়া বিভাজনমূলক সমস্যা খুঁজে পেয়েছে।” এর পরেই হুমকির সুরে এই মওলানা বলেন, “কৃষকরা যেভাবে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে তিনটি আইন বাতিল করেছে, একইভাবে এখন মুসলমানরাও রাজপথে নামবে। লড়াই করবে তাদের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য।”

    বিজেপিকে নিশানা

    তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোঝাটা গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমান সম্প্রদায়ের সুবিধার জন্য সরকার সাংবিধানিকভাবে মুসলমানদের ওয়াকফের অধিকার দিয়েছে।” ফের একবার হুমকির সুরে রাশিদি বলেন, “এই মুহূর্তে মুসলমানরা নীরব। আমাদের সম্পত্তির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মালিকানাধীন। মুসলমানরা যদি তাদের অধিকার দাবি করতে শুরু করে, তাহলে পরিস্থিতি বদলে যাবে। তাই উদ্বেগে প্রশাসন।” অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, “মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে কেবলই মুসলমানদের টার্গেট করছে। সেই রকমই বিল আনছে।” তিনি বলেন, “যে হিন্দুরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদেরও ভাবতে হবে এই সরকার তাঁদের জন্যই বা কী করেছেন।” মুদ্রাস্ফীতি ও কর্মসংস্থান নিয়ে এই সরকার উচ্চবাচ্য করে না বলেও দাবি রাশিদির।

    মওলানার গুণপনার শেষ কই!

    মওলানা সাহেবের (Maulana Sajid Rashidi) গুণপনার শেষ নেই! এমন হুমকি এই প্রথম নয়, তিনি আগেও দিয়েছেন। অযোধ্যায় রাম মন্দির ভেঙে ফেলার জন্য (Waqf Act) মুসলমানদের উসকানি দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল ২০২০ সালের অগাস্টে। রাম মন্দিরের ভূমি পূজনের একদিন পর তিনি বলেছিলেন, “অযোধ্যায় যে রাম মন্দির এখনও তৈরি হয়নি, তা ভেঙে পুনর্নির্মাণ করা হবে মসজিদ।” বিতর্কিত এই মন্তব্যের দু’বছর পরে রশিদি ফের বেফাঁস মন্তব্য করেন ২০২২ সালে। উত্তরাখণ্ড সরকার সে রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিকে আধুনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই মওলানা সাহেব বলেছিলেন, “প্রত্যেক রাজ্যে একটি করে মাদ্রাসা বোর্ড রয়েছে। মাদ্রাসাগুলি সরকারের অধীন। এই মাদ্রাসাগুলিতে সরকার ড্রেস কোড দিতে পারে, সিনেমা কিংবা গানও চালাতে পারে, যা খুশি তাই করতে পারে। কেউ তাদের বাধা দিতে পারে না।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    এরপর তিনি বলেন, “তবে আপনাকে প্রাইভেট মাদ্রাসায় কিছু করতে দেব না। ভারতীয় মুসলমানরা প্রাইভেট মাদ্রাসা থেকে ৪ শতাংশ শিশুকে ধরে রেখেছেন মৌলভী ও মওলানা হওয়ার জন্য। তাই যদি তারা সেইসব মাদ্রাসায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে, তবে সব ভারতীয় মুসলমান এর বিরোধিতা করবে। আমরা এই প্রাইভেট মাদ্রাসায় হস্তক্ষেপ করতে দেব না।” রাশিদি বলেন, “আমরা কখনওই সরকারের কাছ থেকে কিছু নিই না। আমাদের কারও কাছ থেকে কিছু নেওয়ার দরকারও নেই।…সরকার পরিচালিত মাদ্রাসাগুলিতে যা খুশি তাই করুন। তবে প্রাইভেট মাদ্রাসাগুলিকে স্পর্শ করবেন না।” তাঁর (Maulana Sajid Rashidi) হুমকি, “ভারত আগুনে পুড়ে যাবে।” ২০২২ সালেই ফের একবার ভারতীয় মুসলমানদের ওসকানোর চেষ্টা করেছিলেন রাশিদি। এই বছর রাজ্যের সাড়ে ৭ হাজার অস্বীকৃত মাদ্রাসায় সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। তখন মওলানা সাহেব মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বলেছিলেন, “রাজ্যের তরফে যাঁরা সমীক্ষা করতে যাবেন, তাঁদের চপ্পল এবং জুতো দিয়ে স্বাগত জানান। ২০০৯ সালের আইন দিয়ে তাঁদের মারধর করুন।”

    কাঠগড়ায় তুষ্টিকরণের রাজনীতি

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিদির এই মন্তব্যের নেপথ্যে রয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূলের প্রচ্ছন্ন প্রশয়। এই দুই রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় টিকে থাকতে নিরন্তর করে চলেছে তোষণের রাজনীতি। কেন্দ্রে কংগ্রেস জমানায় এবং বাংলায় তৃণমূল জমানায় প্রকাশ্যে মুসলমান তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে। ওয়াকফ অ্যাক্ট প্রণয়ন করে যে বিষবৃক্ষের বীজ পুঁতেছিলেন নেহরু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিণত হয়েছে মহীরুহে। বস্তুত মুসলিম তোষণ করেই দশকের পর দশক ধরে দিল্লিশ্বর সেজে বসেছিল কংগ্রেস। উন্নয়নের স্লোগান দিয়ে কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামিয়েছিলেন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের কান্ডারি নরেন্দ্র মোদি। তার জেরেই ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার।

    কংগ্রেস-তৃণমূল

    কেন্দ্রে যেমন তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে চলেছে কংগ্রেস, তেমনি মুলমান সেন্টিমেন্টে নিরন্তর সুড়সুড়ি দিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। ইমামদের ভাতা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার। মুসলমানদের স্বার্থে যাতে ঘা না লাগে, তাই রামনবমীর মিছিলে মুসলিমরা হামলা চালালেও, সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। কংগ্রেস এবং তার ‘নাড়ি ছেঁড়া ধন’ তৃণমূলের এই তুষ্টিকরণের রাজনীতিতে একদিকে যেমন বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে মুসলমানদের, তেমনি সাহস বাড়ছে রাশিদির (Maulana Sajid Rashidi) মতো মানুষদের।

    মোদি সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত মওলানার

    রাশিদি যখন ভারতীয় মুসলমানদের খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন, তখন মোদি সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিয়া আলেম মওলানা ইয়াসুব আব্বাস। ওয়াকফ অ্যাক্টের সংশোধনীগুলিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “আইনের পরিবর্তনগুলি ওয়াকফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনবে। প্রবর্তন করবে জবাবদিহির। দুর্নীতির অবসানও ঘটবে। এবং এই জাতীয় সম্পত্তির আয় বাড়বে।” ইয়াসুব আব্বাস সাহেবের কথায় স্পষ্ট, ওয়াকফ সম্পত্তিতে দুর্নীতি হয় এবং তার অবসানও ঘটানো প্রয়োজন। সেই চেষ্টাই করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। এহেন আবহে উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে মুসলমানদের খেপিয়ে তুলছে চাইছেন রাশিদি! যার বিপদ সম্পর্কে হয় তিনি জানেন না, নয়তো না জানার ভান করে রয়েছেন।

    কথায় বলে, শহরে আগুন লাগলে পিরের বাড়িও বাদ যায় না (Waqf Act)। অতএব, আগুন নিয়ে না খেলাই ভালো, তাই নয় কি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Waqf Act: ওয়াকফ আইনই বেআব্রু করে দিয়েছিল নেহরুর মুসলমান প্রীতি

    Waqf Act: ওয়াকফ আইনই বেআব্রু করে দিয়েছিল নেহরুর মুসলমান প্রীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীন ভারতকে সংবিধান দিয়েছিল ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার। তবে তা ঠিকঠাক মেনে চলা হয় না বলে অভিযোগ। বিশেষত প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট এবং ধর্মীয় অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে। ১৯৫৪ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু (Congress) ওয়াকফ আইন (Waqf Act) প্রণয়ন করেছিলেন। সেই থেকে বিতর্কের কেন্দ্রে এই আইন। আইনটির উদ্দেশ্য হল, ইসলামিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট বা এনডাওমেন্টগুলিকে (ওয়াকফ) সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থায় একত্রিত করে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে রাখা।

    ওয়াকফ আইন সংশোধনী

    ১৯৬৪ সালে পাশ হয় সংশোধনী। এর বলে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল। ১৯৯৫ সালে আরও একটি সংশোধনী পাশ হয়। এতে প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ওয়াকফ বোর্ড তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। সমালোচকদের মতে, সরকার যদি ইসলাম ধর্মাবলমন্বীদের মতো অন্য ধর্মের সম্পত্তি রক্ষায় সক্রিয় হত, তাহলে ভালো হত। হিন্দু মন্দির পরিচালনার জন্য পৃথিবীতে কোথাও কোনও হিন্দু বোর্ড নেই। রাষ্ট্রীয় তত্ত্ববধানেও কোনও মন্দির পরিচালিত হয় না। এরই উল্টো দিকে যদি ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ অ্যাক্ট দেখি, তাহলে দেখব, আইনটি মুসলিমবাদী। সংশোধনীতে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, সেগুলির সাহায্যে ধর্মীয় সংগঠনটির অতিথি সদস্যরা হবেন পাবলিক অফিসার। এটিও অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ওয়াকফ বোর্ড নামে যে ইসলামিক বোর্ড রয়েছে তাদের নামে সম্পত্তি কীভাবে হয়, সে প্রশ্নও উঠেছে। সমালোচকদের মতে, যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, তাতে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার অভাব রয়েছে। এই জাতীয় সন্দেহজনক কার্যকলাপের মধ্যে তাজমহলকেও অনেকে ওয়াকফ কিংবা এনডাওমেন্টের সম্পত্তি বলে দাবি করে।

    তুষ্টিকরণের রাজনীতির পর্দা ফাঁস

    নেহরুর ১৯৫৪ সালের আইনের অন্তঃস্থলে যে মুসলমান তোষণের বীজ রোপিত হয়েছিল, কংগ্রেসের পরবর্তী জমানায় বস্তুত তা মহীরুহে পরিণত হয়। যার প্রমাণ মেলে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়। এই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের মনমোহন সিং বলেছিলেন, “আমি এখনও বিশ্বাস করি, আমাদের সম্পদের ওপর প্রথম দাবি মুসলমানদের।” মনমোহনের এহেন মন্তব্যে মুখোশ খুলে যায় কংগ্রেসের। সমালোচকদের মতে, মনমোহনের এহেন মন্তব্যের অর্থ হল, মুসলমান তোষণ কংগ্রেসের একটি সুষ্পষ্ট নীতি। সংরক্ষণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে মুসলমানদের আরও বেশি সুবিধা দেওয়া যায়, দশকের পর দশক ধরে সেই চেষ্টাই করে গিয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের (Congress) লক্ষ্য মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখা। তা করতে গিয়েই নির্লজ্জভাবে একাধিক পদক্ষেপ করেছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। মুসলমানদের জন্য একাধিক পদক্ষেপ কংগ্রেস সরকার নিলেও, মুসলমানদের আর্থ-সামজিক অবস্থার (Waqf Act) পরিবর্তন হয়েছে খুব সামান্যই। মুসলমানদের কেন এই হাল, সে প্রশ্নও ওঠে বই কি! দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের দখলে থাকা ১২৩টি সম্পত্তির দখল যখন কেন্দ্রীয় হাউজিং অ্যান্ড আরবান অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রক নেয়, তখন বোর্ডের অন্দরেই দেখা গিয়েছিল বিতর্ক।

    ওয়াকফ কী

    ওয়াকফ (Waqf Act) বলতে বোঝায় সেই সব সম্পত্তি বোঝায়, যেগুলি ধর্মীয় কিংবা দাতব্যের উদ্দেশ্যে ইসলামকে দেওয়া হয়েছে। এই সম্পত্তি স্থাবর কিংবা অস্থাবর হতে পারে। মানুষ যখন ওয়াকফকে কোনও সম্পদ দেয়, সেটা চিরকালের জন্য দেয়। জানা গিয়েছে, ভারতে বর্তমানে ওয়াকফ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রায় ৮.৫ লাখ সম্পত্তি রেকর্ড করেছে। সম্পত্তির বহরের হিসেবে ধরলে ওয়াকফের সম্পত্তির পরিমাণ সেনাবাহিনী এবং রেলের সম্পত্তির পরেই। ১৯৯৫ সালের ওয়াকফ অ্যাক্ট অনুযায়ী এই সব সম্পত্তির ওপর গভর্ননেন্স করা হয়েছে সার্ভে কমিশনের দ্বারা। সম্পত্তিগুলি নথিভুক্ত করতেই এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। মুত্তাওয়ালিশ নামে একটি ট্রাস্টি এই সব সম্পত্তি ম্যানেজ করত। রাজ্যস্তরে তাদের ওপর নজরদারি চালাত ওয়াকফ বোর্ড। এগুলি স্থাপন করেছিল সেন্ট্রাল ওয়াকফ কাউন্সিল। এই কাউন্সিল সরকারকে ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে পরামর্শ দেয়।

    ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিস্তর ফারাক

    সম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে বিস্তর ফারাক। ২০২০ সালের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ দলিত স্টাডিজের করা সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দেশের মোট সম্পদের ৪১ শতাংশ রয়েছে হিন্দুদের হাতে। এর মধ্যে আবার হিন্দু ওবিসিদের হাতে রয়েছে ৩১ শতাংশ। বাকিদের হাতে বাকি ১০ শতাংশ। মুসলমানদের হাতে রয়েছে ৮ শতাংশ। তফশিলি জাতি এবং উপজাতিদের হাতে রয়েছে যথাক্রমে ৭.৩ এবং ৩.৭ শতাংশ। যা আদতে জনসংখ্যার মধ্যে বৈষম্যকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে হাসিনা, আপাতত ক্ষমতায় সেনা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কী?

    ওয়াকফ বোর্ডের ভূমিকা কেন্দ্রীভূত কেবল সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণেই। তার জেরে মুসলমানদের যে আর্থ-রাজনৈতিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি কংগ্রেস জমানায় হয়নি, সেদিকে নজর নেই তাদের। যার জন্য বৈষম্য বেড়েই চলেছে কংগ্রেস আমলে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওয়াকফ সম্পত্তির কিছু অংশও যদি শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হত, তাহলে পরিবর্তন হত মুসলমানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থানের। উন্নতি হত (Congress) দেশের জিডিপি। যার সুফল ভোগ (Waqf Act) করতেন আদতে তামাম ভারতবাসীই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shashi Tharoor: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে নাকি ‘স্মরণীয় দিন’ কাটিয়েছেন শশী! তুলোধনা করল বিজেপি

    Shashi Tharoor: বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে নাকি ‘স্মরণীয় দিন’ কাটিয়েছেন শশী! তুলোধনা করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা ওয়েনাড়ের পদত্যাগী সাংসদ রাহুল গান্ধীর পর এবার অকুস্থলে গেলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর (Shashi Tharoor)। ধসে-বিধ্বস্ত ওয়েনাড়ে শশী বিলোলেন ত্রাণ। সেই ‘দানে’র ছবির ভিডিও শশী আবার পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে তিরুবনন্তপূরমের সাংসদ লিখলেন, “ওয়েনাড়ে স্মরণীয় দিনের কিছু স্মৃতি।” ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, ট্রাক থেকে ত্রাণ সামগ্রী নামাচ্ছেন এই কংগ্রেস নেতা। ধস-বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখছেন তিনি। বিলোচ্ছেন ত্রাণ।

    বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস (Shashi Tharoor)

    শশীর এই ‘স্মরণীয় দিন’ শব্দবন্ধেই আপত্তি তুলেছে বিজেপি। শশীর শব্দচয়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন বিজেপি (BJP) নেতা অমিত মালব্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মৃত্যু এবং বিপর্যয় শশী থারুরের কাছে স্মরণীয়।” কেবল মালব্য নন, সোশ্যাল মিডিয়ায়ও শশীর পোস্ট নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। একটা ট্র্যাজেডি কীভাবে স্মরণীয় হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরাও।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় মুন্ডুপাত শশীর

    সোশ্যাল মিডিয়ায় জনৈক রেই লিখেছেন, “৩০০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এবং রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতা কিনা বলছেন স্মরণীয় দিনের স্মৃতি।” এক্স হ্যান্ডেলে জনৈক অনুরাগ লিখেছেন, “এলিট সাংসদ শশী থারুরের সঙ্গে পরিচয় করুন। তিনি ধস-বিধ্বস্ত ওয়েনাডে গিয়েছিলেন একটি স্মরণীয় দিন পেতে।” অন্য এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, “একটি দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকায় একটি স্মরণীয় দিন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আবেশে নষ্ট হয়ে গিয়েছে (Shashi Tharoor)। দুঃখের বিষয়, এটি সম্পর্কে পোস্ট করা আসলে সাহায্য করার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিঃস্বার্থ সেবার চেয়ে সেলফিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।”

    আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের হিন্দু মন্দিরে অশ্লীল ভিডিও তৈরি! গ্রেফতার দিলশাদ ও আজিম

    গত মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নামে ওয়েনাড়ে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই, অট্টামালা, নুলপুঝার মতো গ্রামগুলি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বলি হয়েছেন তিনশোরও বেশি মানুষ। স্বজন হারানোর কান্নায় ভারী হয়েছিল ওয়েনাড়ের বাতাস। কান্না বুকে চেপে ওয়েনাড় যখন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাচ্ছে, তখন বৃহস্পতিবার সেখানে বোন প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে হাজির হন কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’। ঘটনার দুদিন পরে যান স্থানীয় পদত্যাগী সাংসদ (রাহুল এই কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। এবারও জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে একই সঙ্গে দুটি কেন্দ্রে জয়ী হওয়ায় ওয়েনাড়ের সাংসদ পদে ইস্তফা দেন রাহুল। এই কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন প্রিয়ঙ্কা) রাহুল। তার (BJP) পর এদিন গেলেন শশী (Shashi Tharoor)। এবং দিনটিকে করে তুললেন ‘স্মরণীয়’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Rahul Gandhi: জানেন কীভাবে বাইডেন ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন রাহুল?

    Rahul Gandhi: জানেন কীভাবে বাইডেন ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিলেন রাহুল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার কয়েকজন কুটনীতিক ও কয়েকটি গোষ্ঠীর দ্বারা চালিত হন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রাহুল সম্প্রতি পার্টির বিদেশী ইউনিট, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস (IOC) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ইউরোপ সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। আইওসি আহ্বায়ক রাজবিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বে একদল এনআরআই এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে বলেন খবর। যদিও কংগ্রেসের (Rahul in US) তরফে এই বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। সম্প্রতি ওপিইন্ডিয়া একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে জানায়,২০২৩ সালে রাহুল তাঁর শেষ মার্কিন সফরের সময় হোয়াইট হাউজে ‘গোপন’ বৈঠক করেছিলেন। বহু গণ্য মান্য মার্কিনদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন তিনি। যদিও কংগ্রেসের তরফে এই খবর অস্বীকার করা হয়।

    রাহুল গান্ধীর  সফর (Rahul Gandhi)

    রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন সীমা সিরোহি। তাঁর কথায়, “হোয়াইট হাউসের বৈঠকটি গোপন রাখার ক্ষেত্রে মত দিয়েছিল দুই পক্ষই। রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা সামনে আনতে চায়নি মার্কিন প্রশাসন। আর রাহুলও বিষয়টি প্রকাশ্যে এনে অস্বস্তিত্ পড়তে চাননি।” সীমা আরও জানান, তাঁকে এই বৈঠকের কথা বলেছিল, কংগ্রেস নেতা প্রবীণ চক্রবর্তী। যদিও প্রবীণ পরে এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেন। প্রবীণ বলেন, “হোয়াইট হাউসে কোনও গোপন বৈঠক হয়নি।” তবে, রাহুল গান্ধী তাঁর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় সেনেটর এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, এর আরও অনেক প্রমাণ রয়েছে। 

    ডিপ স্টেটের ভূমিকা (Rahul in US) 

    সম্প্রতি ওপিইন্ডিয়া ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা এবং তার সন্দেহজনক এনজিও, গ্লোবাল নলেজ ইনিশিয়েটিভ সম্পর্কে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই সংস্থা মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং রকফেলার ফাউন্ডেশন থেকে অর্থ পায়। এনজিওটি স্যাম পিত্রোদা, রকফেলার ফাউন্ডেশনের বর্তমান ভিপি এবং মার্কিন সরকারের (Rahul in US) প্রাক্তন উপদেষ্টা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এতেই বোঝা যায় যে, কংগ্রেস মার্কিন ডিপ স্টেটের সাথে সমঝোতায় রয়েছে। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বরাবর ভারতে কোনও কাজের জন্য বিদেশী হস্তক্ষেপের দাবি করেন। যা আত্মনির্ভর ভারতের বিপরীত। এই প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন পর, কংগ্রেস নেতা প্রবীণ চক্রবর্তী ওপিইন্ডিয়াকে হুমকি দেন। প্রবীণ চক্রবর্তী দাবি করেন যে হোয়াইট হাউসের “গোপন” বৈঠকের খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা। আসলে কংগ্রেস বুঝতে পারে এই খবর প্রকাশ্যে এলে তাদের সমস্যায় পড়তে হবে। এই ধরনের বৈঠক ভারতের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। প্রবীণ প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরোধিতা করলেও কোনও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেননি। তিনি রিপোর্টে উল্লেখিত অন্য কোনও লিঙ্ককে অস্বীকার করেননি। তিনি মার্কিন ডিপ স্টেটের সাথে স্যাম পিত্রোদা এবং রাহুল গান্ধীর সম্পর্ক নিয়েও কোনও প্রশ্ন তোলেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anurag Thakur: জাত বিতর্কে অখিলেশকে পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ, কঙ্গনার

    Anurag Thakur: জাত বিতর্কে অখিলেশকে পাল্টা আক্রমণ অনুরাগ, কঙ্গনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি সাংবাদিককে প্রশ্ন করেছিলেন “আপনার জাত কি?” জাত বিতর্ক (Caste Row) নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে, সেই সময় এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন হামিরপুরের সাংসদ তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপির অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। ভিডিওটি সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদবের। একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “কেউ কীভাবে জাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে পারে?” ভিডিওটিতে কোনও তারিখ দেখা যাচ্ছে না। তবে তাতে দেখা যাচ্ছে, অখিলেশ একজন সাংবাদিককে জাত নিয়ে প্রশ্ন করছেন।

    অনুরাগের বাক্য-বাণ (Anurag Thakur)

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। সংসদে চলছিল জাত গণনার দাবিতে আলোচনা। সেই সময় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন অনুরাগ। বলেন, “কংগ্রেসের শাহজাদা আমাদের জ্ঞান দেবেন? বিরোধী দলনেতার পদ কী, তা আগে বুঝতে হবে ওঁকে। ওঁদের মিথ্যে ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। বারবার ওবিসিদের কথা বলা হয়। বারবার করে জাতিগণনার কথা বলা হয়।” এর পরেই প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “যাঁদের নিজেদের জাতের ঠিক নেই, তাঁরাই জাত গণনার দাবি করছেন।” অনুরাগের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো তথা সাংসদ অখিলেশ যাদবও। তিনি প্রশ্ন করেন, “কারও জাত কি জানতে চাওয়া যায়? কারও জাত জানতে হবে কেন? অখিলেশের এহেন প্রশ্নের প্রেক্ষিতেই অনুরাগ পোস্ট করেন পুরানো ভিডিও। অনুরাগকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি জানান বিরোধীরা।

    মোদির কণ্ঠে অনুরাগ প্রশস্তি

    হামিরপুরের সাংসদের প্রশস্তি শোনা গিয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়ও। লোকসভার ভাষণ শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “আমার ছোট এবং উদ্যমী সহকর্মী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য অবশ্যই শুনতে হবে। ঘটনা এবং রসবোধের যথার্থ মিশ্রণ এটি। ‘ইন্ডি’ জোটের (বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট) নোংরা রাজনীতির উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তিনি।” কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুরের একটি বই থেকে উদ্ধৃতিও দিয়েছেন অনুরাগ। রাহুলকে দিয়েছেন এলওপি-র ব্যাখ্যা। অনুরাগ (Anurag Thakur) বলেন, “এই দলের শাহজাদার প্রথমে বোঝা উচিত এলওপি-র অর্থ কী। এর অর্থ হল ‘লিডার অফ অপোজিশন’, ‘লিডার অফ প্রোপাগান্ডা নয়’।”

    হালুয়া প্রসঙ্গ

    হালুয়া প্রসঙ্গ তুলেও এদিন রাহুলকে চাঁদমারি করেন অনুরাগ। বলেন, “রাহুলজি, আপনি হালুয়া নিয়ে বলছেন। বোফর্স দুর্নীতির হালুয়া কে খেয়েছিল? অন্তরীক্ষ দিবস (Caste Row) দুর্নীতি, কমনওয়েল্থ গেমস, ন্যাশনাল হেরাল্ড, সাবমেরিন, ২জি স্ক্যাম, কয়লা, ইউরিয়া ও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি থেকে কারা লাভ করেছিল? রাহুলজি ওই হালুয়াটা কি মিষ্টি ছিল নাকি বিস্বাদ? অনুরাগ বলেন, “কয়েকজন ওবিসি নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু তাদের কাছে ওবিসির অর্থ হল, ‘ব্রাদার ইন ল কমিশন’। এই দল কিনা পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের নিয়ে কথা বলবে?

    বোমা ফাটালেন কঙ্গনা

    জাত নিয়ে কথা বলায় অনুরাগ যখন খুঁচিয়ে তুলেছেন অখিলেশের পুরানো ঘা, ঠিক তখনই পুরানো একটি ভিডিও শেয়ার করে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করলেন গ্ল্যামার কুইন নায়িকা সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত। পুরানো ওই ভিডিওয় রাহুল গান্ধীকেও লোকের জাত নিয়ে কথা বলতে শোনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: “হিসেব দাও, টাকা নাও”, রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদকে মুখের মতো জবাব অমিত শাহের

    ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভিডিও শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, “আপনি নিজের জাত সম্পর্কে কিছুই জানেন না। আপনার দাদু মুসলিম, ঠাকুমা পার্সি, মা খ্রিস্টান। মনে হয় কেউ ভাত ও ডাল বানানোর জন্য কারিপাতা দিয়ে পাস্তা মেখেছেন। এদিকে উনি সবার জাত জানতে চান।” তিনি লিখেছেন, “কী করে তিনি প্রকাশ্যে মানুষকে তাঁদের জাত (Caste Row) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, এমন (Anurag Thakur) অভদ্রভাবে, ছিঃ লজ্জা, রাহুল গান্ধী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: আরএসএস সম্পর্কে কুকথা বরদাস্ত করলেন না ধনখড়, রাজ্যসভায় দিলেন যোগ্য জবাব

    RSS: আরএসএস সম্পর্কে কুকথা বরদাস্ত করলেন না ধনখড়, রাজ্যসভায় দিলেন যোগ্য জবাব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরএসএসের (RSS) নামে রাজ্যসভায় কুকথা বরদাস্ত করলেন না রাজ্যসভার অধ্যক্ষ জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) । বুধবার সংসদে মাল্লিকার্জুন খড়গে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামলালজী সুমনের বক্তব্যকে সমর্থন করলে পাল্টা ধনখড় বলেন, “আরএসএসের সমালোচনা যারা করছেন তাঁরা সংবিধানের বিরোধিতা করছেন। আরএসএস দেশের সেবা করে। মানুষের জন্য নিঃস্বার্থ ভাব নিয়ে কাজ করে। যারা দেশের কাজ করছেন, এমন সংগঠনের সমালোচনা করা সংবিধান বিরোধী। আরএসএসের মত সংগঠনের জন্য সকলের গর্ববোধ করা উচিত।

    সমাজবাদী সাংসদ রামলালজি সুমনের বক্তব্য (Jagdeep Dhankhar)

    প্রসঙ্গত সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রাম লালজি সুমন এনটিএ-র অধ্যক্ষের আরএসএসের (RSS) সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেন। তিনি শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, শাসক দল সবসময় এটা দেখে যে ব্যক্তি পদে আছে, সে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত কি না। এর পাল্টা বক্তব্য রাখতে গিয়েই জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) আরএসএস-এর পক্ষে দাঁড়ান।

    কংগ্রেসের নেতাদের টার্গেট আরএসএস (RSS)

    এদিন রাজ্যসভায় স্পষ্টভাবে জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) বলেন, আরএসএসের (RSS)  নামে কুমন্তব্য করলে তা রেকর্ডে রাখা হবে না। প্রসঙ্গত এর আগেও মাল্লিকার্জুন খড়গের বিরুদ্ধে আরএসএস সম্পর্কে কুমন্তব্য করার দৃষ্টান্ত রয়েছে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী সহ কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব এর আগেও আরএসএস সম্পর্কে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে কুমন্তব্য করেছেন। এর আগে সংসদে মালিকার্জুন খড়গে বলেছিলেন, “আরএসএস এবং বিজেপি সম্মিলিতভাবে দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে ভেঙে ফেলার কাজ করছে।

    আরও পড়ুন: এসসি, এসটি, ওবিসি প্রশ্নে রাহুলকে ধুয়ে দিলেন নির্মলা

    পাল্টা সে সময় ধনখড় বলেন, “আরএসএস বিশ্ববিখ্যাত সামাজিক সংস্থা, যারা মানব কল্যাণ এবং দেশের উন্নতির জন্য কাজ করে।” মল্লিকার্জুন খড়গের সেই মন্তব্যকে রেকর্ড থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Wayanad Landslide: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে! একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী

    Wayanad Landslide: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে! একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী এলাকা বিপর্যয়ের মুখে, তবুও একবারও স্থান পরিদর্শনে এলেন না সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নির্বাচনী এলাকা ওয়েনাড় (Wayanad Landslide)। গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে গিয়েছে নদীতে। নিশ্চিহ্ন হয়েছে রাস্তা। ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বাড়ি। ঠিক যেন মৃত্যুপুরী। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও একবারের জন্যও এলাকা পরিদর্শন করেননি কংগ্রেস নেতা। 

    বাতিল রাহুলের ওয়েনাড় সফর (Rahul Gandhi)

    ৩১ জুলাই বিপর্যস্ত ওয়েনাড় সফরের (Wayanad Landslide) কথা ছিল রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। কিন্তু এখনও এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়ে চলেছে ওয়েনাড়ে। আবহাওয়ার পরিস্থিতিও বেশ খারাপ। এই পরিস্থিতিতে বিমান বা কপ্টার নামতে পারবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারপরেই সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর রাহুলের এই সফর বাতিলের পরেই শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। 

    আরও পড়ুন: গোলান হামলার বদলা নিল ইজরায়েল! খতম হিজবুল্লা কমান্ডার ফুয়াদ

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট রাহুল গান্ধীর

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা ওয়েনাড়ে যাবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত সেখানকার পরিস্থিতির (Wayanad Landslide) উপর নজর রাখছেন তাঁরা। যাবতীয় সাহায্যের কাজও করা হবে। এই কঠিন সময়ে ওয়েনাড়ের জনগণের সঙ্গে রয়েছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ভোররাত থেকে শুরু হয়েছে ধসের ধ্বংসলীলা (Wayanad Landslide)। কেরলের স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যু সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ প্রায় শতাধিক। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চলছে উদ্ধারকাজ। সেনাবাহিনীর সঙ্গেই উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরাও। তবে বারবার প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে ব্যহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। এরইমধ্যে ত্রাণ তৎপরতা বাড়াচ্ছে বিজেপি ও আরএসএস। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Muslim Appeasement: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

    Muslim Appeasement: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউপিএ জমানায় সংখ্যালঘু তোষণের (Muslim Appeasement) রাজনীতি করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে দেশ। বছরের পর বছর অশান্তির আগুনে পুড়েছে ভূস্বর্গ। দেশের যত্রতত্র ঘটেছে বিস্ফোরণ। তাতে কখনও প্রাণ হারিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা, কখনও আবার জঙ্গিবাদের বলি হয়েছেন নিতান্তই নিরীহ মানুষ। তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কংগ্রেস সরকার দলিতদের বাধ্য করেছে পেটে খিল দিয়ে পড়ে থাকতে। এই যেমনটা চলছে কর্নাটকে (Karnataka), কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়া সরকারের জমানায়। কর্নাটকে কংগ্রেসের এই বিপজ্জনক খেলার জেরে হাঁড়ির হাল হতে চলেছে দক্ষিণের এই রাজ্যটির অর্থনীতির। তার পরেও সম্বিত ফেরে কই সরকারের! দিব্যি চলছে ভোটসর্বস্ব রাজনীতির খেল!

    সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement)

    ২০২৩ সালের মে মাসে কর্নাটকের কুর্সিতে বসে কংগ্রেস। তার পর থেকেই রাজ্যে চলছে সংখ্যালঘু তোষণ। উদাহরণ? যেমন দেখুন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার উন্নয়নে তৈরি হয়েছে হাজার কোটি টাকার অ্যাকশান প্ল্যান। মাইনরিটি বাজেটারি অ্যালোকেশন বাড়িয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ওয়াকফ সম্পত্তির উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। রাজ্যের ৪১৬টি ওয়াকফ সম্পত্তি বাঁচাতে গড়া হবে সুরক্ষা দেওয়াল। এজন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩১.৮৪ কোটি টাকা। মেঙ্গালুরুতে নয়া হজ ভবন গড়তে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তাঁতিদের অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিতে হয়েছে লোনের ব্যবস্থা। সংখ্যালঘু মহিলাদের নিয়ে গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠী যাতে বিভিন্ন ধরনের সেলফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যাকটিভিজিজ করেন, সেজন্য তাদের উৎসাহ দেওয়া হবে। এজন্য বরাদ্দ করা হবে ১০ কোটি টাকা। সংখ্যালঘু ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন প্রোগ্রামের মাধ্যমে খরচের জন্য বরাদ্দ করা ৩৯৩ কোটি টাকা।

    আরও পড়ুন: বাবাকে বাঁচাতে কুমিরের মুখেই হাত ঢুকিয়ে দিল বারো বছরের ছেলে! তারপর?

    খয়রাতির রাজনীতি

    খয়রাতির এই রাজনীতি চলছে যখন কর্নাটকে কৃষকরা প্রাণপাত করছেন জীবন সংগ্রামে। রাজ্যের সর্বত্রই কান পাতলে শোনা যায় বঞ্চনার ক্ষোভে ভারী বাতাসের শব্দ। রাজ্যবাসীর উন্নয়নে যে অর্থ ব্যয় করার কথা, তা দিয়ে ‘রেউড়ি’ রাজনীতি করার অভিযোগে সরব কর্নাটকের বিরোধীরা। তার পরেও দিব্যি চলছে সংখ্যালঘু তোষণ (Muslim Appeasement)। চাকরিতে সংখ্যালঘুদের সংরক্ষণে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪ শতাংশ পদ। এই সংখ্যালঘুদের ফেলা হয়েছে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ক্যাটেগরিতে। প্রশ্ন হল, খয়রাতির টাকা আসছে কোথা থেকে? জানা গিয়েছে, বাংলার তৃণমূল পরিচালিত সরকারের মতো কর্নাটকেও কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার কেন্দ্রের দেওয়া এক খাতের বরাদ্দ ব্যয় করছে অন্য খাতে। ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতেই করা হচ্ছে এই রেউড়ি সংস্কৃতির রাজনীতি।

    ভাঁড়ে মা ভবানী দশা অর্থনীতির

    সস্তার এই রাজনীতি করতে গিয়ে রাজ্যে দশা ভাঁড়ে মা ভবানীর। এক সময় যে রাজ্য ছিল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে পূর্ণ, সেই রাজ্যই আজ দাঁড়িয়ে অর্থনৈতিক ধ্বংসের কিনারে। সিদ্দারামাইয়ার আগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বাসবরাজ বোম্বাই। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশ করেছিলেন তিনি। তখনও রাজ্যের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেনি। বরং সারপ্লাস ছিল। তাঁর বাজেটে প্রস্তাবিত রাজস্ব সারপ্লাস ছিল ৪০২ কোটি টাকা। যেখানে এতদিন রাজস্ব ঘাটতি বাজেট পেশ হত, সেখানেই বোম্বাই পেশ করলেন সারপ্লাস বাজেট। ওই বছরই মে মাসে কুর্সিতে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। খয়রাতির রাজনীতি (Muslim Appeasement) করতে গিয়ে রাজ্যকে দেউলিয়ার খাতায় নাম লেখানোর জোগাড় করে দিয়েছেন তিনি।

    ‘রেউড়ি পলিটিক্স’

    অর্থনীতিবিদদের মতে, কর্নাটকের অর্থনীতির এই হাঁড়ির হালের নেপথ্যে রয়েছে সস্তার রাজনীতি, খয়রাতির রাজনীতি। যাকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আখ্যা দিয়েছেন ‘রেউড়ি পলিটিক্স’। রেউড়ি রাজনীতি হল খয়রাতির রাজনীতি। এই হেটো রাজনীতিতে জনতাকে নিখরচায় দেওয়া হয় বিভিন্ন উপহার। এই সব উপহার পেয়ে আমজনতা ভুলে যায় শিক্ষা-স্বাস্থ্য-চাকরির দৈন্যদশার কথা। ক্ষমতা অটুট (Karnataka) থাকে রেউড়ি রাজনীতির কারবারিদের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কর্নাটকে সমাজের একটি নির্দিষ্ট অংশকে লক্ষ্য করে তাদের মনোরঞ্জনে যেসব পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাতে উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে প্রকৃত দরিদ্র মানুষের। টান পড়েছে রাজ্যের কোষাগারে। সরকারের বেপরোয়া ব্যয়ের প্রবণতা ফাঁকা করে দিয়েছে কর্নাটকের রাজকোষাগার।

    ট্যাডিশন আজও চলছে

    তার পরেও চলছে খয়রাতির রাজনীতি। যে রাজনীতি করে দীর্ঘদিন কেন্দ্রের ক্ষমতায় টিকে ছিল কংগ্রেস, যে রাজনীতি করতে গিয়ে বুদ্ধ-অশোকের দেশে মাথা তুলেছে জঙ্গিবাদ, সেই রাজনীতির ট্যাডিশন আজও চলছে। এবং কেবল কংগ্রেস নয়, বাংলার তৃণমূল সরকারও একই কায়দায় ক্ষমতায় টিকে রয়েছে টানা তিনটে মেয়াদ। কর্নাটক কিংবা বাংলা – রাজ্যের উন্নয়ন জলে, কোষাগারের নেই নেই দশা, তার পরেও দিব্যি চলছে রেউড়ি রাজনীতি। ‘করে’ খাচ্ছেন শাসক দলের নেতারা। বঞ্চিত হচ্ছেন আমআদমি (Karnataka)। গরিবরা আরও গরিব হচ্ছেন। আড়ে বহরে বাড়ছে সংখ্যালঘুদের (Muslim Appeasement) দৌরাত্ম্য!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘সংরক্ষণ বিল পেশে ব্যর্থ হলে কর্নাটক ফুঁসবে’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি পদ্মের

    BJP: ‘সংরক্ষণ বিল পেশে ব্যর্থ হলে কর্নাটক ফুঁসবে’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি পদ্মের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বেসরকারি সংস্থায় কন্নড়ভাষীদের নিয়োগ সংরক্ষণের বিল (Job Reservation Bill) বিধানসভায় পেশ করতে ব্যর্থ হলে কর্নাটকবাসীর ক্রোধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে।” বৃহস্পতিবার এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে সে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। শিল্প, কারখানা এবং অন্যান্য সংস্থান বিল, ২০২৪-এ স্থানীয় প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউ-টার্ন নেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের সিদ্দারামাইয়ার তীব্র সমালোচনা করে পদ্ম শিবির।

    বেসরকারি চাকরিতে কন্নড়ভাষীদের জন্য সংরক্ষণ! (BJP)

    বেসরকারি চাকরিতে কন্নড়ভাষীদের সংরক্ষণের জন্য নয়া আইন চালুর ইঙ্গিত দিয়েছিল কর্নাটক সরকার। বুধবারই এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এ সংক্রান্ত একটি পোস্টও করেছিলেন। লিখেছিলেন, “কর্নাটকে ‘সি’ এবং ‘ডি’ গ্রুপের একশো শতাংশ সরকারি চাকরিই কন্নড়ভাষীদের জন্য সংক্ষরণ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে পরেই বেসরকারি চাকরিতে স্থানীয়দের সংরক্ষণের জন্য নয়া আইন চালুর ইঙ্গিত দেন সে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ লাড। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত বিলে বেসরকারি সংস্থাগুলির জন্য ৭০ শতাংশ কর্মী ও ৫০ শতাংশ আধিকারিকের পদ কন্নড়ভাষীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা বাধ্যতামূলক করা হবে। শ্রমমন্ত্রী বলেছিলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। বিলটি শীঘ্রই পেশ করা হবে বিধানসভায়।”

    পিছু হটল রাজ্য সরকার 

    মুখ্যমন্ত্রীর এই পোস্ট এবং পরে শ্রমমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই শোরগোল শুরু (BJP) হয় রাজ্যে। কর্নাটকের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের মারাঠিভাষী অঞ্চল এবং পূর্বের তেলগুপ্রধান অঞ্চল থেকে আসে বিক্ষোভের খবর। আপত্তি তোলেন কর্পোরেট সংস্থার কর্তারা। তার জেরেই পিছু হটে রাজ্য সরকার। তড়িঘড়ি পোস্টটি মুছে দেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিধানসভায় পেশ করার আগে আরও একবার বিলটি নিয়ে পর্যালোচনা করবে রাজ্য সরকার।

    আরও পড়ুন: বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা নেই টাস্ক ফোর্সের, কবুল ‘নিধিরাম’দের

    কংগ্রেস সরকার পিছু হটায় হাত শিবিরকে নিশানা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিওয়াই বিজয়েন্দ্র। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “কন্নড়ভাষীদের চাকরি দিতে কেন বিলটি নিয়ে এসেছিলেন? কেনই বা সেটি স্থগিত করে দিলেন? কন্নড়ভাষীদের জীবন নিয়ে কেন ছিনিমিনি খেলছেন? কন্নড়ভাষীদের অপমান করার কোনও প্রয়োজন কি ছিল? সরকার কন্নড়ভাষীদের জন্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিলটি পেশ করুক। বিলটি নিয়ে গ্রামাঞ্চলে লাখ লাখ কর্মপ্রার্থী আশায় বুক বেঁধেছিলেন। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা চাকরি পাননি। তাই বিলটি পেশ না করা হলে জনগণের ক্রোধের মুখোমুখি হতে হবে রাজ্য সরকারকে।” বিল স্থগিত করে দেওয়ার বিষয়টিকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলেও উল্লেখ করেন এই পদ্ম-নেতা। বিষয়টিকে (Job Reservation Bill) ‘নাটকবাজি’ বলে উল্লেখ করেছেন বিজেপি (BJP) নেতা সিটি রবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: যোগী আদিত্যনাথের অধীনে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন গল্প লিখছে, বললেন জেপি নাড্ডা

    JP Nadda: যোগী আদিত্যনাথের অধীনে উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন গল্প লিখছে, বললেন জেপি নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপনির্বাচনের ফলাফলের একদিন পরেই রবিবার উত্তর প্রদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য যোগী আদিত্যনাথ সরকারের (Yogi Governments) প্রশংসা করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রাজ্য জুড়ে এক্সপ্রেসওয়ে এবং মেডিক্যাল কলেজ সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উলেখ্যযোগ্য কাজের কথাও তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে এদিন উত্তরপ্রদেশে বিজেপির এই সভায় বিরোধীদের লাগাতার চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণও করেছেন জেপি নাড্ডা।  

    কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার (JP Nadda)

    এদিন কংগ্রেসকেও নিশানা করতে পিছ পা হন না জেপি নাড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “৯০ বার কংগ্রেস নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে। বিজেপি জম্মু ও কাশ্মীরে ১০ বছরের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করেছিল। এরপরেও সংসদে বলে যে এটি অস্থায়ী এবং অপসারণ করা হবে। আজ বিরোধীরা গণতন্ত্রের জন্য কান্নাকাটি শুরু করেছে এবং সংবিধানের রক্ষক হয়েছে। সংবিধানে লেখা আছে, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু তা অমান্য করে অন্ধ্রপ্রদেশে একবার নয়, চারবার ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
    এছাড়াও তিনি আরও বলেন “বিজেপি এবং কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে ৬৪টি আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল। এর মধ্যে কংগ্রেস মাত্র ২টি আসন পেয়েছে, আর বাকি  ৬২টি আসন জিতেছে বিজেপি।” পাশাপাশি এদিন কংগ্রেস ও ইন্ডি জোটকে নিশানা করে জেপি নাড্ডা (JP Nadda)বলেন, ‘‘তিনটি লোকসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের সংখ্যা ১০০ পেরোয়নি। আজ দেশের ১৩টি রাজ্যে একজনও কংগ্রেস সাংসদ নেই। আমরা সমাজকর্মী বেশি, রাজনৈতিক কর্মী কম। আমরা সব সময় জনগণের স্বার্থে কাজ করেছি। কংগ্রেস একটা পরজীবী দল।’’  

    যোগী সরকারের প্রশংসা (Yogi Governments)

    পাশাপাশি বিজেপির জাতীয় সভাপতি (JP Nadda) রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং উত্তরপ্রদেশকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করার জন্য যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রশংসাও করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘একটা সময় ছিল যখন আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কারণে লোকেরা উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছিল। আজ, মাফিয়া রাজ শেষ হয়েছে। গত ১০ বছরে উত্তরপ্রদেশ অনেক উন্নতি করেছে। রাজ্যের অর্থনীতি দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।”  

    আরও পড়ুন: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব মদ্যপ এনএসইউআই সদস্যদের, রাম-বিবেকানন্দর মূর্তি-ছবি ভাঙচুর

    নাড্ডার (JP Nadda) মতে, “২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখিয়ে দিয়েছে যে, যে দলই থাকুক না কেন, তারা যদি উত্তর-পূর্বে সক্ষম হয় তবে মধ্য ভারতে তারা শূন্য। উত্তর ভারতে যদি কোনও দল সক্ষম হয়, দক্ষিণ ভারতে সেই ম্যাজিক আবার দেখা যায় না। যদি পশ্চিম ভারতে সক্ষম হয়, তাহলে পূর্বদিকে দলের নাম নেওয়ারও কেউ নেই। আর কেন্দ্রে যদি কেউ সক্ষম হন, তবে বিজেপিই একমাত্র সর্বভারতীয় দল, যা পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর বা দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই আছে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share